Ajker Patrika

পাহাড়ের সংকট নিরসনে জাতীয় সংলাপের আহ্বান

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আজ সোমবার রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে খাগড়াছড়ির গুইমারায় গুলিবর্ষণে নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে প্রদীপ প্রজ্বালন ও স্মরণসভা করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ সোমবার রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে খাগড়াছড়ির গুইমারায় গুলিবর্ষণে নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে প্রদীপ প্রজ্বালন ও স্মরণসভা করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

সম্প্রতি খাগড়াছড়ির গুইমারায় গুলিবর্ষণে নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে প্রদীপ প্রজ্বালন ও স্মরণসভার আয়োজন করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলন। আজ সোমবার রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এই আয়োজন করা হয়। সভা থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যার স্থায়ী সমাধানে জাতীয় সংলাপ আয়োজনের আহ্বান জানিয়েছেন আয়োজকেরা।

আজ রাতে সংগঠনের প্রচার বিভাগের সদস্য মুর্শিদা আক্তার ডেইজীর পাঠানো এ বার্তায় এই আহ্বান জানানো হয়েছে।

সভায় গুইমারায় নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে সংগঠনের পক্ষ থেকে ঘোষণাপত্র পাঠ করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলনের যুগ্ম সমন্বয়কারী জাকির হোসেন। ঘোষণাপত্রে তিনি বলেন, ‘খাগড়াছড়িতে একজন মারমা কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ও গুলিবর্ষণে তিনজন নিহত এবং অন্তত ৩০ জন আদিবাসী আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত বলপ্রয়োগের অভিযোগ উঠেছে, আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় প্রধান উপদেষ্টার দ্রুত হস্তক্ষেপ দাবি করছি।’

জাকির হোসেন আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যার স্থায়ী সমাধান পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের মধ্যেই নিহিত। এ জন্য সব রাজনৈতিক পক্ষ ও নাগরিক সমাজের অংশগ্রহণে একটি জাতীয় সংলাপ জরুরি।

ঘোষণাপত্রে আরও দাবি করা হয়, সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত বলপ্রয়োগের নিরপেক্ষ তদন্তে নাগরিক প্রতিনিধি যুক্ত করে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠন, নিহত পরিবারের জন্য অন্তত ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা, পাহাড়ে সামরিকীকরণ নীতি পরিহার করে সিভিল প্রশাসনের মাধ্যমে রাজনৈতিক সমাধান এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য সময়সূচিভিত্তিক কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা।

অধ্যাপক মাহমুদুল সুমন বলেন, নাগরিক হিসেবে পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসীদের ধর্ষণের মতো একটি নিকৃষ্ট অপরাধের বিরুদ্ধে আন্দোলন করার অধিকার আছে। আর এ ধরনের আন্দোলনকে বিচ্ছিন্নতাবাদী তকমা দিয়ে দেখার কোনো সুযোগ নেই।

বাংলাদেশ জাসদের স্থায়ী কমিটির সদস্য মুশতাক হোসেন বলেন, ‘গুইমারায় যাঁরা নিহত হয়েছেন, তাঁদের আমরা আর ফিরে পাব না। কিন্তু পাহাড়ের আদিবাসীদের যে ন্যায্যতার লড়াই, সে লড়াইয়ে তাঁরা স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।’

সমাপনী বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. খায়রুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘রাষ্ট্র আদিবাসীদের সঙ্গে অস্বীকারের রাজনীতিই করে যাচ্ছে। আমরা পাহাড়ের আদিবাসীদের সংকট নিরসনে অবিলম্বে পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের দাবি জানাচ্ছি।’

স্মরণ আয়োজনে আরও উপস্থিত ছিলেন এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা, বাসদের কেন্দ্রীয় সদস্য খালেকুজ্জামান লিপন, ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দীন শুভ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি মুক্তা বাড়ৈ, বাংলাদেশ আদিবাসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি অনন্ত তঞ্চঙ্গ্যা প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৫ ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি শাহজালালের আগুন, ফ্লাইট ওঠানামা স্থগিত

শাহজালাল বিমানবন্দরে আগুনের সূত্রপাত ও হতাহতের বিষয়ে যা জানা গেল

৪৫ বছর ছদ্মবেশে বিলাসী জীবন, অবশেষে বিচারের মুখে গুম-খুনের হোতা গোয়েন্দাপ্রধান

ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে প্রধান শিক্ষক গ্রেপ্তার

আজকের রাশিফল: প্রেমের সম্পর্কে গভীরতা বাড়বে, পকেটে আসবে টাকা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত