Ajker Patrika

‘স্যার, কেউ কথা শুনছে না, এভাবে পুলিশ চলে না’

শাহরিয়ার হাসান, ঢাকা
আপডেট : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৭: ৫৩
‘স্যার, কেউ কথা শুনছে না, এভাবে পুলিশ চলে না’

কড়া রোদ। রাজধানীর কাকরাইলে অডিট ভবনের সামনে জনাপঞ্চাশেক পুলিশ দাঁড়িয়ে। অনেকের হাতে আইসক্রিম। অডিট ভবনের ফটকের সামনের সড়কে তখন বিক্ষোভ করছেন দেড়-দুই শ কর্মকর্তা। তাঁরা ভবনে ঢুকতে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন। সেখানে দায়িত্বে থাকা ডিএমপির একজন উপকমিশনার (ডিসি) বিক্ষুব্ধদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করলেও তাতে গা করছিলেন না কোনো পুলিশ সদস্য। একপর্যায়ে সেই কর্মকর্তা পুলিশ সদস্যদের এমন আচরণ নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে আক্ষেপ করেন। তিনি বলেন, ‘এভাবে ফোর্স চালানো যায় না, স্যার। কেউ কথা শুনছে না। এভাবে পুলিশও চলতে পারে না।’ অবশ্য তাঁর আক্ষেপের জবাবে ফোনের ওপারে থাকা কর্মকর্তা কী বলেছেন, তা জানা যায়নি। 

এ ঘটনা গতকাল রোববারের। পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, ঊর্ধ্বতনের নির্দেশ না মানার এমন ঘটনা পুলিশ বাহিনীতে নজিরবিহীন। কিন্তু গতকাল এমন ঘটনাই ঘটেছে। নিম্ন পর্যায়ের পুলিশ সদস্যরা মনে করছেন, বিক্ষুব্ধদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিপেটা করা হলে একসময় তাঁরাও হয়তো ঝুঁকিতে পড়বেন। কারণ, পুলিশ বাহিনীর সদস্যরাও এখনো হামলা-মারধরের শিকার হচ্ছেন। গত ৫ আগস্টের পর থেকে পুলিশ সদস্যদের মধ্যে এ রকম নিরাপত্তাহীনতা ও আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে পুলিশের মতো শৃঙ্খলা বাহিনীতেও চেইন অব কমান্ড ঠিকমতো কাজ করছে না। ভেঙে পড়েছে পুলিশি ব্যবস্থা। 

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মুহাম্মদ নুরুল হুদা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ভেঙে পড়া পুলিশি ব্যবস্থায় চেইন অব কমান্ড প্রতিষ্ঠা করা এখন সবচেয়ে জরুরি। তা না হলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হবে না। 

বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কাকরাইলে অডিট ভবনের সামনে গিয়ে দেখা যায়, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের (সিএজি) কার্যালয়ের অডিটর পদের দেড়-দুই শ বিক্ষুব্ধ কর্মকর্তা স্লোগান দিয়ে ভবনের ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করছেন। পুলিশের বাধায় তাঁরা ভবনের ফটকের সামনের সড়কে বিক্ষোভ শুরু করেন। এতে কাকরাইল মোড় থেকে কাকরাইল মসজিদ পর্যন্ত সড়কের এক পাশে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিক্ষুব্ধরা অডিটর পদের দুই গ্রেডে বিদ্যমান বেতনবৈষম্য নিরসনের দাবিতে স্লোগান দিচ্ছিলেন। তাঁদের অভিযোগ, ১১ তম গ্রেডের আড়াই হাজারের বেশি কর্মকর্তা দীর্ঘদিন পদোন্নতিবঞ্চিত। এ নিয়ে আদালতের নির্দেশনাও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না। এরই মধ্যে পিটিশন করা ৭৫২ জনের বেতন ১১ সেপ্টেম্বর বাড়ানো হয়, কিন্তু একই গ্রেডের আরও আড়াই হাজার অডিটরের বেতন বাড়েনি। অডিট ভবনের ফটকের সামনেই নিরাপত্তায় ছিলেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। 

 অডিট ভবনের সামনে বিক্ষোভরত অডিটরদের ছত্রভঙ্গ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন ডিএমপির উপকমিশনার। তবে সে নির্দেশ না মেনে দাঁড়িয়ে থাকেন পুলিশ সদস্যরা। গতকাল রাজধানীর কাকরাইলে। ছবি: আজকের পত্রিকা সেখানে ডিএমপির রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) নাছের ও সহকারী কমিশনার শুভ্রর নেতৃত্বে পুলিশের ৬০-৭০ জন সদস্য রয়েছেন। ওই দুই কর্মকর্তা বেলা দেড়টা পর্যন্ত বিক্ষুব্ধদের বোঝানোর চেষ্টা করেন এবং তাঁদের সড়ক ছেড়ে দিতে বারবার অনুরোধ করেন। এরপরও তাঁরা সড়ক না ছাড়ায় সেখানে থাকা রমনা বিভাগের ডিসি সারওয়ার তাঁর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে সড়ক থেকে বিক্ষুব্ধদের ছত্রভঙ্গ করার সিদ্ধান্ত নেন। এ জন্য সেখানে থাকা পুলিশ সদস্যদের সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়াসহ অন্যান্য প্রস্তুতি নিতে বলেন তিনি। কিন্তু সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহারে কোনো সদস্যই এগিয়ে আসছিলেন না। এ সময় ডিসি সারওয়ার ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, কে কে তাঁর সঙ্গে সামনে যাবেন। না গেলে সেটাও জানাতে বলেন। কিন্তু পুলিশ সদস্যদের কেউ কিছু না বলে পেছনে সরে যান। ডিসি তখন রমনা মডেল থানার ওসি, এসি, এডিসি ও কয়েকজন উপপরিদর্শককে নিয়ে এক পাশে দাঁড়িয়ে থাকেন। 

বেলা আড়াইটার দিকে সেখানে আসেন ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) সানা শামীনুর রহমান। তিনিও পুলিশ সদস্যদের অগ্রসর করানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা দাঁড়িয়ে পুলিশের মুখোমুখি অবস্থান নেন। তাঁরা ৬০-৭০ জন পুলিশ সদস্যকে একরকম ঘিরে ফেলেন। এ সময় কয়েকজন পুলিশ সদস্য কর্মকর্তার উদ্দেশে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমাদেরকেই শুধু জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করানো হচ্ছে।’ 

সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা সব পুলিশ সদস্যের চোখে-মুখে ছিল হতাশার ছাপ। ৫ আগস্টের পর পুলিশ সদস্যদের মধ্যে যে নিষ্ক্রিয়তা দেখা গেছে, গতকালের ঘটনাও তার ব্যতিক্রম নয়। 

নির্দেশনা সত্ত্বেও সদস্যদের অভিযানে না যাওয়ার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার শামীনুর রহমান আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ‘ফোর্স কথা শুনবে না কেন? আমরা নিজেরাই একটু সময় নিচ্ছি।’ তবে এডিসি নাছের বলেন, ‘একটু সমস্যা তো আছেই। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।’ 

বেলা সাড়ে ৩টার দিকে সিএজি কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সড়কে এসে বিক্ষুব্ধদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন এবং তাঁদের আলোচনার জন্য ডাকেন। এরপর বিক্ষুব্ধরা সড়ক ছেড়ে অডিট ভবনের অডিটরিয়ামের দিকে চলে যান। শেষ মুহূর্তে ঘটনাস্থলে আসেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) ইসরাইল হাওলাদার। তিনি একাই বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিতে যান। উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারাও তখন এগিয়ে যান। ততক্ষণে বিক্ষোভকারীরা অবশ্য চলে যাচ্ছেন।

আরও খবর পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

ভারতের ইন্দোরে শ্লীলতাহানির শিকার অস্ট্রেলিয়ার দুই নারী ক্রিকেটার

আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি: আখতার

আফগান সিরিজ দিয়ে সাত বছর পর ফিরেছেন জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটার

গ্রেপ্তার বাবাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকা শিশুকে পুলিশের সামনেই চড়, সমালোচনার ঝড়

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চকরিয়ায় দুই ডাকাত দলের গোলাগুলি, নিহত ১

চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় চিংড়ি জোনে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই ডাকাত দলের মধ্যে গোলাগুলিতে এক যুবক নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ ও স্থানীয়রা। আরও দুজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। শনিবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে উপজেলার চিরিংগা ইউনিয়নের সওদাগরঘোনা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত যুবকের নাম সিরাজুল ইসলাম (৩৭)। তিনি চিরিংগা ইউনিয়নের সওদাগরঘোনা গ্রামের ওমর আলীর ছেলে এবং একটি ডাকাত দলের সদস্য। গুলিবিদ্ধ দুজনের নাম-ঠিকানা পাওয়া যায়নি।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানায়, চকরিয়ার উপকূলীয় চিংড়ি জোনে ডাকাতি, ঘের দখল, চাঁদা উত্তোলন করতেন জাহাঙ্গীর আলম ও নেজাম উদ্দিনের ডাকাত গ্রুপ। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর আলাদা গ্রুপ তৈরি করেন তাঁরা। এরপর কয়েক দফা দুই গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।

আধিপত্য বিস্তার নিয়ে শনিবার সকাল থেকে দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। গোলাগুলিতে নেজাম ডাকাত গ্রুপের সদস্য সিরাজসহ আরও দুজন গুলিবিদ্ধ হন। এদের মধ্যে সিরাজকে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কতর্ব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ পর্যন্ত উভয় পক্ষের অন্তত ৮০-৯০ রাউন্ড গুলি বিনিময় হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় লোকজন।

এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ইয়াছিন মিয়া বলেন, চিংড়ি জোন এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। সওদাগরঘোনা এলাকায় অভিযান চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

ভারতের ইন্দোরে শ্লীলতাহানির শিকার অস্ট্রেলিয়ার দুই নারী ক্রিকেটার

আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি: আখতার

আফগান সিরিজ দিয়ে সাত বছর পর ফিরেছেন জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটার

গ্রেপ্তার বাবাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকা শিশুকে পুলিশের সামনেই চড়, সমালোচনার ঝড়

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভোলায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানে হামলা-সংঘর্ষ, পৌরসভার ৩ গাড়িতে অগ্নিসংযোগ

ভোলা প্রতিনিধি
পৌরসভার তিনটি পিকআপ ভ্যান জ্বলছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
পৌরসভার তিনটি পিকআপ ভ্যান জ্বলছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

ভোলা শহরের নতুনবাজারে পৌরসভা কর্তৃপক্ষের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানে হামলা-সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে পৌরসভার অন্তত ২০ কর্মচারী আহত হন। পৌরসভা কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, আজ শনিবার বিকেলে নতুনবাজার এলাকায় মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট ও তার আশপাশে অভিযান চালানোর সময় হকার ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের লোকজন তাদের ওপর হামলা করে। এ সময় পৌরসভার তিনটি পিকআপ ভ্যানে অগ্নিসংযোগ করেছে হামলাকারীরা।

পৌরসভার স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মো. ওমর ফারুক বলেন, নতুনবাজার এলাকায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও হকাররা পৌরসভার জায়গা দখল করে অবৈধ স্থাপনা বসিয়ে ব্যবসা করে আসছিলেন। বহুবার নোটিশ দেওয়ার পরেও তাঁরা তাঁদের স্থাপনা সরিয়ে নেননি। নোটিশের সর্বশেষ তারিখ পেরিয়ে যাওয়ার বেশ কয়েক দিন পর আজ বেলা ৩টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ওই সব অবৈধ স্থাপনা ভেঙে দেওয়া হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের লোকজন ও হকাররা বিকেলে পৌরসভার কর্মীদের ওপর হামলা চালান। তাঁরা পৌরসভার তিনটি ময়লা বহনকারী পিকআপ ভ্যানে আগুন ধরিয়ে দেন।

পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মী মো. শরিফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উচ্ছেদ অভিযান চালানোর প্রায় শেষ মুহূর্তে বিকেলে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের লোকজন ও হকাররা লাঠিসোঁটা নিয়ে আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। তারা আমাদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে আমিসহ অন্তত ২০ জন আহত হই। হামলাকারীরা পৌরসভার তিনটি ময়লা বহনকারী পিকআপ ভ্যানে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় প্রায় ঘণ্টাব্যাপী পৌরসভার পিকআপ ভ্যানে আগুন জ্বলছিল। পরে স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।’ ভোলা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমানের নেতৃত্বে এ হামলা ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন পরিচ্ছন্নতাকর্মী শরিফ। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। বরং আমাদের মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটের ব্যবসায়ীদের দোকান ভেঙে ফেলেছে পৌরসভার লোকজন।’

এ বিষয়ে পৌর প্রশাসক মো. মিজানুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা গত ৮-১০ দিন ধরে পৌর এলাকায় বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করছিলাম। আজ শনিবার ছিল এ অভিযানের শেষ দিন। যারা অবৈধভাবে পৌরসভার স্থাপনা দখল করেছিল, তারাই শেষ মুহূর্তে ময়লা গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছে।’ এতে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে—তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, পৌরসভার ইঞ্জিনিয়াররা ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কাজ করছে। এ বিষয়ে মামলা দায়ের করা হবে বলেও জানান তিনি।

ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাহাদাৎ মো. হাচনাইন পারভেজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

ভারতের ইন্দোরে শ্লীলতাহানির শিকার অস্ট্রেলিয়ার দুই নারী ক্রিকেটার

আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি: আখতার

আফগান সিরিজ দিয়ে সাত বছর পর ফিরেছেন জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটার

গ্রেপ্তার বাবাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকা শিশুকে পুলিশের সামনেই চড়, সমালোচনার ঝড়

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গ্রেপ্তার বাবাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকা শিশুকে চড়, তদন্ত করছে পুলিশ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পে রুস্তম নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারের সময় তাঁর সাত-আট বছর বয়সী মেয়ে বাবাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদছিল। তখন ভিড়ের মধ্যে কেউ একজন শিশুটিকে চড় মারে। এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

পুলিশ দাবি করেছে, এতে তাদের কোনো সদস্য জড়িত নয়। কে শিশুটিকে চড় মেরেছে, তা গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পে গত বৃহস্পতিবার ভোরে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত দুই পক্ষের মারামারির সময় ‘ককটেল’ বিস্ফোরণে মো. জাহিদ (২০) নামের এক তরুণ নিহত হন। সেদিন সন্ধ্যায় সেখানে পুলিশ অভিযান চালিয়ে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে। তখন রুস্তমকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ভিডিওতে দেখা যায়, রুস্তমকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়ার সময় তাঁর মেয়ে তাঁকে জড়িয়ে ধরে কান্না শুরু করে। এ সময় ভিড়ের মধ্যে থাকা কেউ একজন শিশুটিকে চড় মারে। পরে শিশুটিকে তার বাবার কাছ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।

ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে অনেকে পুলিশের ভূমিকার সমালোচনা করেন।

অভিযানের সময় সেখানে ছিলেন মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (অপারেশনস) মফিজ উদ্দিন। ঘটনার বিষয়ে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আসামি রুস্তমকে গ্রেপ্তারের পর সেখান থেকে নিয়ে আসছিলাম আমরা। ওখানে পুলিশের পাশাপাশি গণমাধ্যমকর্মীসহ অনেকে ছিলেন। টানাহেঁচড়ার মধ্যে কে চড় মেরেছে, সেটি দেখিনি। আমরা তদন্ত করে সেটা বের করার চেষ্টা করছি।’

পুলিশ জানিয়েছে, মো. জাহিদ হত্যার ঘটনায় করা একটি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি রুস্তম। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় তাঁকে ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করা হয়। জেনেভা ক্যাম্প এলাকায় বিভিন্ন মামলার আসামিরা পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে নানা কৌশল নেয়। এ ক্ষেত্রে স্ত্রী ও বাচ্চাদের দিয়ে নানা পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করা হয়।

ওই ঘটনার বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার জুয়েল রানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভিডিওটি আমাদের নজরে এসেছে। পুলিশ চড় মারেনি। রুস্তমকে গ্রেপ্তার করার পর মেয়েটি ওর বাবার কাছে এসে কান্না করতে থাকে। তখন ভিড়ের মধ্যে কেউ একজন শিশুটিকে চড় মারে। কাজটি ঠিক হয়নি। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

ভারতের ইন্দোরে শ্লীলতাহানির শিকার অস্ট্রেলিয়ার দুই নারী ক্রিকেটার

আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি: আখতার

আফগান সিরিজ দিয়ে সাত বছর পর ফিরেছেন জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটার

গ্রেপ্তার বাবাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকা শিশুকে পুলিশের সামনেই চড়, সমালোচনার ঝড়

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভ্যানগাড়িতে ট্রাকের ধাক্কায় নারী নিহত

ফকিরহাট (বাগেরহাট) প্রতিনিধি  
ট্রাকের ধাক্কায় আহতদের হাসপাতালে নেন স্থানীয়রা। ছবি: আজকের পত্রিকা
ট্রাকের ধাক্কায় আহতদের হাসপাতালে নেন স্থানীয়রা। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাগেরহাটের ফকিরহাটে ভ্যানগাড়িতে ট্রাকের ধাক্কায় সিক্ত খাতুন (২৬) নামের এক নারী নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার বাহিরদিয়া জামরুলতলা এলাকায় বাগেরহাট-রূপসা আঞ্চলিক সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ফকিরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রাজ্জাক মীর এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

নিহত সিক্ত খাতুন উপজেলার আট্টাকা গ্রামের মৃত কালাম শেখের মেয়ে। এ ঘটনায় ভ্যানচালক শাহাদাৎ হোসেন (৫৫) এবং আরেক ভ্যানযাত্রী শাহেব আলী (৬৫) আহত হয়েছেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে যাত্রীবাহী ভ্যানটি ছোটবাহিরদিয়া জোড়াকবর এলাকা থেকে ফকিরহাট বাজারের দিকে যাচ্ছিল। ভ্যানটি জামরুলতলা এসে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা রূপসাগামী একটি ট্রাক এটিকে ধাক্কা দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। এতে সিক্ত খাতুন ঘটনাস্থলেই নিহত হন। আহত দুজনকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

ফকিরহাট মডেল থানার ওসি বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ট্রাকটি পালিয়ে যাওয়ার সময় বাহিরদিয়া ক্যাম্প পুলিশ জব্দ করেছে। ট্রাকচালক ও সহযোগীকে আটক করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

ভারতের ইন্দোরে শ্লীলতাহানির শিকার অস্ট্রেলিয়ার দুই নারী ক্রিকেটার

আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি: আখতার

আফগান সিরিজ দিয়ে সাত বছর পর ফিরেছেন জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটার

গ্রেপ্তার বাবাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকা শিশুকে পুলিশের সামনেই চড়, সমালোচনার ঝড়

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত