Ajker Patrika

আসামিদের জবানিতে ২১ আগস্ট

আশরাফ-উল-আলম, ঢাকা
আপডেট : ২১ আগস্ট ২০২১, ১৪: ৫৭
আসামিদের জবানিতে ২১ আগস্ট

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের সমাবেশে নজিরবিহীন গ্রেনেড হামলায় ২৪ জন নিহত হয়। তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে করা এই হামলার তদন্ত নিয়ে অনেক জলঘোলা শেষে হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি হান্নানসহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আদালতে তাঁদের দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে উঠে আসে এই হামলার পরিকল্পনাসহ ভয়াবহ সব তথ্য।

হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি হান্নান (ফাঁসি কার্যকর) আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে জানান, ২০০৪ সালের ১৯ আগস্ট সন্ধ্যার দিকে রাজধানীর পশ্চিম বাড্ডায় একটি বাসায় সংগঠনের সদস্য আহসান উল্লাহ কাজল (যশোর), আবু জান্দাল, ফরিদপুরের মুরসালিন ও মুত্তাকিন, খুলনার মাহমুদ ও লিটনসহ বৈঠক করেন। বৈঠকে কাজল একটি পত্রিকার খবর দেখিয়ে বলেন, ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের সমাবেশ হবে। সেখানে হামলা করা যায়। কাজলের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে মুফতি হান্নান তখনই টেলিফোনে এই বিষয়ে ফরিদপুরের কামাল উদ্দিন শাকের, আবদুর রহমান, যশোরের মাওলানা মনিরুল ইসলাম মদিনা, মাওলানা রুস্তম আহমেদ ও মুফতি আরিফ বিল্লাহকে (ঝিনাইদহ) জানান এবং তাঁদের ঢাকায় আসতে বলেন। অবশ্য তাঁরা ঢাকায় আসেননি। খবর পেয়ে মাওলানা আবু সাইদ ওরফে ডা. জাফর সন্ধ্যার পর এসে ওই বৈঠকে যোগ দেন। পরিকল্পনার কথা শুনে তিনি বলেন, ‘এ ধরনের হামলার জন্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত লোক দরকার। কিন্তু এ মুহূর্তে আমার কাছে লোক নেই।’ তখন কাজল জানান, ‘লোক পাওয়া যাবে। এ জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনের একজনের সঙ্গে কথা বলব।’ পরে কাজল টেলিফোনে তাঁর সঙ্গে কথা বলেন এবং এই কাজে (হামলায়) তাঁর সহযোগিতা চান। তাঁকে তাঁর মোহাম্মদপুরের বাসায় যেতে বলেন। পরদিন কাজল ওই বাসায় গিয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ওই লোকের সঙ্গে কথা বলেন।

মুফতি হান্নান জানান, হামলার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করতে পরদিন ২০ আগস্ট সকালে একই বাসায় তিনি নিজে, আবু সাইদ, লিটন, কাজল ও আবু বকর (যশোর) আবার বৈঠকে বসেন। কারা কারা হামলায় অংশ নেবে, কাজল তাঁদের তালিকা তৈরি করে বৈঠকে দেখান। বৈঠকে হামলার জন্য অস্ত্র ও টাকা-পয়সার ব্যবস্থা আছে কি না জানতে চাইলে কাজল জানান, গ্রেনেড আছে। টাকার ব্যবস্থাও হবে। ওইদিনই (২০ আগস্ট) কাজল ও আবু জান্দাল বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে গিয়ে এলাকা পর্যবেক্ষণ (রেকি) করে আসেন। ২১ আগস্ট সকালে একই বাসায় উল্লিখিত সবাই এবং হামলায় অংশ নেওয়ার জন্য নির্বাচিতরা একত্রিত হয়। সিদ্ধান্ত হয়, মোট ১২ জন হামলায় অংশ নেবে। এতে কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে কাজল ও আবু জান্দাল। এর পর বাড্ডার ওই বাসায় তাঁরা সবাই একসঙ্গে জোহরের নামাজ পড়ে দুপুরের খাবার খান। তারপর ঘরের ভেতর সবাই বসেন। সেখানে মাওলানা সাইদ জিহাদ বিষয়ক বয়ান করেন। তারপর মুফতি হান্নান হামলার জন্য ১২ জনের হাতে ১৫টি গ্রেনেড দেন। ওই ১২ জনের মধ্যে মুফতি হান্নানের ভাই অভি ছিলেন। জঙ্গি বিপুলও ছিলেন।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২১ আগস্ট আছরের নামাজের সময় সবাই যার যার মতো গিয়ে গোলাপ শাহ মাজারের কাছে মসজিদে একত্র হয়। সেখান থেকে তারা সমাবেশে মঞ্চ হিসেবে ব্যবহৃত ট্রাকটির চারপাশে অবস্থান নেয়। শেখ হাসিনার বক্তব্য শেষ হওয়ার পরপর আবু জান্দাল প্রথম গ্রেনেড ছোড়ে, তারপর অন্যরা একে একে গ্রেনেড ছুড়ে যার যার মতো চলে যায় বলে মুফতি হান্নান বলেছেন।

এ ছাড়া হুজির আরেক নেতা শরিফ শাহেদুল আলম ওরফে বিপুলও (ফাঁসি কার্যকর) স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা সংক্রান্ত তথ্য দেন। বিপুলের ভাষ্যমতে, তিনি ২০০৪ সালের ১৯ আগস্ট ঢাকায় মুফতি হান্নানের বাড্ডার বাসায় গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন। সেখানে তখন হান্নানের ভাই মফিজুর রহমান ওরফে অভি এবং রফিক নামে একজন ছিলেন। তাঁরা ২১ আগস্টের হামলার বিষয়ে পরিকল্পনা করেন। মাগরিবের নামাজের পর দেড় ঘণ্টা আলোচনা হয়। এর পর রাতের ট্রেনেই বিপুল সিলেট চলে আসেন। পরদিন ২০ আগস্ট সকালে অভি ফোনে বিপুলকে বলেন, ‘শেখ হাসিনাকে হালকা নাশতা করাতে হবে।’ হামলার ঘটনার কয়েক দিন পর বিপুল ঢাকায় এলে অভি তাঁর কাছে হামলার কথা স্বীকার করেন।

মামলার আসামি জাহাঙ্গীর আলম আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে জানান, ২১ আগস্ট জোহরের নামাজ ও খাওয়ার পর বাড্ডার একটি বাসা থেকে মুফতি হান্নান তাঁর দলের জঙ্গিদের ডেকে গ্রেনেড দেখান। গ্রেনেড নিক্ষেপের কৌশলও বুঝিয়ে দেন। সেখানে জঙ্গি জাহাঙ্গীর, আহসান উল্লাহ কাজল, আবু জাফর, লিটন, মাসুদ, সবুজ, খলিল, রতন, মুত্তাকিন, মুরসালিনসহ অন্যরা ছিল। মোট ১৫টি গ্রেনেড তাদের দেওয়া হয়। তারা দুজন দুজন করে ভাগ হয়ে জনসভাস্থলে যান। মাসুদ ও জাহাঙ্গীর শেখ হাসিনার বক্তব্য মঞ্চ ট্রাকের সামনে অবস্থান নেন। শেখ হাসিনা বক্তব্য শুরু করলে মাসুদ ট্রাকের পেছনে যান। প্রথম একটি গ্রেনেড বিস্ফোরিত হয়। এর পর জাহাঙ্গীর একটি গ্রেনেড মারেন। অন্যটি ফেলে পালিয়ে যান।

আসামি আবুল কালাম বুলবুলের জবানবন্দি থেকে জানা যায়, প্রথম গ্রেনেডটি আবু জান্দাল মেরেছিল। এর পর সবাই একযোগে গ্রেনেড ছুড়ে মারে। আসামিদের জবানবন্দি থেকে জানা যায়, গ্রেনেড হামলায় প্রচণ্ড বিস্ফোরণের শব্দ হয়। সমাবেশে থাকা মানুষগুলো মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। অনেকে আহত নিহত হয়। আর হামলার পর তারা সমাবেশে উপস্থিত লোকজনের সঙ্গে মিশে গিয়ে পালিয়ে যান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘আমি বিএনপি করি, তবে শেখ হাসিনার আদর্শে বিশ্বাসী’

রেডিট পোস্টের জেরে মধ্যরাতে উত্তাল বুয়েট, ছাত্রকে বহিষ্কারের পর মামলা

সন্তান জন্মের ৪ মাস পর বিয়ের খবর দিলেন জেমস

ড্রাইভিং লাইসেন্সে বিআরটিএর নিয়ন্ত্রণ থাকছে না: উপদেষ্টা ফাওজুল কবির

সেনানিবাসের সাবজেলেই রাখা হবে ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে: কারা মহাপরিদর্শক

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ময়মনসিংহে মর্গে মরদেহের সঙ্গে বিকৃত যৌনাচার, ডোম গ্রেপ্তার

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
গ্রেপ্তার ডোম আবু সাঈদ। ছবি: সংগৃহীত
গ্রেপ্তার ডোম আবু সাঈদ। ছবি: সংগৃহীত

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য রাখা এক তরুণীর মরদেহের সঙ্গে বিকৃত যৌনাচার করার অভিযোগ উঠেছে মর্গের ডোম আবু সাঈদের (১৯) বিরুদ্ধে। মর্গের চিকিৎসক বিষয়টি নিশ্চিত করার পর পুলিশ দ্রুত ডোমকে গ্রেপ্তার করেছে। ওই তরুণী আত্মহত্যা করেছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ঘটনাটি গত সোমবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন চিকিৎসক ও পুলিশ। বিষয়টি জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) আব্দুল্লাহ আল মামুন। হাসপাতাল ও পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, গত সোমবার রাতে ময়নাতদন্তের জন্য ওই তরুণীর মরদেহ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়। পরদিন সকালে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃতদেহের ময়নাতদন্ত শুরু করার সময় অস্বাভাবিক কিছু বিষয় লক্ষ করেন।

সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক পরে জানান, ময়নাতদন্তের সময় তিনি নিশ্চিত হন, মৃতদেহটি মর্গে আসার পর তার ওপর পাশবিক নির্যাতন হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে তিনি সঙ্গে সঙ্গে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশকে জানান।

পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে সন্দেহবশত মর্গের দায়িত্বে থাকা ডোম আবু সাঈদকে (১৯) জিজ্ঞাসাবাদ করে। জেরায় অভিযোগের সত্যতা পেয়ে তাঁকে তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেপ্তার করা হয়।

কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তার করা ডোমের বিরুদ্ধে দ্রুততম সময়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার হওয়া ডোম সাঈদের বাড়ি ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট থানায়।

মেডিকেল কলেজের মর্গের মতো একটি সুরক্ষিত ও সংবেদনশীল স্থানে এমন ঘটনায় হাসপাতালের কর্মী মহল এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। মরদেহের নিরাপদ আশ্রয়স্থল বলে বিবেচিত স্থানে এমন ঘৃণ্য অপরাধ সংঘটিত হওয়ায় অনেকে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, আত্মহত্যার ঘটনায় হালুয়াঘাট থেকে তরুণীর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেলে পাঠানো হয়েছিল। মৃতদেহের সঙ্গে বিকৃত যৌনাচারের খবর পেয়ে দুই ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তকে আটক করা হয়। পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করার পর আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও বলেন, ‘এটি অত্যন্ত ন্যক্কারজনক অপরাধ। আমরা দ্রুততম সময়ে তদন্ত শেষ করে আসামির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করব, যাতে এমন বর্বরতা কেউ আর কখনো করার সাহস না পায়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘আমি বিএনপি করি, তবে শেখ হাসিনার আদর্শে বিশ্বাসী’

রেডিট পোস্টের জেরে মধ্যরাতে উত্তাল বুয়েট, ছাত্রকে বহিষ্কারের পর মামলা

সন্তান জন্মের ৪ মাস পর বিয়ের খবর দিলেন জেমস

ড্রাইভিং লাইসেন্সে বিআরটিএর নিয়ন্ত্রণ থাকছে না: উপদেষ্টা ফাওজুল কবির

সেনানিবাসের সাবজেলেই রাখা হবে ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে: কারা মহাপরিদর্শক

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নিরাপদ সড়ক দিবস: চট্টগ্রামে ৩৯ লাখ টাকার ক্ষতিপূরণ বিতরণ

 নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে নিরাপদ সড়ক দিবস উপলক্ষে শোভাযাত্রা। ছবি: আজকের পত্রিকা
চট্টগ্রামে নিরাপদ সড়ক দিবস উপলক্ষে শোভাযাত্রা। ছবি: আজকের পত্রিকা

‘জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস ২০২৫’ উপলক্ষে আজ বুধবার চট্টগ্রাম নগরীতে বিভিন্ন সচেতনতামূলক কর্মসূচি পালন করা হয়। সকালে একটি বর্ণাঢ্য র‍্যালি চট্টগ্রাম ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশন থেকে শুরু হয়ে সার্কিট হাউসে গিয়ে শেষ হয়। পরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাপক হারে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মৃত্যু নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। পরে চট্টগ্রাম জেলায় সংঘটিত সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ও নিহত ব্যক্তিদের (৯ জন) পরিবারকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ৩৯ লাখ টাকার চেক বিতরণ করা হয় এবং ১৫ জন মোটরসাইকেল লাইসেন্সধারী চালকের মধ্যে বিনা মূল্যে মানসম্মত হেলমেট বিতরণ করা হয়।

এ সময় চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. জিয়া উদ্দিন, সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মো. আসফিকুজ্জামান আকতার, জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম, বিআরটিএর বিভাগীয় পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং) মো. মাসুদ আলম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মাহবুবুল হক, চট্টগ্রাম সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মোসলেহদ্দীন চৌধুরী, হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিওনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কীর্তিমান চাকমা, ডিআইজি কার্যালয়ের পুলিশ সুপার মো. আবছা রহিম, প্রেসক্লাবের সদস্যসচিব জাহিদুল করিম কচি, জেলা বাস-মিনিবাস মালিক গ্রুপের মহাসচিব মোরশেদুল আলম কাদেরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

শেষে নগরীর জিইসি মোড়ে সড়ক নিরাপত্তা ও সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক রোড ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে পথচারী, চালক ও যাত্রীদের মাঝে লিফলেট, স্টিকার ও ব্রোশিয়ার বিতরণ করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘আমি বিএনপি করি, তবে শেখ হাসিনার আদর্শে বিশ্বাসী’

রেডিট পোস্টের জেরে মধ্যরাতে উত্তাল বুয়েট, ছাত্রকে বহিষ্কারের পর মামলা

সন্তান জন্মের ৪ মাস পর বিয়ের খবর দিলেন জেমস

ড্রাইভিং লাইসেন্সে বিআরটিএর নিয়ন্ত্রণ থাকছে না: উপদেষ্টা ফাওজুল কবির

সেনানিবাসের সাবজেলেই রাখা হবে ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে: কারা মহাপরিদর্শক

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রাকসু প্রতিনিধিদের শপথ ২৬ অক্টোবর

রাবি প্রতিনিধি  
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচিতদের শপথ হবে ২৬ অক্টোবর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে।

রাকসু ও সিনেট প্রতিনিধিদের শপথবাক্য পাঠ করাবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও রাকসুর সভাপতি অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব। আর হল সংসদের প্রতিনিধিদের শপথ পড়াবেন সংশ্লিষ্ট হলের প্রাধ্যক্ষ।

আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন রাকসুর কোষাধ্যক্ষ ও প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক সেতাউর রহমান।

সেতাউর রহমান বলেন, ‘রাকসু, হল সংসদ ও সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনে যাঁরা বিজয়ী হয়েছেন, তাঁদের গেজেট আজ প্রকাশ করা হবে। ২৬ অক্টোবর বিকেল সাড়ে ৪টায় সিনেট ভবনে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

বাজেটসংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক সেতাউর রহমান বলেন, প্রতিনিধিরা কত টাকা বরাদ্দ পাবেন, তা এখনো নির্ধারণ হয়নি। সব খরচের হিসাব শেষে অবশিষ্ট অর্থের ওপর নির্ভর করে প্রতিনিধিদের বাজেট নির্ধারণ করা হবে।

এর আগে ১৬ অক্টোবর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘আমি বিএনপি করি, তবে শেখ হাসিনার আদর্শে বিশ্বাসী’

রেডিট পোস্টের জেরে মধ্যরাতে উত্তাল বুয়েট, ছাত্রকে বহিষ্কারের পর মামলা

সন্তান জন্মের ৪ মাস পর বিয়ের খবর দিলেন জেমস

ড্রাইভিং লাইসেন্সে বিআরটিএর নিয়ন্ত্রণ থাকছে না: উপদেষ্টা ফাওজুল কবির

সেনানিবাসের সাবজেলেই রাখা হবে ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে: কারা মহাপরিদর্শক

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কুষ্টিয়ায় জাপার (জাফর) জনসভায় বিএনপি নেত্রীকে গালাগাল, প্রতিবাদে ঝাড়ুমিছিল-ভাঙচুর

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
বক্তব্য দিচ্ছেন জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন। ছবি: সংগৃহীত
বক্তব্য দিচ্ছেন জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন। ছবি: সংগৃহীত

কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলায় জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) একাংশের জনসভায় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ফরিদা ইয়াসমিনকে অশালীন ভাষায় সম্মোধন করে বক্তব্য দিয়েছেন দলটির মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন। এ ছাড়া তিনি জনসভায় স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াত নেতাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও বিষোদগার করেছেন।

৩৬ মিনিটের ওই বক্তব্যের ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনা শুরু হয়। এ ঘটনায় বিএনপি নেত্রী ফরিদা ইয়াসমিনের সমর্থকেরা ঝাড়ুমিছিল করেছেন। এ সময় জাতীয় যুব সংহতির পৌর কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। এর পর থেকে আহসান হাবিব লিংকনের ভেড়ামারার বাড়ির সামনে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

কুষ্টিয়া-২
কুষ্টিয়া-২

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলার আমলা ইউনিয়নের আমলা বাজারে জনসভার আয়োজন করে জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। আমলা ইউনিয়ন সভাপতি বিল্লাল হোসেনের সভাপতিত্বে জনসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন দলটির মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন।

ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ৩২ মিনিট পর শেষের দিকে আহসান হাবিব লিংকন কেন্দ্রীয় বিএনপি নেত্রী ফরিদা ইয়াসমিনের নাম ধরে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেন। এরপরেই তিনি বলেন, ‘...আপনি তারেক রহমানের কাছে সেলিমা রহমানের মাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। আমি নাকি ২০১৮ সালে ভোট বিক্রি করে দিয়েছি।’ এ পর্যায়ে ফরিদা ইয়াসমিনকে অশালীন ভাষায় সম্বোধন করে লিংকন বলেন, ‘আমি যদি ভোট বিক্রি করে দেই, তাহলে সর্বোচ্চ ভোট পেলাম কীভাবে?’

সভায় জাতীয় পার্টির এ নেতা যেসব আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা বা পরোয়ানা নেই, তাঁদের গ্রেপ্তার করা যাবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন। তিনি সংসদে যেতে পারলে তারেক রহমানকে বলে আওয়ামী লীগের ভালো নেতা-কর্মীদের সাধারণ ক্ষমা করে তাঁদের রাজনীতি করার সুযোগ করে দেওয়ার আহ্বান জানাবেন বলে মন্তব্য করেন।

এদিকে অশালীন সম্বোধনের প্রতিবাদ জানিয়ে গতকাল মঙ্গলবার রাতে ভেড়ামারা শহরে মোটরসাইকেল নিয়ে ঝাড়ুমিছিল করেছেন ফরিদা ইয়াসমিনের সমর্থকেরা। তাঁরা আহসান হাবিব লিংকনের অফিস ও বাড়ির সামনে গিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন। এরপরেই লিংকনের বাড়ির সামনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের নিরাপত্তা জোরদার করতে দেখা যায়। এ ঘটনায় রাতে জাতীয় যুব সংহতি ভেড়ামারা পৌর শাখার কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়।

কার্যালয়টি পরিচালনার দায়িত্বে থাকা পৌর শাখার সাধারণ সম্পাদক সুমন বিশ্বাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ফরিদা ইয়াসমিনের সন্ত্রাসী বাহিনী যুব সংহতির অফিস ভাঙচুর করেছে। প্রশাসনের লোকজন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গেছেন। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হবে।

জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মহাসচিবের অশালীন বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বিএনপি নেত্রী ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, ‘একটা পার্টির মহাসচিব তিনি, শিষ্টাচারবহির্ভূত বক্তব্য দিয়েছেন, যা ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। আমি বিষয়টি কেন্দ্রীয় ও জেলার নেতাদের জানিয়েছি। আমি মানহানির মামলা করতে চাই। তিনি মিথ্যাচার করেছেন।’

ফরিদা আরও বলেন, ‘রাতে শুনেছি, বিএনপির নেতা-কর্মীরা ঝাড়ুমিছিল করেছে।’

জানতে চাইলে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সদস্যসচিব প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার বলেন, ‘বিএনপির নেত্রী ফরিদা ইয়াসমিন ওই বক্তব্যের ভিডিও ফুটেজ আমাদের কাছে পাঠিয়েছেন। আমরা সেটা দেখেছি। আহসান হাবিব লিংকন বিএনপির কেউ নন। তিনি বিএনপি নেতা-নেত্রীদের নিয়ে এমন কথা বলতে পারেন না। এ বিষয়ে দল থেকে যতটুকু করার, তা করা হবে।’

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে জানার জন্য ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রব তালুকদারের মোবাইল ফোনে বারবার কল দিলে তিনি কেটে দেন।

প্রসঙ্গত, আহসান হাবিব লিংকন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কুষ্টিয়া জেলার সভাপতি ছিলেন। তিনি জাতীয় পার্টির হয়ে ১৯৮৮ সালের চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০১৪ সালে ২০-দলীয় জোটের শরিক কাজী জাফর আহমেদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়া-২ (ভেড়ামারা-মিরপুর) আসনে ২০-দলীয় জোট প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেন আহসান হাবিব লিংকন। এবারও তিনি জোট থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী। অপর দিকে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ফরিদা ইয়াসমিন একই আসন থেকে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী। তাঁদের দুজনের বাড়ি কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘আমি বিএনপি করি, তবে শেখ হাসিনার আদর্শে বিশ্বাসী’

রেডিট পোস্টের জেরে মধ্যরাতে উত্তাল বুয়েট, ছাত্রকে বহিষ্কারের পর মামলা

সন্তান জন্মের ৪ মাস পর বিয়ের খবর দিলেন জেমস

ড্রাইভিং লাইসেন্সে বিআরটিএর নিয়ন্ত্রণ থাকছে না: উপদেষ্টা ফাওজুল কবির

সেনানিবাসের সাবজেলেই রাখা হবে ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে: কারা মহাপরিদর্শক

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত