Ajker Patrika

পরীমণির বিরুদ্ধে মামলা: প্রতিবেদন দাখিলে দেরি কেন, জানতে চান আদালত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৭ এপ্রিল ২০২৩, ১৮: ১১
পরীমণির বিরুদ্ধে মামলা: প্রতিবেদন দাখিলে দেরি কেন, জানতে চান আদালত

অভিনেত্রী পরীমণির বিরুদ্ধে বোট ক্লাবের পরিচালক নাসির উদ্দিন মাহমুদের মামলার প্রতিবেদন দিতে কেন দেরি জানতে চেয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাবেয়া বেগম এ নির্দেশ দেন।

গত বছরের ৬ জুলাই মারধর, হত্যাচেষ্টা, ভাঙচুর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে অভিনেত্রী পরীমণির বিরুদ্ধে মামলা করেন ঢাকার সাভার অবস্থিত বোট ক্লাবের পরিচালক নাসির উদ্দিন মাহমুদ।

আজ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু তদন্ত সংস্থা সিআইডি প্রতিবেদন দাখিল না করায় নতুন তারিখ ধার্য করেন আদালত। আগামী ১৫ মে তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির এসআই দিলরুবাকে সশরীরে আদালতে হাজির হয়ে বিলম্বের কারণ জানাতে হয়েছে। ওই দিন মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।

এর আগে গত বছর ১৮ জুলাই সিআইডিকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত।

এ মামলায় আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে ১৮ জুলাই আদেশ দেন। মামলায় পরীমণি ছাড়াও তাঁর দুই সহযোগী ফাতেমা তুজ জান্নাত বনি ও জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিমকে আসামি করা হয়।

বাদী মামলায় উল্লেখ করেন, পরীমণি ও তাঁর সহযোগীরা অ্যালকোহলসেবী এবং সুযোগ বুঝে বিভিন্ন নামীদামি ক্লাবে ঢুকে অ্যালকোহল পান করেন এবং পার্সেল নিয়ে মূল্য পরিশোধ করেন না। পরীমণি তাঁর পরিচিত পুলিশ কর্মকর্তাদের দিয়ে মিথ্যা মামলা করে হয়রানির ভয় দেখান।

২০২১ সালের ৯ জুন রাত ১২টার পর আসামিরা সাভারের বোট ক্লাবে ঢুকে দ্বিতীয় তলার ওয়াশরুম ব্যবহার করেন। পরে তাঁরা ক্লাবের ভেতরে বসে অ্যালকোহল পান করেন। বাদী ও তাঁর সহযোগী শাহ শহিদুল আলম রাত সোয়া একটায় যখন ক্লাব ত্যাগ করছিলেন, তখন পরীমণি উদ্দেশ্যমূলকভাবে বাদী নাসিরকে ডাক দেন এবং তাঁদের সঙ্গে কিছু সময় বসার অনুরোধ করেন। একপর্যায়ে পরীমণি অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে নাসিরকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেন এবং একটি ব্লু লেবেল অ্যালকোহলের বোতল বিনা মূল্যে পার্সেল দেওয়ার জন্য বাদীকে চাপ দেন। বাদী এতে রাজি না হওয়ায় পরীমণি গালমন্দ করেন। বাদী এবং আসামিদের মধ্যে বাদানুবাদের একপর্যায়ে পরীমণি বাদীর দিকে একটি সারভিং গ্লাস ছুড়ে মারেন এবং হাতে থাকা মোবাইল ফোনটিও ছুড়ে মারেন। এতে নাসির মাথায় ও বুকে আঘাত পান।

বাদী মামলায় আরও উল্লেখ করেন, এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে পরীমণি সাভার থানায় বাদীসহ দুজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা করেন।

উল্লেখ্য, একই দিনের ঘটনায় পরীমণি বাদী হয়ে নাসিরসহ অন্যদের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা মামলা করেছিলেন। ওই মামলায় শ্লীলতাহানির অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। মামলাটি বর্তমানে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত