Ajker Patrika

পার্বত্য চট্টগ্রামের নেতা রিংরঙ ম্রোর মুক্তি এবং মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি

ঢাবি সংবাদদাতা
ম্রো নেতা রিংরঙ ম্রোর মুক্তি এবং মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ঢাকার আদিবাসী ছাত্র-যুব সংগঠনগুলো। ছবি: আজকের পত্রিকা
ম্রো নেতা রিংরঙ ম্রোর মুক্তি এবং মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ঢাকার আদিবাসী ছাত্র-যুব সংগঠনগুলো। ছবি: আজকের পত্রিকা

বান্দরবানের লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের দায়েরকৃত মামলায় আটক ম্রো নেতা রিংরঙ ম্রোর মুক্তি এবং মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ঢাকার আদিবাসী ছাত্র-যুব সংগঠনগুলো। তাঁরা লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রিকে অবৈধ দাবি করেন এবং শেখ হাসিনার সময়ে রিংরঙ ম্রোর বিরুদ্ধে করা মামলাকে মিথ্যা দাবি করে তা প্রত্যাহারসহ তাঁর মুক্তির দাবি করেন।

আজ রোববার বিকেল সাড়ে ৩টায় রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন তাঁরা। বিক্ষোভ সমাবেশে আন্দোলনকারীদের হাতে দেখা যায়— ‘আদিবাসীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা- প্রত্যাহার করো, ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি- কার্যকর কর’, ‘সাম্প্রদায়িকতা নিপাত যাক- আদিবাসী মুক্তি পাক’ ইত্যাদি প্ল্যাকার্ড।

পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি রেং ইয়ং ম্রো বলেন, ‘লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রি আধিপত্য বিস্তার করে ভূমি দখল করে রেখেছে। কাগজপত্র, ভূমি ব্যবস্থাপনা অনুযায়ী তাঁদের এই দখল অবৈধ। ইজারা নেওয়ার পর থেকে ২৮ বছর তাঁরা কোনো রাবার চাষ করেনি।’

তিনি আরও বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি অনুযায়ী, রাবার চাষের জন্য ভূমি ইজারা নেওয়ার পর ১০ বছর চাষ না হলে ইজারা বাতিল হবে। কিন্তু ২৮ বছর পার হয়ে গেলেও লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রির ইজারা বাতিল করা হয়নি।’

রেং ইয়ং বলেন, ‘রাষ্ট্রপক্ষ পক্ষপাতমূলক আচরণ করেছে। রিংরঙ ম্রো ভূমি রক্ষার আন্দোলনে জড়িত থাকায় তাঁকে সরকার গ্রেপ্তার করেছে। কোনো ওয়ারেন্ট ছাড়ায় এই গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যা খুবই ন্যক্কারজনক। পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে পুলিশের সাধারণ পোশাকে এ ধরনের গ্রেপ্তারের কোনো যৌক্তিকতা নেই।’

তিনি বলেন, ‘প্রশাসন কি রাবার ইন্ডাস্ট্রির কথায় ওঠেন-বসেন? রিংরঙ ম্রোর মিথ্যা মামলা যাচাই-বাছাই ছাড়া তাকে কেন গ্রেপ্তার করলেন? তাঁকে অবিলম্বে মুক্তি না দিলে এবং মামলা প্রত্যাহার না করলে, আমরা আন্দোলন করে যাব। এখনই সাবধান না হলে দেশব্যাপী পাহাড়ি জনগণ প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।’

পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য দীপায়ন খীসা বলেন, ‘ইন্ডাস্ট্রির সন্ত্রাসীরা ম্রোকে তুলে নিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। শেখ হাসিনার সময়েও এই ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে পুলিশের সঙ্গে দহরম-মহরম ছিল। এখনো তা বলবৎ আছে।’

তিনি বলেন, ‘জুলাইয়ের সুফল কি কেবল বাঙালিরা পাবে? আমরা যারা পাহাড়ি তাদের জন্য কি এর সুফলের কোনো ভাগ থাকবে না? অবৈধ ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ না নিলে আমরা বুঝব শেখ হাসিনার চরিত্র আর এই সরকারের চরিত্রের মাঝে কোনো পার্থক্য নেই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত