ফারুক ছিদ্দিক, ঢাবি
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের শিক্ষানবিশ (ইন্টার্ন) চিকিৎসককে মারধরের ঘটনায় এখনো কাউকে শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে এ ঘটনার প্রতিবাদে ঢামেকের ২০০ ইন্টার্ন চিকিৎসক কর্মবিরতি শুরু করেন। দোষীদের বিচারের আওতায় আনা না হলে এ কর্মবিরতি চলমান থাকবে বলেও তাঁরা জানান।
গত সোমবার ডা. এ কে এম সাজ্জাদ হোসেনকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পরিচয় দিয়ে দলবদ্ধ হয়ে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ছয়-সাত জনের বিরুদ্ধে। গত ৮ আগস্ট রাত ১০টায় মারধরের এ ঘটনায় ৯ আগস্ট রাতে শাহবাগ থানায় অজ্ঞাতনামা ছয়-সাতজনের কথা উল্লেখ করে শাহবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হলেও এখনো কাউকে শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। এদিকে যত দিন পর্যন্ত অপরাধীদের শনাক্ত করে বিচারের মুখোমুখি করা না হবে, তত দিন কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছে ঢামেকের ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদ (ইচিপ)।
ইচিপ সভাপতি ডা. মো. মহিউদ্দিন জিলানি বলেন, ‘আমাদের কর্মবিরতি চলমান রয়েছে। এখনো কোন ধরনের অগ্রগতি না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করছি। আগামীকাল (১৩ আগস্ট) আমরা ঢাকা মেডিকেলের পরিচালক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রক্টর এবং পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করব। তাঁদের সাথে আলোচনা করার পরও যদি দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ না দেখি, তাহলে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচির দিকে এগোব।’
প্রসঙ্গত, গত সোমবার (৮ আগস্ট) রাতে শহীদ মিনারে বসেছিলেন ডা. সাজ্জাদ। ঢাবির লোগো সংবলিত টিশার্ট পরা ৬-৭ জনের একটি দল তাঁর কাছে এসে আইডি কার্ড দেখতে চান। কিন্তু তিনি আইডি মেডিকেলে রেখে আসার কথা জানান। এরপরই তাঁকে ব্যাপক মারধর শুরু করেন ওই শিক্ষার্থীরা। তাঁর কান ও নাক থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়।
শহীদ মিনার এলাকা পরিদর্শন ও পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ডা. সাজ্জাদকে যেখানে মারধর করা হয়েছে, সেই এলাকায় কোনো ধরনের সিসিটিভি নেই।
এ বিষয়ে ডা. সাজ্জাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শহীদ মিনার এলাকায় কারা অপরাধের সাথে জড়িত, তা পুলিশের জানার বাইরে নয়। পুলিশ গুরুত্বের সঙ্গে দেখলে এত দিনে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ আমরা দেখতে পেতাম।’
শাহবাগ থানার ওসি (তদন্ত) মো. মাহফুজুল হক ভূঞা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ওই এলাকাটা সিসিটিভির আওতার বাইরে। তারপরও আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজগুলো আমরা দেখেছি। এখনো পর্যন্ত আমরা কাউকে শনাক্ত করতে পারিনি। আমাদের কাজ চলছে। আশা করি দ্রুত অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে পারব।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেও বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। আমরা সার্বিক বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনকে সহযোগিতা করব।’
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘ঘটনাটি খুবই অনাকাঙ্ক্ষিত। কে বা কারা এই অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত তা খুঁজে দেখার জন্য আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর একই সঙ্গে পুলিশ প্রশাসনকে অবহিত করেছি।’
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মওদুত হাওলাদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা বেশ কিছু আলামত সংগ্রহ করেছি। তবে সুনির্দিষ্ট কাউকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। আমাদের তদন্তের কাজ চলছে। দু-এক দিনের মধ্যে আমরা অপরাধীদের শনাক্ত করতে পারব বলে আশা করছি।’
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের শিক্ষানবিশ (ইন্টার্ন) চিকিৎসককে মারধরের ঘটনায় এখনো কাউকে শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে এ ঘটনার প্রতিবাদে ঢামেকের ২০০ ইন্টার্ন চিকিৎসক কর্মবিরতি শুরু করেন। দোষীদের বিচারের আওতায় আনা না হলে এ কর্মবিরতি চলমান থাকবে বলেও তাঁরা জানান।
গত সোমবার ডা. এ কে এম সাজ্জাদ হোসেনকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পরিচয় দিয়ে দলবদ্ধ হয়ে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ছয়-সাত জনের বিরুদ্ধে। গত ৮ আগস্ট রাত ১০টায় মারধরের এ ঘটনায় ৯ আগস্ট রাতে শাহবাগ থানায় অজ্ঞাতনামা ছয়-সাতজনের কথা উল্লেখ করে শাহবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হলেও এখনো কাউকে শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। এদিকে যত দিন পর্যন্ত অপরাধীদের শনাক্ত করে বিচারের মুখোমুখি করা না হবে, তত দিন কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছে ঢামেকের ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদ (ইচিপ)।
ইচিপ সভাপতি ডা. মো. মহিউদ্দিন জিলানি বলেন, ‘আমাদের কর্মবিরতি চলমান রয়েছে। এখনো কোন ধরনের অগ্রগতি না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করছি। আগামীকাল (১৩ আগস্ট) আমরা ঢাকা মেডিকেলের পরিচালক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রক্টর এবং পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করব। তাঁদের সাথে আলোচনা করার পরও যদি দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ না দেখি, তাহলে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচির দিকে এগোব।’
প্রসঙ্গত, গত সোমবার (৮ আগস্ট) রাতে শহীদ মিনারে বসেছিলেন ডা. সাজ্জাদ। ঢাবির লোগো সংবলিত টিশার্ট পরা ৬-৭ জনের একটি দল তাঁর কাছে এসে আইডি কার্ড দেখতে চান। কিন্তু তিনি আইডি মেডিকেলে রেখে আসার কথা জানান। এরপরই তাঁকে ব্যাপক মারধর শুরু করেন ওই শিক্ষার্থীরা। তাঁর কান ও নাক থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়।
শহীদ মিনার এলাকা পরিদর্শন ও পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ডা. সাজ্জাদকে যেখানে মারধর করা হয়েছে, সেই এলাকায় কোনো ধরনের সিসিটিভি নেই।
এ বিষয়ে ডা. সাজ্জাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শহীদ মিনার এলাকায় কারা অপরাধের সাথে জড়িত, তা পুলিশের জানার বাইরে নয়। পুলিশ গুরুত্বের সঙ্গে দেখলে এত দিনে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ আমরা দেখতে পেতাম।’
শাহবাগ থানার ওসি (তদন্ত) মো. মাহফুজুল হক ভূঞা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ওই এলাকাটা সিসিটিভির আওতার বাইরে। তারপরও আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজগুলো আমরা দেখেছি। এখনো পর্যন্ত আমরা কাউকে শনাক্ত করতে পারিনি। আমাদের কাজ চলছে। আশা করি দ্রুত অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে পারব।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেও বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। আমরা সার্বিক বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনকে সহযোগিতা করব।’
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘ঘটনাটি খুবই অনাকাঙ্ক্ষিত। কে বা কারা এই অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত তা খুঁজে দেখার জন্য আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর একই সঙ্গে পুলিশ প্রশাসনকে অবহিত করেছি।’
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মওদুত হাওলাদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা বেশ কিছু আলামত সংগ্রহ করেছি। তবে সুনির্দিষ্ট কাউকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। আমাদের তদন্তের কাজ চলছে। দু-এক দিনের মধ্যে আমরা অপরাধীদের শনাক্ত করতে পারব বলে আশা করছি।’
সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার (৪ মার্চ) সন্ধ্যায় উপজেলার পাথারিয়া ইউনিয়নের শ্রীনাথপুর গ্রামে সংঘর্ষের এই ঘটনা ঘটে।
৪ মিনিট আগেকক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে মোহাম্মদ নুর (২৫) নামের এক রোহিঙ্গা কমিউনিটি নেতাকে (মাঝি) কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার ২০ নম্বর রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে এ ঘটনা ঘটে।
৮ মিনিট আগেরাজধানীর গুলশানের একটি বাড়িতে গতকাল মঙ্গলবার মধ্যরাতে দরজা ভেঙে ঢুকে পড়ে শতাধিক ব্যক্তি। বাড়িটি ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা প্রয়াত এইচ টি ইমামের ছেলে সাবেক সংসদ সদস্য তানভীর ইমামের বলে দাবি করেন তারা। ওই বাড়িতে গণ–অভ্যুত্থানে ছাত্র–জনতা হত্যাকারীরা আশ্রয় নিয়েছে এবং অবৈধ অস্ত্র...
১৪ মিনিট আগে‘মায়ের রক্তচাপ বেড়ে হঠাৎ নাক দিয়ে রক্ত পড়ছিল। উপায় না পেয়ে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকাতে নিয়ে যাই। কারণ মায়ের অবস্থা অনেক খারাপ ছিল। ঢাকার একটি প্রাইভেট হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়। তিন দিন সেখানে চিকিৎসা শেষে আবার মাদারীপুরে আসি। কিন্তু এই চিকিৎসা এখানেই...
৯ ঘণ্টা আগে