Ajker Patrika

মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়কে ঢেলে সাজানোর আহ্বান মহিলা পরিষদের

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৪ জুন ২০২৩, ১৮: ১৮
মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়কে ঢেলে সাজানোর আহ্বান মহিলা পরিষদের

মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ বৃদ্ধি এবং এই মন্ত্রণালয়কে ঢেলে সাজানোর আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। আজ বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘ঘোষিত জাতীয় বাজেটে (২০২৩-২৪) জেন্ডার সংবেদনশীলতা’ বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জেন্ডার বাজেট সম্পূর্ণ নয়। প্রস্তাবিত এ বাজেট নারীর অধিকারের সব দিককে ধারণ করছে বলে মনে করেন না তাঁরা।

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের পক্ষে বাজেটবিষয়ক প্রতিক্রিয়া উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা। তিনি বলেন, ‘জেন্ডার বাজেট নিয়ে আমাদের আরও কাজ করার আছে। জেন্ডার বাজেট প্রতিবেদনে যেভাবে হিসাব দেওয়া হচ্ছে, তা নারীর ক্ষমতায়নে ও নারী-পুরুষের সমতায় কতটা কাজ করছে তা দেখতে হবে। নারী উন্নয়নে অনেক কর্মসূচি নেওয়া হয় যা গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু পরিধি ব্যাপক না। তথ্য আপা, কর্মজীবী নারী হোস্টেলসহ সুনির্দিষ্টভাবে নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নে কাজ করা প্রকল্প চিহ্নিত করে সেগুলোতে বরাদ্দ বাড়াতে হবে।’

স্বাগত বক্তব্যে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু বলেন, ‘জেন্ডার বাজেট নারীর জন্য কোনো থোক বরাদ্দ না। নারী-পুরুষের বৈষম্য কমিয়ে আনতে বরাদ্দকৃত বাজেট কীভাবে ভূমিকা রাখবে সেটাই জেন্ডার সংবেদনশীল বাজেট। জেন্ডার বাজেট সংবেদনশীল করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছে। যার ফলে আমরা ৪৪টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের জেন্ডার বাজেট প্রতিবেদন পেয়েছি।’

সংবাদ সম্মেলনে মডারেটর হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম। তিনি বলেন, ‘জেন্ডার বাজেট সম্পূর্ণ হয়েছে, এটা আমরা বলতে পারি না। জেন্ডার বাজেট নারীর অধিকারের সকল দিককে ধারণ করছে, সেটা আমরা মনে করছি না। জেন্ডার বাজেট প্রতিবেদনে মানদণ্ডের ক্ষেত্রে বাল্যবিয়েকে ধরা হয়নি। শিক্ষাক্ষেত্র থেকে নারীর ঝরে যাওয়াকে দেখানো হয়নি।’ তিনি নারী উন্নয়ন পরিবীক্ষণের জন্য নারীর মর্যাদা কমিশন গঠনের আহ্বান জানান। 

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা জানান, নারীর ক্ষমতায়নের পাশাপাশি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গিতেও পরিবর্তন আনতে হবে। নারী ইউএনওরা যখন প্রত্যন্ত এলাকায় কাজ করতে যান, তখন তাঁদের নারী হিসেবেই দেখা হয়, সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে দেখা হয় না। সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিবর্তন, গৃহকর্মের মূল্যায়ন এবং সম্পদ-সম্পত্তিতে নারীর সমানাধিকার প্রতিষ্ঠা করা প্রকৃতপক্ষে নারীর উন্নয়ন সম্ভব নয়। 

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ মনে করে, বাজেটের কাজ শুরুর এক মাস আগে প্রতিটি প্রকল্পের সঠিক পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন করা দরকার। নারীর ক্ষমতায়নে পরবর্তী বাজেটে আরও সুনির্দিষ্ট কিছু প্রকল্প থাকবে বলে প্রত্যাশা করে সংগঠনটি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দিনাজপুরে হিন্দু নেতাকে অপহরণ করে হত্যা: ভারত সরকার ও বিরোধী দল কংগ্রেসের উদ্বেগ

লুটপাটে শেষ ৫ কোটির প্রকল্প

আজ থেকে ৫০০ টাকায় মিলবে ১০ এমবিপিএস গতির ইন্টারনেট

যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল, বেশির ভাগই ভারতীয়, আছে বাংলাদেশিও

বৃদ্ধের চার বিয়ে, থানায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার জেরার মুখে হাসির রোল

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত