Ajker Patrika

পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণের দরপত্রে অশুভ সমঝোতা: অতিরিক্ত খরচ করে নিম্নমানের বই ছাপার শঙ্কা

রাহুল শর্মা, ঢাকা
আপডেট : ২৮ জুন ২০২৪, ১২: ২৬
পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণের দরপত্রে অশুভ সমঝোতা: অতিরিক্ত খরচ করে নিম্নমানের বই ছাপার শঙ্কা

আগামী শিক্ষাবর্ষের বিনা মূল্যের পাঠ্যবই ছাপানোর কাজ নিজেদের মধ্যে রাখতে এবার ভিন্ন কৌশল নিয়েছে অসাধু মুদ্রণকারীদের চক্র। তারা আগেভাগেই নিজেদের মধ্যে ‘সমঝোতা’ করে দরপত্রে অংশ নিচ্ছে। এ পর্যন্ত যেসব লটের দরপত্র হয়েছে, সেগুলোর কোনোটিতে একটি, কোনোটিতে দুটি, কোনোটিতে তিনটি দরপত্র জমা পড়েছে। যে লটে তিনটি দরপত্র পড়েছে, সেগুলোও একই মালিকের তিন প্রতিষ্ঠানের।

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, এই সমঝোতার কারণে প্রতিযোগিতাহীন দরপত্রে নির্দিষ্ট কিছু প্রতিষ্ঠানই কাজ পাবে। কম দরপত্র জমা পড়ায় জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডও (এনসিটিবি) বাছাই করার সুযোগ পাচ্ছে না। বিনা মূল্যের পাঠ্যবই ছাপানোর দায়িত্ব এনসিটিবির।

আগামী শিক্ষাবর্ষের জন্য এবার প্রথম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় ৩৫ কোটি কপি পাঠ্যবই ছাপানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে এনসিটিবি। এতে খরচ ধরা হয়েছে ১ হাজার ৬৫৯ কোটি ৫৯ লাখ টাকা।

এনসিটিবির সূত্র ও দরপত্রে অংশ নেওয়া কয়েকটি মুদ্রণ প্রতিষ্ঠানের সূত্র বলেছে, গত কয়েক বছর সরকারি দরের চেয়ে অনেক কম দর দিয়ে কাজ বাগিয়ে নেওয়া হয়েছিল। তবে এবার দর দেওয়া হয়েছে প্রাক্কলিত দরের সামান্য কম। ফলে আগেরবারের চেয়ে দর বেশি দেওয়ায় এবার বই ছাপাতে ­সরকারের খরচ বাড়বে। এর পরও গত কয়েক বছরের মতো এবারও যে বইয়ের নিম্নমানের অভিযোগ উঠবে না, সেই নিশ্চয়তা এখনো নেই।

গত বছর পর্যন্ত এনসিটিবি প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত বিনা মূল্যের পাঠ্যবই ছেপেছে। নতুন শিক্ষাক্রমের কারণে এবার দশম শ্রেণির জন্যও নতুন বই ছাপানো হবে। এবার মোট ৮১৪ লটে বই ছাপানো হবে। এর মধ্যে গত মঙ্গল ও বুধবার ২৯৮ লটের দরপত্র খোলাও হয়েছে। এগুলোর মধ্যে মঙ্গলবার ষষ্ঠ শ্রেণির ১০০ ও সপ্তম শ্রেণির ১০০ লটের এবং বুধবার প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণির বই ছাপানোর ৯৮ লটের দরপত্র খোলা হয়। বাকি লটগুলোর দরপত্র পর্যায়ক্রমে আহ্বান করে খোলা হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, আগের বছরগুলোতে একেকটি লটে কমপক্ষে ১৪-১৫টি দরপত্র জমা পড়লেও এবার এ পর্যন্ত অধিকাংশ লটেই একটি বা দুটি দরপত্র জমা পড়েছে। কোনো কোনোটিতে তিনটি। তবে যেসব লটে একাধিক দরপত্র পড়েছে, সেগুলোর বেশির ভাগ দরদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো একই মালিকের। ফলে প্রতিযোগিতা থাকছে না। বিভিন্ন পর্যায়ে অনুমোদন শেষে এসব প্রতিষ্ঠানকেই কার্যাদেশ দিতে হবে এনসিটিবিকে। বলতে গেলে ঘুরেফিরে একই চক্র পাচ্ছে বই ছাপানোর কাজ।

এনসিটিবির একটি সূত্র জানায়, এবার দরপত্র খোলার পর বোঝা গেছে সরকারের প্রাক্কলিত দর অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো দরপত্র জমা দেওয়ার আগেই জেনে গেছে। এনসিটিবির সংশ্লিষ্ট কিছু অসাধু কর্মকর্তা এটি ফাঁস করেছেন। এ ছাড়া দরপত্র খোলার তারিখও পরিবর্তন করা হয়েছে। এতে সহায়তার অভিযোগ উঠেছে এনসিটিবির তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। তাঁদের একজন বর্তমানে এনসিটিবিতে নেই।

এনসিটিবির সূত্র জানায়, গত কয়েক বছর বই ছাপার দরপত্রে ব্যাপক প্রতিযোগিতা ছিল। এ জন্য অনেক মুদ্রণকারী প্রাক্কলিত দরের চেয়ে ২০ থেকে ৪০ শতাংশ কম দর দিয়েও কাজ নিয়েছিলেন। এতে গত বছর এনসিটিবির সাশ্রয় হয় প্রায় ১০০ কোটি টাকা। তবে ছাপা হওয়া অধিকাংশ বই নিম্নমানের হওয়ায় ব্যাপক সমালোচনাও হয়েছিল। 
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক মুদ্রণকারী জানান, গত মঙ্গল ও বুধবার যেসব লটের দরপত্র খোলা হয়েছে, সেগুলোতে প্রতিযোগিতা ছাড়াই অধিকাংশ কাজ পাচ্ছে নিজেদের মধ্যে সমঝোতাকারী কয়েকটি মুদ্রণ প্রতিষ্ঠান। সবই সিন্ডিকেটের কারসাজি।

দরপত্রের বিষয়ে জানতে চাইলে এনসিটিবির সদস্য (পাঠ্যপুস্তক) অধ্যাপক মো. সাইদুর রহমান কোনো মন্তব্য করতে অপারগতা জানান। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, এবার বড় কয়েকটি মুদ্রণ প্রতিষ্ঠান দফায় দফায় বৈঠক করে ঠিক করেছে কে কোন লটের দরপত্র জমা দেবে। পরের লটগুলোতেও একই কৌশল নেওয়া হতে পারে।

সরকার ২০১০ সাল থেকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের বিনা মূল্যে নতুন বই দিচ্ছে। আগামী শিক্ষাবর্ষের জন্য যে ৩৫ কোটি কপি পাঠ্যবই ছাপানো হবে, তার মধ্যে প্রাক্‌-প্রাথমিক থেকে প্রাথমিক স্তরের বই ৯ কোটি ১৫ লাখ ৫৬ হাজার এবং ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির ১৫ কোটি ১১ লাখ ৯৫ হাজার ৬৪৬ কপি বই। বাকিগুলো নবম ও দশম শ্রেণির। এই দুই শ্রেণির বইয়ের সংখ্যা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। এসব বই ছাপার কাজের দরপত্র ডাকা হয় লটভিত্তিক। 

ব্যয় বাড়ছে ২০০ কোটি টাকা 
আগামী শিক্ষাবর্ষের জন্য বিনা মূল্যের পাঠ্যবই ছাপাতে খরচ ধরা হয়েছে ১ হাজার ৬৫৯ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। এর মধ্যে মাধ্যমিকের জন্য ১ হাজার ২২৩ কোটি ৪২ লাখ টাকা এবং প্রাথমিকের জন্য ৪৩৬ কোটি ১৭ লাখ টাকা। গত বছর মাধ্যমিকে ব্যয় ধরা হয়েছিল ১ হাজার ২ কোটি টাকা এবং প্রাথমিকে ৪৪০ কোটি টাকা। এই হিসাবে এবার বই ছাপার খরচ বাড়ছে ২০০ কোটি টাকার বেশি।

সার্বিক বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে এনসিটিবির চেয়ারম্যান (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী এবার দশম শ্রেণির পাঠ্যবই ছাপাতে হবে বলে ছাপার খরচ বাড়বে। সবকিছুই নিয়ম অনুযায়ী স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন করা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাশিয়ার জব্দ ১৬২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ইউক্রেনের জন্য কোথা থেকে অস্ত্র কেনা হবে, তা নিয়ে বিভক্ত ইইউ

প্রধান উপদেষ্টাকে সাংবিধানিক আদেশ জারির প্রস্তাব আবেগতাড়িত, রাষ্ট্র আবেগের ওপর চলে না: সালাহউদ্দিন

‎টঙ্গী থেকে নিখোঁজ ইমামকে পঞ্চগড়ে উদ্ধার

আসামিদের কোনো অনুশোচনা নেই, উল্টো সেনাবাহিনীকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উসকে দিয়েছে: চিফ প্রসিকিউটর

বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগদানের ঘোষণা কিশোরগঞ্জের আইনজীবীর, ফেসবুকে ঝড়

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চট্টগ্রাম বন্দরে যৌথ অগ্নিনির্বাপণ মহড়া

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম বন্দরে অগ্নিনির্বাপণ মহড়া। ছবি: সংগৃহীত
চট্টগ্রাম বন্দরে অগ্নিনির্বাপণ মহড়া। ছবি: সংগৃহীত

নিরাপত্তা, সুরক্ষা ও জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ সংরক্ষিত এলাকা ও নদীতে যৌথ অগ্নিনির্বাপণ মহড়া চালিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) সকালে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামানের নির্দেশনায় এবং সদস্য (হারবার ও মেরিন) কমোডর আহমেদ আমিন আব্দুল্লাহর তত্ত্বাবধানে এ মহড়া অনুষ্ঠিত হয়।

মহড়ায় অংশ নিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের ফায়ার ফাইটিং ইউনিট, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বিএনএস ঈসা খানের ফায়ার টিম, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের অগ্নিনির্বাপণকারী দল এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পোর্ট ইউনিট।

মহড়ার প্রথম পর্যায়ে খোলা আগুন থেকে রাসায়নিকবাহী একটি কনটেইনারে অগ্নিকাণ্ডের অনুকল্পে ফায়ার ইউনিটগুলো দ্রুত পানি ও ফোম প্রয়োগের মাধ্যমে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। দ্বিতীয় পর্যায়ে জেটিতে অবস্থানরত একটি জাহাজে অগ্নিকাণ্ডের অনুকল্পে মহড়া পরিচালিত হয়।

এতে অংশ নেয় পোর্ট ফায়ার সার্ভিস ইউনিট, বিএনএস ঈসা খানের ফায়ার টিম, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স পোর্ট ইউনিট এবং বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের অগ্নিনির্বাপণে সক্ষম টাগবোট। সব ইউনিটের সমন্বিত প্রচেষ্টায় অল্প সময়ের মধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

মহড়ায় অফিসার ইনচার্জের দায়িত্ব পালন করেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের উপপরিচালক (নিরাপত্তা-প্রশাসন) ও পিএফএসও লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সৈয়দ সাজ্জাদুর রহমান। উপস্থিত ছিলেন উপপরিচালক (নিরাপত্তা-অপারেশন) মেজর আনিস-উজ-জামান, বিএনএস ঈসা খানের ফায়ার টিমের পক্ষ থেকে লে. ইয়াসমিন, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স পোর্ট ইউনিটের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মোনেম বিল্লাহ এবং পোর্ট ফায়ার শাখার কর্মকর্তা খলিলুর রহমান

মহড়া শেষে কর্মকর্তারা অংশগ্রহণকারীদের ধন্যবাদ জানান এবং বন্দর এলাকায় অগ্নিনিরাপত্তা, দ্রুত প্রতিক্রিয়া, ঝুঁকি মূল্যায়ন ও আন্তপ্রাতিষ্ঠানিক সমন্বয় বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাশিয়ার জব্দ ১৬২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ইউক্রেনের জন্য কোথা থেকে অস্ত্র কেনা হবে, তা নিয়ে বিভক্ত ইইউ

প্রধান উপদেষ্টাকে সাংবিধানিক আদেশ জারির প্রস্তাব আবেগতাড়িত, রাষ্ট্র আবেগের ওপর চলে না: সালাহউদ্দিন

‎টঙ্গী থেকে নিখোঁজ ইমামকে পঞ্চগড়ে উদ্ধার

আসামিদের কোনো অনুশোচনা নেই, উল্টো সেনাবাহিনীকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উসকে দিয়েছে: চিফ প্রসিকিউটর

বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগদানের ঘোষণা কিশোরগঞ্জের আইনজীবীর, ফেসবুকে ঝড়

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সংস্কারবিরোধী জোট ভাঙতে পরিকল্পিত উদ্যোগ নিতে হবে: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট  
সিপিডির ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। ছবি: আজকের পত্রিকা
সিপিডির ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। ছবি: আজকের পত্রিকা

সংস্কারবিরোধী জোট ভাঙতে পরিকল্পিত উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলেছেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ-সিপিডির ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।

আজ বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে সিলেট নগরে নাগরিক প্ল্যাটফর্মের প্রাক-নির্বাচনী উদ্যোগে আয়োজিত আঞ্চলিক পরামর্শ সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়তে এবং দেশকে মধ্যম আয়ের স্তরে এগিয়ে নিতে হলে সংস্কার অপরিহার্য। সংস্কারবিরোধী যে জোট তৈরি হয়েছিল, সেটি ভাঙতে হলে পরিকল্পিত উদ্যোগ নিতে হবে।

দেবপ্রিয় আরও বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, রাজনীতিবিদেরা বিষয়টি উপলব্ধি করবেন এবং তাঁদের ইশতেহারে প্রতিফলন ঘটনাবেন। তবে এই সরকার একা সব করতে পারবে না, আগামী দিনের সরকারকেও এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে।’

ড. দেবপ্রিয় বলেন, আগামী দিনের ইশতেহারে সেই প্রতিশ্রুতিগুলোকে স্থান দেওয়া প্রয়োজন, যার ধারাবাহিকতা নতুন সরকার রক্ষা করবে।

এই অর্থনীতিবিদ বলেন, সরকারকে স্পষ্ট করতে হবে, কতটুকু সংস্কার তারা করতে পেরেছে; বাকি মেয়াদে কতটা সম্পন্ন করতে পারবে। এর আলোকে অসম্পূর্ণ কাজগুলো এগিয়ে যাওয়ার বিষয়েও ইশতেহারে স্পষ্ট নির্দেশনা থাকতে হবে।

এর আগে মুক্ত আলোচনা পর্বে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপিসহ রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাশিয়ার জব্দ ১৬২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ইউক্রেনের জন্য কোথা থেকে অস্ত্র কেনা হবে, তা নিয়ে বিভক্ত ইইউ

প্রধান উপদেষ্টাকে সাংবিধানিক আদেশ জারির প্রস্তাব আবেগতাড়িত, রাষ্ট্র আবেগের ওপর চলে না: সালাহউদ্দিন

‎টঙ্গী থেকে নিখোঁজ ইমামকে পঞ্চগড়ে উদ্ধার

আসামিদের কোনো অনুশোচনা নেই, উল্টো সেনাবাহিনীকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উসকে দিয়েছে: চিফ প্রসিকিউটর

বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগদানের ঘোষণা কিশোরগঞ্জের আইনজীবীর, ফেসবুকে ঝড়

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের দেড় মাস পর ২৫ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) প্রশাসন।

সংঘর্ষের ঘটনায় ৪ শিক্ষার্থীকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার এবং ২১ শিক্ষার্থীকে তাদের অভিভাবকদের উপস্থিতিতে মুচলেকা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রাহাত হোসাইন ফয়সাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেছেন, ১১ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় ২৫ শিক্ষার্থীর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। এরপর অ্যাজেন্ডা রেজল্যুশন আকারে অনুমোদন শেষে বৃহস্পতিবার তা সার্কুলেশন হয়েছে।

বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের মো. শাওন শেখ ও সাজ্জাদ হোসেন, মার্কেটিং বিভাগের শাহারিয়ার শাওন এবং অ্যাকাউন্টিং বিভাগের তরিকুল ইসলাম নয়ন।

এর মধ্যে শাওন শেখ ও সাজ্জাদ হোসেনকে ছয় মাস বা এক সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার, তরিকুল ইসলাম নয়নকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার বা ৪০ হাজার টাকা জরিমানা এবং শাহারিয়ার শাওনকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার বা ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এ ছাড়া মার্কেটিং বিভাগের ১০ জন এবং অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের ১১ শিক্ষার্থীকে তাঁদের অভিভাবকসহ আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে প্রক্টরের কাছে হাজির হয়ে মুচলেকা জমা দিতে বলা হয়েছে।

প্রক্টর ড. রাহাত বলেন, গত ১২ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন মাঠে এ সংঘর্ষ হয়েছিল। ওই সংঘর্ষের পর বিষয়টি সিন্ডিকেট পর্যন্ত গড়ায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাশিয়ার জব্দ ১৬২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ইউক্রেনের জন্য কোথা থেকে অস্ত্র কেনা হবে, তা নিয়ে বিভক্ত ইইউ

প্রধান উপদেষ্টাকে সাংবিধানিক আদেশ জারির প্রস্তাব আবেগতাড়িত, রাষ্ট্র আবেগের ওপর চলে না: সালাহউদ্দিন

‎টঙ্গী থেকে নিখোঁজ ইমামকে পঞ্চগড়ে উদ্ধার

আসামিদের কোনো অনুশোচনা নেই, উল্টো সেনাবাহিনীকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উসকে দিয়েছে: চিফ প্রসিকিউটর

বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগদানের ঘোষণা কিশোরগঞ্জের আইনজীবীর, ফেসবুকে ঝড়

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিজিবির ‘মেঘলা’ ধরে ফেলল ২০ লিটার চোলাই মদ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং এলাকায় ইজিবাইকে ২০ লিটার দেশীয় চোলাই মদ শনাক্ত করে বিজিবির কুকুর ‘মেঘলা’। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং এলাকায় ইজিবাইকে ২০ লিটার দেশীয় চোলাই মদ শনাক্ত করে বিজিবির কুকুর ‘মেঘলা’। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের (বিজিবি) প্রশিক্ষিত কে-নাইন কুকুর ‘মেঘলা’র সূক্ষ্ম ঘ্রাণশক্তি ও দক্ষতায় আবারও ধরা পড়ল মাদক পাচার চক্র। আজ বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) দমদমিয়া চেকপোস্টে নিয়মিত তল্লাশির সময় হোয়াইক্যং থেকে টেকনাফগামী একটি ইজিবাইক থেকে ২০ লিটার দেশীয় চোলাই মদ উদ্ধার ও দুই পাচারকারীকে আটক করে।

বিজিবি জানায়, তল্লাশির একপর্যায়ে কুকুর মেঘলা ইজিবাইকের যাত্রী ও যানটির নিচের অংশে মাদকের উপস্থিতির ইঙ্গিত দেয়। এরপর বিজিবি সদস্যরা বাইকের পেছনের সিটের নিচে বিশেষভাবে লুকানো পানির বোতলের ভেতর থেকে চোলাই মদ উদ্ধার করেন। ঘটনাস্থলেই মদ বহনকারী মো. আবুল হাশেম (৩৬) ও তাঁর সহযোগী ইজিবাইকচালক মো. কালা মিয়াকে (৩২) আটক করা হয়।

আটক দুজনের বাড়ি কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং এলাকায়। জব্দকৃত মদ, ইজিবাইক এবং আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়েরের পর টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

বিজিবি টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আশিকুর রহমান বলেন, ‘ডগ মেঘলা নিয়মিত অভিযানগুলোতে আমাদের চোখের আড়ালে থাকা মাদক খুঁজে বের করতে অসাধারণ ভূমিকা রাখছে। সীমান্তে মাদক পাচার রোধে এই প্রশিক্ষিত কুকুরের ভূমিকা এখন বিজিবির বড় শক্তি।’

দেশের সীমান্ত নিরাপত্তা ও মাদকমুক্ত সমাজ গড়ার লক্ষ্যে বিজিবি সদস্যদের পাশাপাশি মেঘলার মতো কে-নাইন টিমও প্রতিনিয়ত অবদান রাখছে বলে বিজিবি জানায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাশিয়ার জব্দ ১৬২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ইউক্রেনের জন্য কোথা থেকে অস্ত্র কেনা হবে, তা নিয়ে বিভক্ত ইইউ

প্রধান উপদেষ্টাকে সাংবিধানিক আদেশ জারির প্রস্তাব আবেগতাড়িত, রাষ্ট্র আবেগের ওপর চলে না: সালাহউদ্দিন

‎টঙ্গী থেকে নিখোঁজ ইমামকে পঞ্চগড়ে উদ্ধার

আসামিদের কোনো অনুশোচনা নেই, উল্টো সেনাবাহিনীকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উসকে দিয়েছে: চিফ প্রসিকিউটর

বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগদানের ঘোষণা কিশোরগঞ্জের আইনজীবীর, ফেসবুকে ঝড়

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত