নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বেড়িবাঁধের রাস্তায় বাস ও ট্রাকের দীর্ঘ লাইন। তবে মোহাম্মদপুর থেকে পল্টন পর্যন্ত রাস্তা ধরে যে যাত্রা দুই দিন আগেও জনজীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলেছিল সেই রাস্তা এখন মোটামুটি ফাঁকা। বৃহস্পতিবার দুপুরে মোহাম্মদপুর থেকে প্রেসক্লাবের দিকে যাবেন রাকিন আহমেদ। রাকিন জানালেন, বাসে উঠে গন্তব্যে পৌঁছাতে তাঁর সময় লেগেছে আধাঘণ্টা। তিনি বলেন, ‘সকালে মোহাম্মদপুরেই যে জ্যামটা থাকে সংকর পর্যন্ত পৌঁছাতেই মোটামুটি এক ঘণ্টা লেগে যেত। আস্তে আস্তে সবাই ঢাকা ছাড়ছে। ফাঁকা ঢাকা ভালোই লাগে।’
শাহবাগ থেকে ফার্মগেটের দিকে যাওয়ার রাস্তায়ও তেমন যানজটের সম্মুখীন হতে হচ্ছে না বলে জানালেন যাত্রী নাজিমুদ্দিন। তিনি বলেন, আমি শাহবাগ থেকে ফার্মগেটের বাসে রওনা দিয়ে অনেক কম সময়েই পৌঁছাতে পেরেছি। অন্যান্য দিনের তুলনায় এটা অনেক কম সময়। রাস্তার দূরত্ব অনেক কম কিন্তু এই কারওয়ান বাজারেই জ্যামে আটকে থাকতে হতো আধাঘণ্টা। কখনো কখনো পঁয়তাল্লিশ মিনিটও পার হয়ে যেত।
তবে বাস সার্ভিস নিয়ে যাত্রীদের মধ্যে কিছুটা বিরক্তি থাকছেই। বাস না ভরে ওঠা পর্যন্ত বাস দাঁড়িয়ে থাকছে স্টপেজে। মুনিয়া চৌধুরী জানান, রাস্তা ফাঁকা থাকলে আর এক যন্ত্রণা— বাসে দাঁড়িয়ে থাকা। যাত্রী ধরার জন্য বাসগুলো দাঁড়িয়েই থাকে, নড়ে না। এ জন্য অনেক সময় নষ্ট হয় আমাদের। তার ওপরে যে গরম! মুনিয়া জানালেন, তিনি বাংলামোটর থেকে ওঠার পর তাঁর গন্তব্যের বাসটি মৌচাকে বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিল।
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড় বাড়তে থাকে শপিংগামী মানুষের। বিভিন্ন শপিংমল ও মার্কেটের আশপাশে কিছুটা ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। যারা এখনো ঢাকা ত্যাগ করেননি তারা শেষ মুহূর্তের শপিং সেরে নিচ্ছেন। অনেকেই বেতনের কারণে দেরিতে কেনাকাটা শুরু করেছেন। তবে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টের ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে কথা বললে তাঁরা জানান, এখন তেমন একটা জ্যাম নেই রাস্তায়। যা আছে তা খুব স্বাভাবিক। তবে ইফতারের আগে বাড়ি ফেরা মানুষের একটা চাপ থাকে। তখন কিছুটা কষ্টকর হয়ে ওঠে জ্যাম সামলানো।
শপিংমলে ভিড়ও কমেছে অনেকটা। চন্দ্রিমা মার্কেটের গজ কাপড় বিক্রেতা মোমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আর বেচাকেনা নাই। এখন লোক নাই মার্কেটে। যাদের কেনাকাটা বাকি আছে, এখন সবাই বানানো জামা কিনবেন।’
তবে মেয়েদের প্রসাধনীর দোকানগুলোতে পা রাখার জায়গা নেই। সেখানে দীর্ঘ লাইনে ক্রেতারা পছন্দ করছেন তাঁদের প্রসাধনী। শাম্মি আক্তার বলেন, ‘ঈদের জামা কেনা শেষ এখন ম্যাচিং কানের গলার জিনিস কিনছি। আগামীকাল বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিব।’
দাম নিয়ে ক্রেতারা নাখোশ হলেও বিক্রি মোটামুটি ভালোই হয়েছে বলে জানান বিক্রেতারা।
শ্যামলীর রাস্তায় সকালে খুব একটা জ্যাম না থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই রাস্তায়ও ভিড় করেছেন যাত্রীরা। শ্যামলী স্কয়ারের কাপড় বিক্রেতা গিয়াসউদ্দিন আজম জানালেন, বেচাকেনা আরও দুই তিন দিন আগেই মোটামুটি শেষ। এখন খুব একটা বিক্রি নেই। এখন যারা আছেন তাঁরা ঢাকায় ঈদ করবেন। এ বিক্রেতা বলেন, ‘যানজট ও দৈনন্দিন জিনিসের দাম বাড়ার কারণে বেচাকেনায় অনেক বড় একটা প্রভাব পড়েছে। খুব খারাপ বলব না, মোটামুটি বিক্রি হয়েছে। তবে করোনায় যে আর্থিক সংকট হয়েছে সেটা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়নি।’
এদিকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিমানবন্দর রেলস্টশনে গিয়ে দেখা যায়, ঘরমুখী মানুষের উপচে পড়া ভিড়। লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনে তিল ধারণের ঠাঁই নেই। জায়গা না হওয়ায় অনেকেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছাদে উঠেছেন। যদি ছাদে যাত্রী নেওয়ার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা আছে।
বেড়িবাঁধের রাস্তায় বাস ও ট্রাকের দীর্ঘ লাইন। তবে মোহাম্মদপুর থেকে পল্টন পর্যন্ত রাস্তা ধরে যে যাত্রা দুই দিন আগেও জনজীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলেছিল সেই রাস্তা এখন মোটামুটি ফাঁকা। বৃহস্পতিবার দুপুরে মোহাম্মদপুর থেকে প্রেসক্লাবের দিকে যাবেন রাকিন আহমেদ। রাকিন জানালেন, বাসে উঠে গন্তব্যে পৌঁছাতে তাঁর সময় লেগেছে আধাঘণ্টা। তিনি বলেন, ‘সকালে মোহাম্মদপুরেই যে জ্যামটা থাকে সংকর পর্যন্ত পৌঁছাতেই মোটামুটি এক ঘণ্টা লেগে যেত। আস্তে আস্তে সবাই ঢাকা ছাড়ছে। ফাঁকা ঢাকা ভালোই লাগে।’
শাহবাগ থেকে ফার্মগেটের দিকে যাওয়ার রাস্তায়ও তেমন যানজটের সম্মুখীন হতে হচ্ছে না বলে জানালেন যাত্রী নাজিমুদ্দিন। তিনি বলেন, আমি শাহবাগ থেকে ফার্মগেটের বাসে রওনা দিয়ে অনেক কম সময়েই পৌঁছাতে পেরেছি। অন্যান্য দিনের তুলনায় এটা অনেক কম সময়। রাস্তার দূরত্ব অনেক কম কিন্তু এই কারওয়ান বাজারেই জ্যামে আটকে থাকতে হতো আধাঘণ্টা। কখনো কখনো পঁয়তাল্লিশ মিনিটও পার হয়ে যেত।
তবে বাস সার্ভিস নিয়ে যাত্রীদের মধ্যে কিছুটা বিরক্তি থাকছেই। বাস না ভরে ওঠা পর্যন্ত বাস দাঁড়িয়ে থাকছে স্টপেজে। মুনিয়া চৌধুরী জানান, রাস্তা ফাঁকা থাকলে আর এক যন্ত্রণা— বাসে দাঁড়িয়ে থাকা। যাত্রী ধরার জন্য বাসগুলো দাঁড়িয়েই থাকে, নড়ে না। এ জন্য অনেক সময় নষ্ট হয় আমাদের। তার ওপরে যে গরম! মুনিয়া জানালেন, তিনি বাংলামোটর থেকে ওঠার পর তাঁর গন্তব্যের বাসটি মৌচাকে বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিল।
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড় বাড়তে থাকে শপিংগামী মানুষের। বিভিন্ন শপিংমল ও মার্কেটের আশপাশে কিছুটা ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। যারা এখনো ঢাকা ত্যাগ করেননি তারা শেষ মুহূর্তের শপিং সেরে নিচ্ছেন। অনেকেই বেতনের কারণে দেরিতে কেনাকাটা শুরু করেছেন। তবে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টের ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে কথা বললে তাঁরা জানান, এখন তেমন একটা জ্যাম নেই রাস্তায়। যা আছে তা খুব স্বাভাবিক। তবে ইফতারের আগে বাড়ি ফেরা মানুষের একটা চাপ থাকে। তখন কিছুটা কষ্টকর হয়ে ওঠে জ্যাম সামলানো।
শপিংমলে ভিড়ও কমেছে অনেকটা। চন্দ্রিমা মার্কেটের গজ কাপড় বিক্রেতা মোমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আর বেচাকেনা নাই। এখন লোক নাই মার্কেটে। যাদের কেনাকাটা বাকি আছে, এখন সবাই বানানো জামা কিনবেন।’
তবে মেয়েদের প্রসাধনীর দোকানগুলোতে পা রাখার জায়গা নেই। সেখানে দীর্ঘ লাইনে ক্রেতারা পছন্দ করছেন তাঁদের প্রসাধনী। শাম্মি আক্তার বলেন, ‘ঈদের জামা কেনা শেষ এখন ম্যাচিং কানের গলার জিনিস কিনছি। আগামীকাল বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিব।’
দাম নিয়ে ক্রেতারা নাখোশ হলেও বিক্রি মোটামুটি ভালোই হয়েছে বলে জানান বিক্রেতারা।
শ্যামলীর রাস্তায় সকালে খুব একটা জ্যাম না থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই রাস্তায়ও ভিড় করেছেন যাত্রীরা। শ্যামলী স্কয়ারের কাপড় বিক্রেতা গিয়াসউদ্দিন আজম জানালেন, বেচাকেনা আরও দুই তিন দিন আগেই মোটামুটি শেষ। এখন খুব একটা বিক্রি নেই। এখন যারা আছেন তাঁরা ঢাকায় ঈদ করবেন। এ বিক্রেতা বলেন, ‘যানজট ও দৈনন্দিন জিনিসের দাম বাড়ার কারণে বেচাকেনায় অনেক বড় একটা প্রভাব পড়েছে। খুব খারাপ বলব না, মোটামুটি বিক্রি হয়েছে। তবে করোনায় যে আর্থিক সংকট হয়েছে সেটা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়নি।’
এদিকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিমানবন্দর রেলস্টশনে গিয়ে দেখা যায়, ঘরমুখী মানুষের উপচে পড়া ভিড়। লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনে তিল ধারণের ঠাঁই নেই। জায়গা না হওয়ায় অনেকেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছাদে উঠেছেন। যদি ছাদে যাত্রী নেওয়ার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা আছে।
জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের লড়াই ও সংগ্রামের মধ্য দিয়ে পাওয়া স্বাধীনতাকে সমুন্নত রাখতে সম্মিলিত প্রচেষ্টার প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন বক্তারা। শুক্রবার (১ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে ইসফেন্দিয়ার জাহিদ হাসান মিলনায়তনে জুলাই অভ্যুত্থানে কালচারাল ফ্রন্ট লেখক, শিল্পী, শিক্ষক, সাংবাদিকের
২ ঘণ্টা আগে‘ডিজে পার্টি’তে যাওয়ার পথে নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার ধানাইদহ ও আশপাশের কয়েকটি এলাকার ৫৭ কিশোরকে আটক করেছে সেনাবাহিনী। শুক্রবার (১ আগস্ট) বেলা ১১টায় জেলার গুরুদাসপুরের খুবজিপুর এলাকা থেকে ওই কিশোরদের আটক করা হয়। পরে তাদের গুরুদাসপুর থানা-পুলিশের কাছে তুলে দেওয়া হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেখুলনায় দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে মনোয়ার হোসেন টগর (২৭) নামের এক যুবক খুন হয়েছেন। আজ শুক্রবার রাত সোয়া ৯টার দিকে সোনাডাঙ্গা থানাধীন সবুজবাগ এলাকায় হামলার এ ঘটনা ঘটে। নিহত টগর ওই এলাকার বাসিন্দা জামাল হাওলাদারের ছেলে। মসজিদের পাশে নিজের বাড়িতে তাঁকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
৩ ঘণ্টা আগেপিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলায় পেয়ারাবাগান ও ভাসমান হাটে ঘুরতে আসা যুবকদের নৌকা থেকে লাউড স্পিকার (সাউন্ডবক্স) জব্দ করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। উপজেলার ঐতিহ্যবাহী পেয়ারার হাট ও বাগানে বেড়াতে এসে কেউ যেন লাউড স্পিকারে গানবাজনা চালিয়ে পরিবেশের ক্ষতি না করেন, সে জন্য সবাইকে সতর্ক করেন আদালত।
৩ ঘণ্টা আগে