Ajker Patrika

গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে ‘এসটিআই’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
Thumbnail image

টেকসই উন্নয়নে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ব্যবহারের পাশাপাশি উদ্ভাবনী শক্তি বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছেন বিশিষ্টজনেরা। তাঁরা বলেছেন, টেকসই উন্নয়নের চাবিকাঠি হলো বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি। এই দুই অনুষঙ্গের ব্যবহার যত বাড়বে, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা বাংলাদেশের জন্য তত সহজ হবে। 

আজ শনিবার গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এর পূর্বাচল আমেরিকান সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাসে ‘সাসটেইনেবল টেকনোলজিস ফর ইন্ডাস্ট্রি ৪.০’ শীর্ষক চতুর্থ আন্তর্জাতিক সম্মেলনে উপস্থিত বক্তারা এসব কথা বলেন। 

সম্মেলনে বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, সিঙ্গাপুর ও ডেনামার্কসহ বিশ্বের ৩৫টি দেশের বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী ও গবেষকেরা অংশগ্রহণ করেন। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গোলাম সামদানী ফকিরের সভাপতিত্বে সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মেসবাহউদ্দিন আহমেদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বক্তব্য রাখেন সম্মেলনের জেনারেল চেয়ার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, গ্রিন ইউনিভার্সিটির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ফায়জুর রহমান এবং সম্মেলনের অর্গানাইজিং চেয়ার ও বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল আজাদ। 

বক্তারা বলেন, বর্তমান যুগ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার; যেখানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতের ব্যবহার অবশ্যম্ভাবী। বাংলাদেশ যত এগোচ্ছে, প্রযুক্তি খাতের চাহিদা তত বাড়ছে। সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে এই সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। প্রযুক্তি ও বিজ্ঞানের যথাযথ ব্যবহারই আগামী দিনে দেশকে এগিয়ে নেবে বলে তারা অভিমত ব্যক্ত করেন। 

সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মেসবাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘প্রযুক্তি অবশ্যই জরুরি, তবে তার চেয়েও বেশি জরুরি টেকসই প্রযুক্তি। এ সময় তিনি টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে ক্লাউড কম্পিউটিং, বিগ ডাটা, সাইবার সিকিউরিটি, আইওটিসহ কম্পিউটার বিজ্ঞানের ৯টি অনুষঙ্গ তুলে ধরেন।’ 

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির বলেন, ‘শিক্ষা ও শিল্প পরিবারের মধ্যে বন্ধন তৈরির কাজ করছে এসটিআই সম্মেলন। যা ভবিষ্যতে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বড় ভূমিকা রাখবে।’ 

সম্মেলনে বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, সিঙ্গাপুর ও ডেনামার্কসহ বিশ্বের ৩৫টি দেশের বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী ও গবেষকেরা অংশগ্রহণ করেন। ছবি: আজকের পত্রিকাসম্মেলনের জেনারেল চেয়ার অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এসটিআই শুধু আয়োজনের দিক থেকে বড় সম্মেলন নয়, প্রায়োগিক ক্ষেত্রেও এর গুরুত্ব অনেক। আন্তর্জাতিক এই সম্মেলন দেশ-বিদেশের নানা সমস্যা সমাধানে কাজ করছে বলে জানান তিনি। 

আগামী দিনে প্রতিবছর এসটিআই সম্মেলন চলমান থাকার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ফায়জুর রহমান। অন্যদিকে শিল্প বিপ্লবের বিভিন্ন ক্ষেত্রে গবেষক ও অনুশীলনকারীদের মধ্যে নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠা করতে নানা ক্ষেত্রে এসটিআইয়ের ভূমিকা তুলে ধরেন অর্গানাইজিং কমিটির চেয়ারম্যান ও বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল আজাদ। 

দুই দিনব্যাপী সম্মেলনের প্রথম দিনে ইন্টেলিজেন্ট কম্পিউটিং, এনার্জি, রোবটিক্স, ইলেকট্রনিকস, সেন্সরস অ্যান্ড কমিউনিকেশন, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এবং বিশেষ সেশন হিসেবে এসটিআই এক্সপো-২০২২ অনুষ্ঠিত হয়। 

এর আগে সম্মেলনে উপস্থাপনের জন্য বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৩৭৬টি গবেষণা প্রবন্ধ জমা পড়ে; যা থেকে ১৩৪টি প্রবন্ধ নির্বাচিত হয়। এর মধ্যে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ২১টি প্রবন্ধ জমা পড়ে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ঋণের ১৩০০ কোটির এক টাকাও দেননি হলিডে ইনের মালিক

নারীদের খেলায় আর নাক গলাবে না, দেশ ও বিশ্ববাসীর কাছে ক্ষমা চাইল ভাঙচুরকারীরা

ইতালি নেওয়ার কথা বলে লিবিয়ায় ফরিদপুরের ২ জনকে গুলি করে হত্যা

গণ–সমাবেশে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিলেন বিএনপি নেতা

হেফাজতে যুবদল নেতার মৃত্যু, সেনা ক্যাম্প কমান্ডারকে প্রত্যাহার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত