Ajker Patrika

হিজবুত তাহরিরের মিডিয়া সমন্বয়কারী ইমতিয়াজ সেলিম আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১২: ৫৯
Thumbnail image

আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ সংগঠন হিজবুত তাহরিরের মিডিয়া সমন্বয়কারী ইমতিয়াজ সেলিমকে আটক করেছে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি)। আজ শুক্রবার ভোরে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

ডিএমপি বলছে, ইমতিয়াজের বিরুদ্ধে রাজধানীর শাহবাগ থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা রয়েছে। এ ছাড়া তিনি পল্লবী ও খিলগাঁও থানায় আরও দুটি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। শুধু তাই নয়, তাঁর বিরুদ্ধে আরও তিনটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। 

ইমতিয়াজ সেলিমকে আদালতে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানানো হয়েছে। 

এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) বাংলাদেশ হিযবুত তাহরিরের এক সদস্যকে আটক করা হয়। ওই দিন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে লিফলেট বিতরণের সময় প্রক্টরিয়াল বডির এক শিক্ষকের সঙ্গে তাঁর ধস্তাধস্তি হয়। ওই শিক্ষার্থীর নাম অনিক খন্দকার। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। তিনি ঢাবির মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র। 

এ বিষয়ে জবির তৎকালীন সহকারী প্রক্টর খালেদ সাইফুল্লাহ বলেন, ‘ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষকদের রুমে দরজার নিচে দিয়ে কিছু ছেলে চিঠি দিচ্ছিল। এটা দেখতে পারেন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মিরাজ হোসেন। এ সময় তিনি কথা বলতে গেলে তাঁরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তখন শিক্ষকের সঙ্গে তাঁদের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে একজনকে আটক করা হয়। আটক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে সরকারবিরোধী লিফলেট, তাঁদের সংগঠনের বিভিন্ন বক্তব্যসংবলিত চিঠি, একটি মোবাইল ফোন, ট্রান্সজেন্ডার ও সমকামিতা নিয়ে লেখা একটি ডায়েরি পাওয়া গেছে।’

নিষিদ্ধ হওয়ার পর থেকে গোপনে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল সংগঠনটি। তবে গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর প্রকাশ্যে আসে তারা। ৭ আগস্ট জাতীয় সংসদের সামনে প্রকাশ্যে কর্মসূচি চালাতে দেখা যায় তাদের।

২০০৯ সালের ২২ অক্টোবর জননিরাপত্তার জন্য হুমকি বিবেচনায় ধর্মভিত্তিক এই সংগঠনকে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। সে সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, দীর্ঘদিন থেকে সংগঠনটির কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের পর ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তুরস্কসহ বেশ কয়েকটি দেশে সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে সংগঠনটি নিষিদ্ধ রয়েছে।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে যুক্তরাজ্যে এই সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকর্মী সংগঠন হামাসের ইসরায়েলে হামলার প্রশংসা করার জন্য তাদের অভিযুক্ত করা হয়েছে। যুক্তরাজ্যের সন্ত্রাসবাদ আইনের অধীনে সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ করা হয়। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত