নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
অবিরাম স্বপ্ন বুকে নিয়ে এগিয়ে চলা মেহেদী হাসানের জীবন হঠাৎ থেমে গেছে এক নির্মম বাস্তবতায়। রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সপ্তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান আজ জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। বেসরকারি টিভি চ্যানেল ডিবিসি নিউজের নিউজরুম এডিটর হিসেবে কর্মরত এই তরুণের পাকস্থলীতে ধরা পড়েছে ক্যানসার।
চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত কেমোথেরাপি, অপারেশন ও নানা মেডিকেল টেস্টের মাধ্যমে তাঁকে সুস্থ করা সম্ভব হলেও এর ব্যয় প্রায় ১২ থেকে ১৫ লাখ টাকা। ভারতের হায়দরাবাদে চিকিৎসা নিলে এ খরচ বেড়ে দাঁড়াবে প্রায় ২০ লাখ টাকায়। কিন্তু বাবা হারা পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম সন্তান মেহেদীর পক্ষে এত বিপুল অর্থ জোগাড় করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে।
নিজের অসুস্থতা নিয়ে মেহেদী হাসান (২৪) বলেন, ‘আমার অবস্থা খুব জটিল। সময়মতো চিকিৎসা না নিলে ক্যানসার লিভার, ফুসফুস ও অন্যান্য জায়গায় ছড়িয়ে পড়বে। তখন হয়তো আর আমাকে বাঁচানো সম্ভব হবে না। প্রাথমিকভাবে চারবার কেমোথেরাপি দিতে হবে, তারপর অপারেশন করে আরও তিন-চারবার কেমোথেরাপি দিতে হবে। এতে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠতে পারব বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু এ চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া আমার পরিবারের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই জীবন বাঁচাতে সবার সহযোগিতা কামনা করছি।’
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান তাবিউর রহমান প্রধান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মেহেদী ছোটবেলায় বাবাকে হারিয়েছে। একমাত্র ছেলেসন্তানকে অনেক কষ্ট করে বিশ্ববিদ্যালয় পড়িয়েছেন ওর মা। পড়াশোনা শেষ করে মেহেদী ডিবিসি নিউজে কাজ করছিল। তার যখন সংসারের হাল ধরার কথা, ঠিক তখনই জানা গেল ক্যানসার নামক দুরারোগ্য ব্যাধি বাসা বেঁধেছে পাকস্থলীতে।’
তাবিউর রহমান প্রধান আরও বলেন, ‘শিক্ষক হিসেবে এটুকু বলতে পারি, এই বিভাগ থেকে যত শিক্ষার্থী পাস করে বেরিয়েছে, তাদের সবচেয়ে নম্র-ভদ্রদের তালিকায় ওপরের দিকে ওর অবস্থান।’ তিনি সবার কাছে আকুল আবেদন জানিয়েছেন, ‘শুধু আমাদের শিক্ষার্থী হিসেবে না, দেশের একজন তরুণ মেধাবীকে বাঁচিয়ে রাখতে সবাই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিই।’
মেহেদীর সহপাঠী ও বন্ধুরা ইতিমধ্যে সহায়তা শুরু করেছেন। তবে পুরো খরচ জোগাড় করতে প্রয়োজন সমাজের সর্বস্তরের সহযোগিতা। প্রাণঘাতী ক্যানসারের কাছে হার মানতে বসা এই তরুণ সাংবাদিকের জীবন বাঁচাতে সমাজের সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টাই হতে পারে শেষ ভরসা।
অবিরাম স্বপ্ন বুকে নিয়ে এগিয়ে চলা মেহেদী হাসানের জীবন হঠাৎ থেমে গেছে এক নির্মম বাস্তবতায়। রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সপ্তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান আজ জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। বেসরকারি টিভি চ্যানেল ডিবিসি নিউজের নিউজরুম এডিটর হিসেবে কর্মরত এই তরুণের পাকস্থলীতে ধরা পড়েছে ক্যানসার।
চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত কেমোথেরাপি, অপারেশন ও নানা মেডিকেল টেস্টের মাধ্যমে তাঁকে সুস্থ করা সম্ভব হলেও এর ব্যয় প্রায় ১২ থেকে ১৫ লাখ টাকা। ভারতের হায়দরাবাদে চিকিৎসা নিলে এ খরচ বেড়ে দাঁড়াবে প্রায় ২০ লাখ টাকায়। কিন্তু বাবা হারা পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম সন্তান মেহেদীর পক্ষে এত বিপুল অর্থ জোগাড় করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে।
নিজের অসুস্থতা নিয়ে মেহেদী হাসান (২৪) বলেন, ‘আমার অবস্থা খুব জটিল। সময়মতো চিকিৎসা না নিলে ক্যানসার লিভার, ফুসফুস ও অন্যান্য জায়গায় ছড়িয়ে পড়বে। তখন হয়তো আর আমাকে বাঁচানো সম্ভব হবে না। প্রাথমিকভাবে চারবার কেমোথেরাপি দিতে হবে, তারপর অপারেশন করে আরও তিন-চারবার কেমোথেরাপি দিতে হবে। এতে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠতে পারব বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু এ চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া আমার পরিবারের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই জীবন বাঁচাতে সবার সহযোগিতা কামনা করছি।’
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান তাবিউর রহমান প্রধান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মেহেদী ছোটবেলায় বাবাকে হারিয়েছে। একমাত্র ছেলেসন্তানকে অনেক কষ্ট করে বিশ্ববিদ্যালয় পড়িয়েছেন ওর মা। পড়াশোনা শেষ করে মেহেদী ডিবিসি নিউজে কাজ করছিল। তার যখন সংসারের হাল ধরার কথা, ঠিক তখনই জানা গেল ক্যানসার নামক দুরারোগ্য ব্যাধি বাসা বেঁধেছে পাকস্থলীতে।’
তাবিউর রহমান প্রধান আরও বলেন, ‘শিক্ষক হিসেবে এটুকু বলতে পারি, এই বিভাগ থেকে যত শিক্ষার্থী পাস করে বেরিয়েছে, তাদের সবচেয়ে নম্র-ভদ্রদের তালিকায় ওপরের দিকে ওর অবস্থান।’ তিনি সবার কাছে আকুল আবেদন জানিয়েছেন, ‘শুধু আমাদের শিক্ষার্থী হিসেবে না, দেশের একজন তরুণ মেধাবীকে বাঁচিয়ে রাখতে সবাই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিই।’
মেহেদীর সহপাঠী ও বন্ধুরা ইতিমধ্যে সহায়তা শুরু করেছেন। তবে পুরো খরচ জোগাড় করতে প্রয়োজন সমাজের সর্বস্তরের সহযোগিতা। প্রাণঘাতী ক্যানসারের কাছে হার মানতে বসা এই তরুণ সাংবাদিকের জীবন বাঁচাতে সমাজের সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টাই হতে পারে শেষ ভরসা।
অর্থনীতির টালমাটাল অবস্থায় ব্যবসায়ী, রপ্তানিকারকেরা যখন বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার লড়াই করছেন, ঠিক তখনই চট্টগ্রাম বন্দরের মাশুল বাড়ানো হলো। ব্যবসায়ীদের বিরোধিতা সত্ত্বেও এ মাশুল ১৫ অক্টোবর থেকে কার্যকর হয়েছে। এ অবস্থায় গতকাল শনিবার কনটেইনার পরিবহন বন্ধ করে বন্দরের কার্যক্রম থমকে দিয়েছেন...
২ ঘণ্টা আগেচুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে একের পর এক পদ শূন্য থাকায় স্থবির হয়ে পড়েছে চিকিৎসাসেবা। ৫০ শয্যার জনবল ও ১০০ শয্যার খাবার-ওষুধ নিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে ২৫০ শয্যার সরকারি হাসপাতালটি; বিশেষ করে ১০ মাস ধরে অ্যানেসথেসিয়া কনসালট্যান্ট না...
২ ঘণ্টা আগেমাদারীপুরের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষকদের হাজিরার জন্য বসানো বায়োমেট্রিক ডিজিটাল হাজিরা মেশিনগুলো কোনো কাজেই আসেনি। দিনের পর দিন ব্যবহার না হওয়ায় এসব যন্ত্র এখন নষ্টের পথে। এতে অপচয় হচ্ছে সরকারের লাখ লাখ টাকা।
৩ ঘণ্টা আগেবরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) অন্তত ২৩ শিক্ষককে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দেওয়ার তোড়জোড় চলছে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তাঁদের মধ্যে সাতজন জুলাই আন্দোলনের বিরোধিতাকারী রয়েছেন। পদোন্নতির এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. তৌফিক আলম।
৩ ঘণ্টা আগে