
সফররত জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ও চিলির সাবেক প্রেসিডেন্ট মিশেল বাচেলেটকে বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে নানা অপপ্রচার সম্পর্কে অবহিত করেছেন সরকার, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিসহ বিশিষ্ট জনেরা। গতকাল মঙ্গলবার রাতে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সফররত জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল বাচেলেটের সম্মানে এক টাউন হল মিটিং ও নৈশভোজে জাতিসংঘের হাইকমিশনার বিশিষ্টজনদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
বাংলাদেশের নানা ক্ষেত্রে অগ্রগতির চিত্র ফুটে উঠে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামীর বক্তৃতায়। বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে সরকার বিরোধী কিছু চিহ্নিত ব্যক্তির তথ্যের ওপর ভিত্তি করে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কিছু মানবাধিকার সংগঠন তাদের রিপোর্ট প্রকাশ করছে-জাতিসংঘের হাইকমিশনারকে এমন তথ্য দেন আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ।
পররাষ্ট্রসচিব ড. মাসুদ বিন মোমেনের সঞ্চালনায় মতবিনিময় পর্বে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বলেন, গত এক দশকে বাংলাদেশ নানা ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব সাফল্য দেখিয়ে উন্নয়নশীল বিশ্বে একটা মর্যাদার স্থানে পৌঁছেছে। বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি সার্বিকভাবে মূল্যায়ন করতে হবে। দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত, বাংলাদেশ মোটামুটি একই রকম পরিস্থিতির মধ্য দিয়েই যাচ্ছে।
নৈশভোজ পর্বে জাতিসংঘের হাইকমিশনারকে বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে নানা অপপ্রচার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ। ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে জামিন দেওয়া না দেওয়া, বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেপ্তার, সাংবাদিকদের এই আইনের বাইরে রাখা, এই আইনে প্রকৃত সাংবাদিকেরা গ্রেপ্তার হচ্ছে কিনা-এই সকল বিষয়ের সাংবিধানিক ও আইনি ব্যাখ্যা দেন তিনি।
ড۔ সেলিম জানান, বাংলাদেশে প্রচলিত বেশ কয়েকটি আইনে যৌক্তিক কারণেই বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেপ্তারের বিধান রয়েছে, অনেক আইনেই কিছু কিছু ক্ষেত্রে নিম্ন আদালতে জামিন না দেওয়ার বিধান রয়েছে। তবে উচ্চতর আদালত জামিন দিয়ে থাকে। সাংবাদিকসহ কোনো কমিউনিটিকে নির্দিষ্ট কোনো ফৌজদারি আইনের আওতার বাইরে রাখা সংবিধানিক মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী।
তিনি জানান, বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি আইনে বহু বছর ধরেই এই ধরনের বিধান রয়েছে। যৌক্তিক কারণেই এই ধরনের বিধান রাখা হয়। ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের বিষয়গুলো আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের সনদ, আমাদের সংবিধানের মৌলিক অধিকারের বিধানাবলি এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আরও জানান, এই বিষয়টি পরিষ্কার করার প্রয়োজন রয়েছে, যে মামলাগুলো ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের আওতায় বলে প্রচার করা হচ্ছে। এর প্রায় ৮০ শতাংশ মামলা বিএনপির আমলে প্রণীত আইসিটি আইনের ৫৭ ধারার অধীন মামলা। শেখ হাসিনার সরকার এই ৫৭ ধারা বাতিল করেছে। আর সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে যে মামলার কথা বলা হচ্ছে, তার প্রায় ৯০ শতাংশ মামলাই হচ্ছে অনলাইন ভিত্তিক কিছু ভুঁইফোড় বেআইনি নিউজ পোর্টালের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে। যারা মূলত নানা শ্রেণি পেশার মানুষকে ব্ল্যাকমেইলিংয়ের মাধ্যমে হয়রানি করে থাকে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে গুম বা ফোর্সড ডিসএপিয়ারেন্স সম্পর্কে যে অপপ্রচার চলছে, সেই বিষয়টি ড. সেলিম মাহমুদ জাতিসংঘ হাইকমিশনারের দৃষ্টিতে আনেন। তিনি জানান, মানবাধিকার রিপোর্ট গুলোতে গুম সম্পর্কিত যে তথ্য দেওয়া হয়ে থাকে, একটু পর্যবেক্ষণ করলেই বোঝা যায় যে, এগুলো স্ববিরোধী ও বাস্তবতা বিবর্জিত। এই সব রিপোর্টে বলা হয়, অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিরোধী দলের নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা এই ফোর্সড ডিসএপিয়ারেন্সের মূল ভিকটিম। কিন্তু সেই রিপোর্টে ভিকটিমের যে সংখ্যা দেওয়া হয়, তাতে বোঝা যায় এই বক্তব্য স্ববিরোধী ও বাস্তবতা বিবর্জিত। তাদের বক্তব্য অনুযায়ী ভিকটিম রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী সমর্থক হয়ে থাকলে এই সংখ্যা অনেক বেশি হওয়ার কথা। পক্ষান্তরে ভিকটিমের যে তালিকা দেওয়া হয়, সেখানে কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য কিংবা সমর্থক থাকে না। তাতে বোঝা যায়, এই রিপোর্ট গুলোতে যে তথ্য দেওয়া হয়, সেগুলো অসত্য ও স্ববিরোধী। ঐতিহাসিকভাবে বাংলাদেশে নানা কারণে কিছু ব্যক্তি প্রতি বছর নিখোঁজ হয়ে যায়। দেশের মোট জনসংখ্যার আকার বিবেচনা করলে নিখোঁজ হওয়া এই মানুষের সংখ্যাও কম হওয়ার কথা নয়। মূলত এই হারিয়ে যাওয়া লোকগুলোকেই এই তালিকায় আনা হয়ে থাকে।
আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক জাতিসংঘের হাইকমিশনারকে জানান, বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে কিছু মানবাধিকার সংগঠন সাম্প্রতিক সময়ে যে রিপোর্ট প্রকাশ করছে, তাতে দেখা যায় এই সংগঠনগুলো যে তথ্যের ওপর ভিত্তি করছে, সেগুলো সরকার বিরোধী কিছু ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর কাছ থেকে নেওয়া। কোনো নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান কর্তৃক পক্ষপাত দোষে দুষ্ট কোনো সোর্স থেকে তথ্য নেওয়া সমীচীন নয়। এই সকল সংগঠনের রিপোর্টে যে ফুটনোট ব্যবহার করা হয়, তাতে দেখা যায় তারা কেবলমাত্র সরকার বিরোধী সোর্স থেকে তথ্য নিচ্ছে। এই ধরনের পক্ষপাত দুষ্ট ও একপেশে রিপোর্ট সভ্য সমাজে গ্রহণযোগ্য নয়। এই ধরনের রিপোর্টের কোনো ক্রেডিবিলিটি থাকে না। এই ধরনের কর্মকাণ্ড বিশ্বের দেশে দেশে মানবাধিকার সংরক্ষণে কী ভূমিকা রাখে, এটি সেই সকল সংগঠনই ভালো বলতে পারবে।
জাতিসংঘের হাই কমিশনের সঙ্গে নৈশভোজ আলোচনায় অংশ নেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আবদুল মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকী, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক প্রেস উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরীসহ প্রমুখ।
জাতিসংঘের হাইকমিশনারের সম্মানে দেওয়া নৈশভোজের পূর্বে মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী, যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার রবার্ট ডিকসন, সাবেক রাষ্ট্রদূত সমসের মবিন চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সাদেক হালিম, নারী নেত্রী আরোমা দত্ত, রোকেয়া কবির, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের মফিদুল হক, অ্যাম্বাসেডর আব্দুল হান্নান, অ্যাম্বাসেডর শামীম আহসান, শিফা হাফিজা, প্রফেসর সাহাব আনাম খানসহ প্রমুখ।
অধিকাংশ বক্তা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল বাচেলেট তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘বিশ্বের সকল দেশের মানবাধিকার নিয়েই সমস্যা রয়েছে। আমি অনেক শক্তিশালী ও ধনী রাষ্ট্র দেখেছি, যাদের মানবাধিকার নিয়ে অনেক সমস্যা রয়েছে। এক একটি দেশের পরিস্থিতি একেক রকমের। মানবাধিকার নিয়ে প্রতিটি দেশের অনেক কাজ করার আছে।’
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস, মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার, ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূতসহ প্রমুখ।

সফররত জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ও চিলির সাবেক প্রেসিডেন্ট মিশেল বাচেলেটকে বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে নানা অপপ্রচার সম্পর্কে অবহিত করেছেন সরকার, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিসহ বিশিষ্ট জনেরা। গতকাল মঙ্গলবার রাতে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সফররত জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল বাচেলেটের সম্মানে এক টাউন হল মিটিং ও নৈশভোজে জাতিসংঘের হাইকমিশনার বিশিষ্টজনদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
বাংলাদেশের নানা ক্ষেত্রে অগ্রগতির চিত্র ফুটে উঠে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামীর বক্তৃতায়। বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে সরকার বিরোধী কিছু চিহ্নিত ব্যক্তির তথ্যের ওপর ভিত্তি করে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কিছু মানবাধিকার সংগঠন তাদের রিপোর্ট প্রকাশ করছে-জাতিসংঘের হাইকমিশনারকে এমন তথ্য দেন আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ।
পররাষ্ট্রসচিব ড. মাসুদ বিন মোমেনের সঞ্চালনায় মতবিনিময় পর্বে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বলেন, গত এক দশকে বাংলাদেশ নানা ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব সাফল্য দেখিয়ে উন্নয়নশীল বিশ্বে একটা মর্যাদার স্থানে পৌঁছেছে। বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি সার্বিকভাবে মূল্যায়ন করতে হবে। দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত, বাংলাদেশ মোটামুটি একই রকম পরিস্থিতির মধ্য দিয়েই যাচ্ছে।
নৈশভোজ পর্বে জাতিসংঘের হাইকমিশনারকে বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে নানা অপপ্রচার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ। ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে জামিন দেওয়া না দেওয়া, বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেপ্তার, সাংবাদিকদের এই আইনের বাইরে রাখা, এই আইনে প্রকৃত সাংবাদিকেরা গ্রেপ্তার হচ্ছে কিনা-এই সকল বিষয়ের সাংবিধানিক ও আইনি ব্যাখ্যা দেন তিনি।
ড۔ সেলিম জানান, বাংলাদেশে প্রচলিত বেশ কয়েকটি আইনে যৌক্তিক কারণেই বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেপ্তারের বিধান রয়েছে, অনেক আইনেই কিছু কিছু ক্ষেত্রে নিম্ন আদালতে জামিন না দেওয়ার বিধান রয়েছে। তবে উচ্চতর আদালত জামিন দিয়ে থাকে। সাংবাদিকসহ কোনো কমিউনিটিকে নির্দিষ্ট কোনো ফৌজদারি আইনের আওতার বাইরে রাখা সংবিধানিক মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী।
তিনি জানান, বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি আইনে বহু বছর ধরেই এই ধরনের বিধান রয়েছে। যৌক্তিক কারণেই এই ধরনের বিধান রাখা হয়। ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের বিষয়গুলো আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের সনদ, আমাদের সংবিধানের মৌলিক অধিকারের বিধানাবলি এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আরও জানান, এই বিষয়টি পরিষ্কার করার প্রয়োজন রয়েছে, যে মামলাগুলো ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের আওতায় বলে প্রচার করা হচ্ছে। এর প্রায় ৮০ শতাংশ মামলা বিএনপির আমলে প্রণীত আইসিটি আইনের ৫৭ ধারার অধীন মামলা। শেখ হাসিনার সরকার এই ৫৭ ধারা বাতিল করেছে। আর সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে যে মামলার কথা বলা হচ্ছে, তার প্রায় ৯০ শতাংশ মামলাই হচ্ছে অনলাইন ভিত্তিক কিছু ভুঁইফোড় বেআইনি নিউজ পোর্টালের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে। যারা মূলত নানা শ্রেণি পেশার মানুষকে ব্ল্যাকমেইলিংয়ের মাধ্যমে হয়রানি করে থাকে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে গুম বা ফোর্সড ডিসএপিয়ারেন্স সম্পর্কে যে অপপ্রচার চলছে, সেই বিষয়টি ড. সেলিম মাহমুদ জাতিসংঘ হাইকমিশনারের দৃষ্টিতে আনেন। তিনি জানান, মানবাধিকার রিপোর্ট গুলোতে গুম সম্পর্কিত যে তথ্য দেওয়া হয়ে থাকে, একটু পর্যবেক্ষণ করলেই বোঝা যায় যে, এগুলো স্ববিরোধী ও বাস্তবতা বিবর্জিত। এই সব রিপোর্টে বলা হয়, অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিরোধী দলের নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা এই ফোর্সড ডিসএপিয়ারেন্সের মূল ভিকটিম। কিন্তু সেই রিপোর্টে ভিকটিমের যে সংখ্যা দেওয়া হয়, তাতে বোঝা যায় এই বক্তব্য স্ববিরোধী ও বাস্তবতা বিবর্জিত। তাদের বক্তব্য অনুযায়ী ভিকটিম রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী সমর্থক হয়ে থাকলে এই সংখ্যা অনেক বেশি হওয়ার কথা। পক্ষান্তরে ভিকটিমের যে তালিকা দেওয়া হয়, সেখানে কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য কিংবা সমর্থক থাকে না। তাতে বোঝা যায়, এই রিপোর্ট গুলোতে যে তথ্য দেওয়া হয়, সেগুলো অসত্য ও স্ববিরোধী। ঐতিহাসিকভাবে বাংলাদেশে নানা কারণে কিছু ব্যক্তি প্রতি বছর নিখোঁজ হয়ে যায়। দেশের মোট জনসংখ্যার আকার বিবেচনা করলে নিখোঁজ হওয়া এই মানুষের সংখ্যাও কম হওয়ার কথা নয়। মূলত এই হারিয়ে যাওয়া লোকগুলোকেই এই তালিকায় আনা হয়ে থাকে।
আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক জাতিসংঘের হাইকমিশনারকে জানান, বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে কিছু মানবাধিকার সংগঠন সাম্প্রতিক সময়ে যে রিপোর্ট প্রকাশ করছে, তাতে দেখা যায় এই সংগঠনগুলো যে তথ্যের ওপর ভিত্তি করছে, সেগুলো সরকার বিরোধী কিছু ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর কাছ থেকে নেওয়া। কোনো নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান কর্তৃক পক্ষপাত দোষে দুষ্ট কোনো সোর্স থেকে তথ্য নেওয়া সমীচীন নয়। এই সকল সংগঠনের রিপোর্টে যে ফুটনোট ব্যবহার করা হয়, তাতে দেখা যায় তারা কেবলমাত্র সরকার বিরোধী সোর্স থেকে তথ্য নিচ্ছে। এই ধরনের পক্ষপাত দুষ্ট ও একপেশে রিপোর্ট সভ্য সমাজে গ্রহণযোগ্য নয়। এই ধরনের রিপোর্টের কোনো ক্রেডিবিলিটি থাকে না। এই ধরনের কর্মকাণ্ড বিশ্বের দেশে দেশে মানবাধিকার সংরক্ষণে কী ভূমিকা রাখে, এটি সেই সকল সংগঠনই ভালো বলতে পারবে।
জাতিসংঘের হাই কমিশনের সঙ্গে নৈশভোজ আলোচনায় অংশ নেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আবদুল মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকী, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক প্রেস উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরীসহ প্রমুখ।
জাতিসংঘের হাইকমিশনারের সম্মানে দেওয়া নৈশভোজের পূর্বে মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী, যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার রবার্ট ডিকসন, সাবেক রাষ্ট্রদূত সমসের মবিন চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সাদেক হালিম, নারী নেত্রী আরোমা দত্ত, রোকেয়া কবির, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের মফিদুল হক, অ্যাম্বাসেডর আব্দুল হান্নান, অ্যাম্বাসেডর শামীম আহসান, শিফা হাফিজা, প্রফেসর সাহাব আনাম খানসহ প্রমুখ।
অধিকাংশ বক্তা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল বাচেলেট তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘বিশ্বের সকল দেশের মানবাধিকার নিয়েই সমস্যা রয়েছে। আমি অনেক শক্তিশালী ও ধনী রাষ্ট্র দেখেছি, যাদের মানবাধিকার নিয়ে অনেক সমস্যা রয়েছে। এক একটি দেশের পরিস্থিতি একেক রকমের। মানবাধিকার নিয়ে প্রতিটি দেশের অনেক কাজ করার আছে।’
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস, মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার, ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূতসহ প্রমুখ।

পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটায় জমি কিনে রিসোর্ট করার পরিকল্পনা নিয়েছে বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি)। জমি কিনতে এরই মধ্যে দরপত্র গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হবে শতকোটি টাকার বেশি। নগরবাসী যেখানে নানাবিধ নাগরিক সমস্যায় জর্জরিত, সেখানে বিপুল অর্থ ব্যয়ে এ ধরনের প্রকল্প গ্রহণের...
২ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার দাঁতমারা ইউনিয়নে রাজনৈতিক প্রভাবে অবৈধভাবে চলছে টিলা কেটে মাটি বিক্রির মচ্ছব। স্থানীয় ইউনিয়ন বিএনপির এক নেতা এ মাটি কাটার কাজে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে দীর্ঘদিন ধরে টিলা কেটে মাটি বিক্রি চললেও জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
২ ঘণ্টা আগে
রাজশাহী, পাবনা ও কুষ্টিয়ার পদ্মার চরে এখন মূর্তিমান আতঙ্কের নাম কাঁকন বাহিনী। এই বাহিনীর সদস্যদের বালুমহাল দখল, চরদখল আর চাঁদাবাজির কারণে অতিষ্ঠ কয়েকটি উপজেলার মানুষ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বারবার অভিযান চালিয়েও একাধিক মামলার আসামি সন্ত্রাসী কাঁকনের হদিস পায়নি।
৩ ঘণ্টা আগে
রাজশাহী, পাবনা ও কুষ্টিয়ার পদ্মার চরে এখন মূর্তিমান আতঙ্কের নাম কাঁকন বাহিনী। এই বাহিনীর সদস্যদের বালুমহাল দখল, চরদখল আর চাঁদাবাজির কারণে অতিষ্ঠ কয়েকটি উপজেলার মানুষ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বারবার অভিযান চালিয়েও একাধিক মামলার আসামি সন্ত্রাসী কাঁকনের হদিস পায়নি।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটায় জমি কিনে রিসোর্ট করার পরিকল্পনা নিয়েছে বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি)। জমি কিনতে এরই মধ্যে দরপত্র গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হবে শতকোটি টাকার বেশি। নগরবাসী যেখানে নানাবিধ নাগরিক সমস্যায় জর্জরিত, সেখানে বিপুল অর্থ ব্যয়ে এ ধরনের প্রকল্প গ্রহণের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ নগরবাসী। যদিও বিসিসির প্রধান নির্বাহীর দাবি, এতে করে সিটি করপোরেশনের আয় বাড়বে।
বিসিসি জমি কেনার দরপত্র আহ্বান করে ১৯ অক্টোবর। এ-সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সৈকতের কাছাকাছি সড়কের পাশে কমপক্ষে ৩ একর জমি কেনা হবে। আগ্রহী জমিমালিকদের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ৭ দিনের মধ্যে আবেদন করার আহ্বান জানানো হয়।
বিসিসির সম্পত্তি কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান শাকিল জানিয়েছেন, মাসিক সভায় রিসোর্ট করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। দরপত্র অনুযায়ী, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ৩টি আবেদন জমা পড়েছে। তার মধ্যে একটিতে ৮ একর এবং অন্য দুটিতে ৬ একর করে জমি রয়েছে। বিসিসি ৮ একরের জমিটির প্রতি আগ্রহী।
কুয়াকাটায় জমি কেনাবেচার সঙ্গে সম্পৃক্ত স্থানীয় বাসিন্দা আবুল কালাম আজাদ। তিনি জানান, সৈকত থেকে আধা কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে সড়কের পাশে প্রতি শতাংশ জমি গড়ে ১৫ লাখ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সে হিসাবে ১ একরের দাম হবে ১৫ কোটি টাকা। বিসিসি ৮ একর কিনলে দাম পড়বে ১২০ কোটি টাকা। আধা কিলোমিটারের বাইরে পৌর এলাকার মধ্যে প্রতি শতাংশ বিক্রি হয় ১০ লাখ টাকায়। সে ক্ষেত্রে ১ একরের দাম ১০ কোটি এবং ৮ একরের দাম ৮০ কোটি টাকা।
কুয়াকাটায় জমি কিনে রিসোর্ট করার বিসিসির সিদ্ধান্তে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নগরবাসী। বরিশাল জেলা বাম গণতান্ত্রিক জোটের এক বিবৃতিতে বলা হয়, সিটি করপোরেশন পানি শোধনাগার চালুর উদ্যোগসহ সার্বিক জনবান্ধব উন্নয়নের উদ্যোগ না নিয়ে কুয়াকাটায় জমি কিনছে, অথচ বরিশালে কোনো আধুনিক বর্জ্যব্যবস্থাপনা নেই।
নগরীর ময়লাখোলায় শহরের মধ্যে ৫৮ বর্গকিলোমিটার জায়গাজুড়ে খোলা জায়গায় বর্জ্য ফেলা হয়। অচল হয়ে থাকা দুটি পানি শোধনাগার আজ পর্যন্ত চালু হয়নি। বহু রাস্তাঘাট-ড্রেন সংস্কার করা হয়নি। এসব বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া অতি জরুরি হলেও বাজেট ঘাটতির কথা বলে কোনো কাজ করা হচ্ছে না।
বাম গণতান্ত্রিক জোট বলছে, নগরীর যখন এ বেহাল দশা তার মধ্যেই ১৯ অক্টোবর কুয়াকাটায় জমি কেনার বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে সিটি করপোরেশন। তারা নিজেদের সীমানার বাইরে জমি কিনতে চাইলে সরকারের পূর্বানুমোদনের প্রয়োজন হয়। অথচ এটি নেওয়া হয়েছে কি না, তা বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়নি।
নগরবাসী বলছেন, নগর উন্নয়নে বরাদ্দ না দিয়ে কুয়াকাটায় বিলাসবহুল রিসোর্ট নির্মাণের জন্য জমি কেনার বিজ্ঞাপন জনগণের প্রতি দায়হীনতার পরিচয় বহন করে। সিটি করপোরেশনকে অবিলম্বে বিলাসিতা ও অর্থ উপার্জনের উদ্দেশ্যে কুয়াকাটায় জমি কেনার মতো প্রকল্প থেকে সরে আসতে হবে।
স্থানীয় বাসিন্দা কাজী মিজানুর রহমান বলেন, ‘সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষের সমস্যা আছে। নগরীতে এত সংকট। তার মধ্যে কী করে তারা কুয়াকাটায় রিসোর্ট স্থাপনের মতো উচ্চবিলাসী প্রকল্পের কথা চিন্তা করে। নগরী থেকে যানজট দূর করতে বাস টার্মিনাল অপসারণ করতে পারছে না, যথাযথ বর্জ্যব্যবস্থাপনা নেই, পর্যাপ্ত রাস্তাঘাট নেই। নাগরিক সুযোগ-সুবিধার কথা চিন্তা না করে বিলাসিতার জন্য রিসোর্ট করতে চাইছে। আশা করি, তারা এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসবে। পারলে প্রয়োজনে নগরীতে পাঁচতলাবিশিষ্ট হোটেল করুক।’
জেলা বাসদের সদস্যসচিব মনীষা চক্রবর্তী বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের সময় একজন প্রশাসক এভাবে বিপুল অর্থ খরচ করে কুয়াকাটায় রিসোর্ট করতে পারেন না। দেশের এত আর্থিক সংকটের মধ্যে সরকার এ ধরনের বিলাসী প্রকল্প হাতে নিতে বিসিসিকে অনুমতি দিয়েছে কি না, তাও স্পষ্ট করেনি কর্তৃপক্ষ। আমরা এ ধরনের প্রকল্প চাই না।’
এসব সমালোচনার সঙ্গে একমত নন বিসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেজাউল বারী। তিনি বলেন, কুয়াকাটায় রিসোর্ট করা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দীর্ঘদিনের দাবি। গত ২০ মার্চ পরিষদের মাসিক সাধারণ সভায় সেখানে জমি কেনার সিদ্ধান্ত অনুমোদন হয়। তাই কমপক্ষে ৩ একর জমি কেনার জন্য বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। রিসোর্ট ভাড়া দিলে বিসিসির আয় বাড়বে।

পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটায় জমি কিনে রিসোর্ট করার পরিকল্পনা নিয়েছে বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি)। জমি কিনতে এরই মধ্যে দরপত্র গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হবে শতকোটি টাকার বেশি। নগরবাসী যেখানে নানাবিধ নাগরিক সমস্যায় জর্জরিত, সেখানে বিপুল অর্থ ব্যয়ে এ ধরনের প্রকল্প গ্রহণের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ নগরবাসী। যদিও বিসিসির প্রধান নির্বাহীর দাবি, এতে করে সিটি করপোরেশনের আয় বাড়বে।
বিসিসি জমি কেনার দরপত্র আহ্বান করে ১৯ অক্টোবর। এ-সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সৈকতের কাছাকাছি সড়কের পাশে কমপক্ষে ৩ একর জমি কেনা হবে। আগ্রহী জমিমালিকদের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ৭ দিনের মধ্যে আবেদন করার আহ্বান জানানো হয়।
বিসিসির সম্পত্তি কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান শাকিল জানিয়েছেন, মাসিক সভায় রিসোর্ট করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। দরপত্র অনুযায়ী, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ৩টি আবেদন জমা পড়েছে। তার মধ্যে একটিতে ৮ একর এবং অন্য দুটিতে ৬ একর করে জমি রয়েছে। বিসিসি ৮ একরের জমিটির প্রতি আগ্রহী।
কুয়াকাটায় জমি কেনাবেচার সঙ্গে সম্পৃক্ত স্থানীয় বাসিন্দা আবুল কালাম আজাদ। তিনি জানান, সৈকত থেকে আধা কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে সড়কের পাশে প্রতি শতাংশ জমি গড়ে ১৫ লাখ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সে হিসাবে ১ একরের দাম হবে ১৫ কোটি টাকা। বিসিসি ৮ একর কিনলে দাম পড়বে ১২০ কোটি টাকা। আধা কিলোমিটারের বাইরে পৌর এলাকার মধ্যে প্রতি শতাংশ বিক্রি হয় ১০ লাখ টাকায়। সে ক্ষেত্রে ১ একরের দাম ১০ কোটি এবং ৮ একরের দাম ৮০ কোটি টাকা।
কুয়াকাটায় জমি কিনে রিসোর্ট করার বিসিসির সিদ্ধান্তে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নগরবাসী। বরিশাল জেলা বাম গণতান্ত্রিক জোটের এক বিবৃতিতে বলা হয়, সিটি করপোরেশন পানি শোধনাগার চালুর উদ্যোগসহ সার্বিক জনবান্ধব উন্নয়নের উদ্যোগ না নিয়ে কুয়াকাটায় জমি কিনছে, অথচ বরিশালে কোনো আধুনিক বর্জ্যব্যবস্থাপনা নেই।
নগরীর ময়লাখোলায় শহরের মধ্যে ৫৮ বর্গকিলোমিটার জায়গাজুড়ে খোলা জায়গায় বর্জ্য ফেলা হয়। অচল হয়ে থাকা দুটি পানি শোধনাগার আজ পর্যন্ত চালু হয়নি। বহু রাস্তাঘাট-ড্রেন সংস্কার করা হয়নি। এসব বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া অতি জরুরি হলেও বাজেট ঘাটতির কথা বলে কোনো কাজ করা হচ্ছে না।
বাম গণতান্ত্রিক জোট বলছে, নগরীর যখন এ বেহাল দশা তার মধ্যেই ১৯ অক্টোবর কুয়াকাটায় জমি কেনার বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে সিটি করপোরেশন। তারা নিজেদের সীমানার বাইরে জমি কিনতে চাইলে সরকারের পূর্বানুমোদনের প্রয়োজন হয়। অথচ এটি নেওয়া হয়েছে কি না, তা বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়নি।
নগরবাসী বলছেন, নগর উন্নয়নে বরাদ্দ না দিয়ে কুয়াকাটায় বিলাসবহুল রিসোর্ট নির্মাণের জন্য জমি কেনার বিজ্ঞাপন জনগণের প্রতি দায়হীনতার পরিচয় বহন করে। সিটি করপোরেশনকে অবিলম্বে বিলাসিতা ও অর্থ উপার্জনের উদ্দেশ্যে কুয়াকাটায় জমি কেনার মতো প্রকল্প থেকে সরে আসতে হবে।
স্থানীয় বাসিন্দা কাজী মিজানুর রহমান বলেন, ‘সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষের সমস্যা আছে। নগরীতে এত সংকট। তার মধ্যে কী করে তারা কুয়াকাটায় রিসোর্ট স্থাপনের মতো উচ্চবিলাসী প্রকল্পের কথা চিন্তা করে। নগরী থেকে যানজট দূর করতে বাস টার্মিনাল অপসারণ করতে পারছে না, যথাযথ বর্জ্যব্যবস্থাপনা নেই, পর্যাপ্ত রাস্তাঘাট নেই। নাগরিক সুযোগ-সুবিধার কথা চিন্তা না করে বিলাসিতার জন্য রিসোর্ট করতে চাইছে। আশা করি, তারা এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসবে। পারলে প্রয়োজনে নগরীতে পাঁচতলাবিশিষ্ট হোটেল করুক।’
জেলা বাসদের সদস্যসচিব মনীষা চক্রবর্তী বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের সময় একজন প্রশাসক এভাবে বিপুল অর্থ খরচ করে কুয়াকাটায় রিসোর্ট করতে পারেন না। দেশের এত আর্থিক সংকটের মধ্যে সরকার এ ধরনের বিলাসী প্রকল্প হাতে নিতে বিসিসিকে অনুমতি দিয়েছে কি না, তাও স্পষ্ট করেনি কর্তৃপক্ষ। আমরা এ ধরনের প্রকল্প চাই না।’
এসব সমালোচনার সঙ্গে একমত নন বিসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেজাউল বারী। তিনি বলেন, কুয়াকাটায় রিসোর্ট করা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দীর্ঘদিনের দাবি। গত ২০ মার্চ পরিষদের মাসিক সাধারণ সভায় সেখানে জমি কেনার সিদ্ধান্ত অনুমোদন হয়। তাই কমপক্ষে ৩ একর জমি কেনার জন্য বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। রিসোর্ট ভাড়া দিলে বিসিসির আয় বাড়বে।

বাংলাদেশে প্রচলিত বেশ কয়েকটি আইনে যৌক্তিক কারণেই বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেপ্তারের বিধান রয়েছে, অনেক আইনেই কিছু কিছু ক্ষেত্রে নিম্ন আদালতে জামিন না দেওয়ার বিধান রয়েছে। তবে উচ্চতর আদালত জামিন দিয়ে থাকে। সাংবাদিকসহ কোনো কমিউনিটিকে নির্দিষ্ট কোনো ফৌজদারি আইনের আওতার বাইরে রাখা সংবিধানিক মৌলিক অধিকারের পরিপন্থ
১৭ আগস্ট ২০২২
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার দাঁতমারা ইউনিয়নে রাজনৈতিক প্রভাবে অবৈধভাবে চলছে টিলা কেটে মাটি বিক্রির মচ্ছব। স্থানীয় ইউনিয়ন বিএনপির এক নেতা এ মাটি কাটার কাজে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে দীর্ঘদিন ধরে টিলা কেটে মাটি বিক্রি চললেও জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
২ ঘণ্টা আগে
রাজশাহী, পাবনা ও কুষ্টিয়ার পদ্মার চরে এখন মূর্তিমান আতঙ্কের নাম কাঁকন বাহিনী। এই বাহিনীর সদস্যদের বালুমহাল দখল, চরদখল আর চাঁদাবাজির কারণে অতিষ্ঠ কয়েকটি উপজেলার মানুষ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বারবার অভিযান চালিয়েও একাধিক মামলার আসামি সন্ত্রাসী কাঁকনের হদিস পায়নি।
৩ ঘণ্টা আগে
রাজশাহী, পাবনা ও কুষ্টিয়ার পদ্মার চরে এখন মূর্তিমান আতঙ্কের নাম কাঁকন বাহিনী। এই বাহিনীর সদস্যদের বালুমহাল দখল, চরদখল আর চাঁদাবাজির কারণে অতিষ্ঠ কয়েকটি উপজেলার মানুষ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বারবার অভিযান চালিয়েও একাধিক মামলার আসামি সন্ত্রাসী কাঁকনের হদিস পায়নি।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম ও ফটিকছড়ি সংবাদদাতা

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার দাঁতমারা ইউনিয়নে রাজনৈতিক প্রভাবে অবৈধভাবে চলছে টিলা কেটে মাটি বিক্রির মচ্ছব। স্থানীয় ইউনিয়ন বিএনপির এক নেতা এ মাটি কাটার কাজে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে দীর্ঘদিন ধরে টিলা কেটে মাটি বিক্রি চললেও জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
সরেজমিনে জানা গেছে, দাঁতমারা ইউনিয়নের সোনারখিল মৌজার অধীন বালুখালী চামাঘোনা মনাইয়ার দোকান এলাকায় ইউনিয়ন বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক মামুনুর রশিদ মামুনের নেতৃত্বে টিলা কাটার কার্যক্রম চলছে। মামুন ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিউল আজম চৌধুরীর অনুসারী বলে জানা গেছে। টিলার মাটি ট্রাকে করে নেওয়া হচ্ছে স্থানীয় ব্যবসায়ী শাহাদাত হোসেন ওরফে ভাগনে শাহাদাত ও গাছ ব্যবসায়ী মিয়া সওদাগরের ফসলি জমি ও বাড়ি ভরাটের কাজে।
গত রোববার সন্ধ্যায় টিলা কাটার সময় মাটিচাপা পড়ে মো. আরিফ (২০) নামের এক শ্রমিক নিহত হন। এরপরই এলাকাবাসী অবৈধভাবে টিলা কাটার বিরুদ্ধে সোচ্চার হন।
অভিযোগের বিষয়ে মামুনুর রশিদ মামুন বলেন, ‘আমি টিলা কাটার সঙ্গে জড়িত নই। ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিউল আজম চৌধুরীর সঙ্গে রাজনীতি করার কারণে একটি গোষ্ঠী হীনস্বার্থে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।’
তবে স্থানীয়রা জানান, সিরাজ ও মামুনসহ একটি চক্র রাতে শ্রমিক দিয়ে নিয়মিত টিলা কেটে মাটি পাচার করছে। স্থানীয় প্রশাসনের যোগসাজশে দীর্ঘদিন ধরে টিলা উজাড় করা হয়।
অভিযোগ অস্বীকার করে শফিউল আজম চৌধুরী বলেন, ‘দাঁতমারার বিভিন্ন স্থানে রাতের আঁধারে কারা মাটি কাটছে, তা আমার জানা নেই। আমি রাজনীতি ও চা-বাগান নিয়ে ব্যস্ত। মাটি কাটার সঙ্গে জড়িত নই।’
এদিকে রোববার সন্ধ্যায় শ্রমিকেরা টিলা কাটার সময় একাংশ ধসে পড়ে। এতে চাপা পড়ে শ্রমিক মো. আরিফ ঘটনাস্থলেই মারা যান। অভিযোগ রয়েছে, বিএনপির নেতা মামুন প্রশাসনকে না জানিয়ে লাশ উদ্ধার করে ১০ কিলোমিটার দূরে নিহতের বাড়িতে নিয়ে যান। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে ও নিহতের বাড়িতে গেলেও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য পারভেজ তাঁদের বাধা দেন। পরিবারকে টাকাপয়সা দিয়ে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মামুনের লাশ দাফন করা হয়।
ইউপি সদস্য পারভেজ বিষয়টি ‘অপপ্রচার’ দাবি করে বলেন, ‘আমি জনপ্রতিনিধি হয়ে পুলিশকে বাধা দেওয়ার প্রশ্নই আসে না। নিহতের পরিবারের অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত না করতে সহায়তা করেছি।’
অনুসন্ধানে জানা গেছে, উপজেলার পাইন্দং ইউনিয়নের আমতল ও রাবারবাগান এবং দাঁতমারা ও বাগানবাজার ইউনিয়নের প্রত্যন্ত এলাকায় প্রতি রাতে চলছে টিলা ও পাহাড় কেটে মাটি বিক্রির মচ্ছব। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে খননযন্ত্র ও ট্রাকের বিকট শব্দে এসব এলাকার মানুষের ঘুমেরও ব্যাঘাত ঘটছে।
দাঁতমারা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বোরহানউদ্দিন বলেন, বিএনপির রাজনীতিতে জড়িত কেউ পাহাড় বা টিলা কাটার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে না। কেউ জড়িত থাকলে সংগঠনের পক্ষ থেকে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ‘বিষয়টি আমরা জেনেছি। পরিবেশ অধিদপ্তরকেও জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের গবেষণা কর্মকর্তা মো. আশরাফ উদ্দিন বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত টিলাগুলো পরিদর্শন করে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার দাঁতমারা ইউনিয়নে রাজনৈতিক প্রভাবে অবৈধভাবে চলছে টিলা কেটে মাটি বিক্রির মচ্ছব। স্থানীয় ইউনিয়ন বিএনপির এক নেতা এ মাটি কাটার কাজে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে দীর্ঘদিন ধরে টিলা কেটে মাটি বিক্রি চললেও জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
সরেজমিনে জানা গেছে, দাঁতমারা ইউনিয়নের সোনারখিল মৌজার অধীন বালুখালী চামাঘোনা মনাইয়ার দোকান এলাকায় ইউনিয়ন বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক মামুনুর রশিদ মামুনের নেতৃত্বে টিলা কাটার কার্যক্রম চলছে। মামুন ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিউল আজম চৌধুরীর অনুসারী বলে জানা গেছে। টিলার মাটি ট্রাকে করে নেওয়া হচ্ছে স্থানীয় ব্যবসায়ী শাহাদাত হোসেন ওরফে ভাগনে শাহাদাত ও গাছ ব্যবসায়ী মিয়া সওদাগরের ফসলি জমি ও বাড়ি ভরাটের কাজে।
গত রোববার সন্ধ্যায় টিলা কাটার সময় মাটিচাপা পড়ে মো. আরিফ (২০) নামের এক শ্রমিক নিহত হন। এরপরই এলাকাবাসী অবৈধভাবে টিলা কাটার বিরুদ্ধে সোচ্চার হন।
অভিযোগের বিষয়ে মামুনুর রশিদ মামুন বলেন, ‘আমি টিলা কাটার সঙ্গে জড়িত নই। ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিউল আজম চৌধুরীর সঙ্গে রাজনীতি করার কারণে একটি গোষ্ঠী হীনস্বার্থে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।’
তবে স্থানীয়রা জানান, সিরাজ ও মামুনসহ একটি চক্র রাতে শ্রমিক দিয়ে নিয়মিত টিলা কেটে মাটি পাচার করছে। স্থানীয় প্রশাসনের যোগসাজশে দীর্ঘদিন ধরে টিলা উজাড় করা হয়।
অভিযোগ অস্বীকার করে শফিউল আজম চৌধুরী বলেন, ‘দাঁতমারার বিভিন্ন স্থানে রাতের আঁধারে কারা মাটি কাটছে, তা আমার জানা নেই। আমি রাজনীতি ও চা-বাগান নিয়ে ব্যস্ত। মাটি কাটার সঙ্গে জড়িত নই।’
এদিকে রোববার সন্ধ্যায় শ্রমিকেরা টিলা কাটার সময় একাংশ ধসে পড়ে। এতে চাপা পড়ে শ্রমিক মো. আরিফ ঘটনাস্থলেই মারা যান। অভিযোগ রয়েছে, বিএনপির নেতা মামুন প্রশাসনকে না জানিয়ে লাশ উদ্ধার করে ১০ কিলোমিটার দূরে নিহতের বাড়িতে নিয়ে যান। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে ও নিহতের বাড়িতে গেলেও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য পারভেজ তাঁদের বাধা দেন। পরিবারকে টাকাপয়সা দিয়ে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মামুনের লাশ দাফন করা হয়।
ইউপি সদস্য পারভেজ বিষয়টি ‘অপপ্রচার’ দাবি করে বলেন, ‘আমি জনপ্রতিনিধি হয়ে পুলিশকে বাধা দেওয়ার প্রশ্নই আসে না। নিহতের পরিবারের অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত না করতে সহায়তা করেছি।’
অনুসন্ধানে জানা গেছে, উপজেলার পাইন্দং ইউনিয়নের আমতল ও রাবারবাগান এবং দাঁতমারা ও বাগানবাজার ইউনিয়নের প্রত্যন্ত এলাকায় প্রতি রাতে চলছে টিলা ও পাহাড় কেটে মাটি বিক্রির মচ্ছব। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে খননযন্ত্র ও ট্রাকের বিকট শব্দে এসব এলাকার মানুষের ঘুমেরও ব্যাঘাত ঘটছে।
দাঁতমারা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বোরহানউদ্দিন বলেন, বিএনপির রাজনীতিতে জড়িত কেউ পাহাড় বা টিলা কাটার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে না। কেউ জড়িত থাকলে সংগঠনের পক্ষ থেকে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ‘বিষয়টি আমরা জেনেছি। পরিবেশ অধিদপ্তরকেও জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের গবেষণা কর্মকর্তা মো. আশরাফ উদ্দিন বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত টিলাগুলো পরিদর্শন করে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশে প্রচলিত বেশ কয়েকটি আইনে যৌক্তিক কারণেই বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেপ্তারের বিধান রয়েছে, অনেক আইনেই কিছু কিছু ক্ষেত্রে নিম্ন আদালতে জামিন না দেওয়ার বিধান রয়েছে। তবে উচ্চতর আদালত জামিন দিয়ে থাকে। সাংবাদিকসহ কোনো কমিউনিটিকে নির্দিষ্ট কোনো ফৌজদারি আইনের আওতার বাইরে রাখা সংবিধানিক মৌলিক অধিকারের পরিপন্থ
১৭ আগস্ট ২০২২
পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটায় জমি কিনে রিসোর্ট করার পরিকল্পনা নিয়েছে বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি)। জমি কিনতে এরই মধ্যে দরপত্র গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হবে শতকোটি টাকার বেশি। নগরবাসী যেখানে নানাবিধ নাগরিক সমস্যায় জর্জরিত, সেখানে বিপুল অর্থ ব্যয়ে এ ধরনের প্রকল্প গ্রহণের...
২ ঘণ্টা আগে
রাজশাহী, পাবনা ও কুষ্টিয়ার পদ্মার চরে এখন মূর্তিমান আতঙ্কের নাম কাঁকন বাহিনী। এই বাহিনীর সদস্যদের বালুমহাল দখল, চরদখল আর চাঁদাবাজির কারণে অতিষ্ঠ কয়েকটি উপজেলার মানুষ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বারবার অভিযান চালিয়েও একাধিক মামলার আসামি সন্ত্রাসী কাঁকনের হদিস পায়নি।
৩ ঘণ্টা আগে
রাজশাহী, পাবনা ও কুষ্টিয়ার পদ্মার চরে এখন মূর্তিমান আতঙ্কের নাম কাঁকন বাহিনী। এই বাহিনীর সদস্যদের বালুমহাল দখল, চরদখল আর চাঁদাবাজির কারণে অতিষ্ঠ কয়েকটি উপজেলার মানুষ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বারবার অভিযান চালিয়েও একাধিক মামলার আসামি সন্ত্রাসী কাঁকনের হদিস পায়নি।
৩ ঘণ্টা আগেরিমন রহমান, রাজশাহী

রাজশাহী, পাবনা ও কুষ্টিয়ার পদ্মার চরে এখন মূর্তিমান আতঙ্কের নাম কাঁকন বাহিনী। এই বাহিনীর সদস্যদের বালুমহাল দখল, চরদখল আর চাঁদাবাজির কারণে অতিষ্ঠ কয়েকটি উপজেলার মানুষ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বারবার অভিযান চালিয়েও একাধিক মামলার আসামি সন্ত্রাসী কাঁকনের হদিস পায়নি। তাই এই বাহিনীর সদস্যরা একের পর এক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে।
সর্বশেষ গত সোমবার রাজশাহীর বাঘা উপজেলার পদ্মা নদীর চর দখলকে কেন্দ্র করে কাঁকন বাহিনীর সদস্যরা নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে। এতে দুজন নিহত হন। গতকাল মঙ্গলবার পদ্মা নদীতে আরেকজনের ভাসমান লাশ পাওয়া যায়। এই ব্যক্তি কাঁকন বাহিনীর সদস্য বলে ধারণা করা হচ্ছে।
রাজশাহীর বাঘা উপজেলার দক্ষিণ পাশ দিয়ে বয়ে গেছে পদ্মা নদী। নদীর ওপারেও বাঘা উপজেলার একটি ইউনিয়ন আছে। আর তার পাশেই কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলা। পদ্মা নদীর পাড়ে বাঘা উপজেলার পূর্বে নাটোরের লালপুর, ঈশ্বরদী ও কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলা। এই পাঁচ উপজেলার পদ্মা নদীর চরে প্রায় এক যুগের বেশি সময় ধরেই একক আধিপত্য কাঁকন বাহিনীর।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, বাহিনীর প্রধান মো. কাঁকনের বয়স ৫০-৫৫ বছর। তাঁর আদি বাড়ি কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের রায়চা গ্রামে। বাবার নাম মৃত জমির উদ্দিন। তিনি একজন স্বাস্থ্য সহকারী ছিলেন। কাঁকন ১৯৯৪ সালে সিভিল বিষয়ে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পন্ন করেন। এরপর একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেছেন। ২০০৭ সালে তিনি সৌদি আরবে চলে যান। কয়েক বছর পর ফিরে এসে আওয়ামী লীগের নেতাদের আশ্রয়ে এলাকার বালুমহালগুলো নিয়ন্ত্রণে নিতে শুরু করেন। এই বালুমহাল নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়েই তিনি গড়ে তোলেন সন্ত্রাসী বাহিনী। এখন এই বাহিনীর সদস্য প্রায় ৪০ জন।
এর মধ্যে পদ্মার দুর্গম চরে ৮-১০ জন অস্ত্রধারী সদস্য সব সময় কাঁকনের সঙ্গেই থাকেন। বাকিরা দৌলতপুর, ভেড়ামারা, ঈশ্বরদী ও লালপুর এলাকায় থেকে বালুমহাল নিয়ন্ত্রণ করেন। বালুমহাল থেকে চাঁদা তোলা তাঁদের কাজ। বালুমহাল থেকে চাঁদা দেওয়া না হলে তাঁরা মাঝপদ্মায় বালু তুলতে যাওয়া নৌযানগুলো আটকে রাখেন। এ কারণে কাঁকন বাহিনীকে চাঁদা দিতে বাধ্য হন বালু ব্যবসায়ীরা। কাঁকন নিজেও বালুমহাল ইজারা নেন।
কাঁকন বাহিনীর এক সদস্যের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কাঁকনের নানিবাড়ির দৌলতপুরের মরিচা ইউনিয়নের বৈরাগীর চরে। এ এলাকা থেকেও কিছু তরুণকে নিজের বাহিনীতে ভিড়িয়েছেন তিনি। পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার মশুরিয়াপাড়া গ্রামেও কাঁকনের একটি বাড়ি আছে। মাঝেমধ্যে তিনি এ বাড়িতে যাতায়াত করেন। তবে এলাকার পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে মাঝেমধ্যেই আশ্রয় নেন দুর্গম চরে। সব সময় থাকেন সশস্ত্র অবস্থায়। পদ্মা নদী শাসনে দাপিয়ে বেড়ানোর জন্য কাঁকনের রয়েছে ব্যক্তিগত স্পিডবোট।
জানা গেছে, কাঁকন বাহিনীর সদস্যরা খুবই বেপরোয়া। তাঁরা কথায় কথায় গোলাগুলি করেন। গত বছরের ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর আওয়ামীঘনিষ্ঠ কাঁকনের আস্ফালন কমবে বলে ধারণা করেছিলেন এলাকার লোকজন। কিন্তু ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে তাঁর দৌরাত্ম্য আরও বেড়ে গেছে। তাঁরা পদ্মা নদীর বিস্তীর্ণ চর আর চরের খড়ের সবই নিজেদের বলে ঘোষণা দিয়েছেন।
একের পর এক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কারণে সবসময় আলোচনায় থাকলেও এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন ইঞ্জিনিয়ার কাঁকন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বারবার অভিযান চালালেও তাঁর টিকিটিও ছুঁতে পারেনি। তবে বাহিনীর কয়েকজন ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন।
এর মধ্যে ঈশ্বরদীর বালুমহালে গোলাগুলির ঘটনায় গত ১১ জুন ঈশ্বরদী থানা-পুলিশ নদীতে অভিযান চালিয়ে দুটি আগ্নেয়াস্ত্রসহ কাঁকন বাহিনীর সদস্য ইয়াছিন আলী, সোনারুল, হবি মণ্ডল, সাগর প্রামাণিক, সোহেল প্রামাণিক ও মিরাজ প্রামাণিক নামের ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে। অভিযানে বালুবোঝাই বাল্কহেডের ইঞ্জিন রুমের ভেতর থেকে একটি ওয়ান শুটারগান, ৪টি তাজা ১২ বোরের কার্তুজ এবং ট্রলারে বিছানো তোশকের নিচ থেকে একটি ক্যালিবার ২২ রিভলবার এবং ২২ বোরের ৪টি গুলি উদ্ধার করা হয়।
কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) মিজানুর রহমান বলেন, ‘কাঁকনের নামে কয়েকটি বালুমহালকেন্দ্রিক মামলা রয়েছে। আমরাও তার নানা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কথা শুনছি।’ তিনি বলেন, ‘রাজশাহী, নাটোর ও পাবনা পড়েছে পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জে। আর কুষ্টিয়া রয়েছে খুলনা রেঞ্জে। এই চার জেলার পদ্মা নদী ও চরে সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধ করতে আমরা সম্প্রতি দুই রেঞ্জ যৌথসভা করেছি। আশা করছি আমরা সমন্বিতভাবে কাজ করে এটা বন্ধ করতে পারব।’
নাটোরের এসপি মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি। পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট) খন্দকার মো. শামীম হোসেন বলেন, সংশ্লিষ্ট জেলার এসপিরা এ বিষয়ে কাজ করছেন।

রাজশাহী, পাবনা ও কুষ্টিয়ার পদ্মার চরে এখন মূর্তিমান আতঙ্কের নাম কাঁকন বাহিনী। এই বাহিনীর সদস্যদের বালুমহাল দখল, চরদখল আর চাঁদাবাজির কারণে অতিষ্ঠ কয়েকটি উপজেলার মানুষ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বারবার অভিযান চালিয়েও একাধিক মামলার আসামি সন্ত্রাসী কাঁকনের হদিস পায়নি। তাই এই বাহিনীর সদস্যরা একের পর এক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে।
সর্বশেষ গত সোমবার রাজশাহীর বাঘা উপজেলার পদ্মা নদীর চর দখলকে কেন্দ্র করে কাঁকন বাহিনীর সদস্যরা নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে। এতে দুজন নিহত হন। গতকাল মঙ্গলবার পদ্মা নদীতে আরেকজনের ভাসমান লাশ পাওয়া যায়। এই ব্যক্তি কাঁকন বাহিনীর সদস্য বলে ধারণা করা হচ্ছে।
রাজশাহীর বাঘা উপজেলার দক্ষিণ পাশ দিয়ে বয়ে গেছে পদ্মা নদী। নদীর ওপারেও বাঘা উপজেলার একটি ইউনিয়ন আছে। আর তার পাশেই কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলা। পদ্মা নদীর পাড়ে বাঘা উপজেলার পূর্বে নাটোরের লালপুর, ঈশ্বরদী ও কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলা। এই পাঁচ উপজেলার পদ্মা নদীর চরে প্রায় এক যুগের বেশি সময় ধরেই একক আধিপত্য কাঁকন বাহিনীর।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, বাহিনীর প্রধান মো. কাঁকনের বয়স ৫০-৫৫ বছর। তাঁর আদি বাড়ি কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের রায়চা গ্রামে। বাবার নাম মৃত জমির উদ্দিন। তিনি একজন স্বাস্থ্য সহকারী ছিলেন। কাঁকন ১৯৯৪ সালে সিভিল বিষয়ে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পন্ন করেন। এরপর একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেছেন। ২০০৭ সালে তিনি সৌদি আরবে চলে যান। কয়েক বছর পর ফিরে এসে আওয়ামী লীগের নেতাদের আশ্রয়ে এলাকার বালুমহালগুলো নিয়ন্ত্রণে নিতে শুরু করেন। এই বালুমহাল নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়েই তিনি গড়ে তোলেন সন্ত্রাসী বাহিনী। এখন এই বাহিনীর সদস্য প্রায় ৪০ জন।
এর মধ্যে পদ্মার দুর্গম চরে ৮-১০ জন অস্ত্রধারী সদস্য সব সময় কাঁকনের সঙ্গেই থাকেন। বাকিরা দৌলতপুর, ভেড়ামারা, ঈশ্বরদী ও লালপুর এলাকায় থেকে বালুমহাল নিয়ন্ত্রণ করেন। বালুমহাল থেকে চাঁদা তোলা তাঁদের কাজ। বালুমহাল থেকে চাঁদা দেওয়া না হলে তাঁরা মাঝপদ্মায় বালু তুলতে যাওয়া নৌযানগুলো আটকে রাখেন। এ কারণে কাঁকন বাহিনীকে চাঁদা দিতে বাধ্য হন বালু ব্যবসায়ীরা। কাঁকন নিজেও বালুমহাল ইজারা নেন।
কাঁকন বাহিনীর এক সদস্যের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কাঁকনের নানিবাড়ির দৌলতপুরের মরিচা ইউনিয়নের বৈরাগীর চরে। এ এলাকা থেকেও কিছু তরুণকে নিজের বাহিনীতে ভিড়িয়েছেন তিনি। পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার মশুরিয়াপাড়া গ্রামেও কাঁকনের একটি বাড়ি আছে। মাঝেমধ্যে তিনি এ বাড়িতে যাতায়াত করেন। তবে এলাকার পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে মাঝেমধ্যেই আশ্রয় নেন দুর্গম চরে। সব সময় থাকেন সশস্ত্র অবস্থায়। পদ্মা নদী শাসনে দাপিয়ে বেড়ানোর জন্য কাঁকনের রয়েছে ব্যক্তিগত স্পিডবোট।
জানা গেছে, কাঁকন বাহিনীর সদস্যরা খুবই বেপরোয়া। তাঁরা কথায় কথায় গোলাগুলি করেন। গত বছরের ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর আওয়ামীঘনিষ্ঠ কাঁকনের আস্ফালন কমবে বলে ধারণা করেছিলেন এলাকার লোকজন। কিন্তু ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে তাঁর দৌরাত্ম্য আরও বেড়ে গেছে। তাঁরা পদ্মা নদীর বিস্তীর্ণ চর আর চরের খড়ের সবই নিজেদের বলে ঘোষণা দিয়েছেন।
একের পর এক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কারণে সবসময় আলোচনায় থাকলেও এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন ইঞ্জিনিয়ার কাঁকন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বারবার অভিযান চালালেও তাঁর টিকিটিও ছুঁতে পারেনি। তবে বাহিনীর কয়েকজন ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন।
এর মধ্যে ঈশ্বরদীর বালুমহালে গোলাগুলির ঘটনায় গত ১১ জুন ঈশ্বরদী থানা-পুলিশ নদীতে অভিযান চালিয়ে দুটি আগ্নেয়াস্ত্রসহ কাঁকন বাহিনীর সদস্য ইয়াছিন আলী, সোনারুল, হবি মণ্ডল, সাগর প্রামাণিক, সোহেল প্রামাণিক ও মিরাজ প্রামাণিক নামের ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে। অভিযানে বালুবোঝাই বাল্কহেডের ইঞ্জিন রুমের ভেতর থেকে একটি ওয়ান শুটারগান, ৪টি তাজা ১২ বোরের কার্তুজ এবং ট্রলারে বিছানো তোশকের নিচ থেকে একটি ক্যালিবার ২২ রিভলবার এবং ২২ বোরের ৪টি গুলি উদ্ধার করা হয়।
কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) মিজানুর রহমান বলেন, ‘কাঁকনের নামে কয়েকটি বালুমহালকেন্দ্রিক মামলা রয়েছে। আমরাও তার নানা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কথা শুনছি।’ তিনি বলেন, ‘রাজশাহী, নাটোর ও পাবনা পড়েছে পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জে। আর কুষ্টিয়া রয়েছে খুলনা রেঞ্জে। এই চার জেলার পদ্মা নদী ও চরে সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধ করতে আমরা সম্প্রতি দুই রেঞ্জ যৌথসভা করেছি। আশা করছি আমরা সমন্বিতভাবে কাজ করে এটা বন্ধ করতে পারব।’
নাটোরের এসপি মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি। পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট) খন্দকার মো. শামীম হোসেন বলেন, সংশ্লিষ্ট জেলার এসপিরা এ বিষয়ে কাজ করছেন।

বাংলাদেশে প্রচলিত বেশ কয়েকটি আইনে যৌক্তিক কারণেই বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেপ্তারের বিধান রয়েছে, অনেক আইনেই কিছু কিছু ক্ষেত্রে নিম্ন আদালতে জামিন না দেওয়ার বিধান রয়েছে। তবে উচ্চতর আদালত জামিন দিয়ে থাকে। সাংবাদিকসহ কোনো কমিউনিটিকে নির্দিষ্ট কোনো ফৌজদারি আইনের আওতার বাইরে রাখা সংবিধানিক মৌলিক অধিকারের পরিপন্থ
১৭ আগস্ট ২০২২
পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটায় জমি কিনে রিসোর্ট করার পরিকল্পনা নিয়েছে বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি)। জমি কিনতে এরই মধ্যে দরপত্র গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হবে শতকোটি টাকার বেশি। নগরবাসী যেখানে নানাবিধ নাগরিক সমস্যায় জর্জরিত, সেখানে বিপুল অর্থ ব্যয়ে এ ধরনের প্রকল্প গ্রহণের...
২ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার দাঁতমারা ইউনিয়নে রাজনৈতিক প্রভাবে অবৈধভাবে চলছে টিলা কেটে মাটি বিক্রির মচ্ছব। স্থানীয় ইউনিয়ন বিএনপির এক নেতা এ মাটি কাটার কাজে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে দীর্ঘদিন ধরে টিলা কেটে মাটি বিক্রি চললেও জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
২ ঘণ্টা আগে
রাজশাহী, পাবনা ও কুষ্টিয়ার পদ্মার চরে এখন মূর্তিমান আতঙ্কের নাম কাঁকন বাহিনী। এই বাহিনীর সদস্যদের বালুমহাল দখল, চরদখল আর চাঁদাবাজির কারণে অতিষ্ঠ কয়েকটি উপজেলার মানুষ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বারবার অভিযান চালিয়েও একাধিক মামলার আসামি সন্ত্রাসী কাঁকনের হদিস পায়নি।
৩ ঘণ্টা আগেরাজশাহী-পাবনা-কুষ্টিয়া
রিমন রহমান, রাজশাহী

রাজশাহী, পাবনা ও কুষ্টিয়ার পদ্মার চরে এখন মূর্তিমান আতঙ্কের নাম কাঁকন বাহিনী। এই বাহিনীর সদস্যদের বালুমহাল দখল, চরদখল আর চাঁদাবাজির কারণে অতিষ্ঠ কয়েকটি উপজেলার মানুষ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বারবার অভিযান চালিয়েও একাধিক মামলার আসামি সন্ত্রাসী কাঁকনের হদিস পায়নি। তাই এই বাহিনীর সদস্যরা একের পর এক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে।
সর্বশেষ গত সোমবার রাজশাহীর বাঘা উপজেলার পদ্মা নদীর চর দখলকে কেন্দ্র করে কাঁকন বাহিনীর সদস্যরা নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে। এতে দুজন নিহত হন। গতকাল মঙ্গলবার পদ্মা নদীতে আরেকজনের ভাসমান লাশ পাওয়া যায়। এই ব্যক্তি কাঁকন বাহিনীর সদস্য বলে ধারণা করা হচ্ছে।
রাজশাহীর বাঘা উপজেলার দক্ষিণ পাশ দিয়ে বয়ে গেছে পদ্মা নদী। নদীর ওপারেও বাঘা উপজেলার একটি ইউনিয়ন আছে। আর তার পাশেই কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলা। পদ্মা নদীর পাড়ে বাঘা উপজেলার পূর্বে নাটোরের লালপুর, ঈশ্বরদী ও কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলা। এই পাঁচ উপজেলার পদ্মা নদীর চরে প্রায় এক যুগের বেশি সময় ধরেই একক আধিপত্য কাঁকন বাহিনীর।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, বাহিনীর প্রধান মো. কাঁকনের বয়স ৫০-৫৫ বছর। তাঁর আদি বাড়ি কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের রায়চা গ্রামে। বাবার নাম মৃত জমির উদ্দিন। তিনি একজন স্বাস্থ্য সহকারী ছিলেন। কাঁকন ১৯৯৪ সালে সিভিল বিষয়ে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পন্ন করেন। এরপর একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেছেন। ২০০৭ সালে তিনি সৌদি আরবে চলে যান। কয়েক বছর পর ফিরে এসে আওয়ামী লীগের নেতাদের আশ্রয়ে এলাকার বালুমহালগুলো নিয়ন্ত্রণে নিতে শুরু করেন। এই বালুমহাল নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়েই তিনি গড়ে তোলেন সন্ত্রাসী বাহিনী। এখন এই বাহিনীর সদস্য প্রায় ৪০ জন।
এর মধ্যে পদ্মার দুর্গম চরে ৮-১০ জন অস্ত্রধারী সদস্য সব সময় কাঁকনের সঙ্গেই থাকেন। বাকিরা দৌলতপুর, ভেড়ামারা, ঈশ্বরদী ও লালপুর এলাকায় থেকে বালুমহাল নিয়ন্ত্রণ করেন। বালুমহাল থেকে চাঁদা তোলা তাঁদের কাজ। বালুমহাল থেকে চাঁদা দেওয়া না হলে তাঁরা মাঝপদ্মায় বালু তুলতে যাওয়া নৌযানগুলো আটকে রাখেন। এ কারণে কাঁকন বাহিনীকে চাঁদা দিতে বাধ্য হন বালু ব্যবসায়ীরা। কাঁকন নিজেও বালুমহাল ইজারা নেন।
কাঁকন বাহিনীর এক সদস্যের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কাঁকনের নানিবাড়ির দৌলতপুরের মরিচা ইউনিয়নের বৈরাগীর চরে। এ এলাকা থেকেও কিছু তরুণকে নিজের বাহিনীতে ভিড়িয়েছেন তিনি। পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার মশুরিয়াপাড়া গ্রামেও কাঁকনের একটি বাড়ি আছে। মাঝেমধ্যে তিনি এ বাড়িতে যাতায়াত করেন। তবে এলাকার পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে মাঝেমধ্যেই আশ্রয় নেন দুর্গম চরে। সব সময় থাকেন সশস্ত্র অবস্থায়। পদ্মা নদী শাসনে দাপিয়ে বেড়ানোর জন্য কাঁকনের রয়েছে ব্যক্তিগত স্পিডবোট।
কথায় কথায় গুলি
জানা গেছে, কাঁকন বাহিনীর সদস্যরা খুবই বেপরোয়া। তাঁরা কথায় কথায় গোলাগুলি করেন। গত বছরের ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর আওয়ামীঘনিষ্ঠ কাঁকনের আস্ফালন কমবে বলে ধারণা করেছিলেন এলাকার লোকজন। কিন্তু ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে তাঁর দৌরাত্ম্য আরও বেড়ে গেছে। তাঁরা পদ্মা নদীর বিস্তীর্ণ চর আর চরের খড়ের সবই নিজেদের বলে ঘোষণা দিয়েছেন।
সোমবার দুপুরে বাঘার চরাঞ্চলের নীচ খানপুর গ্রামের কিছু ব্যক্তি চরে খড় কাটতে যান। এতে বাধা দেন কাঁকন বাহিনীর সন্ত্রাসীরা। তখন কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে গুলি ছোড়া হয়। নীচ খানপুর গ্রামের বেলাল হোসেন জানান, তাঁরা খড় কাটা শুরু করলে কাঁকন বাহিনীর লোকজন গিয়ে বাধা দেন। এরপর আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকেন।
এতে আমান মণ্ডল, মুনতাজ মণ্ডল, নাজমুল মণ্ডল ও রাবিক হোসেন নামের চারজন গুলিবিদ্ধ হন। এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ার কারণে প্রথমে আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করা যায়নি। পরে লোকজন গেলে কাঁকন বাহিনীর সদস্যরা সরে যান। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। এ ঘটনায় আমান মণ্ডল ও নাজমুল মণ্ডল মারা যান। বারিক ও মুনতাজ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বাঘা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সুপ্রভাত মণ্ডল জানান, গতকাল ভেড়ামারা এলাকায় পদ্মা নদীর চরে আটকে থাকা এক ব্যক্তির লাশ পাওয়া গেছে। তাঁর নাম মো. লিটন। তাঁর বাড়িও ভেড়ামারায়। তাঁর শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাত পাওয়া গেছে। ঈশ্বরদীর লক্ষ্মীকুণ্ডা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা তাঁর লাশ উদ্ধার করেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, লিটন কাঁকন বাহিনীর সদস্য ছিলেন। গোলাগুলির সময় তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তবে এ বিষয়টি পুলিশ পুরোপুরি নিশ্চিত হতে পারেনি। গোলাগুলির ঘটনায় কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানায় মামলা করা হবে বলেও জানান তিনি।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোলায়মান শেখ জানান, মামলার পর এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কাঁকন বাহিনীর সদস্যরা মাঝেমধ্যেই এলাকায় গোলাগুলি করে আতঙ্ক সৃষ্টি করেন। গত ৫ জুন ঈশ্বরদী উপজেলার সাড়াঘাটে বালুমহলের নিয়ন্ত্রণ নিতে ফিল্মি স্টাইলে অস্ত্রের মহড়া ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটান কাঁকন বাহিনীর সদস্যরা। সেদিন তাঁরা ট্রাক, পেলোডার, মোটরসাইকেল এবং বালু বিক্রির অফিসে ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেন। ওই ঘর থেকে তাঁরা টাকাও লুট করেন।
ঈশ্বরদী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সদস্যসচিব মেহেদী হাসান জানান, বামনগাঁ নৌকা পারাপার ও সাড়া রানাখড়িয়া মহাল ঘাটের ইজারাদার তিনি। ঘাটের বৈধ ইজারাদার হওয়ার পরও কাঁকন বাহিনীকে চাঁদা না দেওয়ায় কাজ করতে পারছিলেন না। তাঁরা গোলাগুলি করে বালুমহালটিই দখল করে নিয়েছিলেন। কাঁকন বাহিনীর ভয়ে এলাকার জেলেরা নদীতে মাছ ধরতে যেতে পারেন না। কৃষকেরা চরের জমিতে চাষাবাদ করতে পারেন না। ৬ অক্টোবরও তাদের লোকজনের ওপর গুলিবর্ষণ করা হয়েছিল। এতে দুজন গুলিবিদ্ধ হন। এই হামলার সঙ্গেও কাঁকন বাহিনী জড়িত বলে তিনি ধারণা করেন।
এর আগে ৫ মে দিনদুপুরে নদীপথে স্পিডবোট ও ট্রলারে গিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে কাঁকন বাহিনী। ৯ জুন সাড়া ইসলামপাড়া বালুঘাটের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চার যুবলীগ কর্মীকে নৌকাসহ তুলে নিয়ে বেধড়ক মারধর ও কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ ওঠে কাঁকন বাহিনীর বিরুদ্ধে। সেদিন নিজেই গিয়েছিলেন ইঞ্জিনিয়ার কাঁকন। চার যুবলীগ কর্মীকে কাঁকন তাদের স্পিডবোটে উঠিয়ে লালপুর প্রান্তের নদীর চরে নিয়ে বেদম মারধর ও কুপিয়ে জখম করেন। পরে রবু নামের একজনকে মৃত ভেবে পদ্মার চরে ফেলে রেখে যান। খবর পেয়ে নৌ পুলিশ ও বালুঘাটের অন্যা বালু ব্যবসায়ীরা চারজনকে উদ্ধার করেন।
১২ জুলাই দুপুরে কাঁকন বাহিনীর সন্ত্রাসীরা স্পিডবোট নিয়ে গিয়ে ঈশ্বরদীর যুবদল নেতা টনি বিশ্বাসের বালুবোঝাই নৌকা থেকে চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দিলে তাঁরা ঘাটে গিয়ে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করেন। এতে সোহান হোসেন নামের স্থানীয় এক কৃষক গুলিবিদ্ধ হন। পদ্মা নদী ও চরে একক আধিপত্য বিস্তারে এভাবে যখন-তখন গোলাগুলি করে কাঁকন বাহিনী।
ধরাছোঁয়ার বাইরে কাঁকন
একের পর এক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কারণে সবসময় আলোচনায় থাকলেও এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন ইঞ্জিনিয়ার কাঁকন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বারবার অভিযান চালালেও তাঁর টিকিটিও ছুঁতে পারেনি। তবে বাহিনীর কয়েকজন ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন।
এর মধ্যে ঈশ্বরদীর বালুমহালে গোলাগুলির ঘটনায় গত ১১ জুন ঈশ্বরদী থানা-পুলিশ নদীতে অভিযান চালিয়ে দুটি আগ্নেয়াস্ত্রসহ কাঁকন বাহিনীর সদস্য ইয়াছিন আলী, সোনারুল, হবি মণ্ডল, সাগর প্রামাণিক, সোহেল প্রামাণিক ও মিরাজ প্রামাণিক নামের ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে। অভিযানে বালুবোঝাই বাল্কহেডের ইঞ্জিন রুমের ভেতর থেকে একটি ওয়ান শুটারগান,৪টি তাজা ১২ বোরের কার্তুজ এবং ট্রলারে বিছানো তোশকের নিচ থেকে একটি ক্যালিবার ২২ রিভলবার এবং ২২ বোরের ৪টি গুলি উদ্ধার করা হয়।
গত ১৭ জুলাই ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত ঈশ্বরদীর সাড়াঘাট ও লালপুরের দিয়ার বাহাদুরপুর এলাকায় অভিযান চালান সেনাবাহিনীর পাবনা ও নাটোর ক্যাম্পের সদস্যরা। অভিযানে কাঁকনের ভায়রা ভাই মেহেফুজ সোহাগ, বাহিনীর সদস্য আশরাফুল ইসলাম বাপ্পি ও রোকেয়া খাতুন নামের এক নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযানে তিনটি বিদেশি অস্ত্র, গোলাবারুদ, মাদকদ্রব্য, একটি মাথার খুলি ও প্রায় ১২ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়াও চাঁদাবাজি ও অবৈধ বালুমহালের টাকার ভাগবাঁটোয়ারার তালিকাও উদ্ধার করা হয়। তবে এসব অভিযানে পাওয়া যায়নি কাঁকনকে। তিনি এখনো রয়েছেন আত্মগোপনে। কথা বলার জন্য নানাভাবে চেষ্টা করেও কাঁকনের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
পুলিশ যা বলছে
কাঁকনের বিষয়ে জানতে চাইলে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) মিজানুর রহমান বলেন, ‘কাঁকনের নামে কয়েকটি বালুমহালকেন্দ্রিক মামলা রয়েছে। আমরাও তার নানা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কথা শুনছি। কিন্তু কেউ এসে সুনির্দিষ্টভাবে অভিযোগ করে না। আমরা এটা নিয়ে কাজ করেছি।’ তিনি বলেন, ‘রাজশাহী, নাটোর ও পাবনা পড়েছে পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জে। আর কুষ্টিয়া রয়েছে খুলনা রেঞ্জে। এই চার জেলার পদ্মা নদী ও চরে সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধ করতে আমরা সম্প্রতি দুই রেঞ্জ যৌথসভা করেছি। আশা করছি আমরা সমন্বিতভাবে কাজ করে এটা বন্ধ করতে পারব।’
নাটোরের এসপি মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি। পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট) খন্দকার মো. শামীম হোসেন বলেন, সংশ্লিষ্ট জেলার এসপিরা এ বিষয়ে কাজ করছেন।

রাজশাহী, পাবনা ও কুষ্টিয়ার পদ্মার চরে এখন মূর্তিমান আতঙ্কের নাম কাঁকন বাহিনী। এই বাহিনীর সদস্যদের বালুমহাল দখল, চরদখল আর চাঁদাবাজির কারণে অতিষ্ঠ কয়েকটি উপজেলার মানুষ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বারবার অভিযান চালিয়েও একাধিক মামলার আসামি সন্ত্রাসী কাঁকনের হদিস পায়নি। তাই এই বাহিনীর সদস্যরা একের পর এক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে।
সর্বশেষ গত সোমবার রাজশাহীর বাঘা উপজেলার পদ্মা নদীর চর দখলকে কেন্দ্র করে কাঁকন বাহিনীর সদস্যরা নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে। এতে দুজন নিহত হন। গতকাল মঙ্গলবার পদ্মা নদীতে আরেকজনের ভাসমান লাশ পাওয়া যায়। এই ব্যক্তি কাঁকন বাহিনীর সদস্য বলে ধারণা করা হচ্ছে।
রাজশাহীর বাঘা উপজেলার দক্ষিণ পাশ দিয়ে বয়ে গেছে পদ্মা নদী। নদীর ওপারেও বাঘা উপজেলার একটি ইউনিয়ন আছে। আর তার পাশেই কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলা। পদ্মা নদীর পাড়ে বাঘা উপজেলার পূর্বে নাটোরের লালপুর, ঈশ্বরদী ও কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলা। এই পাঁচ উপজেলার পদ্মা নদীর চরে প্রায় এক যুগের বেশি সময় ধরেই একক আধিপত্য কাঁকন বাহিনীর।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, বাহিনীর প্রধান মো. কাঁকনের বয়স ৫০-৫৫ বছর। তাঁর আদি বাড়ি কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের রায়চা গ্রামে। বাবার নাম মৃত জমির উদ্দিন। তিনি একজন স্বাস্থ্য সহকারী ছিলেন। কাঁকন ১৯৯৪ সালে সিভিল বিষয়ে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পন্ন করেন। এরপর একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেছেন। ২০০৭ সালে তিনি সৌদি আরবে চলে যান। কয়েক বছর পর ফিরে এসে আওয়ামী লীগের নেতাদের আশ্রয়ে এলাকার বালুমহালগুলো নিয়ন্ত্রণে নিতে শুরু করেন। এই বালুমহাল নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়েই তিনি গড়ে তোলেন সন্ত্রাসী বাহিনী। এখন এই বাহিনীর সদস্য প্রায় ৪০ জন।
এর মধ্যে পদ্মার দুর্গম চরে ৮-১০ জন অস্ত্রধারী সদস্য সব সময় কাঁকনের সঙ্গেই থাকেন। বাকিরা দৌলতপুর, ভেড়ামারা, ঈশ্বরদী ও লালপুর এলাকায় থেকে বালুমহাল নিয়ন্ত্রণ করেন। বালুমহাল থেকে চাঁদা তোলা তাঁদের কাজ। বালুমহাল থেকে চাঁদা দেওয়া না হলে তাঁরা মাঝপদ্মায় বালু তুলতে যাওয়া নৌযানগুলো আটকে রাখেন। এ কারণে কাঁকন বাহিনীকে চাঁদা দিতে বাধ্য হন বালু ব্যবসায়ীরা। কাঁকন নিজেও বালুমহাল ইজারা নেন।
কাঁকন বাহিনীর এক সদস্যের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কাঁকনের নানিবাড়ির দৌলতপুরের মরিচা ইউনিয়নের বৈরাগীর চরে। এ এলাকা থেকেও কিছু তরুণকে নিজের বাহিনীতে ভিড়িয়েছেন তিনি। পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার মশুরিয়াপাড়া গ্রামেও কাঁকনের একটি বাড়ি আছে। মাঝেমধ্যে তিনি এ বাড়িতে যাতায়াত করেন। তবে এলাকার পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে মাঝেমধ্যেই আশ্রয় নেন দুর্গম চরে। সব সময় থাকেন সশস্ত্র অবস্থায়। পদ্মা নদী শাসনে দাপিয়ে বেড়ানোর জন্য কাঁকনের রয়েছে ব্যক্তিগত স্পিডবোট।
কথায় কথায় গুলি
জানা গেছে, কাঁকন বাহিনীর সদস্যরা খুবই বেপরোয়া। তাঁরা কথায় কথায় গোলাগুলি করেন। গত বছরের ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর আওয়ামীঘনিষ্ঠ কাঁকনের আস্ফালন কমবে বলে ধারণা করেছিলেন এলাকার লোকজন। কিন্তু ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে তাঁর দৌরাত্ম্য আরও বেড়ে গেছে। তাঁরা পদ্মা নদীর বিস্তীর্ণ চর আর চরের খড়ের সবই নিজেদের বলে ঘোষণা দিয়েছেন।
সোমবার দুপুরে বাঘার চরাঞ্চলের নীচ খানপুর গ্রামের কিছু ব্যক্তি চরে খড় কাটতে যান। এতে বাধা দেন কাঁকন বাহিনীর সন্ত্রাসীরা। তখন কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে গুলি ছোড়া হয়। নীচ খানপুর গ্রামের বেলাল হোসেন জানান, তাঁরা খড় কাটা শুরু করলে কাঁকন বাহিনীর লোকজন গিয়ে বাধা দেন। এরপর আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকেন।
এতে আমান মণ্ডল, মুনতাজ মণ্ডল, নাজমুল মণ্ডল ও রাবিক হোসেন নামের চারজন গুলিবিদ্ধ হন। এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ার কারণে প্রথমে আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করা যায়নি। পরে লোকজন গেলে কাঁকন বাহিনীর সদস্যরা সরে যান। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। এ ঘটনায় আমান মণ্ডল ও নাজমুল মণ্ডল মারা যান। বারিক ও মুনতাজ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বাঘা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সুপ্রভাত মণ্ডল জানান, গতকাল ভেড়ামারা এলাকায় পদ্মা নদীর চরে আটকে থাকা এক ব্যক্তির লাশ পাওয়া গেছে। তাঁর নাম মো. লিটন। তাঁর বাড়িও ভেড়ামারায়। তাঁর শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাত পাওয়া গেছে। ঈশ্বরদীর লক্ষ্মীকুণ্ডা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা তাঁর লাশ উদ্ধার করেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, লিটন কাঁকন বাহিনীর সদস্য ছিলেন। গোলাগুলির সময় তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তবে এ বিষয়টি পুলিশ পুরোপুরি নিশ্চিত হতে পারেনি। গোলাগুলির ঘটনায় কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানায় মামলা করা হবে বলেও জানান তিনি।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোলায়মান শেখ জানান, মামলার পর এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কাঁকন বাহিনীর সদস্যরা মাঝেমধ্যেই এলাকায় গোলাগুলি করে আতঙ্ক সৃষ্টি করেন। গত ৫ জুন ঈশ্বরদী উপজেলার সাড়াঘাটে বালুমহলের নিয়ন্ত্রণ নিতে ফিল্মি স্টাইলে অস্ত্রের মহড়া ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটান কাঁকন বাহিনীর সদস্যরা। সেদিন তাঁরা ট্রাক, পেলোডার, মোটরসাইকেল এবং বালু বিক্রির অফিসে ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেন। ওই ঘর থেকে তাঁরা টাকাও লুট করেন।
ঈশ্বরদী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সদস্যসচিব মেহেদী হাসান জানান, বামনগাঁ নৌকা পারাপার ও সাড়া রানাখড়িয়া মহাল ঘাটের ইজারাদার তিনি। ঘাটের বৈধ ইজারাদার হওয়ার পরও কাঁকন বাহিনীকে চাঁদা না দেওয়ায় কাজ করতে পারছিলেন না। তাঁরা গোলাগুলি করে বালুমহালটিই দখল করে নিয়েছিলেন। কাঁকন বাহিনীর ভয়ে এলাকার জেলেরা নদীতে মাছ ধরতে যেতে পারেন না। কৃষকেরা চরের জমিতে চাষাবাদ করতে পারেন না। ৬ অক্টোবরও তাদের লোকজনের ওপর গুলিবর্ষণ করা হয়েছিল। এতে দুজন গুলিবিদ্ধ হন। এই হামলার সঙ্গেও কাঁকন বাহিনী জড়িত বলে তিনি ধারণা করেন।
এর আগে ৫ মে দিনদুপুরে নদীপথে স্পিডবোট ও ট্রলারে গিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে কাঁকন বাহিনী। ৯ জুন সাড়া ইসলামপাড়া বালুঘাটের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চার যুবলীগ কর্মীকে নৌকাসহ তুলে নিয়ে বেধড়ক মারধর ও কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ ওঠে কাঁকন বাহিনীর বিরুদ্ধে। সেদিন নিজেই গিয়েছিলেন ইঞ্জিনিয়ার কাঁকন। চার যুবলীগ কর্মীকে কাঁকন তাদের স্পিডবোটে উঠিয়ে লালপুর প্রান্তের নদীর চরে নিয়ে বেদম মারধর ও কুপিয়ে জখম করেন। পরে রবু নামের একজনকে মৃত ভেবে পদ্মার চরে ফেলে রেখে যান। খবর পেয়ে নৌ পুলিশ ও বালুঘাটের অন্যা বালু ব্যবসায়ীরা চারজনকে উদ্ধার করেন।
১২ জুলাই দুপুরে কাঁকন বাহিনীর সন্ত্রাসীরা স্পিডবোট নিয়ে গিয়ে ঈশ্বরদীর যুবদল নেতা টনি বিশ্বাসের বালুবোঝাই নৌকা থেকে চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দিলে তাঁরা ঘাটে গিয়ে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করেন। এতে সোহান হোসেন নামের স্থানীয় এক কৃষক গুলিবিদ্ধ হন। পদ্মা নদী ও চরে একক আধিপত্য বিস্তারে এভাবে যখন-তখন গোলাগুলি করে কাঁকন বাহিনী।
ধরাছোঁয়ার বাইরে কাঁকন
একের পর এক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কারণে সবসময় আলোচনায় থাকলেও এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন ইঞ্জিনিয়ার কাঁকন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বারবার অভিযান চালালেও তাঁর টিকিটিও ছুঁতে পারেনি। তবে বাহিনীর কয়েকজন ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন।
এর মধ্যে ঈশ্বরদীর বালুমহালে গোলাগুলির ঘটনায় গত ১১ জুন ঈশ্বরদী থানা-পুলিশ নদীতে অভিযান চালিয়ে দুটি আগ্নেয়াস্ত্রসহ কাঁকন বাহিনীর সদস্য ইয়াছিন আলী, সোনারুল, হবি মণ্ডল, সাগর প্রামাণিক, সোহেল প্রামাণিক ও মিরাজ প্রামাণিক নামের ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে। অভিযানে বালুবোঝাই বাল্কহেডের ইঞ্জিন রুমের ভেতর থেকে একটি ওয়ান শুটারগান,৪টি তাজা ১২ বোরের কার্তুজ এবং ট্রলারে বিছানো তোশকের নিচ থেকে একটি ক্যালিবার ২২ রিভলবার এবং ২২ বোরের ৪টি গুলি উদ্ধার করা হয়।
গত ১৭ জুলাই ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত ঈশ্বরদীর সাড়াঘাট ও লালপুরের দিয়ার বাহাদুরপুর এলাকায় অভিযান চালান সেনাবাহিনীর পাবনা ও নাটোর ক্যাম্পের সদস্যরা। অভিযানে কাঁকনের ভায়রা ভাই মেহেফুজ সোহাগ, বাহিনীর সদস্য আশরাফুল ইসলাম বাপ্পি ও রোকেয়া খাতুন নামের এক নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযানে তিনটি বিদেশি অস্ত্র, গোলাবারুদ, মাদকদ্রব্য, একটি মাথার খুলি ও প্রায় ১২ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়াও চাঁদাবাজি ও অবৈধ বালুমহালের টাকার ভাগবাঁটোয়ারার তালিকাও উদ্ধার করা হয়। তবে এসব অভিযানে পাওয়া যায়নি কাঁকনকে। তিনি এখনো রয়েছেন আত্মগোপনে। কথা বলার জন্য নানাভাবে চেষ্টা করেও কাঁকনের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
পুলিশ যা বলছে
কাঁকনের বিষয়ে জানতে চাইলে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) মিজানুর রহমান বলেন, ‘কাঁকনের নামে কয়েকটি বালুমহালকেন্দ্রিক মামলা রয়েছে। আমরাও তার নানা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কথা শুনছি। কিন্তু কেউ এসে সুনির্দিষ্টভাবে অভিযোগ করে না। আমরা এটা নিয়ে কাজ করেছি।’ তিনি বলেন, ‘রাজশাহী, নাটোর ও পাবনা পড়েছে পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জে। আর কুষ্টিয়া রয়েছে খুলনা রেঞ্জে। এই চার জেলার পদ্মা নদী ও চরে সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধ করতে আমরা সম্প্রতি দুই রেঞ্জ যৌথসভা করেছি। আশা করছি আমরা সমন্বিতভাবে কাজ করে এটা বন্ধ করতে পারব।’
নাটোরের এসপি মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি। পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট) খন্দকার মো. শামীম হোসেন বলেন, সংশ্লিষ্ট জেলার এসপিরা এ বিষয়ে কাজ করছেন।

বাংলাদেশে প্রচলিত বেশ কয়েকটি আইনে যৌক্তিক কারণেই বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেপ্তারের বিধান রয়েছে, অনেক আইনেই কিছু কিছু ক্ষেত্রে নিম্ন আদালতে জামিন না দেওয়ার বিধান রয়েছে। তবে উচ্চতর আদালত জামিন দিয়ে থাকে। সাংবাদিকসহ কোনো কমিউনিটিকে নির্দিষ্ট কোনো ফৌজদারি আইনের আওতার বাইরে রাখা সংবিধানিক মৌলিক অধিকারের পরিপন্থ
১৭ আগস্ট ২০২২
পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটায় জমি কিনে রিসোর্ট করার পরিকল্পনা নিয়েছে বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি)। জমি কিনতে এরই মধ্যে দরপত্র গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হবে শতকোটি টাকার বেশি। নগরবাসী যেখানে নানাবিধ নাগরিক সমস্যায় জর্জরিত, সেখানে বিপুল অর্থ ব্যয়ে এ ধরনের প্রকল্প গ্রহণের...
২ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার দাঁতমারা ইউনিয়নে রাজনৈতিক প্রভাবে অবৈধভাবে চলছে টিলা কেটে মাটি বিক্রির মচ্ছব। স্থানীয় ইউনিয়ন বিএনপির এক নেতা এ মাটি কাটার কাজে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে দীর্ঘদিন ধরে টিলা কেটে মাটি বিক্রি চললেও জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
২ ঘণ্টা আগে
রাজশাহী, পাবনা ও কুষ্টিয়ার পদ্মার চরে এখন মূর্তিমান আতঙ্কের নাম কাঁকন বাহিনী। এই বাহিনীর সদস্যদের বালুমহাল দখল, চরদখল আর চাঁদাবাজির কারণে অতিষ্ঠ কয়েকটি উপজেলার মানুষ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বারবার অভিযান চালিয়েও একাধিক মামলার আসামি সন্ত্রাসী কাঁকনের হদিস পায়নি।
৩ ঘণ্টা আগে