নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
নাগরিক সমস্যা সমাধানে অবশেষে এক টেবিলে বসেছেন নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী তিন জনপ্রতিনিধি সিটি মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী, সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান ও শামীম ওসমান। আজ শনিবার নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে ফুটপাতের হকার, ইজিবাইক, অবৈধ স্ট্যান্ড ও যানবাহন উচ্ছেদে একমত হয়েছেন তাঁরা। আগামী রোববার থেকে এই অভিযান শুরু হবে।
বৈঠক তাঁরা ছাড়াও নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হক, ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার আমির খসরু, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বাবু চন্দন শীল, বিআরটিএর সহকারী পরিচালক শামসুল কবীর ও জেলা পুলিশের এএসপি রুহুল আমিন সাগর উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে মেয়র আইভী বলেন, ‘আমার বড় দুই ভাই (সেলিম ওসমান ও শামীম ওসমান) চাইলেই সমস্যা সমাধান করা সম্ভব। এই শহরে যত্রতত্র হকার বসতে পারে না। শহর এখন বাস-ট্রাকের শহরে রূপ নিয়েছে। পরিবহনমালিকেরা দাপটের সঙ্গে রাস্তা দখল করে রাখে। আমরা ছয় শ হকারকে পুনর্বাসন করেছি। কিন্তু তারা দোকান বিক্রি করে দিয়ে আবার রাস্তায় বসে। এদের বারবার পুনর্বাসন সম্ভব নয়।’
তিনি বলেন, ‘অবৈধ স্ট্যান্ড রাস্তা দখল করে রাখে। আমি আমার দুই ভাইয়ের কাছে এই বিষয়ে সমাধান চাই। তাঁদের কথা দিয়ে যেতে হবে, তাঁরা এর সমাধান করবেন। কারণ, পুলিশ প্রশাসন আমার কথা শোনে না, আপনাদের কথা শোনে। তাই আপনাদের কাছে দায়িত্ব দিলাম। আমাকে কী করতে হবে বলবেন। আমি সেটা করব।’
নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের এমপি সেলিম ওসমান বলেন, ‘প্রশাসনকে চিন্তা করতে হবে প্রশাসনের মতো। হকারদের নিয়ে চিন্তা তাদের করতে হবে না। হকার কোথায় যাবে, সেটা জনপ্রতিনিধিদের দেখার বিষয়, প্রশাসনের নয়। একসময় আদমজী জুট মিলের ওপর নারায়ণগঞ্জ নির্ভর ছিল, জুট উঠে যাওয়ার পর মানুষ কি মারা গেছে? সুতরাং হকার তুলে দিলে কিছুই হবে না। সবাই কোনোভাবে উপার্জনের ব্যবস্থা করে নেবে। প্রয়োজনে আমরা সহায়তা করব।’
তিনি বলেন, ‘প্রশাসনকে বলব, ‘শহরের অবৈধ বাস, লেগুনাস্ট্যান্ড, সিএনজিস্ট্যান্ড কারা চালায়, আমাকে তালিকা দিন। কথা দিচ্ছি, রোজার আগেই এগুলো সব খালি হয়ে যাবে। আর আমার ছোট ভাই শামীম ওসমান আছে এখানে, সে চাইলে আরও আগে সম্ভব। তাঁর শক্তি আছে, কর্মী বাহিনী আছে। সে পারবে বলে আমরা বিশ্বাস রাখি।’
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেন, ‘আমি হকারের পক্ষে ছিলাম, এটা সত্য; কারণ, আমি গরিব মানুষের পক্ষে বেশি থাকি। এখন মেয়র চাচ্ছেন, আমার ভাইও চাচ্ছেন হকার না থাকুক। আমি তার বিপরীতে বলব না। তবে হকার মুক্ত করলে পুরো শহরে করতে হবে। কবে করবেন জানান। স্পষ্টভাবে বলতে চাই, হকার উচ্ছেদ ও যানজট নিরসনে নেওয়া সিদ্ধান্তগুলোর প্রতি আমার সমর্থন আছে।’
যানজটের অন্যতম সমস্যা ইজিবাইক উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘গতকাল শুক্রবার ছিল, তারপরেও পাঁচবার লোডশেডিং হয়েছে। এই অটোরিকশাগুলো অন্তত পাঁচ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ নষ্ট করে। এরা চোরাই লাইনে বিদ্যুৎ নিচ্ছে। কারও দয়ায় ওরা চলে না, ওরা চলে কাউকে না কাউকে টাকা দিয়ে।’
শামীম ওসমান বলেন, ‘বিআরটিএর পারমিশন ছাড়া কোনো গাড়ি চলতে দেওয়া উচিত না। আর বিআরটিএকে বলব, প্রয়োজনের অতিরিক্ত গাড়ির পারমিশন দেবেন না। ইজিবাইকের অনুমতি সিটি করপোরেশন দিলে সারা দেশেই পারমিশন দেওয়া শুরু হবে। শহরে ট্রেন চলার কারণেও যানজট তৈরি হয়। ১৬ বার ট্রেন চললে যানজট হবেই। ট্রেনটা চাষাঢ়ায় থামলে শহরের ওপর চাপ কমবে।
এ ছাড়া পঞ্চবটী থেকে চাষাঢ়ামুখী সড়কে যদি একটি ফ্লাইওভার দিয়ে লিংক রোডে এনে দিতে পারি, তাহলে এখানে কোনো যানজট থাকবে না। জেলা পরিষদকে বলব পুরোনো সড়কের দুপাশে গড়ে ওঠা দোকানপাটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে।’
জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হক বলেন, ‘আমাদের অনেক সিদ্ধান্ত আপনাদের পরামর্শের কারণে নিতে সহজ হয়। আগামীকাল থেকেই শহরের অবৈধ স্ট্যান্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রুট পারমিটবিহীন বাস ডাম্পিংয়ে পাঠানো হবে। এ ছাড়া বাসের রুট পারমিট বাতিল এবং ট্রেন চাষাঢ়া পর্যন্ত নিয়ে আসার বিষয়ে আমি চিঠি পাঠাব। সরকার অনেক শক্তিশালী, এটি সবাইকে মনে রাখতে হবে। এখানে যে সমস্যাগুলো উঠে এসেছে, সেগুলো সমাধানের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা জেলা প্রশাসন করবে।’
প্রেসক্লাবের সভাপতি আরিফ আলম দিপুর সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রেসক্লাবের সহসভাপতি বিল্লাল হোসেন রবিন, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জীবন, সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুস সালামসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। সঞ্চালনা করেন প্রেসক্লাবের সদস্য আফজাল হোসেন পন্টি।
নাগরিক সমস্যা সমাধানে অবশেষে এক টেবিলে বসেছেন নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী তিন জনপ্রতিনিধি সিটি মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী, সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান ও শামীম ওসমান। আজ শনিবার নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে ফুটপাতের হকার, ইজিবাইক, অবৈধ স্ট্যান্ড ও যানবাহন উচ্ছেদে একমত হয়েছেন তাঁরা। আগামী রোববার থেকে এই অভিযান শুরু হবে।
বৈঠক তাঁরা ছাড়াও নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হক, ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার আমির খসরু, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বাবু চন্দন শীল, বিআরটিএর সহকারী পরিচালক শামসুল কবীর ও জেলা পুলিশের এএসপি রুহুল আমিন সাগর উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে মেয়র আইভী বলেন, ‘আমার বড় দুই ভাই (সেলিম ওসমান ও শামীম ওসমান) চাইলেই সমস্যা সমাধান করা সম্ভব। এই শহরে যত্রতত্র হকার বসতে পারে না। শহর এখন বাস-ট্রাকের শহরে রূপ নিয়েছে। পরিবহনমালিকেরা দাপটের সঙ্গে রাস্তা দখল করে রাখে। আমরা ছয় শ হকারকে পুনর্বাসন করেছি। কিন্তু তারা দোকান বিক্রি করে দিয়ে আবার রাস্তায় বসে। এদের বারবার পুনর্বাসন সম্ভব নয়।’
তিনি বলেন, ‘অবৈধ স্ট্যান্ড রাস্তা দখল করে রাখে। আমি আমার দুই ভাইয়ের কাছে এই বিষয়ে সমাধান চাই। তাঁদের কথা দিয়ে যেতে হবে, তাঁরা এর সমাধান করবেন। কারণ, পুলিশ প্রশাসন আমার কথা শোনে না, আপনাদের কথা শোনে। তাই আপনাদের কাছে দায়িত্ব দিলাম। আমাকে কী করতে হবে বলবেন। আমি সেটা করব।’
নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের এমপি সেলিম ওসমান বলেন, ‘প্রশাসনকে চিন্তা করতে হবে প্রশাসনের মতো। হকারদের নিয়ে চিন্তা তাদের করতে হবে না। হকার কোথায় যাবে, সেটা জনপ্রতিনিধিদের দেখার বিষয়, প্রশাসনের নয়। একসময় আদমজী জুট মিলের ওপর নারায়ণগঞ্জ নির্ভর ছিল, জুট উঠে যাওয়ার পর মানুষ কি মারা গেছে? সুতরাং হকার তুলে দিলে কিছুই হবে না। সবাই কোনোভাবে উপার্জনের ব্যবস্থা করে নেবে। প্রয়োজনে আমরা সহায়তা করব।’
তিনি বলেন, ‘প্রশাসনকে বলব, ‘শহরের অবৈধ বাস, লেগুনাস্ট্যান্ড, সিএনজিস্ট্যান্ড কারা চালায়, আমাকে তালিকা দিন। কথা দিচ্ছি, রোজার আগেই এগুলো সব খালি হয়ে যাবে। আর আমার ছোট ভাই শামীম ওসমান আছে এখানে, সে চাইলে আরও আগে সম্ভব। তাঁর শক্তি আছে, কর্মী বাহিনী আছে। সে পারবে বলে আমরা বিশ্বাস রাখি।’
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেন, ‘আমি হকারের পক্ষে ছিলাম, এটা সত্য; কারণ, আমি গরিব মানুষের পক্ষে বেশি থাকি। এখন মেয়র চাচ্ছেন, আমার ভাইও চাচ্ছেন হকার না থাকুক। আমি তার বিপরীতে বলব না। তবে হকার মুক্ত করলে পুরো শহরে করতে হবে। কবে করবেন জানান। স্পষ্টভাবে বলতে চাই, হকার উচ্ছেদ ও যানজট নিরসনে নেওয়া সিদ্ধান্তগুলোর প্রতি আমার সমর্থন আছে।’
যানজটের অন্যতম সমস্যা ইজিবাইক উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘গতকাল শুক্রবার ছিল, তারপরেও পাঁচবার লোডশেডিং হয়েছে। এই অটোরিকশাগুলো অন্তত পাঁচ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ নষ্ট করে। এরা চোরাই লাইনে বিদ্যুৎ নিচ্ছে। কারও দয়ায় ওরা চলে না, ওরা চলে কাউকে না কাউকে টাকা দিয়ে।’
শামীম ওসমান বলেন, ‘বিআরটিএর পারমিশন ছাড়া কোনো গাড়ি চলতে দেওয়া উচিত না। আর বিআরটিএকে বলব, প্রয়োজনের অতিরিক্ত গাড়ির পারমিশন দেবেন না। ইজিবাইকের অনুমতি সিটি করপোরেশন দিলে সারা দেশেই পারমিশন দেওয়া শুরু হবে। শহরে ট্রেন চলার কারণেও যানজট তৈরি হয়। ১৬ বার ট্রেন চললে যানজট হবেই। ট্রেনটা চাষাঢ়ায় থামলে শহরের ওপর চাপ কমবে।
এ ছাড়া পঞ্চবটী থেকে চাষাঢ়ামুখী সড়কে যদি একটি ফ্লাইওভার দিয়ে লিংক রোডে এনে দিতে পারি, তাহলে এখানে কোনো যানজট থাকবে না। জেলা পরিষদকে বলব পুরোনো সড়কের দুপাশে গড়ে ওঠা দোকানপাটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে।’
জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হক বলেন, ‘আমাদের অনেক সিদ্ধান্ত আপনাদের পরামর্শের কারণে নিতে সহজ হয়। আগামীকাল থেকেই শহরের অবৈধ স্ট্যান্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রুট পারমিটবিহীন বাস ডাম্পিংয়ে পাঠানো হবে। এ ছাড়া বাসের রুট পারমিট বাতিল এবং ট্রেন চাষাঢ়া পর্যন্ত নিয়ে আসার বিষয়ে আমি চিঠি পাঠাব। সরকার অনেক শক্তিশালী, এটি সবাইকে মনে রাখতে হবে। এখানে যে সমস্যাগুলো উঠে এসেছে, সেগুলো সমাধানের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা জেলা প্রশাসন করবে।’
প্রেসক্লাবের সভাপতি আরিফ আলম দিপুর সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রেসক্লাবের সহসভাপতি বিল্লাল হোসেন রবিন, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জীবন, সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুস সালামসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। সঞ্চালনা করেন প্রেসক্লাবের সদস্য আফজাল হোসেন পন্টি।
সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার (৪ মার্চ) সন্ধ্যায় উপজেলার পাথারিয়া ইউনিয়নের শ্রীনাথপুর গ্রামে সংঘর্ষের এই ঘটনা ঘটে।
২ মিনিট আগেকক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে মোহাম্মদ নুর (২৫) নামের এক রোহিঙ্গা কমিউনিটি নেতাকে (মাঝি) কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার ২০ নম্বর রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে এ ঘটনা ঘটে।
৬ মিনিট আগেরাজধানীর গুলশানের একটি বাড়িতে গতকাল মঙ্গলবার মধ্যরাতে দরজা ভেঙে ঢুকে পড়ে শতাধিক ব্যক্তি। বাড়িটি ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা প্রয়াত এইচ টি ইমামের ছেলে সাবেক সংসদ সদস্য তানভীর ইমামের বলে দাবি করেন তারা। ওই বাড়িতে গণ–অভ্যুত্থানে ছাত্র–জনতা হত্যাকারীরা আশ্রয় নিয়েছে এবং অবৈধ অস্ত্র...
১২ মিনিট আগে‘মায়ের রক্তচাপ বেড়ে হঠাৎ নাক দিয়ে রক্ত পড়ছিল। উপায় না পেয়ে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকাতে নিয়ে যাই। কারণ মায়ের অবস্থা অনেক খারাপ ছিল। ঢাকার একটি প্রাইভেট হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়। তিন দিন সেখানে চিকিৎসা শেষে আবার মাদারীপুরে আসি। কিন্তু এই চিকিৎসা এখানেই...
৯ ঘণ্টা আগে