Ajker Patrika

৪০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ: আল-আকাবা সমিতির মালিক, পরিচালকদের সম্পত্তি ক্রোক

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার আলোচিত আল-আকাবা বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের নামে প্রতারণার মাধ্যমে গ্রাহকের প্রায় ৪০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সমিতির মালিক ও পরিচালকদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের অনুসন্ধান বলছে, মাদারগঞ্জ উপজেলা সমবায় কার্যালয়ের নিবন্ধনের সুযোগ নিয়ে গড়ে ওঠা সমবায় প্রতিষ্ঠানটি ব্যাংকিং কার্যক্রমের মতো উচ্চ মুনাফার প্রলোভন দেখিয়ে জামালপুর ও আশপাশের জেলার প্রায় ১৩-১৪ হাজার গ্রাহকের কাছ থেকে বিপুল অঙ্কের টাকা আমানত নেয়। প্রতি লাখে মাসে ১২০০-১৫০০ টাকা মুনাফা দেওয়ার কথা বলে তারা স্থানীয়দের আকৃষ্ট করে। প্রথম দিকে কিছু মুনাফা দেওয়া হলেও পরে তা বন্ধ করে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা গা-ঢাকা দেন।

প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাৎ হওয়া অর্থে সমিতির মালিক ও পরিচালক দেশের বিভিন্ন এলাকায় জমি, প্লট, কারখানাসহ অন্যান্য স্থাপনা কেনেন। এসব অর্থে অর্জিত প্রায় ৩ হাজার ১১৩ শতাংশ সম্পত্তি আদালতের আদেশে এরই মধ্যে ক্রোক করেছে সিআইডি।

ক্রোক করা সম্পদের মধ্যে রয়েছে—জামালপুর সদরের গহেরপাড়া মৌজায় ১৫ একর জমির ওপর ‘আলফা অস্ট্রোবিকস’ নামে একটি ইটভাটা, গাজীপুরের দক্ষিণ সালনা এলাকায় ৩৫০ শতাংশ জমিতে গড়া ‘আলফা ড্রেসওয়ার’ নামের একটি গার্মেন্টস কারখানা, রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ‘আলফা ডেভেলপার’ ও ‘আলফা ড্রেসওয়ার’ নামে ৯টি আবাসিক প্লট।

এ ছাড়া আল-আকাবা বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের নামে ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও জামালপুরের বিভিন্ন এলাকায় আরও স্থাবর সম্পত্তির তথ্য পেয়েছে সিআইডি।

সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের বিশেষ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, পুলিশ পরিদর্শক মো. ছায়েদুর রহমানের আবেদনের ভিত্তিতে জামালপুরের জ্যেষ্ঠ স্পেশাল জজ আদালত গত ৯ জুলাই এসব সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দেন। পাশাপাশি অভিযুক্তদের বিদেশগমনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন আদালত।

আল-আকাবা সমবায় সমিতির মালিক ও পরিচালকদের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং আইনে মামলা হবে বলে জানান আবুল কালাম আজাদ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত