Ajker Patrika

লুকিং গ্লাস ভাঙাকে কেন্দ্র করে মারধরে ‘রমজান’ বাসের চালকের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৫ অক্টোবর ২০২৩, ১৫: ৪১
Thumbnail image

অভারটেকিংয়ের সময় রমজান পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসের ঘষায় একই পরিবহনের অপর একটি বাসের লুকিং গ্লাস ভেঙে যায় ৷ মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে এ ঘটনায় লুকিং গ্লাস ভেঙে যাওয়া বাসের স্টাফরা এসে অপর বাসের চালককে মারধর করেন। এতে অসুস্থ হয়ে চালক রাসেল (৩২) ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। ঘটনার পরে মারধরের সঙ্গে জড়িত একজনকে গ্রেপ্তার করেছে মোহাম্মদপুর থানার পুলিশ। 

গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেন, ‘এ ঘটনায় নিহতের স্বজনদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে একটি মামলা নেওয়া হচ্ছে। আর ঘটনার সময় মারধরে যিনি বেশি ভূমিকা রেখেছিলেন, তাঁকে ইতিমধ্যে আটক করা হয়েছে। আপাতত তাঁর নাম বলছি না। আরও যাঁরা দোষী, তাঁদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।’ 

নিহত চালকের ছোট ভাই মো. বাদশা বলেন, ‘আমার ভাইয়ের মরদেহ এখনো পোস্টমর্টেম হয়নি। এটা সম্পন্ন হলে তাঁকে আমরা গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুরে নিয়ে দাফন করব ৷ এ ঘটনায় আমরা থানায় অভিযোগ করেছি।’ 

তিনি অভিযোগ করেন, ‘গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড তিন রাস্তার মোড়ে বাসে থাকা অবস্থায় লুকিং গ্লাস ভেঙে যাওয়াকে কেন্দ্র করে চালকের স্থানে বসা অবস্থায় ভাইকে মারধর করেন অন্য বাসের স্টাফরা। এতে অসুস্থ হয়ে পড়েন আমার ভাই। মারধরের পরে আমার ভাই অসুস্থ শরীর নিয়ে রায়েরবাজারের ভাড়া বাসায় চলে যান। বাসায় ফিরে রাতে বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে আমরা ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসি ৷ কিছুক্ষণ পর ডাক্তার ভাইকে মৃত ঘোষণা করেন।’

নিহত বাসচালক রাসেলের বাড়ি শরীয়তপুর জেলার পালং উপজেলার দক্ষিণ শাওলা গ্রামে। তাঁর বাবা মৃত আব্দুল হাকিম মাতব্বর। বর্তমানে মোহাম্মদপুরের রায়েরবাজার বুদ্ধিজীবী কবরস্থান এক নম্বর গেটের পাশে একটি বাসায় স্ত্রী নাজু ও দুই সন্তানকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন। 

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। সম্পন্ন হলে স্বজনদের কাছে তা হস্তান্তর করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত