আজকের পত্রিকা ডেস্ক

পাঁচ মাস হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের। এই পাঁচ মাসে নিরাপদ সড়কের জন্য কী পরিবর্তন হয়েছে—বলে প্রশ্ন তুলেছেন ‘নিরাপদ সড়ক চাই’-এর (নিসচা) চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন। তিনি বলেছেন, ‘এই পাঁচ মাসে দুর্ঘটনা কি কমেছে? সরকার কোনো কাজ করে নাই। আমার মুখকাটা, আমি কথা বলতে ভয় পাই না। আমি আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় পাই না।’
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে নিরাপদ সড়ক আন্দোলন (নিসআ) শিক্ষার্থীদের জন্য ট্রাফিক সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন ইলিয়াস কাঞ্চন।
নিসচার চেয়ারম্যান আক্ষেপ ও ক্ষোভ নিয়ে বলেন, ‘কী করেছেন তাঁরা? যিনি আমাদের তত্ত্বাবধায়ক, যিনি আমাদের সড়কের দায়িত্ব নিয়েছেন—উনি কী করেছেন। সব দায়িত্ব আমাদের ওপর ছেড়ে দেবেন। আমি জীবনের ৩২টা বছর শেষ করেছি। কে আছে পৃথিবীতে? আমার স্বর্ণসময়—আমি একসময় টাকা গোনার সময় পেতাম না। বিছানায় টাকা ফেলে দিতাম, বলতাম গুনে নিতে। সেই সময়ে আমি নিরাপদ সড়ক ক্যাম্পেইন করেছি। এতে কী হয়েছে। কিছুই হয়নি।’
কাঞ্চন বলেন, ‘সরকার কি নাকে তেল দিয়ে ঘুমায়? কী করেছেন উনি (সরকার) পাঁচ মাসে। আছে কোনো ইনিশিয়েটিভ?’ তিনি বলেন, ‘১৯৯৩ সাল থেকে আমি আন্দোলন শুরু করেছি। আজ আপনার যাঁরা নিজেদের তরুণ ভাবছেন, তাঁরা ভাবেন, আমি কেমন তরুণ ছিলাম। আমার তরুণ বয়সটা এখানে কেটেছে। সড়কে চার লেন, হাইওয়ে পুলিশ—এগুলো কিন্তু আমাকে চাইতে হয়েছে। এখানে বুয়েটের যিনি শিক্ষক (সাইফুন নেওয়াজ) আছেন, তাঁকে জিজ্ঞেস করুন, অ্যাকসিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এআরআই) আমার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তৈরি হয়েছে। ২০১০ সালে নিরাপদ সড়ক নিয়ে আইন করার কথা আমি বলেছিলাম। হয়নি। এখন ২০১৮ সালে হয়েছে। আমি যে রাস্তা তৈরি করেছি, সেটা দিয়ে আপনারা হাঁটছেন। এটা ভালো লাগছে।’
ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘সরকার ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ছাড়া নিরাপদ সড়ক আন্দোলন সফল করা সম্ভব নয়। আমরা দাবি তুলতে পারি, কিন্তু সেটা সফল করবে সরকার। এখানে বিরোধী দলের কথা সরকার শোনে না। এ জন্য আমাকে ৩২ বছর সংগ্রাম করতে হয়েছে। আমি সবার কাছে গিয়েছি। বলেছি, এটা জাতীয় ইস্যু। পৃথিবীর অন্যান্য দেশে এসব ইস্যু নিয়ে সবাই এক হয়। আমাদের দেশে এক হতে পারে না। যখন সরকার আইন পাস করে, তখন শ্রমিকনেতাদের সঙ্গে বিরোধী দলেরা সম্পৃক্ত হয়। এই খেলা চলছে।’
ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের কাজ কী? তাদের কাজ সড়ক তৈরি করা। তাদের সড়ক ২৪ হাজার। আর স্থানীয় সরকারের আওতায় পৌনে ২ লাখ সড়ক। কই, তারা কি কিছু দেখছে? তারা বসে আছে। সিটি করপোরেশনের দায়িত্ব শহরের সবকিছু দেখা। এখানে কার কী দায়িত্ব, সেটাই জানে না। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাজ কী? তারা কী করছে। কোনো সমন্বয় নেই।’
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান মো. ইয়াসীন বলেন, ভবিষ্যতে এমন আয়োজন করলে সেসময় মালিকপক্ষ ও শ্রমিকপক্ষকেও উপস্থিত রাখতে হবে। উনারা সঙ্গে থাকুক। যখন বাসে উঠি, তখন স্বাভাবিকভাবেই মনে হয় যে ড্রাইভারটা খারাপ। ওরাও মনে করে যাত্রীরা কম ভাড়া দেবে। সবাই চায় একটা সম্মানজনক সহাবস্থান তৈরি হোক।
তিনি আরও বলেন, তাঁর অফিসে ঘুষ-দুর্নীতি আছে, কিন্তু তিনি সেসব করেন না। আমি কিছু ভলান্টিয়ার চাই, যারা সেবাগুলোকে সহজ করার লক্ষ্যে কাজ করবে। একজন ড্রাইভার লাইসেন্স করতে আসল, সে যেন নির্বিঘ্নে ঝামেলা বা ঘুষ ছাড়াই কাজটা করতে পারে। এ ক্ষেত্রে ভলান্টিয়াররা থাকলে কাজটা অনেক সহজ হবে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক কাজী মো. সাইফুন নেওয়াজ বলেন, ‘এই ক্যাম্পেইনের উদ্দেশ্য হচ্ছে, সড়কে শিক্ষার্থীদের মৃত্যুহার কমানো। কারণ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবে সড়কে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুহার তরুণদের। স্কুল-কলেজগুলোতে অনেক ক্লাব থাকে। এসব ক্লাবের পাশাপাশি নিরাপদ সড়ক নিয়ে ক্লাব করতে হবে। যারা সড়কের সচেতনতা নিয়ে কাজ করবে।’
অনুষ্ঠানে নিরাপদ সড়ক আন্দোলন (নিসআ) থেকে বলা হয়েছে, একটি দেশের সবচেয়ে বড় সেক্টরগুলোর একটি হচ্ছে সড়ক সেক্টর। এই সেক্টরের সঙ্গে দেশের সর্বস্তরের মানুষ জড়িত; সবার নিরাপত্তা জড়িত। তাই কীভাবে সড়কে নিরাপদভাবে চলাচল করা যায়, সুস্থভাবে ঘরে ফেরা যায়, সেই লক্ষ্যে ২০১৮ সালের আন্দোলনকারীদের সমন্বয়ে তৈরি হওয়া প্ল্যাটফর্ম নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের (নিসআ) ‘নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ’–এর অঙ্গীকার হিসেবে ‘এসো নিরাপদে পথ চলি’ নামক সড়ক সচেতনতা ও শিক্ষামূলক একটি চলমান সেমিনারের আয়োজন করেছে।
নিসআ বলছে, সড়কে সবচেয়ে বেশি হতাহত হয় পথচারীরাই। এ ক্ষেত্রে বেশির ভাগ সময় চালকের অসতর্কতার সঙ্গে সঙ্গে পথচারীদের অসচেতনতাও দায়ী। সড়ক নিরাপদ করতে হলে, পথচারীদেরও সড়কের বিভিন্ন চিহ্ন, প্রতীক ও আইন সম্পর্কে সচেতন হওয়া প্রয়োজন। সড়কে বর্তমানে ব্যক্তিগত গাড়ি, বিশেষ করে বাইক অনেক বেড়েছে। সড়ক দুর্ঘটনার বেশির ভাগই হচ্ছে বাইক সড়ক দুর্ঘটনা।
এ ক্ষেত্রে দেখা যায়, বেশির ভাগ চালক দেশীয় আইনের লেন, গতিসীমা, হেলমেটের ব্যবহার সম্পর্কে অবগত নন বা মানতে চান না। কীভাবে বাইকচালকেরা আইনে মেনে সড়কে চলাচল করবেন, সে জন্য নিসআ এই আয়োজন করেছে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন নিসআর সভাপতি আবদুল্লাহ মেহেদি দীপ্তি ও সাধারণ সম্পাদক তানজিদ মোহাম্মদ সোহরাব রেজাসহ অন্যরা।

পাঁচ মাস হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের। এই পাঁচ মাসে নিরাপদ সড়কের জন্য কী পরিবর্তন হয়েছে—বলে প্রশ্ন তুলেছেন ‘নিরাপদ সড়ক চাই’-এর (নিসচা) চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন। তিনি বলেছেন, ‘এই পাঁচ মাসে দুর্ঘটনা কি কমেছে? সরকার কোনো কাজ করে নাই। আমার মুখকাটা, আমি কথা বলতে ভয় পাই না। আমি আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় পাই না।’
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে নিরাপদ সড়ক আন্দোলন (নিসআ) শিক্ষার্থীদের জন্য ট্রাফিক সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন ইলিয়াস কাঞ্চন।
নিসচার চেয়ারম্যান আক্ষেপ ও ক্ষোভ নিয়ে বলেন, ‘কী করেছেন তাঁরা? যিনি আমাদের তত্ত্বাবধায়ক, যিনি আমাদের সড়কের দায়িত্ব নিয়েছেন—উনি কী করেছেন। সব দায়িত্ব আমাদের ওপর ছেড়ে দেবেন। আমি জীবনের ৩২টা বছর শেষ করেছি। কে আছে পৃথিবীতে? আমার স্বর্ণসময়—আমি একসময় টাকা গোনার সময় পেতাম না। বিছানায় টাকা ফেলে দিতাম, বলতাম গুনে নিতে। সেই সময়ে আমি নিরাপদ সড়ক ক্যাম্পেইন করেছি। এতে কী হয়েছে। কিছুই হয়নি।’
কাঞ্চন বলেন, ‘সরকার কি নাকে তেল দিয়ে ঘুমায়? কী করেছেন উনি (সরকার) পাঁচ মাসে। আছে কোনো ইনিশিয়েটিভ?’ তিনি বলেন, ‘১৯৯৩ সাল থেকে আমি আন্দোলন শুরু করেছি। আজ আপনার যাঁরা নিজেদের তরুণ ভাবছেন, তাঁরা ভাবেন, আমি কেমন তরুণ ছিলাম। আমার তরুণ বয়সটা এখানে কেটেছে। সড়কে চার লেন, হাইওয়ে পুলিশ—এগুলো কিন্তু আমাকে চাইতে হয়েছে। এখানে বুয়েটের যিনি শিক্ষক (সাইফুন নেওয়াজ) আছেন, তাঁকে জিজ্ঞেস করুন, অ্যাকসিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এআরআই) আমার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তৈরি হয়েছে। ২০১০ সালে নিরাপদ সড়ক নিয়ে আইন করার কথা আমি বলেছিলাম। হয়নি। এখন ২০১৮ সালে হয়েছে। আমি যে রাস্তা তৈরি করেছি, সেটা দিয়ে আপনারা হাঁটছেন। এটা ভালো লাগছে।’
ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘সরকার ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ছাড়া নিরাপদ সড়ক আন্দোলন সফল করা সম্ভব নয়। আমরা দাবি তুলতে পারি, কিন্তু সেটা সফল করবে সরকার। এখানে বিরোধী দলের কথা সরকার শোনে না। এ জন্য আমাকে ৩২ বছর সংগ্রাম করতে হয়েছে। আমি সবার কাছে গিয়েছি। বলেছি, এটা জাতীয় ইস্যু। পৃথিবীর অন্যান্য দেশে এসব ইস্যু নিয়ে সবাই এক হয়। আমাদের দেশে এক হতে পারে না। যখন সরকার আইন পাস করে, তখন শ্রমিকনেতাদের সঙ্গে বিরোধী দলেরা সম্পৃক্ত হয়। এই খেলা চলছে।’
ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের কাজ কী? তাদের কাজ সড়ক তৈরি করা। তাদের সড়ক ২৪ হাজার। আর স্থানীয় সরকারের আওতায় পৌনে ২ লাখ সড়ক। কই, তারা কি কিছু দেখছে? তারা বসে আছে। সিটি করপোরেশনের দায়িত্ব শহরের সবকিছু দেখা। এখানে কার কী দায়িত্ব, সেটাই জানে না। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাজ কী? তারা কী করছে। কোনো সমন্বয় নেই।’
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান মো. ইয়াসীন বলেন, ভবিষ্যতে এমন আয়োজন করলে সেসময় মালিকপক্ষ ও শ্রমিকপক্ষকেও উপস্থিত রাখতে হবে। উনারা সঙ্গে থাকুক। যখন বাসে উঠি, তখন স্বাভাবিকভাবেই মনে হয় যে ড্রাইভারটা খারাপ। ওরাও মনে করে যাত্রীরা কম ভাড়া দেবে। সবাই চায় একটা সম্মানজনক সহাবস্থান তৈরি হোক।
তিনি আরও বলেন, তাঁর অফিসে ঘুষ-দুর্নীতি আছে, কিন্তু তিনি সেসব করেন না। আমি কিছু ভলান্টিয়ার চাই, যারা সেবাগুলোকে সহজ করার লক্ষ্যে কাজ করবে। একজন ড্রাইভার লাইসেন্স করতে আসল, সে যেন নির্বিঘ্নে ঝামেলা বা ঘুষ ছাড়াই কাজটা করতে পারে। এ ক্ষেত্রে ভলান্টিয়াররা থাকলে কাজটা অনেক সহজ হবে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক কাজী মো. সাইফুন নেওয়াজ বলেন, ‘এই ক্যাম্পেইনের উদ্দেশ্য হচ্ছে, সড়কে শিক্ষার্থীদের মৃত্যুহার কমানো। কারণ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবে সড়কে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুহার তরুণদের। স্কুল-কলেজগুলোতে অনেক ক্লাব থাকে। এসব ক্লাবের পাশাপাশি নিরাপদ সড়ক নিয়ে ক্লাব করতে হবে। যারা সড়কের সচেতনতা নিয়ে কাজ করবে।’
অনুষ্ঠানে নিরাপদ সড়ক আন্দোলন (নিসআ) থেকে বলা হয়েছে, একটি দেশের সবচেয়ে বড় সেক্টরগুলোর একটি হচ্ছে সড়ক সেক্টর। এই সেক্টরের সঙ্গে দেশের সর্বস্তরের মানুষ জড়িত; সবার নিরাপত্তা জড়িত। তাই কীভাবে সড়কে নিরাপদভাবে চলাচল করা যায়, সুস্থভাবে ঘরে ফেরা যায়, সেই লক্ষ্যে ২০১৮ সালের আন্দোলনকারীদের সমন্বয়ে তৈরি হওয়া প্ল্যাটফর্ম নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের (নিসআ) ‘নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ’–এর অঙ্গীকার হিসেবে ‘এসো নিরাপদে পথ চলি’ নামক সড়ক সচেতনতা ও শিক্ষামূলক একটি চলমান সেমিনারের আয়োজন করেছে।
নিসআ বলছে, সড়কে সবচেয়ে বেশি হতাহত হয় পথচারীরাই। এ ক্ষেত্রে বেশির ভাগ সময় চালকের অসতর্কতার সঙ্গে সঙ্গে পথচারীদের অসচেতনতাও দায়ী। সড়ক নিরাপদ করতে হলে, পথচারীদেরও সড়কের বিভিন্ন চিহ্ন, প্রতীক ও আইন সম্পর্কে সচেতন হওয়া প্রয়োজন। সড়কে বর্তমানে ব্যক্তিগত গাড়ি, বিশেষ করে বাইক অনেক বেড়েছে। সড়ক দুর্ঘটনার বেশির ভাগই হচ্ছে বাইক সড়ক দুর্ঘটনা।
এ ক্ষেত্রে দেখা যায়, বেশির ভাগ চালক দেশীয় আইনের লেন, গতিসীমা, হেলমেটের ব্যবহার সম্পর্কে অবগত নন বা মানতে চান না। কীভাবে বাইকচালকেরা আইনে মেনে সড়কে চলাচল করবেন, সে জন্য নিসআ এই আয়োজন করেছে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন নিসআর সভাপতি আবদুল্লাহ মেহেদি দীপ্তি ও সাধারণ সম্পাদক তানজিদ মোহাম্মদ সোহরাব রেজাসহ অন্যরা।

ভবনের ভেতরের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, হত্যাকাণ্ডের পর এক নারী স্কুলড্রেস পরে কাঁধে ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন। চার দিন আগে আয়েশা পরিচয় দিয়ে ওই বাসায় গৃহকর্মীর কাজ নেওয়া তরুণী (২০) এই জোড়া খুনে জড়িত বলে সন্দেহ স্বজনদের। ঘটনার পর থেকে ওই তরুণী পলাতক।
৩২ মিনিট আগে
জীবন আছে যার, তার মৃত্যু অনিবার্য। মৃত্যুর পর মানুষের শেষ ঠিকানা কবর। মৃতদেহ গোসল করিয়ে কাফন পরানো হয়, জানাজা শেষে তাকে শায়িত করা হয় চিরনিদ্রার ঘরে। এই কবর খোঁড়ার দায়িত্বটি গ্রামের কিছু মানুষ বহু বছর ধরে স্বেচ্ছায়, বিনা পারিশ্রমিকে পালন করে আসছেন, যাঁরা সবার কাছে ‘গোরখোদক’ নামে পরিচিত। আল্লাহর
২ ঘণ্টা আগে
গাজীপুরের শ্রীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে কারখানার ফটকের সামনে বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকেরা। আন্দোলনের মুখে কারখানা কর্তৃপক্ষ প্রধান ফটক তালাবদ্ধ করে সটকে পড়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে শিল্প ও থানা-পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসেছেন। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের সাইটালিয়া গ্রামে
২ ঘণ্টা আগে
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নাকুগাঁও সীমান্ত দিয়ে ছয় বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের হস্তান্তর করা হয়।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যার ঘটনায় গৃহকর্মী আয়েশাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার দুপুরে ঝালকাঠি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন তেজগাঁও বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার আব্দুল্লাহ আল মামুন।
মামুন বলেন, গৃহকর্মী আয়েশাকে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঝালকাঠি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত সোমবার সকালে শাহজাহান রোডের ১৪ তলা একটি আবাসিক ভবনের সপ্তম তলায় লায়লা আফরোজ (৪৮) ও তাঁর মেয়ে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজকে (১৫) ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।

গতকাল তাঁদের মরদেহ নাটোরে দাফন করা হয়েছে। মামলার এজাহারে বাসা থেকে মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার, নগদ টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র খোয়া যাওয়ার কথা বলা হয়েছে।
ভবনের ভেতরের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, হত্যাকাণ্ডের পর এক নারী স্কুলড্রেস পরে কাঁধে ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন। চার দিন আগে আয়েশা পরিচয় দিয়ে ওই বাসায় গৃহকর্মীর কাজ নেওয়া তরুণী (২০) এই জোড়া খুনে জড়িত বলে সন্দেহ স্বজনদের। ঘটনার পর থেকে ওই তরুণী পলাতক।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যার ঘটনায় গৃহকর্মী আয়েশাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার দুপুরে ঝালকাঠি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন তেজগাঁও বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার আব্দুল্লাহ আল মামুন।
মামুন বলেন, গৃহকর্মী আয়েশাকে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঝালকাঠি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত সোমবার সকালে শাহজাহান রোডের ১৪ তলা একটি আবাসিক ভবনের সপ্তম তলায় লায়লা আফরোজ (৪৮) ও তাঁর মেয়ে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজকে (১৫) ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।

গতকাল তাঁদের মরদেহ নাটোরে দাফন করা হয়েছে। মামলার এজাহারে বাসা থেকে মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার, নগদ টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র খোয়া যাওয়ার কথা বলা হয়েছে।
ভবনের ভেতরের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, হত্যাকাণ্ডের পর এক নারী স্কুলড্রেস পরে কাঁধে ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন। চার দিন আগে আয়েশা পরিচয় দিয়ে ওই বাসায় গৃহকর্মীর কাজ নেওয়া তরুণী (২০) এই জোড়া খুনে জড়িত বলে সন্দেহ স্বজনদের। ঘটনার পর থেকে ওই তরুণী পলাতক।

পাঁচ মাস হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের। এই পাঁচ মাসে নিরাপদ সড়কের জন্য কী পরিবর্তন হয়েছে—বলে প্রশ্ন তুলেছেন ‘নিরাপদ সড়ক চাই’-এর (নিসচা) চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন। তিনি বলেছেন, ‘এই পাঁচ মাসে দুর্ঘটনা কি কমেছে? সরকার কোনো কাজ করে নাই। আমার মুখকাটা, আমি কথা বলতে ভয় পাই না। আমি আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় পাই না
১৯ ডিসেম্বর ২০২৪
জীবন আছে যার, তার মৃত্যু অনিবার্য। মৃত্যুর পর মানুষের শেষ ঠিকানা কবর। মৃতদেহ গোসল করিয়ে কাফন পরানো হয়, জানাজা শেষে তাকে শায়িত করা হয় চিরনিদ্রার ঘরে। এই কবর খোঁড়ার দায়িত্বটি গ্রামের কিছু মানুষ বহু বছর ধরে স্বেচ্ছায়, বিনা পারিশ্রমিকে পালন করে আসছেন, যাঁরা সবার কাছে ‘গোরখোদক’ নামে পরিচিত। আল্লাহর
২ ঘণ্টা আগে
গাজীপুরের শ্রীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে কারখানার ফটকের সামনে বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকেরা। আন্দোলনের মুখে কারখানা কর্তৃপক্ষ প্রধান ফটক তালাবদ্ধ করে সটকে পড়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে শিল্প ও থানা-পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসেছেন। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের সাইটালিয়া গ্রামে
২ ঘণ্টা আগে
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নাকুগাঁও সীমান্ত দিয়ে ছয় বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের হস্তান্তর করা হয়।
৩ ঘণ্টা আগেগাংনী (মেহেরপুর) প্রতিনিধি

জীবন আছে যার, তার মৃত্যু অনিবার্য। মৃত্যুর পর মানুষের শেষ ঠিকানা কবর। মৃতদেহ গোসল করিয়ে কাফন পরানো হয়, জানাজা শেষে তাকে শায়িত করা হয় চিরনিদ্রার ঘরে। এই কবর খোঁড়ার দায়িত্বটি গ্রামের কিছু মানুষ বহু বছর ধরে স্বেচ্ছায়, বিনা পারিশ্রমিকে পালন করে আসছেন, যাঁরা সবার কাছে ‘গোরখোদক’ নামে পরিচিত। আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় তাঁরা করে থাকেন এই কাজ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গোরখোদকেরা কোনো পারিশ্রমিক নেন না। গ্রামের যে কেউ মারা যাক, নিজেদের ব্যস্ততা ফেলে তাঁরা ছুটে আসেন কবর খুঁড়তে। তাঁদের এই মানবিক কাজের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে গ্রামের লোকেরা দোয়া করেন—আল্লাহ যেন তাদের সুস্থ ও ভালো রাখেন।
দেবীপুর গ্রামের বাসিন্দা গোরখোদক মজিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ৫৫ বছর ধরে কবর খুঁড়ছি। যত দিন সুস্থ থাকব, এই কাজ চালিয়ে যাব। আমাদের গ্রাম ছাড়াও অন্য গ্রাম থেকে কেউ ডাকলে সেখানেও যাই। ছোটবেলায় ওস্তাদের কাছে ডালি ধরেই শিখেছি। গরিব মানুষ, মাঠে কাজ করি; কিন্তু কেউ মারা গেলে দ্বিধা করি না—এই কাজ আমার নেশায় পরিণত হয়েছে।’
মজিরুল আরও জানান, এখন তিনি তরুণদেরও এই কাজ শেখাচ্ছেন।

গোরখোদক শাকের আলী বলেন, ‘আমরা নিঃস্বার্থভাবে কাজ করি। কখনো কোনো টাকা নিই না। যেখানেই থাকি, গ্রামের কারও মৃত্যুর সংবাদ শুনলে দ্রুত কবর খুঁড়তে চলে আসি।’
গোরখোদক ফুয়াদ হোসেন বলেন, ‘অন্য গ্রাম থেকে ডাক এলেও আমরা যাই। আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই করি এই কাজ। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’
স্থানীয় বাসিন্দা শাজাহান আলী বলেন, ‘কবর খোঁড়া বড় দায়িত্বের কাজ। গ্রামের এসব মানুষ খবর পেলেই দৌড়ে আসে। আমরা তাদের জন্য দোয়া করি।’
মাওলানা মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘মৃত ব্যক্তির জন্য কবর খোঁড়া নিঃসন্দেহে সওয়াবের কাজ। হাদিসে এসেছে—যাঁরা কবর খোঁড়েন, আল্লাহ তাদের জন্য জান্নাতে ঘর নির্মাণ করবেন।’

জীবন আছে যার, তার মৃত্যু অনিবার্য। মৃত্যুর পর মানুষের শেষ ঠিকানা কবর। মৃতদেহ গোসল করিয়ে কাফন পরানো হয়, জানাজা শেষে তাকে শায়িত করা হয় চিরনিদ্রার ঘরে। এই কবর খোঁড়ার দায়িত্বটি গ্রামের কিছু মানুষ বহু বছর ধরে স্বেচ্ছায়, বিনা পারিশ্রমিকে পালন করে আসছেন, যাঁরা সবার কাছে ‘গোরখোদক’ নামে পরিচিত। আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় তাঁরা করে থাকেন এই কাজ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গোরখোদকেরা কোনো পারিশ্রমিক নেন না। গ্রামের যে কেউ মারা যাক, নিজেদের ব্যস্ততা ফেলে তাঁরা ছুটে আসেন কবর খুঁড়তে। তাঁদের এই মানবিক কাজের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে গ্রামের লোকেরা দোয়া করেন—আল্লাহ যেন তাদের সুস্থ ও ভালো রাখেন।
দেবীপুর গ্রামের বাসিন্দা গোরখোদক মজিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ৫৫ বছর ধরে কবর খুঁড়ছি। যত দিন সুস্থ থাকব, এই কাজ চালিয়ে যাব। আমাদের গ্রাম ছাড়াও অন্য গ্রাম থেকে কেউ ডাকলে সেখানেও যাই। ছোটবেলায় ওস্তাদের কাছে ডালি ধরেই শিখেছি। গরিব মানুষ, মাঠে কাজ করি; কিন্তু কেউ মারা গেলে দ্বিধা করি না—এই কাজ আমার নেশায় পরিণত হয়েছে।’
মজিরুল আরও জানান, এখন তিনি তরুণদেরও এই কাজ শেখাচ্ছেন।

গোরখোদক শাকের আলী বলেন, ‘আমরা নিঃস্বার্থভাবে কাজ করি। কখনো কোনো টাকা নিই না। যেখানেই থাকি, গ্রামের কারও মৃত্যুর সংবাদ শুনলে দ্রুত কবর খুঁড়তে চলে আসি।’
গোরখোদক ফুয়াদ হোসেন বলেন, ‘অন্য গ্রাম থেকে ডাক এলেও আমরা যাই। আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই করি এই কাজ। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’
স্থানীয় বাসিন্দা শাজাহান আলী বলেন, ‘কবর খোঁড়া বড় দায়িত্বের কাজ। গ্রামের এসব মানুষ খবর পেলেই দৌড়ে আসে। আমরা তাদের জন্য দোয়া করি।’
মাওলানা মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘মৃত ব্যক্তির জন্য কবর খোঁড়া নিঃসন্দেহে সওয়াবের কাজ। হাদিসে এসেছে—যাঁরা কবর খোঁড়েন, আল্লাহ তাদের জন্য জান্নাতে ঘর নির্মাণ করবেন।’

পাঁচ মাস হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের। এই পাঁচ মাসে নিরাপদ সড়কের জন্য কী পরিবর্তন হয়েছে—বলে প্রশ্ন তুলেছেন ‘নিরাপদ সড়ক চাই’-এর (নিসচা) চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন। তিনি বলেছেন, ‘এই পাঁচ মাসে দুর্ঘটনা কি কমেছে? সরকার কোনো কাজ করে নাই। আমার মুখকাটা, আমি কথা বলতে ভয় পাই না। আমি আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় পাই না
১৯ ডিসেম্বর ২০২৪
ভবনের ভেতরের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, হত্যাকাণ্ডের পর এক নারী স্কুলড্রেস পরে কাঁধে ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন। চার দিন আগে আয়েশা পরিচয় দিয়ে ওই বাসায় গৃহকর্মীর কাজ নেওয়া তরুণী (২০) এই জোড়া খুনে জড়িত বলে সন্দেহ স্বজনদের। ঘটনার পর থেকে ওই তরুণী পলাতক।
৩২ মিনিট আগে
গাজীপুরের শ্রীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে কারখানার ফটকের সামনে বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকেরা। আন্দোলনের মুখে কারখানা কর্তৃপক্ষ প্রধান ফটক তালাবদ্ধ করে সটকে পড়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে শিল্প ও থানা-পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসেছেন। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের সাইটালিয়া গ্রামে
২ ঘণ্টা আগে
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নাকুগাঁও সীমান্ত দিয়ে ছয় বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের হস্তান্তর করা হয়।
৩ ঘণ্টা আগেশ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি

গাজীপুরের শ্রীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে কারখানার ফটকের সামনে বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকেরা। আন্দোলনের মুখে কারখানা কর্তৃপক্ষ প্রধান ফটক তালাবদ্ধ করে সটকে পড়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে শিল্প ও থানা-পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসেছেন। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের সাইটালিয়া গ্রামে ক্যাটেক্স ফ্যাশন ক্লোথিং লিমিটেড কারখানায় এই ঘটনা ঘটে।
কারখানার নারী শ্রমিক মিনারা আক্তার বলেন, ‘অক্টোবর ও নভেম্বর মাসের বেতন পরিশোধ করে নাই। এক মাসের বেতন না পেলে আমাদের চলা খুবই কঠিন হয়। আমাদের নাওয়া-খাওয়া বন্ধ হয়। আর সেখানে কারখানা কর্তৃপক্ষ দুই মাসের বেতনভাতা বকেয়া রেখেছে। আজ সকালে শ্রমিকেরা জড়ো হলে তারা পালিয়ে যায়।’
মিন্টু নামের এক শ্রমিক বলেন, ‘এই কারখানায় আমরা তিন বছর ধরে চাকরি করছি। আমাদের বেতনের বাইরে কোনো সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে না। তবু পেটের দায়ে চাকরি করি। দুই মাসের বেতন বকেয়া। আমাদের তো পেট আছে, সন্তান-সংসার আছে। এক মাস দোকান বাকি পরিশোধ করতে না পারলে পরের মাসে আর দোকানি বাকি দেয় না। আমরা কী অবস্থায় আছি, একবার ভাবুন। বেতন পরিশোধ না করে তারা পালিয়ে গেছে।’

মেহেদী হাসান বলেন, ‘এত দিন ধরে ঋণ করে বলে-কয়ে দোকান থেকে বাকি নিয়ে চলছি। আর পারছি না। এখন দোকান বাকি দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। অক্টোবর মাসের বকেয়া বেতন নিয়ে কমপক্ষে ১০টি তারিখ দিছে। কিন্তু কারখানা কর্তৃপক্ষ বেতন পরিশোধ করেনি। শেষে আজ বেতন পরিশোধের কথা ছিল। কিন্তু তারা কারখানা ফটকে তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে গেছে।’
কারখানার হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. বুলবুল হাসান বলেন, ‘ব্যাংকের সমস্যার কারণে বেতন-ভাতা পরিশোধ করা যাচ্ছে না। আশা করি, আজকের মধ্যে নভেম্বর মাসের বেতন পরিশোধ করতে পারব।’ বিনা নোটিশে কারখানার ফটক কেন তালাবদ্ধ? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমি বলতে পারব না।’
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাছির আহমদ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

গাজীপুরের শ্রীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে কারখানার ফটকের সামনে বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকেরা। আন্দোলনের মুখে কারখানা কর্তৃপক্ষ প্রধান ফটক তালাবদ্ধ করে সটকে পড়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে শিল্প ও থানা-পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসেছেন। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের সাইটালিয়া গ্রামে ক্যাটেক্স ফ্যাশন ক্লোথিং লিমিটেড কারখানায় এই ঘটনা ঘটে।
কারখানার নারী শ্রমিক মিনারা আক্তার বলেন, ‘অক্টোবর ও নভেম্বর মাসের বেতন পরিশোধ করে নাই। এক মাসের বেতন না পেলে আমাদের চলা খুবই কঠিন হয়। আমাদের নাওয়া-খাওয়া বন্ধ হয়। আর সেখানে কারখানা কর্তৃপক্ষ দুই মাসের বেতনভাতা বকেয়া রেখেছে। আজ সকালে শ্রমিকেরা জড়ো হলে তারা পালিয়ে যায়।’
মিন্টু নামের এক শ্রমিক বলেন, ‘এই কারখানায় আমরা তিন বছর ধরে চাকরি করছি। আমাদের বেতনের বাইরে কোনো সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে না। তবু পেটের দায়ে চাকরি করি। দুই মাসের বেতন বকেয়া। আমাদের তো পেট আছে, সন্তান-সংসার আছে। এক মাস দোকান বাকি পরিশোধ করতে না পারলে পরের মাসে আর দোকানি বাকি দেয় না। আমরা কী অবস্থায় আছি, একবার ভাবুন। বেতন পরিশোধ না করে তারা পালিয়ে গেছে।’

মেহেদী হাসান বলেন, ‘এত দিন ধরে ঋণ করে বলে-কয়ে দোকান থেকে বাকি নিয়ে চলছি। আর পারছি না। এখন দোকান বাকি দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। অক্টোবর মাসের বকেয়া বেতন নিয়ে কমপক্ষে ১০টি তারিখ দিছে। কিন্তু কারখানা কর্তৃপক্ষ বেতন পরিশোধ করেনি। শেষে আজ বেতন পরিশোধের কথা ছিল। কিন্তু তারা কারখানা ফটকে তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে গেছে।’
কারখানার হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. বুলবুল হাসান বলেন, ‘ব্যাংকের সমস্যার কারণে বেতন-ভাতা পরিশোধ করা যাচ্ছে না। আশা করি, আজকের মধ্যে নভেম্বর মাসের বেতন পরিশোধ করতে পারব।’ বিনা নোটিশে কারখানার ফটক কেন তালাবদ্ধ? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমি বলতে পারব না।’
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাছির আহমদ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

পাঁচ মাস হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের। এই পাঁচ মাসে নিরাপদ সড়কের জন্য কী পরিবর্তন হয়েছে—বলে প্রশ্ন তুলেছেন ‘নিরাপদ সড়ক চাই’-এর (নিসচা) চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন। তিনি বলেছেন, ‘এই পাঁচ মাসে দুর্ঘটনা কি কমেছে? সরকার কোনো কাজ করে নাই। আমার মুখকাটা, আমি কথা বলতে ভয় পাই না। আমি আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় পাই না
১৯ ডিসেম্বর ২০২৪
ভবনের ভেতরের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, হত্যাকাণ্ডের পর এক নারী স্কুলড্রেস পরে কাঁধে ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন। চার দিন আগে আয়েশা পরিচয় দিয়ে ওই বাসায় গৃহকর্মীর কাজ নেওয়া তরুণী (২০) এই জোড়া খুনে জড়িত বলে সন্দেহ স্বজনদের। ঘটনার পর থেকে ওই তরুণী পলাতক।
৩২ মিনিট আগে
জীবন আছে যার, তার মৃত্যু অনিবার্য। মৃত্যুর পর মানুষের শেষ ঠিকানা কবর। মৃতদেহ গোসল করিয়ে কাফন পরানো হয়, জানাজা শেষে তাকে শায়িত করা হয় চিরনিদ্রার ঘরে। এই কবর খোঁড়ার দায়িত্বটি গ্রামের কিছু মানুষ বহু বছর ধরে স্বেচ্ছায়, বিনা পারিশ্রমিকে পালন করে আসছেন, যাঁরা সবার কাছে ‘গোরখোদক’ নামে পরিচিত। আল্লাহর
২ ঘণ্টা আগে
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নাকুগাঁও সীমান্ত দিয়ে ছয় বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের হস্তান্তর করা হয়।
৩ ঘণ্টা আগেনালিতাবাড়ী (শেরপুর) প্রতিনিধি

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নাকুগাঁও সীমান্ত দিয়ে ছয় বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের হস্তান্তর করা হয়।
হস্তান্তর হওয়া মৎস্যজীবীরা কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলার বাসিন্দা। তাঁরা হলেন আবুল হোসেনের ছেলে রাসেল মিয়া (৩৫), বাহাদুর মিয়ার ছেলে বিপ্লব মিয়া (৪৫), ইসহাক আলীর ছেলে মীর জাফর আলী (৪৫), ইছাক আলীর ছেলে বকুল মিয়া (৩২), ফকির আলীর ছেলে আমের আলী (৩৫), সলিমুদ্দিন ব্যাপারীর ছেলে চাঁন মিয়া (৬০)।
বিজিবি ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৪ নভেম্বর জিঞ্জিরাম নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে ভুলক্রমে সীমান্ত অতিক্রম করে তাঁরা ভারতের ভেতরে প্রবেশ করেন। এ সময় স্থানীয় পুলিশ ও বিএসএফ সদস্যরা তাঁদের আটক করে। অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে তাঁরা সেখানে প্রায় ১৩ মাস সাজা ভোগ করেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সন্ধ্যায় শেরপুর ৩৯ বিজিবির দায়িত্বে থাকা এলাকার হাতিপাগার বিজিবি কোয়ার্টার মাস্টার মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে ভারতের কিল্লাপাড়া বিএসএফ ক্যাম্পের সঙ্গে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে বিএসএফ ছয় বাংলাদেশি নাগরিককে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে। এ সময় নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান বলেন, আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর তাঁদেরকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নাকুগাঁও সীমান্ত দিয়ে ছয় বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের হস্তান্তর করা হয়।
হস্তান্তর হওয়া মৎস্যজীবীরা কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলার বাসিন্দা। তাঁরা হলেন আবুল হোসেনের ছেলে রাসেল মিয়া (৩৫), বাহাদুর মিয়ার ছেলে বিপ্লব মিয়া (৪৫), ইসহাক আলীর ছেলে মীর জাফর আলী (৪৫), ইছাক আলীর ছেলে বকুল মিয়া (৩২), ফকির আলীর ছেলে আমের আলী (৩৫), সলিমুদ্দিন ব্যাপারীর ছেলে চাঁন মিয়া (৬০)।
বিজিবি ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৪ নভেম্বর জিঞ্জিরাম নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে ভুলক্রমে সীমান্ত অতিক্রম করে তাঁরা ভারতের ভেতরে প্রবেশ করেন। এ সময় স্থানীয় পুলিশ ও বিএসএফ সদস্যরা তাঁদের আটক করে। অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে তাঁরা সেখানে প্রায় ১৩ মাস সাজা ভোগ করেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সন্ধ্যায় শেরপুর ৩৯ বিজিবির দায়িত্বে থাকা এলাকার হাতিপাগার বিজিবি কোয়ার্টার মাস্টার মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে ভারতের কিল্লাপাড়া বিএসএফ ক্যাম্পের সঙ্গে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে বিএসএফ ছয় বাংলাদেশি নাগরিককে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে। এ সময় নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান বলেন, আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর তাঁদেরকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

পাঁচ মাস হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের। এই পাঁচ মাসে নিরাপদ সড়কের জন্য কী পরিবর্তন হয়েছে—বলে প্রশ্ন তুলেছেন ‘নিরাপদ সড়ক চাই’-এর (নিসচা) চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন। তিনি বলেছেন, ‘এই পাঁচ মাসে দুর্ঘটনা কি কমেছে? সরকার কোনো কাজ করে নাই। আমার মুখকাটা, আমি কথা বলতে ভয় পাই না। আমি আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় পাই না
১৯ ডিসেম্বর ২০২৪
ভবনের ভেতরের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, হত্যাকাণ্ডের পর এক নারী স্কুলড্রেস পরে কাঁধে ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন। চার দিন আগে আয়েশা পরিচয় দিয়ে ওই বাসায় গৃহকর্মীর কাজ নেওয়া তরুণী (২০) এই জোড়া খুনে জড়িত বলে সন্দেহ স্বজনদের। ঘটনার পর থেকে ওই তরুণী পলাতক।
৩২ মিনিট আগে
জীবন আছে যার, তার মৃত্যু অনিবার্য। মৃত্যুর পর মানুষের শেষ ঠিকানা কবর। মৃতদেহ গোসল করিয়ে কাফন পরানো হয়, জানাজা শেষে তাকে শায়িত করা হয় চিরনিদ্রার ঘরে। এই কবর খোঁড়ার দায়িত্বটি গ্রামের কিছু মানুষ বহু বছর ধরে স্বেচ্ছায়, বিনা পারিশ্রমিকে পালন করে আসছেন, যাঁরা সবার কাছে ‘গোরখোদক’ নামে পরিচিত। আল্লাহর
২ ঘণ্টা আগে
গাজীপুরের শ্রীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে কারখানার ফটকের সামনে বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকেরা। আন্দোলনের মুখে কারখানা কর্তৃপক্ষ প্রধান ফটক তালাবদ্ধ করে সটকে পড়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে শিল্প ও থানা-পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসেছেন। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের সাইটালিয়া গ্রামে
২ ঘণ্টা আগে