শরীফ নাসরুল্লাহ, ঢাকা

পুরান ঢাকায় বুড়িগঙ্গার ধারঘেঁষা জনপদ ফরাসি বণিকদের স্মৃতিবাহী ফরাশগঞ্জ। এখানকার মোহিনী মোহন দাস লেনে পুরোনো জীর্ণ একটি বাড়ি দাঁড়িয়ে, নাম ‘মঙ্গলাবাস’। শতবর্ষী এই বাড়ির প্রধান ফটকে বড় করে লেখা ‘মুক্তি খেলাঘর আসর’। ফটক দিয়ে ভেতরে ঢুকতেই আরেকটি পুরোনো ভবনের অংশ। সেখানে ‘মুক্তি খেলাঘর আসর’ নামে আরেকটি সাইনবোর্ড। দৃশ্যত ক্লাবটি সেখানেই। তবে দরজা তালাবদ্ধ। দেখে মনে হয় অনেক দিন খোলা হয়নি। ভবনের সামনে ফুটবল খেলছে কয়েক কিশোর।
খোঁজ নিয়ে জানা গেল, স্বাধীনতার কিছুদিন পরে ১৯৭৩ সালের ১ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠিত হয় ‘মুক্তি খেলাঘর আসর’ নামের ক্লাবটি। এর কার্যক্রমের মধ্যে ছিল শিক্ষা, সংস্কৃতি ও খেলাধুলা। ভবনের পাশেই এখনো আছে ক্লাবের মাঠ। কেবল নেই কোনো কার্যক্রম! মো. রাকিব হোসেন নামের একজনের সঙ্গে কথা হলো। রাকিব হোসেন জানালেন, তিনি ক্লাবের সদস্যসচিব। ৬৫ বছর ধরে তাঁদের কয়েক প্রজন্ম এ এলাকাটিতে থাকেন। নিজে জ্ঞান হওয়ার পর থেকেই ক্লাবটি দেখে আসছেন। রাকিব হোসেন বললেন, এমনিতেই নানা কারণে ক্লাবের কার্যক্রম বলতে তেমন কিছু ছিল না। আর রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর এর কমিটি মোটেই সক্রিয় নেই। সবকিছু মিলে কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ আছে।
‘মুক্তি খেলাঘর আসর’ বিশেষ কোনো ব্যতিক্রম নয়। পুরান ঢাকাসহ গোটা রাজধানীতেই অনেক সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়াবিষয়ক ক্লাব ছিল, যা ধীরে ধীরে হারিয়ে গেছে। কিছু ধুঁকে ধুঁকে টিকে আছে।
‘মুক্তি খেলাঘর আসর’ ক্লাবের সুদিনের কথা জানিয়ে রাকিব হোসেন বলেন, ‘একসময় এখানে গান, আবৃত্তিসহ নানা সাংস্কৃতিক কার্যক্রম ছিল। সাংস্কৃতিক কাজে যুক্ত মানুষের সমাগম হতো ক্লাবে। এখন সব বন্ধ।’
সমস্যার কারণ প্রসঙ্গে রাকিব হোসেন বলেন, তরুণ কর্মীর অভাব রয়েছে। ক্লাব পরিচালনার জন্য আর্থিক অনুদানও পাওয়া কঠিন। তবে তাঁর প্রত্যাশা, মুক্তি খেলাঘর আসর আবার প্রাণ ফিরে পাবে। তাঁরা যে সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের ভেতর দিয়ে বেড়ে উঠেছেন, পরবর্তী প্রজন্মও সেরকম পরিবেশে মানুষ হবে।
সূত্রাপুরের সুকলাল দাস লেনে রয়েছে কাগজীটোলা সোশ্যাল ক্লাব। সম্প্রতি গিয়ে দেখা যায়, ১৯৬৬ সালে যাত্রা শুরু করা সংগঠনটির অবস্থা এখন শোচনীয়। ক্লাবের কলাপসিবল গেট (কেঁচি গেট) বন্ধ। ভেতরে অন্ধকার। বাইরে থেকে দেখা গেল এলোমেলোভাবে রাখা আসবাব। একপাশে একটা ধুলো পড়া ক্যারম বোর্ড। এদিক-ওদিক তাকাতে এক বৃদ্ধ এসে দাঁড়ালেন। সাংবাদিক পরিচয় জেনে ব্যস্ত হয়ে গেটের তালা খুলে ভেতরে ঢুকে আবার বন্ধ করে দিলেন। বৃদ্ধ বললেন, ক্লাবের কেউ এখন নেই। সরকার পরিবর্তনের পরে কাজকর্ম সব বন্ধ।
কয়েকজন স্থানীয় প্রবীণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, কাগজীটোলা সোশ্যাল ক্লাবের কার্যক্রম বলতে তেমন কিছু নেই। সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের উদ্দেশ্যে এই ক্লাবের যাত্রা শুরু হলেও পরবর্তীকালে সেখানে নিছক আড্ডা বা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড হতো। সরকার পরিবর্তনের পরে এখন একেবারেই বন্ধ।
সূত্রাপুরেরই রূপচান লেনের একটা পুরোনো বাড়িতে রয়েছে ‘মাহফুজ স্মৃতি সংসদ ও পাঠাগার’। বেশ পুরোনো সাইনবোর্ডের রং চটে গেছে। সাইনবোর্ড না থাকলে ভবনের বাইরে থেকে বোঝার উপায় নেই যে সেখানে একটি ক্লাব ও পাঠাগার আছে। বাড়িটির দুটো তলায় মানুষের বসবাসের চিহ্ন দেখা গেল। বাড়ির একটিমাত্র কক্ষে এখন ঠাঁই পাঠাগারটির। এলাকার একজন জানালেন, ক্লাবের লোকজনেরা সন্ধ্যায় আসেন। এ ছাড়া এ প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে আর কিছু জানেন না তাঁরা।
সমাজসেবা কিংবা শিক্ষা, সংস্কৃতি ও খেলাধুলাকে এগিয়ে নিতে পুরান ঢাকার বিভিন্ন পঞ্চায়েতপ্রধানরা নানা ক্লাবের গোড়াপত্তন করেছিলেন। বিভিন্ন উৎসবের আয়োজনও করা হতো এমন এলাকাভিত্তিক ক্লাবগুলো থেকে। উনিশ শতকের গোড়ার দিকে পঞ্চায়েতপ্রধান সরদার পিয়ার বখশ নিজে নাটকের সংগঠন ‘সবজী মহল ড্রামাটিক ক্লাব’ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। পুরান ঢাকাবিষয়ক গবেষক নুরুদ্দীন ভূঁইয়া লিখেছেন, ‘পিয়ার বখশ ছিলেন একজন আলোচিত মঞ্চশিল্পী। তিনি তাঁর নিজস্ব অর্থায়নে খোলাচত্বরে অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করে নাটক করতেন।’
একসময় পঞ্চায়েত সরদাররা ছিলেন পুরান ঢাকার সামাজিক, সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের কেন্দ্রে। পঞ্চায়েতব্যবস্থা হারিয়ে যাওয়াও তাঁদের প্রতিষ্ঠিত সংগঠনগুলোর ক্ষয়িষ্ণুতার অন্যতম কারণ।
পুরান ঢাকার বাসিন্দা সুব্রত কুমার দাসের দুই মেয়ে নাচ শেখে ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক শিক্ষায়তন বুলবুল ললিত কলা একাডেমিতে (বাফা)। তিনি আক্ষেপ করে বললেন, ‘পুরান ঢাকার ঐতিহ্যগুলো আর থাকছে না। আমাদের তারুণ্যে ক্লাবভিত্তিক যে সামাজিক-সাংস্কৃতিক কার্যক্রম পাড়ায় পাড়ায় দেখেছি, তা আর নেই। এখনকার কিশোর-তরুণেরা অতটা আগ্রহী নয় এসবে। তাদের আগ্রহ মূলত মোবাইল ফোন ও অন্যান্য গ্যাজেটের দিকে। পরিচর্যার অভাবে, নাকি সময়ের অনিবার্য পরিবর্তনে ক্লাব-সংস্কৃতি হারিয়ে যাচ্ছে, বুঝতে পারছি না।’

পুরান ঢাকায় বুড়িগঙ্গার ধারঘেঁষা জনপদ ফরাসি বণিকদের স্মৃতিবাহী ফরাশগঞ্জ। এখানকার মোহিনী মোহন দাস লেনে পুরোনো জীর্ণ একটি বাড়ি দাঁড়িয়ে, নাম ‘মঙ্গলাবাস’। শতবর্ষী এই বাড়ির প্রধান ফটকে বড় করে লেখা ‘মুক্তি খেলাঘর আসর’। ফটক দিয়ে ভেতরে ঢুকতেই আরেকটি পুরোনো ভবনের অংশ। সেখানে ‘মুক্তি খেলাঘর আসর’ নামে আরেকটি সাইনবোর্ড। দৃশ্যত ক্লাবটি সেখানেই। তবে দরজা তালাবদ্ধ। দেখে মনে হয় অনেক দিন খোলা হয়নি। ভবনের সামনে ফুটবল খেলছে কয়েক কিশোর।
খোঁজ নিয়ে জানা গেল, স্বাধীনতার কিছুদিন পরে ১৯৭৩ সালের ১ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠিত হয় ‘মুক্তি খেলাঘর আসর’ নামের ক্লাবটি। এর কার্যক্রমের মধ্যে ছিল শিক্ষা, সংস্কৃতি ও খেলাধুলা। ভবনের পাশেই এখনো আছে ক্লাবের মাঠ। কেবল নেই কোনো কার্যক্রম! মো. রাকিব হোসেন নামের একজনের সঙ্গে কথা হলো। রাকিব হোসেন জানালেন, তিনি ক্লাবের সদস্যসচিব। ৬৫ বছর ধরে তাঁদের কয়েক প্রজন্ম এ এলাকাটিতে থাকেন। নিজে জ্ঞান হওয়ার পর থেকেই ক্লাবটি দেখে আসছেন। রাকিব হোসেন বললেন, এমনিতেই নানা কারণে ক্লাবের কার্যক্রম বলতে তেমন কিছু ছিল না। আর রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর এর কমিটি মোটেই সক্রিয় নেই। সবকিছু মিলে কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ আছে।
‘মুক্তি খেলাঘর আসর’ বিশেষ কোনো ব্যতিক্রম নয়। পুরান ঢাকাসহ গোটা রাজধানীতেই অনেক সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়াবিষয়ক ক্লাব ছিল, যা ধীরে ধীরে হারিয়ে গেছে। কিছু ধুঁকে ধুঁকে টিকে আছে।
‘মুক্তি খেলাঘর আসর’ ক্লাবের সুদিনের কথা জানিয়ে রাকিব হোসেন বলেন, ‘একসময় এখানে গান, আবৃত্তিসহ নানা সাংস্কৃতিক কার্যক্রম ছিল। সাংস্কৃতিক কাজে যুক্ত মানুষের সমাগম হতো ক্লাবে। এখন সব বন্ধ।’
সমস্যার কারণ প্রসঙ্গে রাকিব হোসেন বলেন, তরুণ কর্মীর অভাব রয়েছে। ক্লাব পরিচালনার জন্য আর্থিক অনুদানও পাওয়া কঠিন। তবে তাঁর প্রত্যাশা, মুক্তি খেলাঘর আসর আবার প্রাণ ফিরে পাবে। তাঁরা যে সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের ভেতর দিয়ে বেড়ে উঠেছেন, পরবর্তী প্রজন্মও সেরকম পরিবেশে মানুষ হবে।
সূত্রাপুরের সুকলাল দাস লেনে রয়েছে কাগজীটোলা সোশ্যাল ক্লাব। সম্প্রতি গিয়ে দেখা যায়, ১৯৬৬ সালে যাত্রা শুরু করা সংগঠনটির অবস্থা এখন শোচনীয়। ক্লাবের কলাপসিবল গেট (কেঁচি গেট) বন্ধ। ভেতরে অন্ধকার। বাইরে থেকে দেখা গেল এলোমেলোভাবে রাখা আসবাব। একপাশে একটা ধুলো পড়া ক্যারম বোর্ড। এদিক-ওদিক তাকাতে এক বৃদ্ধ এসে দাঁড়ালেন। সাংবাদিক পরিচয় জেনে ব্যস্ত হয়ে গেটের তালা খুলে ভেতরে ঢুকে আবার বন্ধ করে দিলেন। বৃদ্ধ বললেন, ক্লাবের কেউ এখন নেই। সরকার পরিবর্তনের পরে কাজকর্ম সব বন্ধ।
কয়েকজন স্থানীয় প্রবীণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, কাগজীটোলা সোশ্যাল ক্লাবের কার্যক্রম বলতে তেমন কিছু নেই। সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের উদ্দেশ্যে এই ক্লাবের যাত্রা শুরু হলেও পরবর্তীকালে সেখানে নিছক আড্ডা বা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড হতো। সরকার পরিবর্তনের পরে এখন একেবারেই বন্ধ।
সূত্রাপুরেরই রূপচান লেনের একটা পুরোনো বাড়িতে রয়েছে ‘মাহফুজ স্মৃতি সংসদ ও পাঠাগার’। বেশ পুরোনো সাইনবোর্ডের রং চটে গেছে। সাইনবোর্ড না থাকলে ভবনের বাইরে থেকে বোঝার উপায় নেই যে সেখানে একটি ক্লাব ও পাঠাগার আছে। বাড়িটির দুটো তলায় মানুষের বসবাসের চিহ্ন দেখা গেল। বাড়ির একটিমাত্র কক্ষে এখন ঠাঁই পাঠাগারটির। এলাকার একজন জানালেন, ক্লাবের লোকজনেরা সন্ধ্যায় আসেন। এ ছাড়া এ প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে আর কিছু জানেন না তাঁরা।
সমাজসেবা কিংবা শিক্ষা, সংস্কৃতি ও খেলাধুলাকে এগিয়ে নিতে পুরান ঢাকার বিভিন্ন পঞ্চায়েতপ্রধানরা নানা ক্লাবের গোড়াপত্তন করেছিলেন। বিভিন্ন উৎসবের আয়োজনও করা হতো এমন এলাকাভিত্তিক ক্লাবগুলো থেকে। উনিশ শতকের গোড়ার দিকে পঞ্চায়েতপ্রধান সরদার পিয়ার বখশ নিজে নাটকের সংগঠন ‘সবজী মহল ড্রামাটিক ক্লাব’ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। পুরান ঢাকাবিষয়ক গবেষক নুরুদ্দীন ভূঁইয়া লিখেছেন, ‘পিয়ার বখশ ছিলেন একজন আলোচিত মঞ্চশিল্পী। তিনি তাঁর নিজস্ব অর্থায়নে খোলাচত্বরে অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করে নাটক করতেন।’
একসময় পঞ্চায়েত সরদাররা ছিলেন পুরান ঢাকার সামাজিক, সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের কেন্দ্রে। পঞ্চায়েতব্যবস্থা হারিয়ে যাওয়াও তাঁদের প্রতিষ্ঠিত সংগঠনগুলোর ক্ষয়িষ্ণুতার অন্যতম কারণ।
পুরান ঢাকার বাসিন্দা সুব্রত কুমার দাসের দুই মেয়ে নাচ শেখে ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক শিক্ষায়তন বুলবুল ললিত কলা একাডেমিতে (বাফা)। তিনি আক্ষেপ করে বললেন, ‘পুরান ঢাকার ঐতিহ্যগুলো আর থাকছে না। আমাদের তারুণ্যে ক্লাবভিত্তিক যে সামাজিক-সাংস্কৃতিক কার্যক্রম পাড়ায় পাড়ায় দেখেছি, তা আর নেই। এখনকার কিশোর-তরুণেরা অতটা আগ্রহী নয় এসবে। তাদের আগ্রহ মূলত মোবাইল ফোন ও অন্যান্য গ্যাজেটের দিকে। পরিচর্যার অভাবে, নাকি সময়ের অনিবার্য পরিবর্তনে ক্লাব-সংস্কৃতি হারিয়ে যাচ্ছে, বুঝতে পারছি না।’
শরীফ নাসরুল্লাহ, ঢাকা

পুরান ঢাকায় বুড়িগঙ্গার ধারঘেঁষা জনপদ ফরাসি বণিকদের স্মৃতিবাহী ফরাশগঞ্জ। এখানকার মোহিনী মোহন দাস লেনে পুরোনো জীর্ণ একটি বাড়ি দাঁড়িয়ে, নাম ‘মঙ্গলাবাস’। শতবর্ষী এই বাড়ির প্রধান ফটকে বড় করে লেখা ‘মুক্তি খেলাঘর আসর’। ফটক দিয়ে ভেতরে ঢুকতেই আরেকটি পুরোনো ভবনের অংশ। সেখানে ‘মুক্তি খেলাঘর আসর’ নামে আরেকটি সাইনবোর্ড। দৃশ্যত ক্লাবটি সেখানেই। তবে দরজা তালাবদ্ধ। দেখে মনে হয় অনেক দিন খোলা হয়নি। ভবনের সামনে ফুটবল খেলছে কয়েক কিশোর।
খোঁজ নিয়ে জানা গেল, স্বাধীনতার কিছুদিন পরে ১৯৭৩ সালের ১ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠিত হয় ‘মুক্তি খেলাঘর আসর’ নামের ক্লাবটি। এর কার্যক্রমের মধ্যে ছিল শিক্ষা, সংস্কৃতি ও খেলাধুলা। ভবনের পাশেই এখনো আছে ক্লাবের মাঠ। কেবল নেই কোনো কার্যক্রম! মো. রাকিব হোসেন নামের একজনের সঙ্গে কথা হলো। রাকিব হোসেন জানালেন, তিনি ক্লাবের সদস্যসচিব। ৬৫ বছর ধরে তাঁদের কয়েক প্রজন্ম এ এলাকাটিতে থাকেন। নিজে জ্ঞান হওয়ার পর থেকেই ক্লাবটি দেখে আসছেন। রাকিব হোসেন বললেন, এমনিতেই নানা কারণে ক্লাবের কার্যক্রম বলতে তেমন কিছু ছিল না। আর রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর এর কমিটি মোটেই সক্রিয় নেই। সবকিছু মিলে কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ আছে।
‘মুক্তি খেলাঘর আসর’ বিশেষ কোনো ব্যতিক্রম নয়। পুরান ঢাকাসহ গোটা রাজধানীতেই অনেক সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়াবিষয়ক ক্লাব ছিল, যা ধীরে ধীরে হারিয়ে গেছে। কিছু ধুঁকে ধুঁকে টিকে আছে।
‘মুক্তি খেলাঘর আসর’ ক্লাবের সুদিনের কথা জানিয়ে রাকিব হোসেন বলেন, ‘একসময় এখানে গান, আবৃত্তিসহ নানা সাংস্কৃতিক কার্যক্রম ছিল। সাংস্কৃতিক কাজে যুক্ত মানুষের সমাগম হতো ক্লাবে। এখন সব বন্ধ।’
সমস্যার কারণ প্রসঙ্গে রাকিব হোসেন বলেন, তরুণ কর্মীর অভাব রয়েছে। ক্লাব পরিচালনার জন্য আর্থিক অনুদানও পাওয়া কঠিন। তবে তাঁর প্রত্যাশা, মুক্তি খেলাঘর আসর আবার প্রাণ ফিরে পাবে। তাঁরা যে সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের ভেতর দিয়ে বেড়ে উঠেছেন, পরবর্তী প্রজন্মও সেরকম পরিবেশে মানুষ হবে।
সূত্রাপুরের সুকলাল দাস লেনে রয়েছে কাগজীটোলা সোশ্যাল ক্লাব। সম্প্রতি গিয়ে দেখা যায়, ১৯৬৬ সালে যাত্রা শুরু করা সংগঠনটির অবস্থা এখন শোচনীয়। ক্লাবের কলাপসিবল গেট (কেঁচি গেট) বন্ধ। ভেতরে অন্ধকার। বাইরে থেকে দেখা গেল এলোমেলোভাবে রাখা আসবাব। একপাশে একটা ধুলো পড়া ক্যারম বোর্ড। এদিক-ওদিক তাকাতে এক বৃদ্ধ এসে দাঁড়ালেন। সাংবাদিক পরিচয় জেনে ব্যস্ত হয়ে গেটের তালা খুলে ভেতরে ঢুকে আবার বন্ধ করে দিলেন। বৃদ্ধ বললেন, ক্লাবের কেউ এখন নেই। সরকার পরিবর্তনের পরে কাজকর্ম সব বন্ধ।
কয়েকজন স্থানীয় প্রবীণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, কাগজীটোলা সোশ্যাল ক্লাবের কার্যক্রম বলতে তেমন কিছু নেই। সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের উদ্দেশ্যে এই ক্লাবের যাত্রা শুরু হলেও পরবর্তীকালে সেখানে নিছক আড্ডা বা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড হতো। সরকার পরিবর্তনের পরে এখন একেবারেই বন্ধ।
সূত্রাপুরেরই রূপচান লেনের একটা পুরোনো বাড়িতে রয়েছে ‘মাহফুজ স্মৃতি সংসদ ও পাঠাগার’। বেশ পুরোনো সাইনবোর্ডের রং চটে গেছে। সাইনবোর্ড না থাকলে ভবনের বাইরে থেকে বোঝার উপায় নেই যে সেখানে একটি ক্লাব ও পাঠাগার আছে। বাড়িটির দুটো তলায় মানুষের বসবাসের চিহ্ন দেখা গেল। বাড়ির একটিমাত্র কক্ষে এখন ঠাঁই পাঠাগারটির। এলাকার একজন জানালেন, ক্লাবের লোকজনেরা সন্ধ্যায় আসেন। এ ছাড়া এ প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে আর কিছু জানেন না তাঁরা।
সমাজসেবা কিংবা শিক্ষা, সংস্কৃতি ও খেলাধুলাকে এগিয়ে নিতে পুরান ঢাকার বিভিন্ন পঞ্চায়েতপ্রধানরা নানা ক্লাবের গোড়াপত্তন করেছিলেন। বিভিন্ন উৎসবের আয়োজনও করা হতো এমন এলাকাভিত্তিক ক্লাবগুলো থেকে। উনিশ শতকের গোড়ার দিকে পঞ্চায়েতপ্রধান সরদার পিয়ার বখশ নিজে নাটকের সংগঠন ‘সবজী মহল ড্রামাটিক ক্লাব’ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। পুরান ঢাকাবিষয়ক গবেষক নুরুদ্দীন ভূঁইয়া লিখেছেন, ‘পিয়ার বখশ ছিলেন একজন আলোচিত মঞ্চশিল্পী। তিনি তাঁর নিজস্ব অর্থায়নে খোলাচত্বরে অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করে নাটক করতেন।’
একসময় পঞ্চায়েত সরদাররা ছিলেন পুরান ঢাকার সামাজিক, সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের কেন্দ্রে। পঞ্চায়েতব্যবস্থা হারিয়ে যাওয়াও তাঁদের প্রতিষ্ঠিত সংগঠনগুলোর ক্ষয়িষ্ণুতার অন্যতম কারণ।
পুরান ঢাকার বাসিন্দা সুব্রত কুমার দাসের দুই মেয়ে নাচ শেখে ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক শিক্ষায়তন বুলবুল ললিত কলা একাডেমিতে (বাফা)। তিনি আক্ষেপ করে বললেন, ‘পুরান ঢাকার ঐতিহ্যগুলো আর থাকছে না। আমাদের তারুণ্যে ক্লাবভিত্তিক যে সামাজিক-সাংস্কৃতিক কার্যক্রম পাড়ায় পাড়ায় দেখেছি, তা আর নেই। এখনকার কিশোর-তরুণেরা অতটা আগ্রহী নয় এসবে। তাদের আগ্রহ মূলত মোবাইল ফোন ও অন্যান্য গ্যাজেটের দিকে। পরিচর্যার অভাবে, নাকি সময়ের অনিবার্য পরিবর্তনে ক্লাব-সংস্কৃতি হারিয়ে যাচ্ছে, বুঝতে পারছি না।’

পুরান ঢাকায় বুড়িগঙ্গার ধারঘেঁষা জনপদ ফরাসি বণিকদের স্মৃতিবাহী ফরাশগঞ্জ। এখানকার মোহিনী মোহন দাস লেনে পুরোনো জীর্ণ একটি বাড়ি দাঁড়িয়ে, নাম ‘মঙ্গলাবাস’। শতবর্ষী এই বাড়ির প্রধান ফটকে বড় করে লেখা ‘মুক্তি খেলাঘর আসর’। ফটক দিয়ে ভেতরে ঢুকতেই আরেকটি পুরোনো ভবনের অংশ। সেখানে ‘মুক্তি খেলাঘর আসর’ নামে আরেকটি সাইনবোর্ড। দৃশ্যত ক্লাবটি সেখানেই। তবে দরজা তালাবদ্ধ। দেখে মনে হয় অনেক দিন খোলা হয়নি। ভবনের সামনে ফুটবল খেলছে কয়েক কিশোর।
খোঁজ নিয়ে জানা গেল, স্বাধীনতার কিছুদিন পরে ১৯৭৩ সালের ১ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠিত হয় ‘মুক্তি খেলাঘর আসর’ নামের ক্লাবটি। এর কার্যক্রমের মধ্যে ছিল শিক্ষা, সংস্কৃতি ও খেলাধুলা। ভবনের পাশেই এখনো আছে ক্লাবের মাঠ। কেবল নেই কোনো কার্যক্রম! মো. রাকিব হোসেন নামের একজনের সঙ্গে কথা হলো। রাকিব হোসেন জানালেন, তিনি ক্লাবের সদস্যসচিব। ৬৫ বছর ধরে তাঁদের কয়েক প্রজন্ম এ এলাকাটিতে থাকেন। নিজে জ্ঞান হওয়ার পর থেকেই ক্লাবটি দেখে আসছেন। রাকিব হোসেন বললেন, এমনিতেই নানা কারণে ক্লাবের কার্যক্রম বলতে তেমন কিছু ছিল না। আর রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর এর কমিটি মোটেই সক্রিয় নেই। সবকিছু মিলে কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ আছে।
‘মুক্তি খেলাঘর আসর’ বিশেষ কোনো ব্যতিক্রম নয়। পুরান ঢাকাসহ গোটা রাজধানীতেই অনেক সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়াবিষয়ক ক্লাব ছিল, যা ধীরে ধীরে হারিয়ে গেছে। কিছু ধুঁকে ধুঁকে টিকে আছে।
‘মুক্তি খেলাঘর আসর’ ক্লাবের সুদিনের কথা জানিয়ে রাকিব হোসেন বলেন, ‘একসময় এখানে গান, আবৃত্তিসহ নানা সাংস্কৃতিক কার্যক্রম ছিল। সাংস্কৃতিক কাজে যুক্ত মানুষের সমাগম হতো ক্লাবে। এখন সব বন্ধ।’
সমস্যার কারণ প্রসঙ্গে রাকিব হোসেন বলেন, তরুণ কর্মীর অভাব রয়েছে। ক্লাব পরিচালনার জন্য আর্থিক অনুদানও পাওয়া কঠিন। তবে তাঁর প্রত্যাশা, মুক্তি খেলাঘর আসর আবার প্রাণ ফিরে পাবে। তাঁরা যে সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের ভেতর দিয়ে বেড়ে উঠেছেন, পরবর্তী প্রজন্মও সেরকম পরিবেশে মানুষ হবে।
সূত্রাপুরের সুকলাল দাস লেনে রয়েছে কাগজীটোলা সোশ্যাল ক্লাব। সম্প্রতি গিয়ে দেখা যায়, ১৯৬৬ সালে যাত্রা শুরু করা সংগঠনটির অবস্থা এখন শোচনীয়। ক্লাবের কলাপসিবল গেট (কেঁচি গেট) বন্ধ। ভেতরে অন্ধকার। বাইরে থেকে দেখা গেল এলোমেলোভাবে রাখা আসবাব। একপাশে একটা ধুলো পড়া ক্যারম বোর্ড। এদিক-ওদিক তাকাতে এক বৃদ্ধ এসে দাঁড়ালেন। সাংবাদিক পরিচয় জেনে ব্যস্ত হয়ে গেটের তালা খুলে ভেতরে ঢুকে আবার বন্ধ করে দিলেন। বৃদ্ধ বললেন, ক্লাবের কেউ এখন নেই। সরকার পরিবর্তনের পরে কাজকর্ম সব বন্ধ।
কয়েকজন স্থানীয় প্রবীণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, কাগজীটোলা সোশ্যাল ক্লাবের কার্যক্রম বলতে তেমন কিছু নেই। সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের উদ্দেশ্যে এই ক্লাবের যাত্রা শুরু হলেও পরবর্তীকালে সেখানে নিছক আড্ডা বা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড হতো। সরকার পরিবর্তনের পরে এখন একেবারেই বন্ধ।
সূত্রাপুরেরই রূপচান লেনের একটা পুরোনো বাড়িতে রয়েছে ‘মাহফুজ স্মৃতি সংসদ ও পাঠাগার’। বেশ পুরোনো সাইনবোর্ডের রং চটে গেছে। সাইনবোর্ড না থাকলে ভবনের বাইরে থেকে বোঝার উপায় নেই যে সেখানে একটি ক্লাব ও পাঠাগার আছে। বাড়িটির দুটো তলায় মানুষের বসবাসের চিহ্ন দেখা গেল। বাড়ির একটিমাত্র কক্ষে এখন ঠাঁই পাঠাগারটির। এলাকার একজন জানালেন, ক্লাবের লোকজনেরা সন্ধ্যায় আসেন। এ ছাড়া এ প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে আর কিছু জানেন না তাঁরা।
সমাজসেবা কিংবা শিক্ষা, সংস্কৃতি ও খেলাধুলাকে এগিয়ে নিতে পুরান ঢাকার বিভিন্ন পঞ্চায়েতপ্রধানরা নানা ক্লাবের গোড়াপত্তন করেছিলেন। বিভিন্ন উৎসবের আয়োজনও করা হতো এমন এলাকাভিত্তিক ক্লাবগুলো থেকে। উনিশ শতকের গোড়ার দিকে পঞ্চায়েতপ্রধান সরদার পিয়ার বখশ নিজে নাটকের সংগঠন ‘সবজী মহল ড্রামাটিক ক্লাব’ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। পুরান ঢাকাবিষয়ক গবেষক নুরুদ্দীন ভূঁইয়া লিখেছেন, ‘পিয়ার বখশ ছিলেন একজন আলোচিত মঞ্চশিল্পী। তিনি তাঁর নিজস্ব অর্থায়নে খোলাচত্বরে অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করে নাটক করতেন।’
একসময় পঞ্চায়েত সরদাররা ছিলেন পুরান ঢাকার সামাজিক, সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের কেন্দ্রে। পঞ্চায়েতব্যবস্থা হারিয়ে যাওয়াও তাঁদের প্রতিষ্ঠিত সংগঠনগুলোর ক্ষয়িষ্ণুতার অন্যতম কারণ।
পুরান ঢাকার বাসিন্দা সুব্রত কুমার দাসের দুই মেয়ে নাচ শেখে ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক শিক্ষায়তন বুলবুল ললিত কলা একাডেমিতে (বাফা)। তিনি আক্ষেপ করে বললেন, ‘পুরান ঢাকার ঐতিহ্যগুলো আর থাকছে না। আমাদের তারুণ্যে ক্লাবভিত্তিক যে সামাজিক-সাংস্কৃতিক কার্যক্রম পাড়ায় পাড়ায় দেখেছি, তা আর নেই। এখনকার কিশোর-তরুণেরা অতটা আগ্রহী নয় এসবে। তাদের আগ্রহ মূলত মোবাইল ফোন ও অন্যান্য গ্যাজেটের দিকে। পরিচর্যার অভাবে, নাকি সময়ের অনিবার্য পরিবর্তনে ক্লাব-সংস্কৃতি হারিয়ে যাচ্ছে, বুঝতে পারছি না।’

বন্দিবিনিময় চুক্তিতে ৩২ জেলেকে ফেরত পাঠিয়েছে ভারত। আর বাংলাদেশ থেকে ৪৭ জেলেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সমঝোতায় সমুদ্রপথে দুই দেশের বন্দিবিনিময় কার্যক্রমে সম্পৃক্ত রয়েছে উভয় দেশের কোস্ট গার্ড।
১৫ মিনিট আগে
শিক্ষক-কর্মচারী আত্তীকরণ বিধিমালার সব কালো আইন বাতিল ও বৈষম্য নিরসনের দাবিতে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী সরকারি কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন। আজ বুধবার দুপুরে কলেজমাঠে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। সরকারি কলেজশিক্ষক সমিতির (সকশিস) কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বানে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
৩১ মিনিট আগে
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় তিস্তার চরে ভূমিদস্যুদের কবল থেকে জমি উদ্ধারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। আজ বুধবার দুপুরে উপজেলার টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের টাপুর চরের তিস্তা নদীর পারে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে দুই শতাধিক মানুষ অংশ নেন।
৩৪ মিনিট আগে
শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল থেকে সরকারি ওষুধ ময়লার গাড়িতে করে পাচারের ঘটনায় সাত সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) হাসপাতালের চিকিৎসক মিজানুর রহমানকে প্রধান করে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের সমন্বয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
১ ঘণ্টা আগেমোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি

বন্দিবিনিময় চুক্তিতে ৩২ জেলেকে ফেরত পাঠিয়েছে ভারত। আর বাংলাদেশ থেকে ৪৭ জেলেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সমঝোতায় সমুদ্রপথে দুই দেশের বন্দিবিনিময় কার্যক্রমে সম্পৃক্ত রয়েছে উভয় দেশের কোস্ট গার্ড।
আজ বুধবার দুপুরে কোস্ট গার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
সিয়াম-উল-হক বলেন, বাংলাদেশ-ভারত আন্তর্জাতিক সমুদ্র সীমারেখাসংলগ্ন বাংলাদেশ জলসীমার মধ্যে অবৈধভাবে মৎস্য আহরণরত অবস্থায় বাংলাদেশ নৌবাহিনী গত ১২ জুলাই ও ২ আগস্ট তিনটি ভারতীয় ফিশিং বোটসহ (এফবি মা মঙ্গল চন্ডি-৩৮, এফবি ঝড়, এফবি পারমিতা-৪) ৪৭ জন ভারতীয় জেলেকে আটক করে।
অপরদিকে, ১২ ও ১৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ-ভারত আন্তর্জাতিক সমুদ্র সীমারেখা অতিক্রম করে ভারতীয় জলসীমায় মৎস্য আহরণের অভিযোগে দুটি বাংলাদেশি ফিশিং বোটসহ ৩২ জন জেলেকে আটক করে দেশটির কোস্ট গার্ড।
এরপর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দ্বিপক্ষীয় সমঝোতার মাধ্যমে আটক থাকা জেলেদের বন্দিবিনিময়ের সিদ্ধান্ত হয়। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় আটক জেলেদের হস্তান্তর/গ্রহণের কার্যক্রম সম্পন্ন করার দায়িত্ব পায় বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড।
এরই ধারাবাহিকতায় ৯ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ-ভারত আন্তর্জাতিক মেরিটাইম বাউন্ডারি লাইনে বাংলাদেশে আটক ৪৭ জন ভারতীয় জেলেকে তিনটি ফিশিং বোটসহ ভারতীয় কোস্ট গার্ডের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
একই সঙ্গে ভারতে আটক ৩২ জন বাংলাদেশি জেলেসহ একটি ফিশিং বোট এফবি মায়ের দোয়া ভারতীয় কোস্ট গার্ড থেকে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড গ্রহণ করে। আর অপর একটি বোট গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
বাংলাদেশি এসব জেলেরা ভারতের কারাগারে ছিল তিন মাস। আর ভারতীয় জেলেরা বাংলাদেশের কারাগারে ছিল চার মাস। আজ বুধবার দুপুরে বাংলাদেশি জেলেদের বোটসহ কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোন সদর দপ্তরে (মোংলা) এনে তাদের নিজ নিজ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

বন্দিবিনিময় চুক্তিতে ৩২ জেলেকে ফেরত পাঠিয়েছে ভারত। আর বাংলাদেশ থেকে ৪৭ জেলেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সমঝোতায় সমুদ্রপথে দুই দেশের বন্দিবিনিময় কার্যক্রমে সম্পৃক্ত রয়েছে উভয় দেশের কোস্ট গার্ড।
আজ বুধবার দুপুরে কোস্ট গার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
সিয়াম-উল-হক বলেন, বাংলাদেশ-ভারত আন্তর্জাতিক সমুদ্র সীমারেখাসংলগ্ন বাংলাদেশ জলসীমার মধ্যে অবৈধভাবে মৎস্য আহরণরত অবস্থায় বাংলাদেশ নৌবাহিনী গত ১২ জুলাই ও ২ আগস্ট তিনটি ভারতীয় ফিশিং বোটসহ (এফবি মা মঙ্গল চন্ডি-৩৮, এফবি ঝড়, এফবি পারমিতা-৪) ৪৭ জন ভারতীয় জেলেকে আটক করে।
অপরদিকে, ১২ ও ১৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ-ভারত আন্তর্জাতিক সমুদ্র সীমারেখা অতিক্রম করে ভারতীয় জলসীমায় মৎস্য আহরণের অভিযোগে দুটি বাংলাদেশি ফিশিং বোটসহ ৩২ জন জেলেকে আটক করে দেশটির কোস্ট গার্ড।
এরপর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দ্বিপক্ষীয় সমঝোতার মাধ্যমে আটক থাকা জেলেদের বন্দিবিনিময়ের সিদ্ধান্ত হয়। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় আটক জেলেদের হস্তান্তর/গ্রহণের কার্যক্রম সম্পন্ন করার দায়িত্ব পায় বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড।
এরই ধারাবাহিকতায় ৯ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ-ভারত আন্তর্জাতিক মেরিটাইম বাউন্ডারি লাইনে বাংলাদেশে আটক ৪৭ জন ভারতীয় জেলেকে তিনটি ফিশিং বোটসহ ভারতীয় কোস্ট গার্ডের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
একই সঙ্গে ভারতে আটক ৩২ জন বাংলাদেশি জেলেসহ একটি ফিশিং বোট এফবি মায়ের দোয়া ভারতীয় কোস্ট গার্ড থেকে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড গ্রহণ করে। আর অপর একটি বোট গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
বাংলাদেশি এসব জেলেরা ভারতের কারাগারে ছিল তিন মাস। আর ভারতীয় জেলেরা বাংলাদেশের কারাগারে ছিল চার মাস। আজ বুধবার দুপুরে বাংলাদেশি জেলেদের বোটসহ কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোন সদর দপ্তরে (মোংলা) এনে তাদের নিজ নিজ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

পুরান ঢাকায় বুড়িগঙ্গার ধারঘেঁষা জনপদ ফরাসি বণিকদের স্মৃতিবাহী ফরাশগঞ্জ। এখানকার মোহিনী মোহন দাস লেনে পুরোনো জীর্ণ একটি বাড়ি দাঁড়িয়ে, নাম ‘মঙ্গলাবাস’। শতবর্ষী এই বাড়ির প্রধান ফটকে বড় করে লেখা ‘মুক্তি খেলাঘর আসর’। ফটক দিয়ে ভেতরে ঢুকতেই আরেকটি পুরোনো ভবনের অংশ।
০১ নভেম্বর ২০২৪
শিক্ষক-কর্মচারী আত্তীকরণ বিধিমালার সব কালো আইন বাতিল ও বৈষম্য নিরসনের দাবিতে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী সরকারি কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন। আজ বুধবার দুপুরে কলেজমাঠে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। সরকারি কলেজশিক্ষক সমিতির (সকশিস) কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বানে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
৩১ মিনিট আগে
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় তিস্তার চরে ভূমিদস্যুদের কবল থেকে জমি উদ্ধারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। আজ বুধবার দুপুরে উপজেলার টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের টাপুর চরের তিস্তা নদীর পারে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে দুই শতাধিক মানুষ অংশ নেন।
৩৪ মিনিট আগে
শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল থেকে সরকারি ওষুধ ময়লার গাড়িতে করে পাচারের ঘটনায় সাত সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) হাসপাতালের চিকিৎসক মিজানুর রহমানকে প্রধান করে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের সমন্বয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
১ ঘণ্টা আগেভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

শিক্ষক-কর্মচারী আত্তীকরণ বিধিমালার সব কালো আইন বাতিল ও বৈষম্য নিরসনের দাবিতে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী সরকারি কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন। আজ বুধবার দুপুরে কলেজমাঠে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। সরকারি কলেজশিক্ষক সমিতির (সকশিস) কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বানে এ কর্মসূচি পালিত হয়। এ সময় সব কালো আইন বাতিল ও বৈষম্য নিরসনে শিক্ষা উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়।
শিক্ষক-কর্মচারীদের পাঁচ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে দ্রুত পদ সোপান তৈরি করে পদোন্নতি দেওয়া, আত্তীকৃত শিক্ষক-কর্মচারীদের পে-প্রোটেকশন দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন, দ্রুততম সময়ে সহজে চাকরি স্থায়ীকরণ সম্পন্ন করা, চাকরি বদলিযোগ্য করা ও একাধিক কলেজে চাকরি করা সময়কালকে গণনায় অন্তর্ভুক্ত করে কার্যকর চাকরিকাল নির্ধারণ করা।
অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তারা শিক্ষক-কর্মচারী আত্তীকরণ বিধিমালা, ২০১৮-এর সব কালো আইন বাতিল ও বৈষম্য নিরসন করে বঞ্চিত শিক্ষক-কর্মচারীদের ন্যায্য দাবি দ্রুত বাস্তবায়ন করার আহ্বান জানান। দাবি আদায় না হলে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলার ঘোষণা দেন।
শিক্ষক পরিষদের সহসাধারণ সম্পাদক মোজাফফর হোসেন বলেন, ‘আমরা এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে চাইনি। একটি কালো আইন তৈরি করে আমাদের সপ্তম গ্রেড থেকে নবম গ্রেডে নামিয়ে অবহেলার আস্তাকুঁড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে।’
সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আজিজুর রহমান সরকার বলেন, মানুষকে তার ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হলে মানুষ ক্ষিপ্ত হয়। নীতি-নৈতিকতার প্রশ্নে তখন তার বিবেক আর সায় দেয় না। রাজপথে নামতে বাধ্য হয়। তিনি অন্তর্বর্তী সরকারকে অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।

শিক্ষক-কর্মচারী আত্তীকরণ বিধিমালার সব কালো আইন বাতিল ও বৈষম্য নিরসনের দাবিতে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী সরকারি কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন। আজ বুধবার দুপুরে কলেজমাঠে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। সরকারি কলেজশিক্ষক সমিতির (সকশিস) কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বানে এ কর্মসূচি পালিত হয়। এ সময় সব কালো আইন বাতিল ও বৈষম্য নিরসনে শিক্ষা উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়।
শিক্ষক-কর্মচারীদের পাঁচ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে দ্রুত পদ সোপান তৈরি করে পদোন্নতি দেওয়া, আত্তীকৃত শিক্ষক-কর্মচারীদের পে-প্রোটেকশন দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন, দ্রুততম সময়ে সহজে চাকরি স্থায়ীকরণ সম্পন্ন করা, চাকরি বদলিযোগ্য করা ও একাধিক কলেজে চাকরি করা সময়কালকে গণনায় অন্তর্ভুক্ত করে কার্যকর চাকরিকাল নির্ধারণ করা।
অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তারা শিক্ষক-কর্মচারী আত্তীকরণ বিধিমালা, ২০১৮-এর সব কালো আইন বাতিল ও বৈষম্য নিরসন করে বঞ্চিত শিক্ষক-কর্মচারীদের ন্যায্য দাবি দ্রুত বাস্তবায়ন করার আহ্বান জানান। দাবি আদায় না হলে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলার ঘোষণা দেন।
শিক্ষক পরিষদের সহসাধারণ সম্পাদক মোজাফফর হোসেন বলেন, ‘আমরা এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে চাইনি। একটি কালো আইন তৈরি করে আমাদের সপ্তম গ্রেড থেকে নবম গ্রেডে নামিয়ে অবহেলার আস্তাকুঁড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে।’
সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আজিজুর রহমান সরকার বলেন, মানুষকে তার ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হলে মানুষ ক্ষিপ্ত হয়। নীতি-নৈতিকতার প্রশ্নে তখন তার বিবেক আর সায় দেয় না। রাজপথে নামতে বাধ্য হয়। তিনি অন্তর্বর্তী সরকারকে অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।

পুরান ঢাকায় বুড়িগঙ্গার ধারঘেঁষা জনপদ ফরাসি বণিকদের স্মৃতিবাহী ফরাশগঞ্জ। এখানকার মোহিনী মোহন দাস লেনে পুরোনো জীর্ণ একটি বাড়ি দাঁড়িয়ে, নাম ‘মঙ্গলাবাস’। শতবর্ষী এই বাড়ির প্রধান ফটকে বড় করে লেখা ‘মুক্তি খেলাঘর আসর’। ফটক দিয়ে ভেতরে ঢুকতেই আরেকটি পুরোনো ভবনের অংশ।
০১ নভেম্বর ২০২৪
বন্দিবিনিময় চুক্তিতে ৩২ জেলেকে ফেরত পাঠিয়েছে ভারত। আর বাংলাদেশ থেকে ৪৭ জেলেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সমঝোতায় সমুদ্রপথে দুই দেশের বন্দিবিনিময় কার্যক্রমে সম্পৃক্ত রয়েছে উভয় দেশের কোস্ট গার্ড।
১৫ মিনিট আগে
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় তিস্তার চরে ভূমিদস্যুদের কবল থেকে জমি উদ্ধারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। আজ বুধবার দুপুরে উপজেলার টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের টাপুর চরের তিস্তা নদীর পারে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে দুই শতাধিক মানুষ অংশ নেন।
৩৪ মিনিট আগে
শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল থেকে সরকারি ওষুধ ময়লার গাড়িতে করে পাচারের ঘটনায় সাত সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) হাসপাতালের চিকিৎসক মিজানুর রহমানকে প্রধান করে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের সমন্বয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
১ ঘণ্টা আগেডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি

নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় তিস্তার চরে ভূমিদস্যুদের কবল থেকে জমি উদ্ধারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। আজ বুধবার দুপুরে উপজেলার টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের টাপুর চরের তিস্তা নদীর পাড়ে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে দুই শতাধিক মানুষ অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, এলাকার চিহ্নিত ভূমিদস্যু আব্দুল মোতালেব ওরফে পানচু, মনির মাস্টার, রহিম বাদশা, ফারুক, আলমগীরসহ একটি প্রভাবশালী চক্র জাল দলিল তৈরি করে ২৫ থেকে ৩০ একর জমি দখল করে রেখেছে। বক্তাদের দাবি, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এসব জমি ভোগদখল করে আসছে ওই চক্র।
ভুক্তভোগীরা বলেন, নিজেদের জমিতে যেতে চাইলে ভূমিদস্যুরা মারধর ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। এতে বহু পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছে এবং জীবিকার পথ হারাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তাঁরা।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া জমির মালিক মুসা ভান্ডারী, মাইনুদ্দিন, সাইজুদ্দিন, নিয়ত আলীসহ অনেকে দ্রুত এসব জমি উদ্ধার করে দখলদারদের আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ দাবি করেন। ভুক্তভোগী জমির মালিকদের কয়েকজন মানববন্ধনে বক্তব্য দেন এবং তাঁদের দীর্ঘদিনের হয়রানি ও জমি হারানোর অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।

নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় তিস্তার চরে ভূমিদস্যুদের কবল থেকে জমি উদ্ধারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। আজ বুধবার দুপুরে উপজেলার টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের টাপুর চরের তিস্তা নদীর পাড়ে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে দুই শতাধিক মানুষ অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, এলাকার চিহ্নিত ভূমিদস্যু আব্দুল মোতালেব ওরফে পানচু, মনির মাস্টার, রহিম বাদশা, ফারুক, আলমগীরসহ একটি প্রভাবশালী চক্র জাল দলিল তৈরি করে ২৫ থেকে ৩০ একর জমি দখল করে রেখেছে। বক্তাদের দাবি, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এসব জমি ভোগদখল করে আসছে ওই চক্র।
ভুক্তভোগীরা বলেন, নিজেদের জমিতে যেতে চাইলে ভূমিদস্যুরা মারধর ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। এতে বহু পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছে এবং জীবিকার পথ হারাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তাঁরা।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া জমির মালিক মুসা ভান্ডারী, মাইনুদ্দিন, সাইজুদ্দিন, নিয়ত আলীসহ অনেকে দ্রুত এসব জমি উদ্ধার করে দখলদারদের আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ দাবি করেন। ভুক্তভোগী জমির মালিকদের কয়েকজন মানববন্ধনে বক্তব্য দেন এবং তাঁদের দীর্ঘদিনের হয়রানি ও জমি হারানোর অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।

পুরান ঢাকায় বুড়িগঙ্গার ধারঘেঁষা জনপদ ফরাসি বণিকদের স্মৃতিবাহী ফরাশগঞ্জ। এখানকার মোহিনী মোহন দাস লেনে পুরোনো জীর্ণ একটি বাড়ি দাঁড়িয়ে, নাম ‘মঙ্গলাবাস’। শতবর্ষী এই বাড়ির প্রধান ফটকে বড় করে লেখা ‘মুক্তি খেলাঘর আসর’। ফটক দিয়ে ভেতরে ঢুকতেই আরেকটি পুরোনো ভবনের অংশ।
০১ নভেম্বর ২০২৪
বন্দিবিনিময় চুক্তিতে ৩২ জেলেকে ফেরত পাঠিয়েছে ভারত। আর বাংলাদেশ থেকে ৪৭ জেলেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সমঝোতায় সমুদ্রপথে দুই দেশের বন্দিবিনিময় কার্যক্রমে সম্পৃক্ত রয়েছে উভয় দেশের কোস্ট গার্ড।
১৫ মিনিট আগে
শিক্ষক-কর্মচারী আত্তীকরণ বিধিমালার সব কালো আইন বাতিল ও বৈষম্য নিরসনের দাবিতে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী সরকারি কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন। আজ বুধবার দুপুরে কলেজমাঠে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। সরকারি কলেজশিক্ষক সমিতির (সকশিস) কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বানে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
৩১ মিনিট আগে
শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল থেকে সরকারি ওষুধ ময়লার গাড়িতে করে পাচারের ঘটনায় সাত সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) হাসপাতালের চিকিৎসক মিজানুর রহমানকে প্রধান করে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের সমন্বয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
১ ঘণ্টা আগেশরীয়তপুর প্রতিনিধি

শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল থেকে সরকারি ওষুধ ময়লার গাড়িতে করে পাচারের ঘটনায় সাত সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) হাসপাতালের চিকিৎসক মিজানুর রহমানকে প্রধান করে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের সমন্বয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে হাসপাতালের প্রধান ফটকে তল্লাশি চালিয়ে ওষুধসহ হাসপাতালটির দুই কর্মচারীকে আটক করেন আনসার সদস্যরা। পরে তাঁদের পুলিশে দেওয়া হয়। আটক কর্মচারীরা হলেন হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতাকর্মী টুবেল হরিজন (৩৫) ও ডোম সহকারী ইবাদুল মিয়া (৫৫)।
পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বিকেলে হাসপাতালের প্রধান ফটকে দায়িত্ব পালন করছিলেন আনসার সদস্য আব্দুর রাজ্জাক। এ সময় টুবেল ও ইবাদুলকে একটি ময়লার ভ্যানগাড়িতে হাসপাতালের বিভিন্ন ব্যবহৃত সরঞ্জাম বহন করতে দেখে তাঁর সন্দেহ হয়। আনসার সদস্য আব্দুর রাজ্জাক ময়লার ভ্যানটি তল্লাশি করেন। তল্লাশিকালে ভ্যান থেকে সলবিয়ন ভিটামিন ওষুধের ১৮০টি বক্স উদ্ধার করা হয়। প্রতিটি বক্সে ৫০ পিস করে মোট ৯ হাজার পিস সরকারি ওষুধ পাওয়া যায়। উদ্ধার হওয়া ওষুধের মেয়াদ ২০২৭ সালের এপ্রিল পর্যন্ত উল্লেখ রয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক দুজন আনসার সদস্যকে জানান, তাঁরা ওষুধগুলো হাসপাতালের বাইরে নিয়ে যাচ্ছিলেন। ঘটনাটি তাৎক্ষণিকভাবে ক্যাম্প কমান্ডারকে জানান আনসার সদস্য আব্দুর রাজ্জাক। পরে পালং থানা-পুলিশে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পালং মডেল থানার মোবাইল ডিউটি টিম ঘটনাস্থলে এসে ওষুধসহ দুজনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়। পরে মুচলেকা নিয়ে পুলিশ তাঁদের ছেড়ে দেয়।
এ বিষয়ে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. হাবিবুর রহমান বলেন, মিজানুর রহমানকে সভাপতি করে সাত সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে জেলা প্রশাসন ও সিভিল সার্জন অফিসের প্রতিনিধি রয়েছেন। সাত দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত শেষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল থেকে সরকারি ওষুধ ময়লার গাড়িতে করে পাচারের ঘটনায় সাত সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) হাসপাতালের চিকিৎসক মিজানুর রহমানকে প্রধান করে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের সমন্বয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে হাসপাতালের প্রধান ফটকে তল্লাশি চালিয়ে ওষুধসহ হাসপাতালটির দুই কর্মচারীকে আটক করেন আনসার সদস্যরা। পরে তাঁদের পুলিশে দেওয়া হয়। আটক কর্মচারীরা হলেন হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতাকর্মী টুবেল হরিজন (৩৫) ও ডোম সহকারী ইবাদুল মিয়া (৫৫)।
পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বিকেলে হাসপাতালের প্রধান ফটকে দায়িত্ব পালন করছিলেন আনসার সদস্য আব্দুর রাজ্জাক। এ সময় টুবেল ও ইবাদুলকে একটি ময়লার ভ্যানগাড়িতে হাসপাতালের বিভিন্ন ব্যবহৃত সরঞ্জাম বহন করতে দেখে তাঁর সন্দেহ হয়। আনসার সদস্য আব্দুর রাজ্জাক ময়লার ভ্যানটি তল্লাশি করেন। তল্লাশিকালে ভ্যান থেকে সলবিয়ন ভিটামিন ওষুধের ১৮০টি বক্স উদ্ধার করা হয়। প্রতিটি বক্সে ৫০ পিস করে মোট ৯ হাজার পিস সরকারি ওষুধ পাওয়া যায়। উদ্ধার হওয়া ওষুধের মেয়াদ ২০২৭ সালের এপ্রিল পর্যন্ত উল্লেখ রয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক দুজন আনসার সদস্যকে জানান, তাঁরা ওষুধগুলো হাসপাতালের বাইরে নিয়ে যাচ্ছিলেন। ঘটনাটি তাৎক্ষণিকভাবে ক্যাম্প কমান্ডারকে জানান আনসার সদস্য আব্দুর রাজ্জাক। পরে পালং থানা-পুলিশে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পালং মডেল থানার মোবাইল ডিউটি টিম ঘটনাস্থলে এসে ওষুধসহ দুজনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়। পরে মুচলেকা নিয়ে পুলিশ তাঁদের ছেড়ে দেয়।
এ বিষয়ে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. হাবিবুর রহমান বলেন, মিজানুর রহমানকে সভাপতি করে সাত সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে জেলা প্রশাসন ও সিভিল সার্জন অফিসের প্রতিনিধি রয়েছেন। সাত দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত শেষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পুরান ঢাকায় বুড়িগঙ্গার ধারঘেঁষা জনপদ ফরাসি বণিকদের স্মৃতিবাহী ফরাশগঞ্জ। এখানকার মোহিনী মোহন দাস লেনে পুরোনো জীর্ণ একটি বাড়ি দাঁড়িয়ে, নাম ‘মঙ্গলাবাস’। শতবর্ষী এই বাড়ির প্রধান ফটকে বড় করে লেখা ‘মুক্তি খেলাঘর আসর’। ফটক দিয়ে ভেতরে ঢুকতেই আরেকটি পুরোনো ভবনের অংশ।
০১ নভেম্বর ২০২৪
বন্দিবিনিময় চুক্তিতে ৩২ জেলেকে ফেরত পাঠিয়েছে ভারত। আর বাংলাদেশ থেকে ৪৭ জেলেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সমঝোতায় সমুদ্রপথে দুই দেশের বন্দিবিনিময় কার্যক্রমে সম্পৃক্ত রয়েছে উভয় দেশের কোস্ট গার্ড।
১৫ মিনিট আগে
শিক্ষক-কর্মচারী আত্তীকরণ বিধিমালার সব কালো আইন বাতিল ও বৈষম্য নিরসনের দাবিতে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী সরকারি কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন। আজ বুধবার দুপুরে কলেজমাঠে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। সরকারি কলেজশিক্ষক সমিতির (সকশিস) কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বানে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
৩১ মিনিট আগে
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় তিস্তার চরে ভূমিদস্যুদের কবল থেকে জমি উদ্ধারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। আজ বুধবার দুপুরে উপজেলার টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের টাপুর চরের তিস্তা নদীর পারে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে দুই শতাধিক মানুষ অংশ নেন।
৩৪ মিনিট আগে