‘পরীক্ষার্থীদের কষ্ট না দিয়ে সব বন্ধ করে র‍্যালি করলেই পারত ’

‘হেরা সব বন্ধ কইরা দিয়া আনন্দ র‍্যালি করলেই পারত। শুধু শুধু এত পরীক্ষার্থীকে কষ্ট দেওয়ার মানে কি?’ রাজধানীর সিটি কলেজের সামনে ঘণ্টাখানেক যানজটে আটকে থাকার পর কথাগুলো বলছিলেন মোহাম্মদপুর থেকে আজিমপুরগামী ১৩ নম্বর বাসের এক চালক।  দিলরুবা আক্তার নামের একজন পরীক্ষার্থীও যুবলীগের আনন্দ র‍্যালির কারণে পরীক্ষা না দিতে পারায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘গত সপ্তাহে বাস না থাকায় পরীক্ষা মিস করছি ৷ আর আজকে আনন্দ র‍্যালির জন্য আমাদের পরীক্ষা দেওয়া হইলো না।’ শুধু দিলরুবা নন তাঁর মতো অনেক শিক্ষার্থী যুবলীগের র‍্যালির কারণে পরীক্ষা দিতে পারেননি।

একই সময়ে একাধিক পরীক্ষার সঙ্গে চাকরিপ্রার্থীদের নতুন আতঙ্ক হয়ে উঠেছে সপ্তাহের শেষ দিনে পড়ে যাওয়া নানা কর্মসূচি। গত সপ্তাহে পরিবহন ধর্মঘটের কারণে সারা দেশে হাজার হাজার চাকরিপ্রার্থী বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি। আর এ সপ্তাহে যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আনন্দ র‍্যালির কারণে দুর্ভোগে পড়েছেন বহু চাকরিপ্রত্যাশী। 

আজ শুক্রবার সকাল থেকেই রাজধানীসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে র‍্যালি করে যুবলীগের নেতা-কর্মীরা ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের দিকে আসতে শুরু করেন। এতে বিভিন্ন সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এ সময়ে পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের চাকরির পরীক্ষা থাকায় প্রার্থীরা বিপাকে পড়েন। অনেকেই দেরি করে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছানোয় তাঁদের পরীক্ষা দিতে দেওয়া হয়নি। 

সোহেল আহমেদ নামের আরেক প্রার্থী বলেন, ‘১০টায় পরীক্ষা ছিল। বাসে বইসাই দেখি ১০টা ১০ বাইজা গেছে ৷ তাই পরীক্ষাটা আর দেওয়া হইলো না। বিকেলে প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংকের পরীক্ষা আছে। ওইটা দিতে পারি কি না দেখি। ’

প্রসঙ্গত, আজ শুক্রবার  অনুষ্ঠিত হচ্ছে নয়টি নিয়োগ পরীক্ষা ৷ এর মধ্যে পাঁচটি সকালে, চারটি বিকেলে। সকালে অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ ব্যাংক, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর এবং সিলেট বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের পরীক্ষা। আর বিকেলে হবে প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংক, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের পরীক্ষা।