Ajker Patrika

মামলার আসামিরা গুলি করেননি: ছাত্র আন্দোলনে আহত এক ব্যক্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাভার
ঢাকার সাভার থানা। ছবি: সংগৃহীত
ঢাকার সাভার থানা। ছবি: সংগৃহীত

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় গুলিতে আহত হন সোহেল আহমেদ (৩৬)। এই ঘটনায় ঢাকার সাভার থানায় দায়ের হওয়া মামলার বিষয়ে তিনি অবগত নন। মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে তাঁরা গুলি করেননি বলে দাবি করেছেন সোহেল আহমেদ।

সোহেল আহমেদ ঢাকার ধামরাইয়ের ফোর্ডনগর এলাকার বাসিন্দা। সাভার পৌর এলাকার মজিদপুর মহল্লায় বসবাস করে স্থানীয় বাসস্ট্যান্ডে হকারি করতেন। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ২০ জুলাই ছাত্র-জনতার মাঝে খাওয়ার পানি সরবরাহ করার সময় গুলিতে আহত হন তিনি। ওই ঘটনায় গত ১৩ সেপ্টেম্বর সাভার থানায় মামলা দায়ের করা হয়।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, গত ২০ জুলাই বিকেল সোয়া ৪টার দিকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা সাভার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আরএস টাওয়ারের সামনে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছিলেন। সোহেল তাঁদের কাছে বোতলজাত পানি বিক্রি করছিলেন। এ সময় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আন্দোলনকারীদের ধাওয়া করে পেটাতে থাকেন। একপর্যায়ে তাঁদের সঙ্গে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে গুলি বর্ষণ করেন। এ সময় একটি গুলি সোহেলের বাম পায়ের ঊরু ভেদ করে বের হয়ে যায়। এতে তিনি গুরুতর আহত হলে চিকিৎসার জন্য তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

মামলায় সাবেক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান ও সাভারের সাবেক সংসদ সদস্য সাইফুল ইসলাম ও একজন সাংবাদিকসহ ১৪০ জনকে আসামি করা হয়েছে। অথচ তাঁদের বিরুদ্ধে সোহেলের কোনো অভিযোগ নেই।

সোহেল বলেন, ‘ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় পুলিশ গুলি ছুড়তেছিল। আমি সেখানেই ছিলাম। একটা গুলি আইসা আমার বাম পায়ে লাগলে আমি ওই খানেই পইড়া যাই। খবর পাইয়া আমার আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীসহ পরিচিতরা আমারে এনাম মেডিকেলে নিয়া ভর্তি করেন। সুস্থ হইয়া বাড়ি আসার পর পরিচিত এক লোক আইসা অনুদানের তালিকায় নাম উঠানোর জন্য জিডির (সাধারণ ডায়েরি) কথা বইলা একটা কাগজে আমারে সই করতে বলেন। তালিকায় নাম উঠলে সরকার থেকে ভাতা পাওয়া যাইব বলে জানান তিনি। এভাবে অনেক বোঝানোর পর আমি ওই কাগজে সই দেই। কিন্তু কোনো ভাতা আমি পাই নাই। পরে জানবার পারি ওটা মামলা হইয়া গেছে।’

সোহেল আরও বলেন, ‘আমারে গুলি করল পুলিশ আর মামলা আসামি অইয়া গেল যারা আমারে গুলি করে নাই তাঁরা। এমন অনেক আসামি আছে যারা চাঁন্দা তুইলা আমার চিকিৎসা করেছেন। গুলি খাওয়ার পর উদ্ধার কইরা আমারে হাসপাতালে নিয়া গেছে। মামলাইটাই মিথ্যা অইয়া গেল। এমন মামলাতো আমি করবার চাই নাই।’

এদিকে গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার মিছিলে স্কুলছাত্র আবিরের ওপর হামলার ঘটনায় আসামি করা হয়েছে জাতীয় দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সংস্থার মহাসচিব আইয়ুব আলীকে। আবিরের মা জুলি ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন। পরে ৩১ অক্টোবর তা আশুলিয়া থানায় এজাহারভুক্ত করা হয়।

জানতে চাইলে আইয়ুব আলী বলেন, ‘গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় আমি ঢাকায় ছিলাম। আমার বাসাও ঢাকায়। কিন্তু মামলায় আমাকে সাভার পৌর এলাকার মজিদপুরের বাসিন্দা দেখানো হয়েছে, যা মিথ্যা।’

আয়ুব আলী আরও বলেন, ‘আমি জন্মান্ধ। কারও সাহায্য ছাড়া চলতে পারি না। আমি আন্দোলনের মধ্যে আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকায় গিয়ে হামলা চালাব কী করে? একটি মহল শত্রুতা করে মামলায় আমার নাম দিয়েছে।’

যোগাযোগ করা হলে মামলার বাদী জুলি বলেন, ‘আমি কিছু জানি না ভাই, এহন ব্যস্ত আছি। পরে ফোন কইরেন।’

মিথ্যা হত্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ করেন সাভার বাজারের এক ব্যবসায়ী। ব্যবসায়িক শত্রুতার জের ধরে তাঁকে ওই মামলায় ফাঁসানো হয়েছে বলে তিনি মনে করেন। মামলার বাদীও হলফনামা দিয়ে তাঁর (ব্যবসায়ী) ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন।

মামলার বাদী বলেন, ‘আমি ওই ব্যবসায়ীকে চিনি না। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সময় আমার ভাই মারা যান। ওই ঘটনার সঙ্গে তিনি জড়িত ছিলেন না।’

গত ৫ আগস্টের পর থানা ও আদালতে মিথ্যা এবং হয়রানিমূলক মামলা ও আসামি করার বিষয়ে সাভার সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহীনুর কবির বলেন, ‘ছাত্র-জনতার আন্দোলনে কারও পরিবারের কেউ হয়তো শহীদ হয়েছেন। পরিবারের সদস্যরা তো আর সবাইকে চিনেন না। স্থানীয় কিছু লোকের সাহায্য নিয়ে তাঁরা মামলা দায়ের করেছেন। তাঁর মধ্যে আসামিদের কেউ হয়তো নিরপরাধ। কারও ব্যক্তিগত শত্রুতা আছে। এসব বিষয় যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে। এ রকম কাউকে আমরা গ্রেপ্তার করছি না। যাচাই-বাছাই শেষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মেট্রোরেলের বেয়ারিং প্যাডে নিহত আবুল কালাম: মা-বাবার কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত

শরীয়তপুর প্রতিনিধি
নড়িয়া পোরাগাছা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা মাঠে আবুল কালামের দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
নড়িয়া পোরাগাছা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা মাঠে আবুল কালামের দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঢাকার ফার্মগেট এলাকায় মেট্রোরেলের বেয়ারিং প্যাড পড়ে নিহত আবুল কালাম চোকদারকে তাঁর মা-বাবার কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়েছে।

স্ত্রী ও ছেলেমেয়ের সঙ্গে আবুল কালাম। ছবি: সংগৃহীত
স্ত্রী ও ছেলেমেয়ের সঙ্গে আবুল কালাম। ছবি: সংগৃহীত

আজ সোমবার (২৭ অক্টোবর) সকাল ৯টায় শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার পোরাগাছা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা মাঠে দ্বিতীয় জানাজা শেষে নড়িয়া পৌর কবরস্থানে তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়। প্রিয়জনকে শেষবিদায় জানাতে সেখানে উপস্থিত হন স্বজন ও প্রতিবেশীরা।

এর আগে, গতকাল রোববার রাতে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের নতুন আইলপাড়া বাইতুল ফালাহ জামে মসজিদে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর স্বজনেরা তাঁর মরদেহ নিয়ে দেশের বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন এবং রাত ২টার দিকে মরদেহ গ্রামের বাড়িতে এসে পৌঁছায়।

স্থানীয় ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, আবুল কালাম আজাদ (৩৬) নড়িয়া উপজেলার মোক্তারের চর ইউনিয়নের ঈশ্বরকাঠি গ্রামের মৃত আব্দুল জলিল চোকদারের ছোট ছেলে। প্রায় ১৫ বছর আগে তাঁর মা-বাবা মারা যান।

আবুল কালাম ছয়-সাত বছর আগে মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফিরে বিয়ে করেন। তিনি স্ত্রী ও দুই সন্তান—আব্দুল্লাহ (৫) ও সুরাইয়াকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ পাঠানতলী এলাকায় বসবাস করতেন। ঢাকায় একটি ট্রাভেল এজেন্সিতে তিনি জনশক্তি রপ্তানির কাজ করতেন।

রোববার (২৬ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে ব্যক্তিগত কাজে রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় যাওয়ার সময় মেট্রোরেলের একটি বেয়ারিং প্যাড খুলে সরাসরি আবুল কালামের মাথা পড়ে। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।

আবুল কালামের মেজো ভাই খোকন চোকদার বলেন, রাত ২টার দিকে ছোট ভাই আবুল কালামের মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। আজ সকাল ৯টায় গ্রামের মসজিদে জানাজা শেষে নড়িয়া পৌর কবরস্থানে মা-বাবার কবরের পাশে তাঁকে দাফন করা হয়েছে।

মোক্তারের চর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাদশা শেখ বলেন, ‘আবুল কালামের মা-বাবা অনেক আগেই মারা যান। ছেলেটি অনেক কষ্ট করে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তার হঠাৎ এভাবে করুণ মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না।’

এ বিষয়ে নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল কাইয়ুম খান বলেন, ‘আবুল কালামের মৃত্যু মর্মান্তিক। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী পরিবারটিকে দ্রুত ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কুলাউড়ায় মোটরসাইকেল-পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া-জুড়ী আঞ্চলিক সড়কে মোটরসাইকেল ও পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে মোটরসাইকেল আরোহী মারওয়ান আলম (২৩) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও চারজন আহত হয়েছেন। রোববার দিবাগত রাতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত মারওয়ান বড়লেখা উপজেলার কাঁঠালতলী গ্রামের ফয়সল আহমদের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল মধ্যরাতে কুলাউড়া থেকে বড়লেখাগামী একটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মোটরসাইকেল আরোহী মারওয়ানসহ মোট পাঁচজন আহত হন। স্থানীয়রা তাৎক্ষণিকভাবে সবাইকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মারওয়ানকে মৃত ঘোষণা করেন।

কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওমর ফারুক বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে পিকআপ ও মোটরসাইকেলটি জব্দ করেছে। পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই হস্তান্তর করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাঘায় কুকুরের কামড়ে শিশুসহ আহত ১২, আতঙ্কে এলাকাবাসী

বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজশাহীর বাঘায় বেওয়ারিশ পাগলা কুকুরের উপদ্রব বেড়েই চলছে। ঘুরে বেড়ানো এক কুকুরের কামড়ে শিশুসহ ১২ জন পথচারী আহত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৬ অক্টোবর) সকাল থেকে রাত পর্যন্ত উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের দিঘা নওদাপাড়া, পুকুরপাড়া, আঠালিয়াপাড়া, অমরপুরসহ লালপুর উপজেলার সাধুপাড়া, ধরবিলা লক্ষবাড়িয়া গ্রামের বিভিন্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে আতঙ্কে রয়েছে এলাকাবাসী।

ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য, গতকাল সকাল থেকে রাত পর্যন্ত হঠাৎ পাগলা কুকুর পথচারীদের ওপর আক্রমণ করে। এতে ১২ জন আহত হয়। তাদের অনেকেই হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে। এদের মধ্যে দিঘা আঠালিয়া গ্রামের আহত নাজমুল হোসেনকে (২৫) সোমবার (২৭ অক্টোবর) সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

কুকুরের কামড়ে আহত দিঘা নওদাপাড়া গ্রামের নাজিমুদ্দিন (৫৬) বলেন, ‘গতকাল দুপুরে বাড়ির পাশে পথে দাঁড়িয়েছিলাম। হঠাৎ কুকুর কামড়ে দেয়। পরে ভ্যাকসিন নিয়েছি।’

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আশাদুজ্জামন আসাদ বলেন, আহত কয়েকজন ব্যক্তির প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘এ বিষয়ে শুনেছি। তবে অতি দ্রুত কুকুরটি আটক করতে পারলে ভালো হয়।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও বাঘা পৌরসভার প্রশাসক শাম্মী আক্তার বলেন, ‘উপজেলার বিভিন্ন এলাকাসহ পৌরসভায় কুকুরের উপদ্রব বেড়েছে, তা জেনেছি। তবে হাইকোর্টে রিট থাকায় উপজেলা ও পৌরসভা কর্তৃক নিধন বা নিয়ন্ত্রণের সুযোগ নেই। এ বিষয়ে আইন মেনে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বড়াইগ্রামে অজ্ঞাতপরিচয় এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার

বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

নাটোরের বড়াইগ্রামে অজ্ঞাতপরিচয় (৭০) এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার সকালে নাটোর-পাবনা মহাসড়কের কয়েন ময়মনসিংহ পাড়া কবরস্থানের পাশ থেকে এই লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশের পরিচয় শনাক্তে কাজ করছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অজ্ঞাত ব্যক্তি মানসিক প্রতিবন্ধী।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকালে নাটোর-পাবনা মহাসড়কের কয়েন ময়মনসিংহপাড়া এলাকায় লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতালে পাঠায়।

বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সারোয়ার হোসেন বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ নাটোর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, নিহত ব্যক্তি একজন মানসিক প্রতিবন্ধী। পরিচয় শনাক্তে কাজ করছে পুলিশ। আইনানুগ ব্যবস্থাও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত