নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের সবচেয়ে আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির কাগজে কলমে দেনা প্রায় ৫০০ কোটি টাকা। আর বাস্তবে প্রায় হাজার কোটি। অথচ ব্যাংকে আছে মাত্র ৩০ লাখ টাকা। স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠেছে, টাকা গেল কোথায়?
সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ রাসেল। গত বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তারের পর থেকে তাঁকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন র্যাবের কর্মকর্তারা। কিন্তু তিনি কোনো সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি। র্যাবের এক কর্মকর্তা বলেন, রাসেল নিজেও জানেন না তিনি টাকা কী করেছেন। বারবার বলেছেন, একজনের টাকা আরেকজনকে দিয়ে ম্যানেজ করেছেন। ব্যবসার সঙ্গে নিজের জন্য দামি গাড়ি আর উচ্চাভিলাষী জীবনযাপনে টাকা খরচ করেছেন।
রাসেল র্যাবকে জানান, এ বছরের শুরুতে নেতিবাচক বিষয়গুলো সামনে আসার পর একেবারেই ধস নামে ইভ্যালির ব্যবসায়। আগের দেনা তো ছিলই, এরপর পণ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো মুখ ফিরিয়ে নেওয়ায় কাউকে টাকা ফেরত দেওয়ার কোনো রাস্তা খুঁজে পাননি তিনি।
ইভ্যালির এই ব্যবসা সম্পর্কে জ্যেষ্ঠ ব্যাংক কর্মকর্তা নুরুল আমিন বলেন, এসব বিষয়ে সরকার কিংবা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আরও আগে তৎপর হওয়া দরকার ছিল। তিনি বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কেন তাদের বারবার সময় দিয়েছে? যুবক, ডেসটিনির মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষেত্রেও বড় বড় টাকার অঙ্ক শোনা গেছে, কিন্তু হিসাব মেলেনি। এই টাকা গ্রাহক সহজে ফিরে পাবেন এমন নীতিমালাও দেশে নেই।
ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল ও তাঁর স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের কাছ থেকে জানার আছে বহু উত্তর। অর্থ আত্মসাতের মামলায় দুজনকে তিন দিন করে রিমান্ডও মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল শুক্রবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলামের আদালতে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে গুলশান থানা। অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. মনিরুজ্জামান আসাদ রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের জন্য আবেদন করেন।
ইভ্যালি দম্পতিকে আদালত থেকে বের করার সময় তাঁদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আদালতের সামনে বিক্ষোভ করেন গ্রাহকেরা। পরে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। আটক একজনকে পরে অবশ্য ভাইয়ের জিম্মায় ছেড়ে দেয় কোতোয়ালি থানার পুলিশ।
এর আগে র্যাবের সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের গণমাধ্যম শাখার মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, গ্রাহকদের পণ্য দিতে বারবার সময় নেওয়া তাদের একটি অপকৌশল ছিল। ইভ্যালির গ্রাহকসংখ্যা আরও বাড়িয়ে যেকোনোভাবেই হোক একটি বিদেশি কোম্পানির কাছে এই দায়সহ ইভ্যালিকে বিক্রি করে দিতেন। তা না হলে প্রতিষ্ঠান দেউলিয়া ঘোষণা করতেন। পৃথিবীর বিভিন্ন বড় কোম্পানিই এভাবে দেউলিয়া ঘোষণা করেছে বলে রাসেল স্বীকার করেন।
গ্রাহকদের পাওনা কীভাবে মেটানো হবে জানতে চাইলে মঈন বলেন, ১ কোটি টাকা লগ্নি করে তিনি ইভ্যালি শুরু করেন। কিন্তু প্রতি মাসে গড়ে প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের বেতন ও ভাড়াসহ ৫ কোটি টাকা করে পরিশোধ করতে হয়েছে। এসব টাকা তিনি নিয়েছেন গ্রাহকদের পণ্য কেনার জন্য দেওয়া টাকা থেকে। ব্র্যান্ডিংসহ সব ধরনের খরচই তিনি গ্রাহকদের টাকা থেকে করতেন। পুরোনো গ্রাহকদের ছয় মাস থেকে এক বছর পর ৫ থেকে ১০ শতাংশ পণ্য দিয়ে নতুনদের দিতেন না। এভাবে ধারাবাহিকভাবে তিনি প্রতিষ্ঠানের দায় বাড়িয়েছেন। তার যে সম্পদ, তাতে কোনোভাবেই গ্রাহকদের সব দায় মেটানো সম্ভব নয়। এখন আইন অনুযায়ী গ্রাহকেরা অর্থ ফেরত পাবেন।
র্যাব জানায়, বিদেশি একটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে প্রতারণার কৌশল শিখেছিলেন রাসেল। ইভ্যালিকে ব্র্যান্ড হিসেবে পরিচিত করে আন্তর্জাতিক কিংবা দেশীয় কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করে দিতে চেয়েছিলেন। প্রতিষ্ঠানের বয়স তিন বছর হলেই তিনি শেয়ার মার্কেটে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন, যাতে দেশি ও বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কাছে বিশ্বাস অর্জন করা যায়।
গত ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির দায় ৪০৩ কোটি টাকা বলে একটি সংস্থার তদন্তে উঠে আসে। কিন্তু রাসেল জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, এই দায় এখন ১ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। ইভ্যালির সঙ্গে অন্য প্রভাবশালীর সংশ্লিষ্টতা আছে কি না, জানতে চাইলে র্যাবের মুখপাত্র বলেন, প্রতিষ্ঠানে রাসেলই ছিলেন সব। এখানে অন্য কারও প্রভাব ছিল না। তিনি গ্রাহক প্রতারণার জন্য বিভিন্ন লোভনীয় অফার দিতেন। প্রতিষ্ঠানে কোনো স্বচ্ছতা ছিল না। জবাবদিহিও ছিল না। চলমান অচলাবস্থায় এর ব্যবসায়িক ভবিষ্যৎ নিয়ে তিনি নিজেই সন্দিহান ছিলেন।
রাসেল তাঁর উদ্দেশ্য সম্পর্কে র্যাবকে জানিয়েছেন, ইভ্যালিকে দক্ষিণ এশিয়ায় এক নামে চিনবে এমন একটি পরিচিতি তৈরি করতে চেয়েছিলেন। তিনি দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগ আনার চেষ্টা করেছেন। তার গ্রাহকসংখ্যা ৭০ লাখ হলেও কেউ বিনিয়োগ করতে রাজি হননি। কয়েকটি দেশীয় প্রতিষ্ঠান এগিয়ে এলেও তাদের অস্বচ্ছতার কারণে পিছিয়ে গেছে।
রাসেল ও তাঁর স্ত্রী প্রতি মাসে ৫ লাখ টাকা করে বেতন নিতেন। তাঁরা প্রতিষ্ঠানের অর্থে কেনা দামি রেঞ্জ রোভার ও অডি ব্র্যান্ডের দুটি গাড়ি ব্যবহার করতেন। বর্তমানে ইভ্যালির বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৩০ লাখ টাকা আছে।

দেশের সবচেয়ে আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির কাগজে কলমে দেনা প্রায় ৫০০ কোটি টাকা। আর বাস্তবে প্রায় হাজার কোটি। অথচ ব্যাংকে আছে মাত্র ৩০ লাখ টাকা। স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠেছে, টাকা গেল কোথায়?
সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ রাসেল। গত বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তারের পর থেকে তাঁকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন র্যাবের কর্মকর্তারা। কিন্তু তিনি কোনো সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি। র্যাবের এক কর্মকর্তা বলেন, রাসেল নিজেও জানেন না তিনি টাকা কী করেছেন। বারবার বলেছেন, একজনের টাকা আরেকজনকে দিয়ে ম্যানেজ করেছেন। ব্যবসার সঙ্গে নিজের জন্য দামি গাড়ি আর উচ্চাভিলাষী জীবনযাপনে টাকা খরচ করেছেন।
রাসেল র্যাবকে জানান, এ বছরের শুরুতে নেতিবাচক বিষয়গুলো সামনে আসার পর একেবারেই ধস নামে ইভ্যালির ব্যবসায়। আগের দেনা তো ছিলই, এরপর পণ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো মুখ ফিরিয়ে নেওয়ায় কাউকে টাকা ফেরত দেওয়ার কোনো রাস্তা খুঁজে পাননি তিনি।
ইভ্যালির এই ব্যবসা সম্পর্কে জ্যেষ্ঠ ব্যাংক কর্মকর্তা নুরুল আমিন বলেন, এসব বিষয়ে সরকার কিংবা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আরও আগে তৎপর হওয়া দরকার ছিল। তিনি বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কেন তাদের বারবার সময় দিয়েছে? যুবক, ডেসটিনির মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষেত্রেও বড় বড় টাকার অঙ্ক শোনা গেছে, কিন্তু হিসাব মেলেনি। এই টাকা গ্রাহক সহজে ফিরে পাবেন এমন নীতিমালাও দেশে নেই।
ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল ও তাঁর স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের কাছ থেকে জানার আছে বহু উত্তর। অর্থ আত্মসাতের মামলায় দুজনকে তিন দিন করে রিমান্ডও মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল শুক্রবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলামের আদালতে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে গুলশান থানা। অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. মনিরুজ্জামান আসাদ রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের জন্য আবেদন করেন।
ইভ্যালি দম্পতিকে আদালত থেকে বের করার সময় তাঁদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আদালতের সামনে বিক্ষোভ করেন গ্রাহকেরা। পরে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। আটক একজনকে পরে অবশ্য ভাইয়ের জিম্মায় ছেড়ে দেয় কোতোয়ালি থানার পুলিশ।
এর আগে র্যাবের সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের গণমাধ্যম শাখার মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, গ্রাহকদের পণ্য দিতে বারবার সময় নেওয়া তাদের একটি অপকৌশল ছিল। ইভ্যালির গ্রাহকসংখ্যা আরও বাড়িয়ে যেকোনোভাবেই হোক একটি বিদেশি কোম্পানির কাছে এই দায়সহ ইভ্যালিকে বিক্রি করে দিতেন। তা না হলে প্রতিষ্ঠান দেউলিয়া ঘোষণা করতেন। পৃথিবীর বিভিন্ন বড় কোম্পানিই এভাবে দেউলিয়া ঘোষণা করেছে বলে রাসেল স্বীকার করেন।
গ্রাহকদের পাওনা কীভাবে মেটানো হবে জানতে চাইলে মঈন বলেন, ১ কোটি টাকা লগ্নি করে তিনি ইভ্যালি শুরু করেন। কিন্তু প্রতি মাসে গড়ে প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের বেতন ও ভাড়াসহ ৫ কোটি টাকা করে পরিশোধ করতে হয়েছে। এসব টাকা তিনি নিয়েছেন গ্রাহকদের পণ্য কেনার জন্য দেওয়া টাকা থেকে। ব্র্যান্ডিংসহ সব ধরনের খরচই তিনি গ্রাহকদের টাকা থেকে করতেন। পুরোনো গ্রাহকদের ছয় মাস থেকে এক বছর পর ৫ থেকে ১০ শতাংশ পণ্য দিয়ে নতুনদের দিতেন না। এভাবে ধারাবাহিকভাবে তিনি প্রতিষ্ঠানের দায় বাড়িয়েছেন। তার যে সম্পদ, তাতে কোনোভাবেই গ্রাহকদের সব দায় মেটানো সম্ভব নয়। এখন আইন অনুযায়ী গ্রাহকেরা অর্থ ফেরত পাবেন।
র্যাব জানায়, বিদেশি একটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে প্রতারণার কৌশল শিখেছিলেন রাসেল। ইভ্যালিকে ব্র্যান্ড হিসেবে পরিচিত করে আন্তর্জাতিক কিংবা দেশীয় কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করে দিতে চেয়েছিলেন। প্রতিষ্ঠানের বয়স তিন বছর হলেই তিনি শেয়ার মার্কেটে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন, যাতে দেশি ও বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কাছে বিশ্বাস অর্জন করা যায়।
গত ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির দায় ৪০৩ কোটি টাকা বলে একটি সংস্থার তদন্তে উঠে আসে। কিন্তু রাসেল জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, এই দায় এখন ১ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। ইভ্যালির সঙ্গে অন্য প্রভাবশালীর সংশ্লিষ্টতা আছে কি না, জানতে চাইলে র্যাবের মুখপাত্র বলেন, প্রতিষ্ঠানে রাসেলই ছিলেন সব। এখানে অন্য কারও প্রভাব ছিল না। তিনি গ্রাহক প্রতারণার জন্য বিভিন্ন লোভনীয় অফার দিতেন। প্রতিষ্ঠানে কোনো স্বচ্ছতা ছিল না। জবাবদিহিও ছিল না। চলমান অচলাবস্থায় এর ব্যবসায়িক ভবিষ্যৎ নিয়ে তিনি নিজেই সন্দিহান ছিলেন।
রাসেল তাঁর উদ্দেশ্য সম্পর্কে র্যাবকে জানিয়েছেন, ইভ্যালিকে দক্ষিণ এশিয়ায় এক নামে চিনবে এমন একটি পরিচিতি তৈরি করতে চেয়েছিলেন। তিনি দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগ আনার চেষ্টা করেছেন। তার গ্রাহকসংখ্যা ৭০ লাখ হলেও কেউ বিনিয়োগ করতে রাজি হননি। কয়েকটি দেশীয় প্রতিষ্ঠান এগিয়ে এলেও তাদের অস্বচ্ছতার কারণে পিছিয়ে গেছে।
রাসেল ও তাঁর স্ত্রী প্রতি মাসে ৫ লাখ টাকা করে বেতন নিতেন। তাঁরা প্রতিষ্ঠানের অর্থে কেনা দামি রেঞ্জ রোভার ও অডি ব্র্যান্ডের দুটি গাড়ি ব্যবহার করতেন। বর্তমানে ইভ্যালির বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৩০ লাখ টাকা আছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের সবচেয়ে আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির কাগজে কলমে দেনা প্রায় ৫০০ কোটি টাকা। আর বাস্তবে প্রায় হাজার কোটি। অথচ ব্যাংকে আছে মাত্র ৩০ লাখ টাকা। স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠেছে, টাকা গেল কোথায়?
সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ রাসেল। গত বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তারের পর থেকে তাঁকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন র্যাবের কর্মকর্তারা। কিন্তু তিনি কোনো সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি। র্যাবের এক কর্মকর্তা বলেন, রাসেল নিজেও জানেন না তিনি টাকা কী করেছেন। বারবার বলেছেন, একজনের টাকা আরেকজনকে দিয়ে ম্যানেজ করেছেন। ব্যবসার সঙ্গে নিজের জন্য দামি গাড়ি আর উচ্চাভিলাষী জীবনযাপনে টাকা খরচ করেছেন।
রাসেল র্যাবকে জানান, এ বছরের শুরুতে নেতিবাচক বিষয়গুলো সামনে আসার পর একেবারেই ধস নামে ইভ্যালির ব্যবসায়। আগের দেনা তো ছিলই, এরপর পণ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো মুখ ফিরিয়ে নেওয়ায় কাউকে টাকা ফেরত দেওয়ার কোনো রাস্তা খুঁজে পাননি তিনি।
ইভ্যালির এই ব্যবসা সম্পর্কে জ্যেষ্ঠ ব্যাংক কর্মকর্তা নুরুল আমিন বলেন, এসব বিষয়ে সরকার কিংবা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আরও আগে তৎপর হওয়া দরকার ছিল। তিনি বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কেন তাদের বারবার সময় দিয়েছে? যুবক, ডেসটিনির মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষেত্রেও বড় বড় টাকার অঙ্ক শোনা গেছে, কিন্তু হিসাব মেলেনি। এই টাকা গ্রাহক সহজে ফিরে পাবেন এমন নীতিমালাও দেশে নেই।
ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল ও তাঁর স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের কাছ থেকে জানার আছে বহু উত্তর। অর্থ আত্মসাতের মামলায় দুজনকে তিন দিন করে রিমান্ডও মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল শুক্রবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলামের আদালতে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে গুলশান থানা। অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. মনিরুজ্জামান আসাদ রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের জন্য আবেদন করেন।
ইভ্যালি দম্পতিকে আদালত থেকে বের করার সময় তাঁদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আদালতের সামনে বিক্ষোভ করেন গ্রাহকেরা। পরে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। আটক একজনকে পরে অবশ্য ভাইয়ের জিম্মায় ছেড়ে দেয় কোতোয়ালি থানার পুলিশ।
এর আগে র্যাবের সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের গণমাধ্যম শাখার মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, গ্রাহকদের পণ্য দিতে বারবার সময় নেওয়া তাদের একটি অপকৌশল ছিল। ইভ্যালির গ্রাহকসংখ্যা আরও বাড়িয়ে যেকোনোভাবেই হোক একটি বিদেশি কোম্পানির কাছে এই দায়সহ ইভ্যালিকে বিক্রি করে দিতেন। তা না হলে প্রতিষ্ঠান দেউলিয়া ঘোষণা করতেন। পৃথিবীর বিভিন্ন বড় কোম্পানিই এভাবে দেউলিয়া ঘোষণা করেছে বলে রাসেল স্বীকার করেন।
গ্রাহকদের পাওনা কীভাবে মেটানো হবে জানতে চাইলে মঈন বলেন, ১ কোটি টাকা লগ্নি করে তিনি ইভ্যালি শুরু করেন। কিন্তু প্রতি মাসে গড়ে প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের বেতন ও ভাড়াসহ ৫ কোটি টাকা করে পরিশোধ করতে হয়েছে। এসব টাকা তিনি নিয়েছেন গ্রাহকদের পণ্য কেনার জন্য দেওয়া টাকা থেকে। ব্র্যান্ডিংসহ সব ধরনের খরচই তিনি গ্রাহকদের টাকা থেকে করতেন। পুরোনো গ্রাহকদের ছয় মাস থেকে এক বছর পর ৫ থেকে ১০ শতাংশ পণ্য দিয়ে নতুনদের দিতেন না। এভাবে ধারাবাহিকভাবে তিনি প্রতিষ্ঠানের দায় বাড়িয়েছেন। তার যে সম্পদ, তাতে কোনোভাবেই গ্রাহকদের সব দায় মেটানো সম্ভব নয়। এখন আইন অনুযায়ী গ্রাহকেরা অর্থ ফেরত পাবেন।
র্যাব জানায়, বিদেশি একটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে প্রতারণার কৌশল শিখেছিলেন রাসেল। ইভ্যালিকে ব্র্যান্ড হিসেবে পরিচিত করে আন্তর্জাতিক কিংবা দেশীয় কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করে দিতে চেয়েছিলেন। প্রতিষ্ঠানের বয়স তিন বছর হলেই তিনি শেয়ার মার্কেটে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন, যাতে দেশি ও বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কাছে বিশ্বাস অর্জন করা যায়।
গত ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির দায় ৪০৩ কোটি টাকা বলে একটি সংস্থার তদন্তে উঠে আসে। কিন্তু রাসেল জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, এই দায় এখন ১ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। ইভ্যালির সঙ্গে অন্য প্রভাবশালীর সংশ্লিষ্টতা আছে কি না, জানতে চাইলে র্যাবের মুখপাত্র বলেন, প্রতিষ্ঠানে রাসেলই ছিলেন সব। এখানে অন্য কারও প্রভাব ছিল না। তিনি গ্রাহক প্রতারণার জন্য বিভিন্ন লোভনীয় অফার দিতেন। প্রতিষ্ঠানে কোনো স্বচ্ছতা ছিল না। জবাবদিহিও ছিল না। চলমান অচলাবস্থায় এর ব্যবসায়িক ভবিষ্যৎ নিয়ে তিনি নিজেই সন্দিহান ছিলেন।
রাসেল তাঁর উদ্দেশ্য সম্পর্কে র্যাবকে জানিয়েছেন, ইভ্যালিকে দক্ষিণ এশিয়ায় এক নামে চিনবে এমন একটি পরিচিতি তৈরি করতে চেয়েছিলেন। তিনি দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগ আনার চেষ্টা করেছেন। তার গ্রাহকসংখ্যা ৭০ লাখ হলেও কেউ বিনিয়োগ করতে রাজি হননি। কয়েকটি দেশীয় প্রতিষ্ঠান এগিয়ে এলেও তাদের অস্বচ্ছতার কারণে পিছিয়ে গেছে।
রাসেল ও তাঁর স্ত্রী প্রতি মাসে ৫ লাখ টাকা করে বেতন নিতেন। তাঁরা প্রতিষ্ঠানের অর্থে কেনা দামি রেঞ্জ রোভার ও অডি ব্র্যান্ডের দুটি গাড়ি ব্যবহার করতেন। বর্তমানে ইভ্যালির বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৩০ লাখ টাকা আছে।

দেশের সবচেয়ে আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির কাগজে কলমে দেনা প্রায় ৫০০ কোটি টাকা। আর বাস্তবে প্রায় হাজার কোটি। অথচ ব্যাংকে আছে মাত্র ৩০ লাখ টাকা। স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠেছে, টাকা গেল কোথায়?
সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ রাসেল। গত বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তারের পর থেকে তাঁকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন র্যাবের কর্মকর্তারা। কিন্তু তিনি কোনো সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি। র্যাবের এক কর্মকর্তা বলেন, রাসেল নিজেও জানেন না তিনি টাকা কী করেছেন। বারবার বলেছেন, একজনের টাকা আরেকজনকে দিয়ে ম্যানেজ করেছেন। ব্যবসার সঙ্গে নিজের জন্য দামি গাড়ি আর উচ্চাভিলাষী জীবনযাপনে টাকা খরচ করেছেন।
রাসেল র্যাবকে জানান, এ বছরের শুরুতে নেতিবাচক বিষয়গুলো সামনে আসার পর একেবারেই ধস নামে ইভ্যালির ব্যবসায়। আগের দেনা তো ছিলই, এরপর পণ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো মুখ ফিরিয়ে নেওয়ায় কাউকে টাকা ফেরত দেওয়ার কোনো রাস্তা খুঁজে পাননি তিনি।
ইভ্যালির এই ব্যবসা সম্পর্কে জ্যেষ্ঠ ব্যাংক কর্মকর্তা নুরুল আমিন বলেন, এসব বিষয়ে সরকার কিংবা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আরও আগে তৎপর হওয়া দরকার ছিল। তিনি বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কেন তাদের বারবার সময় দিয়েছে? যুবক, ডেসটিনির মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষেত্রেও বড় বড় টাকার অঙ্ক শোনা গেছে, কিন্তু হিসাব মেলেনি। এই টাকা গ্রাহক সহজে ফিরে পাবেন এমন নীতিমালাও দেশে নেই।
ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল ও তাঁর স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের কাছ থেকে জানার আছে বহু উত্তর। অর্থ আত্মসাতের মামলায় দুজনকে তিন দিন করে রিমান্ডও মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল শুক্রবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলামের আদালতে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে গুলশান থানা। অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. মনিরুজ্জামান আসাদ রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের জন্য আবেদন করেন।
ইভ্যালি দম্পতিকে আদালত থেকে বের করার সময় তাঁদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আদালতের সামনে বিক্ষোভ করেন গ্রাহকেরা। পরে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। আটক একজনকে পরে অবশ্য ভাইয়ের জিম্মায় ছেড়ে দেয় কোতোয়ালি থানার পুলিশ।
এর আগে র্যাবের সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের গণমাধ্যম শাখার মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, গ্রাহকদের পণ্য দিতে বারবার সময় নেওয়া তাদের একটি অপকৌশল ছিল। ইভ্যালির গ্রাহকসংখ্যা আরও বাড়িয়ে যেকোনোভাবেই হোক একটি বিদেশি কোম্পানির কাছে এই দায়সহ ইভ্যালিকে বিক্রি করে দিতেন। তা না হলে প্রতিষ্ঠান দেউলিয়া ঘোষণা করতেন। পৃথিবীর বিভিন্ন বড় কোম্পানিই এভাবে দেউলিয়া ঘোষণা করেছে বলে রাসেল স্বীকার করেন।
গ্রাহকদের পাওনা কীভাবে মেটানো হবে জানতে চাইলে মঈন বলেন, ১ কোটি টাকা লগ্নি করে তিনি ইভ্যালি শুরু করেন। কিন্তু প্রতি মাসে গড়ে প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের বেতন ও ভাড়াসহ ৫ কোটি টাকা করে পরিশোধ করতে হয়েছে। এসব টাকা তিনি নিয়েছেন গ্রাহকদের পণ্য কেনার জন্য দেওয়া টাকা থেকে। ব্র্যান্ডিংসহ সব ধরনের খরচই তিনি গ্রাহকদের টাকা থেকে করতেন। পুরোনো গ্রাহকদের ছয় মাস থেকে এক বছর পর ৫ থেকে ১০ শতাংশ পণ্য দিয়ে নতুনদের দিতেন না। এভাবে ধারাবাহিকভাবে তিনি প্রতিষ্ঠানের দায় বাড়িয়েছেন। তার যে সম্পদ, তাতে কোনোভাবেই গ্রাহকদের সব দায় মেটানো সম্ভব নয়। এখন আইন অনুযায়ী গ্রাহকেরা অর্থ ফেরত পাবেন।
র্যাব জানায়, বিদেশি একটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে প্রতারণার কৌশল শিখেছিলেন রাসেল। ইভ্যালিকে ব্র্যান্ড হিসেবে পরিচিত করে আন্তর্জাতিক কিংবা দেশীয় কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করে দিতে চেয়েছিলেন। প্রতিষ্ঠানের বয়স তিন বছর হলেই তিনি শেয়ার মার্কেটে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন, যাতে দেশি ও বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কাছে বিশ্বাস অর্জন করা যায়।
গত ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির দায় ৪০৩ কোটি টাকা বলে একটি সংস্থার তদন্তে উঠে আসে। কিন্তু রাসেল জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, এই দায় এখন ১ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। ইভ্যালির সঙ্গে অন্য প্রভাবশালীর সংশ্লিষ্টতা আছে কি না, জানতে চাইলে র্যাবের মুখপাত্র বলেন, প্রতিষ্ঠানে রাসেলই ছিলেন সব। এখানে অন্য কারও প্রভাব ছিল না। তিনি গ্রাহক প্রতারণার জন্য বিভিন্ন লোভনীয় অফার দিতেন। প্রতিষ্ঠানে কোনো স্বচ্ছতা ছিল না। জবাবদিহিও ছিল না। চলমান অচলাবস্থায় এর ব্যবসায়িক ভবিষ্যৎ নিয়ে তিনি নিজেই সন্দিহান ছিলেন।
রাসেল তাঁর উদ্দেশ্য সম্পর্কে র্যাবকে জানিয়েছেন, ইভ্যালিকে দক্ষিণ এশিয়ায় এক নামে চিনবে এমন একটি পরিচিতি তৈরি করতে চেয়েছিলেন। তিনি দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগ আনার চেষ্টা করেছেন। তার গ্রাহকসংখ্যা ৭০ লাখ হলেও কেউ বিনিয়োগ করতে রাজি হননি। কয়েকটি দেশীয় প্রতিষ্ঠান এগিয়ে এলেও তাদের অস্বচ্ছতার কারণে পিছিয়ে গেছে।
রাসেল ও তাঁর স্ত্রী প্রতি মাসে ৫ লাখ টাকা করে বেতন নিতেন। তাঁরা প্রতিষ্ঠানের অর্থে কেনা দামি রেঞ্জ রোভার ও অডি ব্র্যান্ডের দুটি গাড়ি ব্যবহার করতেন। বর্তমানে ইভ্যালির বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৩০ লাখ টাকা আছে।

চট্টগ্রামের রাউজানে জসিম উদ্দিন নামের এক কৃষকের খেতের সবজি কেটে ও উপড়ে ফেলে দুর্বৃত্তরা নষ্ট করেছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার কদলপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের শমসেরপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
৪ মিনিট আগে
রাজধানীর মিরপুর ১১ নম্বরের কালশী রোডে একটি কমিউনিটি সেন্টারে আগুন লেগেছে। ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে, আরও দুটি ইউনিট সেখানে যাওয়ার পথে রয়েছে।
৯ মিনিট আগে
খাগড়াছড়ির পানছড়িতে সশস্ত্র সংগঠন ইউপিডিএফের হয়ে অবৈধভাবে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে সৈয়দ মাহবুব রহমান (৫৩) নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পানছড়ি সেনা সাব জোনের বিশেষ অভিযানে দমদম গ্রাম থেকে তাঁকে আটক করা হয়।
১২ মিনিট আগে
বরগুনার আমতলীতে যৌতুক দিতে রাজি না হওয়ায় শাহিনুর বেগম (৪০) নামে এক গৃহবধূকে তাঁর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন বেধড়ক পিটিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার ছোট নীলগঞ্জ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আজ শুক্রবার দুপুরে পুলিশ ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে।
২২ মিনিট আগেরাউজান প্রতিনিধি

চট্টগ্রামের রাউজানে জসিম উদ্দিন নামের এক কৃষকের খেতের সবজি কেটে ও উপড়ে ফেলে দুর্বৃত্তরা নষ্ট করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার কদলপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের শমসেরপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক জসিম উদ্দিন জানান, ঋণের টাকায় বাড়ি থেকে আধা কিলোমিটার দূরে চার কানি জমিতে বিভিন্ন জাতের সবজি চাষ করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতের আঁধারে দুর্বৃত্তরা প্রায় ৮০ শতক জমির সবজি কেটে ও উপড়ে নষ্ট করেছে।
জসিম উদ্দিন বলেন, ‘সবজি কাটতে খেতে এসে দেখি, আমার পুরো সবজিখেত তছনছ। সব ফসল বিক্রি করতে পারলে প্রায় ৫ লাখ টাকার বেশি বিক্রি করা যেত। শ্রমিকের মজুরি ও সার-বীজ কিনতে গিয়ে ইতিমধ্যে প্রায় ২ লাখ টাকা খরচ হয়ে গেছে।’
রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে কেউ লিখিত বা মৌখিক অভিযোগ করেনি, অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

চট্টগ্রামের রাউজানে জসিম উদ্দিন নামের এক কৃষকের খেতের সবজি কেটে ও উপড়ে ফেলে দুর্বৃত্তরা নষ্ট করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার কদলপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের শমসেরপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক জসিম উদ্দিন জানান, ঋণের টাকায় বাড়ি থেকে আধা কিলোমিটার দূরে চার কানি জমিতে বিভিন্ন জাতের সবজি চাষ করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতের আঁধারে দুর্বৃত্তরা প্রায় ৮০ শতক জমির সবজি কেটে ও উপড়ে নষ্ট করেছে।
জসিম উদ্দিন বলেন, ‘সবজি কাটতে খেতে এসে দেখি, আমার পুরো সবজিখেত তছনছ। সব ফসল বিক্রি করতে পারলে প্রায় ৫ লাখ টাকার বেশি বিক্রি করা যেত। শ্রমিকের মজুরি ও সার-বীজ কিনতে গিয়ে ইতিমধ্যে প্রায় ২ লাখ টাকা খরচ হয়ে গেছে।’
রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে কেউ লিখিত বা মৌখিক অভিযোগ করেনি, অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

দেশের সবচেয়ে আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির কাগজে কলমে দেনা প্রায় পাঁচ শ কোটি টাকা। আর বাস্তবে প্রায় হাজার কোটি। অথচ ব্যাংকে আছে মাত্র ৩০ লাখ টাকা। স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠেছে, টাকা গেল কোথায়?
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১
রাজধানীর মিরপুর ১১ নম্বরের কালশী রোডে একটি কমিউনিটি সেন্টারে আগুন লেগেছে। ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে, আরও দুটি ইউনিট সেখানে যাওয়ার পথে রয়েছে।
৯ মিনিট আগে
খাগড়াছড়ির পানছড়িতে সশস্ত্র সংগঠন ইউপিডিএফের হয়ে অবৈধভাবে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে সৈয়দ মাহবুব রহমান (৫৩) নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পানছড়ি সেনা সাব জোনের বিশেষ অভিযানে দমদম গ্রাম থেকে তাঁকে আটক করা হয়।
১২ মিনিট আগে
বরগুনার আমতলীতে যৌতুক দিতে রাজি না হওয়ায় শাহিনুর বেগম (৪০) নামে এক গৃহবধূকে তাঁর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন বেধড়ক পিটিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার ছোট নীলগঞ্জ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আজ শুক্রবার দুপুরে পুলিশ ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে।
২২ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মিরপুর ১১ নম্বরের কালশী রোডে একটি কমিউনিটি সেন্টারে আগুন লেগেছে। ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে, আরও দুটি ইউনিট সেখানে যাওয়ার পথে রয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার রাত ১০টা ১২ মিনিটে আগুন লাগার খবর পাওয়া যায়। প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে রাত ১০টা ২৭ মিনিটে কাজ শুরু করে। আগুন লেগেছে মিরপুর ১১ নম্বর এলাকার ‘বিবাহ বাড়ি’ কমিউনিটি সেন্টারের ছয়তলা ভবনের ছয় তলায়।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম জানান, ‘আগুন নিয়ন্ত্রণে আমাদের চারটি ইউনিট কাজ করছে। আরও দুটি ইউনিট পথে আছে।’
তবে তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।

রাজধানীর মিরপুর ১১ নম্বরের কালশী রোডে একটি কমিউনিটি সেন্টারে আগুন লেগেছে। ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে, আরও দুটি ইউনিট সেখানে যাওয়ার পথে রয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার রাত ১০টা ১২ মিনিটে আগুন লাগার খবর পাওয়া যায়। প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে রাত ১০টা ২৭ মিনিটে কাজ শুরু করে। আগুন লেগেছে মিরপুর ১১ নম্বর এলাকার ‘বিবাহ বাড়ি’ কমিউনিটি সেন্টারের ছয়তলা ভবনের ছয় তলায়।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম জানান, ‘আগুন নিয়ন্ত্রণে আমাদের চারটি ইউনিট কাজ করছে। আরও দুটি ইউনিট পথে আছে।’
তবে তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।

দেশের সবচেয়ে আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির কাগজে কলমে দেনা প্রায় পাঁচ শ কোটি টাকা। আর বাস্তবে প্রায় হাজার কোটি। অথচ ব্যাংকে আছে মাত্র ৩০ লাখ টাকা। স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠেছে, টাকা গেল কোথায়?
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১
চট্টগ্রামের রাউজানে জসিম উদ্দিন নামের এক কৃষকের খেতের সবজি কেটে ও উপড়ে ফেলে দুর্বৃত্তরা নষ্ট করেছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার কদলপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের শমসেরপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
৪ মিনিট আগে
খাগড়াছড়ির পানছড়িতে সশস্ত্র সংগঠন ইউপিডিএফের হয়ে অবৈধভাবে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে সৈয়দ মাহবুব রহমান (৫৩) নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পানছড়ি সেনা সাব জোনের বিশেষ অভিযানে দমদম গ্রাম থেকে তাঁকে আটক করা হয়।
১২ মিনিট আগে
বরগুনার আমতলীতে যৌতুক দিতে রাজি না হওয়ায় শাহিনুর বেগম (৪০) নামে এক গৃহবধূকে তাঁর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন বেধড়ক পিটিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার ছোট নীলগঞ্জ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আজ শুক্রবার দুপুরে পুলিশ ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে।
২২ মিনিট আগেপানছড়ি (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি

খাগড়াছড়ির পানছড়িতে সশস্ত্র সংগঠন ইউপিডিএফের হয়ে অবৈধভাবে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে সৈয়দ মাহবুব রহমান (৫৩) নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পানছড়ি সেনা সাব জোনের বিশেষ অভিযানে দমদম গ্রাম থেকে তাঁকে আটক করা হয়। আটক মাহবুব রহমান ওই গ্রামের মৃত মিজানুর রহমানের ছেলে।
সেনা সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাঁর কাছ থেকে এক লাখ টাকা ও একাধিক চাঁদা আদায়ের রসিদ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মাহবুব স্বীকার করেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে ইউপিডিএফের পক্ষে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অবৈধভাবে চাঁদা আদায় করে আসছিলেন। পরে তাঁকে আইনগত ব্যবস্থার জন্য পানছড়ি থানায় হস্তান্তর করা হয়।
এ বিষয়ে পানছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসিম উদ্দিন বলেন, আটক সৈয়দ মাহবুব রহমানকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন।
সেনা সূত্র আরও জানায়, পাহাড়ে অবৈধভাবে চাঁদা আদায় বন্ধে অভিযান ও গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে এবং চক্রের অন্যান্য সদস্যের শনাক্তে অভিযান চলছে।

খাগড়াছড়ির পানছড়িতে সশস্ত্র সংগঠন ইউপিডিএফের হয়ে অবৈধভাবে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে সৈয়দ মাহবুব রহমান (৫৩) নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পানছড়ি সেনা সাব জোনের বিশেষ অভিযানে দমদম গ্রাম থেকে তাঁকে আটক করা হয়। আটক মাহবুব রহমান ওই গ্রামের মৃত মিজানুর রহমানের ছেলে।
সেনা সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাঁর কাছ থেকে এক লাখ টাকা ও একাধিক চাঁদা আদায়ের রসিদ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মাহবুব স্বীকার করেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে ইউপিডিএফের পক্ষে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অবৈধভাবে চাঁদা আদায় করে আসছিলেন। পরে তাঁকে আইনগত ব্যবস্থার জন্য পানছড়ি থানায় হস্তান্তর করা হয়।
এ বিষয়ে পানছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসিম উদ্দিন বলেন, আটক সৈয়দ মাহবুব রহমানকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন।
সেনা সূত্র আরও জানায়, পাহাড়ে অবৈধভাবে চাঁদা আদায় বন্ধে অভিযান ও গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে এবং চক্রের অন্যান্য সদস্যের শনাক্তে অভিযান চলছে।

দেশের সবচেয়ে আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির কাগজে কলমে দেনা প্রায় পাঁচ শ কোটি টাকা। আর বাস্তবে প্রায় হাজার কোটি। অথচ ব্যাংকে আছে মাত্র ৩০ লাখ টাকা। স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠেছে, টাকা গেল কোথায়?
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১
চট্টগ্রামের রাউজানে জসিম উদ্দিন নামের এক কৃষকের খেতের সবজি কেটে ও উপড়ে ফেলে দুর্বৃত্তরা নষ্ট করেছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার কদলপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের শমসেরপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
৪ মিনিট আগে
রাজধানীর মিরপুর ১১ নম্বরের কালশী রোডে একটি কমিউনিটি সেন্টারে আগুন লেগেছে। ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে, আরও দুটি ইউনিট সেখানে যাওয়ার পথে রয়েছে।
৯ মিনিট আগে
বরগুনার আমতলীতে যৌতুক দিতে রাজি না হওয়ায় শাহিনুর বেগম (৪০) নামে এক গৃহবধূকে তাঁর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন বেধড়ক পিটিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার ছোট নীলগঞ্জ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আজ শুক্রবার দুপুরে পুলিশ ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে।
২২ মিনিট আগেআমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি

বরগুনার আমতলীতে যৌতুক দিতে রাজি না হওয়ায় শাহিনুর বেগম (৪০) নামে এক গৃহবধূকে তাঁর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন বেধড়ক পিটিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার ছোট নীলগঞ্জ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আজ শুক্রবার দুপুরে পুলিশ ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে।
ভুক্তভোগী গৃহবধূ নীলগঞ্জ গ্রামের কালু হাওলাদারের স্ত্রী।
জানা গেছে, আট দিন আগে কালু হাওলাদার জমি ক্রয় করতে বায়না করেন। জমি কিনার জন্য স্ত্রী শাহিনুরের কাছে তিন লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন তিনি। কিন্তু শাহিনুর বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনতে অস্বীকৃতি জানান। এ নিয়ে গতকাল বিকেলে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকের সঙ্গে শাহিনুরের কলহ বাধে। স্বামী কালু হাওলাদার, ননদ রেবেকা বেগম ও ননদের স্বামী হানিফ মুসল্লি তাঁকে বেধড়ক মারধর করেন। তাঁরা শাহিনুরের চোখে মরিচের গুঁড়ো ছিটিয়ে দেন। মারধর শেষে তাঁকে ঘরের মধ্যে আটকে রাখেন। গৃহবধূর স্বজনেরা খবর পেয়ে আজ পুলিশে খবর দেন। পরে দুপুরে পুলিশ গিয়ে শাহিনুরকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়।
গৃহবধূর বাবা হানিফ হাওলাদার বলেন, ‘জমি কিনতে আমার মেয়ের কাছে জামাতা তিন লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় মারধর করে মেয়েকে মেরে ঘরে আটকে রাখে। পরে পুলিশ গিয়ে আমার মেয়েকে উদ্ধার করেছে। আমি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি দাবি করছি।’
ভুক্তভোগী গৃহবধূ শাহিনুর বেগম বলেন, ‘২০১১ সালে আমার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে নানা অজুহাতে যৌতুক দাবি করে আসছেন স্বামী। টাকা না দিলেই আমার ওপর নির্যাতন চালায়। গত এক সপ্তাহ আগে জমি কিনবে বলে আমার কাছে তিন লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। আমি টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় আমার চোখে মরিচের গুঁড়ো দিয়ে আমার স্বামী, নুনুন্দা (ননদের জামাই) হানিফ মুসুল্লি ও ননদ রেবেকা বেধড়ক মারধর করেছে। আমি এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি দাবি করছি।’
এদিকে যৌতুক দাবির কথা অস্বীকার করে কালু হাওলাদার বলেন, ‘পারিবারিক বিষয় নিয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে কয়েকটি চর-থাপ্পড় দিয়েছি।’
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মিনহাজ উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, ‘আহত নারীর চোখে যে সমস্যা হয়েছে, ওষুধ খেলে ভালো হয়ে যাবে, তবে সময় লাগবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ওই নারীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন রয়েছে। তাকে যথাযথ চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ পাঠিয়ে ওই নারীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বরগুনার আমতলীতে যৌতুক দিতে রাজি না হওয়ায় শাহিনুর বেগম (৪০) নামে এক গৃহবধূকে তাঁর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন বেধড়ক পিটিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার ছোট নীলগঞ্জ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আজ শুক্রবার দুপুরে পুলিশ ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে।
ভুক্তভোগী গৃহবধূ নীলগঞ্জ গ্রামের কালু হাওলাদারের স্ত্রী।
জানা গেছে, আট দিন আগে কালু হাওলাদার জমি ক্রয় করতে বায়না করেন। জমি কিনার জন্য স্ত্রী শাহিনুরের কাছে তিন লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন তিনি। কিন্তু শাহিনুর বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনতে অস্বীকৃতি জানান। এ নিয়ে গতকাল বিকেলে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকের সঙ্গে শাহিনুরের কলহ বাধে। স্বামী কালু হাওলাদার, ননদ রেবেকা বেগম ও ননদের স্বামী হানিফ মুসল্লি তাঁকে বেধড়ক মারধর করেন। তাঁরা শাহিনুরের চোখে মরিচের গুঁড়ো ছিটিয়ে দেন। মারধর শেষে তাঁকে ঘরের মধ্যে আটকে রাখেন। গৃহবধূর স্বজনেরা খবর পেয়ে আজ পুলিশে খবর দেন। পরে দুপুরে পুলিশ গিয়ে শাহিনুরকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়।
গৃহবধূর বাবা হানিফ হাওলাদার বলেন, ‘জমি কিনতে আমার মেয়ের কাছে জামাতা তিন লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় মারধর করে মেয়েকে মেরে ঘরে আটকে রাখে। পরে পুলিশ গিয়ে আমার মেয়েকে উদ্ধার করেছে। আমি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি দাবি করছি।’
ভুক্তভোগী গৃহবধূ শাহিনুর বেগম বলেন, ‘২০১১ সালে আমার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে নানা অজুহাতে যৌতুক দাবি করে আসছেন স্বামী। টাকা না দিলেই আমার ওপর নির্যাতন চালায়। গত এক সপ্তাহ আগে জমি কিনবে বলে আমার কাছে তিন লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। আমি টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় আমার চোখে মরিচের গুঁড়ো দিয়ে আমার স্বামী, নুনুন্দা (ননদের জামাই) হানিফ মুসুল্লি ও ননদ রেবেকা বেধড়ক মারধর করেছে। আমি এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি দাবি করছি।’
এদিকে যৌতুক দাবির কথা অস্বীকার করে কালু হাওলাদার বলেন, ‘পারিবারিক বিষয় নিয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে কয়েকটি চর-থাপ্পড় দিয়েছি।’
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মিনহাজ উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, ‘আহত নারীর চোখে যে সমস্যা হয়েছে, ওষুধ খেলে ভালো হয়ে যাবে, তবে সময় লাগবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ওই নারীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন রয়েছে। তাকে যথাযথ চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ পাঠিয়ে ওই নারীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দেশের সবচেয়ে আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির কাগজে কলমে দেনা প্রায় পাঁচ শ কোটি টাকা। আর বাস্তবে প্রায় হাজার কোটি। অথচ ব্যাংকে আছে মাত্র ৩০ লাখ টাকা। স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠেছে, টাকা গেল কোথায়?
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১
চট্টগ্রামের রাউজানে জসিম উদ্দিন নামের এক কৃষকের খেতের সবজি কেটে ও উপড়ে ফেলে দুর্বৃত্তরা নষ্ট করেছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার কদলপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের শমসেরপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
৪ মিনিট আগে
রাজধানীর মিরপুর ১১ নম্বরের কালশী রোডে একটি কমিউনিটি সেন্টারে আগুন লেগেছে। ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে, আরও দুটি ইউনিট সেখানে যাওয়ার পথে রয়েছে।
৯ মিনিট আগে
খাগড়াছড়ির পানছড়িতে সশস্ত্র সংগঠন ইউপিডিএফের হয়ে অবৈধভাবে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে সৈয়দ মাহবুব রহমান (৫৩) নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পানছড়ি সেনা সাব জোনের বিশেষ অভিযানে দমদম গ্রাম থেকে তাঁকে আটক করা হয়।
১২ মিনিট আগে