নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরে কাস্টমসের গুদাম থেকে ৫৫ কেজি সোনা চুরির মামলার বিবরণে কাস্টমসের আট কর্মকর্তা ও কর্মচারীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, এসব কর্মকর্তা ও কর্মচারী সোনা চুরির ঘটনার সময় বিমানবন্দরের ওই গোডাউনে দায়িত্বরত ছিলেন। ঘটনার পর কাস্টমসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এই আট সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন।
এর আগে গতকাল রোববার রাতে বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বাদী হয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) বিমানবন্দর থানায় এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে যে আট কর্মকর্তার নাম রয়েছে, তাঁরা হলেন শিফট কর্মকর্তা মাসুদ রানা, সাইদুল ইসলাম শাহেদ, সাহিদুল ইসলাম চৌধুরী, আকরাম শেখ, রেজাউল করিম, মো. মোজাম্মেল হক, আফজাল হোসেন ও সিপাহি নিয়ামত হাওলাদার।
এজাহারে বলা হয়, ২ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত ১২টা থেকে সকাল সাড়ে ৮টার মধ্যে এই চুরির ঘটনা ঘটেছে। ওই আট কর্মকর্তাকে কাস্টমসের যুগ্ম কমিশনার, অতিরিক্ত যুগ্ম কমিশনার, কমিশনারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জিজ্ঞাসাবাদ করলে, তাঁরা কোনো সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেননি।
মামলার এজাহারে আরও বলা হয়, শাহজালালের কাস্টমসের গুদামের গুদাম কর্মকর্তা মো. মাসুদ রানা ২ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টার দিকে ঢাকার যুগ্ম কমিশনারকে ফোন দিয়ে জানান, বিমানবন্দরের লস্ট ও ফাউন্ডের সংলগ্ন কাস্টমস ট্রানজিট এলাকার গুদামে প্রবেশ করে দেখতে পান, গুদামের ভেতরের একটি স্টিলের আলমারির লকার ভাঙা এবং এসির ওপরের একটি টিনের অংশ কাটা রয়েছে। কাস্টমসের প্রাথমিক অনুসন্ধানে ৫৫.৫১ কেজি স্বর্ণ লকারে পাওয়া যায়নি। যার বাজারমূল্য প্রায় ৪৫ কোটি টাকা।
বিমানবন্দরের ভেতরে ‘লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড’ অর্থাৎ হারিয়ে যাওয়া ও খুঁজে পাওয়া পণ্য রাখার স্থানের পাশেই রয়েছে কাস্টমসের গুদাম। কাস্টমস হাউসের গুদামটিতে বিমানবন্দরে কর্তব্যরত ঢাকা কাস্টম হাউস, শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরসহ অন্য সংস্থাগুলোর জব্দকৃত মালামালগুলো এখানে রাখা হয়।
বিমানবন্দর সূত্র জানা যায়, কাস্টম হাউস থেকে স্বর্ণ উধাওয়ের ঘটনায় একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। এ ছাড়া থানা-পুলিশ, বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নসহ (এপিবিএন) অন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন তদন্ত শুরু করেছেন।
পুলিশের দাবি, এটি কোনো সাধারণ ভল্ট না। সাধারণ কোনো ব্যক্তি বা চোরের চুরি করা সম্ভব না। এ ছাড়া ওই জায়গাটি সম্পূর্ণ সংরক্ষিত এলাকা। এ ছাড়া পুরো এলাকাটি সিসি ক্যামেরা নিয়ন্ত্রিত।
এদিকে গতকাল রাতে এই ঘটনায় মামলা হওয়ার পর বিমানবন্দর থানা-পুলিশ চারজন সিপাহিকে তাঁদের হেফাজতে নিয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের উত্তরা বিভাগের ডিসি মোর্শেদ আলম বলেন, ‘আমরা মামলা হওয়ার পর চারজনকে এনেছি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। কিন্তু এ ঘটনায় কাউকে আটক করিনি। এমনকি কাউকে আমরা গ্রেপ্তারও করিনি। তবে তদন্তের জন্য যাঁকে প্রয়োজন হবে, তাঁকেই জিজ্ঞাসাবাদ করব।’
আরও পড়ুন:
বিমানবন্দরে কাস্টমসের গুদাম থেকে ৫৫ কেজি স্বর্ণ উধাও
বিমানবন্দরের কাস্টমস হাউসের গুদাম থেকে সোনা চুরির ঘটনায় মামলা
কাস্টমসের গুদাম থেকে ৫৫ কেজি স্বর্ণ চুরি: মামলার পর ৪ সিপাহি পুলিশ হেফাজতে
হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরে কাস্টমসের গুদাম থেকে ৫৫ কেজি সোনা চুরির মামলার বিবরণে কাস্টমসের আট কর্মকর্তা ও কর্মচারীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, এসব কর্মকর্তা ও কর্মচারী সোনা চুরির ঘটনার সময় বিমানবন্দরের ওই গোডাউনে দায়িত্বরত ছিলেন। ঘটনার পর কাস্টমসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এই আট সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন।
এর আগে গতকাল রোববার রাতে বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বাদী হয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) বিমানবন্দর থানায় এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে যে আট কর্মকর্তার নাম রয়েছে, তাঁরা হলেন শিফট কর্মকর্তা মাসুদ রানা, সাইদুল ইসলাম শাহেদ, সাহিদুল ইসলাম চৌধুরী, আকরাম শেখ, রেজাউল করিম, মো. মোজাম্মেল হক, আফজাল হোসেন ও সিপাহি নিয়ামত হাওলাদার।
এজাহারে বলা হয়, ২ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত ১২টা থেকে সকাল সাড়ে ৮টার মধ্যে এই চুরির ঘটনা ঘটেছে। ওই আট কর্মকর্তাকে কাস্টমসের যুগ্ম কমিশনার, অতিরিক্ত যুগ্ম কমিশনার, কমিশনারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জিজ্ঞাসাবাদ করলে, তাঁরা কোনো সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেননি।
মামলার এজাহারে আরও বলা হয়, শাহজালালের কাস্টমসের গুদামের গুদাম কর্মকর্তা মো. মাসুদ রানা ২ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টার দিকে ঢাকার যুগ্ম কমিশনারকে ফোন দিয়ে জানান, বিমানবন্দরের লস্ট ও ফাউন্ডের সংলগ্ন কাস্টমস ট্রানজিট এলাকার গুদামে প্রবেশ করে দেখতে পান, গুদামের ভেতরের একটি স্টিলের আলমারির লকার ভাঙা এবং এসির ওপরের একটি টিনের অংশ কাটা রয়েছে। কাস্টমসের প্রাথমিক অনুসন্ধানে ৫৫.৫১ কেজি স্বর্ণ লকারে পাওয়া যায়নি। যার বাজারমূল্য প্রায় ৪৫ কোটি টাকা।
বিমানবন্দরের ভেতরে ‘লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড’ অর্থাৎ হারিয়ে যাওয়া ও খুঁজে পাওয়া পণ্য রাখার স্থানের পাশেই রয়েছে কাস্টমসের গুদাম। কাস্টমস হাউসের গুদামটিতে বিমানবন্দরে কর্তব্যরত ঢাকা কাস্টম হাউস, শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরসহ অন্য সংস্থাগুলোর জব্দকৃত মালামালগুলো এখানে রাখা হয়।
বিমানবন্দর সূত্র জানা যায়, কাস্টম হাউস থেকে স্বর্ণ উধাওয়ের ঘটনায় একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। এ ছাড়া থানা-পুলিশ, বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নসহ (এপিবিএন) অন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন তদন্ত শুরু করেছেন।
পুলিশের দাবি, এটি কোনো সাধারণ ভল্ট না। সাধারণ কোনো ব্যক্তি বা চোরের চুরি করা সম্ভব না। এ ছাড়া ওই জায়গাটি সম্পূর্ণ সংরক্ষিত এলাকা। এ ছাড়া পুরো এলাকাটি সিসি ক্যামেরা নিয়ন্ত্রিত।
এদিকে গতকাল রাতে এই ঘটনায় মামলা হওয়ার পর বিমানবন্দর থানা-পুলিশ চারজন সিপাহিকে তাঁদের হেফাজতে নিয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের উত্তরা বিভাগের ডিসি মোর্শেদ আলম বলেন, ‘আমরা মামলা হওয়ার পর চারজনকে এনেছি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। কিন্তু এ ঘটনায় কাউকে আটক করিনি। এমনকি কাউকে আমরা গ্রেপ্তারও করিনি। তবে তদন্তের জন্য যাঁকে প্রয়োজন হবে, তাঁকেই জিজ্ঞাসাবাদ করব।’
আরও পড়ুন:
বিমানবন্দরে কাস্টমসের গুদাম থেকে ৫৫ কেজি স্বর্ণ উধাও
বিমানবন্দরের কাস্টমস হাউসের গুদাম থেকে সোনা চুরির ঘটনায় মামলা
কাস্টমসের গুদাম থেকে ৫৫ কেজি স্বর্ণ চুরি: মামলার পর ৪ সিপাহি পুলিশ হেফাজতে
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে একটি আইসক্রিম কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আজ শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ভোরে ঈশ্বরগঞ্জ পৌর এলাকার পাট বাজারের উদয় আইসক্রিম ফ্যাক্টরিতে এ ঘটনা ঘটে।
৪৩ মিনিট আগেকুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার মাথাভাঙ্গা নদীর ওপর নির্মাণাধীন সেতুর কাছে নির্মাণসামগ্রী রাখার ঘরে বোমা হামলার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের তেকালা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেআখেরি মোনাজাত উপলক্ষে শনিবার রাত ১২টা থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গী থেকে আবদুল্লাহপুর, টঙ্গী থেকে গাজীপুরের ভোগরা বাইপাস পর্যন্ত এবং আবদুল্লাহপুর-নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের আবদুল্লাহপুর থেকে বাইপাইল পর্যন্ত সড়কে আখেরি মোনাজাত শেষ না হওয়া পর্যন্ত যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
১ ঘণ্টা আগেরাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে দনিয়া কলেজের ছাত্র মিনহাজ হত্যার সঙ্গে জড়িত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মাহফুজ সরকার ওরফে কিং মাহফুজ, জাহিদুল ভূঁইয়া শাওন, সাব্বির সরকার, আশিক ও সোহান মিয়া।
১ ঘণ্টা আগে