Ajker Patrika

রাজধানীতে পৃথক স্থানে নারীসহ দুইজনের অস্বাভাবিক মৃত্যু

ঢামেক প্রতিবেদক
আপডেট : ১২ অক্টোবর ২০২৩, ১৫: ০৯
Thumbnail image

রাজধানীর কমলাপুরে ও কদমতলীতে নারীসহ দুইজনের অস্বাভাবিক মৃত্য হয়েছে। মৃতরা হলেন কমলাপুরের সালিমার আবাসিক হোটেলের কর্মচারী আল মামুন ওরফে আরাফাত (১৮) এবং কদমতলীর পাটেরবাগের সনি আক্তার (২৪)।

বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে মতিঝিল থানার পুলিশ কমলাপুর জসিম উদ্দিন রোডের সালিমার নামে আবাসিক হোটেলটির ষষ্ঠ তলার ছাদের বাথরুম থেকে কর্মচারী আরাফাতের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে। রাত ১টার দিকে পাটেরবাগের বাসায় কীটনাশক পান করেন সনি আক্তার (২৪)। পরে স্বামী রাসেল তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক ভোর সাড়ে ৪টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃতদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

মতিঝিল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রহমান জানান, গত রাতে হোটেল কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে খবর পেয়ে হোটেলের ষষ্ঠ তলার বাথরুম থেকে ওই কর্মচারীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এ সময় সে বাথরুমের ভেতরে কাঠের আড়ার সঙ্গে গলায় গামছা পেঁচিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় ছিলেন।

এসআই আরও জানান, সাত-আট দিন আগে আল মামুন ওই হোটেলে কাজে যোগ দেন। হোটেলের ষষ্ঠ তলার ছাদে একটি রুমে কর্মচারীরা থাকতেন। প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলে ধারণা করছে পুলিশ। তবে বিস্তারিত জানার জন্য তদন্ত চলছে।

এদিকে মৃত আল মামুনের চাচা ইয়াসিন জানান, তাঁদের বাড়ি পিরোজপুর জেলার ইন্দুরকানি থানার প্রত্যাশী গ্রামে। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন বড়। মামুনের বাবার নাম আল আমিন হাওলাদার। বুধবার রাতে হোটেল কর্তৃপক্ষের মাধ্যমেই তিনি খবর পান, তাঁর ভাতিজা আল মামুন হোটেলে গলায় ফাঁস দিয়েছেন। তবে এর বেশি কিছু তিনি আর জানেন না।

মৃত সনি আক্তার বরিশাল জেলার পাতারহাট থানার বদরপুর মাঝিবাড়ী গ্রামের নূর ইসলামের মেয়ে। বর্তমানে কদমতলীর পাটেরাবাগে ধনিয়া শাহী এলাকায় স্বামী রাসেল ও এক ছেলেকে নিয়ে থাকতেন।

কদমতলী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কামরুন্নাহার জানান, পাটেরবাগের ধনিয়া শাহী মসজিদের পাশে স্বামী-স্ত্রী একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন। মাঝেমধ্যেই তাঁদের মধ্য ঝগড়া লাগত। গত রাতে পারিবারিক বিষয় নিয়ে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে সনি আক্তার স্বামীর ওপর অভিমান করে কীটনাশক পান করেন। পরে স্বামী দ্রুত তাঁকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে সেখানে মারা যান।

এসআই জানান, ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ ঢামেক মর্গে রাখা আছে। রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সনির স্বামী রাসেলকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত