নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা : জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। অথচ এর জন্য বাংলাদেশ দায়ী নয়। সমুদ্র উপকুলীয় এলাকা এবং উত্তর-পুর্বাঞ্চলের হাওর এলাকা জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সমুদ্র পৃষ্টের উচ্চতা এক মিটার বেড়ে গেলে বাংলাদেশের ১৭ ভাগ ভূমি পানিতে তলিয়ে যাবে। এতে প্রায় তিন কোটি মানুষ উদ্বাস্তু হতে পারে। হারাতে পারে তাদের আপন গ্রাম। এখন পর্যন্ত জলবায়ুর পরিবর্তনের প্রভাবে ৬০ লাখ বাংলাদেশি বাস্তুহারা হয়েছেন। অথচ এই দরিদ্র ও নিরীহ মানুষগুলো নিজেরা কোনোভাবেই জলবায়ু-সংকট সৃষ্টির জন্য দায়ী নয়।
আজ বুধবার (২৮ এপ্রিল) ধরিত্রী দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত ভার্চ্যুয়াল সংলাপে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো: শাহাব উদ্দিন এসব কথা বলেন।
পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) চেয়ারম্যান কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন নেদারল্যান্ডে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রিয়াজ হামিদুল্লাহ, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ অনুবিভাগ) মো. মনিরুজ্জামান, একশন এইড বাংলাদেশ এর কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির প্রমূখ।
বন ও পরিবেশ মন্ত্রী বলেন, পরিবেশের জন্য দায়ী অতিরিক্ত কার্বন নিঃসরণকারী উন্নত দেশ সমূহ। এর দায় তাদের নিতে হবে। একা বাংলাদেশের পক্ষে এই সংকট মোকাবিলা করা সম্ভবও নয়। প্রয়োজন আন্তর্জাতিক সহযোগিতা। ধনী যেসব দেশ বৈশ্বিক উষ্ণতার জন্য মূলত দায়ী, বাংলাদেশ ও অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্ত দেশের পাশে এসে তাদের দাঁড়ানো উচিত।
পরিবেশ নিয়ে কাজ করেন উপকূলীয় অঞ্চলের ১২১ জন তরুণ-তরুণী এই সংলাপে তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন। মন্ত্রীকে লিখিতভাবে তারা কিছু দাবি ও প্রস্তাব পেশ করেন। তাদের দাবী সমূহ-
১. দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চলকে দূর্যোগ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ঘোষণা করতে হবে।
২. উপকূল উন্নয়ন বোর্ড গঠন করতে হবে।
৩. জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগকে মাথায় রেখে স্থায়ী ও মজবুত বেড়িবাঁধ পুন:নির্মান করতে হবে।
৪. বাঁধ রক্ষণাবেক্ষনের জন্য জরুরি তহবিল গঠন ও বাঁধ ব্যবস্থাপনায় স্থানীয় সরকারকে সম্পৃক্ত করতে হবে।
৫. উপকূলীয় মানুষের খাবার পানির স্থায়ী সমাধান করতে হবে।
৬. বিশ্ব জলবায়ু তহবিল থেকে পাওয়া অর্থ কোন কাজে ব্যবহার হয় তার জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।
৭. দুর্যোগ প্রবণ দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূল, চর ও দ্বীপাঞ্চলবাসীর জানমাল সুরক্ষায় কার্যকর অবকাঠামো গড়ে তুলতে হবে।
৮. প্রতিটি জাতীয় দিবসে গাছ লাগানো কর্মসূচি বাধ্যতামূলক করতে হবে।
৯. ক্লাইমেট মাইগ্রেন্ডদের নিয়ে সরকারিভাবে সমীক্ষা চালাতে হবে।
১০. পাঠ্যসূচীতে ক্লাইমেট এডপশন, ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের বিষয়গুলো যুক্ত করতে হবে।
ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিস এবং পরিবেশ ও হাওর উন্নয়ন সংস্থা কর্তৃক আয়োজিত 'রোড টু গ্লাসগো: 'পৃথিবী পুনরুদ্ধার ও জলবায়ু সুরক্ষা' শিরোনামের ভার্চ্যুয়াল সংলাপে পরিবেশ মন্ত্রী আরও বলেন, 'আমরা যতই অর্থ-সম্পদে বিত্তশালী হই না কেন প্রকৃতির বিরুদ্ধে লড়াই করে টিকে থাকা যায় না। পৃথিবীকে বাসযোগ্য করতে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। অভিযোজন ও গ্রিন হাউস নির্গমন কমিয়ে আনতে ব্যক্তিগত ও সামষ্টিকভাবে এগিয়ে আসতে হবে। ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ বিশ্ব গড়তে বিশ্ব সম্প্রদায়কে এখনই উদ্যোগী হতে হবে'।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, একটি দেশের পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষার জন্য ভূখন্ডের অন্তত ২৫ শতাংশ বনাঞ্চল থাকা প্রয়োজন। বাংলাদেশে আছে মাত্র ১৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ। এটিকে আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে ২৪ শতাংশ করার চ্যালেঞ্জ নিয়েছে সরকার।
প্যারিস চুক্তির অঙ্গীকারের কথা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, জলবায়ু ঝুঁকিতে থাকা দেশের জন্য ২০২০ সাল থেকে প্রতিবছর ১০০ বিলিয়ন ডলার তহবিল উত্তোলনের একটি বিধান রাখা হয়েছিল , তবে এখনও এই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন হয়নি। প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের ফিরে আসার পর প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উদ্যোগে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি প্রশমনে বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছে।
ঢাকা : জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। অথচ এর জন্য বাংলাদেশ দায়ী নয়। সমুদ্র উপকুলীয় এলাকা এবং উত্তর-পুর্বাঞ্চলের হাওর এলাকা জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সমুদ্র পৃষ্টের উচ্চতা এক মিটার বেড়ে গেলে বাংলাদেশের ১৭ ভাগ ভূমি পানিতে তলিয়ে যাবে। এতে প্রায় তিন কোটি মানুষ উদ্বাস্তু হতে পারে। হারাতে পারে তাদের আপন গ্রাম। এখন পর্যন্ত জলবায়ুর পরিবর্তনের প্রভাবে ৬০ লাখ বাংলাদেশি বাস্তুহারা হয়েছেন। অথচ এই দরিদ্র ও নিরীহ মানুষগুলো নিজেরা কোনোভাবেই জলবায়ু-সংকট সৃষ্টির জন্য দায়ী নয়।
আজ বুধবার (২৮ এপ্রিল) ধরিত্রী দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত ভার্চ্যুয়াল সংলাপে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো: শাহাব উদ্দিন এসব কথা বলেন।
পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) চেয়ারম্যান কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন নেদারল্যান্ডে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রিয়াজ হামিদুল্লাহ, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ অনুবিভাগ) মো. মনিরুজ্জামান, একশন এইড বাংলাদেশ এর কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির প্রমূখ।
বন ও পরিবেশ মন্ত্রী বলেন, পরিবেশের জন্য দায়ী অতিরিক্ত কার্বন নিঃসরণকারী উন্নত দেশ সমূহ। এর দায় তাদের নিতে হবে। একা বাংলাদেশের পক্ষে এই সংকট মোকাবিলা করা সম্ভবও নয়। প্রয়োজন আন্তর্জাতিক সহযোগিতা। ধনী যেসব দেশ বৈশ্বিক উষ্ণতার জন্য মূলত দায়ী, বাংলাদেশ ও অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্ত দেশের পাশে এসে তাদের দাঁড়ানো উচিত।
পরিবেশ নিয়ে কাজ করেন উপকূলীয় অঞ্চলের ১২১ জন তরুণ-তরুণী এই সংলাপে তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন। মন্ত্রীকে লিখিতভাবে তারা কিছু দাবি ও প্রস্তাব পেশ করেন। তাদের দাবী সমূহ-
১. দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চলকে দূর্যোগ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ঘোষণা করতে হবে।
২. উপকূল উন্নয়ন বোর্ড গঠন করতে হবে।
৩. জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগকে মাথায় রেখে স্থায়ী ও মজবুত বেড়িবাঁধ পুন:নির্মান করতে হবে।
৪. বাঁধ রক্ষণাবেক্ষনের জন্য জরুরি তহবিল গঠন ও বাঁধ ব্যবস্থাপনায় স্থানীয় সরকারকে সম্পৃক্ত করতে হবে।
৫. উপকূলীয় মানুষের খাবার পানির স্থায়ী সমাধান করতে হবে।
৬. বিশ্ব জলবায়ু তহবিল থেকে পাওয়া অর্থ কোন কাজে ব্যবহার হয় তার জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।
৭. দুর্যোগ প্রবণ দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূল, চর ও দ্বীপাঞ্চলবাসীর জানমাল সুরক্ষায় কার্যকর অবকাঠামো গড়ে তুলতে হবে।
৮. প্রতিটি জাতীয় দিবসে গাছ লাগানো কর্মসূচি বাধ্যতামূলক করতে হবে।
৯. ক্লাইমেট মাইগ্রেন্ডদের নিয়ে সরকারিভাবে সমীক্ষা চালাতে হবে।
১০. পাঠ্যসূচীতে ক্লাইমেট এডপশন, ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের বিষয়গুলো যুক্ত করতে হবে।
ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিস এবং পরিবেশ ও হাওর উন্নয়ন সংস্থা কর্তৃক আয়োজিত 'রোড টু গ্লাসগো: 'পৃথিবী পুনরুদ্ধার ও জলবায়ু সুরক্ষা' শিরোনামের ভার্চ্যুয়াল সংলাপে পরিবেশ মন্ত্রী আরও বলেন, 'আমরা যতই অর্থ-সম্পদে বিত্তশালী হই না কেন প্রকৃতির বিরুদ্ধে লড়াই করে টিকে থাকা যায় না। পৃথিবীকে বাসযোগ্য করতে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। অভিযোজন ও গ্রিন হাউস নির্গমন কমিয়ে আনতে ব্যক্তিগত ও সামষ্টিকভাবে এগিয়ে আসতে হবে। ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ বিশ্ব গড়তে বিশ্ব সম্প্রদায়কে এখনই উদ্যোগী হতে হবে'।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, একটি দেশের পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষার জন্য ভূখন্ডের অন্তত ২৫ শতাংশ বনাঞ্চল থাকা প্রয়োজন। বাংলাদেশে আছে মাত্র ১৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ। এটিকে আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে ২৪ শতাংশ করার চ্যালেঞ্জ নিয়েছে সরকার।
প্যারিস চুক্তির অঙ্গীকারের কথা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, জলবায়ু ঝুঁকিতে থাকা দেশের জন্য ২০২০ সাল থেকে প্রতিবছর ১০০ বিলিয়ন ডলার তহবিল উত্তোলনের একটি বিধান রাখা হয়েছিল , তবে এখনও এই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন হয়নি। প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের ফিরে আসার পর প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উদ্যোগে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি প্রশমনে বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছে।
১৬ বছর আওয়ামী দুঃশাসন ও স্বৈরশাসন বাংলাদেশের জনজীবন বিপর্যস্ত করে তুলেছিল। দীর্ঘ বছরের তাদের এই জুলুম-অত্যাচারে মানুষের মধ্যে যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে, সেই পুঞ্জীভূত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটে ৫ আগস্ট। তাই এ দিন ছাত্র–জনতাসহ সারা দেশের মুক্তিকামী মানুষ ঢাকার রাজপথে নেমে আসে।
৬ মিনিট আগেপ্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের উদ্দেশে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, ‘আমরা আপনাকে পছন্দ করি, আপনার কথা আমাদের ভালো লাগে। কিন্তু কারও কথায় নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা করবেন না।
১৫ মিনিট আগেসামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া বিবৃতিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দূতাবাস বলেছে, এক বছর আগে বাংলাদেশের জনগণ রাস্তায় নেমেছিলেন ন্যায়সংগত ও গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের দাবিতে। ইইউ তাঁদের সহনশীলতা ও সাহসিকতাকে সম্মান জানায়। ইইউ শান্তিপূর্ণ ও গঠনমূলক সংলাপের মাধ্যমে মানবাধিকার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে
১৮ মিনিট আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) প্রাঙ্গণে ইসলামী ছাত্রশিবিরের একটি ছবি প্রদর্শনীতে তাদের সংগঠনের কিছু স্বীকৃত গণহত্যাকারী রাজাকারের ছবির সঙ্গে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছবি প্রদর্শন করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল।
২৯ মিনিট আগে