ঢাবি সংবাদদাতা

নববর্ষের শোভাযাত্রার নাম ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’–এর পরিবর্তে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন চারুকলার বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা। আয়োজক কমিটিকে নাম পরিবর্তনের যথার্থ কারণ দর্শানোর আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা।
আজ রোববার সকাল ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে শিক্ষার্থীরা এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে শোভাযাত্রা আয়োজনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও তাঁরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পাশাপাশি এবার অন্যান্য বছরের মতো শিক্ষার্থীদের হাতে দায়িত্ব না দিয়ে আয়োজন করার নতুন নিয়মের সঙ্গে দ্বিমত প্রকাশ করেন।
এ সময় শিক্ষার্থীরা দ্বান্দ্বিক পরিস্থিতির সমাধান চাওয়ার পাশাপাশি নববর্ষের আয়োজনের সাফল্য কামনা করে সবাইকে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে চারুকলার প্রিন্ট মেকিং বিভাগের ২০২০–২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী জাহরা নাজিফা বলেন, এ বছর মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তন করা হচ্ছে, তা এবার ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ নামে উদ্যাপিত হবে। আমরা এই সিদ্ধান্ত সমর্থন করছি না। চারুকলার শিক্ষার্থীদের কোনো মতামত ছাড়াই এই ধরনের সিদ্ধান্তে নিয়ে প্রশ্ন রাখছি।
নাজিফা বলেন, ফ্যাসিবাদের সঙ্গে ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নামটির ‘মঙ্গল’ অংশটি সম্পর্কিত করে হাস্যকর কিছু কথা বলা হয়েছে। বলা হয়েছে, ১৯৯৬ সালে এ নাম পরিবর্তন করে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের জন্য ব্যবহার শুরু হয়েছে। অথচ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়ই আসে ১৯৯৬–এর বৈশাখের তথা এপ্রিলের আরও তিন মাস পরে জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত ৭ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরে।
তিনি বলেন, যে সিনেট সভায় নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, সে সভায় শিক্ষার্থীদের রাখা হয়নি। এ আয়োজনের গুরুত্বপূর্ণ অংশীজন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা না করেই নাম পরিবর্তন করা হয়েছে।
চারুকলার সাবেক শিক্ষার্থী জাহিদ জামিল বলেন, শিক্ষক–শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দ্বান্দ্বিক পরিস্থিতি তৈরি হলে গত মাসের শেষের দিকে আমরা সবাইকে নিয়ে আলোচনা করি। সেখানে সবাই একমতে আসতে পারি। নামটা নিয়ে সেদিন কথা বলি। সেখানে চারুকলার ডিন বলেছেন, তাঁরা চেষ্টা করছেন যেন নাম অপরিবর্তিত থাকে। পরে অজুহাত দেখিয়ে নাম পরিবর্তন করা হয়। নাম পরিবর্তনের কোনো যৌক্তিক কারণ তিনি জানাননি। নাম পরিবর্তনে আমাদের কোনো সমস্যা নেই। আমরা যৌক্তিক কারণ জানতে চাই। ছিয়ানব্বই সালে (নাম) পরিবর্তন অন্যায় হলে এটাও অন্যায়।
ফ্যাসিবাদের মোটিফে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার বিচার দাবি করে জাহরা নাজিফা বলেন, ‘আমরা ফ্যাসিবাদের মোটিফে আগুন দেওয়ার ঘটনায় অপরাধীর সুষ্ঠু বিচার ও তদন্ত চাই। যাদের গাফিলতি ছিল তাদেরও শাস্তির আওতায় আনার প্রস্তাব রাখছি।’
মোটিফ তৈরির দায়িত্ব পরিবর্তনের নতুন নিয়মের সঙ্গে দ্বিমত করে চারুকলার এই শিক্ষার্থী বলেন, ‘চারুকলার এই আয়োজন ১৯৮৯ সাল থেকে শিক্ষার্থীদের তত্ত্বাবধানে হয়ে এলেও, একটা অসংলগ্ন যুক্তি দেখিয়ে তা শিক্ষকেরা শিক্ষার্থীদের হাত থেকে কেড়ে নিয়েছেন। শিক্ষার্থীদের অসমর্থিত ফ্যাসিস্ট আমলের প্রস্তাব—দুই ক্রেডিটের কোর্স হিসেবে এটি করা হয়েছে। আমরা এই কারিকুলামের সঙ্গে একমত নই।’
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দ্বন্দ্বের সমাধান দাবি করে জাহরা নাজিফা বলেন, ‘আমরা নববর্ষের আয়োজনের সাফল্য কামনা করি। সবাইকে অংশগ্রহণের আহ্বান জানাই। পাশাপাশি আমাদের সঙ্গে হওয়া অন্যায়ের সমাধান চাই। আগামীতে প্রতিটি সিদ্ধান্তে প্রধান অংশীজন হিসেবে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এ নিয়ে সবার সঙ্গে আলোচনা করে একটি নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে। এর জন্য বাহাসের প্রয়োজন হলেও আমরা শিক্ষকদের সঙ্গে বসতে প্রস্তুত আছি।’
এর আগে গত শুক্রবার (১১ এপ্রিল) এক সংবাদ সম্মেলনে শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তনের কথা জানিয়ে চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আজহারুল ইসলাম চঞ্চল বলেন, নববর্ষে শোভাযাত্রা আয়োজন করার চর্চা শুরু হয় ১৯৮৯ সালে। তখন এর নাম ছিল আনন্দ শোভাযাত্রা। সে সময়ের ইতিহাস খুঁজলে দেখতে পাবেন, সবার অংশগ্রহণ আরও স্বতঃস্ফূর্ত ছিল। পরবর্তীতে এ নাম পরিবর্তন হয়। এবারের বৃহৎ এ আয়োজনে সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করতে আমরা আগের নামটি পুনরুদ্ধার করেছি। এটি কোনো পরিবর্তন নয়, বরং পুনরুদ্ধার।
তিনি বলেন, আগের নামে ফিরে যাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো চাপ ছিল না। ‘মঙ্গল’ শব্দ নিয়ে আমার কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু প্রতিবছরই এ নাম নিয়ে নানা বিতর্ক হয়। মঙ্গলের ব্যানারের আয়োজন নিয়েও বিতর্কের অভাব ছিল না। গেল বছরগুলোতে এ নামটাকে খারাপভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। এ ভূখণ্ডে যারা বসবাস করে তাদের যে নামে অন্তর্ভুক্ত করা যাবে আমরা সে নামেই ফিরে এসেছি।
শোভাযাত্রা কমিটির সদস্যসচিব অধ্যাপক কাউসার হাসান টগর বলেন, ১৯৮৯ এ শোভাযাত্রা যখন শুরু হয় তখন আমি চারুকলার শিক্ষার্থী ছিলাম। আনন্দ শোভাযাত্রা নামে এটি আমরাই শুরু করি। ১৯৯৬ সালে এসে নাম পরিবর্তন হয়ে হঠাৎ করে ‘মঙ্গলবার শোভাযাত্রা’ হয়ে গেল। ‘মঙ্গল’ নিয়ে আমাদের কোনো সমস্যা নাই। কিন্তু আমাদের প্রশ্ন ‘আনন্দ’–এ সমস্যা কোথায়? আনন্দে সমস্যা না থাকলে আমাদের আগের জায়গায় ফিরে যেতে সমস্যা নেই। আর ‘আনন্দ’–এ সমস্যা থাকলে আমরা মঙ্গলে ফিরে যাব।
শিক্ষার্থীদের হাতে দায়িত্ব না দেওয়া নিয়ে ড. আজহারুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘২০০৬ সাল থেকে মাস্টার্স শেষ করা শিক্ষার্থীদের নববর্ষ আয়োজনের দায়িত্ব দেওয়া হতো। কিন্তু এতে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহি নিশ্চিত হতো না। ইউনেসকো স্বীকৃত এ আয়োজনের দায়িত্বে থাকা শিক্ষার্থীদের পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকায় আয়োজনে নানা ঘাটতি থেকে যেতো।’
তিনি বলেন, ‘এসব কারণে এবারের আয়োজনে কেন্দ্রীয়ভাবে উদ্যোগ নেওয়ার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহি নিশ্চিতে কেন্দ্রীয় কমিটি ছাড়াও ৫টি উপকমিটি গঠন করা হয়েছে। কাজ করতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের তালিকা নেওয়া হয়েছে। মিটিংয়ের আলোচনায় তাদের যুক্ত করা হয়েছে। নির্দিষ্ট একটি ব্যাচকে আধিপত্য না দিয়ে সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিতের চেষ্টা করা হয়েছে।’

নববর্ষের শোভাযাত্রার নাম ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’–এর পরিবর্তে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন চারুকলার বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা। আয়োজক কমিটিকে নাম পরিবর্তনের যথার্থ কারণ দর্শানোর আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা।
আজ রোববার সকাল ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে শিক্ষার্থীরা এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে শোভাযাত্রা আয়োজনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও তাঁরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পাশাপাশি এবার অন্যান্য বছরের মতো শিক্ষার্থীদের হাতে দায়িত্ব না দিয়ে আয়োজন করার নতুন নিয়মের সঙ্গে দ্বিমত প্রকাশ করেন।
এ সময় শিক্ষার্থীরা দ্বান্দ্বিক পরিস্থিতির সমাধান চাওয়ার পাশাপাশি নববর্ষের আয়োজনের সাফল্য কামনা করে সবাইকে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে চারুকলার প্রিন্ট মেকিং বিভাগের ২০২০–২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী জাহরা নাজিফা বলেন, এ বছর মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তন করা হচ্ছে, তা এবার ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ নামে উদ্যাপিত হবে। আমরা এই সিদ্ধান্ত সমর্থন করছি না। চারুকলার শিক্ষার্থীদের কোনো মতামত ছাড়াই এই ধরনের সিদ্ধান্তে নিয়ে প্রশ্ন রাখছি।
নাজিফা বলেন, ফ্যাসিবাদের সঙ্গে ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নামটির ‘মঙ্গল’ অংশটি সম্পর্কিত করে হাস্যকর কিছু কথা বলা হয়েছে। বলা হয়েছে, ১৯৯৬ সালে এ নাম পরিবর্তন করে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের জন্য ব্যবহার শুরু হয়েছে। অথচ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়ই আসে ১৯৯৬–এর বৈশাখের তথা এপ্রিলের আরও তিন মাস পরে জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত ৭ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরে।
তিনি বলেন, যে সিনেট সভায় নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, সে সভায় শিক্ষার্থীদের রাখা হয়নি। এ আয়োজনের গুরুত্বপূর্ণ অংশীজন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা না করেই নাম পরিবর্তন করা হয়েছে।
চারুকলার সাবেক শিক্ষার্থী জাহিদ জামিল বলেন, শিক্ষক–শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দ্বান্দ্বিক পরিস্থিতি তৈরি হলে গত মাসের শেষের দিকে আমরা সবাইকে নিয়ে আলোচনা করি। সেখানে সবাই একমতে আসতে পারি। নামটা নিয়ে সেদিন কথা বলি। সেখানে চারুকলার ডিন বলেছেন, তাঁরা চেষ্টা করছেন যেন নাম অপরিবর্তিত থাকে। পরে অজুহাত দেখিয়ে নাম পরিবর্তন করা হয়। নাম পরিবর্তনের কোনো যৌক্তিক কারণ তিনি জানাননি। নাম পরিবর্তনে আমাদের কোনো সমস্যা নেই। আমরা যৌক্তিক কারণ জানতে চাই। ছিয়ানব্বই সালে (নাম) পরিবর্তন অন্যায় হলে এটাও অন্যায়।
ফ্যাসিবাদের মোটিফে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার বিচার দাবি করে জাহরা নাজিফা বলেন, ‘আমরা ফ্যাসিবাদের মোটিফে আগুন দেওয়ার ঘটনায় অপরাধীর সুষ্ঠু বিচার ও তদন্ত চাই। যাদের গাফিলতি ছিল তাদেরও শাস্তির আওতায় আনার প্রস্তাব রাখছি।’
মোটিফ তৈরির দায়িত্ব পরিবর্তনের নতুন নিয়মের সঙ্গে দ্বিমত করে চারুকলার এই শিক্ষার্থী বলেন, ‘চারুকলার এই আয়োজন ১৯৮৯ সাল থেকে শিক্ষার্থীদের তত্ত্বাবধানে হয়ে এলেও, একটা অসংলগ্ন যুক্তি দেখিয়ে তা শিক্ষকেরা শিক্ষার্থীদের হাত থেকে কেড়ে নিয়েছেন। শিক্ষার্থীদের অসমর্থিত ফ্যাসিস্ট আমলের প্রস্তাব—দুই ক্রেডিটের কোর্স হিসেবে এটি করা হয়েছে। আমরা এই কারিকুলামের সঙ্গে একমত নই।’
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দ্বন্দ্বের সমাধান দাবি করে জাহরা নাজিফা বলেন, ‘আমরা নববর্ষের আয়োজনের সাফল্য কামনা করি। সবাইকে অংশগ্রহণের আহ্বান জানাই। পাশাপাশি আমাদের সঙ্গে হওয়া অন্যায়ের সমাধান চাই। আগামীতে প্রতিটি সিদ্ধান্তে প্রধান অংশীজন হিসেবে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এ নিয়ে সবার সঙ্গে আলোচনা করে একটি নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে। এর জন্য বাহাসের প্রয়োজন হলেও আমরা শিক্ষকদের সঙ্গে বসতে প্রস্তুত আছি।’
এর আগে গত শুক্রবার (১১ এপ্রিল) এক সংবাদ সম্মেলনে শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তনের কথা জানিয়ে চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আজহারুল ইসলাম চঞ্চল বলেন, নববর্ষে শোভাযাত্রা আয়োজন করার চর্চা শুরু হয় ১৯৮৯ সালে। তখন এর নাম ছিল আনন্দ শোভাযাত্রা। সে সময়ের ইতিহাস খুঁজলে দেখতে পাবেন, সবার অংশগ্রহণ আরও স্বতঃস্ফূর্ত ছিল। পরবর্তীতে এ নাম পরিবর্তন হয়। এবারের বৃহৎ এ আয়োজনে সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করতে আমরা আগের নামটি পুনরুদ্ধার করেছি। এটি কোনো পরিবর্তন নয়, বরং পুনরুদ্ধার।
তিনি বলেন, আগের নামে ফিরে যাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো চাপ ছিল না। ‘মঙ্গল’ শব্দ নিয়ে আমার কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু প্রতিবছরই এ নাম নিয়ে নানা বিতর্ক হয়। মঙ্গলের ব্যানারের আয়োজন নিয়েও বিতর্কের অভাব ছিল না। গেল বছরগুলোতে এ নামটাকে খারাপভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। এ ভূখণ্ডে যারা বসবাস করে তাদের যে নামে অন্তর্ভুক্ত করা যাবে আমরা সে নামেই ফিরে এসেছি।
শোভাযাত্রা কমিটির সদস্যসচিব অধ্যাপক কাউসার হাসান টগর বলেন, ১৯৮৯ এ শোভাযাত্রা যখন শুরু হয় তখন আমি চারুকলার শিক্ষার্থী ছিলাম। আনন্দ শোভাযাত্রা নামে এটি আমরাই শুরু করি। ১৯৯৬ সালে এসে নাম পরিবর্তন হয়ে হঠাৎ করে ‘মঙ্গলবার শোভাযাত্রা’ হয়ে গেল। ‘মঙ্গল’ নিয়ে আমাদের কোনো সমস্যা নাই। কিন্তু আমাদের প্রশ্ন ‘আনন্দ’–এ সমস্যা কোথায়? আনন্দে সমস্যা না থাকলে আমাদের আগের জায়গায় ফিরে যেতে সমস্যা নেই। আর ‘আনন্দ’–এ সমস্যা থাকলে আমরা মঙ্গলে ফিরে যাব।
শিক্ষার্থীদের হাতে দায়িত্ব না দেওয়া নিয়ে ড. আজহারুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘২০০৬ সাল থেকে মাস্টার্স শেষ করা শিক্ষার্থীদের নববর্ষ আয়োজনের দায়িত্ব দেওয়া হতো। কিন্তু এতে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহি নিশ্চিত হতো না। ইউনেসকো স্বীকৃত এ আয়োজনের দায়িত্বে থাকা শিক্ষার্থীদের পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকায় আয়োজনে নানা ঘাটতি থেকে যেতো।’
তিনি বলেন, ‘এসব কারণে এবারের আয়োজনে কেন্দ্রীয়ভাবে উদ্যোগ নেওয়ার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহি নিশ্চিতে কেন্দ্রীয় কমিটি ছাড়াও ৫টি উপকমিটি গঠন করা হয়েছে। কাজ করতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের তালিকা নেওয়া হয়েছে। মিটিংয়ের আলোচনায় তাদের যুক্ত করা হয়েছে। নির্দিষ্ট একটি ব্যাচকে আধিপত্য না দিয়ে সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিতের চেষ্টা করা হয়েছে।’
ঢাবি সংবাদদাতা

নববর্ষের শোভাযাত্রার নাম ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’–এর পরিবর্তে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন চারুকলার বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা। আয়োজক কমিটিকে নাম পরিবর্তনের যথার্থ কারণ দর্শানোর আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা।
আজ রোববার সকাল ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে শিক্ষার্থীরা এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে শোভাযাত্রা আয়োজনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও তাঁরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পাশাপাশি এবার অন্যান্য বছরের মতো শিক্ষার্থীদের হাতে দায়িত্ব না দিয়ে আয়োজন করার নতুন নিয়মের সঙ্গে দ্বিমত প্রকাশ করেন।
এ সময় শিক্ষার্থীরা দ্বান্দ্বিক পরিস্থিতির সমাধান চাওয়ার পাশাপাশি নববর্ষের আয়োজনের সাফল্য কামনা করে সবাইকে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে চারুকলার প্রিন্ট মেকিং বিভাগের ২০২০–২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী জাহরা নাজিফা বলেন, এ বছর মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তন করা হচ্ছে, তা এবার ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ নামে উদ্যাপিত হবে। আমরা এই সিদ্ধান্ত সমর্থন করছি না। চারুকলার শিক্ষার্থীদের কোনো মতামত ছাড়াই এই ধরনের সিদ্ধান্তে নিয়ে প্রশ্ন রাখছি।
নাজিফা বলেন, ফ্যাসিবাদের সঙ্গে ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নামটির ‘মঙ্গল’ অংশটি সম্পর্কিত করে হাস্যকর কিছু কথা বলা হয়েছে। বলা হয়েছে, ১৯৯৬ সালে এ নাম পরিবর্তন করে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের জন্য ব্যবহার শুরু হয়েছে। অথচ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়ই আসে ১৯৯৬–এর বৈশাখের তথা এপ্রিলের আরও তিন মাস পরে জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত ৭ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরে।
তিনি বলেন, যে সিনেট সভায় নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, সে সভায় শিক্ষার্থীদের রাখা হয়নি। এ আয়োজনের গুরুত্বপূর্ণ অংশীজন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা না করেই নাম পরিবর্তন করা হয়েছে।
চারুকলার সাবেক শিক্ষার্থী জাহিদ জামিল বলেন, শিক্ষক–শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দ্বান্দ্বিক পরিস্থিতি তৈরি হলে গত মাসের শেষের দিকে আমরা সবাইকে নিয়ে আলোচনা করি। সেখানে সবাই একমতে আসতে পারি। নামটা নিয়ে সেদিন কথা বলি। সেখানে চারুকলার ডিন বলেছেন, তাঁরা চেষ্টা করছেন যেন নাম অপরিবর্তিত থাকে। পরে অজুহাত দেখিয়ে নাম পরিবর্তন করা হয়। নাম পরিবর্তনের কোনো যৌক্তিক কারণ তিনি জানাননি। নাম পরিবর্তনে আমাদের কোনো সমস্যা নেই। আমরা যৌক্তিক কারণ জানতে চাই। ছিয়ানব্বই সালে (নাম) পরিবর্তন অন্যায় হলে এটাও অন্যায়।
ফ্যাসিবাদের মোটিফে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার বিচার দাবি করে জাহরা নাজিফা বলেন, ‘আমরা ফ্যাসিবাদের মোটিফে আগুন দেওয়ার ঘটনায় অপরাধীর সুষ্ঠু বিচার ও তদন্ত চাই। যাদের গাফিলতি ছিল তাদেরও শাস্তির আওতায় আনার প্রস্তাব রাখছি।’
মোটিফ তৈরির দায়িত্ব পরিবর্তনের নতুন নিয়মের সঙ্গে দ্বিমত করে চারুকলার এই শিক্ষার্থী বলেন, ‘চারুকলার এই আয়োজন ১৯৮৯ সাল থেকে শিক্ষার্থীদের তত্ত্বাবধানে হয়ে এলেও, একটা অসংলগ্ন যুক্তি দেখিয়ে তা শিক্ষকেরা শিক্ষার্থীদের হাত থেকে কেড়ে নিয়েছেন। শিক্ষার্থীদের অসমর্থিত ফ্যাসিস্ট আমলের প্রস্তাব—দুই ক্রেডিটের কোর্স হিসেবে এটি করা হয়েছে। আমরা এই কারিকুলামের সঙ্গে একমত নই।’
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দ্বন্দ্বের সমাধান দাবি করে জাহরা নাজিফা বলেন, ‘আমরা নববর্ষের আয়োজনের সাফল্য কামনা করি। সবাইকে অংশগ্রহণের আহ্বান জানাই। পাশাপাশি আমাদের সঙ্গে হওয়া অন্যায়ের সমাধান চাই। আগামীতে প্রতিটি সিদ্ধান্তে প্রধান অংশীজন হিসেবে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এ নিয়ে সবার সঙ্গে আলোচনা করে একটি নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে। এর জন্য বাহাসের প্রয়োজন হলেও আমরা শিক্ষকদের সঙ্গে বসতে প্রস্তুত আছি।’
এর আগে গত শুক্রবার (১১ এপ্রিল) এক সংবাদ সম্মেলনে শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তনের কথা জানিয়ে চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আজহারুল ইসলাম চঞ্চল বলেন, নববর্ষে শোভাযাত্রা আয়োজন করার চর্চা শুরু হয় ১৯৮৯ সালে। তখন এর নাম ছিল আনন্দ শোভাযাত্রা। সে সময়ের ইতিহাস খুঁজলে দেখতে পাবেন, সবার অংশগ্রহণ আরও স্বতঃস্ফূর্ত ছিল। পরবর্তীতে এ নাম পরিবর্তন হয়। এবারের বৃহৎ এ আয়োজনে সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করতে আমরা আগের নামটি পুনরুদ্ধার করেছি। এটি কোনো পরিবর্তন নয়, বরং পুনরুদ্ধার।
তিনি বলেন, আগের নামে ফিরে যাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো চাপ ছিল না। ‘মঙ্গল’ শব্দ নিয়ে আমার কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু প্রতিবছরই এ নাম নিয়ে নানা বিতর্ক হয়। মঙ্গলের ব্যানারের আয়োজন নিয়েও বিতর্কের অভাব ছিল না। গেল বছরগুলোতে এ নামটাকে খারাপভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। এ ভূখণ্ডে যারা বসবাস করে তাদের যে নামে অন্তর্ভুক্ত করা যাবে আমরা সে নামেই ফিরে এসেছি।
শোভাযাত্রা কমিটির সদস্যসচিব অধ্যাপক কাউসার হাসান টগর বলেন, ১৯৮৯ এ শোভাযাত্রা যখন শুরু হয় তখন আমি চারুকলার শিক্ষার্থী ছিলাম। আনন্দ শোভাযাত্রা নামে এটি আমরাই শুরু করি। ১৯৯৬ সালে এসে নাম পরিবর্তন হয়ে হঠাৎ করে ‘মঙ্গলবার শোভাযাত্রা’ হয়ে গেল। ‘মঙ্গল’ নিয়ে আমাদের কোনো সমস্যা নাই। কিন্তু আমাদের প্রশ্ন ‘আনন্দ’–এ সমস্যা কোথায়? আনন্দে সমস্যা না থাকলে আমাদের আগের জায়গায় ফিরে যেতে সমস্যা নেই। আর ‘আনন্দ’–এ সমস্যা থাকলে আমরা মঙ্গলে ফিরে যাব।
শিক্ষার্থীদের হাতে দায়িত্ব না দেওয়া নিয়ে ড. আজহারুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘২০০৬ সাল থেকে মাস্টার্স শেষ করা শিক্ষার্থীদের নববর্ষ আয়োজনের দায়িত্ব দেওয়া হতো। কিন্তু এতে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহি নিশ্চিত হতো না। ইউনেসকো স্বীকৃত এ আয়োজনের দায়িত্বে থাকা শিক্ষার্থীদের পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকায় আয়োজনে নানা ঘাটতি থেকে যেতো।’
তিনি বলেন, ‘এসব কারণে এবারের আয়োজনে কেন্দ্রীয়ভাবে উদ্যোগ নেওয়ার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহি নিশ্চিতে কেন্দ্রীয় কমিটি ছাড়াও ৫টি উপকমিটি গঠন করা হয়েছে। কাজ করতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের তালিকা নেওয়া হয়েছে। মিটিংয়ের আলোচনায় তাদের যুক্ত করা হয়েছে। নির্দিষ্ট একটি ব্যাচকে আধিপত্য না দিয়ে সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিতের চেষ্টা করা হয়েছে।’

নববর্ষের শোভাযাত্রার নাম ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’–এর পরিবর্তে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন চারুকলার বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা। আয়োজক কমিটিকে নাম পরিবর্তনের যথার্থ কারণ দর্শানোর আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা।
আজ রোববার সকাল ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে শিক্ষার্থীরা এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে শোভাযাত্রা আয়োজনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও তাঁরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পাশাপাশি এবার অন্যান্য বছরের মতো শিক্ষার্থীদের হাতে দায়িত্ব না দিয়ে আয়োজন করার নতুন নিয়মের সঙ্গে দ্বিমত প্রকাশ করেন।
এ সময় শিক্ষার্থীরা দ্বান্দ্বিক পরিস্থিতির সমাধান চাওয়ার পাশাপাশি নববর্ষের আয়োজনের সাফল্য কামনা করে সবাইকে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে চারুকলার প্রিন্ট মেকিং বিভাগের ২০২০–২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী জাহরা নাজিফা বলেন, এ বছর মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তন করা হচ্ছে, তা এবার ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ নামে উদ্যাপিত হবে। আমরা এই সিদ্ধান্ত সমর্থন করছি না। চারুকলার শিক্ষার্থীদের কোনো মতামত ছাড়াই এই ধরনের সিদ্ধান্তে নিয়ে প্রশ্ন রাখছি।
নাজিফা বলেন, ফ্যাসিবাদের সঙ্গে ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নামটির ‘মঙ্গল’ অংশটি সম্পর্কিত করে হাস্যকর কিছু কথা বলা হয়েছে। বলা হয়েছে, ১৯৯৬ সালে এ নাম পরিবর্তন করে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের জন্য ব্যবহার শুরু হয়েছে। অথচ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়ই আসে ১৯৯৬–এর বৈশাখের তথা এপ্রিলের আরও তিন মাস পরে জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত ৭ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরে।
তিনি বলেন, যে সিনেট সভায় নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, সে সভায় শিক্ষার্থীদের রাখা হয়নি। এ আয়োজনের গুরুত্বপূর্ণ অংশীজন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা না করেই নাম পরিবর্তন করা হয়েছে।
চারুকলার সাবেক শিক্ষার্থী জাহিদ জামিল বলেন, শিক্ষক–শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দ্বান্দ্বিক পরিস্থিতি তৈরি হলে গত মাসের শেষের দিকে আমরা সবাইকে নিয়ে আলোচনা করি। সেখানে সবাই একমতে আসতে পারি। নামটা নিয়ে সেদিন কথা বলি। সেখানে চারুকলার ডিন বলেছেন, তাঁরা চেষ্টা করছেন যেন নাম অপরিবর্তিত থাকে। পরে অজুহাত দেখিয়ে নাম পরিবর্তন করা হয়। নাম পরিবর্তনের কোনো যৌক্তিক কারণ তিনি জানাননি। নাম পরিবর্তনে আমাদের কোনো সমস্যা নেই। আমরা যৌক্তিক কারণ জানতে চাই। ছিয়ানব্বই সালে (নাম) পরিবর্তন অন্যায় হলে এটাও অন্যায়।
ফ্যাসিবাদের মোটিফে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার বিচার দাবি করে জাহরা নাজিফা বলেন, ‘আমরা ফ্যাসিবাদের মোটিফে আগুন দেওয়ার ঘটনায় অপরাধীর সুষ্ঠু বিচার ও তদন্ত চাই। যাদের গাফিলতি ছিল তাদেরও শাস্তির আওতায় আনার প্রস্তাব রাখছি।’
মোটিফ তৈরির দায়িত্ব পরিবর্তনের নতুন নিয়মের সঙ্গে দ্বিমত করে চারুকলার এই শিক্ষার্থী বলেন, ‘চারুকলার এই আয়োজন ১৯৮৯ সাল থেকে শিক্ষার্থীদের তত্ত্বাবধানে হয়ে এলেও, একটা অসংলগ্ন যুক্তি দেখিয়ে তা শিক্ষকেরা শিক্ষার্থীদের হাত থেকে কেড়ে নিয়েছেন। শিক্ষার্থীদের অসমর্থিত ফ্যাসিস্ট আমলের প্রস্তাব—দুই ক্রেডিটের কোর্স হিসেবে এটি করা হয়েছে। আমরা এই কারিকুলামের সঙ্গে একমত নই।’
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দ্বন্দ্বের সমাধান দাবি করে জাহরা নাজিফা বলেন, ‘আমরা নববর্ষের আয়োজনের সাফল্য কামনা করি। সবাইকে অংশগ্রহণের আহ্বান জানাই। পাশাপাশি আমাদের সঙ্গে হওয়া অন্যায়ের সমাধান চাই। আগামীতে প্রতিটি সিদ্ধান্তে প্রধান অংশীজন হিসেবে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এ নিয়ে সবার সঙ্গে আলোচনা করে একটি নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে। এর জন্য বাহাসের প্রয়োজন হলেও আমরা শিক্ষকদের সঙ্গে বসতে প্রস্তুত আছি।’
এর আগে গত শুক্রবার (১১ এপ্রিল) এক সংবাদ সম্মেলনে শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তনের কথা জানিয়ে চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আজহারুল ইসলাম চঞ্চল বলেন, নববর্ষে শোভাযাত্রা আয়োজন করার চর্চা শুরু হয় ১৯৮৯ সালে। তখন এর নাম ছিল আনন্দ শোভাযাত্রা। সে সময়ের ইতিহাস খুঁজলে দেখতে পাবেন, সবার অংশগ্রহণ আরও স্বতঃস্ফূর্ত ছিল। পরবর্তীতে এ নাম পরিবর্তন হয়। এবারের বৃহৎ এ আয়োজনে সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করতে আমরা আগের নামটি পুনরুদ্ধার করেছি। এটি কোনো পরিবর্তন নয়, বরং পুনরুদ্ধার।
তিনি বলেন, আগের নামে ফিরে যাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো চাপ ছিল না। ‘মঙ্গল’ শব্দ নিয়ে আমার কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু প্রতিবছরই এ নাম নিয়ে নানা বিতর্ক হয়। মঙ্গলের ব্যানারের আয়োজন নিয়েও বিতর্কের অভাব ছিল না। গেল বছরগুলোতে এ নামটাকে খারাপভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। এ ভূখণ্ডে যারা বসবাস করে তাদের যে নামে অন্তর্ভুক্ত করা যাবে আমরা সে নামেই ফিরে এসেছি।
শোভাযাত্রা কমিটির সদস্যসচিব অধ্যাপক কাউসার হাসান টগর বলেন, ১৯৮৯ এ শোভাযাত্রা যখন শুরু হয় তখন আমি চারুকলার শিক্ষার্থী ছিলাম। আনন্দ শোভাযাত্রা নামে এটি আমরাই শুরু করি। ১৯৯৬ সালে এসে নাম পরিবর্তন হয়ে হঠাৎ করে ‘মঙ্গলবার শোভাযাত্রা’ হয়ে গেল। ‘মঙ্গল’ নিয়ে আমাদের কোনো সমস্যা নাই। কিন্তু আমাদের প্রশ্ন ‘আনন্দ’–এ সমস্যা কোথায়? আনন্দে সমস্যা না থাকলে আমাদের আগের জায়গায় ফিরে যেতে সমস্যা নেই। আর ‘আনন্দ’–এ সমস্যা থাকলে আমরা মঙ্গলে ফিরে যাব।
শিক্ষার্থীদের হাতে দায়িত্ব না দেওয়া নিয়ে ড. আজহারুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘২০০৬ সাল থেকে মাস্টার্স শেষ করা শিক্ষার্থীদের নববর্ষ আয়োজনের দায়িত্ব দেওয়া হতো। কিন্তু এতে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহি নিশ্চিত হতো না। ইউনেসকো স্বীকৃত এ আয়োজনের দায়িত্বে থাকা শিক্ষার্থীদের পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকায় আয়োজনে নানা ঘাটতি থেকে যেতো।’
তিনি বলেন, ‘এসব কারণে এবারের আয়োজনে কেন্দ্রীয়ভাবে উদ্যোগ নেওয়ার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহি নিশ্চিতে কেন্দ্রীয় কমিটি ছাড়াও ৫টি উপকমিটি গঠন করা হয়েছে। কাজ করতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের তালিকা নেওয়া হয়েছে। মিটিংয়ের আলোচনায় তাদের যুক্ত করা হয়েছে। নির্দিষ্ট একটি ব্যাচকে আধিপত্য না দিয়ে সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিতের চেষ্টা করা হয়েছে।’

বিএনপি ক্ষমতায় এলে শিক্ষা খাতকে সবচেয়ে গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদানের সুব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। শিক্ষকদের পেশার মর্যাদা বৃদ্ধি করা হবে। সব স্কুলে বাংলা-ইংরেজির পাশাপাশি অন্যান্য ভাষা শিক্ষাব্যবস্থা চালু করা হবে।
১৮ মিনিট আগে
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে স্বামীর সহযোগিতায় এক নারীকে বিভিন্ন সময় ধর্ষণ করেছেন স্বামীর পরিচিত তিন ব্যক্তি। এ ঘটনায় পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে। ওই নারী একটি ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করেন।
২২ মিনিট আগে
সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটায় বিনোদনস্পট রূপসী ম্যানগ্রোভে (মিনি সুন্দরবন) যাওয়ার সড়কটি নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে সংস্কারকাজ করছিলেন ঠিকাদার। আর সেখানে উপস্থিত থাকা এলজিইডির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বসে বসে কাজ তদারকি করছিলেন।
২৮ মিনিট আগে
চট্টগ্রামের রাউজানে সন্ত্রাসীদের গুলিতে মো. আলমগীর ওরফে আলম (৫৫) নামের যুবদলের এক কর্মী খুন হয়েছেন। আজ শনিবার (২৫ অক্টোবর) বিকেল সোয়া ৪টার দিকে পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চারাবটতল এলাকার রশিদরপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া।
১ ঘণ্টা আগেকিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

বিএনপি ক্ষমতায় এলে শিক্ষা খাতকে সবচেয়ে গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদানের সুব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। শিক্ষকদের পেশার মর্যাদা বৃদ্ধি করা হবে। সব স্কুলে বাংলা-ইংরেজির পাশাপাশি অন্যান্য ভাষা শিক্ষাব্যবস্থা চালু করা হবে।
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে শনিবার ‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখা ৩১ দফা’ বিষয়ে খন্দকার শামসুল আলম ফাউন্ডেশন আয়োজিত মেধাবৃত্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তারেক রহমান।
অনুষ্ঠানে কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি মো. শরীফুল আলমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশুদের বনিয়াদটাকে শক্তিশালী করতে পারলে তাদের ভবিষ্যতটা শক্ত, সুন্দর হবে বলে জানান বিএনপির নেতা। তিনি বলেন, দেশকে এগিয়ে নিতে হলে প্রাথমিক শিক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। বিএনপি আগামীতে ক্ষমতায় এলে শিক্ষা খাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেওয়া হবে। শিক্ষকদের এমন সাপোর্ট দেওয়া হবে, যাতে তাঁরা পাঠদানে পুরো মনোযোগ দিতে পারেন।
তারেক রহমান বলেন, শিক্ষার্থীদের সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি কারিগরি শিক্ষায় আরও বেশি করে গুরুত্ব দিতে হবে। এ জন্য সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অষ্টম শ্রেণি থেকে কারিগরি শিক্ষা, বাংলা-ইংরেজির পাশাপাশি বিদেশি বিভিন্ন ভাষা, খেলাধুলা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে—যাতে ছেলেমেয়েরা দক্ষতা অর্জন করে বিদেশে গিয়েও যেকোনো পেশার সঙ্গে যুক্ত হতে পারে।

গত ১৫-১৬ বছর দেশ থেকে বহু অর্থ-সম্পদ পাচার হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘ফলে সার্বিকভাবে দেশ অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থায় রয়েছে। যেহেতু আমরা অর্থনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যে আছি, আমাদেরকে চেষ্টা করতে হবে অল্প অর্থটাকে সঠিকভাবে ব্যবহার করার।’
অনুষ্ঠানস্থল থেকে ছাত্রছাত্রীরা সরাসরি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে বিভিন্ন প্রশ্ন করে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানও ছাত্রছাত্রীদের প্রশ্নের উত্তর দেন।
তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফার ওপর গত ১৬ আগস্ট উপজেলার ৮৪টি বিদ্যালয়ের ১০ হাজারের
বেশি শিক্ষার্থীর পরীক্ষা নেওয়া হয়। পুরস্কার দেওয়া হয় ৬০ জনকে। এর মধ্যে প্রথম পুরস্কার ২৫ হাজার, দ্বিতীয় পুরস্কার ১৫ হাজার, তৃতীয় পুরস্কার ১০ হাজার এবং চতুর্থ পুরস্কার ৫ হাজার টাকা। প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত তিনটি স্কুলকে ১ লাখ করে ৩ লাখ টাকা দেওয়া হয়।

বিএনপি ক্ষমতায় এলে শিক্ষা খাতকে সবচেয়ে গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদানের সুব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। শিক্ষকদের পেশার মর্যাদা বৃদ্ধি করা হবে। সব স্কুলে বাংলা-ইংরেজির পাশাপাশি অন্যান্য ভাষা শিক্ষাব্যবস্থা চালু করা হবে।
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে শনিবার ‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখা ৩১ দফা’ বিষয়ে খন্দকার শামসুল আলম ফাউন্ডেশন আয়োজিত মেধাবৃত্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তারেক রহমান।
অনুষ্ঠানে কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি মো. শরীফুল আলমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশুদের বনিয়াদটাকে শক্তিশালী করতে পারলে তাদের ভবিষ্যতটা শক্ত, সুন্দর হবে বলে জানান বিএনপির নেতা। তিনি বলেন, দেশকে এগিয়ে নিতে হলে প্রাথমিক শিক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। বিএনপি আগামীতে ক্ষমতায় এলে শিক্ষা খাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেওয়া হবে। শিক্ষকদের এমন সাপোর্ট দেওয়া হবে, যাতে তাঁরা পাঠদানে পুরো মনোযোগ দিতে পারেন।
তারেক রহমান বলেন, শিক্ষার্থীদের সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি কারিগরি শিক্ষায় আরও বেশি করে গুরুত্ব দিতে হবে। এ জন্য সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অষ্টম শ্রেণি থেকে কারিগরি শিক্ষা, বাংলা-ইংরেজির পাশাপাশি বিদেশি বিভিন্ন ভাষা, খেলাধুলা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে—যাতে ছেলেমেয়েরা দক্ষতা অর্জন করে বিদেশে গিয়েও যেকোনো পেশার সঙ্গে যুক্ত হতে পারে।

গত ১৫-১৬ বছর দেশ থেকে বহু অর্থ-সম্পদ পাচার হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘ফলে সার্বিকভাবে দেশ অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থায় রয়েছে। যেহেতু আমরা অর্থনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যে আছি, আমাদেরকে চেষ্টা করতে হবে অল্প অর্থটাকে সঠিকভাবে ব্যবহার করার।’
অনুষ্ঠানস্থল থেকে ছাত্রছাত্রীরা সরাসরি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে বিভিন্ন প্রশ্ন করে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানও ছাত্রছাত্রীদের প্রশ্নের উত্তর দেন।
তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফার ওপর গত ১৬ আগস্ট উপজেলার ৮৪টি বিদ্যালয়ের ১০ হাজারের
বেশি শিক্ষার্থীর পরীক্ষা নেওয়া হয়। পুরস্কার দেওয়া হয় ৬০ জনকে। এর মধ্যে প্রথম পুরস্কার ২৫ হাজার, দ্বিতীয় পুরস্কার ১৫ হাজার, তৃতীয় পুরস্কার ১০ হাজার এবং চতুর্থ পুরস্কার ৫ হাজার টাকা। প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত তিনটি স্কুলকে ১ লাখ করে ৩ লাখ টাকা দেওয়া হয়।

নববর্ষের শোভাযাত্রার নাম ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’–এর পরিবর্তে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন চারুকলার বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা। আয়োজক কমিটিকে নাম পরিবর্তনের যথার্থ কারণ দর্শানোর আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা।
১৩ এপ্রিল ২০২৫
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে স্বামীর সহযোগিতায় এক নারীকে বিভিন্ন সময় ধর্ষণ করেছেন স্বামীর পরিচিত তিন ব্যক্তি। এ ঘটনায় পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে। ওই নারী একটি ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করেন।
২২ মিনিট আগে
সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটায় বিনোদনস্পট রূপসী ম্যানগ্রোভে (মিনি সুন্দরবন) যাওয়ার সড়কটি নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে সংস্কারকাজ করছিলেন ঠিকাদার। আর সেখানে উপস্থিত থাকা এলজিইডির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বসে বসে কাজ তদারকি করছিলেন।
২৮ মিনিট আগে
চট্টগ্রামের রাউজানে সন্ত্রাসীদের গুলিতে মো. আলমগীর ওরফে আলম (৫৫) নামের যুবদলের এক কর্মী খুন হয়েছেন। আজ শনিবার (২৫ অক্টোবর) বিকেল সোয়া ৪টার দিকে পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চারাবটতল এলাকার রশিদরপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া।
১ ঘণ্টা আগেচৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে স্বামীর সহযোগিতায় এক নারীকে বিভিন্ন সময় ধর্ষণ করেছেন স্বামীর পরিচিত তিন ব্যক্তি। এ ঘটনায় পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে। ওই নারী একটি ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করেন।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের মিরশানী ইসলামিয়া ইটভাটায়। শনিবার (২৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন নারীর স্বামী নোয়াখালীর সুধারাম থানার রামহরিতালুক গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে রাজু আহাম্মেদ (২৬), ধর্ষণকারী একই এলাকার সিরাজ মাঝির ছেলে বেলাল হোসেন (৩৫), আবুল কাশেমের ছেলে হৃদয় (২৫), চান মিয়া মাঝির ছেলে মহিন (২৬), একই উপজেলার মুন্সিতালুক গ্রামের শাহ আলমের ছেলে আবুল কালাম (৪৫)।
এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ধর্ষণের শিকার নারী মামলায় উল্লেখ করেন, স্বামী রাজুর সঙ্গে তাঁর ২০২৩ সালে বিয়ে হয়। বিয়ের পর জানতে পারেন রাজু একজন নেশাগ্রস্ত ব্যক্তি। এই নিয়ে তাঁদের মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল। চলতি মাসের প্রথম দিকে রাজু পরিবারের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে সালিসে আর নেশা করবে না বলে স্ত্রীকে কথা দেন। আগামী দিনে তাঁরা মিলেমিশে সংসার করবেন বলেও জানান।
১৫ অক্টোবর স্বামী রাজু তাঁর স্ত্রীকে কুমিল্লা শহরে থাকার কথা বলে উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের মিরশানী ইসলামিয়া ইটভাটায় নিয়ে আসেন। সেখানে তাঁরা শ্রমিক হিসেবে কাজ নেন। এই সময় তাঁদের থাকার জন্য অভিযুক্ত বেলালের সহযোগিতায় একটি ঘর ভাড়া নেন। ১৬ অক্টোবর রাত ১০টায় অভিযুক্ত বেলাল ও আবুল কাশেম তাঁদের ঘরে প্রবেশ করেন। এই সময় তাঁর স্বামী ঘরে ছিলেন। বেলাল ও কালাম রুমে প্রবেশের কিছুক্ষণ পর তাঁর স্বামীর সহায়তায় বেলাল তাঁকে ধর্ষণ করেন।
অভিযোগে ওই নারী আরও উল্লেখ করেন, লজ্জার কারণে তিনি বিষয়টি কাউকে জানাননি। ১৮ অক্টোবর অপর অভিযুক্ত হৃদয় ও মহিন উদ্দিন তাঁদের ঘরে প্রবেশ করেন। এ সময় তাঁর স্বামী উপস্থিত ছিলেন। আগের একই কায়দায় হৃদয় ও মহিন উদ্দিন তাঁকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। ২০ অক্টোবর রাতে একই কায়দায় অভিযুক্ত হৃদয় আবারও তাঁর ঘরে প্রবেশ করেন এবং তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। তখন তাঁর চিৎকার চেঁচামেচি শুনে হৃদয় পালিয়ে যান।
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ভুক্তভোগী নারী শুক্রবার রাতে থানায় মামলা দায়ের করেন। আমরা আজ শনিবার ভোরে ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে ভুক্তভোগীর নারীর স্বামী রাজুসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করি। ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য ওই নারীকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আর অভিযুক্তদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে স্বামীর সহযোগিতায় এক নারীকে বিভিন্ন সময় ধর্ষণ করেছেন স্বামীর পরিচিত তিন ব্যক্তি। এ ঘটনায় পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে। ওই নারী একটি ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করেন।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের মিরশানী ইসলামিয়া ইটভাটায়। শনিবার (২৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন নারীর স্বামী নোয়াখালীর সুধারাম থানার রামহরিতালুক গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে রাজু আহাম্মেদ (২৬), ধর্ষণকারী একই এলাকার সিরাজ মাঝির ছেলে বেলাল হোসেন (৩৫), আবুল কাশেমের ছেলে হৃদয় (২৫), চান মিয়া মাঝির ছেলে মহিন (২৬), একই উপজেলার মুন্সিতালুক গ্রামের শাহ আলমের ছেলে আবুল কালাম (৪৫)।
এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ধর্ষণের শিকার নারী মামলায় উল্লেখ করেন, স্বামী রাজুর সঙ্গে তাঁর ২০২৩ সালে বিয়ে হয়। বিয়ের পর জানতে পারেন রাজু একজন নেশাগ্রস্ত ব্যক্তি। এই নিয়ে তাঁদের মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল। চলতি মাসের প্রথম দিকে রাজু পরিবারের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে সালিসে আর নেশা করবে না বলে স্ত্রীকে কথা দেন। আগামী দিনে তাঁরা মিলেমিশে সংসার করবেন বলেও জানান।
১৫ অক্টোবর স্বামী রাজু তাঁর স্ত্রীকে কুমিল্লা শহরে থাকার কথা বলে উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের মিরশানী ইসলামিয়া ইটভাটায় নিয়ে আসেন। সেখানে তাঁরা শ্রমিক হিসেবে কাজ নেন। এই সময় তাঁদের থাকার জন্য অভিযুক্ত বেলালের সহযোগিতায় একটি ঘর ভাড়া নেন। ১৬ অক্টোবর রাত ১০টায় অভিযুক্ত বেলাল ও আবুল কাশেম তাঁদের ঘরে প্রবেশ করেন। এই সময় তাঁর স্বামী ঘরে ছিলেন। বেলাল ও কালাম রুমে প্রবেশের কিছুক্ষণ পর তাঁর স্বামীর সহায়তায় বেলাল তাঁকে ধর্ষণ করেন।
অভিযোগে ওই নারী আরও উল্লেখ করেন, লজ্জার কারণে তিনি বিষয়টি কাউকে জানাননি। ১৮ অক্টোবর অপর অভিযুক্ত হৃদয় ও মহিন উদ্দিন তাঁদের ঘরে প্রবেশ করেন। এ সময় তাঁর স্বামী উপস্থিত ছিলেন। আগের একই কায়দায় হৃদয় ও মহিন উদ্দিন তাঁকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। ২০ অক্টোবর রাতে একই কায়দায় অভিযুক্ত হৃদয় আবারও তাঁর ঘরে প্রবেশ করেন এবং তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। তখন তাঁর চিৎকার চেঁচামেচি শুনে হৃদয় পালিয়ে যান।
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ভুক্তভোগী নারী শুক্রবার রাতে থানায় মামলা দায়ের করেন। আমরা আজ শনিবার ভোরে ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে ভুক্তভোগীর নারীর স্বামী রাজুসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করি। ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য ওই নারীকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আর অভিযুক্তদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’

নববর্ষের শোভাযাত্রার নাম ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’–এর পরিবর্তে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন চারুকলার বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা। আয়োজক কমিটিকে নাম পরিবর্তনের যথার্থ কারণ দর্শানোর আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা।
১৩ এপ্রিল ২০২৫
বিএনপি ক্ষমতায় এলে শিক্ষা খাতকে সবচেয়ে গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদানের সুব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। শিক্ষকদের পেশার মর্যাদা বৃদ্ধি করা হবে। সব স্কুলে বাংলা-ইংরেজির পাশাপাশি অন্যান্য ভাষা শিক্ষাব্যবস্থা চালু করা হবে।
১৮ মিনিট আগে
সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটায় বিনোদনস্পট রূপসী ম্যানগ্রোভে (মিনি সুন্দরবন) যাওয়ার সড়কটি নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে সংস্কারকাজ করছিলেন ঠিকাদার। আর সেখানে উপস্থিত থাকা এলজিইডির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বসে বসে কাজ তদারকি করছিলেন।
২৮ মিনিট আগে
চট্টগ্রামের রাউজানে সন্ত্রাসীদের গুলিতে মো. আলমগীর ওরফে আলম (৫৫) নামের যুবদলের এক কর্মী খুন হয়েছেন। আজ শনিবার (২৫ অক্টোবর) বিকেল সোয়া ৪টার দিকে পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চারাবটতল এলাকার রশিদরপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া।
১ ঘণ্টা আগেদেবহাটা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি

সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটায় বিনোদনস্পট রূপসী ম্যানগ্রোভে (মিনি সুন্দরবন) যাওয়ার সড়কটি নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে সংস্কারকাজ করছিলেন ঠিকাদার। আর সেখানে উপস্থিত থাকা এলজিইডির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বসে বসে কাজ তদারকি করছিলেন। অনিয়ম দেখে স্থানীয়রা ক্ষুব্ধ হয়ে রাস্তা সংস্কারে বাধা দিলে সটকে পড়েন ঠিকারদার ও এলজিইডির কর্মকর্তা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও। অনিয়ম দেখে কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেন তিনি। আজ শনিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে এসব ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, দেবহাটা উপজেলার সুশীলগাতী থেকে শীবনগরগামী রাস্তার কার্পেটিং কাজের টেন্ডার পায় ফয়সাল হোসেনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ১৫০০ মিটার রাস্তার কাজের শুরু থেকে নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। গত ঈদুল আজহার আগে ঠিকাদার রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু করলে একপর্যায়ে স্থানীয়দের অভিযোগের মুখে তৎকালীন ইউএনও কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেন। এরপর বেশ কিছুদিন কাজ বন্ধ ছিল। সম্প্রতি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি আবার রাস্তায় কার্পেটিংয়ের কাজ শুরু করে।
আজ শনিবার কাপেটিংয়ের কাজ শুরু করে ঠিকাদারের লোকজন। একপর্যায়ে এলাকাবাসী রাস্তায় নিম্নমানের পিচ উচ্চ তাপমাত্রায় গলিয়ে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন। এলাকাবাসীর দাবি, রাস্তার কার্পেটিং ঠিকমতো রুলার না করায় পায়ের জুতা ও গাড়ির চাকার সঙ্গে পিচ উঠে আসছে। এ ছাড়া ওই রাস্তার বেডে ব্যবহৃত এজিং নিজে নিজে ধসে পড়ছে। রাস্তার ওপরে ময়লা-আবর্জনা রেখে নামমাত্র ট্যাগকোড দিয়ে কার্পেটিংৎয়ের কাজ চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে স্থানীয়রা জানতে চাইলে এলজিইডির কর্মকর্তা ও ঠিকাদার ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। পরে বিষয়টি ইউএনও মিলন সাহাকে অবহিত করা হলে সেখানে হাজির হন তিনি। রাস্তা নির্মাণকাজে দুর্নীতি ও অনিয়মের প্রমাণ পেয়ে কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন তিনি।
স্থানীয় বাসিন্দা আয়ুব হোসেন, আব্দুল মজিদ, শফিকুল ইসলাম, হাবিবুর রহমানসহ অনেকে বলেন, ঠিকাদারের লোকজন রাতের আঁধারে নষ্ট ও নিম্নমানের পিচ তরল করে ভালো পিচের ড্রামে ভর্তি করে। রাস্তায় ব্যবহৃত পাথরগুলোর নির্দিষ্ট কোনো সাইজ নেই। উচ্চতাপে ময়লা, মাটি, বালু মিশিয়ে পাথর ও পিচ কম দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করছে, যা বেশি দিন স্থায়ী হবে না। তাঁরা আরও দাবি করেন, ওই ঠিকাদার এত নিম্নমানের কাজে করছে যে, ১৫ দিন আগে দেওয়া কার্পেটিং হাত দিয়ে টান দিলেই উঠে যাচ্ছে।
অভিযোগের ব্যাপারে সহকারী ঠিকাদার আলমগীর হোসেন আলম বলেন, ‘ভুল হয়েছে। যেভাবে কাজ করা যায় তার একটা ব্যবস্থা করেন, আপনাদের সঙ্গে আলাদা দেখা করে নেব।’ অন্যদিকে কাজের তদারকিতে থাকা উপজেলা প্রকৌশলী দপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁর সংযোগ পাওয়া যায়নি।
দেবহাটা উপজেলার ইউএনও বলেন, ‘মৌখিক অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বেশ কিছু সমস্যা লক্ষ করা গেছে। যেহেতু এটি অত্যন্ত জনবহুল ও গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। বিশেষ করে এই উপজেলার অন্যতম বিনোদনকেন্দ্রে যাওয়ার একমাত্র কার্পেটিংয়ের রাস্তা—তাই কার্যপত্রের নিয়ম অনুযায়ী কাজ করার জন্য প্রকৌশলী ও ঠিকাদারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোনো রকম অনিয়ম মেনে নেওয়া হবে না।’

সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটায় বিনোদনস্পট রূপসী ম্যানগ্রোভে (মিনি সুন্দরবন) যাওয়ার সড়কটি নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে সংস্কারকাজ করছিলেন ঠিকাদার। আর সেখানে উপস্থিত থাকা এলজিইডির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বসে বসে কাজ তদারকি করছিলেন। অনিয়ম দেখে স্থানীয়রা ক্ষুব্ধ হয়ে রাস্তা সংস্কারে বাধা দিলে সটকে পড়েন ঠিকারদার ও এলজিইডির কর্মকর্তা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও। অনিয়ম দেখে কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেন তিনি। আজ শনিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে এসব ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, দেবহাটা উপজেলার সুশীলগাতী থেকে শীবনগরগামী রাস্তার কার্পেটিং কাজের টেন্ডার পায় ফয়সাল হোসেনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ১৫০০ মিটার রাস্তার কাজের শুরু থেকে নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। গত ঈদুল আজহার আগে ঠিকাদার রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু করলে একপর্যায়ে স্থানীয়দের অভিযোগের মুখে তৎকালীন ইউএনও কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেন। এরপর বেশ কিছুদিন কাজ বন্ধ ছিল। সম্প্রতি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি আবার রাস্তায় কার্পেটিংয়ের কাজ শুরু করে।
আজ শনিবার কাপেটিংয়ের কাজ শুরু করে ঠিকাদারের লোকজন। একপর্যায়ে এলাকাবাসী রাস্তায় নিম্নমানের পিচ উচ্চ তাপমাত্রায় গলিয়ে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন। এলাকাবাসীর দাবি, রাস্তার কার্পেটিং ঠিকমতো রুলার না করায় পায়ের জুতা ও গাড়ির চাকার সঙ্গে পিচ উঠে আসছে। এ ছাড়া ওই রাস্তার বেডে ব্যবহৃত এজিং নিজে নিজে ধসে পড়ছে। রাস্তার ওপরে ময়লা-আবর্জনা রেখে নামমাত্র ট্যাগকোড দিয়ে কার্পেটিংৎয়ের কাজ চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে স্থানীয়রা জানতে চাইলে এলজিইডির কর্মকর্তা ও ঠিকাদার ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। পরে বিষয়টি ইউএনও মিলন সাহাকে অবহিত করা হলে সেখানে হাজির হন তিনি। রাস্তা নির্মাণকাজে দুর্নীতি ও অনিয়মের প্রমাণ পেয়ে কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন তিনি।
স্থানীয় বাসিন্দা আয়ুব হোসেন, আব্দুল মজিদ, শফিকুল ইসলাম, হাবিবুর রহমানসহ অনেকে বলেন, ঠিকাদারের লোকজন রাতের আঁধারে নষ্ট ও নিম্নমানের পিচ তরল করে ভালো পিচের ড্রামে ভর্তি করে। রাস্তায় ব্যবহৃত পাথরগুলোর নির্দিষ্ট কোনো সাইজ নেই। উচ্চতাপে ময়লা, মাটি, বালু মিশিয়ে পাথর ও পিচ কম দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করছে, যা বেশি দিন স্থায়ী হবে না। তাঁরা আরও দাবি করেন, ওই ঠিকাদার এত নিম্নমানের কাজে করছে যে, ১৫ দিন আগে দেওয়া কার্পেটিং হাত দিয়ে টান দিলেই উঠে যাচ্ছে।
অভিযোগের ব্যাপারে সহকারী ঠিকাদার আলমগীর হোসেন আলম বলেন, ‘ভুল হয়েছে। যেভাবে কাজ করা যায় তার একটা ব্যবস্থা করেন, আপনাদের সঙ্গে আলাদা দেখা করে নেব।’ অন্যদিকে কাজের তদারকিতে থাকা উপজেলা প্রকৌশলী দপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁর সংযোগ পাওয়া যায়নি।
দেবহাটা উপজেলার ইউএনও বলেন, ‘মৌখিক অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বেশ কিছু সমস্যা লক্ষ করা গেছে। যেহেতু এটি অত্যন্ত জনবহুল ও গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। বিশেষ করে এই উপজেলার অন্যতম বিনোদনকেন্দ্রে যাওয়ার একমাত্র কার্পেটিংয়ের রাস্তা—তাই কার্যপত্রের নিয়ম অনুযায়ী কাজ করার জন্য প্রকৌশলী ও ঠিকাদারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোনো রকম অনিয়ম মেনে নেওয়া হবে না।’

নববর্ষের শোভাযাত্রার নাম ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’–এর পরিবর্তে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন চারুকলার বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা। আয়োজক কমিটিকে নাম পরিবর্তনের যথার্থ কারণ দর্শানোর আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা।
১৩ এপ্রিল ২০২৫
বিএনপি ক্ষমতায় এলে শিক্ষা খাতকে সবচেয়ে গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদানের সুব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। শিক্ষকদের পেশার মর্যাদা বৃদ্ধি করা হবে। সব স্কুলে বাংলা-ইংরেজির পাশাপাশি অন্যান্য ভাষা শিক্ষাব্যবস্থা চালু করা হবে।
১৮ মিনিট আগে
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে স্বামীর সহযোগিতায় এক নারীকে বিভিন্ন সময় ধর্ষণ করেছেন স্বামীর পরিচিত তিন ব্যক্তি। এ ঘটনায় পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে। ওই নারী একটি ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করেন।
২২ মিনিট আগে
চট্টগ্রামের রাউজানে সন্ত্রাসীদের গুলিতে মো. আলমগীর ওরফে আলম (৫৫) নামের যুবদলের এক কর্মী খুন হয়েছেন। আজ শনিবার (২৫ অক্টোবর) বিকেল সোয়া ৪টার দিকে পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চারাবটতল এলাকার রশিদরপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া।
১ ঘণ্টা আগেরাউজান প্রতিনিধি

চট্টগ্রামের রাউজানে সন্ত্রাসীদের গুলিতে মো. আলমগীর ওরফে আলম (৫৫) নামের যুবদলের এক কর্মী খুন হয়েছেন। আজ শনিবার (২৫ অক্টোবর) বিকেল সোয়া ৪টার দিকে পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চারাবটতল এলাকার রশিদরপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া।
নিহত আলমগীর ওই এলাকার চৌধুরীবাড়ির আব্দুস সাত্তারের ছেলে। তিনি যুবদলের কর্মী ছিলেন বলে জানা গেছে। আলমগীর বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক গোলাম আকবর খোন্দকারের অনুসারী বলে জানা গেছে। গোলাম আকবর খোন্দকারের পক্ষ থেকে এই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে।

চট্টগ্রামের রাউজানে সন্ত্রাসীদের গুলিতে মো. আলমগীর ওরফে আলম (৫৫) নামের যুবদলের এক কর্মী খুন হয়েছেন। আজ শনিবার (২৫ অক্টোবর) বিকেল সোয়া ৪টার দিকে পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চারাবটতল এলাকার রশিদরপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া।
নিহত আলমগীর ওই এলাকার চৌধুরীবাড়ির আব্দুস সাত্তারের ছেলে। তিনি যুবদলের কর্মী ছিলেন বলে জানা গেছে। আলমগীর বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক গোলাম আকবর খোন্দকারের অনুসারী বলে জানা গেছে। গোলাম আকবর খোন্দকারের পক্ষ থেকে এই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে।

নববর্ষের শোভাযাত্রার নাম ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’–এর পরিবর্তে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন চারুকলার বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা। আয়োজক কমিটিকে নাম পরিবর্তনের যথার্থ কারণ দর্শানোর আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা।
১৩ এপ্রিল ২০২৫
বিএনপি ক্ষমতায় এলে শিক্ষা খাতকে সবচেয়ে গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদানের সুব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। শিক্ষকদের পেশার মর্যাদা বৃদ্ধি করা হবে। সব স্কুলে বাংলা-ইংরেজির পাশাপাশি অন্যান্য ভাষা শিক্ষাব্যবস্থা চালু করা হবে।
১৮ মিনিট আগে
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে স্বামীর সহযোগিতায় এক নারীকে বিভিন্ন সময় ধর্ষণ করেছেন স্বামীর পরিচিত তিন ব্যক্তি। এ ঘটনায় পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে। ওই নারী একটি ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করেন।
২২ মিনিট আগে
সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটায় বিনোদনস্পট রূপসী ম্যানগ্রোভে (মিনি সুন্দরবন) যাওয়ার সড়কটি নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে সংস্কারকাজ করছিলেন ঠিকাদার। আর সেখানে উপস্থিত থাকা এলজিইডির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বসে বসে কাজ তদারকি করছিলেন।
২৮ মিনিট আগে