নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সারা দেশের বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে অবৈধ বিদেশি কর্মীরা ট্যাক্স ও ভ্যাট না দিয়ে দেশের টাকা পাচার করছে। ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতি ক্রমান্বয়ে ধ্বংস হচ্ছে আর মানবাধিকার ও জাতীয় নিরাপত্তা হুমকিতে পড়ছে বলে মনে করে অবৈধ বিদেশি খেঁদাও আন্দোলন নামক একটি সংগঠন। আজ বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে সংগঠনটির বক্তারা এসব কথা বলেছেন।
লিখিত বক্তব্যে সংগঠনটির সাধারন সম্পাদক ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম. সরোয়ার হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশে গত দেড় দশকে বহু বিদেশি বাংলাদেশে অবৈধভাবে কর্মক্ষেত্র দখল করে রেখেছে। বর্তমানে ১০ লাখের বেশি অবৈধ বিদেশি শ্রমিক বাংলাদেশে বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে কাজ করছে। এর ফলে এ দেশের নাগরিকগণ যোগ্যতা অনুযায়ী নিয়োগ লাভের অধিকার হতে বঞ্চিত হচ্ছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘যোগ্যতা অনুযায়ী নিয়োগ পাওয়া সাংবিধানিক অধিকার। গত দেড় দশকে বাংলাদেশে বেকার সমস্যা চরম আকার ধারণ করেছে। দেশে বর্তমানে বেকারত্বের হার ১২ শতাংশ। যা এ যাবৎ কালের সর্বোচ্চ। বেকারত্বের সমস্যা এমন আকার ধারণ করেছে যে, এ দেশে নাগরিক কর্মসংস্থান খুঁজতে গিয়ে বঙ্গোপসাগর থেকে ভূমধ্যসাগরে মৃত্যুবরণ করছে।’
ব্যারিস্টার এম. সরোয়ার হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশে কর্মরত অবৈধ বিদেশিরা ২০১৭ সাল থেকে প্রতি বছর ১০ দশমিক ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এ দেশ থেকে নিয়ে যাচ্ছে। অবৈধ হওয়ার কারণে তারা ট্যাক্স ও ভ্যাট প্রদান না করে টাকা পাচার করছে। এর ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতি ক্রমান্বয়ে ধ্বংস হচ্ছে আর মানবাধিকার ও জাতীয় নিরাপত্তা হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে। তারপরও আমাদের রাষ্ট্র বা সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাসমূহ এর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না।’
আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে সংগঠনটির সভাপতি ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ মহসিন রশিদ বলেন, ‘আমরা প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলকে আহ্বান জানাব; সেটা আওয়ামী লীগ, বিএনপি, ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, যুবলীগ, যুবদল যেই হোক না কেন, সকলকেই আমরা আহ্বান জানাচ্ছি। যারা আমাদের এজেন্সিগুলোতে কাজ করেন, তাদের একটা বড় দায়িত্ব হচ্ছে এই দেশটাকে রক্ষা করা। বাংলাদেশের জন্য যা করা দরকার সেটাই আপনাদেরকে করতে হবে। আমি সবাইকে আহ্বান করব আপনারা এগিয়ে আসেন, আমাদের সঙ্গে যোগ দেন, সহায়তা করেন।’
তিনি বলেন, ‘আপনারা দেখছেন যে কত বিদেশি এখানে অবৈধভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বৈধভাবে যারা কাজ করছেন, তাদের নিয়ে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। অবৈধ বিদেশি শ্রমিকের কারণে বাংলাদেশের প্রত্যেক নাগরিকের সমস্যা হচ্ছে। তাই আমরা চাই যে অবিলম্বে সরকার এই অবৈধ বিদেশি শ্রমিকদের তাদের দেশে ফেরত পাঠিয়ে আমাদের দেশের বেকার সমস্যা দূর করবে।’
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন—ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির চেয়ারম্যান আবু তাহের, গণঅধিকার পরিষদের একাংশের আহ্বায়ক মিয়া মশিউজ্জামান, অ্যাডভোকেট সাজ্জাদ হোসেন, মেজর মোহাম্মদ মিজানুর রহমান (অব:) ও অ্যাডভোকেট মো. আফাজুল হকসহ বিভিন্ন সামাজিক এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ।
সারা দেশের বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে অবৈধ বিদেশি কর্মীরা ট্যাক্স ও ভ্যাট না দিয়ে দেশের টাকা পাচার করছে। ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতি ক্রমান্বয়ে ধ্বংস হচ্ছে আর মানবাধিকার ও জাতীয় নিরাপত্তা হুমকিতে পড়ছে বলে মনে করে অবৈধ বিদেশি খেঁদাও আন্দোলন নামক একটি সংগঠন। আজ বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে সংগঠনটির বক্তারা এসব কথা বলেছেন।
লিখিত বক্তব্যে সংগঠনটির সাধারন সম্পাদক ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম. সরোয়ার হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশে গত দেড় দশকে বহু বিদেশি বাংলাদেশে অবৈধভাবে কর্মক্ষেত্র দখল করে রেখেছে। বর্তমানে ১০ লাখের বেশি অবৈধ বিদেশি শ্রমিক বাংলাদেশে বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে কাজ করছে। এর ফলে এ দেশের নাগরিকগণ যোগ্যতা অনুযায়ী নিয়োগ লাভের অধিকার হতে বঞ্চিত হচ্ছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘যোগ্যতা অনুযায়ী নিয়োগ পাওয়া সাংবিধানিক অধিকার। গত দেড় দশকে বাংলাদেশে বেকার সমস্যা চরম আকার ধারণ করেছে। দেশে বর্তমানে বেকারত্বের হার ১২ শতাংশ। যা এ যাবৎ কালের সর্বোচ্চ। বেকারত্বের সমস্যা এমন আকার ধারণ করেছে যে, এ দেশে নাগরিক কর্মসংস্থান খুঁজতে গিয়ে বঙ্গোপসাগর থেকে ভূমধ্যসাগরে মৃত্যুবরণ করছে।’
ব্যারিস্টার এম. সরোয়ার হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশে কর্মরত অবৈধ বিদেশিরা ২০১৭ সাল থেকে প্রতি বছর ১০ দশমিক ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এ দেশ থেকে নিয়ে যাচ্ছে। অবৈধ হওয়ার কারণে তারা ট্যাক্স ও ভ্যাট প্রদান না করে টাকা পাচার করছে। এর ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতি ক্রমান্বয়ে ধ্বংস হচ্ছে আর মানবাধিকার ও জাতীয় নিরাপত্তা হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে। তারপরও আমাদের রাষ্ট্র বা সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাসমূহ এর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না।’
আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে সংগঠনটির সভাপতি ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ মহসিন রশিদ বলেন, ‘আমরা প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলকে আহ্বান জানাব; সেটা আওয়ামী লীগ, বিএনপি, ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, যুবলীগ, যুবদল যেই হোক না কেন, সকলকেই আমরা আহ্বান জানাচ্ছি। যারা আমাদের এজেন্সিগুলোতে কাজ করেন, তাদের একটা বড় দায়িত্ব হচ্ছে এই দেশটাকে রক্ষা করা। বাংলাদেশের জন্য যা করা দরকার সেটাই আপনাদেরকে করতে হবে। আমি সবাইকে আহ্বান করব আপনারা এগিয়ে আসেন, আমাদের সঙ্গে যোগ দেন, সহায়তা করেন।’
তিনি বলেন, ‘আপনারা দেখছেন যে কত বিদেশি এখানে অবৈধভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বৈধভাবে যারা কাজ করছেন, তাদের নিয়ে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। অবৈধ বিদেশি শ্রমিকের কারণে বাংলাদেশের প্রত্যেক নাগরিকের সমস্যা হচ্ছে। তাই আমরা চাই যে অবিলম্বে সরকার এই অবৈধ বিদেশি শ্রমিকদের তাদের দেশে ফেরত পাঠিয়ে আমাদের দেশের বেকার সমস্যা দূর করবে।’
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন—ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির চেয়ারম্যান আবু তাহের, গণঅধিকার পরিষদের একাংশের আহ্বায়ক মিয়া মশিউজ্জামান, অ্যাডভোকেট সাজ্জাদ হোসেন, মেজর মোহাম্মদ মিজানুর রহমান (অব:) ও অ্যাডভোকেট মো. আফাজুল হকসহ বিভিন্ন সামাজিক এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ।
ঘন কুয়াশার কারণে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত ১২টা থেকে এই পথে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। আজ শনিবার সকাল ৯টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল।
১ ঘণ্টা আগেমাদারীপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন। এ সময় বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মাদারীপুর সদর উপজেলার রাস্তি ইউনিয়নের পূর্ব রাস্তি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে প্রধান শিক্ষক ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে চলছে ১১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা। প্রধান শিক্ষকবিহীন এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে। অভিযোগ রয়েছে, যেসব ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হচ্ছে, তাঁদের অনেকেরই প্রধান শিক্ষক হওয়ার যোগ
৯ ঘণ্টা আগেদুই দশক কিছুটা শান্ত থাকার পর কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী-রাজিবপুর নৌপথে আবার ডাকাতের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। এক মাসের ব্যবধানে দুবার ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ দুই ঘটনায় আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রতিরোধেও কার্যকর উদ্যোগ নেই স্থানীয় প্রশাসনের। আবার ডাকাতি শুরু হওয়ায় ১৪ কিলোমিটার এই নৌপথের নৌযান, যাত্রী
৯ ঘণ্টা আগে