Ajker Patrika

অভিযোগ দিয়ে প্রচার শুরু সাক্কুর, বৈঠকে ব্যস্ত রিফাত

তানিম আহমেদ ও দেলোয়ার হোসেন আকাইদ, কুমিল্লা থেকে
আপডেট : ১৩ জুন ২০২২, ১৩: ১২
অভিযোগ দিয়ে প্রচার শুরু সাক্কুর, বৈঠকে ব্যস্ত রিফাত

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচন ঘিরে স্থানীয় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আগেভাগেই তৎপরতা শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। যদিও নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে এত দিন কোনো শঙ্কা বা অভিযোগ ছিল না প্রার্থী ও স্থানীয় ভোটারদের। তবে গতকাল প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দের পর প্রচারণা শুরু হতেই পাল্টে গেছে পরিস্থিতি। আনুষ্ঠানিক প্রচারণার প্রথম দিনেই হামলা চালিয়ে মাইক ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে চিঠি লিখে অভিযোগ জানিয়েছেন এবারের নির্বাচনের অন্যতম হেভিওয়েট প্রার্থী কুমিল্লা সিটির সদ্যবিদায়ী মেয়র মনিরুল হক সাক্কু।

এদিকে মেয়র পদের আরেক হেভিওয়েট প্রার্থী-যাকে সাক্কুর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে; আওয়ামী লীগের আরফানুল হক রিফাত গতকাল অনেকটা নীরবে দিন পার করেছেন। প্রতীক বরাদ্দের পর গতকাল বিকেলে তাঁর সমর্থনে নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডে মিছিল বের হওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। এমনকি প্রতীক বরাদ্দের জন্য আয়োজিত অনুষ্ঠানেও অনুপস্থিত ছিলেন তিনি।

গতকাল সকাল সাড়ে নয়টায় নগরীর শিল্পকলা একাডেমিতে প্রতীক বরাদ্দ শুরু হয়। বেশির ভাগ প্রার্থী বিপুলসংখ্যক কর্মী-সমর্থক নিয়ে এলেও ইসির কঠোরতায় তিনজনের বেশি সমর্থক নিয়ে কেউ একাডেমিতে ঢুকতে পারেননি। অবশ্য প্রতীক বরাদ্দ শেষে মিছিল নিয়ে ফিরতে দেখা গেছে বেশির ভাগ প্রার্থীকে।

প্রথমে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয় মেয়র প্রার্থীদের মাঝে। পাঁচ প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামী লীগের রিফাত (নৌকা) এবং ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের রাশেদুল ইসলাম (হাতপাখা) নিজ নিজ দলীয় প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন। নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী প্রতীক পেয়েছেন স্বতন্ত্র তিন প্রার্থী। তাদের মধ্যে সাক্কু পেয়েছেন টেবিল ঘড়ি, আরেক আলোচিত প্রার্থী নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি নিজাম উদ্দিন কায়সার ঘোড়া এবং কামরুল আহসান বাবুল হরিণ প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন। রিফাত ছাড়া অন্য চার মেয়রপ্রার্থী এ সময় অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত ছিলেন।

পরে সাধারণ আসনের কাউন্সিলর প্রার্থী ও সংরক্ষিত নারী আসনের কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। কয়েকজন কাউন্সিলর প্রার্থী একই প্রতীক পছন্দ করায় লটারির মাধ্যমে তাদের বরাদ্দ দেওয়া হয়।

প্রতীক পাওয়ার পর বিএনপি থেকে আজীবন বহিষ্কৃত মনিরুল হক সাক্কু সাংবাদিকদের বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে তিনি দলীয় প্রতীকে বিশ্বাস করেন না। তিনি মনে করেন, এ নির্বাচনে একজন প্রার্থীর আচরণ, ব্যবহার, ধৈর্য এবং জনকল্যাণে তিনি কতটুকু সময় দিয়েছেন; ভোটাররা সেটাই মূল্যায়ন করেন। গত ১০ বছরে টানা দুই মেয়াদে সিটি মেয়র থাকাকালীন ভুলত্রুটি থাকলেও নগরীর উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার ৭০ ভাগ পূরণ করতে পেরেছেন দাবি করে সাক্কু বলেন, তাঁর অক্লান্ত পরিশ্রমের কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কুমিল্লা সিটির উন্নয়নে ১ হাজার ৫৩৮ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। এবার বিজয়ী হলে সকল অসমাপ্ত কাজ শেষ করবেন।

নিজাম উদ্দিন কায়সার বলেন, সৃষ্টিলগ্ন থেকে সকল অন্যায় অবিচার অপশাসন ও অপশক্তির বিরুদ্ধে যত যুদ্ধ হয়েছে সে সবের বাহন ছিল ঘোড়া। এই প্রতীকের মাধ্যমে তিনি কুমিল্লা থেকে দানবীয় শাসন এবং সরকারের অত্যাচারিত শাসন দূর করবেন বলে প্রত্যয় জানান তিনি।

প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর গতকাল জুমার নামাজের পর থেকেই প্রচারে নেমে পড়েন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। নগরীর বিভিন্ন সড়কে শুরু হয় মাইকিং। মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে কায়সারের নেতৃত্বে গতকাল জাঙ্গালিয়া বাস টার্মিনাল এলাকায় মিছিল বের হয়। পরে তিনি স্থানীয় পর্যায়ে গণসংযোগ করেন। এ সময় বিএনপির স্থানীয় কর্মী-সমর্থকরাও তার সঙ্গে ছিলেন।

মনিরুল হক সাক্কু গতকাল মাঠে না নামলেও তার প্রচারণায় হামলা ও মাইক ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে রিটার্নিং কার্যালয়ে চিঠি দিয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, নগরীর টিক্কারচর কবরস্থান সংলগ্ন এলাকায় স্থানীয় দুষ্কৃতকারী রানা তাঁর প্রচারণায় হামলা করে মাইক ছিনিয়ে নিয়েছে। সাক্কুর কর্মীদের দাবি, রানা যুবলীগের স্থানীয় কর্মী।

এ অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে কুসিক নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহেদুন্নবী চৌধুরী বলেন, প্রতীক বরাদ্দের ব্যস্ততার কারণে কে কি অভিযোগ করছে দেখতে পারেনি। এগুলো আজ (শনিবার) দেখব।

গতকাল প্রচারণায় নামেননি আওয়ামী লীগের প্রার্থী রিফাতও। কারণ জানতে চাইলে আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে বৈঠকে ব্যস্ত আছেন। দলীয় সূত্র জানায়, গতকাল জুমার নামাজের পরে নানুয়ার দিঘির পাড়ের বাসভবনে নগরীর ২৭ ওয়ার্ডের নারী ও পুরুষ কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করে তাদের প্রচারের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন রিফাত। পরে রাতে রানির দিঘির পাড় এলাকায় ১১ নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচনী কার্যালয় উদ্বোধন করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে যুবককে সাজা, ভেকু মেশিন জব্দ

ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি  
অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালায় উপজেলা প্রশাসন। ছবি: আজকের পত্রিকা
অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালায় উপজেলা প্রশাসন। ছবি: আজকের পত্রিকা

ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে মো. হৃদয় আহমেদ (২৬) নামের এক যুবককে অর্থদণ্ড ও কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় বালু তোলার কাজে ব্যবহৃত একটি এক্সকাভেটর (ভেকু মেশিন) জব্দ করা হয়।

গতকাল মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত উপজেলার কানিহারী ইউনিয়নের জিলকী বটতলা এলাকায় উপজেলা প্রশাসন এই অভিযান চালায়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন ত্রিশাল উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুর রহমান।

সাজাপ্রাপ্ত হৃদয় জিলকী বটতলা এলাকার মো. হেলাল উদ্দিনের ছেলে। ভ্রাম্যমাণ আদালত তাঁকে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ অনুযায়ী ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড এবং সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন।

এসি ল্যান্ড মাহবুবুর রহমান বলেন, জনস্বার্থে এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে, যাতে পরিবেশ ও নদী রক্ষা করা যায় এবং অবৈধ বালু উত্তোলন সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গোপনে সহপাঠীদের অপ্রীতিকর ছবি তুলে সিনিয়র ভাইকে পাঠাতেন বাকৃবি ছাত্রী

বাকৃবি প্রতিনিধি 
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) এক ছাত্রীর বিরুদ্ধে গোপনে নারী সহপাঠীদের ছবি তুলে এক সিনিয়র ছাত্রের কাছে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে।

গতকাল মঙ্গলবার ওই ছাত্রীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে ডিনের সঙ্গে বৈঠক করেন অভিযোগকারীরা।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত ছাত্রী বাকৃবি থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। তিনি তাঁর নারী সহপাঠীদের ঘুমন্ত বা ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি গোপনে মোবাইল ফোনে তুলতেন। তাঁর কাছ থেকে যিনি ছবিগুলো গ্রহণ করতেন, তিনি ওই ছাত্রী যে বিভাগে পড়েন, সেই বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র এবং বর্তমানে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে লেকচারার হিসেবে কর্মরত।

ওই ছাত্রী অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছেন ডিন অধ্যাপক ড. মো. আবদুল মজিদ। তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা অভিযোগ নিয়ে আমার কাছে আসে। আমরা অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর মোবাইল ফোন পরীক্ষা করে ছবি আদান-প্রদানের প্রমাণ পাই। জিজ্ঞাসাবাদের সময় তিনি স্বীকার করেন যে তিনি মেয়েদের বিভিন্ন ছবি তুলতেন এবং তা এক সিনিয়র ভাইয়ের কাছে পাঠাতেন।’ তিনি আরও বলেন, বর্তমানে মোবাইলটি সিলগালা অবস্থায় ডিন অফিসে সংরক্ষিত রয়েছে। বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ ও নিরোধ কমিটির কাছে হস্তান্তর করা হবে।

অভিযুক্ত সিনিয়র শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমি মেয়েটির সঙ্গে দীর্ঘদিন কথা বলেছি। সে যেসব ছবি পাঠিয়েছে, আমি তা সংরক্ষণ করিনি। আমার কোনো খারাপ উদ্দেশ্য ছিল না; তবে আমি আমার কাজের জন্য অনুতপ্ত। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যা সিদ্ধান্ত নেবে, আমি তা মেনে নেব।’

অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর সহপাঠীদের ভাষ্য, ইন্টার্নশিপ চলাকালে ওই ছাত্রীর সন্দেহজনক আচরণ লক্ষ করে তাঁরা তাঁকে নজরদারিতে রাখেন। পরে নিশ্চিত হন যে ওই ছাত্রী মেয়েদের ঘুমন্ত বা অপ্রস্তুত অবস্থার ছবি তুলতেন। বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ার পর তাঁরা বিভাগীয় শিক্ষকদের অবহিত করেন এবং কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজশাহীতে কিশোরীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজশাহীতে মাসুদা পারভিন ওরফে ইভা (১৭) নামের এক কিশোরীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নগরের মতিহার থানার মৌলভী বুধপাড়া এলাকার একটি আমবাগান থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। তার স্বামী মো. দুর্জয়ের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।

মৃত ইভা নগরের মেহেরচণ্ডী এলাকার ইকবাল হোসেনের মেয়ে। তার স্বামী দুর্জয়ের বাড়ি রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার কানপাড়া গ্রামে। রাজশাহী নগরের দায়রাপাক এলাকায় এই দম্পতি ভাড়া থাকতেন। ইভা তিন দিন ধরে নিখোঁজ ছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে।

মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মালেক জানান, দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা আমবাগানে লাশটি দেখতে পান। ইভার মাথায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ওসি বলেন, ইভার স্বামী দুর্জয়ের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি পলাতক। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তাঁর সম্পৃক্ততা থাকতে পারে। বিষয়টির তদন্ত চলছে। এ নিয়ে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শিশুদের ঝগড়াকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষ, অর্ধশতাধিক আহত

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি   
উপজেলার মধ্যবাজার এলাকায় সংঘর্ষে জড়ায় দুই গ্রামের বাসিন্দারা। ছবি: আজকের পত্রিকা
উপজেলার মধ্যবাজার এলাকায় সংঘর্ষে জড়ায় দুই গ্রামের বাসিন্দারা। ছবি: আজকের পত্রিকা

হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলায় দুই শিশুর ঝগড়াকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত উপজেলার মধ্যবাজার এলাকায় এই সংঘর্ষ চলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বড়ইউড়ি ও বাহুবল গ্রামের দুই শিশুর মধ্যে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে ঝগড়াকে ঘিরে বিকেল থেকে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। সন্ধ্যার পর উভয় গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মধ্যবাজার এলাকায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হন। গুরুতর আহত কয়েকজনকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল, বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্য ব্যক্তিদের স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

খবর পেয়ে রাত ১০টার দিকে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ দল ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

বাহুবল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরে রাত ১০টার দিকে সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে পুলিশ প্রশাসন ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে সালিস বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত