মো. জহিরুল হক বাবু বুড়িচং (কুমিল্লা)

কুমিল্লার ময়নামতির পান চাষের সঠিক ইতিহাস জানা না গেলেও পানচাষি পরিবারগুলোর তথ্যমতে প্রায় ২০০ বছর ধরে এই অঞ্চলে পানের আবাদ হচ্ছে। এলাকার সূত্রে জানা যায়, একসময় ময়নামতির বিভিন্ন গ্রামের শত শত পরিবার পানের চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করত। সাম্প্রতিক সময়ে শ্রমিকের মজুরি ও উৎপাদনমূল্য বেড়ে যাওয়ায় দিনদিন কমে যাচ্ছে পানচাষির সংখ্যা। তবু বংশপরম্পরায় গ্রামগুলোতে পানের চাষ করে ঐতিহ্য ধরে রেখেছে প্রায় শতাধিক পরিবার।
কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি একটি ইউনিয়ন। দেশের অন্যতম প্রাচীন প্রত্নসম্পদে সমৃদ্ধ এই জনপদের হরিণধরা, বাগিলারা, বাজেবাহেরচর, মইনপুর গ্রামগুলো পাশাপাশি অবস্থিত। সুদীর্ঘকাল থেকে এই গ্রামগুলোতে শত শত সনাতন ধর্মাবলম্বীর বসবাস। এদের অন্যতম পেশা ছিল তাঁত ও পানের চাষ। অপেক্ষাকৃত উঁচু ভূমি হওয়ায় বছরজুড়েই এসব এলাকা ছিল বন্যামুক্ত। এই এলাকার মানুষ তাঁত চালানোর পাশাপাশি পানের চাষ করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে।
এ বিষয়ে সিন্দুরিয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ক্রীড়া সংগঠক জাহাঙ্গীর কবির বলেন, 'ময়নামতিতে তাঁত আর পানের চাষ বহু পরিবারের আয়ের অন্যতম উৎস ছিল। আগে এসব গ্রামে দূরদূরান্ত থেকে পাইকাররা পানের জন্য আসত।'
হরিণধরা গ্রামে গিয়ে কথা হয় শংকর দাস নামের এক পানচাষির সঙ্গে। তিনি বলেন, 'বাবার মুখে শুনেছি, ছয় পুরুষ ধরে বংশপরম্পরায় পানের চাষ চলছে। বর্তমানে আমিও পানের চাষ ধরে রেখেছি।'
পান চাষের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি আরও বলেন, 'উল্লেখিত তিন-চার গ্রামে স্বাধীনতা-পরবর্তী শত শত পানচাষি পরিবার ছিল। সাম্প্রতিক সময়ে পানের বরজ করতে বাঁশসহ অন্যান্য উপকরণ সার, কীটনাশক, শ্রমিকের বাজারমূল্য বেড়ে যাওয়া, অপেক্ষাকৃত কম দামে পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে পান আমদানি করা—এক কথায় উৎপাদন ব্যয়ের সঙ্গে বাজারমূল্যের সাদৃশ্য না থাকায় দিনদিন বহু পরিবার পান চাষে আগ্রহ হারিয়ে অন্য পেশায় ঝুঁকছে। আবার পানের চাষ অনেক অলাভজনক হওয়ায় কোনো কোনো পরিবারের লোকজন বিদেশে চলে যাচ্ছেন, কেউ-বা শহরে-বন্দরে চাকরি নিয়ে শহরবাসীও হয়ে গেছেন।'
এ বিষয়ে হরিণধরা গ্রামের বাবুল দত্ত, দীপক দাস, স্বপন দে, সুমন দত্ত, লিটন দেসহ আরও অনেক পানচাষি বলেন, 'এক বিঘা জমিতে পানের বরজ বানিয়ে পানগাছ রোপণসহ সার-কীটনাশকে খরচ হয় প্রায় ৩ লাখ টাকা। এর থেকে বর্ষাকালে প্রতিদিন ৮০টায় এক বিড়া হিসেবে ২৫-৩০ বিড়া পান সংগ্রহ করা যায়। জমি শুকিয়ে গেলে উৎপাদনও অনেকটা কমে আসে। সে সময় ১২-১৪ বিড়া পান সংগ্রহ করা হয়।'
চাষিদের সঙ্গে কথা বলে আরও জানা যায়, বর্ষার তুলনায় শীতে পানের মূল্য তিন গুণ বেশি থাকে। অপেক্ষাকৃত উঁচু জমি হওয়ায় শুষ্ক মৌসুমের ফাল্গুন, চৈত্র মাসে জমিতে সেচ দেওয়া হয়। জমি থেকে প্রতিদিনই পানপাতা তোলা হয়, যা চাষিদের ভাষায় ‘পান ভাঙা’ বলে। এখানকার উৎপাদিত পানপাতা প্রতিদিন ময়নামতির সেনানিবাস টিপরা বাজার, সাহেবের বাজার, দেবপুর, কংসনগর বাজারে বিক্রি করেন চাষিরা।
এ ছাড়া পার্শ্ববর্তী দেবীদ্বার উপজেলার জাফরগঞ্জে সাপ্তাহিক রোববার ও বুধবারের হাটের দিনে পান বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পাইকাররা এসব পান কিনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্রর জন্য নিয়ে যান।
এ বিষয়ে বাগিলারা গ্রামের প্রান্তোষ সাহা, হারাধন পাল, নৃপেন্দ্র দত্তসহ কয়েকজন পানচাষি বলেন, 'প্রতিদিনই পানের বরজ পরিচর্যা করতে হয়। এক বিঘা জমিতে প্রায় ৩ লাখ টাকা খরচ করে সেখান থেকে ৪-৫ লাখ টাকার পান বিক্রি করা যায়।'
পানচাষিরা আরও বলেন, 'বংশপরম্পরায় কয়েক শ বছরের এই পারিবারিক ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে তাঁদের ইচ্ছাশক্তিই প্রধান। এই এলাকায় পানচাষিদের উদ্বুদ্ধ করতে কখনো কৃষি বিভাগের লোকজনদের দেখা মেলেনি, পানগাছ রোগাক্রান্ত হলে চাষিরা ছুটে যান স্থানীয় কীটনাশকের দোকানে। সরকার সারা দেশের অন্যান্য চাষিদের সার, বীজসহ বিভিন্নভাবে প্রণোদনা দিলেও ময়নামতির পানচাষিরা সবকিছু থেকেই বঞ্চিত। এখানকার পানচাষিরা সাহায্য-সহযোগিতার অভাবে দিনদিন পান চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন।'
এ বিষয়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, 'ময়নামতি ইউনিয়নের চারটি গ্রামের প্রায় ২ হেক্টর জমিতে পানের আবাদ হচ্ছে। অন্য কৃষকদের পরামর্শসহ প্রণোদনার ব্যবস্থা থাকলেও পানচাষিদের বিষয়ে কোনো নির্দেশনা নেই।'
পান চাষে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতার বিষয়ে জানতে চাইলে বুড়িচং উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আফরিনা আক্তার বলেন, 'বুড়িচং উপজেলায় পানচাষিদের বিষয়ে কৃষি বিভাগের কাছে কোনো তথ্য নেই। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত পানচাষিদের কোনো পরামর্শ, প্রণোদনা বা সার, কীটনাশক প্রদান করা হয়নি। তবে বিষয়টি নিয়ে ভবিষ্যতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার আশ্বাস প্রদান করেন তিনি।'

কুমিল্লার ময়নামতির পান চাষের সঠিক ইতিহাস জানা না গেলেও পানচাষি পরিবারগুলোর তথ্যমতে প্রায় ২০০ বছর ধরে এই অঞ্চলে পানের আবাদ হচ্ছে। এলাকার সূত্রে জানা যায়, একসময় ময়নামতির বিভিন্ন গ্রামের শত শত পরিবার পানের চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করত। সাম্প্রতিক সময়ে শ্রমিকের মজুরি ও উৎপাদনমূল্য বেড়ে যাওয়ায় দিনদিন কমে যাচ্ছে পানচাষির সংখ্যা। তবু বংশপরম্পরায় গ্রামগুলোতে পানের চাষ করে ঐতিহ্য ধরে রেখেছে প্রায় শতাধিক পরিবার।
কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি একটি ইউনিয়ন। দেশের অন্যতম প্রাচীন প্রত্নসম্পদে সমৃদ্ধ এই জনপদের হরিণধরা, বাগিলারা, বাজেবাহেরচর, মইনপুর গ্রামগুলো পাশাপাশি অবস্থিত। সুদীর্ঘকাল থেকে এই গ্রামগুলোতে শত শত সনাতন ধর্মাবলম্বীর বসবাস। এদের অন্যতম পেশা ছিল তাঁত ও পানের চাষ। অপেক্ষাকৃত উঁচু ভূমি হওয়ায় বছরজুড়েই এসব এলাকা ছিল বন্যামুক্ত। এই এলাকার মানুষ তাঁত চালানোর পাশাপাশি পানের চাষ করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে।
এ বিষয়ে সিন্দুরিয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ক্রীড়া সংগঠক জাহাঙ্গীর কবির বলেন, 'ময়নামতিতে তাঁত আর পানের চাষ বহু পরিবারের আয়ের অন্যতম উৎস ছিল। আগে এসব গ্রামে দূরদূরান্ত থেকে পাইকাররা পানের জন্য আসত।'
হরিণধরা গ্রামে গিয়ে কথা হয় শংকর দাস নামের এক পানচাষির সঙ্গে। তিনি বলেন, 'বাবার মুখে শুনেছি, ছয় পুরুষ ধরে বংশপরম্পরায় পানের চাষ চলছে। বর্তমানে আমিও পানের চাষ ধরে রেখেছি।'
পান চাষের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি আরও বলেন, 'উল্লেখিত তিন-চার গ্রামে স্বাধীনতা-পরবর্তী শত শত পানচাষি পরিবার ছিল। সাম্প্রতিক সময়ে পানের বরজ করতে বাঁশসহ অন্যান্য উপকরণ সার, কীটনাশক, শ্রমিকের বাজারমূল্য বেড়ে যাওয়া, অপেক্ষাকৃত কম দামে পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে পান আমদানি করা—এক কথায় উৎপাদন ব্যয়ের সঙ্গে বাজারমূল্যের সাদৃশ্য না থাকায় দিনদিন বহু পরিবার পান চাষে আগ্রহ হারিয়ে অন্য পেশায় ঝুঁকছে। আবার পানের চাষ অনেক অলাভজনক হওয়ায় কোনো কোনো পরিবারের লোকজন বিদেশে চলে যাচ্ছেন, কেউ-বা শহরে-বন্দরে চাকরি নিয়ে শহরবাসীও হয়ে গেছেন।'
এ বিষয়ে হরিণধরা গ্রামের বাবুল দত্ত, দীপক দাস, স্বপন দে, সুমন দত্ত, লিটন দেসহ আরও অনেক পানচাষি বলেন, 'এক বিঘা জমিতে পানের বরজ বানিয়ে পানগাছ রোপণসহ সার-কীটনাশকে খরচ হয় প্রায় ৩ লাখ টাকা। এর থেকে বর্ষাকালে প্রতিদিন ৮০টায় এক বিড়া হিসেবে ২৫-৩০ বিড়া পান সংগ্রহ করা যায়। জমি শুকিয়ে গেলে উৎপাদনও অনেকটা কমে আসে। সে সময় ১২-১৪ বিড়া পান সংগ্রহ করা হয়।'
চাষিদের সঙ্গে কথা বলে আরও জানা যায়, বর্ষার তুলনায় শীতে পানের মূল্য তিন গুণ বেশি থাকে। অপেক্ষাকৃত উঁচু জমি হওয়ায় শুষ্ক মৌসুমের ফাল্গুন, চৈত্র মাসে জমিতে সেচ দেওয়া হয়। জমি থেকে প্রতিদিনই পানপাতা তোলা হয়, যা চাষিদের ভাষায় ‘পান ভাঙা’ বলে। এখানকার উৎপাদিত পানপাতা প্রতিদিন ময়নামতির সেনানিবাস টিপরা বাজার, সাহেবের বাজার, দেবপুর, কংসনগর বাজারে বিক্রি করেন চাষিরা।
এ ছাড়া পার্শ্ববর্তী দেবীদ্বার উপজেলার জাফরগঞ্জে সাপ্তাহিক রোববার ও বুধবারের হাটের দিনে পান বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পাইকাররা এসব পান কিনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্রর জন্য নিয়ে যান।
এ বিষয়ে বাগিলারা গ্রামের প্রান্তোষ সাহা, হারাধন পাল, নৃপেন্দ্র দত্তসহ কয়েকজন পানচাষি বলেন, 'প্রতিদিনই পানের বরজ পরিচর্যা করতে হয়। এক বিঘা জমিতে প্রায় ৩ লাখ টাকা খরচ করে সেখান থেকে ৪-৫ লাখ টাকার পান বিক্রি করা যায়।'
পানচাষিরা আরও বলেন, 'বংশপরম্পরায় কয়েক শ বছরের এই পারিবারিক ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে তাঁদের ইচ্ছাশক্তিই প্রধান। এই এলাকায় পানচাষিদের উদ্বুদ্ধ করতে কখনো কৃষি বিভাগের লোকজনদের দেখা মেলেনি, পানগাছ রোগাক্রান্ত হলে চাষিরা ছুটে যান স্থানীয় কীটনাশকের দোকানে। সরকার সারা দেশের অন্যান্য চাষিদের সার, বীজসহ বিভিন্নভাবে প্রণোদনা দিলেও ময়নামতির পানচাষিরা সবকিছু থেকেই বঞ্চিত। এখানকার পানচাষিরা সাহায্য-সহযোগিতার অভাবে দিনদিন পান চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন।'
এ বিষয়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, 'ময়নামতি ইউনিয়নের চারটি গ্রামের প্রায় ২ হেক্টর জমিতে পানের আবাদ হচ্ছে। অন্য কৃষকদের পরামর্শসহ প্রণোদনার ব্যবস্থা থাকলেও পানচাষিদের বিষয়ে কোনো নির্দেশনা নেই।'
পান চাষে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতার বিষয়ে জানতে চাইলে বুড়িচং উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আফরিনা আক্তার বলেন, 'বুড়িচং উপজেলায় পানচাষিদের বিষয়ে কৃষি বিভাগের কাছে কোনো তথ্য নেই। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত পানচাষিদের কোনো পরামর্শ, প্রণোদনা বা সার, কীটনাশক প্রদান করা হয়নি। তবে বিষয়টি নিয়ে ভবিষ্যতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার আশ্বাস প্রদান করেন তিনি।'
মো. জহিরুল হক বাবু বুড়িচং (কুমিল্লা)

কুমিল্লার ময়নামতির পান চাষের সঠিক ইতিহাস জানা না গেলেও পানচাষি পরিবারগুলোর তথ্যমতে প্রায় ২০০ বছর ধরে এই অঞ্চলে পানের আবাদ হচ্ছে। এলাকার সূত্রে জানা যায়, একসময় ময়নামতির বিভিন্ন গ্রামের শত শত পরিবার পানের চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করত। সাম্প্রতিক সময়ে শ্রমিকের মজুরি ও উৎপাদনমূল্য বেড়ে যাওয়ায় দিনদিন কমে যাচ্ছে পানচাষির সংখ্যা। তবু বংশপরম্পরায় গ্রামগুলোতে পানের চাষ করে ঐতিহ্য ধরে রেখেছে প্রায় শতাধিক পরিবার।
কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি একটি ইউনিয়ন। দেশের অন্যতম প্রাচীন প্রত্নসম্পদে সমৃদ্ধ এই জনপদের হরিণধরা, বাগিলারা, বাজেবাহেরচর, মইনপুর গ্রামগুলো পাশাপাশি অবস্থিত। সুদীর্ঘকাল থেকে এই গ্রামগুলোতে শত শত সনাতন ধর্মাবলম্বীর বসবাস। এদের অন্যতম পেশা ছিল তাঁত ও পানের চাষ। অপেক্ষাকৃত উঁচু ভূমি হওয়ায় বছরজুড়েই এসব এলাকা ছিল বন্যামুক্ত। এই এলাকার মানুষ তাঁত চালানোর পাশাপাশি পানের চাষ করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে।
এ বিষয়ে সিন্দুরিয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ক্রীড়া সংগঠক জাহাঙ্গীর কবির বলেন, 'ময়নামতিতে তাঁত আর পানের চাষ বহু পরিবারের আয়ের অন্যতম উৎস ছিল। আগে এসব গ্রামে দূরদূরান্ত থেকে পাইকাররা পানের জন্য আসত।'
হরিণধরা গ্রামে গিয়ে কথা হয় শংকর দাস নামের এক পানচাষির সঙ্গে। তিনি বলেন, 'বাবার মুখে শুনেছি, ছয় পুরুষ ধরে বংশপরম্পরায় পানের চাষ চলছে। বর্তমানে আমিও পানের চাষ ধরে রেখেছি।'
পান চাষের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি আরও বলেন, 'উল্লেখিত তিন-চার গ্রামে স্বাধীনতা-পরবর্তী শত শত পানচাষি পরিবার ছিল। সাম্প্রতিক সময়ে পানের বরজ করতে বাঁশসহ অন্যান্য উপকরণ সার, কীটনাশক, শ্রমিকের বাজারমূল্য বেড়ে যাওয়া, অপেক্ষাকৃত কম দামে পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে পান আমদানি করা—এক কথায় উৎপাদন ব্যয়ের সঙ্গে বাজারমূল্যের সাদৃশ্য না থাকায় দিনদিন বহু পরিবার পান চাষে আগ্রহ হারিয়ে অন্য পেশায় ঝুঁকছে। আবার পানের চাষ অনেক অলাভজনক হওয়ায় কোনো কোনো পরিবারের লোকজন বিদেশে চলে যাচ্ছেন, কেউ-বা শহরে-বন্দরে চাকরি নিয়ে শহরবাসীও হয়ে গেছেন।'
এ বিষয়ে হরিণধরা গ্রামের বাবুল দত্ত, দীপক দাস, স্বপন দে, সুমন দত্ত, লিটন দেসহ আরও অনেক পানচাষি বলেন, 'এক বিঘা জমিতে পানের বরজ বানিয়ে পানগাছ রোপণসহ সার-কীটনাশকে খরচ হয় প্রায় ৩ লাখ টাকা। এর থেকে বর্ষাকালে প্রতিদিন ৮০টায় এক বিড়া হিসেবে ২৫-৩০ বিড়া পান সংগ্রহ করা যায়। জমি শুকিয়ে গেলে উৎপাদনও অনেকটা কমে আসে। সে সময় ১২-১৪ বিড়া পান সংগ্রহ করা হয়।'
চাষিদের সঙ্গে কথা বলে আরও জানা যায়, বর্ষার তুলনায় শীতে পানের মূল্য তিন গুণ বেশি থাকে। অপেক্ষাকৃত উঁচু জমি হওয়ায় শুষ্ক মৌসুমের ফাল্গুন, চৈত্র মাসে জমিতে সেচ দেওয়া হয়। জমি থেকে প্রতিদিনই পানপাতা তোলা হয়, যা চাষিদের ভাষায় ‘পান ভাঙা’ বলে। এখানকার উৎপাদিত পানপাতা প্রতিদিন ময়নামতির সেনানিবাস টিপরা বাজার, সাহেবের বাজার, দেবপুর, কংসনগর বাজারে বিক্রি করেন চাষিরা।
এ ছাড়া পার্শ্ববর্তী দেবীদ্বার উপজেলার জাফরগঞ্জে সাপ্তাহিক রোববার ও বুধবারের হাটের দিনে পান বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পাইকাররা এসব পান কিনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্রর জন্য নিয়ে যান।
এ বিষয়ে বাগিলারা গ্রামের প্রান্তোষ সাহা, হারাধন পাল, নৃপেন্দ্র দত্তসহ কয়েকজন পানচাষি বলেন, 'প্রতিদিনই পানের বরজ পরিচর্যা করতে হয়। এক বিঘা জমিতে প্রায় ৩ লাখ টাকা খরচ করে সেখান থেকে ৪-৫ লাখ টাকার পান বিক্রি করা যায়।'
পানচাষিরা আরও বলেন, 'বংশপরম্পরায় কয়েক শ বছরের এই পারিবারিক ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে তাঁদের ইচ্ছাশক্তিই প্রধান। এই এলাকায় পানচাষিদের উদ্বুদ্ধ করতে কখনো কৃষি বিভাগের লোকজনদের দেখা মেলেনি, পানগাছ রোগাক্রান্ত হলে চাষিরা ছুটে যান স্থানীয় কীটনাশকের দোকানে। সরকার সারা দেশের অন্যান্য চাষিদের সার, বীজসহ বিভিন্নভাবে প্রণোদনা দিলেও ময়নামতির পানচাষিরা সবকিছু থেকেই বঞ্চিত। এখানকার পানচাষিরা সাহায্য-সহযোগিতার অভাবে দিনদিন পান চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন।'
এ বিষয়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, 'ময়নামতি ইউনিয়নের চারটি গ্রামের প্রায় ২ হেক্টর জমিতে পানের আবাদ হচ্ছে। অন্য কৃষকদের পরামর্শসহ প্রণোদনার ব্যবস্থা থাকলেও পানচাষিদের বিষয়ে কোনো নির্দেশনা নেই।'
পান চাষে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতার বিষয়ে জানতে চাইলে বুড়িচং উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আফরিনা আক্তার বলেন, 'বুড়িচং উপজেলায় পানচাষিদের বিষয়ে কৃষি বিভাগের কাছে কোনো তথ্য নেই। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত পানচাষিদের কোনো পরামর্শ, প্রণোদনা বা সার, কীটনাশক প্রদান করা হয়নি। তবে বিষয়টি নিয়ে ভবিষ্যতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার আশ্বাস প্রদান করেন তিনি।'

কুমিল্লার ময়নামতির পান চাষের সঠিক ইতিহাস জানা না গেলেও পানচাষি পরিবারগুলোর তথ্যমতে প্রায় ২০০ বছর ধরে এই অঞ্চলে পানের আবাদ হচ্ছে। এলাকার সূত্রে জানা যায়, একসময় ময়নামতির বিভিন্ন গ্রামের শত শত পরিবার পানের চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করত। সাম্প্রতিক সময়ে শ্রমিকের মজুরি ও উৎপাদনমূল্য বেড়ে যাওয়ায় দিনদিন কমে যাচ্ছে পানচাষির সংখ্যা। তবু বংশপরম্পরায় গ্রামগুলোতে পানের চাষ করে ঐতিহ্য ধরে রেখেছে প্রায় শতাধিক পরিবার।
কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি একটি ইউনিয়ন। দেশের অন্যতম প্রাচীন প্রত্নসম্পদে সমৃদ্ধ এই জনপদের হরিণধরা, বাগিলারা, বাজেবাহেরচর, মইনপুর গ্রামগুলো পাশাপাশি অবস্থিত। সুদীর্ঘকাল থেকে এই গ্রামগুলোতে শত শত সনাতন ধর্মাবলম্বীর বসবাস। এদের অন্যতম পেশা ছিল তাঁত ও পানের চাষ। অপেক্ষাকৃত উঁচু ভূমি হওয়ায় বছরজুড়েই এসব এলাকা ছিল বন্যামুক্ত। এই এলাকার মানুষ তাঁত চালানোর পাশাপাশি পানের চাষ করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে।
এ বিষয়ে সিন্দুরিয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ক্রীড়া সংগঠক জাহাঙ্গীর কবির বলেন, 'ময়নামতিতে তাঁত আর পানের চাষ বহু পরিবারের আয়ের অন্যতম উৎস ছিল। আগে এসব গ্রামে দূরদূরান্ত থেকে পাইকাররা পানের জন্য আসত।'
হরিণধরা গ্রামে গিয়ে কথা হয় শংকর দাস নামের এক পানচাষির সঙ্গে। তিনি বলেন, 'বাবার মুখে শুনেছি, ছয় পুরুষ ধরে বংশপরম্পরায় পানের চাষ চলছে। বর্তমানে আমিও পানের চাষ ধরে রেখেছি।'
পান চাষের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি আরও বলেন, 'উল্লেখিত তিন-চার গ্রামে স্বাধীনতা-পরবর্তী শত শত পানচাষি পরিবার ছিল। সাম্প্রতিক সময়ে পানের বরজ করতে বাঁশসহ অন্যান্য উপকরণ সার, কীটনাশক, শ্রমিকের বাজারমূল্য বেড়ে যাওয়া, অপেক্ষাকৃত কম দামে পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে পান আমদানি করা—এক কথায় উৎপাদন ব্যয়ের সঙ্গে বাজারমূল্যের সাদৃশ্য না থাকায় দিনদিন বহু পরিবার পান চাষে আগ্রহ হারিয়ে অন্য পেশায় ঝুঁকছে। আবার পানের চাষ অনেক অলাভজনক হওয়ায় কোনো কোনো পরিবারের লোকজন বিদেশে চলে যাচ্ছেন, কেউ-বা শহরে-বন্দরে চাকরি নিয়ে শহরবাসীও হয়ে গেছেন।'
এ বিষয়ে হরিণধরা গ্রামের বাবুল দত্ত, দীপক দাস, স্বপন দে, সুমন দত্ত, লিটন দেসহ আরও অনেক পানচাষি বলেন, 'এক বিঘা জমিতে পানের বরজ বানিয়ে পানগাছ রোপণসহ সার-কীটনাশকে খরচ হয় প্রায় ৩ লাখ টাকা। এর থেকে বর্ষাকালে প্রতিদিন ৮০টায় এক বিড়া হিসেবে ২৫-৩০ বিড়া পান সংগ্রহ করা যায়। জমি শুকিয়ে গেলে উৎপাদনও অনেকটা কমে আসে। সে সময় ১২-১৪ বিড়া পান সংগ্রহ করা হয়।'
চাষিদের সঙ্গে কথা বলে আরও জানা যায়, বর্ষার তুলনায় শীতে পানের মূল্য তিন গুণ বেশি থাকে। অপেক্ষাকৃত উঁচু জমি হওয়ায় শুষ্ক মৌসুমের ফাল্গুন, চৈত্র মাসে জমিতে সেচ দেওয়া হয়। জমি থেকে প্রতিদিনই পানপাতা তোলা হয়, যা চাষিদের ভাষায় ‘পান ভাঙা’ বলে। এখানকার উৎপাদিত পানপাতা প্রতিদিন ময়নামতির সেনানিবাস টিপরা বাজার, সাহেবের বাজার, দেবপুর, কংসনগর বাজারে বিক্রি করেন চাষিরা।
এ ছাড়া পার্শ্ববর্তী দেবীদ্বার উপজেলার জাফরগঞ্জে সাপ্তাহিক রোববার ও বুধবারের হাটের দিনে পান বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পাইকাররা এসব পান কিনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্রর জন্য নিয়ে যান।
এ বিষয়ে বাগিলারা গ্রামের প্রান্তোষ সাহা, হারাধন পাল, নৃপেন্দ্র দত্তসহ কয়েকজন পানচাষি বলেন, 'প্রতিদিনই পানের বরজ পরিচর্যা করতে হয়। এক বিঘা জমিতে প্রায় ৩ লাখ টাকা খরচ করে সেখান থেকে ৪-৫ লাখ টাকার পান বিক্রি করা যায়।'
পানচাষিরা আরও বলেন, 'বংশপরম্পরায় কয়েক শ বছরের এই পারিবারিক ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে তাঁদের ইচ্ছাশক্তিই প্রধান। এই এলাকায় পানচাষিদের উদ্বুদ্ধ করতে কখনো কৃষি বিভাগের লোকজনদের দেখা মেলেনি, পানগাছ রোগাক্রান্ত হলে চাষিরা ছুটে যান স্থানীয় কীটনাশকের দোকানে। সরকার সারা দেশের অন্যান্য চাষিদের সার, বীজসহ বিভিন্নভাবে প্রণোদনা দিলেও ময়নামতির পানচাষিরা সবকিছু থেকেই বঞ্চিত। এখানকার পানচাষিরা সাহায্য-সহযোগিতার অভাবে দিনদিন পান চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন।'
এ বিষয়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, 'ময়নামতি ইউনিয়নের চারটি গ্রামের প্রায় ২ হেক্টর জমিতে পানের আবাদ হচ্ছে। অন্য কৃষকদের পরামর্শসহ প্রণোদনার ব্যবস্থা থাকলেও পানচাষিদের বিষয়ে কোনো নির্দেশনা নেই।'
পান চাষে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতার বিষয়ে জানতে চাইলে বুড়িচং উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আফরিনা আক্তার বলেন, 'বুড়িচং উপজেলায় পানচাষিদের বিষয়ে কৃষি বিভাগের কাছে কোনো তথ্য নেই। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত পানচাষিদের কোনো পরামর্শ, প্রণোদনা বা সার, কীটনাশক প্রদান করা হয়নি। তবে বিষয়টি নিয়ে ভবিষ্যতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার আশ্বাস প্রদান করেন তিনি।'

যশোরের চৌগাছা উপজেলায় মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই কিশোর-তরুণ নিহত হয়েছে। মোটরসাইকেলটি প্রথমে একটি মোটরসাইকেলে, পরে একটি বালুভর্তি ট্রলিতে ধাক্কা দেয়। এ সময় ছিটকে পড়ে দুজনেই প্রাণ হারায়। আজ শুক্রবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে চৌগাছা-ঝিকরগাছা সড়কের ভাদড়া যাত্রীছাউনির কাছে এ ঘটনা ঘটে।
৬ মিনিট আগে
টাঙ্গাইলের সখীপুরে নিজ ঘরের সামনে মেহেদি হাসান (২০) নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার উপজেলার রতনপুর খন্দকারপাড়া এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। পরিবারের দাবি, প্রেমসংক্রান্ত কারণে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন মেহেদি।
৭ মিনিট আগে
‘মোবাইলে মালয়েশিয়ার এক ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক হয়, তাই বিয়ের জন্য আমরা সেখানে যাচ্ছিলাম।’ এমন কথা জানান টেকনাফের পাহাড়ি এলাকা থেকে উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গা তরুণী। গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে আজ শুক্রবার সকাল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে কক্সবাজারের টেকনাফ উপকূলের পাহাড়ি এলাকা থেকে রোহিঙ্গা নারী...
৯ মিনিট আগে
গোপালগঞ্জে ট্রেনে কাটা পড়ে সাকিল আহম্মেদ ফয়সাল (১৯) নামের এক কলেজছাত্র মারা গেছেন। আজ শুক্রবার সকালে চরপাথালিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সাকিল উপজেলার বোড়াশী ইউনিয়নের ভেন্নাবাড়ি পশ্চিমপাড়া গ্রামের প্রবাসী কামাল শেখের ছেলে। এ বছর গোপালগঞ্জ সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেছেন তিনি।
৩৮ মিনিট আগেচৌগাছা প্রতিনিধি

যশোরের চৌগাছা উপজেলায় মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই কিশোর-তরুণ নিহত হয়েছে। মোটরসাইকেলটি প্রথমে একটি মোটরসাইকেলে, পরে একটি বালুভর্তি ট্রলিতে ধাক্কা দেয়। এ সময় ছিটকে পড়ে দুজনেই প্রাণ হারায়।
আজ শুক্রবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে চৌগাছা-ঝিকরগাছা সড়কের ভাদড়া যাত্রীছাউনির কাছে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মোটরসাইকেল আরোহীরা হলো আশরাফুল ইসলাম (২১) ও ইমন হোসেন (১৬)। আশরাফুল উপজেলার পাশাপোল ইউনিয়নের কালিয়াকুন্ডি গ্রামের তরিকুল ইসলামের ছেলে এবং ইমন একই গ্রামের ইন্তাজ আলীর ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হেলমেট ছাড়াই বেপরোয়াভাবে মোটরসাইকেল চালাচ্ছিল এক তরুণ। তাঁর পেছনে এক কিশোর বসা ছিল। মোটরসাইকেলটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রথমে একটি মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেয়। পরে সেখানে থাকা বালুভর্তি ট্রলিতে ধাক্কায় দিয়ে দুজনেই ছিটকে পড়ে মারা যায়। খবর পেয়ে দশপাকিয়া ফাঁড়ির পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিসের চৌগাছা সাবস্টেশনের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে নিহত দুজনের লাশ উদ্ধার করে।
চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

যশোরের চৌগাছা উপজেলায় মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই কিশোর-তরুণ নিহত হয়েছে। মোটরসাইকেলটি প্রথমে একটি মোটরসাইকেলে, পরে একটি বালুভর্তি ট্রলিতে ধাক্কা দেয়। এ সময় ছিটকে পড়ে দুজনেই প্রাণ হারায়।
আজ শুক্রবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে চৌগাছা-ঝিকরগাছা সড়কের ভাদড়া যাত্রীছাউনির কাছে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মোটরসাইকেল আরোহীরা হলো আশরাফুল ইসলাম (২১) ও ইমন হোসেন (১৬)। আশরাফুল উপজেলার পাশাপোল ইউনিয়নের কালিয়াকুন্ডি গ্রামের তরিকুল ইসলামের ছেলে এবং ইমন একই গ্রামের ইন্তাজ আলীর ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হেলমেট ছাড়াই বেপরোয়াভাবে মোটরসাইকেল চালাচ্ছিল এক তরুণ। তাঁর পেছনে এক কিশোর বসা ছিল। মোটরসাইকেলটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রথমে একটি মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেয়। পরে সেখানে থাকা বালুভর্তি ট্রলিতে ধাক্কায় দিয়ে দুজনেই ছিটকে পড়ে মারা যায়। খবর পেয়ে দশপাকিয়া ফাঁড়ির পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিসের চৌগাছা সাবস্টেশনের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে নিহত দুজনের লাশ উদ্ধার করে।
চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

কুমিল্লার ময়নামতির পান চাষের সঠিক ইতিহাস জানা না গেলেও পানচাষি পরিবারগুলোর তথ্য মতে প্রায় দু’শত বছর ধরে এই অঞ্চলে পানের আবাদ হচ্ছে। এলাকার সূত্রে জানা যায়, এক সময় ময়নামতির বিভিন্ন গ্রামের শত শত পরিবার পান চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করত।
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১
টাঙ্গাইলের সখীপুরে নিজ ঘরের সামনে মেহেদি হাসান (২০) নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার উপজেলার রতনপুর খন্দকারপাড়া এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। পরিবারের দাবি, প্রেমসংক্রান্ত কারণে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন মেহেদি।
৭ মিনিট আগে
‘মোবাইলে মালয়েশিয়ার এক ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক হয়, তাই বিয়ের জন্য আমরা সেখানে যাচ্ছিলাম।’ এমন কথা জানান টেকনাফের পাহাড়ি এলাকা থেকে উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গা তরুণী। গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে আজ শুক্রবার সকাল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে কক্সবাজারের টেকনাফ উপকূলের পাহাড়ি এলাকা থেকে রোহিঙ্গা নারী...
৯ মিনিট আগে
গোপালগঞ্জে ট্রেনে কাটা পড়ে সাকিল আহম্মেদ ফয়সাল (১৯) নামের এক কলেজছাত্র মারা গেছেন। আজ শুক্রবার সকালে চরপাথালিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সাকিল উপজেলার বোড়াশী ইউনিয়নের ভেন্নাবাড়ি পশ্চিমপাড়া গ্রামের প্রবাসী কামাল শেখের ছেলে। এ বছর গোপালগঞ্জ সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেছেন তিনি।
৩৮ মিনিট আগেসখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

টাঙ্গাইলের সখীপুরে নিজ ঘরের সামনে মেহেদি হাসান (২০) নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার উপজেলার রতনপুর খন্দকারপাড়া এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। পরিবারের দাবি, প্রেমসংক্রান্ত কারণে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন মেহেদি।
মেদেহি রতনপুর খন্দকারপাড়া এলাকার আব্দুল বারেকের ছেলে।
পুলিশ ও মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, এক তরুণীর সঙ্গে মেহেদির প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মাসখানেক আগে দুজন বাড়ি থেকে পালিয়েও গিয়েছিলেন। পরে তাঁরা ফিরে এলে সালিসি বৈঠকের মাধ্যমে দুজনের বিচ্ছেদ করিয়ে দেওয়া হয়। এ নিয়ে তরুণীর পরিবার মেহেদির ওপর ক্ষুব্ধ ছিল। তিন দিন আগে ওই তরুণীর বাবা ও ভাই লাঠিসোঁটা নিয়ে বাড়িতে এসে মেহেদিকে হুমকি দিয়ে যান। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে নিজের থাকার ঘরের সামনে মেহেদির উপুড় হয়ে পড়ে থাকা লাশ দেখতে পান স্বজনেরা।
মেহেদির বাবা আব্দুল বারেক বলেন, ‘ছেলের প্রেমের বিষয়টি সামাজিকভাবে মীমাংসা করা হয়েছিল। এরপরও ওই তরুণীর বাবা বারবার হুমকি দিচ্ছিল। ওরাই আমার ছেলেটাকে গলা টিপে হত্যা করে ঘরের সামনে ফেলে রেখে গেছে। আমরা এর তদন্ত সাপেক্ষে বিচার চাই। লাশ দাফনের পর এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম ভূঞা আজকের পত্রিকাকে বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পেলে কীভাবে মৃত্যু হয়েছে, তা স্পষ্ট হয়ে যাবে। নিহত যুবকের পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ অভিযোগ দিলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

টাঙ্গাইলের সখীপুরে নিজ ঘরের সামনে মেহেদি হাসান (২০) নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার উপজেলার রতনপুর খন্দকারপাড়া এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। পরিবারের দাবি, প্রেমসংক্রান্ত কারণে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন মেহেদি।
মেদেহি রতনপুর খন্দকারপাড়া এলাকার আব্দুল বারেকের ছেলে।
পুলিশ ও মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, এক তরুণীর সঙ্গে মেহেদির প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মাসখানেক আগে দুজন বাড়ি থেকে পালিয়েও গিয়েছিলেন। পরে তাঁরা ফিরে এলে সালিসি বৈঠকের মাধ্যমে দুজনের বিচ্ছেদ করিয়ে দেওয়া হয়। এ নিয়ে তরুণীর পরিবার মেহেদির ওপর ক্ষুব্ধ ছিল। তিন দিন আগে ওই তরুণীর বাবা ও ভাই লাঠিসোঁটা নিয়ে বাড়িতে এসে মেহেদিকে হুমকি দিয়ে যান। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে নিজের থাকার ঘরের সামনে মেহেদির উপুড় হয়ে পড়ে থাকা লাশ দেখতে পান স্বজনেরা।
মেহেদির বাবা আব্দুল বারেক বলেন, ‘ছেলের প্রেমের বিষয়টি সামাজিকভাবে মীমাংসা করা হয়েছিল। এরপরও ওই তরুণীর বাবা বারবার হুমকি দিচ্ছিল। ওরাই আমার ছেলেটাকে গলা টিপে হত্যা করে ঘরের সামনে ফেলে রেখে গেছে। আমরা এর তদন্ত সাপেক্ষে বিচার চাই। লাশ দাফনের পর এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম ভূঞা আজকের পত্রিকাকে বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পেলে কীভাবে মৃত্যু হয়েছে, তা স্পষ্ট হয়ে যাবে। নিহত যুবকের পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ অভিযোগ দিলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কুমিল্লার ময়নামতির পান চাষের সঠিক ইতিহাস জানা না গেলেও পানচাষি পরিবারগুলোর তথ্য মতে প্রায় দু’শত বছর ধরে এই অঞ্চলে পানের আবাদ হচ্ছে। এলাকার সূত্রে জানা যায়, এক সময় ময়নামতির বিভিন্ন গ্রামের শত শত পরিবার পান চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করত।
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১
যশোরের চৌগাছা উপজেলায় মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই কিশোর-তরুণ নিহত হয়েছে। মোটরসাইকেলটি প্রথমে একটি মোটরসাইকেলে, পরে একটি বালুভর্তি ট্রলিতে ধাক্কা দেয়। এ সময় ছিটকে পড়ে দুজনেই প্রাণ হারায়। আজ শুক্রবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে চৌগাছা-ঝিকরগাছা সড়কের ভাদড়া যাত্রীছাউনির কাছে এ ঘটনা ঘটে।
৬ মিনিট আগে
‘মোবাইলে মালয়েশিয়ার এক ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক হয়, তাই বিয়ের জন্য আমরা সেখানে যাচ্ছিলাম।’ এমন কথা জানান টেকনাফের পাহাড়ি এলাকা থেকে উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গা তরুণী। গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে আজ শুক্রবার সকাল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে কক্সবাজারের টেকনাফ উপকূলের পাহাড়ি এলাকা থেকে রোহিঙ্গা নারী...
৯ মিনিট আগে
গোপালগঞ্জে ট্রেনে কাটা পড়ে সাকিল আহম্মেদ ফয়সাল (১৯) নামের এক কলেজছাত্র মারা গেছেন। আজ শুক্রবার সকালে চরপাথালিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সাকিল উপজেলার বোড়াশী ইউনিয়নের ভেন্নাবাড়ি পশ্চিমপাড়া গ্রামের প্রবাসী কামাল শেখের ছেলে। এ বছর গোপালগঞ্জ সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেছেন তিনি।
৩৮ মিনিট আগেটেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

‘মোবাইলে মালয়েশিয়ার এক ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক হয়, তাই বিয়ের জন্য আমরা সেখানে যাচ্ছিলাম।’ এমন কথা জানান টেকনাফের পাহাড়ি এলাকা থেকে উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গা তরুণী।
গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে আজ শুক্রবার সকাল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে কক্সবাজারের টেকনাফ উপকূলের পাহাড়ি এলাকা থেকে রোহিঙ্গা নারী, পুরুষ, শিশুসহ ৪৪ জনকে উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড। এর মধ্যে ২২ জন নারী অবিবাহিত। ওইসব নারী জানান, তাঁরা বিয়ের উদ্দেশ্যে সাগরপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হন।
আজ বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে টেকনাফ কোস্ট গার্ড স্টেশন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সালাউদ্দিন রশিদ তানভীর এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, সাগরপথে মালয়েশিয়া পাচারের উদ্দেশ্যে বিপুলসংখ্যক নারী ও শিশুকে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের পিনিস ভাঙা পাহাড়ি এলাকায় জড়ো করে রাখা হয়েছে।
গতকাল রাত থেকে আজ সকাল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ৪৪ জনকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ২৭ জন নারী, ১২টি শিশু, দুজন রোহিঙ্গা পুরুষ ও তিনজন স্থানীয় বাংলাদেশি নাগরিক ছিলেন। এর মধ্যে ২২ জন নারী অবিবাহিত।
জানতে চাইলে আসমিদা (১৭) নামের এক রোহিঙ্গা তরুণী বলেন, ‘আমার শুধু মা আছে, বাবা নেই। মালয়েশিয়ায় আমাদের আত্মীয়স্বজন আছে। তাদের মাধ্যমে মোবাইলে এক ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক হয়, তাই বিয়ের জন্য আমরা সেখানে যাচ্ছিলাম।’
কোস্ট গার্ড সূত্র জানায়, সংঘবদ্ধ মানব পাচার চক্র বিদেশে উচ্চ বেতনের চাকরি, উন্নত জীবনের প্রলোভন ও বিনা খরচে বিদেশ পাঠানোর আশ্বাস দিয়ে বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা নাগরিকদের পাহাড়ে এনে জিম্মি করে রাখে। পরে তাদের নির্যাতনের মাধ্যমে মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টা করে এবং সুযোগ বুঝে নৌপথে মালয়েশিয়া পাঠানোর পরিকল্পনা ছিল পাচারকারীদের।
অভিযান টের পেয়ে পাচারকারীরা পালিয়ে যায়। ফলে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। পাচারকারীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে কোস্ট গার্ডের গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রয়েছে।

‘মোবাইলে মালয়েশিয়ার এক ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক হয়, তাই বিয়ের জন্য আমরা সেখানে যাচ্ছিলাম।’ এমন কথা জানান টেকনাফের পাহাড়ি এলাকা থেকে উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গা তরুণী।
গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে আজ শুক্রবার সকাল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে কক্সবাজারের টেকনাফ উপকূলের পাহাড়ি এলাকা থেকে রোহিঙ্গা নারী, পুরুষ, শিশুসহ ৪৪ জনকে উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড। এর মধ্যে ২২ জন নারী অবিবাহিত। ওইসব নারী জানান, তাঁরা বিয়ের উদ্দেশ্যে সাগরপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হন।
আজ বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে টেকনাফ কোস্ট গার্ড স্টেশন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সালাউদ্দিন রশিদ তানভীর এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, সাগরপথে মালয়েশিয়া পাচারের উদ্দেশ্যে বিপুলসংখ্যক নারী ও শিশুকে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের পিনিস ভাঙা পাহাড়ি এলাকায় জড়ো করে রাখা হয়েছে।
গতকাল রাত থেকে আজ সকাল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ৪৪ জনকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ২৭ জন নারী, ১২টি শিশু, দুজন রোহিঙ্গা পুরুষ ও তিনজন স্থানীয় বাংলাদেশি নাগরিক ছিলেন। এর মধ্যে ২২ জন নারী অবিবাহিত।
জানতে চাইলে আসমিদা (১৭) নামের এক রোহিঙ্গা তরুণী বলেন, ‘আমার শুধু মা আছে, বাবা নেই। মালয়েশিয়ায় আমাদের আত্মীয়স্বজন আছে। তাদের মাধ্যমে মোবাইলে এক ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক হয়, তাই বিয়ের জন্য আমরা সেখানে যাচ্ছিলাম।’
কোস্ট গার্ড সূত্র জানায়, সংঘবদ্ধ মানব পাচার চক্র বিদেশে উচ্চ বেতনের চাকরি, উন্নত জীবনের প্রলোভন ও বিনা খরচে বিদেশ পাঠানোর আশ্বাস দিয়ে বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা নাগরিকদের পাহাড়ে এনে জিম্মি করে রাখে। পরে তাদের নির্যাতনের মাধ্যমে মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টা করে এবং সুযোগ বুঝে নৌপথে মালয়েশিয়া পাঠানোর পরিকল্পনা ছিল পাচারকারীদের।
অভিযান টের পেয়ে পাচারকারীরা পালিয়ে যায়। ফলে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। পাচারকারীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে কোস্ট গার্ডের গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রয়েছে।

কুমিল্লার ময়নামতির পান চাষের সঠিক ইতিহাস জানা না গেলেও পানচাষি পরিবারগুলোর তথ্য মতে প্রায় দু’শত বছর ধরে এই অঞ্চলে পানের আবাদ হচ্ছে। এলাকার সূত্রে জানা যায়, এক সময় ময়নামতির বিভিন্ন গ্রামের শত শত পরিবার পান চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করত।
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১
যশোরের চৌগাছা উপজেলায় মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই কিশোর-তরুণ নিহত হয়েছে। মোটরসাইকেলটি প্রথমে একটি মোটরসাইকেলে, পরে একটি বালুভর্তি ট্রলিতে ধাক্কা দেয়। এ সময় ছিটকে পড়ে দুজনেই প্রাণ হারায়। আজ শুক্রবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে চৌগাছা-ঝিকরগাছা সড়কের ভাদড়া যাত্রীছাউনির কাছে এ ঘটনা ঘটে।
৬ মিনিট আগে
টাঙ্গাইলের সখীপুরে নিজ ঘরের সামনে মেহেদি হাসান (২০) নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার উপজেলার রতনপুর খন্দকারপাড়া এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। পরিবারের দাবি, প্রেমসংক্রান্ত কারণে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন মেহেদি।
৭ মিনিট আগে
গোপালগঞ্জে ট্রেনে কাটা পড়ে সাকিল আহম্মেদ ফয়সাল (১৯) নামের এক কলেজছাত্র মারা গেছেন। আজ শুক্রবার সকালে চরপাথালিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সাকিল উপজেলার বোড়াশী ইউনিয়নের ভেন্নাবাড়ি পশ্চিমপাড়া গ্রামের প্রবাসী কামাল শেখের ছেলে। এ বছর গোপালগঞ্জ সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেছেন তিনি।
৩৮ মিনিট আগেগোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

গোপালগঞ্জে ট্রেনে কাটা পড়ে সাকিল আহম্মেদ ফয়সাল (১৯) নামের এক কলেজছাত্র মারা গেছেন। আজ শুক্রবার সকালে চরপাথালিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সাকিল উপজেলার বোড়াশী ইউনিয়নের ভেন্নাবাড়ি পশ্চিমপাড়া গ্রামের প্রবাসী কামাল শেখের ছেলে। এ বছর গোপালগঞ্জ সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেছেন তিনি।
মৃতের ভাই রাসেদ জানান, প্রতিদিন সকালে নামাজের পর সাকিল হাঁটাহাঁটি করে। আজ রেললাইন ধরে হাঁটার সময় দুর্ঘটনার শিকার হয় সে।
বোড়াশী রেলস্ট্রেশন ম্যানেজার রত্না বৈদ্য জানান, সদর উপজেলার গোবরা থেকে রাজশাহীগামী টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়ে ওই ছাত্র নিহত হয়।
রেল পুলিশ পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করেছে।

গোপালগঞ্জে ট্রেনে কাটা পড়ে সাকিল আহম্মেদ ফয়সাল (১৯) নামের এক কলেজছাত্র মারা গেছেন। আজ শুক্রবার সকালে চরপাথালিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সাকিল উপজেলার বোড়াশী ইউনিয়নের ভেন্নাবাড়ি পশ্চিমপাড়া গ্রামের প্রবাসী কামাল শেখের ছেলে। এ বছর গোপালগঞ্জ সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেছেন তিনি।
মৃতের ভাই রাসেদ জানান, প্রতিদিন সকালে নামাজের পর সাকিল হাঁটাহাঁটি করে। আজ রেললাইন ধরে হাঁটার সময় দুর্ঘটনার শিকার হয় সে।
বোড়াশী রেলস্ট্রেশন ম্যানেজার রত্না বৈদ্য জানান, সদর উপজেলার গোবরা থেকে রাজশাহীগামী টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়ে ওই ছাত্র নিহত হয়।
রেল পুলিশ পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করেছে।

কুমিল্লার ময়নামতির পান চাষের সঠিক ইতিহাস জানা না গেলেও পানচাষি পরিবারগুলোর তথ্য মতে প্রায় দু’শত বছর ধরে এই অঞ্চলে পানের আবাদ হচ্ছে। এলাকার সূত্রে জানা যায়, এক সময় ময়নামতির বিভিন্ন গ্রামের শত শত পরিবার পান চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করত।
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১
যশোরের চৌগাছা উপজেলায় মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই কিশোর-তরুণ নিহত হয়েছে। মোটরসাইকেলটি প্রথমে একটি মোটরসাইকেলে, পরে একটি বালুভর্তি ট্রলিতে ধাক্কা দেয়। এ সময় ছিটকে পড়ে দুজনেই প্রাণ হারায়। আজ শুক্রবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে চৌগাছা-ঝিকরগাছা সড়কের ভাদড়া যাত্রীছাউনির কাছে এ ঘটনা ঘটে।
৬ মিনিট আগে
টাঙ্গাইলের সখীপুরে নিজ ঘরের সামনে মেহেদি হাসান (২০) নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার উপজেলার রতনপুর খন্দকারপাড়া এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। পরিবারের দাবি, প্রেমসংক্রান্ত কারণে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন মেহেদি।
৭ মিনিট আগে
‘মোবাইলে মালয়েশিয়ার এক ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক হয়, তাই বিয়ের জন্য আমরা সেখানে যাচ্ছিলাম।’ এমন কথা জানান টেকনাফের পাহাড়ি এলাকা থেকে উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গা তরুণী। গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে আজ শুক্রবার সকাল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে কক্সবাজারের টেকনাফ উপকূলের পাহাড়ি এলাকা থেকে রোহিঙ্গা নারী...
৯ মিনিট আগে