কুমেক হাসপাতাল
দেলোয়ার হোসাইন আকাইদ, কুমিল্লা

রোগী ভর্তি, তাঁর জন্য শয্যার ব্যবস্থা, রোগীর প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষা, শয্যা পেলে মেঝে থাকার ব্যবস্থা—সবকিছুই হয়ে থাকে দালালকে টাকা দেওয়ার বিনিময়ে। হাসপাতালে নিয়মিত ঘটে চুরির ঘটনাও। এসব নিয়ে কথা বলতে গেলে হাসপাতালের নার্সরাও হয়রানির শিকার হন। বছরের পর বছর এ জিম্মিদশা চলছে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (কুমেক)। হাসপাতালের একাধিক সূত্র বলছে, এই দালালেরা স্থানীয় প্রভাবশালী রাজনীতিবিদদের সঙ্গে যোগসাজশে এসব করেন। ফলে অনেকটাই ‘আইনের ঊর্ধ্বে’ তাঁরা।
কুমেকের জীর্ণ চিত্রটি ধরা পড়ে প্রধান ফটকেই। হাসপাতালের প্রবেশপথে অবৈধ দখলের কারণে যানজট লেগেই থাকে। এই ফটক দিয়ে প্রবেশ করতেই চোখে পড়বে হকার। তাঁরা দোকান দিয়ে বসে রয়েছেন দুই পাশে। এসব পেরিয়ে গেলে হাসপাতালের জরুরি বিভাগ। কোনো রকম রোগীকে খাতায় তালিকাভুক্ত করে ভর্তি নিলেই দায়িত্ব শেষ এ বিভাগের। এরপর রোগীর সব দায়িত্ব যেন উপস্থিত দালালদের। দালালেরাই রোগীকে শয্যায় নিয়ে যাওয়া, সিট পাইয়ে দেওয়া, পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানো, ডাক্তার দেখানো ও রোগীর আর্থিক অবস্থা বুঝে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া—সব দায়িত্ব যেন দালালদের।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই বিভাগের দায়িত্বরত এক স্টাফ নার্স বলেন, ‘দালালেরা স্থানীয় ও বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতার আশীর্বাদপুষ্ট। আমরা অসহায়। এর প্রতিবাদ করতে গিয়ে তাঁদের হাতে মারধরের শিকার হতে হয়েছে আমাদের অনেক স্টাফকে।’
হাসপাতালে যা ঘটে
কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার দারোরা এলাকা থেকে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে গত রোববার দুপুরে কুমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি হতে আসেন আব্দুর রশিদ (৫৫)। জরুরি বিভাগের সামনে সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে আসামাত্র এক দালাল রোগীর অবস্থা ভালো নয় বলে তাঁকে অটোরিকশা থেকে নামতে বারণ করেন। পরে রোগীর কাগজপত্র নিয়ে ভর্তির টিকিট কেটে রোগীকে নিয়ে যেতে দেখা গেল সংশ্লিষ্ট বিভাগে। দেখে বোঝার উপায় নেই তিনি দালাল।
কুমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত (স্টাফ নার্স) ফরহাদ আহম্মেদ চৌধুরী বলেন, ‘মাঝেমধ্যে প্রশাসন দিয়ে অভিযান চালালে তাঁরা কিছু সময়ের জন্য সরে যায়, আবার পরে চলে আসে। স্থানীয় উচ্ছৃঙ্খল বাসিন্দা হওয়ায় তাঁরা আমাদের কথা শোনেন না। আমরা প্রতিবাদ করলে বাড়ি ফেরার পথে হামলা ও মারধর করেন।’
৫০০ শয্যার কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রায় ১ হাজার ৩০০ রোগী চিকিৎসাধীন। তবে রোজায় চাপ কিছুটা কমেছে। গত রোববার দুপুর পর্যন্ত এই হাসপাতালে জেনারেল বেডে ছিলেন ৮২৮ জন, পেয়িং বেডে ১৫, কেবিনে ১৩, আইসিইউতে ১৬ জনসহ ৮৭২ জন রোগী ভর্তি ছিল। ফলে শয্যার তুলনায় অতিরিক্ত রোগীর জন্য আলাদা থাকার ব্যবস্থা করতে হচ্ছে। সূত্র জানায়, এই অতিরিক্ত বেডের জন্য হাসপাতালের আয়া, পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা রোগীর স্বজনদের কাছ থেকে ৩০০ থেকে শুরু করে ১ হাজার টাকাও নিচ্ছেন। ফলে যত্রতত্রই দিচ্ছেন এসব শয্যা।
৮ মার্চ ৫০০ টাকা নিয়ে পাঁচতলার অরক্ষিত বারান্দায় এক রোগীর শয্যার ব্যবস্থা করা হয়। রাতে ওই পাঁচতলা ভবনের বারান্দা থেকে রোগী নিচে পড়ে মারা যান।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আউটসোর্সিংয়ে কাজ করা একজন আয়া বলেন, ‘এ হাসপাতালে আমরা প্রায় ১৭৫ জন আয়া-ক্লিনার কাজ করছি। গত কয়েক মাস আমরা বেতন পাচ্ছি না। আমরা কীভাবে চলি। রোগীর সেবাযত্ন করি, থাকার ব্যবস্থা করে দেই।’ একই অবস্থা অন্য পরিচ্ছন্নতাকর্মীদেরও।
নিত্য চুরির ঘটনা
এদিকে হাসপাতালে নিয়মিত ঘটে চুরির ঘটনাও। স্বর্ণালংকার, মোবাইল, টাকাপয়সা ও মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি কুমেকে নিত্যদিনের ঘটনা। কুমিল্লার তিতাস উপজেলার খলিলাবাদ থেকে কুমেক হাসপাতালে নবজাতককে দেখতে আসেন মায়া রানী। নাতিকে সোনার চেইন দেবেন, তাই সেটি গলায় পরেছিলেন। হাসপাতালের লিফটে ওঠার সময় জটলার মধ্যে সোনার ওই চেইন গায়েব হয়ে যায়।
এ বিষয়ে জানতে হাসপাতালের পরিচালক মাসুদ পারভেজের সঙ্গে কথা বলতে হাসপাতালে গিয়ে পাওয়া যায়নি। পরে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
কুমেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক নিশাদ সুলতানা বলেন, ‘স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রকল্পের আওতায় আমাদের আউটসোর্সিংয়ে যাঁরা কাজ করেন তারা গত কয়েক মাস বেতন পাচ্ছেন না। তারপরও তাঁরা কাজ করছেন। তাঁরা কাজ বন্ধ করে দিলে ভোগান্তি আরও বাড়বে। হাসপাতালের চোর-দালালদের উৎপাতসহ বিভিন্ন বিষয়ে আমরা চেষ্টা করছি নিয়ন্ত্রণ করতে।’

রোগী ভর্তি, তাঁর জন্য শয্যার ব্যবস্থা, রোগীর প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষা, শয্যা পেলে মেঝে থাকার ব্যবস্থা—সবকিছুই হয়ে থাকে দালালকে টাকা দেওয়ার বিনিময়ে। হাসপাতালে নিয়মিত ঘটে চুরির ঘটনাও। এসব নিয়ে কথা বলতে গেলে হাসপাতালের নার্সরাও হয়রানির শিকার হন। বছরের পর বছর এ জিম্মিদশা চলছে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (কুমেক)। হাসপাতালের একাধিক সূত্র বলছে, এই দালালেরা স্থানীয় প্রভাবশালী রাজনীতিবিদদের সঙ্গে যোগসাজশে এসব করেন। ফলে অনেকটাই ‘আইনের ঊর্ধ্বে’ তাঁরা।
কুমেকের জীর্ণ চিত্রটি ধরা পড়ে প্রধান ফটকেই। হাসপাতালের প্রবেশপথে অবৈধ দখলের কারণে যানজট লেগেই থাকে। এই ফটক দিয়ে প্রবেশ করতেই চোখে পড়বে হকার। তাঁরা দোকান দিয়ে বসে রয়েছেন দুই পাশে। এসব পেরিয়ে গেলে হাসপাতালের জরুরি বিভাগ। কোনো রকম রোগীকে খাতায় তালিকাভুক্ত করে ভর্তি নিলেই দায়িত্ব শেষ এ বিভাগের। এরপর রোগীর সব দায়িত্ব যেন উপস্থিত দালালদের। দালালেরাই রোগীকে শয্যায় নিয়ে যাওয়া, সিট পাইয়ে দেওয়া, পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানো, ডাক্তার দেখানো ও রোগীর আর্থিক অবস্থা বুঝে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া—সব দায়িত্ব যেন দালালদের।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই বিভাগের দায়িত্বরত এক স্টাফ নার্স বলেন, ‘দালালেরা স্থানীয় ও বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতার আশীর্বাদপুষ্ট। আমরা অসহায়। এর প্রতিবাদ করতে গিয়ে তাঁদের হাতে মারধরের শিকার হতে হয়েছে আমাদের অনেক স্টাফকে।’
হাসপাতালে যা ঘটে
কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার দারোরা এলাকা থেকে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে গত রোববার দুপুরে কুমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি হতে আসেন আব্দুর রশিদ (৫৫)। জরুরি বিভাগের সামনে সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে আসামাত্র এক দালাল রোগীর অবস্থা ভালো নয় বলে তাঁকে অটোরিকশা থেকে নামতে বারণ করেন। পরে রোগীর কাগজপত্র নিয়ে ভর্তির টিকিট কেটে রোগীকে নিয়ে যেতে দেখা গেল সংশ্লিষ্ট বিভাগে। দেখে বোঝার উপায় নেই তিনি দালাল।
কুমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত (স্টাফ নার্স) ফরহাদ আহম্মেদ চৌধুরী বলেন, ‘মাঝেমধ্যে প্রশাসন দিয়ে অভিযান চালালে তাঁরা কিছু সময়ের জন্য সরে যায়, আবার পরে চলে আসে। স্থানীয় উচ্ছৃঙ্খল বাসিন্দা হওয়ায় তাঁরা আমাদের কথা শোনেন না। আমরা প্রতিবাদ করলে বাড়ি ফেরার পথে হামলা ও মারধর করেন।’
৫০০ শয্যার কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রায় ১ হাজার ৩০০ রোগী চিকিৎসাধীন। তবে রোজায় চাপ কিছুটা কমেছে। গত রোববার দুপুর পর্যন্ত এই হাসপাতালে জেনারেল বেডে ছিলেন ৮২৮ জন, পেয়িং বেডে ১৫, কেবিনে ১৩, আইসিইউতে ১৬ জনসহ ৮৭২ জন রোগী ভর্তি ছিল। ফলে শয্যার তুলনায় অতিরিক্ত রোগীর জন্য আলাদা থাকার ব্যবস্থা করতে হচ্ছে। সূত্র জানায়, এই অতিরিক্ত বেডের জন্য হাসপাতালের আয়া, পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা রোগীর স্বজনদের কাছ থেকে ৩০০ থেকে শুরু করে ১ হাজার টাকাও নিচ্ছেন। ফলে যত্রতত্রই দিচ্ছেন এসব শয্যা।
৮ মার্চ ৫০০ টাকা নিয়ে পাঁচতলার অরক্ষিত বারান্দায় এক রোগীর শয্যার ব্যবস্থা করা হয়। রাতে ওই পাঁচতলা ভবনের বারান্দা থেকে রোগী নিচে পড়ে মারা যান।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আউটসোর্সিংয়ে কাজ করা একজন আয়া বলেন, ‘এ হাসপাতালে আমরা প্রায় ১৭৫ জন আয়া-ক্লিনার কাজ করছি। গত কয়েক মাস আমরা বেতন পাচ্ছি না। আমরা কীভাবে চলি। রোগীর সেবাযত্ন করি, থাকার ব্যবস্থা করে দেই।’ একই অবস্থা অন্য পরিচ্ছন্নতাকর্মীদেরও।
নিত্য চুরির ঘটনা
এদিকে হাসপাতালে নিয়মিত ঘটে চুরির ঘটনাও। স্বর্ণালংকার, মোবাইল, টাকাপয়সা ও মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি কুমেকে নিত্যদিনের ঘটনা। কুমিল্লার তিতাস উপজেলার খলিলাবাদ থেকে কুমেক হাসপাতালে নবজাতককে দেখতে আসেন মায়া রানী। নাতিকে সোনার চেইন দেবেন, তাই সেটি গলায় পরেছিলেন। হাসপাতালের লিফটে ওঠার সময় জটলার মধ্যে সোনার ওই চেইন গায়েব হয়ে যায়।
এ বিষয়ে জানতে হাসপাতালের পরিচালক মাসুদ পারভেজের সঙ্গে কথা বলতে হাসপাতালে গিয়ে পাওয়া যায়নি। পরে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
কুমেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক নিশাদ সুলতানা বলেন, ‘স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রকল্পের আওতায় আমাদের আউটসোর্সিংয়ে যাঁরা কাজ করেন তারা গত কয়েক মাস বেতন পাচ্ছেন না। তারপরও তাঁরা কাজ করছেন। তাঁরা কাজ বন্ধ করে দিলে ভোগান্তি আরও বাড়বে। হাসপাতালের চোর-দালালদের উৎপাতসহ বিভিন্ন বিষয়ে আমরা চেষ্টা করছি নিয়ন্ত্রণ করতে।’

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে পুকুরে ডুবে শাহবাব মন্ডল (আড়াই বছর) ও আবু তোহা মন্ডল (৩) নামের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের যাদুরচর নতুন গ্রাম এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
২৩ মিনিট আগে
ভবনের ভেতরের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, হত্যাকাণ্ডের পর এক নারী স্কুলড্রেস পরে কাঁধে ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন। চার দিন আগে আয়েশা পরিচয় দিয়ে ওই বাসায় গৃহকর্মীর কাজ নেওয়া তরুণী (২০) এই জোড়া খুনে জড়িত বলে সন্দেহ স্বজনদের। ঘটনার পর থেকে ওই তরুণী পলাতক।
১ ঘণ্টা আগে
জীবন আছে যার, তার মৃত্যু অনিবার্য। মৃত্যুর পর মানুষের শেষ ঠিকানা কবর। মৃতদেহ গোসল করিয়ে কাফন পরানো হয়, জানাজা শেষে তাকে শায়িত করা হয় চিরনিদ্রার ঘরে। এই কবর খোঁড়ার দায়িত্বটি গ্রামের কিছু মানুষ বহু বছর ধরে স্বেচ্ছায়, বিনা পারিশ্রমিকে পালন করে আসছেন, যাঁরা সবার কাছে ‘গোরখোদক’ নামে পরিচিত। আল্লাহর
২ ঘণ্টা আগে
গাজীপুরের শ্রীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে কারখানার ফটকের সামনে বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকেরা। আন্দোলনের মুখে কারখানা কর্তৃপক্ষ প্রধান ফটক তালাবদ্ধ করে সটকে পড়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে শিল্প ও থানা-পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসেছেন। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের সাইটালিয়া গ্রামে
২ ঘণ্টা আগেকুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে পুকুরে ডুবে শাহবাব মন্ডল (আড়াই বছর) ও আবু তোহা মন্ডল (৩) নামের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের যাদুরচর নতুন গ্রাম এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
শাহবাব মন্ডল উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের ধনারচর নতুন গ্রামের শাহজাহান মন্ডলের ছেলে এবং আবু তোহা মন্ডল একই গ্রামের আবু তালেবের ছেলে। এই দুই শিশু সম্পর্কে মামা-ভাগনে।
পরিবারের বরাত দিয়ে যাদুরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সরবেশ আলী জানান, বুধবার সকালে ওই দুই শিশু তালেব মন্ডলের বাড়িতে খেলা করছিল। এ সময় সবার অজান্তে তারা বাড়ির পাশে পুকুরের পানিতে পড়ে যায়। স্বজনেরা পুকুর থেকে দুই শিশুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। দায়িত্বরত চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক একই এলাকার বাসিন্দা ও কুড়িগ্রাম-৪ আসনের বিএনপির মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী আজিজুর রহমান ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তিনি শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
রৌমারী থানার উপপরিদর্শক শাহনেওয়াজ হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। সহকারী কমিশনার (ভূমি) ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। দুই শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে পুকুরে ডুবে শাহবাব মন্ডল (আড়াই বছর) ও আবু তোহা মন্ডল (৩) নামের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের যাদুরচর নতুন গ্রাম এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
শাহবাব মন্ডল উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের ধনারচর নতুন গ্রামের শাহজাহান মন্ডলের ছেলে এবং আবু তোহা মন্ডল একই গ্রামের আবু তালেবের ছেলে। এই দুই শিশু সম্পর্কে মামা-ভাগনে।
পরিবারের বরাত দিয়ে যাদুরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সরবেশ আলী জানান, বুধবার সকালে ওই দুই শিশু তালেব মন্ডলের বাড়িতে খেলা করছিল। এ সময় সবার অজান্তে তারা বাড়ির পাশে পুকুরের পানিতে পড়ে যায়। স্বজনেরা পুকুর থেকে দুই শিশুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। দায়িত্বরত চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক একই এলাকার বাসিন্দা ও কুড়িগ্রাম-৪ আসনের বিএনপির মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী আজিজুর রহমান ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তিনি শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
রৌমারী থানার উপপরিদর্শক শাহনেওয়াজ হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। সহকারী কমিশনার (ভূমি) ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। দুই শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রোগী ভর্তি, তাঁর জন্য শয্যার ব্যবস্থা, রোগীর প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষা, শয্যা পেলে মেঝে থাকার ব্যবস্থা—সবকিছুই হয়ে থাকে দালালকে টাকা দেওয়ার বিনিময়ে। হাসপাতালে নিয়মিত ঘটে চুরির ঘটনাও। এসব নিয়ে কথা বলতে গেলে হাসপাতালের নার্সরাও হয়রানির শিকার হন।
১১ মার্চ ২০২৫
ভবনের ভেতরের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, হত্যাকাণ্ডের পর এক নারী স্কুলড্রেস পরে কাঁধে ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন। চার দিন আগে আয়েশা পরিচয় দিয়ে ওই বাসায় গৃহকর্মীর কাজ নেওয়া তরুণী (২০) এই জোড়া খুনে জড়িত বলে সন্দেহ স্বজনদের। ঘটনার পর থেকে ওই তরুণী পলাতক।
১ ঘণ্টা আগে
জীবন আছে যার, তার মৃত্যু অনিবার্য। মৃত্যুর পর মানুষের শেষ ঠিকানা কবর। মৃতদেহ গোসল করিয়ে কাফন পরানো হয়, জানাজা শেষে তাকে শায়িত করা হয় চিরনিদ্রার ঘরে। এই কবর খোঁড়ার দায়িত্বটি গ্রামের কিছু মানুষ বহু বছর ধরে স্বেচ্ছায়, বিনা পারিশ্রমিকে পালন করে আসছেন, যাঁরা সবার কাছে ‘গোরখোদক’ নামে পরিচিত। আল্লাহর
২ ঘণ্টা আগে
গাজীপুরের শ্রীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে কারখানার ফটকের সামনে বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকেরা। আন্দোলনের মুখে কারখানা কর্তৃপক্ষ প্রধান ফটক তালাবদ্ধ করে সটকে পড়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে শিল্প ও থানা-পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসেছেন। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের সাইটালিয়া গ্রামে
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যার ঘটনায় গৃহকর্মী আয়েশাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার দুপুরে ঝালকাঠি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন তেজগাঁও বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার আব্দুল্লাহ আল মামুন।
মামুন বলেন, গৃহকর্মী আয়েশাকে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঝালকাঠি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত সোমবার সকালে শাহজাহান রোডের ১৪ তলা একটি আবাসিক ভবনের সপ্তম তলায় লায়লা আফরোজ (৪৮) ও তাঁর মেয়ে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজকে (১৫) ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।

গতকাল তাঁদের মরদেহ নাটোরে দাফন করা হয়েছে। মামলার এজাহারে বাসা থেকে মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার, নগদ টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র খোয়া যাওয়ার কথা বলা হয়েছে।
ভবনের ভেতরের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, হত্যাকাণ্ডের পর এক নারী স্কুলড্রেস পরে কাঁধে ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন। চার দিন আগে আয়েশা পরিচয় দিয়ে ওই বাসায় গৃহকর্মীর কাজ নেওয়া তরুণী (২০) এই জোড়া খুনে জড়িত বলে সন্দেহ স্বজনদের। ঘটনার পর থেকে ওই তরুণী পলাতক।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যার ঘটনায় গৃহকর্মী আয়েশাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার দুপুরে ঝালকাঠি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন তেজগাঁও বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার আব্দুল্লাহ আল মামুন।
মামুন বলেন, গৃহকর্মী আয়েশাকে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঝালকাঠি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত সোমবার সকালে শাহজাহান রোডের ১৪ তলা একটি আবাসিক ভবনের সপ্তম তলায় লায়লা আফরোজ (৪৮) ও তাঁর মেয়ে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজকে (১৫) ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।

গতকাল তাঁদের মরদেহ নাটোরে দাফন করা হয়েছে। মামলার এজাহারে বাসা থেকে মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার, নগদ টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র খোয়া যাওয়ার কথা বলা হয়েছে।
ভবনের ভেতরের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, হত্যাকাণ্ডের পর এক নারী স্কুলড্রেস পরে কাঁধে ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন। চার দিন আগে আয়েশা পরিচয় দিয়ে ওই বাসায় গৃহকর্মীর কাজ নেওয়া তরুণী (২০) এই জোড়া খুনে জড়িত বলে সন্দেহ স্বজনদের। ঘটনার পর থেকে ওই তরুণী পলাতক।

রোগী ভর্তি, তাঁর জন্য শয্যার ব্যবস্থা, রোগীর প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষা, শয্যা পেলে মেঝে থাকার ব্যবস্থা—সবকিছুই হয়ে থাকে দালালকে টাকা দেওয়ার বিনিময়ে। হাসপাতালে নিয়মিত ঘটে চুরির ঘটনাও। এসব নিয়ে কথা বলতে গেলে হাসপাতালের নার্সরাও হয়রানির শিকার হন।
১১ মার্চ ২০২৫
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে পুকুরে ডুবে শাহবাব মন্ডল (আড়াই বছর) ও আবু তোহা মন্ডল (৩) নামের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের যাদুরচর নতুন গ্রাম এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
২৩ মিনিট আগে
জীবন আছে যার, তার মৃত্যু অনিবার্য। মৃত্যুর পর মানুষের শেষ ঠিকানা কবর। মৃতদেহ গোসল করিয়ে কাফন পরানো হয়, জানাজা শেষে তাকে শায়িত করা হয় চিরনিদ্রার ঘরে। এই কবর খোঁড়ার দায়িত্বটি গ্রামের কিছু মানুষ বহু বছর ধরে স্বেচ্ছায়, বিনা পারিশ্রমিকে পালন করে আসছেন, যাঁরা সবার কাছে ‘গোরখোদক’ নামে পরিচিত। আল্লাহর
২ ঘণ্টা আগে
গাজীপুরের শ্রীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে কারখানার ফটকের সামনে বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকেরা। আন্দোলনের মুখে কারখানা কর্তৃপক্ষ প্রধান ফটক তালাবদ্ধ করে সটকে পড়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে শিল্প ও থানা-পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসেছেন। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের সাইটালিয়া গ্রামে
২ ঘণ্টা আগেগাংনী (মেহেরপুর) প্রতিনিধি

জীবন আছে যার, তার মৃত্যু অনিবার্য। মৃত্যুর পর মানুষের শেষ ঠিকানা কবর। মৃতদেহ গোসল করিয়ে কাফন পরানো হয়, জানাজা শেষে তাকে শায়িত করা হয় চিরনিদ্রার ঘরে। এই কবর খোঁড়ার দায়িত্বটি গ্রামের কিছু মানুষ বহু বছর ধরে স্বেচ্ছায়, বিনা পারিশ্রমিকে পালন করে আসছেন, যাঁরা সবার কাছে ‘গোরখোদক’ নামে পরিচিত। আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় তাঁরা করে থাকেন এই কাজ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গোরখোদকেরা কোনো পারিশ্রমিক নেন না। গ্রামের যে কেউ মারা যাক, নিজেদের ব্যস্ততা ফেলে তাঁরা ছুটে আসেন কবর খুঁড়তে। তাঁদের এই মানবিক কাজের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে গ্রামের লোকেরা দোয়া করেন—আল্লাহ যেন তাদের সুস্থ ও ভালো রাখেন।
দেবীপুর গ্রামের বাসিন্দা গোরখোদক মজিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ৫৫ বছর ধরে কবর খুঁড়ছি। যত দিন সুস্থ থাকব, এই কাজ চালিয়ে যাব। আমাদের গ্রাম ছাড়াও অন্য গ্রাম থেকে কেউ ডাকলে সেখানেও যাই। ছোটবেলায় ওস্তাদের কাছে ডালি ধরেই শিখেছি। গরিব মানুষ, মাঠে কাজ করি; কিন্তু কেউ মারা গেলে দ্বিধা করি না—এই কাজ আমার নেশায় পরিণত হয়েছে।’
মজিরুল আরও জানান, এখন তিনি তরুণদেরও এই কাজ শেখাচ্ছেন।

গোরখোদক শাকের আলী বলেন, ‘আমরা নিঃস্বার্থভাবে কাজ করি। কখনো কোনো টাকা নিই না। যেখানেই থাকি, গ্রামের কারও মৃত্যুর সংবাদ শুনলে দ্রুত কবর খুঁড়তে চলে আসি।’
গোরখোদক ফুয়াদ হোসেন বলেন, ‘অন্য গ্রাম থেকে ডাক এলেও আমরা যাই। আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই করি এই কাজ। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’
স্থানীয় বাসিন্দা শাজাহান আলী বলেন, ‘কবর খোঁড়া বড় দায়িত্বের কাজ। গ্রামের এসব মানুষ খবর পেলেই দৌড়ে আসে। আমরা তাদের জন্য দোয়া করি।’
মাওলানা মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘মৃত ব্যক্তির জন্য কবর খোঁড়া নিঃসন্দেহে সওয়াবের কাজ। হাদিসে এসেছে—যাঁরা কবর খোঁড়েন, আল্লাহ তাদের জন্য জান্নাতে ঘর নির্মাণ করবেন।’

জীবন আছে যার, তার মৃত্যু অনিবার্য। মৃত্যুর পর মানুষের শেষ ঠিকানা কবর। মৃতদেহ গোসল করিয়ে কাফন পরানো হয়, জানাজা শেষে তাকে শায়িত করা হয় চিরনিদ্রার ঘরে। এই কবর খোঁড়ার দায়িত্বটি গ্রামের কিছু মানুষ বহু বছর ধরে স্বেচ্ছায়, বিনা পারিশ্রমিকে পালন করে আসছেন, যাঁরা সবার কাছে ‘গোরখোদক’ নামে পরিচিত। আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় তাঁরা করে থাকেন এই কাজ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গোরখোদকেরা কোনো পারিশ্রমিক নেন না। গ্রামের যে কেউ মারা যাক, নিজেদের ব্যস্ততা ফেলে তাঁরা ছুটে আসেন কবর খুঁড়তে। তাঁদের এই মানবিক কাজের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে গ্রামের লোকেরা দোয়া করেন—আল্লাহ যেন তাদের সুস্থ ও ভালো রাখেন।
দেবীপুর গ্রামের বাসিন্দা গোরখোদক মজিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ৫৫ বছর ধরে কবর খুঁড়ছি। যত দিন সুস্থ থাকব, এই কাজ চালিয়ে যাব। আমাদের গ্রাম ছাড়াও অন্য গ্রাম থেকে কেউ ডাকলে সেখানেও যাই। ছোটবেলায় ওস্তাদের কাছে ডালি ধরেই শিখেছি। গরিব মানুষ, মাঠে কাজ করি; কিন্তু কেউ মারা গেলে দ্বিধা করি না—এই কাজ আমার নেশায় পরিণত হয়েছে।’
মজিরুল আরও জানান, এখন তিনি তরুণদেরও এই কাজ শেখাচ্ছেন।

গোরখোদক শাকের আলী বলেন, ‘আমরা নিঃস্বার্থভাবে কাজ করি। কখনো কোনো টাকা নিই না। যেখানেই থাকি, গ্রামের কারও মৃত্যুর সংবাদ শুনলে দ্রুত কবর খুঁড়তে চলে আসি।’
গোরখোদক ফুয়াদ হোসেন বলেন, ‘অন্য গ্রাম থেকে ডাক এলেও আমরা যাই। আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই করি এই কাজ। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’
স্থানীয় বাসিন্দা শাজাহান আলী বলেন, ‘কবর খোঁড়া বড় দায়িত্বের কাজ। গ্রামের এসব মানুষ খবর পেলেই দৌড়ে আসে। আমরা তাদের জন্য দোয়া করি।’
মাওলানা মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘মৃত ব্যক্তির জন্য কবর খোঁড়া নিঃসন্দেহে সওয়াবের কাজ। হাদিসে এসেছে—যাঁরা কবর খোঁড়েন, আল্লাহ তাদের জন্য জান্নাতে ঘর নির্মাণ করবেন।’

রোগী ভর্তি, তাঁর জন্য শয্যার ব্যবস্থা, রোগীর প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষা, শয্যা পেলে মেঝে থাকার ব্যবস্থা—সবকিছুই হয়ে থাকে দালালকে টাকা দেওয়ার বিনিময়ে। হাসপাতালে নিয়মিত ঘটে চুরির ঘটনাও। এসব নিয়ে কথা বলতে গেলে হাসপাতালের নার্সরাও হয়রানির শিকার হন।
১১ মার্চ ২০২৫
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে পুকুরে ডুবে শাহবাব মন্ডল (আড়াই বছর) ও আবু তোহা মন্ডল (৩) নামের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের যাদুরচর নতুন গ্রাম এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
২৩ মিনিট আগে
ভবনের ভেতরের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, হত্যাকাণ্ডের পর এক নারী স্কুলড্রেস পরে কাঁধে ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন। চার দিন আগে আয়েশা পরিচয় দিয়ে ওই বাসায় গৃহকর্মীর কাজ নেওয়া তরুণী (২০) এই জোড়া খুনে জড়িত বলে সন্দেহ স্বজনদের। ঘটনার পর থেকে ওই তরুণী পলাতক।
১ ঘণ্টা আগে
গাজীপুরের শ্রীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে কারখানার ফটকের সামনে বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকেরা। আন্দোলনের মুখে কারখানা কর্তৃপক্ষ প্রধান ফটক তালাবদ্ধ করে সটকে পড়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে শিল্প ও থানা-পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসেছেন। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের সাইটালিয়া গ্রামে
২ ঘণ্টা আগেশ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি

গাজীপুরের শ্রীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে কারখানার ফটকের সামনে বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকেরা। আন্দোলনের মুখে কারখানা কর্তৃপক্ষ প্রধান ফটক তালাবদ্ধ করে সটকে পড়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে শিল্প ও থানা-পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসেছেন। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের সাইটালিয়া গ্রামে ক্যাটেক্স ফ্যাশন ক্লোথিং লিমিটেড কারখানায় এই ঘটনা ঘটে।
কারখানার নারী শ্রমিক মিনারা আক্তার বলেন, ‘অক্টোবর ও নভেম্বর মাসের বেতন পরিশোধ করে নাই। এক মাসের বেতন না পেলে আমাদের চলা খুবই কঠিন হয়। আমাদের নাওয়া-খাওয়া বন্ধ হয়। আর সেখানে কারখানা কর্তৃপক্ষ দুই মাসের বেতনভাতা বকেয়া রেখেছে। আজ সকালে শ্রমিকেরা জড়ো হলে তারা পালিয়ে যায়।’
মিন্টু নামের এক শ্রমিক বলেন, ‘এই কারখানায় আমরা তিন বছর ধরে চাকরি করছি। আমাদের বেতনের বাইরে কোনো সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে না। তবু পেটের দায়ে চাকরি করি। দুই মাসের বেতন বকেয়া। আমাদের তো পেট আছে, সন্তান-সংসার আছে। এক মাস দোকান বাকি পরিশোধ করতে না পারলে পরের মাসে আর দোকানি বাকি দেয় না। আমরা কী অবস্থায় আছি, একবার ভাবুন। বেতন পরিশোধ না করে তারা পালিয়ে গেছে।’

মেহেদী হাসান বলেন, ‘এত দিন ধরে ঋণ করে বলে-কয়ে দোকান থেকে বাকি নিয়ে চলছি। আর পারছি না। এখন দোকান বাকি দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। অক্টোবর মাসের বকেয়া বেতন নিয়ে কমপক্ষে ১০টি তারিখ দিছে। কিন্তু কারখানা কর্তৃপক্ষ বেতন পরিশোধ করেনি। শেষে আজ বেতন পরিশোধের কথা ছিল। কিন্তু তারা কারখানা ফটকে তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে গেছে।’
কারখানার হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. বুলবুল হাসান বলেন, ‘ব্যাংকের সমস্যার কারণে বেতন-ভাতা পরিশোধ করা যাচ্ছে না। আশা করি, আজকের মধ্যে নভেম্বর মাসের বেতন পরিশোধ করতে পারব।’ বিনা নোটিশে কারখানার ফটক কেন তালাবদ্ধ? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমি বলতে পারব না।’
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাছির আহমদ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

গাজীপুরের শ্রীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে কারখানার ফটকের সামনে বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকেরা। আন্দোলনের মুখে কারখানা কর্তৃপক্ষ প্রধান ফটক তালাবদ্ধ করে সটকে পড়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে শিল্প ও থানা-পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসেছেন। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের সাইটালিয়া গ্রামে ক্যাটেক্স ফ্যাশন ক্লোথিং লিমিটেড কারখানায় এই ঘটনা ঘটে।
কারখানার নারী শ্রমিক মিনারা আক্তার বলেন, ‘অক্টোবর ও নভেম্বর মাসের বেতন পরিশোধ করে নাই। এক মাসের বেতন না পেলে আমাদের চলা খুবই কঠিন হয়। আমাদের নাওয়া-খাওয়া বন্ধ হয়। আর সেখানে কারখানা কর্তৃপক্ষ দুই মাসের বেতনভাতা বকেয়া রেখেছে। আজ সকালে শ্রমিকেরা জড়ো হলে তারা পালিয়ে যায়।’
মিন্টু নামের এক শ্রমিক বলেন, ‘এই কারখানায় আমরা তিন বছর ধরে চাকরি করছি। আমাদের বেতনের বাইরে কোনো সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে না। তবু পেটের দায়ে চাকরি করি। দুই মাসের বেতন বকেয়া। আমাদের তো পেট আছে, সন্তান-সংসার আছে। এক মাস দোকান বাকি পরিশোধ করতে না পারলে পরের মাসে আর দোকানি বাকি দেয় না। আমরা কী অবস্থায় আছি, একবার ভাবুন। বেতন পরিশোধ না করে তারা পালিয়ে গেছে।’

মেহেদী হাসান বলেন, ‘এত দিন ধরে ঋণ করে বলে-কয়ে দোকান থেকে বাকি নিয়ে চলছি। আর পারছি না। এখন দোকান বাকি দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। অক্টোবর মাসের বকেয়া বেতন নিয়ে কমপক্ষে ১০টি তারিখ দিছে। কিন্তু কারখানা কর্তৃপক্ষ বেতন পরিশোধ করেনি। শেষে আজ বেতন পরিশোধের কথা ছিল। কিন্তু তারা কারখানা ফটকে তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে গেছে।’
কারখানার হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. বুলবুল হাসান বলেন, ‘ব্যাংকের সমস্যার কারণে বেতন-ভাতা পরিশোধ করা যাচ্ছে না। আশা করি, আজকের মধ্যে নভেম্বর মাসের বেতন পরিশোধ করতে পারব।’ বিনা নোটিশে কারখানার ফটক কেন তালাবদ্ধ? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমি বলতে পারব না।’
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাছির আহমদ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

রোগী ভর্তি, তাঁর জন্য শয্যার ব্যবস্থা, রোগীর প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষা, শয্যা পেলে মেঝে থাকার ব্যবস্থা—সবকিছুই হয়ে থাকে দালালকে টাকা দেওয়ার বিনিময়ে। হাসপাতালে নিয়মিত ঘটে চুরির ঘটনাও। এসব নিয়ে কথা বলতে গেলে হাসপাতালের নার্সরাও হয়রানির শিকার হন।
১১ মার্চ ২০২৫
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে পুকুরে ডুবে শাহবাব মন্ডল (আড়াই বছর) ও আবু তোহা মন্ডল (৩) নামের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের যাদুরচর নতুন গ্রাম এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
২৩ মিনিট আগে
ভবনের ভেতরের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, হত্যাকাণ্ডের পর এক নারী স্কুলড্রেস পরে কাঁধে ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন। চার দিন আগে আয়েশা পরিচয় দিয়ে ওই বাসায় গৃহকর্মীর কাজ নেওয়া তরুণী (২০) এই জোড়া খুনে জড়িত বলে সন্দেহ স্বজনদের। ঘটনার পর থেকে ওই তরুণী পলাতক।
১ ঘণ্টা আগে
জীবন আছে যার, তার মৃত্যু অনিবার্য। মৃত্যুর পর মানুষের শেষ ঠিকানা কবর। মৃতদেহ গোসল করিয়ে কাফন পরানো হয়, জানাজা শেষে তাকে শায়িত করা হয় চিরনিদ্রার ঘরে। এই কবর খোঁড়ার দায়িত্বটি গ্রামের কিছু মানুষ বহু বছর ধরে স্বেচ্ছায়, বিনা পারিশ্রমিকে পালন করে আসছেন, যাঁরা সবার কাছে ‘গোরখোদক’ নামে পরিচিত। আল্লাহর
২ ঘণ্টা আগে