কুমেক হাসপাতাল
দেলোয়ার হোসাইন আকাইদ, কুমিল্লা
রোগী ভর্তি, তাঁর জন্য শয্যার ব্যবস্থা, রোগীর প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষা, শয্যা পেলে মেঝে থাকার ব্যবস্থা—সবকিছুই হয়ে থাকে দালালকে টাকা দেওয়ার বিনিময়ে। হাসপাতালে নিয়মিত ঘটে চুরির ঘটনাও। এসব নিয়ে কথা বলতে গেলে হাসপাতালের নার্সরাও হয়রানির শিকার হন। বছরের পর বছর এ জিম্মিদশা চলছে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (কুমেক)। হাসপাতালের একাধিক সূত্র বলছে, এই দালালেরা স্থানীয় প্রভাবশালী রাজনীতিবিদদের সঙ্গে যোগসাজশে এসব করেন। ফলে অনেকটাই ‘আইনের ঊর্ধ্বে’ তাঁরা।
কুমেকের জীর্ণ চিত্রটি ধরা পড়ে প্রধান ফটকেই। হাসপাতালের প্রবেশপথে অবৈধ দখলের কারণে যানজট লেগেই থাকে। এই ফটক দিয়ে প্রবেশ করতেই চোখে পড়বে হকার। তাঁরা দোকান দিয়ে বসে রয়েছেন দুই পাশে। এসব পেরিয়ে গেলে হাসপাতালের জরুরি বিভাগ। কোনো রকম রোগীকে খাতায় তালিকাভুক্ত করে ভর্তি নিলেই দায়িত্ব শেষ এ বিভাগের। এরপর রোগীর সব দায়িত্ব যেন উপস্থিত দালালদের। দালালেরাই রোগীকে শয্যায় নিয়ে যাওয়া, সিট পাইয়ে দেওয়া, পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানো, ডাক্তার দেখানো ও রোগীর আর্থিক অবস্থা বুঝে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া—সব দায়িত্ব যেন দালালদের।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই বিভাগের দায়িত্বরত এক স্টাফ নার্স বলেন, ‘দালালেরা স্থানীয় ও বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতার আশীর্বাদপুষ্ট। আমরা অসহায়। এর প্রতিবাদ করতে গিয়ে তাঁদের হাতে মারধরের শিকার হতে হয়েছে আমাদের অনেক স্টাফকে।’
হাসপাতালে যা ঘটে
কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার দারোরা এলাকা থেকে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে গত রোববার দুপুরে কুমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি হতে আসেন আব্দুর রশিদ (৫৫)। জরুরি বিভাগের সামনে সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে আসামাত্র এক দালাল রোগীর অবস্থা ভালো নয় বলে তাঁকে অটোরিকশা থেকে নামতে বারণ করেন। পরে রোগীর কাগজপত্র নিয়ে ভর্তির টিকিট কেটে রোগীকে নিয়ে যেতে দেখা গেল সংশ্লিষ্ট বিভাগে। দেখে বোঝার উপায় নেই তিনি দালাল।
কুমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত (স্টাফ নার্স) ফরহাদ আহম্মেদ চৌধুরী বলেন, ‘মাঝেমধ্যে প্রশাসন দিয়ে অভিযান চালালে তাঁরা কিছু সময়ের জন্য সরে যায়, আবার পরে চলে আসে। স্থানীয় উচ্ছৃঙ্খল বাসিন্দা হওয়ায় তাঁরা আমাদের কথা শোনেন না। আমরা প্রতিবাদ করলে বাড়ি ফেরার পথে হামলা ও মারধর করেন।’
৫০০ শয্যার কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রায় ১ হাজার ৩০০ রোগী চিকিৎসাধীন। তবে রোজায় চাপ কিছুটা কমেছে। গত রোববার দুপুর পর্যন্ত এই হাসপাতালে জেনারেল বেডে ছিলেন ৮২৮ জন, পেয়িং বেডে ১৫, কেবিনে ১৩, আইসিইউতে ১৬ জনসহ ৮৭২ জন রোগী ভর্তি ছিল। ফলে শয্যার তুলনায় অতিরিক্ত রোগীর জন্য আলাদা থাকার ব্যবস্থা করতে হচ্ছে। সূত্র জানায়, এই অতিরিক্ত বেডের জন্য হাসপাতালের আয়া, পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা রোগীর স্বজনদের কাছ থেকে ৩০০ থেকে শুরু করে ১ হাজার টাকাও নিচ্ছেন। ফলে যত্রতত্রই দিচ্ছেন এসব শয্যা।
৮ মার্চ ৫০০ টাকা নিয়ে পাঁচতলার অরক্ষিত বারান্দায় এক রোগীর শয্যার ব্যবস্থা করা হয়। রাতে ওই পাঁচতলা ভবনের বারান্দা থেকে রোগী নিচে পড়ে মারা যান।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আউটসোর্সিংয়ে কাজ করা একজন আয়া বলেন, ‘এ হাসপাতালে আমরা প্রায় ১৭৫ জন আয়া-ক্লিনার কাজ করছি। গত কয়েক মাস আমরা বেতন পাচ্ছি না। আমরা কীভাবে চলি। রোগীর সেবাযত্ন করি, থাকার ব্যবস্থা করে দেই।’ একই অবস্থা অন্য পরিচ্ছন্নতাকর্মীদেরও।
নিত্য চুরির ঘটনা
এদিকে হাসপাতালে নিয়মিত ঘটে চুরির ঘটনাও। স্বর্ণালংকার, মোবাইল, টাকাপয়সা ও মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি কুমেকে নিত্যদিনের ঘটনা। কুমিল্লার তিতাস উপজেলার খলিলাবাদ থেকে কুমেক হাসপাতালে নবজাতককে দেখতে আসেন মায়া রানী। নাতিকে সোনার চেইন দেবেন, তাই সেটি গলায় পরেছিলেন। হাসপাতালের লিফটে ওঠার সময় জটলার মধ্যে সোনার ওই চেইন গায়েব হয়ে যায়।
এ বিষয়ে জানতে হাসপাতালের পরিচালক মাসুদ পারভেজের সঙ্গে কথা বলতে হাসপাতালে গিয়ে পাওয়া যায়নি। পরে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
কুমেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক নিশাদ সুলতানা বলেন, ‘স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রকল্পের আওতায় আমাদের আউটসোর্সিংয়ে যাঁরা কাজ করেন তারা গত কয়েক মাস বেতন পাচ্ছেন না। তারপরও তাঁরা কাজ করছেন। তাঁরা কাজ বন্ধ করে দিলে ভোগান্তি আরও বাড়বে। হাসপাতালের চোর-দালালদের উৎপাতসহ বিভিন্ন বিষয়ে আমরা চেষ্টা করছি নিয়ন্ত্রণ করতে।’
রোগী ভর্তি, তাঁর জন্য শয্যার ব্যবস্থা, রোগীর প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষা, শয্যা পেলে মেঝে থাকার ব্যবস্থা—সবকিছুই হয়ে থাকে দালালকে টাকা দেওয়ার বিনিময়ে। হাসপাতালে নিয়মিত ঘটে চুরির ঘটনাও। এসব নিয়ে কথা বলতে গেলে হাসপাতালের নার্সরাও হয়রানির শিকার হন। বছরের পর বছর এ জিম্মিদশা চলছে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (কুমেক)। হাসপাতালের একাধিক সূত্র বলছে, এই দালালেরা স্থানীয় প্রভাবশালী রাজনীতিবিদদের সঙ্গে যোগসাজশে এসব করেন। ফলে অনেকটাই ‘আইনের ঊর্ধ্বে’ তাঁরা।
কুমেকের জীর্ণ চিত্রটি ধরা পড়ে প্রধান ফটকেই। হাসপাতালের প্রবেশপথে অবৈধ দখলের কারণে যানজট লেগেই থাকে। এই ফটক দিয়ে প্রবেশ করতেই চোখে পড়বে হকার। তাঁরা দোকান দিয়ে বসে রয়েছেন দুই পাশে। এসব পেরিয়ে গেলে হাসপাতালের জরুরি বিভাগ। কোনো রকম রোগীকে খাতায় তালিকাভুক্ত করে ভর্তি নিলেই দায়িত্ব শেষ এ বিভাগের। এরপর রোগীর সব দায়িত্ব যেন উপস্থিত দালালদের। দালালেরাই রোগীকে শয্যায় নিয়ে যাওয়া, সিট পাইয়ে দেওয়া, পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানো, ডাক্তার দেখানো ও রোগীর আর্থিক অবস্থা বুঝে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া—সব দায়িত্ব যেন দালালদের।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই বিভাগের দায়িত্বরত এক স্টাফ নার্স বলেন, ‘দালালেরা স্থানীয় ও বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতার আশীর্বাদপুষ্ট। আমরা অসহায়। এর প্রতিবাদ করতে গিয়ে তাঁদের হাতে মারধরের শিকার হতে হয়েছে আমাদের অনেক স্টাফকে।’
হাসপাতালে যা ঘটে
কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার দারোরা এলাকা থেকে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে গত রোববার দুপুরে কুমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি হতে আসেন আব্দুর রশিদ (৫৫)। জরুরি বিভাগের সামনে সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে আসামাত্র এক দালাল রোগীর অবস্থা ভালো নয় বলে তাঁকে অটোরিকশা থেকে নামতে বারণ করেন। পরে রোগীর কাগজপত্র নিয়ে ভর্তির টিকিট কেটে রোগীকে নিয়ে যেতে দেখা গেল সংশ্লিষ্ট বিভাগে। দেখে বোঝার উপায় নেই তিনি দালাল।
কুমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত (স্টাফ নার্স) ফরহাদ আহম্মেদ চৌধুরী বলেন, ‘মাঝেমধ্যে প্রশাসন দিয়ে অভিযান চালালে তাঁরা কিছু সময়ের জন্য সরে যায়, আবার পরে চলে আসে। স্থানীয় উচ্ছৃঙ্খল বাসিন্দা হওয়ায় তাঁরা আমাদের কথা শোনেন না। আমরা প্রতিবাদ করলে বাড়ি ফেরার পথে হামলা ও মারধর করেন।’
৫০০ শয্যার কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রায় ১ হাজার ৩০০ রোগী চিকিৎসাধীন। তবে রোজায় চাপ কিছুটা কমেছে। গত রোববার দুপুর পর্যন্ত এই হাসপাতালে জেনারেল বেডে ছিলেন ৮২৮ জন, পেয়িং বেডে ১৫, কেবিনে ১৩, আইসিইউতে ১৬ জনসহ ৮৭২ জন রোগী ভর্তি ছিল। ফলে শয্যার তুলনায় অতিরিক্ত রোগীর জন্য আলাদা থাকার ব্যবস্থা করতে হচ্ছে। সূত্র জানায়, এই অতিরিক্ত বেডের জন্য হাসপাতালের আয়া, পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা রোগীর স্বজনদের কাছ থেকে ৩০০ থেকে শুরু করে ১ হাজার টাকাও নিচ্ছেন। ফলে যত্রতত্রই দিচ্ছেন এসব শয্যা।
৮ মার্চ ৫০০ টাকা নিয়ে পাঁচতলার অরক্ষিত বারান্দায় এক রোগীর শয্যার ব্যবস্থা করা হয়। রাতে ওই পাঁচতলা ভবনের বারান্দা থেকে রোগী নিচে পড়ে মারা যান।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আউটসোর্সিংয়ে কাজ করা একজন আয়া বলেন, ‘এ হাসপাতালে আমরা প্রায় ১৭৫ জন আয়া-ক্লিনার কাজ করছি। গত কয়েক মাস আমরা বেতন পাচ্ছি না। আমরা কীভাবে চলি। রোগীর সেবাযত্ন করি, থাকার ব্যবস্থা করে দেই।’ একই অবস্থা অন্য পরিচ্ছন্নতাকর্মীদেরও।
নিত্য চুরির ঘটনা
এদিকে হাসপাতালে নিয়মিত ঘটে চুরির ঘটনাও। স্বর্ণালংকার, মোবাইল, টাকাপয়সা ও মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি কুমেকে নিত্যদিনের ঘটনা। কুমিল্লার তিতাস উপজেলার খলিলাবাদ থেকে কুমেক হাসপাতালে নবজাতককে দেখতে আসেন মায়া রানী। নাতিকে সোনার চেইন দেবেন, তাই সেটি গলায় পরেছিলেন। হাসপাতালের লিফটে ওঠার সময় জটলার মধ্যে সোনার ওই চেইন গায়েব হয়ে যায়।
এ বিষয়ে জানতে হাসপাতালের পরিচালক মাসুদ পারভেজের সঙ্গে কথা বলতে হাসপাতালে গিয়ে পাওয়া যায়নি। পরে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
কুমেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক নিশাদ সুলতানা বলেন, ‘স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রকল্পের আওতায় আমাদের আউটসোর্সিংয়ে যাঁরা কাজ করেন তারা গত কয়েক মাস বেতন পাচ্ছেন না। তারপরও তাঁরা কাজ করছেন। তাঁরা কাজ বন্ধ করে দিলে ভোগান্তি আরও বাড়বে। হাসপাতালের চোর-দালালদের উৎপাতসহ বিভিন্ন বিষয়ে আমরা চেষ্টা করছি নিয়ন্ত্রণ করতে।’
কুমেক হাসপাতাল
দেলোয়ার হোসাইন আকাইদ, কুমিল্লা
রোগী ভর্তি, তাঁর জন্য শয্যার ব্যবস্থা, রোগীর প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষা, শয্যা পেলে মেঝে থাকার ব্যবস্থা—সবকিছুই হয়ে থাকে দালালকে টাকা দেওয়ার বিনিময়ে। হাসপাতালে নিয়মিত ঘটে চুরির ঘটনাও। এসব নিয়ে কথা বলতে গেলে হাসপাতালের নার্সরাও হয়রানির শিকার হন। বছরের পর বছর এ জিম্মিদশা চলছে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (কুমেক)। হাসপাতালের একাধিক সূত্র বলছে, এই দালালেরা স্থানীয় প্রভাবশালী রাজনীতিবিদদের সঙ্গে যোগসাজশে এসব করেন। ফলে অনেকটাই ‘আইনের ঊর্ধ্বে’ তাঁরা।
কুমেকের জীর্ণ চিত্রটি ধরা পড়ে প্রধান ফটকেই। হাসপাতালের প্রবেশপথে অবৈধ দখলের কারণে যানজট লেগেই থাকে। এই ফটক দিয়ে প্রবেশ করতেই চোখে পড়বে হকার। তাঁরা দোকান দিয়ে বসে রয়েছেন দুই পাশে। এসব পেরিয়ে গেলে হাসপাতালের জরুরি বিভাগ। কোনো রকম রোগীকে খাতায় তালিকাভুক্ত করে ভর্তি নিলেই দায়িত্ব শেষ এ বিভাগের। এরপর রোগীর সব দায়িত্ব যেন উপস্থিত দালালদের। দালালেরাই রোগীকে শয্যায় নিয়ে যাওয়া, সিট পাইয়ে দেওয়া, পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানো, ডাক্তার দেখানো ও রোগীর আর্থিক অবস্থা বুঝে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া—সব দায়িত্ব যেন দালালদের।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই বিভাগের দায়িত্বরত এক স্টাফ নার্স বলেন, ‘দালালেরা স্থানীয় ও বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতার আশীর্বাদপুষ্ট। আমরা অসহায়। এর প্রতিবাদ করতে গিয়ে তাঁদের হাতে মারধরের শিকার হতে হয়েছে আমাদের অনেক স্টাফকে।’
হাসপাতালে যা ঘটে
কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার দারোরা এলাকা থেকে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে গত রোববার দুপুরে কুমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি হতে আসেন আব্দুর রশিদ (৫৫)। জরুরি বিভাগের সামনে সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে আসামাত্র এক দালাল রোগীর অবস্থা ভালো নয় বলে তাঁকে অটোরিকশা থেকে নামতে বারণ করেন। পরে রোগীর কাগজপত্র নিয়ে ভর্তির টিকিট কেটে রোগীকে নিয়ে যেতে দেখা গেল সংশ্লিষ্ট বিভাগে। দেখে বোঝার উপায় নেই তিনি দালাল।
কুমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত (স্টাফ নার্স) ফরহাদ আহম্মেদ চৌধুরী বলেন, ‘মাঝেমধ্যে প্রশাসন দিয়ে অভিযান চালালে তাঁরা কিছু সময়ের জন্য সরে যায়, আবার পরে চলে আসে। স্থানীয় উচ্ছৃঙ্খল বাসিন্দা হওয়ায় তাঁরা আমাদের কথা শোনেন না। আমরা প্রতিবাদ করলে বাড়ি ফেরার পথে হামলা ও মারধর করেন।’
৫০০ শয্যার কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রায় ১ হাজার ৩০০ রোগী চিকিৎসাধীন। তবে রোজায় চাপ কিছুটা কমেছে। গত রোববার দুপুর পর্যন্ত এই হাসপাতালে জেনারেল বেডে ছিলেন ৮২৮ জন, পেয়িং বেডে ১৫, কেবিনে ১৩, আইসিইউতে ১৬ জনসহ ৮৭২ জন রোগী ভর্তি ছিল। ফলে শয্যার তুলনায় অতিরিক্ত রোগীর জন্য আলাদা থাকার ব্যবস্থা করতে হচ্ছে। সূত্র জানায়, এই অতিরিক্ত বেডের জন্য হাসপাতালের আয়া, পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা রোগীর স্বজনদের কাছ থেকে ৩০০ থেকে শুরু করে ১ হাজার টাকাও নিচ্ছেন। ফলে যত্রতত্রই দিচ্ছেন এসব শয্যা।
৮ মার্চ ৫০০ টাকা নিয়ে পাঁচতলার অরক্ষিত বারান্দায় এক রোগীর শয্যার ব্যবস্থা করা হয়। রাতে ওই পাঁচতলা ভবনের বারান্দা থেকে রোগী নিচে পড়ে মারা যান।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আউটসোর্সিংয়ে কাজ করা একজন আয়া বলেন, ‘এ হাসপাতালে আমরা প্রায় ১৭৫ জন আয়া-ক্লিনার কাজ করছি। গত কয়েক মাস আমরা বেতন পাচ্ছি না। আমরা কীভাবে চলি। রোগীর সেবাযত্ন করি, থাকার ব্যবস্থা করে দেই।’ একই অবস্থা অন্য পরিচ্ছন্নতাকর্মীদেরও।
নিত্য চুরির ঘটনা
এদিকে হাসপাতালে নিয়মিত ঘটে চুরির ঘটনাও। স্বর্ণালংকার, মোবাইল, টাকাপয়সা ও মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি কুমেকে নিত্যদিনের ঘটনা। কুমিল্লার তিতাস উপজেলার খলিলাবাদ থেকে কুমেক হাসপাতালে নবজাতককে দেখতে আসেন মায়া রানী। নাতিকে সোনার চেইন দেবেন, তাই সেটি গলায় পরেছিলেন। হাসপাতালের লিফটে ওঠার সময় জটলার মধ্যে সোনার ওই চেইন গায়েব হয়ে যায়।
এ বিষয়ে জানতে হাসপাতালের পরিচালক মাসুদ পারভেজের সঙ্গে কথা বলতে হাসপাতালে গিয়ে পাওয়া যায়নি। পরে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
কুমেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক নিশাদ সুলতানা বলেন, ‘স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রকল্পের আওতায় আমাদের আউটসোর্সিংয়ে যাঁরা কাজ করেন তারা গত কয়েক মাস বেতন পাচ্ছেন না। তারপরও তাঁরা কাজ করছেন। তাঁরা কাজ বন্ধ করে দিলে ভোগান্তি আরও বাড়বে। হাসপাতালের চোর-দালালদের উৎপাতসহ বিভিন্ন বিষয়ে আমরা চেষ্টা করছি নিয়ন্ত্রণ করতে।’
রোগী ভর্তি, তাঁর জন্য শয্যার ব্যবস্থা, রোগীর প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষা, শয্যা পেলে মেঝে থাকার ব্যবস্থা—সবকিছুই হয়ে থাকে দালালকে টাকা দেওয়ার বিনিময়ে। হাসপাতালে নিয়মিত ঘটে চুরির ঘটনাও। এসব নিয়ে কথা বলতে গেলে হাসপাতালের নার্সরাও হয়রানির শিকার হন। বছরের পর বছর এ জিম্মিদশা চলছে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (কুমেক)। হাসপাতালের একাধিক সূত্র বলছে, এই দালালেরা স্থানীয় প্রভাবশালী রাজনীতিবিদদের সঙ্গে যোগসাজশে এসব করেন। ফলে অনেকটাই ‘আইনের ঊর্ধ্বে’ তাঁরা।
কুমেকের জীর্ণ চিত্রটি ধরা পড়ে প্রধান ফটকেই। হাসপাতালের প্রবেশপথে অবৈধ দখলের কারণে যানজট লেগেই থাকে। এই ফটক দিয়ে প্রবেশ করতেই চোখে পড়বে হকার। তাঁরা দোকান দিয়ে বসে রয়েছেন দুই পাশে। এসব পেরিয়ে গেলে হাসপাতালের জরুরি বিভাগ। কোনো রকম রোগীকে খাতায় তালিকাভুক্ত করে ভর্তি নিলেই দায়িত্ব শেষ এ বিভাগের। এরপর রোগীর সব দায়িত্ব যেন উপস্থিত দালালদের। দালালেরাই রোগীকে শয্যায় নিয়ে যাওয়া, সিট পাইয়ে দেওয়া, পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানো, ডাক্তার দেখানো ও রোগীর আর্থিক অবস্থা বুঝে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া—সব দায়িত্ব যেন দালালদের।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই বিভাগের দায়িত্বরত এক স্টাফ নার্স বলেন, ‘দালালেরা স্থানীয় ও বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতার আশীর্বাদপুষ্ট। আমরা অসহায়। এর প্রতিবাদ করতে গিয়ে তাঁদের হাতে মারধরের শিকার হতে হয়েছে আমাদের অনেক স্টাফকে।’
হাসপাতালে যা ঘটে
কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার দারোরা এলাকা থেকে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে গত রোববার দুপুরে কুমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি হতে আসেন আব্দুর রশিদ (৫৫)। জরুরি বিভাগের সামনে সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে আসামাত্র এক দালাল রোগীর অবস্থা ভালো নয় বলে তাঁকে অটোরিকশা থেকে নামতে বারণ করেন। পরে রোগীর কাগজপত্র নিয়ে ভর্তির টিকিট কেটে রোগীকে নিয়ে যেতে দেখা গেল সংশ্লিষ্ট বিভাগে। দেখে বোঝার উপায় নেই তিনি দালাল।
কুমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত (স্টাফ নার্স) ফরহাদ আহম্মেদ চৌধুরী বলেন, ‘মাঝেমধ্যে প্রশাসন দিয়ে অভিযান চালালে তাঁরা কিছু সময়ের জন্য সরে যায়, আবার পরে চলে আসে। স্থানীয় উচ্ছৃঙ্খল বাসিন্দা হওয়ায় তাঁরা আমাদের কথা শোনেন না। আমরা প্রতিবাদ করলে বাড়ি ফেরার পথে হামলা ও মারধর করেন।’
৫০০ শয্যার কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রায় ১ হাজার ৩০০ রোগী চিকিৎসাধীন। তবে রোজায় চাপ কিছুটা কমেছে। গত রোববার দুপুর পর্যন্ত এই হাসপাতালে জেনারেল বেডে ছিলেন ৮২৮ জন, পেয়িং বেডে ১৫, কেবিনে ১৩, আইসিইউতে ১৬ জনসহ ৮৭২ জন রোগী ভর্তি ছিল। ফলে শয্যার তুলনায় অতিরিক্ত রোগীর জন্য আলাদা থাকার ব্যবস্থা করতে হচ্ছে। সূত্র জানায়, এই অতিরিক্ত বেডের জন্য হাসপাতালের আয়া, পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা রোগীর স্বজনদের কাছ থেকে ৩০০ থেকে শুরু করে ১ হাজার টাকাও নিচ্ছেন। ফলে যত্রতত্রই দিচ্ছেন এসব শয্যা।
৮ মার্চ ৫০০ টাকা নিয়ে পাঁচতলার অরক্ষিত বারান্দায় এক রোগীর শয্যার ব্যবস্থা করা হয়। রাতে ওই পাঁচতলা ভবনের বারান্দা থেকে রোগী নিচে পড়ে মারা যান।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আউটসোর্সিংয়ে কাজ করা একজন আয়া বলেন, ‘এ হাসপাতালে আমরা প্রায় ১৭৫ জন আয়া-ক্লিনার কাজ করছি। গত কয়েক মাস আমরা বেতন পাচ্ছি না। আমরা কীভাবে চলি। রোগীর সেবাযত্ন করি, থাকার ব্যবস্থা করে দেই।’ একই অবস্থা অন্য পরিচ্ছন্নতাকর্মীদেরও।
নিত্য চুরির ঘটনা
এদিকে হাসপাতালে নিয়মিত ঘটে চুরির ঘটনাও। স্বর্ণালংকার, মোবাইল, টাকাপয়সা ও মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি কুমেকে নিত্যদিনের ঘটনা। কুমিল্লার তিতাস উপজেলার খলিলাবাদ থেকে কুমেক হাসপাতালে নবজাতককে দেখতে আসেন মায়া রানী। নাতিকে সোনার চেইন দেবেন, তাই সেটি গলায় পরেছিলেন। হাসপাতালের লিফটে ওঠার সময় জটলার মধ্যে সোনার ওই চেইন গায়েব হয়ে যায়।
এ বিষয়ে জানতে হাসপাতালের পরিচালক মাসুদ পারভেজের সঙ্গে কথা বলতে হাসপাতালে গিয়ে পাওয়া যায়নি। পরে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
কুমেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক নিশাদ সুলতানা বলেন, ‘স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রকল্পের আওতায় আমাদের আউটসোর্সিংয়ে যাঁরা কাজ করেন তারা গত কয়েক মাস বেতন পাচ্ছেন না। তারপরও তাঁরা কাজ করছেন। তাঁরা কাজ বন্ধ করে দিলে ভোগান্তি আরও বাড়বে। হাসপাতালের চোর-দালালদের উৎপাতসহ বিভিন্ন বিষয়ে আমরা চেষ্টা করছি নিয়ন্ত্রণ করতে।’
মেহেরপুরের গাংনীতে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে সুজন আলী (৩৫) নামের প্রবাসফেরত এক যুবক নিহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার আড়পাড়া ইউনিয়নের উপস্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত সুজন আলী উপজেলার খড়মপুর গ্রামের ইমদাদুল হকের ছেলে।
১৮ মিনিট আগেময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার পোড়াবাড়ি বাজারের ভেতর দিয়ে বয়ে গেছে খিরু নদ। দুই পারের মানুষের একমাত্র ভরসা এখনো ঝুঁকিপূর্ণ একটি বেইলি সেতু। এর এক পাশে ত্রিশাল, অন্য পাশে ফুলবাড়িয়া উপজেলা।
৬ ঘণ্টা আগেনিম্নমানের ইটের ওপরে কিছু ভালো ইট বিছিয়ে করা হচ্ছিল চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের একটি রাস্তার কাজ। সংবাদকর্মীদের সামনে বিষয়টি ধরা পড়ায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন শ্রমিকদের ইট উঠিয়ে ফেলার নির্দেশ দেন। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল বুধবার উপজেলার বালিথুবা পশ্চিম ইউনিয়নের সেকদি-চান্দ্রা সড়কে।
৬ ঘণ্টা আগেসাপের দংশনে আহত হয়ে ১০০ শয্যাবিশিষ্ট মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন উপজেলার পালবাড়ী গ্রামের আনছের আলী (৩৬)। তাঁর খিঁচুনি শুরু হওয়ায় তাঁকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিন্তু আনছের আলীর স্বজনেরা তাঁকে নিয়ে যান এলাকারই এক ওঝার কাছে। সেখানে গত সোমবার সন্ধ্যায় তাঁর মৃত্যু হয়।
৬ ঘণ্টা আগেগাংনী (মেহেরপুর) প্রতিনিধি
মেহেরপুরের গাংনীতে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে সুজন আলী (৩৫) নামের প্রবাসফেরত এক যুবক নিহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার আড়পাড়া ইউনিয়নের উপস্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত সুজন আলী উপজেলার খড়মপুর গ্রামের ইমদাদুল হকের ছেলে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সুজন আলী খড়মপুর গ্রাম থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে আড়পাড়া যাওয়ার পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে হাসপাতালের গেটের সামনে পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে গুরুতর আহত হন। তাঁকে দ্রুত গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত ব্যক্তির বড় ভাই লাল মিয়া জানান, তাঁর ভাই মালয়েশিয়া থেকে সম্প্রতি ছুটিতে বাড়িতে এসেছেন।
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মো. ফারুক হোসেন বলেন, সুজন আলীকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানী ইসরাইল জানান, দুর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। পরে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মেহেরপুরের গাংনীতে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে সুজন আলী (৩৫) নামের প্রবাসফেরত এক যুবক নিহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার আড়পাড়া ইউনিয়নের উপস্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত সুজন আলী উপজেলার খড়মপুর গ্রামের ইমদাদুল হকের ছেলে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সুজন আলী খড়মপুর গ্রাম থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে আড়পাড়া যাওয়ার পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে হাসপাতালের গেটের সামনে পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে গুরুতর আহত হন। তাঁকে দ্রুত গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত ব্যক্তির বড় ভাই লাল মিয়া জানান, তাঁর ভাই মালয়েশিয়া থেকে সম্প্রতি ছুটিতে বাড়িতে এসেছেন।
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মো. ফারুক হোসেন বলেন, সুজন আলীকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানী ইসরাইল জানান, দুর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। পরে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রোগী ভর্তি, তাঁর জন্য শয্যার ব্যবস্থা, রোগীর প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষা, শয্যা পেলে মেঝে থাকার ব্যবস্থা—সবকিছুই হয়ে থাকে দালালকে টাকা দেওয়ার বিনিময়ে। হাসপাতালে নিয়মিত ঘটে চুরির ঘটনাও। এসব নিয়ে কথা বলতে গেলে হাসপাতালের নার্সরাও হয়রানির শিকার হন।
১১ মার্চ ২০২৫ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার পোড়াবাড়ি বাজারের ভেতর দিয়ে বয়ে গেছে খিরু নদ। দুই পারের মানুষের একমাত্র ভরসা এখনো ঝুঁকিপূর্ণ একটি বেইলি সেতু। এর এক পাশে ত্রিশাল, অন্য পাশে ফুলবাড়িয়া উপজেলা।
৬ ঘণ্টা আগেনিম্নমানের ইটের ওপরে কিছু ভালো ইট বিছিয়ে করা হচ্ছিল চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের একটি রাস্তার কাজ। সংবাদকর্মীদের সামনে বিষয়টি ধরা পড়ায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন শ্রমিকদের ইট উঠিয়ে ফেলার নির্দেশ দেন। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল বুধবার উপজেলার বালিথুবা পশ্চিম ইউনিয়নের সেকদি-চান্দ্রা সড়কে।
৬ ঘণ্টা আগেসাপের দংশনে আহত হয়ে ১০০ শয্যাবিশিষ্ট মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন উপজেলার পালবাড়ী গ্রামের আনছের আলী (৩৬)। তাঁর খিঁচুনি শুরু হওয়ায় তাঁকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিন্তু আনছের আলীর স্বজনেরা তাঁকে নিয়ে যান এলাকারই এক ওঝার কাছে। সেখানে গত সোমবার সন্ধ্যায় তাঁর মৃত্যু হয়।
৬ ঘণ্টা আগেত্রিশাল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার পোড়াবাড়ি বাজারের ভেতর দিয়ে বয়ে গেছে খিরু নদ। দুই পারের মানুষের একমাত্র ভরসা এখনো ঝুঁকিপূর্ণ একটি বেইলি সেতু। এর এক পাশে ত্রিশাল, অন্য পাশে ফুলবাড়িয়া উপজেলা।
এলাকাবাসীর দাবির পর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) বেইলি সেতুর পাশে নতুন পাকা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু করলেও জমি অধিগ্রহণ জটিলতায় প্রায় এক বছর ধরে কাজ বন্ধ রয়েছে। ফলে প্রতিদিন দুই উপজেলার লাখ মানুষকে ঝুঁকি নিয়ে বেইলি সেতু পার হতে হচ্ছে।
জানা গেছে, বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ‘প্রোগ্রাম ফর সাপোর্টিং রুরাল ব্রিজেস (এসইউপিআরবি)’ প্রকল্পের আওতায় ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ৭০ মিটার দীর্ঘ সেতুটি নির্মাণকাজ শুরু করে এমসিই-এমএলএম (জেভি) নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ২০২২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি কাজ শুরু হয়ে শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২৩ সালের আগস্টে। তবে জমি অধিগ্রহণের টাকা না পাওয়ায় দুই দফা মেয়াদ বাড়িয়েও কাজ শেষ হয়নি।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক মকবুল হোসেন বলেন, সেতুর তিনটি স্প্যানের মধ্যে দুটির কাজ শেষ হয়েছে। একটির কাজ আটকে আছে। ১৯ শতাংশ জমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া শেষ না হওয়ায় কাজ এগোচ্ছে না। জমি বুঝিয়ে দিলে ছয় মাসের মধ্যেই কাজ শেষ করা সম্ভব।
এদিকে গত মঙ্গলবার বিকেলে অধিগ্রহণ জটিলতা নিরসনে ভূমিমালিকদের সঙ্গে কথা বলতে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান ময়মনসিংহের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আজিম উদ্দিন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ত্রিশাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল বাকিউল বারি, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহবুবুর রহমান এবং প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তারা।
সরেজমিনে দেখা যায়, বেইলি সেতুটি নড়বড়ে। ঝুঁকি নিয়েই যানবাহন ও পথচারীরা চলাচল করছে। কিন্তু পাশেই পাকা সেতুর অধিকাংশ কাজ শেষ হলেও তা কোনো কাজে আসছে না।
স্থানীয় বাসিন্দা এনামুল হক এনাম বলেন, ‘শুনেছি, জমি অধিগ্রহণ জটিলতায় দীর্ঘদিন ধরে পাকা সেতুর কাজ থেমে আছে। বেইলি সেতুটিও ঝুঁকিপূর্ণ। কিছুদিন আগেই জরাজীর্ণ ব্রিজের পাটাতন ভেঙে পড়েছিল। ভাঙা পাটাতনে পা পড়ে বেশ কয়েকজন আহত হন। পাশে দুটি উপজেলার লাখ লাখ মানুষ এই ঝুঁকিপূর্ণ বেইলি সেতু দিয়ে নদ পার হচ্ছেন।’
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নির্মাণাধীন সেতুর কাজ সম্পন্ন করতে অন্তত ১০টি বসতঘর ভাঙতে হবে। এর মধ্যে স্বামীহারা বাসন্তী রানীর (৫৪) তিন শতক জমি পড়েছে। অধিগ্রহণের টাকা দেওয়ার আশ্বাস পেলে তিনি জমি ছাড়তে রাজি হয়েছেন।
এলজিইডির ত্রিশাল উপজেলা প্রকৌশলী যুবায়েত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, সেতুর ৭০ শতাংশ নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে। জমি অধিগ্রহণের জটিলতা নিরসন হলে দ্রুত অবশিষ্ট কাজ শেষ করা হবে।
ময়মনসিংহের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আজিম উদ্দিন বলেন, ‘পুরোনো বেইলি সেতু মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া জমি অধিগ্রহণের জন্য আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ৭ ধারার নোটিশ দেওয়া হবে এবং অধিগ্রহণের প্রাক্কলন তৈরি করে দ্রুত অর্থ ছাড়ের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আশা করছি, আগামী মাস দেড়েকের মধ্যে কাজ শুরু হয়ে দ্রুতই শেষ করা সম্ভব হবে।’
ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার পোড়াবাড়ি বাজারের ভেতর দিয়ে বয়ে গেছে খিরু নদ। দুই পারের মানুষের একমাত্র ভরসা এখনো ঝুঁকিপূর্ণ একটি বেইলি সেতু। এর এক পাশে ত্রিশাল, অন্য পাশে ফুলবাড়িয়া উপজেলা।
এলাকাবাসীর দাবির পর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) বেইলি সেতুর পাশে নতুন পাকা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু করলেও জমি অধিগ্রহণ জটিলতায় প্রায় এক বছর ধরে কাজ বন্ধ রয়েছে। ফলে প্রতিদিন দুই উপজেলার লাখ মানুষকে ঝুঁকি নিয়ে বেইলি সেতু পার হতে হচ্ছে।
জানা গেছে, বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ‘প্রোগ্রাম ফর সাপোর্টিং রুরাল ব্রিজেস (এসইউপিআরবি)’ প্রকল্পের আওতায় ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ৭০ মিটার দীর্ঘ সেতুটি নির্মাণকাজ শুরু করে এমসিই-এমএলএম (জেভি) নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ২০২২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি কাজ শুরু হয়ে শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২৩ সালের আগস্টে। তবে জমি অধিগ্রহণের টাকা না পাওয়ায় দুই দফা মেয়াদ বাড়িয়েও কাজ শেষ হয়নি।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক মকবুল হোসেন বলেন, সেতুর তিনটি স্প্যানের মধ্যে দুটির কাজ শেষ হয়েছে। একটির কাজ আটকে আছে। ১৯ শতাংশ জমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া শেষ না হওয়ায় কাজ এগোচ্ছে না। জমি বুঝিয়ে দিলে ছয় মাসের মধ্যেই কাজ শেষ করা সম্ভব।
এদিকে গত মঙ্গলবার বিকেলে অধিগ্রহণ জটিলতা নিরসনে ভূমিমালিকদের সঙ্গে কথা বলতে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান ময়মনসিংহের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আজিম উদ্দিন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ত্রিশাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল বাকিউল বারি, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহবুবুর রহমান এবং প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তারা।
সরেজমিনে দেখা যায়, বেইলি সেতুটি নড়বড়ে। ঝুঁকি নিয়েই যানবাহন ও পথচারীরা চলাচল করছে। কিন্তু পাশেই পাকা সেতুর অধিকাংশ কাজ শেষ হলেও তা কোনো কাজে আসছে না।
স্থানীয় বাসিন্দা এনামুল হক এনাম বলেন, ‘শুনেছি, জমি অধিগ্রহণ জটিলতায় দীর্ঘদিন ধরে পাকা সেতুর কাজ থেমে আছে। বেইলি সেতুটিও ঝুঁকিপূর্ণ। কিছুদিন আগেই জরাজীর্ণ ব্রিজের পাটাতন ভেঙে পড়েছিল। ভাঙা পাটাতনে পা পড়ে বেশ কয়েকজন আহত হন। পাশে দুটি উপজেলার লাখ লাখ মানুষ এই ঝুঁকিপূর্ণ বেইলি সেতু দিয়ে নদ পার হচ্ছেন।’
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নির্মাণাধীন সেতুর কাজ সম্পন্ন করতে অন্তত ১০টি বসতঘর ভাঙতে হবে। এর মধ্যে স্বামীহারা বাসন্তী রানীর (৫৪) তিন শতক জমি পড়েছে। অধিগ্রহণের টাকা দেওয়ার আশ্বাস পেলে তিনি জমি ছাড়তে রাজি হয়েছেন।
এলজিইডির ত্রিশাল উপজেলা প্রকৌশলী যুবায়েত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, সেতুর ৭০ শতাংশ নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে। জমি অধিগ্রহণের জটিলতা নিরসন হলে দ্রুত অবশিষ্ট কাজ শেষ করা হবে।
ময়মনসিংহের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আজিম উদ্দিন বলেন, ‘পুরোনো বেইলি সেতু মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া জমি অধিগ্রহণের জন্য আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ৭ ধারার নোটিশ দেওয়া হবে এবং অধিগ্রহণের প্রাক্কলন তৈরি করে দ্রুত অর্থ ছাড়ের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আশা করছি, আগামী মাস দেড়েকের মধ্যে কাজ শুরু হয়ে দ্রুতই শেষ করা সম্ভব হবে।’
রোগী ভর্তি, তাঁর জন্য শয্যার ব্যবস্থা, রোগীর প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষা, শয্যা পেলে মেঝে থাকার ব্যবস্থা—সবকিছুই হয়ে থাকে দালালকে টাকা দেওয়ার বিনিময়ে। হাসপাতালে নিয়মিত ঘটে চুরির ঘটনাও। এসব নিয়ে কথা বলতে গেলে হাসপাতালের নার্সরাও হয়রানির শিকার হন।
১১ মার্চ ২০২৫মেহেরপুরের গাংনীতে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে সুজন আলী (৩৫) নামের প্রবাসফেরত এক যুবক নিহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার আড়পাড়া ইউনিয়নের উপস্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত সুজন আলী উপজেলার খড়মপুর গ্রামের ইমদাদুল হকের ছেলে।
১৮ মিনিট আগেনিম্নমানের ইটের ওপরে কিছু ভালো ইট বিছিয়ে করা হচ্ছিল চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের একটি রাস্তার কাজ। সংবাদকর্মীদের সামনে বিষয়টি ধরা পড়ায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন শ্রমিকদের ইট উঠিয়ে ফেলার নির্দেশ দেন। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল বুধবার উপজেলার বালিথুবা পশ্চিম ইউনিয়নের সেকদি-চান্দ্রা সড়কে।
৬ ঘণ্টা আগেসাপের দংশনে আহত হয়ে ১০০ শয্যাবিশিষ্ট মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন উপজেলার পালবাড়ী গ্রামের আনছের আলী (৩৬)। তাঁর খিঁচুনি শুরু হওয়ায় তাঁকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিন্তু আনছের আলীর স্বজনেরা তাঁকে নিয়ে যান এলাকারই এক ওঝার কাছে। সেখানে গত সোমবার সন্ধ্যায় তাঁর মৃত্যু হয়।
৬ ঘণ্টা আগেফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি
নিম্নমানের ইটের ওপরে কিছু ভালো ইট বিছিয়ে করা হচ্ছিল চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের একটি রাস্তার কাজ। সংবাদকর্মীদের সামনে বিষয়টি ধরা পড়ায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন শ্রমিকদের ইট উঠিয়ে ফেলার নির্দেশ দেন। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল বুধবার উপজেলার বালিথুবা পশ্চিম ইউনিয়নের সেকদি-চান্দ্রা সড়কে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, নিম্নমানের ইট ঢাকতে বালু বিছিয়ে দ্রুত কাজ করছিলেন শ্রমিকেরা। অথচ এই সড়ক নির্মাণে এর আগে ধীরগতির অভিযোগ ছিল এলাকাবাসীর। কিন্তু হঠাৎ কেন সড়কের এইচবিবির কাজ করতে গিয়ে দ্রুত করছে দেখতে গিয়ে বেরিয়ে এল নিম্নমানের ইটের বিষয়টি। তাঁদের অভিযোগ, অনিয়ম ঢাকতেই এমন কাজ করছেন ঠিকাদারের লোকজন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডি) আইআরডিপি-৩ প্রকল্পের আওতায় সড়কটির কাজ হচ্ছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ফরিদগঞ্জের বালিথুবা পশ্চিম ইউনিয়নের সেকদি-চান্দ্রা সড়কের ৮২৫ মিটার ৫ কোটি ৯৭ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণের কার্যাদেশ পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এমজেএআইজেবি।
সড়ক নির্মাণের প্রথম থেকেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ধীরগতিতে মাটির কাজ ও সড়কের দুই পাশের পাইলিংয়ের কাজ করে বলে অভিযোগ ছিল এলাকাবাসীর। তাঁরা জানান, কিছুদিন ধরে সড়কের মূল কাজ (এইবিবি) শুরু করে তারা। কিন্তু এবার ধীরগতির পরিবর্তে দ্রুতগতিতে কাজ করতে থাকে। এতে সন্দেহ হয় স্থানীয় লোকজনের। অভিযোগ ওঠে, এইচবিবি কাজে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিচে নিম্নমানের ইট বিছিয়ে দ্রুত ওপরের স্তরের ইটও বিছিয়ে দিচ্ছে। ওপরে দিচ্ছে বালু, যাতে নিচের ইট না দেখা যায়।
গতকাল বুধবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকেরা এইচবিবির কাজ করছেন। নিচে নিম্নমানের ইট বিছানোর পর দ্রুত ওপরের স্তরের ইট বসাচ্ছেন। কেউ ইট বিছাচ্ছেন, আর কেউ ওপরে বালু ছিটিয়ে দিচ্ছেন। অনিয়মের মধ্য দিয়ে কাজ চলমান থাকলেও প্রকৌশল বিভাগের কোনো কর্মকর্তাকে সেখানে পাওয়া যায়নি।
গণমাধ্যমকর্মীরা সেখানে উপস্থিত হয়ে নিম্নমানের ইটের বিষয়ে জানতে চাইলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন নিম্নমানের ইটের কথা স্বীকার করে শ্রমিকদের ইট উঠিয়ে ফেলার নির্দেশনা দেন।
এ সময় এলাকাবাসীর পক্ষে মিজানুর রহমান, ইব্রাহীম মিয়াসহ আরও কয়েকজন বলেন, সড়ক নির্মাণকাজও ধীরগতিতে চলচিল। এখন আবার তারা নিম্নমানের ইট এনে কাজ করছে, এই ইট বেশি দিন টিকবে না। আগেও তারা নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করেছে।
নিম্নমানের ইট ব্যবহারের বিষয়টি স্বীকার করে ঘটনাস্থলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে কাজের তদারকির দায়িত্বে থাকা হাবিবুর রহমান ভুট্টো ও শাকিল আহমেদ বলেন, ‘কিছু ইট নিম্নমানের চলে এসেছে। আমরা সড়ক থেকে সেগুলো উঠিয়ে নিচ্ছি।’ তাঁরা বলেন, এগুলোর পরিবর্তে ভালো ইট দিয়ে কাজ চলবে। এর আগে কাজের ধীরগতির বিষয়ে তাঁরা অভিযোগ করেন, এলজিইডি ছয় মাস কাজ করতে দেয়নি।
জানতে চাইলে ফরিদগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবরার আহাম্মদ বলেন, ‘নিম্নমানের ইট ব্যবহারের বিষয়টি জেনেছি। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বলেছি নিম্নমানের ইট সরিয়ে নিতে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিধিমোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
নিম্নমানের ইটের ওপরে কিছু ভালো ইট বিছিয়ে করা হচ্ছিল চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের একটি রাস্তার কাজ। সংবাদকর্মীদের সামনে বিষয়টি ধরা পড়ায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন শ্রমিকদের ইট উঠিয়ে ফেলার নির্দেশ দেন। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল বুধবার উপজেলার বালিথুবা পশ্চিম ইউনিয়নের সেকদি-চান্দ্রা সড়কে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, নিম্নমানের ইট ঢাকতে বালু বিছিয়ে দ্রুত কাজ করছিলেন শ্রমিকেরা। অথচ এই সড়ক নির্মাণে এর আগে ধীরগতির অভিযোগ ছিল এলাকাবাসীর। কিন্তু হঠাৎ কেন সড়কের এইচবিবির কাজ করতে গিয়ে দ্রুত করছে দেখতে গিয়ে বেরিয়ে এল নিম্নমানের ইটের বিষয়টি। তাঁদের অভিযোগ, অনিয়ম ঢাকতেই এমন কাজ করছেন ঠিকাদারের লোকজন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডি) আইআরডিপি-৩ প্রকল্পের আওতায় সড়কটির কাজ হচ্ছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ফরিদগঞ্জের বালিথুবা পশ্চিম ইউনিয়নের সেকদি-চান্দ্রা সড়কের ৮২৫ মিটার ৫ কোটি ৯৭ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণের কার্যাদেশ পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এমজেএআইজেবি।
সড়ক নির্মাণের প্রথম থেকেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ধীরগতিতে মাটির কাজ ও সড়কের দুই পাশের পাইলিংয়ের কাজ করে বলে অভিযোগ ছিল এলাকাবাসীর। তাঁরা জানান, কিছুদিন ধরে সড়কের মূল কাজ (এইবিবি) শুরু করে তারা। কিন্তু এবার ধীরগতির পরিবর্তে দ্রুতগতিতে কাজ করতে থাকে। এতে সন্দেহ হয় স্থানীয় লোকজনের। অভিযোগ ওঠে, এইচবিবি কাজে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিচে নিম্নমানের ইট বিছিয়ে দ্রুত ওপরের স্তরের ইটও বিছিয়ে দিচ্ছে। ওপরে দিচ্ছে বালু, যাতে নিচের ইট না দেখা যায়।
গতকাল বুধবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকেরা এইচবিবির কাজ করছেন। নিচে নিম্নমানের ইট বিছানোর পর দ্রুত ওপরের স্তরের ইট বসাচ্ছেন। কেউ ইট বিছাচ্ছেন, আর কেউ ওপরে বালু ছিটিয়ে দিচ্ছেন। অনিয়মের মধ্য দিয়ে কাজ চলমান থাকলেও প্রকৌশল বিভাগের কোনো কর্মকর্তাকে সেখানে পাওয়া যায়নি।
গণমাধ্যমকর্মীরা সেখানে উপস্থিত হয়ে নিম্নমানের ইটের বিষয়ে জানতে চাইলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন নিম্নমানের ইটের কথা স্বীকার করে শ্রমিকদের ইট উঠিয়ে ফেলার নির্দেশনা দেন।
এ সময় এলাকাবাসীর পক্ষে মিজানুর রহমান, ইব্রাহীম মিয়াসহ আরও কয়েকজন বলেন, সড়ক নির্মাণকাজও ধীরগতিতে চলচিল। এখন আবার তারা নিম্নমানের ইট এনে কাজ করছে, এই ইট বেশি দিন টিকবে না। আগেও তারা নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করেছে।
নিম্নমানের ইট ব্যবহারের বিষয়টি স্বীকার করে ঘটনাস্থলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে কাজের তদারকির দায়িত্বে থাকা হাবিবুর রহমান ভুট্টো ও শাকিল আহমেদ বলেন, ‘কিছু ইট নিম্নমানের চলে এসেছে। আমরা সড়ক থেকে সেগুলো উঠিয়ে নিচ্ছি।’ তাঁরা বলেন, এগুলোর পরিবর্তে ভালো ইট দিয়ে কাজ চলবে। এর আগে কাজের ধীরগতির বিষয়ে তাঁরা অভিযোগ করেন, এলজিইডি ছয় মাস কাজ করতে দেয়নি।
জানতে চাইলে ফরিদগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবরার আহাম্মদ বলেন, ‘নিম্নমানের ইট ব্যবহারের বিষয়টি জেনেছি। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বলেছি নিম্নমানের ইট সরিয়ে নিতে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিধিমোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
রোগী ভর্তি, তাঁর জন্য শয্যার ব্যবস্থা, রোগীর প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষা, শয্যা পেলে মেঝে থাকার ব্যবস্থা—সবকিছুই হয়ে থাকে দালালকে টাকা দেওয়ার বিনিময়ে। হাসপাতালে নিয়মিত ঘটে চুরির ঘটনাও। এসব নিয়ে কথা বলতে গেলে হাসপাতালের নার্সরাও হয়রানির শিকার হন।
১১ মার্চ ২০২৫মেহেরপুরের গাংনীতে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে সুজন আলী (৩৫) নামের প্রবাসফেরত এক যুবক নিহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার আড়পাড়া ইউনিয়নের উপস্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত সুজন আলী উপজেলার খড়মপুর গ্রামের ইমদাদুল হকের ছেলে।
১৮ মিনিট আগেময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার পোড়াবাড়ি বাজারের ভেতর দিয়ে বয়ে গেছে খিরু নদ। দুই পারের মানুষের একমাত্র ভরসা এখনো ঝুঁকিপূর্ণ একটি বেইলি সেতু। এর এক পাশে ত্রিশাল, অন্য পাশে ফুলবাড়িয়া উপজেলা।
৬ ঘণ্টা আগেসাপের দংশনে আহত হয়ে ১০০ শয্যাবিশিষ্ট মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন উপজেলার পালবাড়ী গ্রামের আনছের আলী (৩৬)। তাঁর খিঁচুনি শুরু হওয়ায় তাঁকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিন্তু আনছের আলীর স্বজনেরা তাঁকে নিয়ে যান এলাকারই এক ওঝার কাছে। সেখানে গত সোমবার সন্ধ্যায় তাঁর মৃত্যু হয়।
৬ ঘণ্টা আগেআনোয়ার সাদাৎ ইমরান, টাঙ্গাইল
সাপের দংশনে আহত হয়ে ১০০ শয্যাবিশিষ্ট মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন উপজেলার পালবাড়ী গ্রামের আনছের আলী (৩৬)। তাঁর খিঁচুনি শুরু হওয়ায় তাঁকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিন্তু আনছের আলীর স্বজনেরা তাঁকে নিয়ে যান এলাকারই এক ওঝার কাছে। সেখানে গত সোমবার সন্ধ্যায় তাঁর মৃত্যু হয়।
মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সাইদুর রহমান জানান, সাপে দংশনের পর আনছের আলী অনেকটা অচেতন ছিলেন এবং তাঁর খিঁচুনি শুরু হয়েছিল। তাঁর শরীরে অ্যান্টিভেনম দেওয়ার জন্য আইসিইউ (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) প্রয়োজন। কিন্তু মধুপুরে তা নেই। তাই তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেলে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। রোগীর স্বজনেরা তাঁকে মেডিকেলে না নিয়ে ওঝার কাছে নিয়ে যান। সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়।
টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন কার্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গত ৯ মাসে ১১৯ জন রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জেলার ১২টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে রেফার (পাঠানো) করা হয়েছে। তাদের পরিণতি কি আনছের আলীর মতোই হয়েছে কি না, কেউ বলতে পারেনি।
টাঙ্গাইলের ১২টি উপজেলার মধ্যে পাহাড়ি চারটি উপজেলা মধুপুর, সখীপুর, ঘাটাইল ও মির্জাপুরে সাপের উপদ্রব একটু বেশি। অন্য ৮টি উপজেলায়ও সাপের বিচরণ রয়েছে।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য বলছে, চলতি বছরের গত ৯ মাসে মধুপুরে ২১৫ জন, সখীপুরে ২৭০ জন, মির্জাপুরে ১৬৩ জনসহ জেলায় ১ হাজার ২৭৮ জন সাপের দংশনের শিকার হয়ে সরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা নিয়েছে। তাদের মধ্যে ১ হাজার ১৫৫ জন সুস্থ হয়। ১১৯ জনকে রেফার করা হয়েছে এবং চারজন মৃত্যুবরণ করে।
এই হিসাবের বাইরেও বহু মানুষ সাপের দংশনে আহত হয়ে কবিরাজ এবং ওঝার কাছে গিয়ে চিকিৎসা নেয়। তাদের অনেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরে, আবার কারও কারও জীবনাবসান ঘটে সাপের বিষে নীল হয়ে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন চিকিৎসক জানান, সাপে কাটা রোগীদের চিকিৎসার জন্য প্রতিটি উপজেলায় প্রশিক্ষিত চিকিৎসক আছেন। ভ্যাকসিন অ্যান্টিভেনমও রয়েছে। কিন্তু উপজেলা পর্যায়ের কোনো স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আইসিইউ নেই। তাই ঝুঁকিপূর্ণ রোগীদের জেলা সদরে পাঠানো হয়। কারণ, রোগীর মৃত্যু হলে অনেকে চিকিৎসকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে থাকে। চিকিৎসকেরা অনেকটা বাধ্য হয়েই ঝুঁকি নেন না।
আনছের আলীর ভাতিজা ইমরান হোসেন বলেন, সোমবার সন্ধ্যায় চাচা বংশাই নদে মাছ ধরতে যান। এ সময় বিষধর সাপ তাঁকে ছোবল দেয়। এ সময় তিনি সাপের দিকে টর্চলাইট ধরলে সাপটি আবার তাঁকে ছোবল দিতে আসে। তখন চাচা তাঁর হাতে থাকা ফছকা (মাঝ ধরার দেশীয় যন্ত্র) দিয়ে সাপ আটকান এবং পরে পিটিয়ে মেরে বাড়িতে আসেন। এরই মধ্যে চাচার অবস্থার অবনতি ঘটলে মধুপুর হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। রোগীর অবস্থা বেগতিক দেখে তাঁরা ওঝার কাছে নিয়ে যান। সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়।
ওঝা আনোয়ার হোসেন বানুরগাছী মাদরাসার হেড মোহাদ্দিছ। তিনি তুলা রাশির লোকের সহযোগিতা নিয়ে ঝাড়ফুঁক দিয়ে রোগীকে সুস্থ করে তোলেন। তাঁর ভাষ্য, প্রতিদিন তিনি দু-তিনজন সাপে কাটা রোগীর চিকিৎসা দেন। গত ৯ মাসে প্রায় ৮০০ সাপে কাটা রোগীকে চিকিৎসা করেছেন তিনি।
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ফরাজী মো. আজমল হোসেন বলেন, ‘সবার আগে আমাদের সচেতনতা প্রয়োজন। সাপে দংশন করলে সঙ্গে সঙ্গে ওঝার কাছে ছোটাছুটি না করে হাসপাতালে নিয়ে আসাই বাঞ্ছনীয়। প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসা দিতে পারলে রোগী অবশ্যই সুস্থ হয়ে ওঠে। মুমূর্ষু হয়ে গেলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার করতেই হবে।’ তিনি আরও জানান, টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজে যন্ত্রপাতি আছে, কিন্তু আইসিইউ চালু নেই। ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে জনবলের অভাবে আইসিইউ বন্ধ। আর ১২টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এখন পর্যন্ত আইসিইউ স্থাপনের উদ্যোগ এখনো নেওয়া সম্ভব হয়নি।
সাপের দংশনে আহত হয়ে ১০০ শয্যাবিশিষ্ট মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন উপজেলার পালবাড়ী গ্রামের আনছের আলী (৩৬)। তাঁর খিঁচুনি শুরু হওয়ায় তাঁকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিন্তু আনছের আলীর স্বজনেরা তাঁকে নিয়ে যান এলাকারই এক ওঝার কাছে। সেখানে গত সোমবার সন্ধ্যায় তাঁর মৃত্যু হয়।
মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সাইদুর রহমান জানান, সাপে দংশনের পর আনছের আলী অনেকটা অচেতন ছিলেন এবং তাঁর খিঁচুনি শুরু হয়েছিল। তাঁর শরীরে অ্যান্টিভেনম দেওয়ার জন্য আইসিইউ (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) প্রয়োজন। কিন্তু মধুপুরে তা নেই। তাই তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেলে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। রোগীর স্বজনেরা তাঁকে মেডিকেলে না নিয়ে ওঝার কাছে নিয়ে যান। সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়।
টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন কার্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গত ৯ মাসে ১১৯ জন রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জেলার ১২টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে রেফার (পাঠানো) করা হয়েছে। তাদের পরিণতি কি আনছের আলীর মতোই হয়েছে কি না, কেউ বলতে পারেনি।
টাঙ্গাইলের ১২টি উপজেলার মধ্যে পাহাড়ি চারটি উপজেলা মধুপুর, সখীপুর, ঘাটাইল ও মির্জাপুরে সাপের উপদ্রব একটু বেশি। অন্য ৮টি উপজেলায়ও সাপের বিচরণ রয়েছে।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য বলছে, চলতি বছরের গত ৯ মাসে মধুপুরে ২১৫ জন, সখীপুরে ২৭০ জন, মির্জাপুরে ১৬৩ জনসহ জেলায় ১ হাজার ২৭৮ জন সাপের দংশনের শিকার হয়ে সরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা নিয়েছে। তাদের মধ্যে ১ হাজার ১৫৫ জন সুস্থ হয়। ১১৯ জনকে রেফার করা হয়েছে এবং চারজন মৃত্যুবরণ করে।
এই হিসাবের বাইরেও বহু মানুষ সাপের দংশনে আহত হয়ে কবিরাজ এবং ওঝার কাছে গিয়ে চিকিৎসা নেয়। তাদের অনেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরে, আবার কারও কারও জীবনাবসান ঘটে সাপের বিষে নীল হয়ে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন চিকিৎসক জানান, সাপে কাটা রোগীদের চিকিৎসার জন্য প্রতিটি উপজেলায় প্রশিক্ষিত চিকিৎসক আছেন। ভ্যাকসিন অ্যান্টিভেনমও রয়েছে। কিন্তু উপজেলা পর্যায়ের কোনো স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আইসিইউ নেই। তাই ঝুঁকিপূর্ণ রোগীদের জেলা সদরে পাঠানো হয়। কারণ, রোগীর মৃত্যু হলে অনেকে চিকিৎসকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে থাকে। চিকিৎসকেরা অনেকটা বাধ্য হয়েই ঝুঁকি নেন না।
আনছের আলীর ভাতিজা ইমরান হোসেন বলেন, সোমবার সন্ধ্যায় চাচা বংশাই নদে মাছ ধরতে যান। এ সময় বিষধর সাপ তাঁকে ছোবল দেয়। এ সময় তিনি সাপের দিকে টর্চলাইট ধরলে সাপটি আবার তাঁকে ছোবল দিতে আসে। তখন চাচা তাঁর হাতে থাকা ফছকা (মাঝ ধরার দেশীয় যন্ত্র) দিয়ে সাপ আটকান এবং পরে পিটিয়ে মেরে বাড়িতে আসেন। এরই মধ্যে চাচার অবস্থার অবনতি ঘটলে মধুপুর হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। রোগীর অবস্থা বেগতিক দেখে তাঁরা ওঝার কাছে নিয়ে যান। সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়।
ওঝা আনোয়ার হোসেন বানুরগাছী মাদরাসার হেড মোহাদ্দিছ। তিনি তুলা রাশির লোকের সহযোগিতা নিয়ে ঝাড়ফুঁক দিয়ে রোগীকে সুস্থ করে তোলেন। তাঁর ভাষ্য, প্রতিদিন তিনি দু-তিনজন সাপে কাটা রোগীর চিকিৎসা দেন। গত ৯ মাসে প্রায় ৮০০ সাপে কাটা রোগীকে চিকিৎসা করেছেন তিনি।
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ফরাজী মো. আজমল হোসেন বলেন, ‘সবার আগে আমাদের সচেতনতা প্রয়োজন। সাপে দংশন করলে সঙ্গে সঙ্গে ওঝার কাছে ছোটাছুটি না করে হাসপাতালে নিয়ে আসাই বাঞ্ছনীয়। প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসা দিতে পারলে রোগী অবশ্যই সুস্থ হয়ে ওঠে। মুমূর্ষু হয়ে গেলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার করতেই হবে।’ তিনি আরও জানান, টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজে যন্ত্রপাতি আছে, কিন্তু আইসিইউ চালু নেই। ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে জনবলের অভাবে আইসিইউ বন্ধ। আর ১২টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এখন পর্যন্ত আইসিইউ স্থাপনের উদ্যোগ এখনো নেওয়া সম্ভব হয়নি।
রোগী ভর্তি, তাঁর জন্য শয্যার ব্যবস্থা, রোগীর প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষা, শয্যা পেলে মেঝে থাকার ব্যবস্থা—সবকিছুই হয়ে থাকে দালালকে টাকা দেওয়ার বিনিময়ে। হাসপাতালে নিয়মিত ঘটে চুরির ঘটনাও। এসব নিয়ে কথা বলতে গেলে হাসপাতালের নার্সরাও হয়রানির শিকার হন।
১১ মার্চ ২০২৫মেহেরপুরের গাংনীতে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে সুজন আলী (৩৫) নামের প্রবাসফেরত এক যুবক নিহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার আড়পাড়া ইউনিয়নের উপস্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত সুজন আলী উপজেলার খড়মপুর গ্রামের ইমদাদুল হকের ছেলে।
১৮ মিনিট আগেময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার পোড়াবাড়ি বাজারের ভেতর দিয়ে বয়ে গেছে খিরু নদ। দুই পারের মানুষের একমাত্র ভরসা এখনো ঝুঁকিপূর্ণ একটি বেইলি সেতু। এর এক পাশে ত্রিশাল, অন্য পাশে ফুলবাড়িয়া উপজেলা।
৬ ঘণ্টা আগেনিম্নমানের ইটের ওপরে কিছু ভালো ইট বিছিয়ে করা হচ্ছিল চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের একটি রাস্তার কাজ। সংবাদকর্মীদের সামনে বিষয়টি ধরা পড়ায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন শ্রমিকদের ইট উঠিয়ে ফেলার নির্দেশ দেন। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল বুধবার উপজেলার বালিথুবা পশ্চিম ইউনিয়নের সেকদি-চান্দ্রা সড়কে।
৬ ঘণ্টা আগে