ইফতিয়াজ নুর নিশান, উখিয়া (কক্সবাজার)

কক্সবাজারের আশ্রয়শিবিরগুলোতে প্রতিবছরই বাড়ছে নিজ দেশ মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত হয়ে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের সংখ্যা। বাংলাদেশ সরকার ও জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) যৌথভাবে করা সর্বশেষ প্রকাশিত (৩১ মে) জনসংখ্যা পরিসংখ্যানে জানা গেছে, কক্সবাজার ও ভাসানচরের ৩৪টি ক্যাম্পে বাস করা সহায়তা পাওয়া রোহিঙ্গার সংখ্যা ৯ লাখ ৬১ হাজার ১৭৫ জন। তবে বেসরকারি হিসেবে নির্যাতিত এই জনগোষ্ঠীর সাড়ে ১২ লাখের বেশি মানুষ বর্তমানে বাংলাদেশে বাস করছে।
ইউএনএইচসিআর ২০২২ সালে জানিয়েছিল, প্রতিদিন গড়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৯০ জন শিশু জন্ম নেয়। তবে এই এক বছরে রোহিঙ্গা জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং সহায়তা পান না এমন রোহিঙ্গারা হিসাবের বাইরে থাকায় ধরে নেওয়া যায় প্রতিদিন জন্ম নেওয়া রোহিঙ্গা শিশুর সংখ্যা এখন ১০০ কিংবা তার বেশি। এই রোহিঙ্গা শিশুদের ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগছে তাদের পরিবার।
এক বছর আগে (২০২২ সালের জুন) ইউএনএইচসিআরের রেজিস্ট্রেশন সেক্টরের আওতায় নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত শরণার্থী মিলিয়ে সহায়তা পায় এমন রোহিঙ্গার সংখ্যা ছিল ৯ লাখ ২৯ হাজার ৬০৬, অর্থাৎ গেল এক বছরেই এ সংখ্যা বেড়েছে ৩১ হাজার ৫৬৯।
একই পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর বাংলাদেশে নতুন করে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গার সংখ্যা ছিল ৭ লাখ ৭৩ হাজার ৯৭২।
ইউএনএইচসিআরের হিসাবে গত ছয় বছরে ১ লাখ ৮৭ হাজার ২০৩ জন শিশু জন্ম নিয়েছে। তবে জন্ম নেওয়া অনেক রোহিঙ্গা শিশু হিসেবে না আসায় প্রকৃত সংখ্যাটা আরও বেশি।
ইউএনএইচসিআরের তথ্যে জানা যায়, ১ লাখ ৯৮ হাজার ৯১০ আশ্রিত পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ৫২ শতাংশই শিশু, যাদের ৭ শতাংশের বয়স অনূর্ধ্ব ৪ বছর। এ ছাড়া ৫-১১ বছর বয়সী শিশু ১১ শতাংশ।
উখিয়া-টেকনাফের ৩৩টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রোহিঙ্গা বাস করে উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের ১৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে, যা সংখ্যায় ৫৬ হাজার ৫৭৬।
এই ক্যাম্পের ডি-৯ ব্লকের বাসিন্দা মোহাম্মদ আইয়ুব (২৯)। মাত্র এক সপ্তাহ আগেই তৃতীয় সন্তানের বাবা হয়েছেন এই রোহিঙ্গা যুবক। মা-বাবা ও তিন ভাই-বোনসহ বাংলাদেশে আসার এক বছর পর ২০১৮ সালের শেষের দিকে বিয়ে করেন তিনি। পাঁচ বছরে তার পরিবারে যোগ হয়েছে স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে।
আশ্রয়জীবনে নিজের সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত আইয়ুব বলেন, ‘নিজের দেশ ছেড়ে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছি বাঁচার জন্য। আমার ঘরে এখন তিন সন্তান আছে, যদি আমরা মিয়ানমারে ফিরতে না পারি, জানি না তাদের ভাগ্যে কী লেখা আছে।’
আজ ১১ জুলাই বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস। আশ্রিত রোহিঙ্গাদের বৃদ্ধির হার, বিশ্বের জনবহুল দেশগুলোর একটি বাংলাদেশের জন্যও তৈরি করছে নানা প্রতিকূলতা।
এদিকে ক্যাম্প এলাকায় বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসী গ্রুপ সক্রিয় থাকার ফলে প্রতিদিনই ঘটছে হত্যাকাণ্ড, অপহরণসহ বিভিন্ন অপরাধ। শিশুদের নিরাপত্তা নিয়েও অভিভাবকদের মাঝে উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা কাজ করছে।
গত শুক্রবার উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরসা-আরএসওর সংঘর্ষে প্রাণ হারায় পাঁচজন। গেল এক সপ্তাহেই রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আটটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
রোহিঙ্গা নেতা মোহাম্মদ জুবায়ের আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রতিদিন বিভিন্ন ঘটনায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্থিরতা বিরাজ করে, এর প্রভাব পড়ছে শিশুদের মধ্যেও। তারা ট্রমায় ভুগছে, অভিভাবকেরা নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত। এসব থেকে উত্তরণে প্রত্যাবাসনের বিকল্প নেই।’
অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শামসুদ্দৌজা নয়ন বলেন, ‘আশ্রিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার প্রায় সাড়ে ৩ শতাংশ। প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও মিয়ানমারে রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক শোষণ ও তীব্র বৈষম্যের কারণে বাংলাদেশে মানবিক আশ্রয় নেওয়া এই জনগোষ্ঠীকে সহায়তা দেওয়া অব্যাহত আছে।’

কক্সবাজারের আশ্রয়শিবিরগুলোতে প্রতিবছরই বাড়ছে নিজ দেশ মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত হয়ে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের সংখ্যা। বাংলাদেশ সরকার ও জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) যৌথভাবে করা সর্বশেষ প্রকাশিত (৩১ মে) জনসংখ্যা পরিসংখ্যানে জানা গেছে, কক্সবাজার ও ভাসানচরের ৩৪টি ক্যাম্পে বাস করা সহায়তা পাওয়া রোহিঙ্গার সংখ্যা ৯ লাখ ৬১ হাজার ১৭৫ জন। তবে বেসরকারি হিসেবে নির্যাতিত এই জনগোষ্ঠীর সাড়ে ১২ লাখের বেশি মানুষ বর্তমানে বাংলাদেশে বাস করছে।
ইউএনএইচসিআর ২০২২ সালে জানিয়েছিল, প্রতিদিন গড়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৯০ জন শিশু জন্ম নেয়। তবে এই এক বছরে রোহিঙ্গা জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং সহায়তা পান না এমন রোহিঙ্গারা হিসাবের বাইরে থাকায় ধরে নেওয়া যায় প্রতিদিন জন্ম নেওয়া রোহিঙ্গা শিশুর সংখ্যা এখন ১০০ কিংবা তার বেশি। এই রোহিঙ্গা শিশুদের ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগছে তাদের পরিবার।
এক বছর আগে (২০২২ সালের জুন) ইউএনএইচসিআরের রেজিস্ট্রেশন সেক্টরের আওতায় নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত শরণার্থী মিলিয়ে সহায়তা পায় এমন রোহিঙ্গার সংখ্যা ছিল ৯ লাখ ২৯ হাজার ৬০৬, অর্থাৎ গেল এক বছরেই এ সংখ্যা বেড়েছে ৩১ হাজার ৫৬৯।
একই পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর বাংলাদেশে নতুন করে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গার সংখ্যা ছিল ৭ লাখ ৭৩ হাজার ৯৭২।
ইউএনএইচসিআরের হিসাবে গত ছয় বছরে ১ লাখ ৮৭ হাজার ২০৩ জন শিশু জন্ম নিয়েছে। তবে জন্ম নেওয়া অনেক রোহিঙ্গা শিশু হিসেবে না আসায় প্রকৃত সংখ্যাটা আরও বেশি।
ইউএনএইচসিআরের তথ্যে জানা যায়, ১ লাখ ৯৮ হাজার ৯১০ আশ্রিত পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ৫২ শতাংশই শিশু, যাদের ৭ শতাংশের বয়স অনূর্ধ্ব ৪ বছর। এ ছাড়া ৫-১১ বছর বয়সী শিশু ১১ শতাংশ।
উখিয়া-টেকনাফের ৩৩টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রোহিঙ্গা বাস করে উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের ১৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে, যা সংখ্যায় ৫৬ হাজার ৫৭৬।
এই ক্যাম্পের ডি-৯ ব্লকের বাসিন্দা মোহাম্মদ আইয়ুব (২৯)। মাত্র এক সপ্তাহ আগেই তৃতীয় সন্তানের বাবা হয়েছেন এই রোহিঙ্গা যুবক। মা-বাবা ও তিন ভাই-বোনসহ বাংলাদেশে আসার এক বছর পর ২০১৮ সালের শেষের দিকে বিয়ে করেন তিনি। পাঁচ বছরে তার পরিবারে যোগ হয়েছে স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে।
আশ্রয়জীবনে নিজের সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত আইয়ুব বলেন, ‘নিজের দেশ ছেড়ে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছি বাঁচার জন্য। আমার ঘরে এখন তিন সন্তান আছে, যদি আমরা মিয়ানমারে ফিরতে না পারি, জানি না তাদের ভাগ্যে কী লেখা আছে।’
আজ ১১ জুলাই বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস। আশ্রিত রোহিঙ্গাদের বৃদ্ধির হার, বিশ্বের জনবহুল দেশগুলোর একটি বাংলাদেশের জন্যও তৈরি করছে নানা প্রতিকূলতা।
এদিকে ক্যাম্প এলাকায় বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসী গ্রুপ সক্রিয় থাকার ফলে প্রতিদিনই ঘটছে হত্যাকাণ্ড, অপহরণসহ বিভিন্ন অপরাধ। শিশুদের নিরাপত্তা নিয়েও অভিভাবকদের মাঝে উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা কাজ করছে।
গত শুক্রবার উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরসা-আরএসওর সংঘর্ষে প্রাণ হারায় পাঁচজন। গেল এক সপ্তাহেই রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আটটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
রোহিঙ্গা নেতা মোহাম্মদ জুবায়ের আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রতিদিন বিভিন্ন ঘটনায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্থিরতা বিরাজ করে, এর প্রভাব পড়ছে শিশুদের মধ্যেও। তারা ট্রমায় ভুগছে, অভিভাবকেরা নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত। এসব থেকে উত্তরণে প্রত্যাবাসনের বিকল্প নেই।’
অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শামসুদ্দৌজা নয়ন বলেন, ‘আশ্রিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার প্রায় সাড়ে ৩ শতাংশ। প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও মিয়ানমারে রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক শোষণ ও তীব্র বৈষম্যের কারণে বাংলাদেশে মানবিক আশ্রয় নেওয়া এই জনগোষ্ঠীকে সহায়তা দেওয়া অব্যাহত আছে।’

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যার ঘটনায় গৃহকর্মী আয়েশাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার দুপুরে ঝালকাঠি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
১৫ মিনিট আগে
জীবন আছে যার, তার মৃত্যু অনিবার্য। মৃত্যুর পর মানুষের শেষ ঠিকানা কবর। মৃতদেহ গোসল করিয়ে কাফন পরানো হয়, জানাজা শেষে তাকে শায়িত করা হয় চিরনিদ্রার ঘরে। এই কবর খোঁড়ার দায়িত্বটি গ্রামের কিছু মানুষ বহু বছর ধরে স্বেচ্ছায়, বিনা পারিশ্রমিকে পালন করে আসছেন, যাঁরা সবার কাছে ‘গোরখোদক’ নামে পরিচিত। আল্লাহর
১ ঘণ্টা আগে
গাজীপুরের শ্রীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে কারখানার ফটকের সামনে বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকেরা। আন্দোলনের মুখে কারখানা কর্তৃপক্ষ প্রধান ফটক তালাবদ্ধ করে সটকে পড়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে শিল্প ও থানা-পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসেছেন। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের সাইটালিয়া গ্রামে
২ ঘণ্টা আগে
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নাকুগাঁও সীমান্ত দিয়ে ছয় বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের হস্তান্তর করা হয়।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যার ঘটনায় গৃহকর্মী আয়েশাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার দুপুরে ঝালকাঠি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন তেজগাঁও বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার আব্দুল্লাহ আল মামুন।
মামুন বলেন, গৃহকর্মী আয়েশাকে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঝালকাঠি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত সোমবার সকালে শাহজাহান রোডের ১৪ তলা একটি আবাসিক ভবনের সপ্তম তলায় লায়লা আফরোজ (৪৮) ও তাঁর মেয়ে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিয়াকে (১৫) ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।
গতকাল তাঁদের মরদেহ নাটোরে দাফন করা হয়েছে। মামলার এজাহারে বাসা থেকে মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার, নগদ টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র খোয়া যাওয়ার কথা বলা হয়েছে।
ভবনের ভেতরের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, হত্যাকাণ্ডের পর এক নারী স্কুলড্রেস পরে কাঁধে ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন। চার দিন আগে আয়েশা পরিচয় দিয়ে ওই বাসায় গৃহকর্মীর কাজ নেওয়া তরুণী (২০) এই জোড়া খুনে জড়িত বলে সন্দেহ স্বজনদের। ঘটনার পর থেকে ওই তরুণী পলাতক।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যার ঘটনায় গৃহকর্মী আয়েশাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার দুপুরে ঝালকাঠি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন তেজগাঁও বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার আব্দুল্লাহ আল মামুন।
মামুন বলেন, গৃহকর্মী আয়েশাকে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঝালকাঠি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত সোমবার সকালে শাহজাহান রোডের ১৪ তলা একটি আবাসিক ভবনের সপ্তম তলায় লায়লা আফরোজ (৪৮) ও তাঁর মেয়ে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিয়াকে (১৫) ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।
গতকাল তাঁদের মরদেহ নাটোরে দাফন করা হয়েছে। মামলার এজাহারে বাসা থেকে মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার, নগদ টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র খোয়া যাওয়ার কথা বলা হয়েছে।
ভবনের ভেতরের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, হত্যাকাণ্ডের পর এক নারী স্কুলড্রেস পরে কাঁধে ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন। চার দিন আগে আয়েশা পরিচয় দিয়ে ওই বাসায় গৃহকর্মীর কাজ নেওয়া তরুণী (২০) এই জোড়া খুনে জড়িত বলে সন্দেহ স্বজনদের। ঘটনার পর থেকে ওই তরুণী পলাতক।

কক্সবাজারের আশ্রয়শিবিরগুলোতে প্রতিবছরই বাড়ছে নিজ দেশ মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত হয়ে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের সংখ্যা। বাংলাদেশ সরকার ও জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) যৌথভাবে করা সর্বশেষ প্রকাশিত জনসংখ্যা পরিসংখ্যানে জানা গেছে, কক্সবাজার ও ভাসানচরের ৩৪টি ক্যাম্পে বাস করা সহায়তা পাওয়া রোহিঙ্গার সং
১১ জুলাই ২০২৩
জীবন আছে যার, তার মৃত্যু অনিবার্য। মৃত্যুর পর মানুষের শেষ ঠিকানা কবর। মৃতদেহ গোসল করিয়ে কাফন পরানো হয়, জানাজা শেষে তাকে শায়িত করা হয় চিরনিদ্রার ঘরে। এই কবর খোঁড়ার দায়িত্বটি গ্রামের কিছু মানুষ বহু বছর ধরে স্বেচ্ছায়, বিনা পারিশ্রমিকে পালন করে আসছেন, যাঁরা সবার কাছে ‘গোরখোদক’ নামে পরিচিত। আল্লাহর
১ ঘণ্টা আগে
গাজীপুরের শ্রীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে কারখানার ফটকের সামনে বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকেরা। আন্দোলনের মুখে কারখানা কর্তৃপক্ষ প্রধান ফটক তালাবদ্ধ করে সটকে পড়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে শিল্প ও থানা-পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসেছেন। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের সাইটালিয়া গ্রামে
২ ঘণ্টা আগে
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নাকুগাঁও সীমান্ত দিয়ে ছয় বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের হস্তান্তর করা হয়।
২ ঘণ্টা আগেগাংনী (মেহেরপুর) প্রতিনিধি

জীবন আছে যার, তার মৃত্যু অনিবার্য। মৃত্যুর পর মানুষের শেষ ঠিকানা কবর। মৃতদেহ গোসল করিয়ে কাফন পরানো হয়, জানাজা শেষে তাকে শায়িত করা হয় চিরনিদ্রার ঘরে। এই কবর খোঁড়ার দায়িত্বটি গ্রামের কিছু মানুষ বহু বছর ধরে স্বেচ্ছায়, বিনা পারিশ্রমিকে পালন করে আসছেন, যাঁরা সবার কাছে ‘গোরখোদক’ নামে পরিচিত। আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় তাঁরা করে থাকেন এই কাজ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গোরখোদকেরা কোনো পারিশ্রমিক নেন না। গ্রামের যে কেউ মারা যাক, নিজেদের ব্যস্ততা ফেলে তাঁরা ছুটে আসেন কবর খুঁড়তে। তাঁদের এই মানবিক কাজের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে গ্রামের লোকেরা দোয়া করেন—আল্লাহ যেন তাদের সুস্থ ও ভালো রাখেন।
দেবীপুর গ্রামের বাসিন্দা গোরখোদক মজিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ৫৫ বছর ধরে কবর খুঁড়ছি। যত দিন সুস্থ থাকব, এই কাজ চালিয়ে যাব। আমাদের গ্রাম ছাড়াও অন্য গ্রাম থেকে কেউ ডাকলে সেখানেও যাই। ছোটবেলায় ওস্তাদের কাছে ডালি ধরেই শিখেছি। গরিব মানুষ, মাঠে কাজ করি; কিন্তু কেউ মারা গেলে দ্বিধা করি না—এই কাজ আমার নেশায় পরিণত হয়েছে।’
মজিরুল আরও জানান, এখন তিনি তরুণদেরও এই কাজ শেখাচ্ছেন।

গোরখোদক শাকের আলী বলেন, ‘আমরা নিঃস্বার্থভাবে কাজ করি। কখনো কোনো টাকা নিই না। যেখানেই থাকি, গ্রামের কারও মৃত্যুর সংবাদ শুনলে দ্রুত কবর খুঁড়তে চলে আসি।’
গোরখোদক ফুয়াদ হোসেন বলেন, ‘অন্য গ্রাম থেকে ডাক এলেও আমরা যাই। আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই করি এই কাজ। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’
স্থানীয় বাসিন্দা শাজাহান আলী বলেন, ‘কবর খোঁড়া বড় দায়িত্বের কাজ। গ্রামের এসব মানুষ খবর পেলেই দৌড়ে আসে। আমরা তাদের জন্য দোয়া করি।’
মাওলানা মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘মৃত ব্যক্তির জন্য কবর খোঁড়া নিঃসন্দেহে সওয়াবের কাজ। হাদিসে এসেছে—যাঁরা কবর খোঁড়েন, আল্লাহ তাদের জন্য জান্নাতে ঘর নির্মাণ করবেন।’

জীবন আছে যার, তার মৃত্যু অনিবার্য। মৃত্যুর পর মানুষের শেষ ঠিকানা কবর। মৃতদেহ গোসল করিয়ে কাফন পরানো হয়, জানাজা শেষে তাকে শায়িত করা হয় চিরনিদ্রার ঘরে। এই কবর খোঁড়ার দায়িত্বটি গ্রামের কিছু মানুষ বহু বছর ধরে স্বেচ্ছায়, বিনা পারিশ্রমিকে পালন করে আসছেন, যাঁরা সবার কাছে ‘গোরখোদক’ নামে পরিচিত। আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় তাঁরা করে থাকেন এই কাজ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গোরখোদকেরা কোনো পারিশ্রমিক নেন না। গ্রামের যে কেউ মারা যাক, নিজেদের ব্যস্ততা ফেলে তাঁরা ছুটে আসেন কবর খুঁড়তে। তাঁদের এই মানবিক কাজের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে গ্রামের লোকেরা দোয়া করেন—আল্লাহ যেন তাদের সুস্থ ও ভালো রাখেন।
দেবীপুর গ্রামের বাসিন্দা গোরখোদক মজিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ৫৫ বছর ধরে কবর খুঁড়ছি। যত দিন সুস্থ থাকব, এই কাজ চালিয়ে যাব। আমাদের গ্রাম ছাড়াও অন্য গ্রাম থেকে কেউ ডাকলে সেখানেও যাই। ছোটবেলায় ওস্তাদের কাছে ডালি ধরেই শিখেছি। গরিব মানুষ, মাঠে কাজ করি; কিন্তু কেউ মারা গেলে দ্বিধা করি না—এই কাজ আমার নেশায় পরিণত হয়েছে।’
মজিরুল আরও জানান, এখন তিনি তরুণদেরও এই কাজ শেখাচ্ছেন।

গোরখোদক শাকের আলী বলেন, ‘আমরা নিঃস্বার্থভাবে কাজ করি। কখনো কোনো টাকা নিই না। যেখানেই থাকি, গ্রামের কারও মৃত্যুর সংবাদ শুনলে দ্রুত কবর খুঁড়তে চলে আসি।’
গোরখোদক ফুয়াদ হোসেন বলেন, ‘অন্য গ্রাম থেকে ডাক এলেও আমরা যাই। আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই করি এই কাজ। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’
স্থানীয় বাসিন্দা শাজাহান আলী বলেন, ‘কবর খোঁড়া বড় দায়িত্বের কাজ। গ্রামের এসব মানুষ খবর পেলেই দৌড়ে আসে। আমরা তাদের জন্য দোয়া করি।’
মাওলানা মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘মৃত ব্যক্তির জন্য কবর খোঁড়া নিঃসন্দেহে সওয়াবের কাজ। হাদিসে এসেছে—যাঁরা কবর খোঁড়েন, আল্লাহ তাদের জন্য জান্নাতে ঘর নির্মাণ করবেন।’

কক্সবাজারের আশ্রয়শিবিরগুলোতে প্রতিবছরই বাড়ছে নিজ দেশ মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত হয়ে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের সংখ্যা। বাংলাদেশ সরকার ও জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) যৌথভাবে করা সর্বশেষ প্রকাশিত জনসংখ্যা পরিসংখ্যানে জানা গেছে, কক্সবাজার ও ভাসানচরের ৩৪টি ক্যাম্পে বাস করা সহায়তা পাওয়া রোহিঙ্গার সং
১১ জুলাই ২০২৩
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যার ঘটনায় গৃহকর্মী আয়েশাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার দুপুরে ঝালকাঠি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
১৫ মিনিট আগে
গাজীপুরের শ্রীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে কারখানার ফটকের সামনে বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকেরা। আন্দোলনের মুখে কারখানা কর্তৃপক্ষ প্রধান ফটক তালাবদ্ধ করে সটকে পড়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে শিল্প ও থানা-পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসেছেন। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের সাইটালিয়া গ্রামে
২ ঘণ্টা আগে
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নাকুগাঁও সীমান্ত দিয়ে ছয় বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের হস্তান্তর করা হয়।
২ ঘণ্টা আগেশ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি

গাজীপুরের শ্রীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে কারখানার ফটকের সামনে বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকেরা। আন্দোলনের মুখে কারখানা কর্তৃপক্ষ প্রধান ফটক তালাবদ্ধ করে সটকে পড়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে শিল্প ও থানা-পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসেছেন। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের সাইটালিয়া গ্রামে ক্যাটেক্স ফ্যাশন ক্লোথিং লিমিটেড কারখানায় এই ঘটনা ঘটে।
কারখানার নারী শ্রমিক মিনারা আক্তার বলেন, ‘অক্টোবর ও নভেম্বর মাসের বেতন পরিশোধ করে নাই। এক মাসের বেতন না পেলে আমাদের চলা খুবই কঠিন হয়। আমাদের নাওয়া-খাওয়া বন্ধ হয়। আর সেখানে কারখানা কর্তৃপক্ষ দুই মাসের বেতনভাতা বকেয়া রেখেছে। আজ সকালে শ্রমিকেরা জড়ো হলে তারা পালিয়ে যায়।’
মিন্টু নামের এক শ্রমিক বলেন, ‘এই কারখানায় আমরা তিন বছর ধরে চাকরি করছি। আমাদের বেতনের বাইরে কোনো সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে না। তবু পেটের দায়ে চাকরি করি। দুই মাসের বেতন বকেয়া। আমাদের তো পেট আছে, সন্তান-সংসার আছে। এক মাস দোকান বাকি পরিশোধ করতে না পারলে পরের মাসে আর দোকানি বাকি দেয় না। আমরা কী অবস্থায় আছি, একবার ভাবুন। বেতন পরিশোধ না করে তারা পালিয়ে গেছে।’

মেহেদী হাসান বলেন, ‘এত দিন ধরে ঋণ করে বলে-কয়ে দোকান থেকে বাকি নিয়ে চলছি। আর পারছি না। এখন দোকান বাকি দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। অক্টোবর মাসের বকেয়া বেতন নিয়ে কমপক্ষে ১০টি তারিখ দিছে। কিন্তু কারখানা কর্তৃপক্ষ বেতন পরিশোধ করেনি। শেষে আজ বেতন পরিশোধের কথা ছিল। কিন্তু তারা কারখানা ফটকে তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে গেছে।’
কারখানার হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. বুলবুল হাসান বলেন, ‘ব্যাংকের সমস্যার কারণে বেতন-ভাতা পরিশোধ করা যাচ্ছে না। আশা করি, আজকের মধ্যে নভেম্বর মাসের বেতন পরিশোধ করতে পারব।’ বিনা নোটিশে কারখানার ফটক কেন তালাবদ্ধ? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমি বলতে পারব না।’
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাছির আহমদ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

গাজীপুরের শ্রীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে কারখানার ফটকের সামনে বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকেরা। আন্দোলনের মুখে কারখানা কর্তৃপক্ষ প্রধান ফটক তালাবদ্ধ করে সটকে পড়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে শিল্প ও থানা-পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসেছেন। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের সাইটালিয়া গ্রামে ক্যাটেক্স ফ্যাশন ক্লোথিং লিমিটেড কারখানায় এই ঘটনা ঘটে।
কারখানার নারী শ্রমিক মিনারা আক্তার বলেন, ‘অক্টোবর ও নভেম্বর মাসের বেতন পরিশোধ করে নাই। এক মাসের বেতন না পেলে আমাদের চলা খুবই কঠিন হয়। আমাদের নাওয়া-খাওয়া বন্ধ হয়। আর সেখানে কারখানা কর্তৃপক্ষ দুই মাসের বেতনভাতা বকেয়া রেখেছে। আজ সকালে শ্রমিকেরা জড়ো হলে তারা পালিয়ে যায়।’
মিন্টু নামের এক শ্রমিক বলেন, ‘এই কারখানায় আমরা তিন বছর ধরে চাকরি করছি। আমাদের বেতনের বাইরে কোনো সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে না। তবু পেটের দায়ে চাকরি করি। দুই মাসের বেতন বকেয়া। আমাদের তো পেট আছে, সন্তান-সংসার আছে। এক মাস দোকান বাকি পরিশোধ করতে না পারলে পরের মাসে আর দোকানি বাকি দেয় না। আমরা কী অবস্থায় আছি, একবার ভাবুন। বেতন পরিশোধ না করে তারা পালিয়ে গেছে।’

মেহেদী হাসান বলেন, ‘এত দিন ধরে ঋণ করে বলে-কয়ে দোকান থেকে বাকি নিয়ে চলছি। আর পারছি না। এখন দোকান বাকি দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। অক্টোবর মাসের বকেয়া বেতন নিয়ে কমপক্ষে ১০টি তারিখ দিছে। কিন্তু কারখানা কর্তৃপক্ষ বেতন পরিশোধ করেনি। শেষে আজ বেতন পরিশোধের কথা ছিল। কিন্তু তারা কারখানা ফটকে তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে গেছে।’
কারখানার হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. বুলবুল হাসান বলেন, ‘ব্যাংকের সমস্যার কারণে বেতন-ভাতা পরিশোধ করা যাচ্ছে না। আশা করি, আজকের মধ্যে নভেম্বর মাসের বেতন পরিশোধ করতে পারব।’ বিনা নোটিশে কারখানার ফটক কেন তালাবদ্ধ? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমি বলতে পারব না।’
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাছির আহমদ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

কক্সবাজারের আশ্রয়শিবিরগুলোতে প্রতিবছরই বাড়ছে নিজ দেশ মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত হয়ে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের সংখ্যা। বাংলাদেশ সরকার ও জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) যৌথভাবে করা সর্বশেষ প্রকাশিত জনসংখ্যা পরিসংখ্যানে জানা গেছে, কক্সবাজার ও ভাসানচরের ৩৪টি ক্যাম্পে বাস করা সহায়তা পাওয়া রোহিঙ্গার সং
১১ জুলাই ২০২৩
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যার ঘটনায় গৃহকর্মী আয়েশাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার দুপুরে ঝালকাঠি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
১৫ মিনিট আগে
জীবন আছে যার, তার মৃত্যু অনিবার্য। মৃত্যুর পর মানুষের শেষ ঠিকানা কবর। মৃতদেহ গোসল করিয়ে কাফন পরানো হয়, জানাজা শেষে তাকে শায়িত করা হয় চিরনিদ্রার ঘরে। এই কবর খোঁড়ার দায়িত্বটি গ্রামের কিছু মানুষ বহু বছর ধরে স্বেচ্ছায়, বিনা পারিশ্রমিকে পালন করে আসছেন, যাঁরা সবার কাছে ‘গোরখোদক’ নামে পরিচিত। আল্লাহর
১ ঘণ্টা আগে
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নাকুগাঁও সীমান্ত দিয়ে ছয় বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের হস্তান্তর করা হয়।
২ ঘণ্টা আগেনালিতাবাড়ী (শেরপুর) প্রতিনিধি

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নাকুগাঁও সীমান্ত দিয়ে ছয় বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের হস্তান্তর করা হয়।
হস্তান্তর হওয়া মৎস্যজীবীরা কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলার বাসিন্দা। তাঁরা হলেন আবুল হোসেনের ছেলে রাসেল মিয়া (৩৫), বাহাদুর মিয়ার ছেলে বিপ্লব মিয়া (৪৫), ইসহাক আলীর ছেলে মীর জাফর আলী (৪৫), ইছাক আলীর ছেলে বকুল মিয়া (৩২), ফকির আলীর ছেলে আমের আলী (৩৫), সলিমুদ্দিন ব্যাপারীর ছেলে চাঁন মিয়া (৬০)।
বিজিবি ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৪ নভেম্বর জিঞ্জিরাম নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে ভুলক্রমে সীমান্ত অতিক্রম করে তাঁরা ভারতের ভেতরে প্রবেশ করেন। এ সময় স্থানীয় পুলিশ ও বিএসএফ সদস্যরা তাঁদের আটক করে। অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে তাঁরা সেখানে প্রায় ১৩ মাস সাজা ভোগ করেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সন্ধ্যায় শেরপুর ৩৯ বিজিবির দায়িত্বে থাকা এলাকার হাতিপাগার বিজিবি কোয়ার্টার মাস্টার মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে ভারতের কিল্লাপাড়া বিএসএফ ক্যাম্পের সঙ্গে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে বিএসএফ ছয় বাংলাদেশি নাগরিককে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে। এ সময় নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান বলেন, আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর তাঁদেরকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নাকুগাঁও সীমান্ত দিয়ে ছয় বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের হস্তান্তর করা হয়।
হস্তান্তর হওয়া মৎস্যজীবীরা কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলার বাসিন্দা। তাঁরা হলেন আবুল হোসেনের ছেলে রাসেল মিয়া (৩৫), বাহাদুর মিয়ার ছেলে বিপ্লব মিয়া (৪৫), ইসহাক আলীর ছেলে মীর জাফর আলী (৪৫), ইছাক আলীর ছেলে বকুল মিয়া (৩২), ফকির আলীর ছেলে আমের আলী (৩৫), সলিমুদ্দিন ব্যাপারীর ছেলে চাঁন মিয়া (৬০)।
বিজিবি ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৪ নভেম্বর জিঞ্জিরাম নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে ভুলক্রমে সীমান্ত অতিক্রম করে তাঁরা ভারতের ভেতরে প্রবেশ করেন। এ সময় স্থানীয় পুলিশ ও বিএসএফ সদস্যরা তাঁদের আটক করে। অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে তাঁরা সেখানে প্রায় ১৩ মাস সাজা ভোগ করেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সন্ধ্যায় শেরপুর ৩৯ বিজিবির দায়িত্বে থাকা এলাকার হাতিপাগার বিজিবি কোয়ার্টার মাস্টার মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে ভারতের কিল্লাপাড়া বিএসএফ ক্যাম্পের সঙ্গে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে বিএসএফ ছয় বাংলাদেশি নাগরিককে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে। এ সময় নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান বলেন, আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর তাঁদেরকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

কক্সবাজারের আশ্রয়শিবিরগুলোতে প্রতিবছরই বাড়ছে নিজ দেশ মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত হয়ে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের সংখ্যা। বাংলাদেশ সরকার ও জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) যৌথভাবে করা সর্বশেষ প্রকাশিত জনসংখ্যা পরিসংখ্যানে জানা গেছে, কক্সবাজার ও ভাসানচরের ৩৪টি ক্যাম্পে বাস করা সহায়তা পাওয়া রোহিঙ্গার সং
১১ জুলাই ২০২৩
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যার ঘটনায় গৃহকর্মী আয়েশাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার দুপুরে ঝালকাঠি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
১৫ মিনিট আগে
জীবন আছে যার, তার মৃত্যু অনিবার্য। মৃত্যুর পর মানুষের শেষ ঠিকানা কবর। মৃতদেহ গোসল করিয়ে কাফন পরানো হয়, জানাজা শেষে তাকে শায়িত করা হয় চিরনিদ্রার ঘরে। এই কবর খোঁড়ার দায়িত্বটি গ্রামের কিছু মানুষ বহু বছর ধরে স্বেচ্ছায়, বিনা পারিশ্রমিকে পালন করে আসছেন, যাঁরা সবার কাছে ‘গোরখোদক’ নামে পরিচিত। আল্লাহর
১ ঘণ্টা আগে
গাজীপুরের শ্রীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে কারখানার ফটকের সামনে বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকেরা। আন্দোলনের মুখে কারখানা কর্তৃপক্ষ প্রধান ফটক তালাবদ্ধ করে সটকে পড়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে শিল্প ও থানা-পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসেছেন। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের সাইটালিয়া গ্রামে
২ ঘণ্টা আগে