চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

কক্সবাজারের চকরিয়া থানার হাজত থেকে যুবক দুর্জয় চৌধুরীর (২৫) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশের তিন সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। একই সঙ্গে এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা পুলিশ। আজ শুক্রবার ভোরে দুর্জয়ের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশের দাবি, দুর্জয় থানাহাজতের ভেতর জানালার গ্রিলের সঙ্গে শার্ট পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
দুর্জয় চৌধুরী চকরিয়া পৌরসভার ভরামুহুরী হিন্দুপাড়ার কমল চৌধুরীর ছেলে। তিনি চকরিয়া সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়ের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর ছিলেন। বিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে প্রধান শিক্ষক তাঁকে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে থানায় দেন।
চকরিয়া থানা থেকে প্রত্যাহার করা তিন পুলিশ সদস্য হলেন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) হানিফ মিয়া, কনস্টেবল ইশরাক হোসেন ও মহিউদ্দিন। তাঁদের জেলা পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে।
এ ঘটনায় জেলা পুলিশ তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। এতে কক্সবাজার জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দীন চৌধুরীকে প্রধান করা হয়। কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) অভিজিৎ দাস ও চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত পুলিশের পরিদর্শক আনোয়ার উল ইসলাম।
এদিকে থানার ভেতর আটক যুবকের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে চকরিয়া পৌরসভার ভরামুহুরী হিন্দুপাড়ার কয়েক শ নারী-পুরুষ বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভ মিছিলটি চকরিয়া থানার সামনে এলে সেখানে স্থানীয় লোকজন যুক্ত হন। এরপর পৌর শহরের সিস্টেম কমপ্লেক্সের সামনে সড়ক অবরোধ করেন তাঁরা। এতে সড়কের দুই পাশে যানজটের সৃষ্টি হয়।

বিক্ষোভকালে চকরিয়া ইমাম সমিতির সভাপতি কফিল উদ্দিন বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, থানার হাজতখানায় কীভাবে মানুষ মারা যায়। আসামি রাখার একটা জায়গা আছে। তাঁকে মারধর করা হয়েছে কি না, খতিয়ে দেখা দরকার। তিনি আত্মহত্যা করলেন কীভাবে? নাকি তাঁকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে? এসব প্রশ্নের উত্তর চকরিয়া মানুষ জানতে চান। এ ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে।
জানা গেছে, অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গতকাল চকরিয়া সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রাবিয়া খানম থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ করে দুর্জয়কে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। দুর্জয়ের বিরুদ্ধে স্কুলের ২ লাখ ৮৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তোলেন তিনি। রাতে তাঁকে থানার হাজতে রাখা হয়।
এ বিষয়ে দুপুর ১২টার দিকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রাবিয়া খানমের মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলে তিনি বলেন, ‘মৃত্যুর ঘটনা প্রথম আপনার কাছ থেকে শুনলাম। তিনি মারা গেছেন, আমার কী যায়-আসে। এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।’
রাবিয়া খানম বলেন, ‘স্কুলের একাধিক হিসাবের (অ্যাকাউন্ট) ২১টি চেক দুর্জয় সরিয়ে ফেলেছেন। আমার স্বাক্ষর জাল করে ২ লাখ ৮৩ হাজার টাকা সরিয়ে ফেলেছেন তিনি। গতকাল ফোন করে তাঁকে স্কুলে ডেকে আনা হয়। পরে চকরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রূপায়ণ দেবের কাছে যাই। তিনি আইনের আশ্রয় নিতে বলেন। পরে চকরিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে গেলে ওসি বলেন, “এ রকম ঘটনায় এখানে জিডি হয় না।” একপর্যায়ে লিখিত অভিযোগ নিয়ে থানায় গিয়ে তাঁকে (দুর্জয়) পুলিশের কাছে হস্তান্তর করি।’
দুর্জয় চৌধুরীর বাবা কমল চৌধুরী বলেন, ‘দেড় বছর আগে আমার ছেলে স্কুলটিতে চাকরি পায়। রাবিয়া খানম আমাকেও স্কুলে ডেকেছিলেন। চুরির ঘটনা আমাকে জানালে আমরা সমাধানের চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা চাপ প্রয়োগ ও ক্ষমতা দেখিয়ে থানায় গিয়ে আমার ছেলেকে পুলিশে দেন। এখন আমার সবকিছু শেষ হয়ে গেছে। আমি প্রশাসনের কাছে এ ঘটনায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানাই।’
দুর্জয়ের মা বেবি চৌধুরী বলেন, ‘আমার ছেলেকে গতকাল রাতে রাবিয়া খানম পুলিশের কাছে তুলে দেন। আমি আমার ছেলেকে বলেছিলাম, “সকালে তোকে ছাড়িয়ে আনব।’’ কিন্তু সকালে ছেলে ফিরল ঠিকই, তবে লাশ হয়ে। এ ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করা হোক। দুর্জয়ের মৃত্যুতে যারা জড়িত, তাদের আইনের আওতায় আনা হোক।’
কক্সবাজার জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জসিম উদ্দীন চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, নিয়মানুযায়ী চকরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রূপায়ণ দেব লাশের সুরতহাল করেছেন। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর পুলিশের তিন সদস্যকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে।
জসিম উদ্দীন আরও বলেন, ‘প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটনের জন্য তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রধান আমি নিজেই। যদি তদন্তে পুলিশের কোনো গাফিলতি পাওয়া যায়, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
চকরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রূপায়ণ দেব বলেন, থানায় গিয়ে হাজতের একটি কক্ষের গ্রিলের সঙ্গে পরনের শার্ট প্যাঁচানো অবস্থায় ওই যুবকের লাশ পাওয়া যায়। শার্ট দিয়ে গলায় ফাঁস দেওয়ায় গলায় কালচে দাগ রয়েছে। এ ছাড়া তাঁর শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।

কক্সবাজারের চকরিয়া থানার হাজত থেকে যুবক দুর্জয় চৌধুরীর (২৫) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশের তিন সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। একই সঙ্গে এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা পুলিশ। আজ শুক্রবার ভোরে দুর্জয়ের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশের দাবি, দুর্জয় থানাহাজতের ভেতর জানালার গ্রিলের সঙ্গে শার্ট পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
দুর্জয় চৌধুরী চকরিয়া পৌরসভার ভরামুহুরী হিন্দুপাড়ার কমল চৌধুরীর ছেলে। তিনি চকরিয়া সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়ের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর ছিলেন। বিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে প্রধান শিক্ষক তাঁকে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে থানায় দেন।
চকরিয়া থানা থেকে প্রত্যাহার করা তিন পুলিশ সদস্য হলেন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) হানিফ মিয়া, কনস্টেবল ইশরাক হোসেন ও মহিউদ্দিন। তাঁদের জেলা পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে।
এ ঘটনায় জেলা পুলিশ তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। এতে কক্সবাজার জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দীন চৌধুরীকে প্রধান করা হয়। কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) অভিজিৎ দাস ও চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত পুলিশের পরিদর্শক আনোয়ার উল ইসলাম।
এদিকে থানার ভেতর আটক যুবকের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে চকরিয়া পৌরসভার ভরামুহুরী হিন্দুপাড়ার কয়েক শ নারী-পুরুষ বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভ মিছিলটি চকরিয়া থানার সামনে এলে সেখানে স্থানীয় লোকজন যুক্ত হন। এরপর পৌর শহরের সিস্টেম কমপ্লেক্সের সামনে সড়ক অবরোধ করেন তাঁরা। এতে সড়কের দুই পাশে যানজটের সৃষ্টি হয়।

বিক্ষোভকালে চকরিয়া ইমাম সমিতির সভাপতি কফিল উদ্দিন বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, থানার হাজতখানায় কীভাবে মানুষ মারা যায়। আসামি রাখার একটা জায়গা আছে। তাঁকে মারধর করা হয়েছে কি না, খতিয়ে দেখা দরকার। তিনি আত্মহত্যা করলেন কীভাবে? নাকি তাঁকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে? এসব প্রশ্নের উত্তর চকরিয়া মানুষ জানতে চান। এ ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে।
জানা গেছে, অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গতকাল চকরিয়া সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রাবিয়া খানম থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ করে দুর্জয়কে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। দুর্জয়ের বিরুদ্ধে স্কুলের ২ লাখ ৮৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তোলেন তিনি। রাতে তাঁকে থানার হাজতে রাখা হয়।
এ বিষয়ে দুপুর ১২টার দিকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রাবিয়া খানমের মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলে তিনি বলেন, ‘মৃত্যুর ঘটনা প্রথম আপনার কাছ থেকে শুনলাম। তিনি মারা গেছেন, আমার কী যায়-আসে। এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।’
রাবিয়া খানম বলেন, ‘স্কুলের একাধিক হিসাবের (অ্যাকাউন্ট) ২১টি চেক দুর্জয় সরিয়ে ফেলেছেন। আমার স্বাক্ষর জাল করে ২ লাখ ৮৩ হাজার টাকা সরিয়ে ফেলেছেন তিনি। গতকাল ফোন করে তাঁকে স্কুলে ডেকে আনা হয়। পরে চকরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রূপায়ণ দেবের কাছে যাই। তিনি আইনের আশ্রয় নিতে বলেন। পরে চকরিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে গেলে ওসি বলেন, “এ রকম ঘটনায় এখানে জিডি হয় না।” একপর্যায়ে লিখিত অভিযোগ নিয়ে থানায় গিয়ে তাঁকে (দুর্জয়) পুলিশের কাছে হস্তান্তর করি।’
দুর্জয় চৌধুরীর বাবা কমল চৌধুরী বলেন, ‘দেড় বছর আগে আমার ছেলে স্কুলটিতে চাকরি পায়। রাবিয়া খানম আমাকেও স্কুলে ডেকেছিলেন। চুরির ঘটনা আমাকে জানালে আমরা সমাধানের চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা চাপ প্রয়োগ ও ক্ষমতা দেখিয়ে থানায় গিয়ে আমার ছেলেকে পুলিশে দেন। এখন আমার সবকিছু শেষ হয়ে গেছে। আমি প্রশাসনের কাছে এ ঘটনায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানাই।’
দুর্জয়ের মা বেবি চৌধুরী বলেন, ‘আমার ছেলেকে গতকাল রাতে রাবিয়া খানম পুলিশের কাছে তুলে দেন। আমি আমার ছেলেকে বলেছিলাম, “সকালে তোকে ছাড়িয়ে আনব।’’ কিন্তু সকালে ছেলে ফিরল ঠিকই, তবে লাশ হয়ে। এ ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করা হোক। দুর্জয়ের মৃত্যুতে যারা জড়িত, তাদের আইনের আওতায় আনা হোক।’
কক্সবাজার জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জসিম উদ্দীন চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, নিয়মানুযায়ী চকরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রূপায়ণ দেব লাশের সুরতহাল করেছেন। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর পুলিশের তিন সদস্যকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে।
জসিম উদ্দীন আরও বলেন, ‘প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটনের জন্য তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রধান আমি নিজেই। যদি তদন্তে পুলিশের কোনো গাফিলতি পাওয়া যায়, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
চকরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রূপায়ণ দেব বলেন, থানায় গিয়ে হাজতের একটি কক্ষের গ্রিলের সঙ্গে পরনের শার্ট প্যাঁচানো অবস্থায় ওই যুবকের লাশ পাওয়া যায়। শার্ট দিয়ে গলায় ফাঁস দেওয়ায় গলায় কালচে দাগ রয়েছে। এ ছাড়া তাঁর শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

কক্সবাজারের চকরিয়া থানার হাজত থেকে যুবক দুর্জয় চৌধুরীর (২৫) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশের তিন সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। একই সঙ্গে এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা পুলিশ। আজ শুক্রবার ভোরে দুর্জয়ের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশের দাবি, দুর্জয় থানাহাজতের ভেতর জানালার গ্রিলের সঙ্গে শার্ট পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
দুর্জয় চৌধুরী চকরিয়া পৌরসভার ভরামুহুরী হিন্দুপাড়ার কমল চৌধুরীর ছেলে। তিনি চকরিয়া সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়ের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর ছিলেন। বিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে প্রধান শিক্ষক তাঁকে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে থানায় দেন।
চকরিয়া থানা থেকে প্রত্যাহার করা তিন পুলিশ সদস্য হলেন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) হানিফ মিয়া, কনস্টেবল ইশরাক হোসেন ও মহিউদ্দিন। তাঁদের জেলা পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে।
এ ঘটনায় জেলা পুলিশ তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। এতে কক্সবাজার জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দীন চৌধুরীকে প্রধান করা হয়। কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) অভিজিৎ দাস ও চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত পুলিশের পরিদর্শক আনোয়ার উল ইসলাম।
এদিকে থানার ভেতর আটক যুবকের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে চকরিয়া পৌরসভার ভরামুহুরী হিন্দুপাড়ার কয়েক শ নারী-পুরুষ বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভ মিছিলটি চকরিয়া থানার সামনে এলে সেখানে স্থানীয় লোকজন যুক্ত হন। এরপর পৌর শহরের সিস্টেম কমপ্লেক্সের সামনে সড়ক অবরোধ করেন তাঁরা। এতে সড়কের দুই পাশে যানজটের সৃষ্টি হয়।

বিক্ষোভকালে চকরিয়া ইমাম সমিতির সভাপতি কফিল উদ্দিন বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, থানার হাজতখানায় কীভাবে মানুষ মারা যায়। আসামি রাখার একটা জায়গা আছে। তাঁকে মারধর করা হয়েছে কি না, খতিয়ে দেখা দরকার। তিনি আত্মহত্যা করলেন কীভাবে? নাকি তাঁকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে? এসব প্রশ্নের উত্তর চকরিয়া মানুষ জানতে চান। এ ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে।
জানা গেছে, অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গতকাল চকরিয়া সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রাবিয়া খানম থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ করে দুর্জয়কে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। দুর্জয়ের বিরুদ্ধে স্কুলের ২ লাখ ৮৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তোলেন তিনি। রাতে তাঁকে থানার হাজতে রাখা হয়।
এ বিষয়ে দুপুর ১২টার দিকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রাবিয়া খানমের মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলে তিনি বলেন, ‘মৃত্যুর ঘটনা প্রথম আপনার কাছ থেকে শুনলাম। তিনি মারা গেছেন, আমার কী যায়-আসে। এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।’
রাবিয়া খানম বলেন, ‘স্কুলের একাধিক হিসাবের (অ্যাকাউন্ট) ২১টি চেক দুর্জয় সরিয়ে ফেলেছেন। আমার স্বাক্ষর জাল করে ২ লাখ ৮৩ হাজার টাকা সরিয়ে ফেলেছেন তিনি। গতকাল ফোন করে তাঁকে স্কুলে ডেকে আনা হয়। পরে চকরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রূপায়ণ দেবের কাছে যাই। তিনি আইনের আশ্রয় নিতে বলেন। পরে চকরিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে গেলে ওসি বলেন, “এ রকম ঘটনায় এখানে জিডি হয় না।” একপর্যায়ে লিখিত অভিযোগ নিয়ে থানায় গিয়ে তাঁকে (দুর্জয়) পুলিশের কাছে হস্তান্তর করি।’
দুর্জয় চৌধুরীর বাবা কমল চৌধুরী বলেন, ‘দেড় বছর আগে আমার ছেলে স্কুলটিতে চাকরি পায়। রাবিয়া খানম আমাকেও স্কুলে ডেকেছিলেন। চুরির ঘটনা আমাকে জানালে আমরা সমাধানের চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা চাপ প্রয়োগ ও ক্ষমতা দেখিয়ে থানায় গিয়ে আমার ছেলেকে পুলিশে দেন। এখন আমার সবকিছু শেষ হয়ে গেছে। আমি প্রশাসনের কাছে এ ঘটনায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানাই।’
দুর্জয়ের মা বেবি চৌধুরী বলেন, ‘আমার ছেলেকে গতকাল রাতে রাবিয়া খানম পুলিশের কাছে তুলে দেন। আমি আমার ছেলেকে বলেছিলাম, “সকালে তোকে ছাড়িয়ে আনব।’’ কিন্তু সকালে ছেলে ফিরল ঠিকই, তবে লাশ হয়ে। এ ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করা হোক। দুর্জয়ের মৃত্যুতে যারা জড়িত, তাদের আইনের আওতায় আনা হোক।’
কক্সবাজার জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জসিম উদ্দীন চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, নিয়মানুযায়ী চকরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রূপায়ণ দেব লাশের সুরতহাল করেছেন। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর পুলিশের তিন সদস্যকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে।
জসিম উদ্দীন আরও বলেন, ‘প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটনের জন্য তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রধান আমি নিজেই। যদি তদন্তে পুলিশের কোনো গাফিলতি পাওয়া যায়, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
চকরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রূপায়ণ দেব বলেন, থানায় গিয়ে হাজতের একটি কক্ষের গ্রিলের সঙ্গে পরনের শার্ট প্যাঁচানো অবস্থায় ওই যুবকের লাশ পাওয়া যায়। শার্ট দিয়ে গলায় ফাঁস দেওয়ায় গলায় কালচে দাগ রয়েছে। এ ছাড়া তাঁর শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।

কক্সবাজারের চকরিয়া থানার হাজত থেকে যুবক দুর্জয় চৌধুরীর (২৫) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশের তিন সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। একই সঙ্গে এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা পুলিশ। আজ শুক্রবার ভোরে দুর্জয়ের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশের দাবি, দুর্জয় থানাহাজতের ভেতর জানালার গ্রিলের সঙ্গে শার্ট পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
দুর্জয় চৌধুরী চকরিয়া পৌরসভার ভরামুহুরী হিন্দুপাড়ার কমল চৌধুরীর ছেলে। তিনি চকরিয়া সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়ের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর ছিলেন। বিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে প্রধান শিক্ষক তাঁকে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে থানায় দেন।
চকরিয়া থানা থেকে প্রত্যাহার করা তিন পুলিশ সদস্য হলেন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) হানিফ মিয়া, কনস্টেবল ইশরাক হোসেন ও মহিউদ্দিন। তাঁদের জেলা পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে।
এ ঘটনায় জেলা পুলিশ তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। এতে কক্সবাজার জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দীন চৌধুরীকে প্রধান করা হয়। কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) অভিজিৎ দাস ও চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত পুলিশের পরিদর্শক আনোয়ার উল ইসলাম।
এদিকে থানার ভেতর আটক যুবকের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে চকরিয়া পৌরসভার ভরামুহুরী হিন্দুপাড়ার কয়েক শ নারী-পুরুষ বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভ মিছিলটি চকরিয়া থানার সামনে এলে সেখানে স্থানীয় লোকজন যুক্ত হন। এরপর পৌর শহরের সিস্টেম কমপ্লেক্সের সামনে সড়ক অবরোধ করেন তাঁরা। এতে সড়কের দুই পাশে যানজটের সৃষ্টি হয়।

বিক্ষোভকালে চকরিয়া ইমাম সমিতির সভাপতি কফিল উদ্দিন বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, থানার হাজতখানায় কীভাবে মানুষ মারা যায়। আসামি রাখার একটা জায়গা আছে। তাঁকে মারধর করা হয়েছে কি না, খতিয়ে দেখা দরকার। তিনি আত্মহত্যা করলেন কীভাবে? নাকি তাঁকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে? এসব প্রশ্নের উত্তর চকরিয়া মানুষ জানতে চান। এ ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে।
জানা গেছে, অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গতকাল চকরিয়া সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রাবিয়া খানম থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ করে দুর্জয়কে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। দুর্জয়ের বিরুদ্ধে স্কুলের ২ লাখ ৮৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তোলেন তিনি। রাতে তাঁকে থানার হাজতে রাখা হয়।
এ বিষয়ে দুপুর ১২টার দিকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রাবিয়া খানমের মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলে তিনি বলেন, ‘মৃত্যুর ঘটনা প্রথম আপনার কাছ থেকে শুনলাম। তিনি মারা গেছেন, আমার কী যায়-আসে। এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।’
রাবিয়া খানম বলেন, ‘স্কুলের একাধিক হিসাবের (অ্যাকাউন্ট) ২১টি চেক দুর্জয় সরিয়ে ফেলেছেন। আমার স্বাক্ষর জাল করে ২ লাখ ৮৩ হাজার টাকা সরিয়ে ফেলেছেন তিনি। গতকাল ফোন করে তাঁকে স্কুলে ডেকে আনা হয়। পরে চকরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রূপায়ণ দেবের কাছে যাই। তিনি আইনের আশ্রয় নিতে বলেন। পরে চকরিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে গেলে ওসি বলেন, “এ রকম ঘটনায় এখানে জিডি হয় না।” একপর্যায়ে লিখিত অভিযোগ নিয়ে থানায় গিয়ে তাঁকে (দুর্জয়) পুলিশের কাছে হস্তান্তর করি।’
দুর্জয় চৌধুরীর বাবা কমল চৌধুরী বলেন, ‘দেড় বছর আগে আমার ছেলে স্কুলটিতে চাকরি পায়। রাবিয়া খানম আমাকেও স্কুলে ডেকেছিলেন। চুরির ঘটনা আমাকে জানালে আমরা সমাধানের চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা চাপ প্রয়োগ ও ক্ষমতা দেখিয়ে থানায় গিয়ে আমার ছেলেকে পুলিশে দেন। এখন আমার সবকিছু শেষ হয়ে গেছে। আমি প্রশাসনের কাছে এ ঘটনায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানাই।’
দুর্জয়ের মা বেবি চৌধুরী বলেন, ‘আমার ছেলেকে গতকাল রাতে রাবিয়া খানম পুলিশের কাছে তুলে দেন। আমি আমার ছেলেকে বলেছিলাম, “সকালে তোকে ছাড়িয়ে আনব।’’ কিন্তু সকালে ছেলে ফিরল ঠিকই, তবে লাশ হয়ে। এ ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করা হোক। দুর্জয়ের মৃত্যুতে যারা জড়িত, তাদের আইনের আওতায় আনা হোক।’
কক্সবাজার জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জসিম উদ্দীন চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, নিয়মানুযায়ী চকরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রূপায়ণ দেব লাশের সুরতহাল করেছেন। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর পুলিশের তিন সদস্যকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে।
জসিম উদ্দীন আরও বলেন, ‘প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটনের জন্য তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রধান আমি নিজেই। যদি তদন্তে পুলিশের কোনো গাফিলতি পাওয়া যায়, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
চকরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রূপায়ণ দেব বলেন, থানায় গিয়ে হাজতের একটি কক্ষের গ্রিলের সঙ্গে পরনের শার্ট প্যাঁচানো অবস্থায় ওই যুবকের লাশ পাওয়া যায়। শার্ট দিয়ে গলায় ফাঁস দেওয়ায় গলায় কালচে দাগ রয়েছে। এ ছাড়া তাঁর শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে পুকুরে ডুবে শাহবাব মন্ডল (আড়াই বছর) ও আবু তোহা মন্ডল (৩) নামের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের যাদুরচর নতুন গ্রাম এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
৩৪ মিনিট আগে
ভবনের ভেতরের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, হত্যাকাণ্ডের পর এক নারী স্কুলড্রেস পরে কাঁধে ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন। চার দিন আগে আয়েশা পরিচয় দিয়ে ওই বাসায় গৃহকর্মীর কাজ নেওয়া তরুণী (২০) এই জোড়া খুনে জড়িত বলে সন্দেহ স্বজনদের। ঘটনার পর থেকে ওই তরুণী পলাতক।
১ ঘণ্টা আগে
জীবন আছে যার, তার মৃত্যু অনিবার্য। মৃত্যুর পর মানুষের শেষ ঠিকানা কবর। মৃতদেহ গোসল করিয়ে কাফন পরানো হয়, জানাজা শেষে তাকে শায়িত করা হয় চিরনিদ্রার ঘরে। এই কবর খোঁড়ার দায়িত্বটি গ্রামের কিছু মানুষ বহু বছর ধরে স্বেচ্ছায়, বিনা পারিশ্রমিকে পালন করে আসছেন, যাঁরা সবার কাছে ‘গোরখোদক’ নামে পরিচিত। আল্লাহর
২ ঘণ্টা আগে
গাজীপুরের শ্রীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে কারখানার ফটকের সামনে বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকেরা। আন্দোলনের মুখে কারখানা কর্তৃপক্ষ প্রধান ফটক তালাবদ্ধ করে সটকে পড়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে শিল্প ও থানা-পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসেছেন। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের সাইটালিয়া গ্রামে
২ ঘণ্টা আগেকুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে পুকুরে ডুবে শাহবাব মন্ডল (আড়াই বছর) ও আবু তোহা মন্ডল (৩) নামের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের যাদুরচর নতুন গ্রাম এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
শাহবাব মন্ডল উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের ধনারচর নতুন গ্রামের শাহজাহান মন্ডলের ছেলে এবং আবু তোহা মন্ডল একই গ্রামের আবু তালেবের ছেলে। এই দুই শিশু সম্পর্কে মামা-ভাগনে।
পরিবারের বরাত দিয়ে যাদুরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সরবেশ আলী জানান, বুধবার সকালে ওই দুই শিশু তালেব মন্ডলের বাড়িতে খেলা করছিল। এ সময় সবার অজান্তে তারা বাড়ির পাশে পুকুরের পানিতে পড়ে যায়। স্বজনেরা পুকুর থেকে দুই শিশুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। দায়িত্বরত চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক একই এলাকার বাসিন্দা ও কুড়িগ্রাম-৪ আসনের বিএনপির মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী আজিজুর রহমান ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তিনি শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
রৌমারী থানার উপপরিদর্শক শাহনেওয়াজ হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। সহকারী কমিশনার (ভূমি) ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। দুই শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে পুকুরে ডুবে শাহবাব মন্ডল (আড়াই বছর) ও আবু তোহা মন্ডল (৩) নামের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের যাদুরচর নতুন গ্রাম এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
শাহবাব মন্ডল উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের ধনারচর নতুন গ্রামের শাহজাহান মন্ডলের ছেলে এবং আবু তোহা মন্ডল একই গ্রামের আবু তালেবের ছেলে। এই দুই শিশু সম্পর্কে মামা-ভাগনে।
পরিবারের বরাত দিয়ে যাদুরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সরবেশ আলী জানান, বুধবার সকালে ওই দুই শিশু তালেব মন্ডলের বাড়িতে খেলা করছিল। এ সময় সবার অজান্তে তারা বাড়ির পাশে পুকুরের পানিতে পড়ে যায়। স্বজনেরা পুকুর থেকে দুই শিশুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। দায়িত্বরত চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক একই এলাকার বাসিন্দা ও কুড়িগ্রাম-৪ আসনের বিএনপির মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী আজিজুর রহমান ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তিনি শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
রৌমারী থানার উপপরিদর্শক শাহনেওয়াজ হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। সহকারী কমিশনার (ভূমি) ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। দুই শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে থানার ভেতর আটক যুবকের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে চকরিয়া পৌরসভার ভরামুহুরী হিন্দুপাড়ার কয়েক শ নারী-পুরুষ বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভ মিছিলটি চকরিয়া থানার সামনে এলে সেখানে স্থানীয় লোকজন যুক্ত হন। এরপর পৌর শহরের সিস্টেম কমপ্লেক্সের সামনে সড়ক অবরোধ করেন তাঁরা। এতে সড়কের দুই পাশে যানজটের সৃষ্টি হয়।
২২ আগস্ট ২০২৫
ভবনের ভেতরের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, হত্যাকাণ্ডের পর এক নারী স্কুলড্রেস পরে কাঁধে ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন। চার দিন আগে আয়েশা পরিচয় দিয়ে ওই বাসায় গৃহকর্মীর কাজ নেওয়া তরুণী (২০) এই জোড়া খুনে জড়িত বলে সন্দেহ স্বজনদের। ঘটনার পর থেকে ওই তরুণী পলাতক।
১ ঘণ্টা আগে
জীবন আছে যার, তার মৃত্যু অনিবার্য। মৃত্যুর পর মানুষের শেষ ঠিকানা কবর। মৃতদেহ গোসল করিয়ে কাফন পরানো হয়, জানাজা শেষে তাকে শায়িত করা হয় চিরনিদ্রার ঘরে। এই কবর খোঁড়ার দায়িত্বটি গ্রামের কিছু মানুষ বহু বছর ধরে স্বেচ্ছায়, বিনা পারিশ্রমিকে পালন করে আসছেন, যাঁরা সবার কাছে ‘গোরখোদক’ নামে পরিচিত। আল্লাহর
২ ঘণ্টা আগে
গাজীপুরের শ্রীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে কারখানার ফটকের সামনে বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকেরা। আন্দোলনের মুখে কারখানা কর্তৃপক্ষ প্রধান ফটক তালাবদ্ধ করে সটকে পড়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে শিল্প ও থানা-পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসেছেন। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের সাইটালিয়া গ্রামে
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যার ঘটনায় গৃহকর্মী আয়েশাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার দুপুরে ঝালকাঠি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন তেজগাঁও বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার আব্দুল্লাহ আল মামুন।
মামুন বলেন, গৃহকর্মী আয়েশাকে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঝালকাঠি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত সোমবার সকালে শাহজাহান রোডের ১৪ তলা একটি আবাসিক ভবনের সপ্তম তলায় লায়লা আফরোজ (৪৮) ও তাঁর মেয়ে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজকে (১৫) ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।

গতকাল তাঁদের মরদেহ নাটোরে দাফন করা হয়েছে। মামলার এজাহারে বাসা থেকে মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার, নগদ টাকাসহ মূল্যবান জিনিস খোয়া যাওয়ার কথা বলা হয়েছে।
ভবনের ভেতরের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, হত্যাকাণ্ডের পর এক নারী স্কুলড্রেস পরে কাঁধে ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন। চার দিন আগে আয়েশা পরিচয় দিয়ে ওই বাসায় গৃহকর্মীর কাজ নেওয়া তরুণী (২০) এই জোড়া খুনে জড়িত বলে সন্দেহ স্বজনদের। ঘটনার পর থেকে ওই তরুণী পলাতক।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যার ঘটনায় গৃহকর্মী আয়েশাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার দুপুরে ঝালকাঠি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন তেজগাঁও বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার আব্দুল্লাহ আল মামুন।
মামুন বলেন, গৃহকর্মী আয়েশাকে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঝালকাঠি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত সোমবার সকালে শাহজাহান রোডের ১৪ তলা একটি আবাসিক ভবনের সপ্তম তলায় লায়লা আফরোজ (৪৮) ও তাঁর মেয়ে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজকে (১৫) ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।

গতকাল তাঁদের মরদেহ নাটোরে দাফন করা হয়েছে। মামলার এজাহারে বাসা থেকে মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার, নগদ টাকাসহ মূল্যবান জিনিস খোয়া যাওয়ার কথা বলা হয়েছে।
ভবনের ভেতরের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, হত্যাকাণ্ডের পর এক নারী স্কুলড্রেস পরে কাঁধে ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন। চার দিন আগে আয়েশা পরিচয় দিয়ে ওই বাসায় গৃহকর্মীর কাজ নেওয়া তরুণী (২০) এই জোড়া খুনে জড়িত বলে সন্দেহ স্বজনদের। ঘটনার পর থেকে ওই তরুণী পলাতক।

এদিকে থানার ভেতর আটক যুবকের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে চকরিয়া পৌরসভার ভরামুহুরী হিন্দুপাড়ার কয়েক শ নারী-পুরুষ বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভ মিছিলটি চকরিয়া থানার সামনে এলে সেখানে স্থানীয় লোকজন যুক্ত হন। এরপর পৌর শহরের সিস্টেম কমপ্লেক্সের সামনে সড়ক অবরোধ করেন তাঁরা। এতে সড়কের দুই পাশে যানজটের সৃষ্টি হয়।
২২ আগস্ট ২০২৫
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে পুকুরে ডুবে শাহবাব মন্ডল (আড়াই বছর) ও আবু তোহা মন্ডল (৩) নামের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের যাদুরচর নতুন গ্রাম এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
৩৪ মিনিট আগে
জীবন আছে যার, তার মৃত্যু অনিবার্য। মৃত্যুর পর মানুষের শেষ ঠিকানা কবর। মৃতদেহ গোসল করিয়ে কাফন পরানো হয়, জানাজা শেষে তাকে শায়িত করা হয় চিরনিদ্রার ঘরে। এই কবর খোঁড়ার দায়িত্বটি গ্রামের কিছু মানুষ বহু বছর ধরে স্বেচ্ছায়, বিনা পারিশ্রমিকে পালন করে আসছেন, যাঁরা সবার কাছে ‘গোরখোদক’ নামে পরিচিত। আল্লাহর
২ ঘণ্টা আগে
গাজীপুরের শ্রীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে কারখানার ফটকের সামনে বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকেরা। আন্দোলনের মুখে কারখানা কর্তৃপক্ষ প্রধান ফটক তালাবদ্ধ করে সটকে পড়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে শিল্প ও থানা-পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসেছেন। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের সাইটালিয়া গ্রামে
২ ঘণ্টা আগেগাংনী (মেহেরপুর) প্রতিনিধি

জীবন আছে যার, তার মৃত্যু অনিবার্য। মৃত্যুর পর মানুষের শেষ ঠিকানা কবর। মৃতদেহ গোসল করিয়ে কাফন পরানো হয়, জানাজা শেষে তাকে শায়িত করা হয় চিরনিদ্রার ঘরে। এই কবর খোঁড়ার দায়িত্বটি গ্রামের কিছু মানুষ বহু বছর ধরে স্বেচ্ছায়, বিনা পারিশ্রমিকে পালন করে আসছেন, যাঁরা সবার কাছে ‘গোরখোদক’ নামে পরিচিত। আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় তাঁরা করে থাকেন এই কাজ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গোরখোদকেরা কোনো পারিশ্রমিক নেন না। গ্রামের যে কেউ মারা যাক, নিজেদের ব্যস্ততা ফেলে তাঁরা ছুটে আসেন কবর খুঁড়তে। তাঁদের এই মানবিক কাজের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে গ্রামের লোকেরা দোয়া করেন—আল্লাহ যেন তাদের সুস্থ ও ভালো রাখেন।
দেবীপুর গ্রামের বাসিন্দা গোরখোদক মজিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ৫৫ বছর ধরে কবর খুঁড়ছি। যত দিন সুস্থ থাকব, এই কাজ চালিয়ে যাব। আমাদের গ্রাম ছাড়াও অন্য গ্রাম থেকে কেউ ডাকলে সেখানেও যাই। ছোটবেলায় ওস্তাদের কাছে ডালি ধরেই শিখেছি। গরিব মানুষ, মাঠে কাজ করি; কিন্তু কেউ মারা গেলে দ্বিধা করি না—এই কাজ আমার নেশায় পরিণত হয়েছে।’
মজিরুল আরও জানান, এখন তিনি তরুণদেরও এই কাজ শেখাচ্ছেন।

গোরখোদক শাকের আলী বলেন, ‘আমরা নিঃস্বার্থভাবে কাজ করি। কখনো কোনো টাকা নিই না। যেখানেই থাকি, গ্রামের কারও মৃত্যুর সংবাদ শুনলে দ্রুত কবর খুঁড়তে চলে আসি।’
গোরখোদক ফুয়াদ হোসেন বলেন, ‘অন্য গ্রাম থেকে ডাক এলেও আমরা যাই। আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই করি এই কাজ। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’
স্থানীয় বাসিন্দা শাজাহান আলী বলেন, ‘কবর খোঁড়া বড় দায়িত্বের কাজ। গ্রামের এসব মানুষ খবর পেলেই দৌড়ে আসে। আমরা তাদের জন্য দোয়া করি।’
মাওলানা মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘মৃত ব্যক্তির জন্য কবর খোঁড়া নিঃসন্দেহে সওয়াবের কাজ। হাদিসে এসেছে—যাঁরা কবর খোঁড়েন, আল্লাহ তাদের জন্য জান্নাতে ঘর নির্মাণ করবেন।’

জীবন আছে যার, তার মৃত্যু অনিবার্য। মৃত্যুর পর মানুষের শেষ ঠিকানা কবর। মৃতদেহ গোসল করিয়ে কাফন পরানো হয়, জানাজা শেষে তাকে শায়িত করা হয় চিরনিদ্রার ঘরে। এই কবর খোঁড়ার দায়িত্বটি গ্রামের কিছু মানুষ বহু বছর ধরে স্বেচ্ছায়, বিনা পারিশ্রমিকে পালন করে আসছেন, যাঁরা সবার কাছে ‘গোরখোদক’ নামে পরিচিত। আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় তাঁরা করে থাকেন এই কাজ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গোরখোদকেরা কোনো পারিশ্রমিক নেন না। গ্রামের যে কেউ মারা যাক, নিজেদের ব্যস্ততা ফেলে তাঁরা ছুটে আসেন কবর খুঁড়তে। তাঁদের এই মানবিক কাজের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে গ্রামের লোকেরা দোয়া করেন—আল্লাহ যেন তাদের সুস্থ ও ভালো রাখেন।
দেবীপুর গ্রামের বাসিন্দা গোরখোদক মজিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ৫৫ বছর ধরে কবর খুঁড়ছি। যত দিন সুস্থ থাকব, এই কাজ চালিয়ে যাব। আমাদের গ্রাম ছাড়াও অন্য গ্রাম থেকে কেউ ডাকলে সেখানেও যাই। ছোটবেলায় ওস্তাদের কাছে ডালি ধরেই শিখেছি। গরিব মানুষ, মাঠে কাজ করি; কিন্তু কেউ মারা গেলে দ্বিধা করি না—এই কাজ আমার নেশায় পরিণত হয়েছে।’
মজিরুল আরও জানান, এখন তিনি তরুণদেরও এই কাজ শেখাচ্ছেন।

গোরখোদক শাকের আলী বলেন, ‘আমরা নিঃস্বার্থভাবে কাজ করি। কখনো কোনো টাকা নিই না। যেখানেই থাকি, গ্রামের কারও মৃত্যুর সংবাদ শুনলে দ্রুত কবর খুঁড়তে চলে আসি।’
গোরখোদক ফুয়াদ হোসেন বলেন, ‘অন্য গ্রাম থেকে ডাক এলেও আমরা যাই। আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই করি এই কাজ। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’
স্থানীয় বাসিন্দা শাজাহান আলী বলেন, ‘কবর খোঁড়া বড় দায়িত্বের কাজ। গ্রামের এসব মানুষ খবর পেলেই দৌড়ে আসে। আমরা তাদের জন্য দোয়া করি।’
মাওলানা মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘মৃত ব্যক্তির জন্য কবর খোঁড়া নিঃসন্দেহে সওয়াবের কাজ। হাদিসে এসেছে—যাঁরা কবর খোঁড়েন, আল্লাহ তাদের জন্য জান্নাতে ঘর নির্মাণ করবেন।’

এদিকে থানার ভেতর আটক যুবকের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে চকরিয়া পৌরসভার ভরামুহুরী হিন্দুপাড়ার কয়েক শ নারী-পুরুষ বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভ মিছিলটি চকরিয়া থানার সামনে এলে সেখানে স্থানীয় লোকজন যুক্ত হন। এরপর পৌর শহরের সিস্টেম কমপ্লেক্সের সামনে সড়ক অবরোধ করেন তাঁরা। এতে সড়কের দুই পাশে যানজটের সৃষ্টি হয়।
২২ আগস্ট ২০২৫
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে পুকুরে ডুবে শাহবাব মন্ডল (আড়াই বছর) ও আবু তোহা মন্ডল (৩) নামের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের যাদুরচর নতুন গ্রাম এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
৩৪ মিনিট আগে
ভবনের ভেতরের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, হত্যাকাণ্ডের পর এক নারী স্কুলড্রেস পরে কাঁধে ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন। চার দিন আগে আয়েশা পরিচয় দিয়ে ওই বাসায় গৃহকর্মীর কাজ নেওয়া তরুণী (২০) এই জোড়া খুনে জড়িত বলে সন্দেহ স্বজনদের। ঘটনার পর থেকে ওই তরুণী পলাতক।
১ ঘণ্টা আগে
গাজীপুরের শ্রীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে কারখানার ফটকের সামনে বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকেরা। আন্দোলনের মুখে কারখানা কর্তৃপক্ষ প্রধান ফটক তালাবদ্ধ করে সটকে পড়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে শিল্প ও থানা-পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসেছেন। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের সাইটালিয়া গ্রামে
২ ঘণ্টা আগেশ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি

গাজীপুরের শ্রীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে কারখানার ফটকের সামনে বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকেরা। আন্দোলনের মুখে কারখানা কর্তৃপক্ষ প্রধান ফটক তালাবদ্ধ করে সটকে পড়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে শিল্প ও থানা-পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসেছেন। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের সাইটালিয়া গ্রামে ক্যাটেক্স ফ্যাশন ক্লোথিং লিমিটেড কারখানায় এই ঘটনা ঘটে।
কারখানার নারী শ্রমিক মিনারা আক্তার বলেন, ‘অক্টোবর ও নভেম্বর মাসের বেতন পরিশোধ করে নাই। এক মাসের বেতন না পেলে আমাদের চলা খুবই কঠিন হয়। আমাদের নাওয়া-খাওয়া বন্ধ হয়। আর সেখানে কারখানা কর্তৃপক্ষ দুই মাসের বেতনভাতা বকেয়া রেখেছে। আজ সকালে শ্রমিকেরা জড়ো হলে তারা পালিয়ে যায়।’
মিন্টু নামের এক শ্রমিক বলেন, ‘এই কারখানায় আমরা তিন বছর ধরে চাকরি করছি। আমাদের বেতনের বাইরে কোনো সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে না। তবু পেটের দায়ে চাকরি করি। দুই মাসের বেতন বকেয়া। আমাদের তো পেট আছে, সন্তান-সংসার আছে। এক মাস দোকান বাকি পরিশোধ করতে না পারলে পরের মাসে আর দোকানি বাকি দেয় না। আমরা কী অবস্থায় আছি, একবার ভাবুন। বেতন পরিশোধ না করে তারা পালিয়ে গেছে।’

মেহেদী হাসান বলেন, ‘এত দিন ধরে ঋণ করে বলে-কয়ে দোকান থেকে বাকি নিয়ে চলছি। আর পারছি না। এখন দোকান বাকি দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। অক্টোবর মাসের বকেয়া বেতন নিয়ে কমপক্ষে ১০টি তারিখ দিছে। কিন্তু কারখানা কর্তৃপক্ষ বেতন পরিশোধ করেনি। শেষে আজ বেতন পরিশোধের কথা ছিল। কিন্তু তারা কারখানা ফটকে তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে গেছে।’
কারখানার হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. বুলবুল হাসান বলেন, ‘ব্যাংকের সমস্যার কারণে বেতন-ভাতা পরিশোধ করা যাচ্ছে না। আশা করি, আজকের মধ্যে নভেম্বর মাসের বেতন পরিশোধ করতে পারব।’ বিনা নোটিশে কারখানার ফটক কেন তালাবদ্ধ? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমি বলতে পারব না।’
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাছির আহমদ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

গাজীপুরের শ্রীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে কারখানার ফটকের সামনে বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকেরা। আন্দোলনের মুখে কারখানা কর্তৃপক্ষ প্রধান ফটক তালাবদ্ধ করে সটকে পড়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে শিল্প ও থানা-পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসেছেন। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের সাইটালিয়া গ্রামে ক্যাটেক্স ফ্যাশন ক্লোথিং লিমিটেড কারখানায় এই ঘটনা ঘটে।
কারখানার নারী শ্রমিক মিনারা আক্তার বলেন, ‘অক্টোবর ও নভেম্বর মাসের বেতন পরিশোধ করে নাই। এক মাসের বেতন না পেলে আমাদের চলা খুবই কঠিন হয়। আমাদের নাওয়া-খাওয়া বন্ধ হয়। আর সেখানে কারখানা কর্তৃপক্ষ দুই মাসের বেতনভাতা বকেয়া রেখেছে। আজ সকালে শ্রমিকেরা জড়ো হলে তারা পালিয়ে যায়।’
মিন্টু নামের এক শ্রমিক বলেন, ‘এই কারখানায় আমরা তিন বছর ধরে চাকরি করছি। আমাদের বেতনের বাইরে কোনো সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে না। তবু পেটের দায়ে চাকরি করি। দুই মাসের বেতন বকেয়া। আমাদের তো পেট আছে, সন্তান-সংসার আছে। এক মাস দোকান বাকি পরিশোধ করতে না পারলে পরের মাসে আর দোকানি বাকি দেয় না। আমরা কী অবস্থায় আছি, একবার ভাবুন। বেতন পরিশোধ না করে তারা পালিয়ে গেছে।’

মেহেদী হাসান বলেন, ‘এত দিন ধরে ঋণ করে বলে-কয়ে দোকান থেকে বাকি নিয়ে চলছি। আর পারছি না। এখন দোকান বাকি দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। অক্টোবর মাসের বকেয়া বেতন নিয়ে কমপক্ষে ১০টি তারিখ দিছে। কিন্তু কারখানা কর্তৃপক্ষ বেতন পরিশোধ করেনি। শেষে আজ বেতন পরিশোধের কথা ছিল। কিন্তু তারা কারখানা ফটকে তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে গেছে।’
কারখানার হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. বুলবুল হাসান বলেন, ‘ব্যাংকের সমস্যার কারণে বেতন-ভাতা পরিশোধ করা যাচ্ছে না। আশা করি, আজকের মধ্যে নভেম্বর মাসের বেতন পরিশোধ করতে পারব।’ বিনা নোটিশে কারখানার ফটক কেন তালাবদ্ধ? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমি বলতে পারব না।’
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাছির আহমদ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

এদিকে থানার ভেতর আটক যুবকের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে চকরিয়া পৌরসভার ভরামুহুরী হিন্দুপাড়ার কয়েক শ নারী-পুরুষ বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভ মিছিলটি চকরিয়া থানার সামনে এলে সেখানে স্থানীয় লোকজন যুক্ত হন। এরপর পৌর শহরের সিস্টেম কমপ্লেক্সের সামনে সড়ক অবরোধ করেন তাঁরা। এতে সড়কের দুই পাশে যানজটের সৃষ্টি হয়।
২২ আগস্ট ২০২৫
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে পুকুরে ডুবে শাহবাব মন্ডল (আড়াই বছর) ও আবু তোহা মন্ডল (৩) নামের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের যাদুরচর নতুন গ্রাম এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
৩৪ মিনিট আগে
ভবনের ভেতরের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, হত্যাকাণ্ডের পর এক নারী স্কুলড্রেস পরে কাঁধে ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন। চার দিন আগে আয়েশা পরিচয় দিয়ে ওই বাসায় গৃহকর্মীর কাজ নেওয়া তরুণী (২০) এই জোড়া খুনে জড়িত বলে সন্দেহ স্বজনদের। ঘটনার পর থেকে ওই তরুণী পলাতক।
১ ঘণ্টা আগে
জীবন আছে যার, তার মৃত্যু অনিবার্য। মৃত্যুর পর মানুষের শেষ ঠিকানা কবর। মৃতদেহ গোসল করিয়ে কাফন পরানো হয়, জানাজা শেষে তাকে শায়িত করা হয় চিরনিদ্রার ঘরে। এই কবর খোঁড়ার দায়িত্বটি গ্রামের কিছু মানুষ বহু বছর ধরে স্বেচ্ছায়, বিনা পারিশ্রমিকে পালন করে আসছেন, যাঁরা সবার কাছে ‘গোরখোদক’ নামে পরিচিত। আল্লাহর
২ ঘণ্টা আগে