মেহেরাব্বিন সানভী, চুয়াডাঙ্গা

মনিরুজ্জামান মনির শিক্ষা অফিসের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী। অথচ তাঁর বিলাসী জীবন। বর্তমান কর্মস্থল বাগেরহাট হলেও তাঁর ‘ঘুষের যোগাযোগ’ খুলনা বিভাগের ১০ জেলায়। এমপিওভুক্তি, বদলি, গ্রেড পাইয়ে দেওয়া—সব কাজই তিনি করে দেন। এই ঘুষ-দুর্নীতির টাকায় তিনি দুই স্ত্রী, স্বজনের নামে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
যত সম্পত্তি ঢাকায়
অনুসন্ধান করে জানা গেছে, রাজধানী ঢাকায় মনিরের কেনা বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে আয়েশি জীবন কাটাচ্ছেন তাঁর প্রথম স্ত্রী মোসা. রিমা খাতুন। মোহাম্মদপুর শিয়া মসজিদসংলগ্ন এলাকায় ১ হাজার ৭৮০ বর্গফুটের ওই ফ্ল্যাটের দাম কোটি টাকার বেশি। অভিযোগ রয়েছে, রাজধানীর বিভিন্ন ব্যাংকে রিমার নামে রয়েছে লাখ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র ও স্থায়ী আমানত (এফডিআর)।
ঢাকার কালশীতে বহুতল ভবন করছেন মনিরুজ্জামান মনির। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মাউশির সাবেক কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে এই বাড়িতে বিনিয়োগ করেছেন মনির। নিজেই করেন সবকিছুর তদারকি। অনুসন্ধানের একপর্যায়ে এই প্রতিবেদক ইন্টেরিয়র ডিজাইনারের ছদ্মবেশে যোগাযোগ করলে বাড়িটিতে মনিরের অংশীদারত্বের বিষয়টি নিশ্চিত করেন আব্বাস নামের কেয়ারটেকার।
গুঞ্জন রয়েছে, ছোট স্ত্রী সোনিয়া খাতুনের বোনের মেয়ের নামে ঢাকার বারিধারা ডিওএইচএসে একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট কিনেছেন মনিরুজ্জামান মনির (৪৫)।
চুয়াডাঙ্গায় সম্পদের পাহাড়
সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার মুসলিমপাড়ায় হোমিওপ্যাথি কলেজের পাশে ১৬ কাঠা জমির ওপর মনিরের রয়েছে নিজস্ব একটি বাগানবাড়ি। এই বাগানবাড়িতে রাখা আছে একজন কেয়ারটেকার (তত্ত্বাবধায়ক)। স্থানীয়রা জানান, জমিসহ এ বাড়ির আনুমানিক মূল্য ৮০ লাখ টাকা। ওই জমির ১০ কাঠার মালিকানা প্রথম স্ত্রীর বাবার নামে। বাকি ৬ কাঠা মনিরের নিজের নামে আছে। এই বাগানবাড়ির দক্ষিণ পাশে প্রাচীর দিয়ে ঘেরা আছে আরও দুটি প্লট। তার দামও অর্ধকোটির ওপরে। এই বাগানবাড়ির পূর্ব পাশে খানিকটা দূরে আছে আরেকটি বাড়িসহ প্লট। এই বাড়িসহ জমিরও আনুমানিক মূল্য ৪০ লাখ টাকা।
মনিরের ছোট স্ত্রী সোনিয়া খাতুন চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজে সহকারী হিসাবরক্ষক। চুয়াডাঙ্গা শহরের জোলের ধারে চারতলার বাড়িতে তিনি বসবাস করেন। প্রায় ৭০ লাখ টাকা দামের ওই চারতলা বাড়িটি সোনিয়ার নামে। এই বাড়িটির পশ্চিম পাশে প্রাচীর দিয়ে ঘেরা প্রায় ১০ কাঠার একটি প্লট আছে। সেখানে তিনি সবজি চাষ করেন। শহরের বেলগাছি মুসলিমপাড়ায় আছে ৫ কাঠার একটি বাগান। এই বাগানে কাঠ ও ফলের গাছ আছে। মুসলিমপাড়া মাজারের পাশেই আছে আরেকটি বাগান। শহরের নীলার মোড়েও রয়েছে ৫০ লক্ষাধিক টাকা মূল্যের জমি। এ ছাড়া নীলার মোড়ের পাশেই দুটি দোকানসহ আরেকটি প্লট আছে। সুমিরদিয়া মাঠে রাস্তার পাশেই রয়েছে ১০ কাঠার একটি বাগান। নাম প্রকাশ না করার শর্ত দিয়ে মুসলিমপাড়া ও নীলার মোড় এলাকার কয়েকজন বলেন, মনির মাঝেমধ্যে সম্পত্তির খোঁজখবর নিতে আসেন।
দর্শনার পুরোনো বাজারপাড়ায় ৫ কাঠা জমির ওপরে দুই ইউনিটের একটি বাড়ি আছে। সেই বাড়ির আনুমানিক মূল্য অর্ধকোটি টাকা। দর্শনা পৌরসভায় ওই বাড়িটির হোল্ডিং নম্বর মনিরুজ্জামান মনিরের নামেই।
‘কপাল খোলে’ মাউশিতে
২০০৫ সালে দর্শনা সরকারি কলেজে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটরের (তৃতীয় শ্রেণি) চাকরি হয় মনিরের। পরে তিনি চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজে বদলি হয়ে আসেন। এক-এগারোর সময় সারা দেশে সরকারি চাকরিজীবী সংস্কার হলে তিনি ঢাকা শিক্ষা ভবনে মাউশির প্রধান কার্যালয়ে স্কুল শাখায় বদলি হন। সেখান থেকেই তাঁর ভাগ্যের চাকা ঘুরতে থাকে। ধীরে ধীরে গড়ে তোলেন বড় নেটওয়ার্ক।
মনির ২০১৪ সাল পর্যন্ত রাজধানীর শিক্ষা ভবনে মাউশির প্রধান কার্যালয়ে স্কুল শাখায় চাকরি করেছেন। তখন বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিওভুক্তির কাজ কেন্দ্রীয়ভাবে শিক্ষা ভবন থেকেই হতো। ২০১৪ সালে তা বিকেন্দ্রীকরণ করে মাউশির ৯টি অঞ্চলে ভাগ করে দেওয়া হয়। মনির সে সময় তাঁর নিজের বিভাগ খুলনা আঞ্চলিক অফিসে পদায়ন নেন। প্রথমে কুষ্টিয়া তারপর খুলনা উপপরিচালকের কার্যালয়ে বদলি হন মনির। খুলনা উপপরিচালকের কার্যালয়ে থাকাকালে মনির খুলনা বিভাগের ১০ জেলার শিক্ষকদের এমপিওভুক্তি, বদলি ও গ্রেড পাইয়ে দেওয়ার তদবিরে জড়ান বলেও অভিযোগ উঠেছে।
দুর্নীতি ঢাকতে নানা কৌশল
অবৈধ আয় লুকাতে মনিরের কৌশলের শেষ নেই। সরোজগঞ্জে বাড়ি, দূর সম্পর্কের এক আত্মীয় থাকেন বিদেশে। তিনি টাকা পাঠান মনিরের অ্যাকাউন্টে। নির্ধারিত দিনে আত্মীয়ের বাড়ির লোকজন টাকা তুলে নেন। আর মনির তদন্তে দেখান স্বজনের রেমিট্যান্সের আয়। নিজে ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকতে স্বজনদের নামেও কিনেছেন সম্পত্তি। গোপনে একাধিক ব্যবসা পরিচালনা করছেন ঘনিষ্ঠজনদের দিয়ে।
বর্তমানে এই মনির বাগেরহাট জেলা শিক্ষা অফিসে হিসাবরক্ষক কাম ক্লার্ক হিসেবে কর্মরত। প্রতি সপ্তাহে বৃহস্পতিবার দুপুরেই বের হয়ে যান অফিস থেকে। সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে আসেন চুয়াডাঙ্গা শহরে। এরপর চলে তাঁর লেনদেনের দেখা-সাক্ষাৎ। রাত ৯টার পর বাগানবাড়িতে বসে ‘মদের আসর’। একা নন, ঘুষে সহযোগিতাকারীরাও থাকেন এই ফুর্তিতে—জানান এলাকার কয়েকজন।
বাগেরহাটে যাওয়ার আগে মনির ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের খুলনা অঞ্চলের উপপরিচালকের কার্যালয়ে। মনিরের পদ উচ্চমান সহকারী হলেও ক্যাশিয়ারগিরি তাঁর অত্যন্ত পছন্দের। কর্মস্থলে তিনি রীতিমতো ‘ঘুষযন্ত্র’। ‘তাঁর বাঁ হাতে টাকা উঠলে ডান হাত নিমেষেই কাজ করে’—মন্তব্য একজন শিক্ষকের। আবার মনিরকে টাকা দিলেও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ করেন কয়েকজন শিক্ষক।
দুদকের জালে মনির
খুলনায় চাকরিকালে সপ্তাহের ছুটির দিন মনির বিভিন্ন জেলায় ঘুষ কালেকশনে বের হতেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। শিক্ষকদের বিভিন্ন কাজ কৌশলে আটকে রেখে তিনি ঘুষ দাবি করতেন। সে সময় বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগী শিক্ষক মনিরের বিরুদ্ধে মাউশি ও দুদকে অভিযোগ করেছিলেন।
এই খুলনা অফিসে থাকাকালেই মনিরের বিরুদ্ধে তদন্তে নামে মাউশি। আওয়ামী লীগের প্রভাবশালীদের মাধ্যমে সেই অভিযোগটিও খালাস করতে চেয়েছিলেন, তবে তিনি ব্যর্থ হন। বিষয়টি যায় দুদকের নজরে। দুদক এখনো তদন্ত কার্যক্রম চালু রেখেছে বলে জানা গেছে।
মাউশির খুলনা অঞ্চলের তৎকালীন উপপরিচালক এস এম আবদুল খালেক বলেন, ‘মনিরের কোথায় কী সম্পদ আছে, তা জানি না। মনির এতই ক্ষমতাবান, খুলনায় থাকাকালে সে আমাকেই নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করত।’
মনিরের বর্তমান কর্মস্থল বাগেরহাট জেলা শিক্ষা অফিসের প্রধান তথা জেলা শিক্ষা অফিসার এস এম ছায়েদুর রহমান বলেন, ‘আমি শুনেছি মনিরের বিরুদ্ধে দুদকে একটি তদন্ত চলছে। তবে সেটার অগ্রগতির বিষয়ে জানি না। আমার এখানে আসার পর আমি নজরে রেখেছি। এখানে কোনো বাজে কাজ করার সুযোগ নেই। তবে বাড়ি দূরে হওয়ায় সপ্তাহে বৃহস্পতিবার একটু আগে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।’
এ বিষয়ে মনিরুজ্জামান মনিরের বক্তব্য নেওয়ার জন্য তাঁর মোবাইল ফোনে কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে মনিরের দ্বিতীয় স্ত্রী সোনিয়া খাতুন বলেন, ‘আমি মেয়েমানুষ, এত কিছু জানি না। আর জানার চেষ্টাও করিনি। আমার স্বামীর নামে কোথায় কোথায় সম্পত্তি আছে, আমি জানি না। আপনারা সাংবাদিক, ভালো করে খোঁজ নিয়ে বের করেন।’

মনিরুজ্জামান মনির শিক্ষা অফিসের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী। অথচ তাঁর বিলাসী জীবন। বর্তমান কর্মস্থল বাগেরহাট হলেও তাঁর ‘ঘুষের যোগাযোগ’ খুলনা বিভাগের ১০ জেলায়। এমপিওভুক্তি, বদলি, গ্রেড পাইয়ে দেওয়া—সব কাজই তিনি করে দেন। এই ঘুষ-দুর্নীতির টাকায় তিনি দুই স্ত্রী, স্বজনের নামে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
যত সম্পত্তি ঢাকায়
অনুসন্ধান করে জানা গেছে, রাজধানী ঢাকায় মনিরের কেনা বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে আয়েশি জীবন কাটাচ্ছেন তাঁর প্রথম স্ত্রী মোসা. রিমা খাতুন। মোহাম্মদপুর শিয়া মসজিদসংলগ্ন এলাকায় ১ হাজার ৭৮০ বর্গফুটের ওই ফ্ল্যাটের দাম কোটি টাকার বেশি। অভিযোগ রয়েছে, রাজধানীর বিভিন্ন ব্যাংকে রিমার নামে রয়েছে লাখ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র ও স্থায়ী আমানত (এফডিআর)।
ঢাকার কালশীতে বহুতল ভবন করছেন মনিরুজ্জামান মনির। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মাউশির সাবেক কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে এই বাড়িতে বিনিয়োগ করেছেন মনির। নিজেই করেন সবকিছুর তদারকি। অনুসন্ধানের একপর্যায়ে এই প্রতিবেদক ইন্টেরিয়র ডিজাইনারের ছদ্মবেশে যোগাযোগ করলে বাড়িটিতে মনিরের অংশীদারত্বের বিষয়টি নিশ্চিত করেন আব্বাস নামের কেয়ারটেকার।
গুঞ্জন রয়েছে, ছোট স্ত্রী সোনিয়া খাতুনের বোনের মেয়ের নামে ঢাকার বারিধারা ডিওএইচএসে একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট কিনেছেন মনিরুজ্জামান মনির (৪৫)।
চুয়াডাঙ্গায় সম্পদের পাহাড়
সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার মুসলিমপাড়ায় হোমিওপ্যাথি কলেজের পাশে ১৬ কাঠা জমির ওপর মনিরের রয়েছে নিজস্ব একটি বাগানবাড়ি। এই বাগানবাড়িতে রাখা আছে একজন কেয়ারটেকার (তত্ত্বাবধায়ক)। স্থানীয়রা জানান, জমিসহ এ বাড়ির আনুমানিক মূল্য ৮০ লাখ টাকা। ওই জমির ১০ কাঠার মালিকানা প্রথম স্ত্রীর বাবার নামে। বাকি ৬ কাঠা মনিরের নিজের নামে আছে। এই বাগানবাড়ির দক্ষিণ পাশে প্রাচীর দিয়ে ঘেরা আছে আরও দুটি প্লট। তার দামও অর্ধকোটির ওপরে। এই বাগানবাড়ির পূর্ব পাশে খানিকটা দূরে আছে আরেকটি বাড়িসহ প্লট। এই বাড়িসহ জমিরও আনুমানিক মূল্য ৪০ লাখ টাকা।
মনিরের ছোট স্ত্রী সোনিয়া খাতুন চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজে সহকারী হিসাবরক্ষক। চুয়াডাঙ্গা শহরের জোলের ধারে চারতলার বাড়িতে তিনি বসবাস করেন। প্রায় ৭০ লাখ টাকা দামের ওই চারতলা বাড়িটি সোনিয়ার নামে। এই বাড়িটির পশ্চিম পাশে প্রাচীর দিয়ে ঘেরা প্রায় ১০ কাঠার একটি প্লট আছে। সেখানে তিনি সবজি চাষ করেন। শহরের বেলগাছি মুসলিমপাড়ায় আছে ৫ কাঠার একটি বাগান। এই বাগানে কাঠ ও ফলের গাছ আছে। মুসলিমপাড়া মাজারের পাশেই আছে আরেকটি বাগান। শহরের নীলার মোড়েও রয়েছে ৫০ লক্ষাধিক টাকা মূল্যের জমি। এ ছাড়া নীলার মোড়ের পাশেই দুটি দোকানসহ আরেকটি প্লট আছে। সুমিরদিয়া মাঠে রাস্তার পাশেই রয়েছে ১০ কাঠার একটি বাগান। নাম প্রকাশ না করার শর্ত দিয়ে মুসলিমপাড়া ও নীলার মোড় এলাকার কয়েকজন বলেন, মনির মাঝেমধ্যে সম্পত্তির খোঁজখবর নিতে আসেন।
দর্শনার পুরোনো বাজারপাড়ায় ৫ কাঠা জমির ওপরে দুই ইউনিটের একটি বাড়ি আছে। সেই বাড়ির আনুমানিক মূল্য অর্ধকোটি টাকা। দর্শনা পৌরসভায় ওই বাড়িটির হোল্ডিং নম্বর মনিরুজ্জামান মনিরের নামেই।
‘কপাল খোলে’ মাউশিতে
২০০৫ সালে দর্শনা সরকারি কলেজে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটরের (তৃতীয় শ্রেণি) চাকরি হয় মনিরের। পরে তিনি চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজে বদলি হয়ে আসেন। এক-এগারোর সময় সারা দেশে সরকারি চাকরিজীবী সংস্কার হলে তিনি ঢাকা শিক্ষা ভবনে মাউশির প্রধান কার্যালয়ে স্কুল শাখায় বদলি হন। সেখান থেকেই তাঁর ভাগ্যের চাকা ঘুরতে থাকে। ধীরে ধীরে গড়ে তোলেন বড় নেটওয়ার্ক।
মনির ২০১৪ সাল পর্যন্ত রাজধানীর শিক্ষা ভবনে মাউশির প্রধান কার্যালয়ে স্কুল শাখায় চাকরি করেছেন। তখন বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিওভুক্তির কাজ কেন্দ্রীয়ভাবে শিক্ষা ভবন থেকেই হতো। ২০১৪ সালে তা বিকেন্দ্রীকরণ করে মাউশির ৯টি অঞ্চলে ভাগ করে দেওয়া হয়। মনির সে সময় তাঁর নিজের বিভাগ খুলনা আঞ্চলিক অফিসে পদায়ন নেন। প্রথমে কুষ্টিয়া তারপর খুলনা উপপরিচালকের কার্যালয়ে বদলি হন মনির। খুলনা উপপরিচালকের কার্যালয়ে থাকাকালে মনির খুলনা বিভাগের ১০ জেলার শিক্ষকদের এমপিওভুক্তি, বদলি ও গ্রেড পাইয়ে দেওয়ার তদবিরে জড়ান বলেও অভিযোগ উঠেছে।
দুর্নীতি ঢাকতে নানা কৌশল
অবৈধ আয় লুকাতে মনিরের কৌশলের শেষ নেই। সরোজগঞ্জে বাড়ি, দূর সম্পর্কের এক আত্মীয় থাকেন বিদেশে। তিনি টাকা পাঠান মনিরের অ্যাকাউন্টে। নির্ধারিত দিনে আত্মীয়ের বাড়ির লোকজন টাকা তুলে নেন। আর মনির তদন্তে দেখান স্বজনের রেমিট্যান্সের আয়। নিজে ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকতে স্বজনদের নামেও কিনেছেন সম্পত্তি। গোপনে একাধিক ব্যবসা পরিচালনা করছেন ঘনিষ্ঠজনদের দিয়ে।
বর্তমানে এই মনির বাগেরহাট জেলা শিক্ষা অফিসে হিসাবরক্ষক কাম ক্লার্ক হিসেবে কর্মরত। প্রতি সপ্তাহে বৃহস্পতিবার দুপুরেই বের হয়ে যান অফিস থেকে। সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে আসেন চুয়াডাঙ্গা শহরে। এরপর চলে তাঁর লেনদেনের দেখা-সাক্ষাৎ। রাত ৯টার পর বাগানবাড়িতে বসে ‘মদের আসর’। একা নন, ঘুষে সহযোগিতাকারীরাও থাকেন এই ফুর্তিতে—জানান এলাকার কয়েকজন।
বাগেরহাটে যাওয়ার আগে মনির ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের খুলনা অঞ্চলের উপপরিচালকের কার্যালয়ে। মনিরের পদ উচ্চমান সহকারী হলেও ক্যাশিয়ারগিরি তাঁর অত্যন্ত পছন্দের। কর্মস্থলে তিনি রীতিমতো ‘ঘুষযন্ত্র’। ‘তাঁর বাঁ হাতে টাকা উঠলে ডান হাত নিমেষেই কাজ করে’—মন্তব্য একজন শিক্ষকের। আবার মনিরকে টাকা দিলেও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ করেন কয়েকজন শিক্ষক।
দুদকের জালে মনির
খুলনায় চাকরিকালে সপ্তাহের ছুটির দিন মনির বিভিন্ন জেলায় ঘুষ কালেকশনে বের হতেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। শিক্ষকদের বিভিন্ন কাজ কৌশলে আটকে রেখে তিনি ঘুষ দাবি করতেন। সে সময় বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগী শিক্ষক মনিরের বিরুদ্ধে মাউশি ও দুদকে অভিযোগ করেছিলেন।
এই খুলনা অফিসে থাকাকালেই মনিরের বিরুদ্ধে তদন্তে নামে মাউশি। আওয়ামী লীগের প্রভাবশালীদের মাধ্যমে সেই অভিযোগটিও খালাস করতে চেয়েছিলেন, তবে তিনি ব্যর্থ হন। বিষয়টি যায় দুদকের নজরে। দুদক এখনো তদন্ত কার্যক্রম চালু রেখেছে বলে জানা গেছে।
মাউশির খুলনা অঞ্চলের তৎকালীন উপপরিচালক এস এম আবদুল খালেক বলেন, ‘মনিরের কোথায় কী সম্পদ আছে, তা জানি না। মনির এতই ক্ষমতাবান, খুলনায় থাকাকালে সে আমাকেই নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করত।’
মনিরের বর্তমান কর্মস্থল বাগেরহাট জেলা শিক্ষা অফিসের প্রধান তথা জেলা শিক্ষা অফিসার এস এম ছায়েদুর রহমান বলেন, ‘আমি শুনেছি মনিরের বিরুদ্ধে দুদকে একটি তদন্ত চলছে। তবে সেটার অগ্রগতির বিষয়ে জানি না। আমার এখানে আসার পর আমি নজরে রেখেছি। এখানে কোনো বাজে কাজ করার সুযোগ নেই। তবে বাড়ি দূরে হওয়ায় সপ্তাহে বৃহস্পতিবার একটু আগে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।’
এ বিষয়ে মনিরুজ্জামান মনিরের বক্তব্য নেওয়ার জন্য তাঁর মোবাইল ফোনে কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে মনিরের দ্বিতীয় স্ত্রী সোনিয়া খাতুন বলেন, ‘আমি মেয়েমানুষ, এত কিছু জানি না। আর জানার চেষ্টাও করিনি। আমার স্বামীর নামে কোথায় কোথায় সম্পত্তি আছে, আমি জানি না। আপনারা সাংবাদিক, ভালো করে খোঁজ নিয়ে বের করেন।’
মেহেরাব্বিন সানভী, চুয়াডাঙ্গা

মনিরুজ্জামান মনির শিক্ষা অফিসের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী। অথচ তাঁর বিলাসী জীবন। বর্তমান কর্মস্থল বাগেরহাট হলেও তাঁর ‘ঘুষের যোগাযোগ’ খুলনা বিভাগের ১০ জেলায়। এমপিওভুক্তি, বদলি, গ্রেড পাইয়ে দেওয়া—সব কাজই তিনি করে দেন। এই ঘুষ-দুর্নীতির টাকায় তিনি দুই স্ত্রী, স্বজনের নামে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
যত সম্পত্তি ঢাকায়
অনুসন্ধান করে জানা গেছে, রাজধানী ঢাকায় মনিরের কেনা বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে আয়েশি জীবন কাটাচ্ছেন তাঁর প্রথম স্ত্রী মোসা. রিমা খাতুন। মোহাম্মদপুর শিয়া মসজিদসংলগ্ন এলাকায় ১ হাজার ৭৮০ বর্গফুটের ওই ফ্ল্যাটের দাম কোটি টাকার বেশি। অভিযোগ রয়েছে, রাজধানীর বিভিন্ন ব্যাংকে রিমার নামে রয়েছে লাখ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র ও স্থায়ী আমানত (এফডিআর)।
ঢাকার কালশীতে বহুতল ভবন করছেন মনিরুজ্জামান মনির। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মাউশির সাবেক কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে এই বাড়িতে বিনিয়োগ করেছেন মনির। নিজেই করেন সবকিছুর তদারকি। অনুসন্ধানের একপর্যায়ে এই প্রতিবেদক ইন্টেরিয়র ডিজাইনারের ছদ্মবেশে যোগাযোগ করলে বাড়িটিতে মনিরের অংশীদারত্বের বিষয়টি নিশ্চিত করেন আব্বাস নামের কেয়ারটেকার।
গুঞ্জন রয়েছে, ছোট স্ত্রী সোনিয়া খাতুনের বোনের মেয়ের নামে ঢাকার বারিধারা ডিওএইচএসে একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট কিনেছেন মনিরুজ্জামান মনির (৪৫)।
চুয়াডাঙ্গায় সম্পদের পাহাড়
সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার মুসলিমপাড়ায় হোমিওপ্যাথি কলেজের পাশে ১৬ কাঠা জমির ওপর মনিরের রয়েছে নিজস্ব একটি বাগানবাড়ি। এই বাগানবাড়িতে রাখা আছে একজন কেয়ারটেকার (তত্ত্বাবধায়ক)। স্থানীয়রা জানান, জমিসহ এ বাড়ির আনুমানিক মূল্য ৮০ লাখ টাকা। ওই জমির ১০ কাঠার মালিকানা প্রথম স্ত্রীর বাবার নামে। বাকি ৬ কাঠা মনিরের নিজের নামে আছে। এই বাগানবাড়ির দক্ষিণ পাশে প্রাচীর দিয়ে ঘেরা আছে আরও দুটি প্লট। তার দামও অর্ধকোটির ওপরে। এই বাগানবাড়ির পূর্ব পাশে খানিকটা দূরে আছে আরেকটি বাড়িসহ প্লট। এই বাড়িসহ জমিরও আনুমানিক মূল্য ৪০ লাখ টাকা।
মনিরের ছোট স্ত্রী সোনিয়া খাতুন চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজে সহকারী হিসাবরক্ষক। চুয়াডাঙ্গা শহরের জোলের ধারে চারতলার বাড়িতে তিনি বসবাস করেন। প্রায় ৭০ লাখ টাকা দামের ওই চারতলা বাড়িটি সোনিয়ার নামে। এই বাড়িটির পশ্চিম পাশে প্রাচীর দিয়ে ঘেরা প্রায় ১০ কাঠার একটি প্লট আছে। সেখানে তিনি সবজি চাষ করেন। শহরের বেলগাছি মুসলিমপাড়ায় আছে ৫ কাঠার একটি বাগান। এই বাগানে কাঠ ও ফলের গাছ আছে। মুসলিমপাড়া মাজারের পাশেই আছে আরেকটি বাগান। শহরের নীলার মোড়েও রয়েছে ৫০ লক্ষাধিক টাকা মূল্যের জমি। এ ছাড়া নীলার মোড়ের পাশেই দুটি দোকানসহ আরেকটি প্লট আছে। সুমিরদিয়া মাঠে রাস্তার পাশেই রয়েছে ১০ কাঠার একটি বাগান। নাম প্রকাশ না করার শর্ত দিয়ে মুসলিমপাড়া ও নীলার মোড় এলাকার কয়েকজন বলেন, মনির মাঝেমধ্যে সম্পত্তির খোঁজখবর নিতে আসেন।
দর্শনার পুরোনো বাজারপাড়ায় ৫ কাঠা জমির ওপরে দুই ইউনিটের একটি বাড়ি আছে। সেই বাড়ির আনুমানিক মূল্য অর্ধকোটি টাকা। দর্শনা পৌরসভায় ওই বাড়িটির হোল্ডিং নম্বর মনিরুজ্জামান মনিরের নামেই।
‘কপাল খোলে’ মাউশিতে
২০০৫ সালে দর্শনা সরকারি কলেজে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটরের (তৃতীয় শ্রেণি) চাকরি হয় মনিরের। পরে তিনি চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজে বদলি হয়ে আসেন। এক-এগারোর সময় সারা দেশে সরকারি চাকরিজীবী সংস্কার হলে তিনি ঢাকা শিক্ষা ভবনে মাউশির প্রধান কার্যালয়ে স্কুল শাখায় বদলি হন। সেখান থেকেই তাঁর ভাগ্যের চাকা ঘুরতে থাকে। ধীরে ধীরে গড়ে তোলেন বড় নেটওয়ার্ক।
মনির ২০১৪ সাল পর্যন্ত রাজধানীর শিক্ষা ভবনে মাউশির প্রধান কার্যালয়ে স্কুল শাখায় চাকরি করেছেন। তখন বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিওভুক্তির কাজ কেন্দ্রীয়ভাবে শিক্ষা ভবন থেকেই হতো। ২০১৪ সালে তা বিকেন্দ্রীকরণ করে মাউশির ৯টি অঞ্চলে ভাগ করে দেওয়া হয়। মনির সে সময় তাঁর নিজের বিভাগ খুলনা আঞ্চলিক অফিসে পদায়ন নেন। প্রথমে কুষ্টিয়া তারপর খুলনা উপপরিচালকের কার্যালয়ে বদলি হন মনির। খুলনা উপপরিচালকের কার্যালয়ে থাকাকালে মনির খুলনা বিভাগের ১০ জেলার শিক্ষকদের এমপিওভুক্তি, বদলি ও গ্রেড পাইয়ে দেওয়ার তদবিরে জড়ান বলেও অভিযোগ উঠেছে।
দুর্নীতি ঢাকতে নানা কৌশল
অবৈধ আয় লুকাতে মনিরের কৌশলের শেষ নেই। সরোজগঞ্জে বাড়ি, দূর সম্পর্কের এক আত্মীয় থাকেন বিদেশে। তিনি টাকা পাঠান মনিরের অ্যাকাউন্টে। নির্ধারিত দিনে আত্মীয়ের বাড়ির লোকজন টাকা তুলে নেন। আর মনির তদন্তে দেখান স্বজনের রেমিট্যান্সের আয়। নিজে ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকতে স্বজনদের নামেও কিনেছেন সম্পত্তি। গোপনে একাধিক ব্যবসা পরিচালনা করছেন ঘনিষ্ঠজনদের দিয়ে।
বর্তমানে এই মনির বাগেরহাট জেলা শিক্ষা অফিসে হিসাবরক্ষক কাম ক্লার্ক হিসেবে কর্মরত। প্রতি সপ্তাহে বৃহস্পতিবার দুপুরেই বের হয়ে যান অফিস থেকে। সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে আসেন চুয়াডাঙ্গা শহরে। এরপর চলে তাঁর লেনদেনের দেখা-সাক্ষাৎ। রাত ৯টার পর বাগানবাড়িতে বসে ‘মদের আসর’। একা নন, ঘুষে সহযোগিতাকারীরাও থাকেন এই ফুর্তিতে—জানান এলাকার কয়েকজন।
বাগেরহাটে যাওয়ার আগে মনির ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের খুলনা অঞ্চলের উপপরিচালকের কার্যালয়ে। মনিরের পদ উচ্চমান সহকারী হলেও ক্যাশিয়ারগিরি তাঁর অত্যন্ত পছন্দের। কর্মস্থলে তিনি রীতিমতো ‘ঘুষযন্ত্র’। ‘তাঁর বাঁ হাতে টাকা উঠলে ডান হাত নিমেষেই কাজ করে’—মন্তব্য একজন শিক্ষকের। আবার মনিরকে টাকা দিলেও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ করেন কয়েকজন শিক্ষক।
দুদকের জালে মনির
খুলনায় চাকরিকালে সপ্তাহের ছুটির দিন মনির বিভিন্ন জেলায় ঘুষ কালেকশনে বের হতেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। শিক্ষকদের বিভিন্ন কাজ কৌশলে আটকে রেখে তিনি ঘুষ দাবি করতেন। সে সময় বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগী শিক্ষক মনিরের বিরুদ্ধে মাউশি ও দুদকে অভিযোগ করেছিলেন।
এই খুলনা অফিসে থাকাকালেই মনিরের বিরুদ্ধে তদন্তে নামে মাউশি। আওয়ামী লীগের প্রভাবশালীদের মাধ্যমে সেই অভিযোগটিও খালাস করতে চেয়েছিলেন, তবে তিনি ব্যর্থ হন। বিষয়টি যায় দুদকের নজরে। দুদক এখনো তদন্ত কার্যক্রম চালু রেখেছে বলে জানা গেছে।
মাউশির খুলনা অঞ্চলের তৎকালীন উপপরিচালক এস এম আবদুল খালেক বলেন, ‘মনিরের কোথায় কী সম্পদ আছে, তা জানি না। মনির এতই ক্ষমতাবান, খুলনায় থাকাকালে সে আমাকেই নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করত।’
মনিরের বর্তমান কর্মস্থল বাগেরহাট জেলা শিক্ষা অফিসের প্রধান তথা জেলা শিক্ষা অফিসার এস এম ছায়েদুর রহমান বলেন, ‘আমি শুনেছি মনিরের বিরুদ্ধে দুদকে একটি তদন্ত চলছে। তবে সেটার অগ্রগতির বিষয়ে জানি না। আমার এখানে আসার পর আমি নজরে রেখেছি। এখানে কোনো বাজে কাজ করার সুযোগ নেই। তবে বাড়ি দূরে হওয়ায় সপ্তাহে বৃহস্পতিবার একটু আগে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।’
এ বিষয়ে মনিরুজ্জামান মনিরের বক্তব্য নেওয়ার জন্য তাঁর মোবাইল ফোনে কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে মনিরের দ্বিতীয় স্ত্রী সোনিয়া খাতুন বলেন, ‘আমি মেয়েমানুষ, এত কিছু জানি না। আর জানার চেষ্টাও করিনি। আমার স্বামীর নামে কোথায় কোথায় সম্পত্তি আছে, আমি জানি না। আপনারা সাংবাদিক, ভালো করে খোঁজ নিয়ে বের করেন।’

মনিরুজ্জামান মনির শিক্ষা অফিসের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী। অথচ তাঁর বিলাসী জীবন। বর্তমান কর্মস্থল বাগেরহাট হলেও তাঁর ‘ঘুষের যোগাযোগ’ খুলনা বিভাগের ১০ জেলায়। এমপিওভুক্তি, বদলি, গ্রেড পাইয়ে দেওয়া—সব কাজই তিনি করে দেন। এই ঘুষ-দুর্নীতির টাকায় তিনি দুই স্ত্রী, স্বজনের নামে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
যত সম্পত্তি ঢাকায়
অনুসন্ধান করে জানা গেছে, রাজধানী ঢাকায় মনিরের কেনা বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে আয়েশি জীবন কাটাচ্ছেন তাঁর প্রথম স্ত্রী মোসা. রিমা খাতুন। মোহাম্মদপুর শিয়া মসজিদসংলগ্ন এলাকায় ১ হাজার ৭৮০ বর্গফুটের ওই ফ্ল্যাটের দাম কোটি টাকার বেশি। অভিযোগ রয়েছে, রাজধানীর বিভিন্ন ব্যাংকে রিমার নামে রয়েছে লাখ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র ও স্থায়ী আমানত (এফডিআর)।
ঢাকার কালশীতে বহুতল ভবন করছেন মনিরুজ্জামান মনির। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মাউশির সাবেক কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে এই বাড়িতে বিনিয়োগ করেছেন মনির। নিজেই করেন সবকিছুর তদারকি। অনুসন্ধানের একপর্যায়ে এই প্রতিবেদক ইন্টেরিয়র ডিজাইনারের ছদ্মবেশে যোগাযোগ করলে বাড়িটিতে মনিরের অংশীদারত্বের বিষয়টি নিশ্চিত করেন আব্বাস নামের কেয়ারটেকার।
গুঞ্জন রয়েছে, ছোট স্ত্রী সোনিয়া খাতুনের বোনের মেয়ের নামে ঢাকার বারিধারা ডিওএইচএসে একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট কিনেছেন মনিরুজ্জামান মনির (৪৫)।
চুয়াডাঙ্গায় সম্পদের পাহাড়
সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার মুসলিমপাড়ায় হোমিওপ্যাথি কলেজের পাশে ১৬ কাঠা জমির ওপর মনিরের রয়েছে নিজস্ব একটি বাগানবাড়ি। এই বাগানবাড়িতে রাখা আছে একজন কেয়ারটেকার (তত্ত্বাবধায়ক)। স্থানীয়রা জানান, জমিসহ এ বাড়ির আনুমানিক মূল্য ৮০ লাখ টাকা। ওই জমির ১০ কাঠার মালিকানা প্রথম স্ত্রীর বাবার নামে। বাকি ৬ কাঠা মনিরের নিজের নামে আছে। এই বাগানবাড়ির দক্ষিণ পাশে প্রাচীর দিয়ে ঘেরা আছে আরও দুটি প্লট। তার দামও অর্ধকোটির ওপরে। এই বাগানবাড়ির পূর্ব পাশে খানিকটা দূরে আছে আরেকটি বাড়িসহ প্লট। এই বাড়িসহ জমিরও আনুমানিক মূল্য ৪০ লাখ টাকা।
মনিরের ছোট স্ত্রী সোনিয়া খাতুন চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজে সহকারী হিসাবরক্ষক। চুয়াডাঙ্গা শহরের জোলের ধারে চারতলার বাড়িতে তিনি বসবাস করেন। প্রায় ৭০ লাখ টাকা দামের ওই চারতলা বাড়িটি সোনিয়ার নামে। এই বাড়িটির পশ্চিম পাশে প্রাচীর দিয়ে ঘেরা প্রায় ১০ কাঠার একটি প্লট আছে। সেখানে তিনি সবজি চাষ করেন। শহরের বেলগাছি মুসলিমপাড়ায় আছে ৫ কাঠার একটি বাগান। এই বাগানে কাঠ ও ফলের গাছ আছে। মুসলিমপাড়া মাজারের পাশেই আছে আরেকটি বাগান। শহরের নীলার মোড়েও রয়েছে ৫০ লক্ষাধিক টাকা মূল্যের জমি। এ ছাড়া নীলার মোড়ের পাশেই দুটি দোকানসহ আরেকটি প্লট আছে। সুমিরদিয়া মাঠে রাস্তার পাশেই রয়েছে ১০ কাঠার একটি বাগান। নাম প্রকাশ না করার শর্ত দিয়ে মুসলিমপাড়া ও নীলার মোড় এলাকার কয়েকজন বলেন, মনির মাঝেমধ্যে সম্পত্তির খোঁজখবর নিতে আসেন।
দর্শনার পুরোনো বাজারপাড়ায় ৫ কাঠা জমির ওপরে দুই ইউনিটের একটি বাড়ি আছে। সেই বাড়ির আনুমানিক মূল্য অর্ধকোটি টাকা। দর্শনা পৌরসভায় ওই বাড়িটির হোল্ডিং নম্বর মনিরুজ্জামান মনিরের নামেই।
‘কপাল খোলে’ মাউশিতে
২০০৫ সালে দর্শনা সরকারি কলেজে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটরের (তৃতীয় শ্রেণি) চাকরি হয় মনিরের। পরে তিনি চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজে বদলি হয়ে আসেন। এক-এগারোর সময় সারা দেশে সরকারি চাকরিজীবী সংস্কার হলে তিনি ঢাকা শিক্ষা ভবনে মাউশির প্রধান কার্যালয়ে স্কুল শাখায় বদলি হন। সেখান থেকেই তাঁর ভাগ্যের চাকা ঘুরতে থাকে। ধীরে ধীরে গড়ে তোলেন বড় নেটওয়ার্ক।
মনির ২০১৪ সাল পর্যন্ত রাজধানীর শিক্ষা ভবনে মাউশির প্রধান কার্যালয়ে স্কুল শাখায় চাকরি করেছেন। তখন বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিওভুক্তির কাজ কেন্দ্রীয়ভাবে শিক্ষা ভবন থেকেই হতো। ২০১৪ সালে তা বিকেন্দ্রীকরণ করে মাউশির ৯টি অঞ্চলে ভাগ করে দেওয়া হয়। মনির সে সময় তাঁর নিজের বিভাগ খুলনা আঞ্চলিক অফিসে পদায়ন নেন। প্রথমে কুষ্টিয়া তারপর খুলনা উপপরিচালকের কার্যালয়ে বদলি হন মনির। খুলনা উপপরিচালকের কার্যালয়ে থাকাকালে মনির খুলনা বিভাগের ১০ জেলার শিক্ষকদের এমপিওভুক্তি, বদলি ও গ্রেড পাইয়ে দেওয়ার তদবিরে জড়ান বলেও অভিযোগ উঠেছে।
দুর্নীতি ঢাকতে নানা কৌশল
অবৈধ আয় লুকাতে মনিরের কৌশলের শেষ নেই। সরোজগঞ্জে বাড়ি, দূর সম্পর্কের এক আত্মীয় থাকেন বিদেশে। তিনি টাকা পাঠান মনিরের অ্যাকাউন্টে। নির্ধারিত দিনে আত্মীয়ের বাড়ির লোকজন টাকা তুলে নেন। আর মনির তদন্তে দেখান স্বজনের রেমিট্যান্সের আয়। নিজে ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকতে স্বজনদের নামেও কিনেছেন সম্পত্তি। গোপনে একাধিক ব্যবসা পরিচালনা করছেন ঘনিষ্ঠজনদের দিয়ে।
বর্তমানে এই মনির বাগেরহাট জেলা শিক্ষা অফিসে হিসাবরক্ষক কাম ক্লার্ক হিসেবে কর্মরত। প্রতি সপ্তাহে বৃহস্পতিবার দুপুরেই বের হয়ে যান অফিস থেকে। সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে আসেন চুয়াডাঙ্গা শহরে। এরপর চলে তাঁর লেনদেনের দেখা-সাক্ষাৎ। রাত ৯টার পর বাগানবাড়িতে বসে ‘মদের আসর’। একা নন, ঘুষে সহযোগিতাকারীরাও থাকেন এই ফুর্তিতে—জানান এলাকার কয়েকজন।
বাগেরহাটে যাওয়ার আগে মনির ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের খুলনা অঞ্চলের উপপরিচালকের কার্যালয়ে। মনিরের পদ উচ্চমান সহকারী হলেও ক্যাশিয়ারগিরি তাঁর অত্যন্ত পছন্দের। কর্মস্থলে তিনি রীতিমতো ‘ঘুষযন্ত্র’। ‘তাঁর বাঁ হাতে টাকা উঠলে ডান হাত নিমেষেই কাজ করে’—মন্তব্য একজন শিক্ষকের। আবার মনিরকে টাকা দিলেও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ করেন কয়েকজন শিক্ষক।
দুদকের জালে মনির
খুলনায় চাকরিকালে সপ্তাহের ছুটির দিন মনির বিভিন্ন জেলায় ঘুষ কালেকশনে বের হতেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। শিক্ষকদের বিভিন্ন কাজ কৌশলে আটকে রেখে তিনি ঘুষ দাবি করতেন। সে সময় বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগী শিক্ষক মনিরের বিরুদ্ধে মাউশি ও দুদকে অভিযোগ করেছিলেন।
এই খুলনা অফিসে থাকাকালেই মনিরের বিরুদ্ধে তদন্তে নামে মাউশি। আওয়ামী লীগের প্রভাবশালীদের মাধ্যমে সেই অভিযোগটিও খালাস করতে চেয়েছিলেন, তবে তিনি ব্যর্থ হন। বিষয়টি যায় দুদকের নজরে। দুদক এখনো তদন্ত কার্যক্রম চালু রেখেছে বলে জানা গেছে।
মাউশির খুলনা অঞ্চলের তৎকালীন উপপরিচালক এস এম আবদুল খালেক বলেন, ‘মনিরের কোথায় কী সম্পদ আছে, তা জানি না। মনির এতই ক্ষমতাবান, খুলনায় থাকাকালে সে আমাকেই নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করত।’
মনিরের বর্তমান কর্মস্থল বাগেরহাট জেলা শিক্ষা অফিসের প্রধান তথা জেলা শিক্ষা অফিসার এস এম ছায়েদুর রহমান বলেন, ‘আমি শুনেছি মনিরের বিরুদ্ধে দুদকে একটি তদন্ত চলছে। তবে সেটার অগ্রগতির বিষয়ে জানি না। আমার এখানে আসার পর আমি নজরে রেখেছি। এখানে কোনো বাজে কাজ করার সুযোগ নেই। তবে বাড়ি দূরে হওয়ায় সপ্তাহে বৃহস্পতিবার একটু আগে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।’
এ বিষয়ে মনিরুজ্জামান মনিরের বক্তব্য নেওয়ার জন্য তাঁর মোবাইল ফোনে কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে মনিরের দ্বিতীয় স্ত্রী সোনিয়া খাতুন বলেন, ‘আমি মেয়েমানুষ, এত কিছু জানি না। আর জানার চেষ্টাও করিনি। আমার স্বামীর নামে কোথায় কোথায় সম্পত্তি আছে, আমি জানি না। আপনারা সাংবাদিক, ভালো করে খোঁজ নিয়ে বের করেন।’

বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস—রূপান্তরিত জাতীয় ছাত্রশক্তি) আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার তাঁর মোটরসাইকেল লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছেন।
৩৯ মিনিট আগে
বিআরটিএর চেয়ারম্যান আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, মহাসড়কে কোনো অবৈধ যানবাহন চলতে পারবে না। এ বিষয়ে পুলিশ, বিআরটিএসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
যশোর সদরে অভিযান চালিয়ে রান্নাঘরে পুঁতে রাখা বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার দৌলতদিহির হুমায়ুন কবিরের বাড়ি থেকে পিস্তল উদ্ধার করা হয়। কোতোয়ালি মডেল থানা-পুলিশ পিস্তলটি উদ্ধার করে। এ সময় অস্ত্রের মালিক শাকিল হোসেন পালিয়ে যান। শাকিল হুমায়ুন কবিরের ছেলে।
১ ঘণ্টা আগে
আবারও পুরান ঢাকার বংশাল এলাকায় প্রেমিকার বাসার সিঁড়িতে সজিব (১৯) নামের এক শিক্ষার্থীর লাশ পাওয়া গেছে। তিনি এবার বংশালে আহমেদ বাওয়ানী একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস—রূপান্তরিত জাতীয় ছাত্রশক্তি) আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার তাঁর মোটরসাইকেল লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছেন।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) রাত ৮টার পর রাজধানীর শাহবাগে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানান তিনি।
রাত ৮টা ৩৪ মিনিটে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে আবু বাকের মজুমদার লিখেছেন, ‘কিছুক্ষণ আগে ৮টা ২৩-২৪ মিনিটের সময় ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ে আমার বাইকের সামনে ককটেল মারা হয়েছে। রূপায়ণ টাওয়ারে সাংগঠনিক মিটিংয়ের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলাম। রাজনৈতিক কারণে এক্সটার্নাল এবং ইন্টারনাল অনেকের শত্রু হয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ, এখনো সুস্থ আছি, দোয়া করবেন।’
হামলার প্রতিবাদে রাত ১০টার দিকে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) তাদের কার্যালয়ের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল করে।

বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস—রূপান্তরিত জাতীয় ছাত্রশক্তি) আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার তাঁর মোটরসাইকেল লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছেন।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) রাত ৮টার পর রাজধানীর শাহবাগে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানান তিনি।
রাত ৮টা ৩৪ মিনিটে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে আবু বাকের মজুমদার লিখেছেন, ‘কিছুক্ষণ আগে ৮টা ২৩-২৪ মিনিটের সময় ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ে আমার বাইকের সামনে ককটেল মারা হয়েছে। রূপায়ণ টাওয়ারে সাংগঠনিক মিটিংয়ের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলাম। রাজনৈতিক কারণে এক্সটার্নাল এবং ইন্টারনাল অনেকের শত্রু হয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ, এখনো সুস্থ আছি, দোয়া করবেন।’
হামলার প্রতিবাদে রাত ১০টার দিকে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) তাদের কার্যালয়ের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল করে।

মনিরুজ্জামান মনির শিক্ষা অফিসের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী। অথচ তাঁর বিলাসী জীবন। বর্তমান কর্মস্থল বাগেরহাট হলেও তাঁর ‘ঘুষের যোগাযোগ’ খুলনা বিভাগের ১০ জেলায়। এমপিওভুক্তি, বদলি, গ্রেড পাইয়ে দেওয়া—সব কাজই তিনি করে দেন। এই ঘুষ-দুর্নীতির টাকায় তিনি দুই স্ত্রী, স্বজনের নামে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন বলে অভিযোগ...
০৬ এপ্রিল ২০২৫
বিআরটিএর চেয়ারম্যান আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, মহাসড়কে কোনো অবৈধ যানবাহন চলতে পারবে না। এ বিষয়ে পুলিশ, বিআরটিএসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
যশোর সদরে অভিযান চালিয়ে রান্নাঘরে পুঁতে রাখা বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার দৌলতদিহির হুমায়ুন কবিরের বাড়ি থেকে পিস্তল উদ্ধার করা হয়। কোতোয়ালি মডেল থানা-পুলিশ পিস্তলটি উদ্ধার করে। এ সময় অস্ত্রের মালিক শাকিল হোসেন পালিয়ে যান। শাকিল হুমায়ুন কবিরের ছেলে।
১ ঘণ্টা আগে
আবারও পুরান ঢাকার বংশাল এলাকায় প্রেমিকার বাসার সিঁড়িতে সজিব (১৯) নামের এক শিক্ষার্থীর লাশ পাওয়া গেছে। তিনি এবার বংশালে আহমেদ বাওয়ানী একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন।
১ ঘণ্টা আগেপঞ্চগড় প্রতিনিধি

বিআরটিএর চেয়ারম্যান আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, মহাসড়কে কোনো অবৈধ যানবাহন চলতে পারবে না। এ বিষয়ে পুলিশ, বিআরটিএসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) রাতে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে জেলা প্রশাসন ও বিআরটিএ যৌথ আয়োজনে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বিআরটিএর চেয়ারম্যান বলেন, ‘কোনো লক্কড়ঝক্কড় গাড়ি আমরা মহাসড়কে চলতে দেব না। এ জন্য বিআরটিএ, প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর একসঙ্গে কাজ করছে। সরকারি গাড়িগুলোও ছাড় পাবে না, এমনকি আমি নিজেই বিআরটিএর গাড়ি ডাম্প করেছি।’

বিআরটিএর চেয়ারম্যান আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, মহাসড়কে কোনো অবৈধ যানবাহন চলতে পারবে না। এ বিষয়ে পুলিশ, বিআরটিএসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) রাতে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে জেলা প্রশাসন ও বিআরটিএ যৌথ আয়োজনে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বিআরটিএর চেয়ারম্যান বলেন, ‘কোনো লক্কড়ঝক্কড় গাড়ি আমরা মহাসড়কে চলতে দেব না। এ জন্য বিআরটিএ, প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর একসঙ্গে কাজ করছে। সরকারি গাড়িগুলোও ছাড় পাবে না, এমনকি আমি নিজেই বিআরটিএর গাড়ি ডাম্প করেছি।’

মনিরুজ্জামান মনির শিক্ষা অফিসের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী। অথচ তাঁর বিলাসী জীবন। বর্তমান কর্মস্থল বাগেরহাট হলেও তাঁর ‘ঘুষের যোগাযোগ’ খুলনা বিভাগের ১০ জেলায়। এমপিওভুক্তি, বদলি, গ্রেড পাইয়ে দেওয়া—সব কাজই তিনি করে দেন। এই ঘুষ-দুর্নীতির টাকায় তিনি দুই স্ত্রী, স্বজনের নামে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন বলে অভিযোগ...
০৬ এপ্রিল ২০২৫
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস—রূপান্তরিত জাতীয় ছাত্রশক্তি) আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার তাঁর মোটরসাইকেল লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছেন।
৩৯ মিনিট আগে
যশোর সদরে অভিযান চালিয়ে রান্নাঘরে পুঁতে রাখা বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার দৌলতদিহির হুমায়ুন কবিরের বাড়ি থেকে পিস্তল উদ্ধার করা হয়। কোতোয়ালি মডেল থানা-পুলিশ পিস্তলটি উদ্ধার করে। এ সময় অস্ত্রের মালিক শাকিল হোসেন পালিয়ে যান। শাকিল হুমায়ুন কবিরের ছেলে।
১ ঘণ্টা আগে
আবারও পুরান ঢাকার বংশাল এলাকায় প্রেমিকার বাসার সিঁড়িতে সজিব (১৯) নামের এক শিক্ষার্থীর লাশ পাওয়া গেছে। তিনি এবার বংশালে আহমেদ বাওয়ানী একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন।
১ ঘণ্টা আগেযশোর প্রতিনিধি

যশোর সদরে অভিযান চালিয়ে রান্নাঘরে পুঁতে রাখা বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যায়উপজেলার দৌলতদিহির হুমায়ুন কবিরের বাড়ি থেকে পিস্তল উদ্ধার করা হয়।
কোতোয়ালি মডেল থানা-পুলিশ পিস্তলটি উদ্ধার করে। এ সময় অস্ত্রের মালিক শাকিল হোসেন পালিয়ে যান। শাকিল হুমায়ুন কবিরের ছেলে।
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আবুল হাসনাত আজকের পত্রিকাকে বলেন, গোপন খবরের ভিত্তিতে পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে পিস্তলটি উদ্ধার করে।

যশোর সদরে অভিযান চালিয়ে রান্নাঘরে পুঁতে রাখা বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যায়উপজেলার দৌলতদিহির হুমায়ুন কবিরের বাড়ি থেকে পিস্তল উদ্ধার করা হয়।
কোতোয়ালি মডেল থানা-পুলিশ পিস্তলটি উদ্ধার করে। এ সময় অস্ত্রের মালিক শাকিল হোসেন পালিয়ে যান। শাকিল হুমায়ুন কবিরের ছেলে।
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আবুল হাসনাত আজকের পত্রিকাকে বলেন, গোপন খবরের ভিত্তিতে পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে পিস্তলটি উদ্ধার করে।

মনিরুজ্জামান মনির শিক্ষা অফিসের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী। অথচ তাঁর বিলাসী জীবন। বর্তমান কর্মস্থল বাগেরহাট হলেও তাঁর ‘ঘুষের যোগাযোগ’ খুলনা বিভাগের ১০ জেলায়। এমপিওভুক্তি, বদলি, গ্রেড পাইয়ে দেওয়া—সব কাজই তিনি করে দেন। এই ঘুষ-দুর্নীতির টাকায় তিনি দুই স্ত্রী, স্বজনের নামে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন বলে অভিযোগ...
০৬ এপ্রিল ২০২৫
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস—রূপান্তরিত জাতীয় ছাত্রশক্তি) আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার তাঁর মোটরসাইকেল লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছেন।
৩৯ মিনিট আগে
বিআরটিএর চেয়ারম্যান আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, মহাসড়কে কোনো অবৈধ যানবাহন চলতে পারবে না। এ বিষয়ে পুলিশ, বিআরটিএসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
আবারও পুরান ঢাকার বংশাল এলাকায় প্রেমিকার বাসার সিঁড়িতে সজিব (১৯) নামের এক শিক্ষার্থীর লাশ পাওয়া গেছে। তিনি এবার বংশালে আহমেদ বাওয়ানী একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন।
১ ঘণ্টা আগেঢামেক প্রতিবেদক

আবারও পুরান ঢাকার বংশাল এলাকায় প্রেমিকার বাসার সিঁড়িতে সজিব (১৯) নামের এক শিক্ষার্থীর লাশ পাওয়া গেছে। তিনি এবার বংশালে আহমেদ বাওয়ানী একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন।
আজ শনিবার (২৫ অক্টোবর) বিকেলের দিকে বংশালের আগামসিহ লেনের ৯৩/১ নম্বর বাসায় ঘটনাটি ঘটে। পরে পুলিশ সংবাদ পেয়ে ওই বাসার চারতলার সিঁড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে। এ সময় ওই শিক্ষার্থীর গলায় জিআই তার পেঁচানো ছিল।
বংশাল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. দুলাল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘বিকেলে স্থানীয়দের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। ওই বাসার চারতলার সিঁড়ি থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রথমে অজ্ঞাতনামা হিসেবে এবং পরে মোবাইলের মাধ্যমে পরিচয় শনাক্ত হয়। এ সময় সে গলায় জিআই তার পেঁচানো অবস্থায় উপুড় হয়ে সিঁড়িতে পড়ে ছিল। তবে ওই বাসার চারতলায় শুধু একটি পরিবার থাকত বলে জানা গেছে। এ ছাড়া ওই বাসা পুরোটাই গোডাউন। চারতলার ওই বাসা বাইরে থেকে তালাবদ্ধ অবস্থায় ছিল।’
এসআই আরও জানান, ধারণা করা হচ্ছে, ওই শিক্ষার্থীকে গলায় জিআই তার পেঁচিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে।
হাসপাতালে নিহত সজিবের চাচাতো ভাই মো. ইসলাম বলেন, ‘সজিবদের বাসা বংশাল আগামসিহ লেনে। সজিব এবার আহমেদ বাওয়ানী একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল। তবে সে অকৃতকার্য হয়। কয়েক দিন আগে তাবলিগের সঙ্গে দোহার গিয়েছিল। গতকাল বাসায় আসে। আজ বেলা ৩টার দিকে ফোন পেয়ে বাসা থেকে বের হয়। এরপর বিকেলে জানতে পারি, একটি বাসার সিঁড়িতে সজিবের মরদেহ পাওয়া গেছে।’
সজিব আরও বলেন, ‘যে বাসায় সজিবের মরদেহ পাওয়া গেছে, ওই বাসার চারতলায় সজিবের প্রেমিকা খাদিজাদের বাসা। খাদিজার বাবা বেঁচে নেই। তবে ঘটনার পর থেকে তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি। ৬ বছর ধরে খাদিজার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল সজিবের। মাঝে একবার মনোমালিন্য হয়েছিল। তবে খাদিজার মামারা এই সম্পর্ক মেনে নিতে পারছিলেন না।’
পরিবারের অভিযোগ, খাদিজার দুই মামা ইকবাল ও কামাল মিলে সজিবকে হত্যা করেছে।
এর আগে, ১৯ অক্টোবর রাজধানীর পুরান ঢাকার আরমানিটোলা এলাকার একটি বাসার সিঁড়িতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রদল নেতার রক্তাক্ত লাশ পাওয়া যায়। আরমানিটোলার পানির পাম্প গলির ওই বাসায় জুবায়েদ টিউশনি করাতেন। পরে ডিএমপি এই হত্যাকাণ্ডকে ‘ত্রিভুজ প্রেমের’ ফল বলে জানায়।

আবারও পুরান ঢাকার বংশাল এলাকায় প্রেমিকার বাসার সিঁড়িতে সজিব (১৯) নামের এক শিক্ষার্থীর লাশ পাওয়া গেছে। তিনি এবার বংশালে আহমেদ বাওয়ানী একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন।
আজ শনিবার (২৫ অক্টোবর) বিকেলের দিকে বংশালের আগামসিহ লেনের ৯৩/১ নম্বর বাসায় ঘটনাটি ঘটে। পরে পুলিশ সংবাদ পেয়ে ওই বাসার চারতলার সিঁড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে। এ সময় ওই শিক্ষার্থীর গলায় জিআই তার পেঁচানো ছিল।
বংশাল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. দুলাল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘বিকেলে স্থানীয়দের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। ওই বাসার চারতলার সিঁড়ি থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রথমে অজ্ঞাতনামা হিসেবে এবং পরে মোবাইলের মাধ্যমে পরিচয় শনাক্ত হয়। এ সময় সে গলায় জিআই তার পেঁচানো অবস্থায় উপুড় হয়ে সিঁড়িতে পড়ে ছিল। তবে ওই বাসার চারতলায় শুধু একটি পরিবার থাকত বলে জানা গেছে। এ ছাড়া ওই বাসা পুরোটাই গোডাউন। চারতলার ওই বাসা বাইরে থেকে তালাবদ্ধ অবস্থায় ছিল।’
এসআই আরও জানান, ধারণা করা হচ্ছে, ওই শিক্ষার্থীকে গলায় জিআই তার পেঁচিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে।
হাসপাতালে নিহত সজিবের চাচাতো ভাই মো. ইসলাম বলেন, ‘সজিবদের বাসা বংশাল আগামসিহ লেনে। সজিব এবার আহমেদ বাওয়ানী একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল। তবে সে অকৃতকার্য হয়। কয়েক দিন আগে তাবলিগের সঙ্গে দোহার গিয়েছিল। গতকাল বাসায় আসে। আজ বেলা ৩টার দিকে ফোন পেয়ে বাসা থেকে বের হয়। এরপর বিকেলে জানতে পারি, একটি বাসার সিঁড়িতে সজিবের মরদেহ পাওয়া গেছে।’
সজিব আরও বলেন, ‘যে বাসায় সজিবের মরদেহ পাওয়া গেছে, ওই বাসার চারতলায় সজিবের প্রেমিকা খাদিজাদের বাসা। খাদিজার বাবা বেঁচে নেই। তবে ঘটনার পর থেকে তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি। ৬ বছর ধরে খাদিজার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল সজিবের। মাঝে একবার মনোমালিন্য হয়েছিল। তবে খাদিজার মামারা এই সম্পর্ক মেনে নিতে পারছিলেন না।’
পরিবারের অভিযোগ, খাদিজার দুই মামা ইকবাল ও কামাল মিলে সজিবকে হত্যা করেছে।
এর আগে, ১৯ অক্টোবর রাজধানীর পুরান ঢাকার আরমানিটোলা এলাকার একটি বাসার সিঁড়িতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রদল নেতার রক্তাক্ত লাশ পাওয়া যায়। আরমানিটোলার পানির পাম্প গলির ওই বাসায় জুবায়েদ টিউশনি করাতেন। পরে ডিএমপি এই হত্যাকাণ্ডকে ‘ত্রিভুজ প্রেমের’ ফল বলে জানায়।

মনিরুজ্জামান মনির শিক্ষা অফিসের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী। অথচ তাঁর বিলাসী জীবন। বর্তমান কর্মস্থল বাগেরহাট হলেও তাঁর ‘ঘুষের যোগাযোগ’ খুলনা বিভাগের ১০ জেলায়। এমপিওভুক্তি, বদলি, গ্রেড পাইয়ে দেওয়া—সব কাজই তিনি করে দেন। এই ঘুষ-দুর্নীতির টাকায় তিনি দুই স্ত্রী, স্বজনের নামে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন বলে অভিযোগ...
০৬ এপ্রিল ২০২৫
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস—রূপান্তরিত জাতীয় ছাত্রশক্তি) আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার তাঁর মোটরসাইকেল লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছেন।
৩৯ মিনিট আগে
বিআরটিএর চেয়ারম্যান আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, মহাসড়কে কোনো অবৈধ যানবাহন চলতে পারবে না। এ বিষয়ে পুলিশ, বিআরটিএসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
যশোর সদরে অভিযান চালিয়ে রান্নাঘরে পুঁতে রাখা বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার দৌলতদিহির হুমায়ুন কবিরের বাড়ি থেকে পিস্তল উদ্ধার করা হয়। কোতোয়ালি মডেল থানা-পুলিশ পিস্তলটি উদ্ধার করে। এ সময় অস্ত্রের মালিক শাকিল হোসেন পালিয়ে যান। শাকিল হুমায়ুন কবিরের ছেলে।
১ ঘণ্টা আগে