Ajker Patrika

আওয়ামী সিন্ডিকেটের কবজায় বিএডিসি

  • ২ হাজার টন পুনর্নির্ধারিত দরের ধানবীজ কালোবাজারে বিক্রি।
  • ৫ আগস্টের পর থেকে অনেক ডিলার বীজ উত্তোলন করতে পারছেন না।
দেবাশীষ দত্ত, কুষ্টিয়া 
আপডেট : ২৪ মার্চ ২০২৫, ১০: ২৫
আওয়ামী সিন্ডিকেটের কবজায় বিএডিসি

ক্ষমতার দৃশ্যপটে নেই আওয়ামী লীগ। তবে এখনো বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) নিয়ন্ত্রণ করছে সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের সিন্ডিকেট। অভিযোগ রয়েছে, কৃষি উপকরণ বিতরণকারী প্রতিষ্ঠানটির অধিকাংশ ডিলার সিন্ডিকেটের কাছে অসহায়। গত ৫ আগস্টের পর ওই সিন্ডিকেটের বাইরে গুদাম থেকে কোনো ডিলার ধানবীজ উত্তোলন করতে পারছেন না।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চলতি বোরো মৌসুমে বিএডিসির পুনর্নির্ধারিত দরের ধানবীজ ডিলারদের মধ্যে বরাদ্দ দেয় বিএডিসি। কিন্তু ওই বীজের নিয়ন্ত্রণ নেয় ফরহাদের সিন্ডিকেট

বিএডিসির আওয়ামীপন্থী কর্মকর্তাদের যোগসাজশে প্রায় ২ হাজার টন পুনর্নির্ধারিত দরের বীজ ওই সিন্ডিকেট উত্তোলন করে কালোবাজারে বিক্রি করেছে।

কুষ্টিয়া জেলা বিএডিসির বীজ ও সার ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক মোস্তফা জামান সাঈদী সাগর বলেন, ‘বর্তমানে ডিলাররা চুয়াডাঙ্গা গুদাম থেকে কোনো বীজ উত্তোলন করতে পারছেন না। ডিলারদের হাজার হাজর টন ধানবীজ বিএডিসির কতিপয় কর্মকর্তার যোগসাজশে সাবেক মন্ত্রীর লোকজন উত্তোলন করে নিয়েছেন। ৫ আগস্টের পরে স্থানীয় বিএনপি নেতাদের ম্যানেজ করে বিএডিসিতে ভয়াবহ অবস্থা তৈরি করেছে ওই সিন্ডিকেট।’

সূত্রে জানা যায়, দেশের সর্ববৃহৎ বীজ উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্র চুয়াডাঙ্গায় অবস্থিত। এ ছাড়া বিএডিসির একাধিক প্রকল্প রয়েছে কুষ্টিয়ায়। সাবেক মন্ত্রী ফরহাদের স্ত্রী সৈয়দা মোনালিসা ও ভাই সরফরাজ হোসেন মৃদুলের সিন্ডিকেট পুরো বিএডিসিকে নিয়ন্ত্রণ করত। আর ওই সিন্ডিকেটের হোতা ছিলেন বিএডিসির একসময়ের লেবার ঠিকাদার চুয়াডাঙ্গার শামসুর রশিদ দিপু। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ফরহাদ, তাঁর স্ত্রী ও ভাই মৃদুল কারাগারে রয়েছেন। বর্তমানে সিন্ডিকেটের নেতৃত্ব দিচ্ছেন দিপু।

বিএডিসির একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, আওয়ামী লীগপন্থী বিএডিসির কৃষিবিদ সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির ২০২২-২৩ মেয়াদে নির্বাহী সদস্য ছিলেন বর্তমানে ঢাকা কৃষি ভবনের মহাব্যবস্থাপক (বীজ) আবীর হোসেন ও একই কমিটির নির্বাহী সদস্য বর্তমানে অতিরিক্ত মহাব্যবস্থাপক (বীজ বিতরণ) সেলিম হায়দার। এই দুই কর্মকর্তা সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের সিন্ডিকেটকে নানা কৌশলে সহযোগিতা করে সক্রিয় করে রেখেছেন।

অভিযোগের বিষয়ে কৃষি ভবনের অতিরিক্ত মহাব্যবস্থাপক (বীজ বিতরণ) সেলিম হায়দার বলেন, ‘আমি মিটিংয়ে আছি। এ বিষয়ে আপনার সঙ্গে পরে কথা বলব।’

বিএডিসির চুয়াডাঙ্গা অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বোরো মৌসুমে চুয়াডাঙ্গা বিএডিসির প্রোসেসিং সেন্টারে প্রায় ১ হাজার ৯০০ টন ও অধিক বীজ উৎপাদন কেন্দ্রে প্রায় ৯০০ টন বোরো ধানবীজ মজুত ছিল। মজুতকৃত বীজের মধ্যে সর্বোচ্চ ছিল খুলনা অঞ্চলের ডিলারদের জন্য বরাদ্দ। প্রসেসিং সেন্টার ও অধিক বীজের গুদামে শুধু খুলনা জেলার ডিলারদের বীজ ছিল প্রায় ১ হাজার ৩০০ টন। বাকি বীজ ছিল কুষ্টিয়া, ঢাকা, জয়পুরহাট, ফরিদপুর, রাজশাহী, যশোর, জামালপুর, ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ, টাঙ্গাইল, বগুড়া, কুমিল্লা ও পাবনা জেলাসহ ২২ জেলার। ২ মার্চ ঢাকা কৃষি ভবনের মহাব্যবস্থাপক (বীজ) আবীর হোসেন স্বাক্ষরিত পত্রে মজুতকৃত বীজের দাম কমিয়ে নতুন দর নির্ধারণ করেন। ওই পত্রের সঙ্গে একটি সংযুক্তিপত্রে পুনর্নির্ধারিত দরে বোরো বীজ বিক্রির সময়াবদ্ধ ও কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়।

ডিলারদের অভিযোগ, মাঠপর্যায়ে ওই পত্রের কোনো কার্যকারিতা ছিল না। ঢাকার আওয়ামীপন্থী বিএডিসির কর্মকর্তারা অঞ্চলের কর্মকর্তাদের কাছে মৌখিকভাবে আওয়ামী সিন্ডিকেটকে বীজ দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। যার কারণে কয়েকজন ডিলার ছাড়া কোনো ডিলার বীজ উত্তোলন করতে পারেননি। সিন্ডিকেট বিপুল পরিমাণ ধানবীজ উত্তোলন করে কালোবাজারে বিক্রি করেছে বলে জানান ডিলাররা।

অভিযোগ অস্বীকার করে দিপু বলেন, ‘আমরা ব্যবসা করি। সবার সঙ্গেই আমার সম্পর্ক আছে। আমি ডিলারদের মাল বিক্রি করি। অফিসে খোঁজ নিয়ে দেখেন সব জানতে পারবেন।’

চুয়াডাঙ্গা বীজ প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্রের যুগ্ম পরিচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বাইরে কী হচ্ছে আমি জানি না। আঞ্চলিক বীজ বিপণন দপ্তর থেকে যাঁরা মেমো নিয়ে আসছেন, তাঁদেরই বীজ দেওয়া হচ্ছে।’

আরও খবর পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩: ১৩
নিহত লায়লা আফরোজ ও নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজ। ছবি: সংগৃহীত
নিহত লায়লা আফরোজ ও নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজ। ছবি: সংগৃহীত

‎রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যার ঘটনায় গৃহকর্মী আয়েশাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার দুপুরে ঝালকাঠি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

‎গ্রেপ্তারের বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন তেজগাঁও বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার আব্দুল্লাহ আল মামুন।

‎মামুন বলেন, গৃহকর্মী আয়েশাকে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঝালকাঠি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গত সোমবার সকালে শাহজাহান রোডের ১৪ তলা একটি আবাসিক ভবনের সপ্তম তলায় লায়লা আফরোজ (৪৮) ও তাঁর মেয়ে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজকে (১৫) ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।

মা-মেয়ে হত্যায় অভিযুক্ত গৃহকর্মী আয়েশা। ছবি: আজকের পত্রিকা
মা-মেয়ে হত্যায় অভিযুক্ত গৃহকর্মী আয়েশা। ছবি: আজকের পত্রিকা

গতকাল তাঁদের মরদেহ নাটোরে দাফন করা হয়েছে। মামলার এজাহারে বাসা থেকে মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার, নগদ টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র খোয়া যাওয়ার কথা বলা হয়েছে।

ভবনের ভেতরের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, হত্যাকাণ্ডের পর এক নারী স্কুলড্রেস পরে কাঁধে ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন। চার দিন আগে আয়েশা পরিচয় দিয়ে ওই বাসায় গৃহকর্মীর কাজ নেওয়া তরুণী (২০) এই জোড়া খুনে জড়িত বলে সন্দেহ স্বজনদের। ঘটনার পর থেকে ওই তরুণী পলাতক।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

গাংনী (মেহেরপুর) প্রতিনিধি 
গাংনী উপজেলার দেবীপুর গ্রামে মজিরুলের নেতৃত্বে কবর খোঁড়া হচ্ছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
গাংনী উপজেলার দেবীপুর গ্রামে মজিরুলের নেতৃত্বে কবর খোঁড়া হচ্ছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

জীবন আছে যার, তার মৃত্যু অনিবার্য। মৃত্যুর পর মানুষের শেষ ঠিকানা কবর। মৃতদেহ গোসল করিয়ে কাফন পরানো হয়, জানাজা শেষে তাকে শায়িত করা হয় চিরনিদ্রার ঘরে। এই কবর খোঁড়ার দায়িত্বটি গ্রামের কিছু মানুষ বহু বছর ধরে স্বেচ্ছায়, বিনা পারিশ্রমিকে পালন করে আসছেন, যাঁরা সবার কাছে ‘গোরখোদক’ নামে পরিচিত। আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় তাঁরা করে থাকেন এই কাজ।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গোরখোদকেরা কোনো পারিশ্রমিক নেন না। গ্রামের যে কেউ মারা যাক, নিজেদের ব্যস্ততা ফেলে তাঁরা ছুটে আসেন কবর খুঁড়তে। তাঁদের এই মানবিক কাজের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে গ্রামের লোকেরা দোয়া করেন—আল্লাহ যেন তাদের সুস্থ ও ভালো রাখেন।

দেবীপুর গ্রামের বাসিন্দা গোরখোদক মজিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ৫৫ বছর ধরে কবর খুঁড়ছি। যত দিন সুস্থ থাকব, এই কাজ চালিয়ে যাব। আমাদের গ্রাম ছাড়াও অন্য গ্রাম থেকে কেউ ডাকলে সেখানেও যাই। ছোটবেলায় ওস্তাদের কাছে ডালি ধরেই শিখেছি। গরিব মানুষ, মাঠে কাজ করি; কিন্তু কেউ মারা গেলে দ্বিধা করি না—এই কাজ আমার নেশায় পরিণত হয়েছে।’

মজিরুল আরও জানান, এখন তিনি তরুণদেরও এই কাজ শেখাচ্ছেন।

গাংনী উপজেলার দেবীপুর গ্রামে কবর খোঁড়া হচ্ছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
গাংনী উপজেলার দেবীপুর গ্রামে কবর খোঁড়া হচ্ছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

গোরখোদক শাকের আলী বলেন, ‘আমরা নিঃস্বার্থভাবে কাজ করি। কখনো কোনো টাকা নিই না। যেখানেই থাকি, গ্রামের কারও মৃত্যুর সংবাদ শুনলে দ্রুত কবর খুঁড়তে চলে আসি।’

গোরখোদক ফুয়াদ হোসেন বলেন, ‘অন্য গ্রাম থেকে ডাক এলেও আমরা যাই। আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই করি এই কাজ। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’

স্থানীয় বাসিন্দা শাজাহান আলী বলেন, ‘কবর খোঁড়া বড় দায়িত্বের কাজ। গ্রামের এসব মানুষ খবর পেলেই দৌড়ে আসে। আমরা তাদের জন্য দোয়া করি।’

মাওলানা মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘মৃত ব্যক্তির জন্য কবর খোঁড়া নিঃসন্দেহে সওয়াবের কাজ। হাদিসে এসেছে—যাঁরা কবর খোঁড়েন, আল্লাহ তাদের জন্য জান্নাতে ঘর নির্মাণ করবেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শ্রীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ, ফটকে তালা ঝুলিয়ে পালিয়েছে কারখানা কর্তৃপক্ষ

শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
আজ সকালে ক্যাটেক্স ফ্যাশন ক্লোথিং লিমিটেড কারখানার শ্রমিকেরা বিক্ষোভ করেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ সকালে ক্যাটেক্স ফ্যাশন ক্লোথিং লিমিটেড কারখানার শ্রমিকেরা বিক্ষোভ করেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

গাজীপুরের শ্রীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে কারখানার ফটকের সামনে বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকেরা। আন্দোলনের মুখে কারখানা কর্তৃপক্ষ প্রধান ফটক তালাবদ্ধ করে সটকে পড়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে শিল্প ও থানা-পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসেছেন। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের সাইটালিয়া গ্রামে ক্যাটেক্স ফ্যাশন ক্লোথিং লিমিটেড কারখানায় এই ঘটনা ঘটে।

কারখানার নারী শ্রমিক মিনারা আক্তার বলেন, ‘অক্টোবর ও নভেম্বর মাসের বেতন পরিশোধ করে নাই। এক মাসের বেতন না পেলে আমাদের চলা খুবই কঠিন হয়। আমাদের নাওয়া-খাওয়া বন্ধ হয়। আর সেখানে কারখানা কর্তৃপক্ষ দুই মাসের বেতনভাতা বকেয়া রেখেছে। আজ সকালে শ্রমিকেরা জড়ো হলে তারা পালিয়ে যায়।’

মিন্টু নামের এক শ্রমিক বলেন, ‘এই কারখানায় আমরা তিন বছর ধরে চাকরি করছি। আমাদের বেতনের বাইরে কোনো সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে না। তবু পেটের দায়ে চাকরি করি। দুই মাসের বেতন বকেয়া। আমাদের তো পেট আছে, সন্তান-সংসার আছে। এক মাস দোকান বাকি পরিশোধ করতে না পারলে পরের মাসে আর দোকানি বাকি দেয় না। আমরা কী অবস্থায় আছি, একবার ভাবুন। বেতন পরিশোধ না করে তারা পালিয়ে গেছে।’

আজ সকালে ক্যাটেক্স ফ্যাশন ক্লোথিং লিমিটেড কারখানার শ্রমিকেরা বিক্ষোভ করেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ সকালে ক্যাটেক্স ফ্যাশন ক্লোথিং লিমিটেড কারখানার শ্রমিকেরা বিক্ষোভ করেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

মেহেদী হাসান বলেন, ‘এত দিন ধরে ঋণ করে বলে-কয়ে দোকান থেকে বাকি নিয়ে চলছি। আর পারছি না। এখন দোকান বাকি দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। অক্টোবর মাসের বকেয়া বেতন নিয়ে কমপক্ষে ১০টি তারিখ দিছে। কিন্তু কারখানা কর্তৃপক্ষ বেতন পরিশোধ করেনি। শেষে আজ বেতন পরিশোধের কথা ছিল। কিন্তু তারা কারখানা ফটকে তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে গেছে।’

কারখানার হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. বুলবুল হাসান বলেন, ‘ব্যাংকের সমস্যার কারণে বেতন-ভাতা পরিশোধ করা যাচ্ছে না। আশা করি, আজকের মধ্যে নভেম্বর মাসের বেতন পরিশোধ করতে পারব।’ বিনা নোটিশে কারখানার ফটক কেন তালাবদ্ধ? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমি বলতে পারব না।’

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাছির আহমদ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মাছ ধরতে গিয়ে ভারতে আটক ৬ জেলে, ১৩ মাস পর হস্তান্তর

নালিতাবাড়ী (শেরপুর) প্রতিনিধি 
১৩ মাস সাজা ভোগের পর হস্তান্তর হওয়া বাংলাদেশি ছয় জেলে। ছবি: আজকের পত্রিকা
১৩ মাস সাজা ভোগের পর হস্তান্তর হওয়া বাংলাদেশি ছয় জেলে। ছবি: আজকের পত্রিকা

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নাকুগাঁও সীমান্ত দিয়ে ছয় বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের হস্তান্তর করা হয়।

হস্তান্তর হওয়া মৎস্যজীবীরা কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলার বাসিন্দা। তাঁরা হলেন আবুল হোসেনের ছেলে রাসেল মিয়া (৩৫), বাহাদুর মিয়ার ছেলে বিপ্লব মিয়া (৪৫), ইসহাক আলীর ছেলে মীর জাফর আলী (৪৫), ইছাক আলীর ছেলে বকুল মিয়া (৩২), ফকির আলীর ছেলে আমের আলী (৩৫), সলিমুদ্দিন ব্যাপারীর ছেলে চাঁন মিয়া (৬০)।

বিজিবি ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৪ নভেম্বর জিঞ্জিরাম নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে ভুলক্রমে সীমান্ত অতিক্রম করে তাঁরা ভারতের ভেতরে প্রবেশ করেন। এ সময় স্থানীয় পুলিশ ও বিএসএফ সদস্যরা তাঁদের আটক করে। অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে তাঁরা সেখানে প্রায় ১৩ মাস সাজা ভোগ করেন।

এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সন্ধ্যায় শেরপুর ৩৯ বিজিবির দায়িত্বে থাকা এলাকার হাতিপাগার বিজিবি কোয়ার্টার মাস্টার মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে ভারতের কিল্লাপাড়া বিএসএফ ক্যাম্পের সঙ্গে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে বিএসএফ ছয় বাংলাদেশি নাগরিককে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে। এ সময় নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান বলেন, আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর তাঁদেরকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত