Ajker Patrika

অগ্নিনিরাপত্তা জোরদার করতে চট্টগ্রামে ডিসির সঙ্গে ব্যবসায়ীদের বিশেষ সভা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ১০ এপ্রিল ২০২৩, ২২: ০০
অগ্নিনিরাপত্তা জোরদার করতে চট্টগ্রামে ডিসির সঙ্গে ব্যবসায়ীদের বিশেষ সভা

ঈদুল ফিতরের আগে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে অগ্নিনিরাপত্তা জোরদার ও জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে চট্টগ্রাম দোকান মালিক সমিতির ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বিশেষ সভা করেছেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। আজ সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে বিশেষ এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, ‘অগ্নিনিরাপত্তা-ব্যবস্থা না থাকায় সম্প্রতি ঢাকার বঙ্গবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। মালামাল পুড়ে যাওয়ায় ব্যবসায়ীরা সর্বস্বান্ত হয়ে পথে বসেছেন। এর আগে সীতাকুণ্ডে কয়েক দফায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ ইউনিটেক্স তুলার গুদামে আগুন লেগে ৮০ থেকে ১০০ কোটি টাকার তুলাসামগ্রী পুড়ে গিয়ে মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে।’

পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে তিনি ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বলেন, ‘দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেতে হলে অগ্নিনিরাপত্তা-ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি প্রত্যেক মার্কেটে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে ২৪ ঘণ্টা নজরদারি করে সমিতি কর্তৃক ফুটেজ সংগ্রহে রাখতে হবে। তিনজন কর্মচারী ৮ ঘণ্টা করে দায়িত্ব পালন করলে কোনো ধরনের দুর্ঘটনা ঘটছে কি না, তা তাৎক্ষণিক জানা যাবে।’

ডিসি বলেন, ‘নগরীর জহুর হকার্স মার্কেট, টেরিবাজার, রেয়াজউদ্দিন বাজার ও তামাকুন্ডি লেনে অগ্নিদুর্ঘটনা রোধে মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে ইতিমধ্যে। ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়েছে। এরপরও মার্কেটগুলো অগ্নিঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এ ব্যাপারে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে আমরা কয়েকটি টিম গঠন করব। মার্কেট বা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে অগ্নিদুর্ঘটনাসহ অন্য দুর্ঘটনা রোধে যুগোপযোগী পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।’ আর্থিক ক্ষতি থেকে কিছুটা হলেও লাঘবে ব্যবসায়ীদের বিমার আওতায় আনা যায় কি না—এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের মতামত চাওয়া হবে বলে জানান তিনি।

ডিসি আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান আরও বলেন, ‘শুধু ফায়ার লাইসেন্স থাকলে হবে না, অগ্নিনির্বাপণের সুবিধার্থে প্রত্যেক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে সচল ফায়ার এক্সটিংগুইশার ও বালতিভর্তি বালি রাখতে হবে। এসবের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। যেকোনো সময় অগ্নিদুর্ঘটনা রোধে মার্কেটে বা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ওয়াটার রিজার্ভার, ট্যাংকভর্তি পানি মজুত ও ফায়ার সার্ভিসের অগ্নিনির্বাপক দলের গাড়ি যাতায়াতের সুব্যবস্থা রাখতে হবে। তা ছাড়া পরীর পাহাড় ও নন্দনকানন বিটিসিএল পাহাড়ে ১০ হাজার লিটারের পানির ট্যাংক স্থাপন ও স্থায়ী ওয়াটার রিজার্ভার করা যায় কি না, সে বিষয় খতিয়ে দেখা হবে। পানি সংগ্রহের সুবিধার্থে নগরীর সব পুকুর সংরক্ষণ করে সেগুলোর চতুর্দিকে ওয়াকওয়ে করার পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে। এতে করে লোকজন হাঁটাচলাও করতে পারবে।’ 

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) রাকিব হাসানের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন সিএমপির অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার পংকজ দত্ত, চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক অহিদ সিরাজ চৌধুরী স্বপন, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি মো. ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক মো. আবদুল মালেক, কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মো. আবদুল গফফার খান ও ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত