Ajker Patrika

রাউজানে ঋণের প্রলোভনে প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে উধাও ‘ডিপ ফাউন্ডেশন’

রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
রাউজানে ঋণের প্রলোভনে প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে উধাও ‘ডিপ ফাউন্ডেশন’

মো. আলম (৫২) লাখ টাকা ঋণ নিয়ে দুটি গরু কিনতে চেয়েছিলেন। গরু দুটি লালন-পালন করে কোরবানির হাটে বিক্রি করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন ছিল তাঁর। ডিপ ফাউন্ডেশন নামের একটি বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) সহজ শর্তে ঋণ দিচ্ছে জানতে পেরে ১ লাখ টাকা পেতে ১০ হাজার টাকা জমাও দিয়েছিলেন। কিন্তু ঋণ দেওয়ার নির্ধারিত তারিখে ডিপ ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ে গিয়ে দেখতে পান তালা ঝুলছে। তখন জানতে পারেন, তাঁর মতো অনেকেরই টাকা নিয়ে পালিয়েছে ডিপ ফাউন্ডেশনের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। এই খবর শুনে যেন তাঁর ওপর আকাশ ভেঙে পড়ে। 

গত এপ্রিলের শুরুর দিকে চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সংলগ্ন খালেদা বেগমের বহুতল ভবনের তৃতীয় তলার একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নেন ডিপ ফাউন্ডেশনের শাখা ব্যবস্থাপক এবং পরিচালক পরিচয়দানকারী নার্গিস আকতার ও মো. আলম মিয়া। ১০-১৫ দিন পর কার্যালেয়ে তালা লাগিয়ে পালিয়ে যান তাঁরা। এরপর থেকে ঋণ নিতে প্রতি লাখে ১০ হাজার টাকা করে জমাদানকারী ব্যক্তিরা ওই ভবনের সামনে ভিড় করছেন। মানুষের চাপ সামলাতে বাড়ির মালিক খালেদা আকতার ইতিমধ্যে এনজিওর সাইনবোর্ডটি সরিয়ে নিয়েছেন। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাউজানের কয়েক শ মানুষের কাছ থেকে কোটি টাকার বেশি টাকা হাতিয়ে পালিয়ে গেছে প্রতারক চক্রটি। বিনাজুরী ইউনিয়নের ভুক্তভোগী মো. ইউসূফ বলেন, ‘আমাকে ২ লাখ টাকা ঋণ দেওয়ার শর্তে আমি ২০ হাজার টাকা দিয়েছিলাম। যে দিন ঋণের ২ লাখ টাকা দেওয়ার কথা, সেদিন অফিসে গিয়ে দেখতে পাই দরজায় তালা ঝুলছে। আমার মতো প্রতারণার শিকার আরও কয়েকজনের উপস্থিতিতে আমি অবাক হই।’ 

একই এলাকার মনির উদ্দিন ব্যবসা করার জন্য ৪ লাখ টাকা ঋণ নিতে দিয়েছিলেন ৪০ হাজার টাকা। সাদ্দাম হোসেন সহজ শর্তে ঋণ দেওয়ার প্রলোভনে পড়ে মোবাইল ফোন বিক্রি আর ধারদেনা করে ১০ হাজার টাকা জমা দিয়ে প্রতারিত হন। ৬ জনের একটি গ্রুপ ৫৩ হাজার টাকা জমা দিয়ে প্রতারণার শিকার হওয়ার কথা জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তভোগী এক সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক। 

ফটো বেগম নামের এক ভুক্তভোগী বলেন, ‘মগদাই এলাকায় আমার সঙ্গে প্রতারক চক্রের পরিচয় হয়। আমি ঋণ নিতে চাইলে গ্রুপভিত্তিক সঞ্চয়ের টাকা জমা দেওয়ার কথা বলার পর আমি কয়েকজনকে তা বলি। পরে তারা টাকা জমা দেয়। আমি অশিক্ষিত মানুষ, শিক্ষিত এক যুবককে নিয়ে সেখানে যাই। সবাই মিলে প্রায় ৮০ হাজার টাকা জমা দিই। পরে জানতে পারি, সবার টাকা মেরে ওরা পালিয়ে গেছে।’ 

ভুক্তভোগীদের দেখানো অফিস তথা নোয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন খালেদা মঞ্জিলের স্বত্বাধিকারী বলেন, ‘আমার কাছ থেকে বাসা ভাড়া হিসেবে মাসিক ৭ হাজার টাকা করে স্ট্যাম্পে চুক্তির মাধ্যমে ভাড়া নিয়েছিল। আমি একজনের জাতীয় পরিচয়পত্রও জমা রেখেছি। ভাড়া নেওয়ার সপ্তাহের মধ্যে তারা উধাও হয়ে যায়। আমি শহরে থাকি। পরে জানতে পারি, এনজিও পরিচয়ে কিছুসংখ্যক লোক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। টাকা জমা দেওয়ার আগে কেউ আমাকে কিছু জানায়নি।’ 

এ প্রসঙ্গে নোয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান বাবুল মিয়া বলেন, ‘এনজিও সংস্থার লোক পরিচয় দেওয়া ব্যক্তিদের টাকা দিয়ে প্রতারণার শিকার কয়েকজন আমার কাছে এসেছিলেন। তাদের কাছে কোনো ডকুমেন্ট ছিল না। তবে যেখানে অফিস ভাড়া নিয়েছিল, সেটি ছিল বাসা। কোনো ডকুমেন্ট ছাড়া কীভাবে তারা টাকা জমা দিয়েছিল, আমার বুঝে আসছে না।’ 

রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদ হোসেন বলেন, ‘আমার কাছে কেউ আসে নাই। থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ দিয়েছে কিনা ডিউটি অফিসারের কাছ থেকে জানতে হবে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অংগ্যজাই মারমা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এনজিওটির কথা শুনেছিলাম। পরবর্তী সময়ে খবর নিয়ে জানতে পারি ওরা আর নেই। পাওয়া যাচ্ছে না। তাদের বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইউএস-বাংলার বহরে যুক্ত হলো তৃতীয় এয়ারবাস ৩৩০, এয়ারক্র্যাফট দাঁড়াল ২৫টিতে

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ল ১৫ শতাংশ, সঙ্গে শর্ত

আজকের রাশিফল: আপন গোপন তথ্য সামলে রাখুন, প্রচুর ভালোবাসুন

গাজায় যুদ্ধবিরতি ভেঙে এক দিনে ১৫৩ টন বোমা ফেলেছে ইসরায়েল

যুগান্তকারী উদ্ভাবন: চোখে চিপ বসিয়ে দেখতে পাচ্ছেন দৃষ্টিহীনেরা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সাজিদ হত্যার দ্রুত বিচার না হলে ক্যাম্পাস শাটডাউনের হুঁশিয়ারি ইবি ছাত্রদলের

ইবি প্রতিনিধি
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহ হত্যার দ্রুত বিচার না হলে ক্যাম্পাস শাটডাউনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে শাখা ছাত্রদল।

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয়ে গিয়ে এ হুঁশিয়ারি দেন সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা।

জানতে চাইলে শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব মাসুদ রুমি মিথুন বলেন, ‘সাজিদ হত্যার বিষয়ে আমরা বারবার প্রশাসনকে জানিয়েছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখতে পাইনি। তাই প্রশাসনকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছি, দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে আমরা ক্যাম্পাস শাটডাউনের পথে যাব। সেটা আগামীকালও হতে পারে, পরশুও হতে পারে।’

মাসুদ রুমি মিথুন আরও বলেন, ‘বিভিন্ন দাবিতে ছাত্রদল আগেও প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে; কিন্তু সেসব দাবিও বাস্তবায়িত হয়নি। এবার আমরা দাবি আদায়ের জন্য কঠোর কর্মসূচি নিতে বাধ্য হবো।’

এ সময় শাখা ছাত্রদলের পক্ষ থেকে উপাচার্যের কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়ন ও শিক্ষার্থীবান্ধব ক্যাম্পাস গঠনের লক্ষ্যে পাঁচ দফা দাবিসহ একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়।

দাবিগুলো হলো ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি কার্যক্রম, ফি পরিশোধ, সনদ ও নম্বরপত্র উত্তোলনের পূর্ণাঙ্গ ডিজিটালাইজেশন নিশ্চিত করতে হবে। চিকিৎসাব্যবস্থায় আধুনিক যন্ত্রপাতি ও মানসম্মত সেবা দিতে হবে। ক্যাম্পাস ও আশপাশে ফায়ার সার্ভিস সাবস্টেশন স্থাপন এবং ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। কার্যকর ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও নারী শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ জিমনেসিয়াম গড়ে তুলতে হবে। নিয়োগ বোর্ডকে ফ্যাসিস্টমুক্ত রেখে দলীয় প্রভাবমুক্ত নিশ্চিত করতে হবে এবং আবাসিক হলের খাবারের মান উন্নত করতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইউএস-বাংলার বহরে যুক্ত হলো তৃতীয় এয়ারবাস ৩৩০, এয়ারক্র্যাফট দাঁড়াল ২৫টিতে

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ল ১৫ শতাংশ, সঙ্গে শর্ত

আজকের রাশিফল: আপন গোপন তথ্য সামলে রাখুন, প্রচুর ভালোবাসুন

গাজায় যুদ্ধবিরতি ভেঙে এক দিনে ১৫৩ টন বোমা ফেলেছে ইসরায়েল

যুগান্তকারী উদ্ভাবন: চোখে চিপ বসিয়ে দেখতে পাচ্ছেন দৃষ্টিহীনেরা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাহুবলে গৃহবধূর হাত বাঁধা ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলায় বাড়ির পার্শ্ববর্তী বাঁশঝাড় থেকে নাজমা বেগম (৪০) নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় তাঁর দুই হাত পেছনে বাঁধা অবস্থায় ছিল।

আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) ভোরে উপজেলার লামাতাসি ইউনিয়নের কাজীহাটা গ্রাম থেকে বাহুবল থানা-পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। নাজমা বেগম ওই গ্রামের মালয়েশিয়াপ্রবাসী জসিম আলীর স্ত্রী।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে নাজমা বেগমের সঙ্গে তাঁর দেবরদের পারিবারিক ও জমি-সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলছিল। তিনি মেয়েকে নিয়ে নিজ বাড়িতে বসবাস করতেন। গতকাল সোমবার রাত ১০টার পর থেকে তাঁকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে বাড়ির পাশের বাঁশঝাড়ে ঝুলন্ত অবস্থায় নাজমার মরদেহ দেখতে পান স্বজনেরা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে।

আজ দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।

বাহুবল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক বিরোধের জেরে হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইউএস-বাংলার বহরে যুক্ত হলো তৃতীয় এয়ারবাস ৩৩০, এয়ারক্র্যাফট দাঁড়াল ২৫টিতে

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ল ১৫ শতাংশ, সঙ্গে শর্ত

আজকের রাশিফল: আপন গোপন তথ্য সামলে রাখুন, প্রচুর ভালোবাসুন

গাজায় যুদ্ধবিরতি ভেঙে এক দিনে ১৫৩ টন বোমা ফেলেছে ইসরায়েল

যুগান্তকারী উদ্ভাবন: চোখে চিপ বসিয়ে দেখতে পাচ্ছেন দৃষ্টিহীনেরা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দুই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা, ৫ আসামির মৃত্যুদণ্ড

কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

কক্সবাজারের রামুতে অপহরণের পর সহোদর দুই শিশুকে হত্যার দায়ে পাঁচ আসামির মৃত্যুদণ্ড ও তিন নারীসহ চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপুরে কক্সবাজারের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক মো. ওসমান গণির আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের বড়বিল এলাকার জাহাঙ্গীর আলম, আব্দু শুক্কুর, আলমগীর হোসেন প্রকাশ বুলু, মিজানুর রহমান ও মো. শহীদুল্লাহ।

এ ছাড়া যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন একই এলাকার আবদুল মজিদ, ফাতেমা খাতুন, রাশেদা বেগম ও লায়লা বেগম।

রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) মীর মোশারফ হোসেন টিটু রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মামলার নথির বরাতে তিনি বলেন, ২০১৬ সালের ১৭ জানুয়ারি বিকেলে রামু উপজেলা গর্জনিয়া ইউনিয়নের বড়বিল এলাকার দোকান কর্মচারী মো. ফোরকানের দুই ছেলে হাসান শাকিল (১১) ও হোসেন কাজল (৮) নামের দুই শিশুকে বাড়ির অদূরে পাখির ছানা দেখার লোভ দেখিয়ে ওই এলাকার আবদু শুক্কুরের ছেলে জাহাঙ্গীর আলমসহ একটি চক্র অপহরণ করে।

হাসান বাইশাঁরী শাহনূর উদ্দিন দাখিল মাদ্রাসার ও হোসেন বড়বিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র ছিল।

মীর মোশারফ হোসেন টিটু জানান, অপহরণের পর ওই দিন রাতে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিবারের কাছ থেকে চার লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারী চক্র। পরে অপহৃত শিশুদের সন্ধান না পেয়ে তাঁদের বাবা বাদী হয়ে গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ১৯ জানুয়ারি মামলা করেন। মামলাটি নথিভুক্ত হওয়ার পরপরই দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

পরে গ্রেপ্তার আসামিদের স্বীকারোক্তিমতে স্থানীয় একটি পাহাড়ের জঙ্গলে গুমের উদ্দেশ্যে লুকিয়ে রাখা অবস্থায় দুই শিশুর মরদেহ পুলিশ উদ্ধার করে। পিপি আরও জানান, ২০১৬ সালের ৭ এপ্রিল মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন। এরপর আদালত ২০১৯ সালের ২০ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

মীর মোশারফ হোসেন আরও জানান, ৯ বছর ধরে মামলার বিচারিক কার্যক্রম শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে সন্দেহাতীতভাবে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় আজ নির্ধারিত দিনে আদালত রায় ঘোষণা করেন।

এতে সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে পাঁচ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও চার আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। এ ছাড়া তাঁদের বিভিন্ন অঙ্কের অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

রায় ঘোষণাকালে প্রধান আসামি জাহাঙ্গীর আলম উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া অন্যরা পলাতক রয়েছেন। নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় মোকারমা সুলতানা পুতু নামের এক তরুণীকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইউএস-বাংলার বহরে যুক্ত হলো তৃতীয় এয়ারবাস ৩৩০, এয়ারক্র্যাফট দাঁড়াল ২৫টিতে

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ল ১৫ শতাংশ, সঙ্গে শর্ত

আজকের রাশিফল: আপন গোপন তথ্য সামলে রাখুন, প্রচুর ভালোবাসুন

গাজায় যুদ্ধবিরতি ভেঙে এক দিনে ১৫৩ টন বোমা ফেলেছে ইসরায়েল

যুগান্তকারী উদ্ভাবন: চোখে চিপ বসিয়ে দেখতে পাচ্ছেন দৃষ্টিহীনেরা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জোবায়েদ হত্যার বিচার দাবিতে আদালতে জবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
জোবায়েদ হত্যার বিচার দাবিতে আদালতে জবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ করেন। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া
জোবায়েদ হত্যার বিচার দাবিতে আদালতে জবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ করেন। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

‎জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. জোবায়েদ হোসেন (২৫) হত্যার ঘটনায় রাজধানীর বংশাল থানায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার জোবায়েদের ছাত্রী (১৯), তাঁর কথিত প্রেমিক মো. মাহির রহমান (১৯) ও বন্ধু ফারদীন আহম্মেদ আয়নালকে (২০) আদালতে হাজির করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বিকেলে বংশাল থানা-পুলিশ তিনজনকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে।

এদিকে তিন আসামিকে আদালতে হাজির করার পর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা আসামিদের ফাঁসির দাবিতে আদালত এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেন। তাঁরা দ্রুত বিচার দাবি করেন এবং এই মামলায় আরও যারা জড়িত তাদেরও শনাক্ত করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বংশাল থানার এসআই মো. আশরাফ হোসেন তিনজনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করার জন্য আবেদন করেছেন। আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, এই তিনজনের পরিকল্পনায় জোবায়েদকে হত্যা করা হয় বলে গ্রেপ্তারের পর তাঁরা জানান। তাঁরা আদালতেও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে ইচ্ছুক।

জোবায়েদ খুন হওয়ার ওর ওই দিন রাতেই তাঁর ছাত্রীকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। ঢাকার কেরানীগঞ্জ ও শান্তিনগর থেকে অপর দুজনকে আটক করে পুলিশ।

আজ সকালে বংশাল থানায় মামলা করেন জোবায়েদের বড় ভাই এনায়েত হোসেন সৈকত।

মামলায় জোবায়েদের ছাত্রী, মো. মাহির রহমান ও বন্ধু ফারদীন আহম্মেদ আয়নালকে আসামি করা হয়। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও চার-পাঁচজনকে আসামি করা হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, বাদীর ছোট ভাই জোবায়েদ জবিতে পড়াশোনার পাশাপাশি টিউশনি করতেন। প্রতিদিনের মতো ১৯ অক্টোবর (রোববার) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বংশাল থানার নূর বক্স লেনের ১৫ নম্বর হোল্ডিং রওশন ভিলায় ওই ছাত্রীকে পড়ানোর জন্য যান জোবায়েদ। ওই দিন সন্ধ্যা ৫টা ৪৮ মিনিটের দিকে জোবায়দের ছাত্রী সৈকতকে (বাদী) ফোনে বলেন, ‘জোবায়েদ স্যার খুন হয়েছেন। কে বা কারা খুন করে ফেলছে।’ জানার পরে বাদী, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কর্মকর্তা, শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা ঘটনাস্থলে গেলে রাত সাড়ে ৮টা দিকে ওই বাড়ির সিঁড়িতে জোবায়েদের লাশ দেখতে পান তাঁরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে এবং পরে ময়নাতদন্তের জন্য জোবায়েদের লাশ মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে যায়।

এজাহারে আরও বলা হয়েছে, স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে জেনে ও আশপাশের সিসিটিভির ফুটেজ দেখে বাদী জানতে পেরেছেন এজাহারনামীয় তিন আসামি ও অজ্ঞাতনামা আসামিরা তাঁর ভাইকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলার ডান পাশে আঘাত করে খুন করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইউএস-বাংলার বহরে যুক্ত হলো তৃতীয় এয়ারবাস ৩৩০, এয়ারক্র্যাফট দাঁড়াল ২৫টিতে

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ল ১৫ শতাংশ, সঙ্গে শর্ত

আজকের রাশিফল: আপন গোপন তথ্য সামলে রাখুন, প্রচুর ভালোবাসুন

গাজায় যুদ্ধবিরতি ভেঙে এক দিনে ১৫৩ টন বোমা ফেলেছে ইসরায়েল

যুগান্তকারী উদ্ভাবন: চোখে চিপ বসিয়ে দেখতে পাচ্ছেন দৃষ্টিহীনেরা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত