Ajker Patrika

৮ আত্মীয়কে নিয়ে দপ্তর চালান চট্টগ্রাম সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬: ০৪
৮ আত্মীয়কে নিয়ে দপ্তর চালান চট্টগ্রাম সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ) চট্টগ্রাম দক্ষিণের নির্বাহী প্রকৌশলী সুমন সিংহ। তাঁর আটজন আত্মীয় ওই দপ্তরে চাকরি করছেন; কেউ তাঁর ভাবি, কেউ ভাগনি আর কেউ চাচা।

এই প্রকৌশলী যে বাড়ি করেছেন, সেটির দাম আনুমানিক ৫ কোটি টাকা। সেই বাড়িতে যাওয়ার রাস্তা করেছেন সরকারের ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে। এসব অভিযোগে তাঁকে বান্দরবানে তাৎক্ষণিক বদলি (স্ট্যান্ড রিলিজ) করা হয়েছে। কিন্তু এখনো নতুন কর্মস্থলে যোগ দেননি তিনি। বদলি ঠেকাতে এই প্রকৌশলী তৎপরতা চালাচ্ছেন বলে দপ্তরের একটি সূত্র জানিয়েছে।

সুমন সিংহের গ্রামের বাড়িও চট্টগ্রামের পটিয়ায়। গ্রামের বাড়িতে আলিশান বাড়ির পাশাপাশি চট্টগ্রাম নগরের অভিজাত এলাকা জামালখানে ফ্ল্যাটও রয়েছে তাঁর।

অভিযোগ রয়েছে, নিজের পরিবারের লোকজনকে পছন্দমতো পদে বসিয়েছেন সুমন সিংহ। তাঁদের দিয়ে পছন্দের ঠিকাদারদের নিয়ে কাজ ভাগিয়ে নেন। পরে ঠিকাদারদের কাছ থেকে নির্দিষ্ট হারে কমিশন নেন সুমন।

বিভিন্ন অভিযোগে ৭ ফেব্রুয়ারি স্ট্যান্ড রিলিজ হন সুমন সিংহ। সওজের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মঈনুল হাসানের সই করা প্রজ্ঞাপনে তাঁকে বান্দরবান সড়ক বিভাগে বদলি করা হয়। একই আদেশে তাঁর স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে সওজ চট্টগ্রাম বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমাকে। প্রজ্ঞাপনে এ দুই কর্মকর্তাকে ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে স্থানীয় ব্যবস্থার মাধ্যমে দায়িত্বভার হস্তান্তর করার নির্দেশ দেওয়া হয়। অন্যথায় ১৫ ফেব্রুয়ারি কর্মস্থল থেকে তাৎক্ষণিক অবমুক্ত গণ্য হবেন বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

সওজ সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম দক্ষিণ সড়ক বিভাগ অফিসে সুমন সিংহের ভাবি সুপ্রিয়া সিংহ, চাচাতো ভাই সুব্রত সিংহ ও ভাগনি চৈতী দেবকে কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। চাচা স্বপন চৌধুরী ও মাধু সিকদারকে শ্রমিক পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আরেক চাচা পুলক সিকদার ও চাচাতো ভাই অভি চৌধুরীকে গার্ড পদে এবং চাচাতো ভাই প্রভাত মল্লিককে চালক পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। এ ছাড়া সওজের কর্মী টিংকু ধর ও নিউটন সিংহ সুমন সিংহের চাচাতো ভাই। তাঁদের দিয়ে পছন্দমতো ঠিকাদারকে কাজ দেন সুমন। বিধিমালা ৩(ডি) ভেঙে কাজ শুরুর আগে টেন্ডার ভাগাভাগি করে প্রত্যেক ঠিকাদারের কাছ থেকে ৫ শতাংশ টাকা আদায় করেন এই প্রকৌশলী। তিনি সুনির্দিষ্ট কয়েকজন ঠিকাদারের মাধ্যমে সব কাজের কার্যাদেশ দেন। এতে প্রতিযোগিতা কমে যায়।

সওজ চট্টগ্রামের ওএসডি হওয়া এক কর্মকর্তা জানান, দক্ষিণ সড়ক বিভাগে যথাযথ প্রক্রিয়ায় সরকারিভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত কম্পিউটার অপারেটর রয়েছে। তারপরও সুমন সিংহ তাঁকে ওএসডি করে সুব্রত সিংহকে সড়ক বিভাগের সব টেন্ডার ও বিলিং কার্যক্রমের দায়িত্ব দিয়ে দেন।

এলজিইডি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পটিয়ার কথাকচুয়াই গ্রামে বাড়ি সুমন সিংহের। তাঁদের বাড়ি যাওয়ার জন্য ২০০ মিটার ও ১৫০ মিটারের দুটি রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে সরকারি ব্যয়ে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) ৪০ লাখ ২০ হাজার টাকার বরাদ্দে বানানো রাস্তা দুটির উপকারভোগী ওই দুই পরিবার। আবার আইন ভেঙে রাস্তা দুটির নামকরণ করা হয়েছে সেই প্রকৌশলীর মা-বাবা ও দাদা-দাদির নামে। ২০০ মিটার রাস্তাটি প্রকৌশলীর দাদা-দাদি যোগেন্দ্র-মাধুরী সিংহের নামে, আর ১৫০ মিটারের রাস্তাটিকে তাঁর মা-বাবা সুহাসিনী-প্রণবের নামে করা হয়েছে।

এলজিইডি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ছাড়া সরকারি পরিপত্র অনুযায়ী কোনো ব্যক্তির নামে বর্তমানে সড়কের নামকরণ করা যায় না। এলাকার লোকজন জানিয়েছেন, আগে এই রাস্তার নাম ছিল তালতলা টু অলির হাট সড়ক। প্রকৌশলী প্রভাব খাটিয়ে রাস্তার নাম বদলেছেন। বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পর্যন্ত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সুমন সিংহ দাবি করেন, সবকিছু নিয়ম মেনেই হয়েছে। বদলি ঠেকানোর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে চাননি।

এ বিষয়ে সওজের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাঁকে অবশ্যই বদলি করা জায়গায় যেতে হবে। আমরা এই বিষয়ে কোনো ছাড় দেব না। অফিসের আদেশ অমান্য করার সুযোগ নেই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে যুবককে সাজা, ভেকু মেশিন জব্দ

ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি  
অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালায় উপজেলা প্রশাসন। ছবি: আজকের পত্রিকা
অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালায় উপজেলা প্রশাসন। ছবি: আজকের পত্রিকা

ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে মো. হৃদয় আহমেদ (২৬) নামের এক যুবককে অর্থদণ্ড ও কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় বালু তোলার কাজে ব্যবহৃত একটি এক্সকাভেটর (ভেকু মেশিন) জব্দ করা হয়।

গতকাল মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত উপজেলার কানিহারী ইউনিয়নের জিলকী বটতলা এলাকায় উপজেলা প্রশাসন এই অভিযান চালায়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন ত্রিশাল উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুর রহমান।

সাজাপ্রাপ্ত হৃদয় জিলকী বটতলা এলাকার মো. হেলাল উদ্দিনের ছেলে। ভ্রাম্যমাণ আদালত তাঁকে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ অনুযায়ী ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড এবং সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন।

এসি ল্যান্ড মাহবুবুর রহমান বলেন, জনস্বার্থে এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে, যাতে পরিবেশ ও নদী রক্ষা করা যায় এবং অবৈধ বালু উত্তোলন সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গোপনে সহপাঠীদের অপ্রীতিকর ছবি তুলে সিনিয়র ভাইকে পাঠাতেন বাকৃবি ছাত্রী

বাকৃবি প্রতিনিধি 
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) এক ছাত্রীর বিরুদ্ধে গোপনে নারী সহপাঠীদের ছবি তুলে এক সিনিয়র ছাত্রের কাছে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে।

গতকাল মঙ্গলবার ওই ছাত্রীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে ডিনের সঙ্গে বৈঠক করেন অভিযোগকারীরা।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত ছাত্রী বাকৃবি থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। তিনি তাঁর নারী সহপাঠীদের ঘুমন্ত বা ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি গোপনে মোবাইল ফোনে তুলতেন। তাঁর কাছ থেকে যিনি ছবিগুলো গ্রহণ করতেন, তিনি ওই ছাত্রী যে বিভাগে পড়েন, সেই বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র এবং বর্তমানে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে লেকচারার হিসেবে কর্মরত।

ওই ছাত্রী অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছেন ডিন অধ্যাপক ড. মো. আবদুল মজিদ। তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা অভিযোগ নিয়ে আমার কাছে আসে। আমরা অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর মোবাইল ফোন পরীক্ষা করে ছবি আদান-প্রদানের প্রমাণ পাই। জিজ্ঞাসাবাদের সময় তিনি স্বীকার করেন যে তিনি মেয়েদের বিভিন্ন ছবি তুলতেন এবং তা এক সিনিয়র ভাইয়ের কাছে পাঠাতেন।’ তিনি আরও বলেন, বর্তমানে মোবাইলটি সিলগালা অবস্থায় ডিন অফিসে সংরক্ষিত রয়েছে। বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ ও নিরোধ কমিটির কাছে হস্তান্তর করা হবে।

অভিযুক্ত সিনিয়র শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমি মেয়েটির সঙ্গে দীর্ঘদিন কথা বলেছি। সে যেসব ছবি পাঠিয়েছে, আমি তা সংরক্ষণ করিনি। আমার কোনো খারাপ উদ্দেশ্য ছিল না; তবে আমি আমার কাজের জন্য অনুতপ্ত। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যা সিদ্ধান্ত নেবে, আমি তা মেনে নেব।’

অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর সহপাঠীদের ভাষ্য, ইন্টার্নশিপ চলাকালে ওই ছাত্রীর সন্দেহজনক আচরণ লক্ষ করে তাঁরা তাঁকে নজরদারিতে রাখেন। পরে নিশ্চিত হন যে ওই ছাত্রী মেয়েদের ঘুমন্ত বা অপ্রস্তুত অবস্থার ছবি তুলতেন। বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ার পর তাঁরা বিভাগীয় শিক্ষকদের অবহিত করেন এবং কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজশাহীতে কিশোরীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজশাহীতে মাসুদা পারভিন ওরফে ইভা (১৭) নামের এক কিশোরীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নগরের মতিহার থানার মৌলভী বুধপাড়া এলাকার একটি আমবাগান থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। তার স্বামী মো. দুর্জয়ের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।

মৃত ইভা নগরের মেহেরচণ্ডী এলাকার ইকবাল হোসেনের মেয়ে। তার স্বামী দুর্জয়ের বাড়ি রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার কানপাড়া গ্রামে। রাজশাহী নগরের দায়রাপাক এলাকায় এই দম্পতি ভাড়া থাকতেন। ইভা তিন দিন ধরে নিখোঁজ ছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে।

মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মালেক জানান, দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা আমবাগানে লাশটি দেখতে পান। ইভার মাথায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ওসি বলেন, ইভার স্বামী দুর্জয়ের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি পলাতক। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তাঁর সম্পৃক্ততা থাকতে পারে। বিষয়টির তদন্ত চলছে। এ নিয়ে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শিশুদের ঝগড়াকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষ, অর্ধশতাধিক আহত

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি   
উপজেলার মধ্যবাজার এলাকায় সংঘর্ষে জড়ায় দুই গ্রামের বাসিন্দারা। ছবি: আজকের পত্রিকা
উপজেলার মধ্যবাজার এলাকায় সংঘর্ষে জড়ায় দুই গ্রামের বাসিন্দারা। ছবি: আজকের পত্রিকা

হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলায় দুই শিশুর ঝগড়াকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত উপজেলার মধ্যবাজার এলাকায় এই সংঘর্ষ চলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বড়ইউড়ি ও বাহুবল গ্রামের দুই শিশুর মধ্যে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে ঝগড়াকে ঘিরে বিকেল থেকে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। সন্ধ্যার পর উভয় গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মধ্যবাজার এলাকায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হন। গুরুতর আহত কয়েকজনকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল, বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্য ব্যক্তিদের স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

খবর পেয়ে রাত ১০টার দিকে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ দল ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

বাহুবল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরে রাত ১০টার দিকে সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে পুলিশ প্রশাসন ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে সালিস বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত