Ajker Patrika

সোনালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপকের ৫ বছর কারাদণ্ড

আদালত প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
সোনালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপকের ৫ বছর কারাদণ্ড

চট্টগ্রামে সোনালী ব্যাংকের প্রায় ১৬ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় ব্যাংকটির সাবেক ব্যবস্থাপকের ৫ বছর কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মুনসী আবদুল মজিদ এ রায় দেন। তিনি এ মামলায় জামিন পেয়ে পলাতক রয়েছেন। 
 
আসামি মো. ইউনুস (৫০) সাতকানিয়া উপজেলার মইশামুড়া এলাকার মৃত আলী হোসেনের ছেলে। ২০১২ সালে এই ঘটনার সময় তিনি সোনালী ব্যাংক সাতকানিয়া উপজেলার মরফলা বাজার শাখার ব্যবস্থাপক ছিলেন। তিনি এ মামলায় জামিন পেয়ে পলাতক রয়েছেন। 

দুদকের আইনজীবী মাহমুদুল হক মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আসামিকে পৃথক তিন ধারায় ৫ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।’

মাহমুদুল হক আরও বলেন, ‘আসামি ইউনুস ব্যাংকটির মরফলা বাজার শাখার ব্যবস্থাপক থাকাকালে ২০১২ সালে ১৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন। এই ঘটনায় দুদক তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করে। ২০১২ সালের ৭ মে দুদক আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। অভিযোগ গঠনের পর আদালত ১৭ জনের সাক্ষ্য নেন।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

স্ত্রীসহ দিলীপ আগারওয়ালার আয়কর নথি জব্দের নির্দেশ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
দিলীপ কুমার আগারওয়াল ছবি: সংগৃহীত
দিলীপ কুমার আগারওয়াল ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য উপকমিটির সদস্য এবং ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) দিলীপ কুমার আগারওয়াল ও তাঁর স্ত্রী সবিতা আগারওয়ালের আয়কর নথি জব্দের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ এ নির্দেশ দেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দুটি পৃথক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এই আদেশ দিয়েছেন। আবেদন দুটি করেন দুদকের সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন।

দুদকের আবেদনে বলা হয়েছে, দিলীপ কুমার আগারওয়াল অসাধু উপায়ে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ১১২ কোটি ৪৭ লাখ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জন করে ভোগদখলে রেখেছেন। এ ছাড়া তাঁর নিজ নামে ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে ৩৪টি ব্যাংক হিসাবে ৭৫৫ কোটি ৩০ লাখ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন পাওয়া গেছে। এসব অর্থ দুর্নীতি, ঘুষ ও মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে অর্জিত বলে অভিযোগ করেছে দুদক।

অন্য আবেদনে বলা হয়েছে, দিলীপ কুমার আগারওয়ালার স্ত্রী সবিতা আগারওয়াল অসাধু উপায়ে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ৪৫ কোটি ৭০ লাখ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জন করে ভোগদখলে রেখেছেন। এ ছাড়া তাঁর নামে ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে আটটি ব্যাংক হিসাবে ২১৩ কোটি ২৮ লাখ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। এই অর্থও দুর্নীতি, ঘুষ ও মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে প্রাপ্ত বলে জানা যায়।

উভয়ের বিরুদ্ধে দুদকের অভিযোগ তদন্তের স্বার্থে তাঁদের আয়কর পর্যালোচনা করার জন্য উক্ত নথি তদন্ত কর্মকর্তার হেফাজতে নেওয়া দরকার। এ জন্য আয়কর নথি জব্দ করতে বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশনা প্রয়োজন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিচারকের ছেলেকে হত্যায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ আইন উপদেষ্টার

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। ফাইল ছবি
উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। ফাইল ছবি

রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আবদুর রহমানের ভাড়া বাসায় সংঘটিত নৃশংস হামলার ঘটনায় তাঁর ছেলে তাওসিফ রহমান (সুমন) নিহত ও স্ত্রী তাসমিন নাহার গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।

আজ বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) রাতে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, ঘটনার পরপরই পুলিশকে দ্রুততম সময়ে জড়িত সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার ও ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঘটনার পরই সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিয়েছে।

আহত তাসমিন নাহারের চিকিৎসা যথাযথভাবে চলমান রাখতে সরকারের পক্ষ থেকে চিকিৎসার বিষয়ে নিবিড় নজরদারি করা হচ্ছে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ বজায় রয়েছে।

মর্মান্তিক এ ঘটনায় নিহত সুমনের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন এবং আহত ব্যক্তির দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন।

বিচার বিভাগের সদস্য ও তাঁদের পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বৌদ্ধদের ধর্মীয় গুরু একুশে পদকপ্রাপ্ত ড. জ্ঞানশ্রী মহাস্থবিরের প্রয়াণ

 নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ১৯: ৫২
ড. জ্ঞানশ্রী মহাস্থবির। ছবি: সংগৃহীত
ড. জ্ঞানশ্রী মহাস্থবির। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশি বৌদ্ধদের ধর্মীয় গুরু শতবর্ষী সংঘরাজ ড. জ্ঞানশ্রী মহাস্থবির মারা গেছেন। চট্টগ্রাম নগরের এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

রাউজান উপজেলার উত্তর গুজরা (ডোমখালী) গ্রামে ১৯২৫ সালের ১৮ নভেম্বর ড. জ্ঞানশ্রী মহাস্থবিরের জন্ম। তিনি বাংলাদেশি বৌদ্ধদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় গুরু, বৌদ্ধ বিশ্বের বর্ষীয়ান কিংবদন্তি সাংঘিক ব্যক্তিত্ব, একুশে পদকপ্রাপ্ত সংঘরাজ। ৮০ বছরের ভিক্ষুত্ব জীবনে বৃহত্তর বৌদ্ধসমাজে তিনি ছিলেন ত্রয়োদশ সংঘরাজ।

ড. জ্ঞানশ্রী মহাস্থবির খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় মুবাইছড়ি জ্ঞানোদয় পালি টোল ও ধর্মোদয় পালি টোল এবং দশবল রাজবিহার, ত্রিপিটক প্রচার বোর্ড গঠন, রাঙামাটির ভেদভেদিতে মনোঘর অনাথ আশ্রম, কাপ্তাই বড়ইছড়িতে চন্দ্রঘোনা জ্ঞানশ্রী শিশুসদন ও রাউজানের কদলপুর অনাথ আশ্রম, ভিক্ষু ট্রেনিং সেন্টারসহ ২৪টির বেশি জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কেন্দুয়ায় বখাটেদের ঢিলে ক্লাসে ছাত্রী জখম, প্রতিবাদ করায় শিক্ষকের ওপর হামলা

কেন্দুয়া (নেত্রকোনা )প্রতিনিধি
ছবি: আজকের পত্রিকা
ছবি: আজকের পত্রিকা

নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলা সদরের কেন্দুয়া সাবেরুন্নেছা বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে ক্লাস চলাকালে বাইরে থেকে বখাটেদের ছোড়া ঢিলে জানালার কাচ ভেঙে এক ছাত্রী আহত হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে মহসিন আলম (৪৫) নামের এক শিক্ষকের ওপর হামলা চালানো হয়। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটেছে। পরে থানা-পুলিশ গিয়ে বিদ্যালয়ের সামনে পাহারা দেয়।

বিদ্যালয় ও থানা-পুলিশ সূত্র জানায়, আজ দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ক্লাস চলাকালে কয়েকজন বখাটে ওই বিদ্যালয়ের বাইরে দক্ষিণ দিকে অবস্থান নিয়ে বিভিন্নভাবে ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করতে থাকে। একপর্যায়ে বখাটেরা ছাত্রীদের ক্লাসরুম লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়ে। এতে দোতলার একটি ক্লাসরুমের জানালার কাচ ভেঙে পড়ায় এক ছাত্রী আহত হয়।

পরে শিক্ষকেরা স্কুল থেকে বের হয়ে এর প্রতিবাদ করলে বখাটেরা তাঁদের ওপরও চড়াও হয়। এতে শিক্ষক মহসিন আলম আহত হন। পরে তিনি কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে চিকিৎসা নেন।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিষয়টি উপজেলা প্রশাসন ও থানা-পুলিশকে জানায়। খবর পেয়ে থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। এতে ক্ষুব্ধ বখাটেরা পুলিশের উপস্থিতিতেও শিক্ষকদের বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়। পরে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে ছুটির আগপর্যন্ত বিদ্যালয়ের সামনে কয়েকজন পুলিশ সদস্যকেও মোতায়েন রাখা হয়।

এদিকে এ ঘটনার পর থেকে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভীতি ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তারা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার ও বখাটেদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে। এক ছাত্রী বলে, ‘এ ঘটনার পর থেকে আমরা নিরাপত্তাহীনতা ও ভয়ভীতির মধ্যে আছি। আমরা বখাটেদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুখলেছুর রহমান বাঙালী বলেন, ‘বখাটেদের অব্যাহত উৎপাতে আমরা অতিষ্ঠ। এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’ তিনি আরও বলেন, ‘ঘটনার পরপরই বিষয়টি উপজেলা প্রশাসন ও থানা-পুলিশকে জানানো হয়। পরে পুলিশ আসার পরও বাইরে থেকে বখাটেরা ‘‘দেখে নেওয়া’’সহ বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়। আমরা এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’

কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, খবর পেয়ে ঘটনার পরপরই বিদ্যালয় এলাকায় পুলিশ পাঠানোসহ বখাটেদের ধরতে অভিযানও চলছে। তা ছাড়া বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরাও থানায় এসে ঘটনা বলে গেছেন। তাই বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও উদ্ভূত পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত