হোসাইন জিয়াদ, চট্টগ্রাম
সারা দেশে কিন্ডারগার্টেনের সংখ্যা প্রায় ৬০ হাজার। করোনা মহামারিতে গত দেড় বছরে আর্থিক সংকটে পড়ে বন্ধ হয়ে গেছে প্রায় ১০ হাজার। বাকিগুলোর মধ্যে সরকারি নির্দেশনা মেনে খোলার মতো অবস্থা নেই কমপক্ষে ১০ হাজার প্রতিষ্ঠানের। সব মিলিয়ে প্রায় ২০ হাজার কিন্ডারগার্টেনে আজ থেকে ক্লাস হচ্ছে না। করোনার কারণে দীর্ঘ বিরতি থাকায় পেশা বদল করেছেন অনেক শিক্ষক। ফলে দেখা দিয়েছে শিক্ষকের সংকট।
বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন ঐক্য পরিষদের চট্টগ্রামের সভাপতি হাবিব রহমতুল্লাহ বলেন, ‘আমাদের বড় সংকট দেখা দিয়েছে শিক্ষক নিয়ে। কেউ খামার করছেন, কেউ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান দিয়েছেন, কেউ বেসরকারি চাকরিতে যোগ দিয়েছেন। ফলে তাঁরা আর শিক্ষকতা পেশায় ফিরছেন না। নতুন শিক্ষকেরাও রয়েছেন দোটানায়। অভিজ্ঞ শিক্ষকদের হারিয়ে আমরা পড়েছি বেকায়দায়।’
শিক্ষক নেতারা বলছেন, করোনার আগে সারা দেশে প্রায় ১ কোটি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করত কিন্ডারগার্টেনে। আর এখানে শিক্ষক ও কর্মচারী ছিলেন প্রায় ২০ লাখ। আর বন্ধ থাকা ২০ হাজার প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী প্রায় ৮ লাখ। শিক্ষকের সংখ্যা অন্তত আড়াই লাখ।
চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে বন্ধ হয়ে যাওয়া ভিশন ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের উদ্যোক্তো আমজাদ হোসেন। তিনি ২০১৫ সালে স্কুলটি চালু করেন। ২০২১ সালের মার্চ মাসে এসে ঋণের দায়ে স্কুলটি বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন তিনি। উদ্যোক্তা আমজাদ হোসেন বলেন, ‘শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন, ভবন ভাড়াসহ মাসে অন্তত দেড় লাখ টাকা খরচ হতো। ধারদেনা করে ১২ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ করেছি। এখন আমি নিঃস্ব। আমার ২১ জন শিক্ষক-কর্মচারীও বেকার। খুব খারাপ লাগছে। এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিজ হাতে গড়েছি। বন্ধ ঘোষণার সময়ও ৪৫০ জন শিক্ষার্থী ছিল স্কুলে। টাকার কারণে হাল ছেড়ে দিলাম। তবু আশায় আছি, সরকারি ও বেসরকারি সহযোগিতা পেলে নতুন করে শুরু করতে চাই।’
আমজাদ হোসেনের মতো শিক্ষা খাতের অনেক উদ্যোক্তাই নিঃস্ব হয়েছেন করোনা মহামারির কারণে। অনেকেই পেশা বদল করেছেন।
এমনই আরেক তরুণ উদ্যোক্তা সাইফুল্লাহ মুনীর। প্রায় ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে আগ্রাবাদে চট্টগ্রাম সিটি স্কুল নামে একটি কিন্ডারগার্টেন চালু করেন। কিন্তু করোনায় স্কুলটি বন্ধ করে দেন তিনি। তবে এই স্কুল ঘরের সামনেই একটি স্টেশনারি ও মুদি দোকান খুলে দিয়েছেন তিনি।
সাইফুল্লাহ মুনীর বলেন, ‘আমাদের অবস্থা খুবই নাজুক। ঋণ শোধ করব, নাকি নতুন করে স্কুল চালু করব, নাকি জীবন চালাব? কিছুই বুঝতে পারছি না।’
করোনায় বন্ধ হয়ে যাওয়া একটি স্কুলের শিক্ষক সুমী আক্তার বলেন, ‘স্কুলটির শুরু থেকে আমি ছিলাম। নিজের সন্তানের মতো ছিল এই স্কুল। এখন ভবনের সামনে দিয়ে যেতেই খারাপ লাগে। আমার স্বামী ছোটখাটো একটি চাকরি করেন। আর আমি শিক্ষকতা করে সংসার খরচে সহায়তা করতাম। স্কুল বন্ধ হওয়ার পর আমি বেকার। অন্য জায়গায় চাকরি খুঁজছি। কিন্তু সুযোগ পেলে শিক্ষকতায় ফিরতে চাই।’
বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ঐক্য পরিষদের চেয়ারম্যান এম ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, কিন্ডারগার্টেন শিক্ষাব্যবস্থার ওপর অভিভাবকদের আস্থা আছে। তাই ঝুঁকি নিয়ে আমরা স্কুল খুলছি। জানি না কত শিক্ষার্থী পাব। সরকার আবার স্কুল বন্ধ করে দেয় কি না, তা-ও বুঝতে পারছি না। ফলে নতুন করে বিনিয়োগের সাহস পাচ্ছেন না অনেকে। আমরা কোনো প্রণোদনাও পাইনি। প্রণোদনা বা সহজ শর্তে ঋণ পেলে অনেক নতুন উদ্যোক্তা তৈরি হবে।’
সারা দেশে কিন্ডারগার্টেনের সংখ্যা প্রায় ৬০ হাজার। করোনা মহামারিতে গত দেড় বছরে আর্থিক সংকটে পড়ে বন্ধ হয়ে গেছে প্রায় ১০ হাজার। বাকিগুলোর মধ্যে সরকারি নির্দেশনা মেনে খোলার মতো অবস্থা নেই কমপক্ষে ১০ হাজার প্রতিষ্ঠানের। সব মিলিয়ে প্রায় ২০ হাজার কিন্ডারগার্টেনে আজ থেকে ক্লাস হচ্ছে না। করোনার কারণে দীর্ঘ বিরতি থাকায় পেশা বদল করেছেন অনেক শিক্ষক। ফলে দেখা দিয়েছে শিক্ষকের সংকট।
বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন ঐক্য পরিষদের চট্টগ্রামের সভাপতি হাবিব রহমতুল্লাহ বলেন, ‘আমাদের বড় সংকট দেখা দিয়েছে শিক্ষক নিয়ে। কেউ খামার করছেন, কেউ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান দিয়েছেন, কেউ বেসরকারি চাকরিতে যোগ দিয়েছেন। ফলে তাঁরা আর শিক্ষকতা পেশায় ফিরছেন না। নতুন শিক্ষকেরাও রয়েছেন দোটানায়। অভিজ্ঞ শিক্ষকদের হারিয়ে আমরা পড়েছি বেকায়দায়।’
শিক্ষক নেতারা বলছেন, করোনার আগে সারা দেশে প্রায় ১ কোটি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করত কিন্ডারগার্টেনে। আর এখানে শিক্ষক ও কর্মচারী ছিলেন প্রায় ২০ লাখ। আর বন্ধ থাকা ২০ হাজার প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী প্রায় ৮ লাখ। শিক্ষকের সংখ্যা অন্তত আড়াই লাখ।
চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে বন্ধ হয়ে যাওয়া ভিশন ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের উদ্যোক্তো আমজাদ হোসেন। তিনি ২০১৫ সালে স্কুলটি চালু করেন। ২০২১ সালের মার্চ মাসে এসে ঋণের দায়ে স্কুলটি বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন তিনি। উদ্যোক্তা আমজাদ হোসেন বলেন, ‘শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন, ভবন ভাড়াসহ মাসে অন্তত দেড় লাখ টাকা খরচ হতো। ধারদেনা করে ১২ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ করেছি। এখন আমি নিঃস্ব। আমার ২১ জন শিক্ষক-কর্মচারীও বেকার। খুব খারাপ লাগছে। এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিজ হাতে গড়েছি। বন্ধ ঘোষণার সময়ও ৪৫০ জন শিক্ষার্থী ছিল স্কুলে। টাকার কারণে হাল ছেড়ে দিলাম। তবু আশায় আছি, সরকারি ও বেসরকারি সহযোগিতা পেলে নতুন করে শুরু করতে চাই।’
আমজাদ হোসেনের মতো শিক্ষা খাতের অনেক উদ্যোক্তাই নিঃস্ব হয়েছেন করোনা মহামারির কারণে। অনেকেই পেশা বদল করেছেন।
এমনই আরেক তরুণ উদ্যোক্তা সাইফুল্লাহ মুনীর। প্রায় ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে আগ্রাবাদে চট্টগ্রাম সিটি স্কুল নামে একটি কিন্ডারগার্টেন চালু করেন। কিন্তু করোনায় স্কুলটি বন্ধ করে দেন তিনি। তবে এই স্কুল ঘরের সামনেই একটি স্টেশনারি ও মুদি দোকান খুলে দিয়েছেন তিনি।
সাইফুল্লাহ মুনীর বলেন, ‘আমাদের অবস্থা খুবই নাজুক। ঋণ শোধ করব, নাকি নতুন করে স্কুল চালু করব, নাকি জীবন চালাব? কিছুই বুঝতে পারছি না।’
করোনায় বন্ধ হয়ে যাওয়া একটি স্কুলের শিক্ষক সুমী আক্তার বলেন, ‘স্কুলটির শুরু থেকে আমি ছিলাম। নিজের সন্তানের মতো ছিল এই স্কুল। এখন ভবনের সামনে দিয়ে যেতেই খারাপ লাগে। আমার স্বামী ছোটখাটো একটি চাকরি করেন। আর আমি শিক্ষকতা করে সংসার খরচে সহায়তা করতাম। স্কুল বন্ধ হওয়ার পর আমি বেকার। অন্য জায়গায় চাকরি খুঁজছি। কিন্তু সুযোগ পেলে শিক্ষকতায় ফিরতে চাই।’
বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ঐক্য পরিষদের চেয়ারম্যান এম ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, কিন্ডারগার্টেন শিক্ষাব্যবস্থার ওপর অভিভাবকদের আস্থা আছে। তাই ঝুঁকি নিয়ে আমরা স্কুল খুলছি। জানি না কত শিক্ষার্থী পাব। সরকার আবার স্কুল বন্ধ করে দেয় কি না, তা-ও বুঝতে পারছি না। ফলে নতুন করে বিনিয়োগের সাহস পাচ্ছেন না অনেকে। আমরা কোনো প্রণোদনাও পাইনি। প্রণোদনা বা সহজ শর্তে ঋণ পেলে অনেক নতুন উদ্যোক্তা তৈরি হবে।’
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলায় রক্তাক্ত অবস্থায় ইসলাম শেখ (২৪) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি বেলকুচি উপজেলার ভাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের বিশ্বাসবাড়ী এলাকার মনির আলীর ছেলে। বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীর রাতে রায়দৌলপুর ইউনিয়নের বলরামপুর বাজার সংলগ্ন পাকা রাস্তার পাশে মরদেহটি পড়ে থাকতে দেখে...
১ সেকেন্ড আগেবিএডিসি খামার এলাকায় ঘুরতে গিয়ে দেখা গেল, বহু বছর বয়সী একটি লম্বা নারিকেল গাছের গায়ে ঝুলে আছে দুটি সিসিটিভি ক্যামেরা। তিনতলা ভবনের সমান উঁচু গাছটি বুড়িয়ে গেছে, কাঠামোয় ধরেছে ঘুন, শাখা-প্রশাখা নুয়ে পড়েছে নিচের দিকে। বাতাসে নারিকেল যেমন দোলে, ক্যামেরাও দোলে ঠিক তেমনি করে।
৪ মিনিট আগেউপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ১৫ নভেম্বর সিরাজদিখান বাজার বণিক সমিতির নামে সরকারিভাবে একটি গভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়। এ জন্য সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে ১০ হাজার ২০০ টাকা জমা দিতে হয়। তবে স্থাপনের কিছু দিনের মধ্যেই আশপাশে ময়লা ফেলা শুরু হয়, ফলে নলকূপটি দ্রুত বন্ধ...
১৭ মিনিট আগে‘আমি প্রতিদিন দেড় কিলোমিটার হাঁটু কাদা মাড়িয়ে স্কুলে যাই। পায়ে জুতা পরিবর্তন করি, অনেক সময় পোশাকও বদলাতে হয়। এটা খুবই লজ্জার বিষয়। এত গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা—স্কুল, মাদ্রাসা, ক্লিনিক ও ভোটকেন্দ্র থাকার পরও কেন রাস্তা হচ্ছে না, বুঝে উঠতে পারছি না। ১০ বছর ধরে এমপি সাহেব বলছেন—আপনাদের রাস্তা এক নম্বরে...
১ ঘণ্টা আগে