Ajker Patrika

পটিয়ায় ১৭ ইউপিতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৮১০ জন  

পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৬ নভেম্বর ২০২১, ১৪: ৫৫
পটিয়ায় ১৭ ইউপিতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৮১০ জন  

আগামী ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচনে পটিয়া উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নে মোট ৮১০ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ছিল। এ সময় চেয়ারম্যান পদে ৬০ জন, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ৭৫০ জন মনোনয়নপত্র জমা দেন। 

আজ বৃহস্পতিবার চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ দিনে প্রার্থীরা কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে মিছিল-স্লোগানে তাঁদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এ সময় রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে যেন উৎসবের আমেজে পরিণত হয়। 

পটিয়া উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, ধলঘাট ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন মোট তিনজন প্রার্থী। তাঁরা হলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান রণবীর ঘোষ টুটুন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী হিসেবে মো. মুহিবুল্লাহ চৌধুরী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মোহাম্মদ শফিউল আলম। দক্ষিণ ভূর্ষি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন দুজন। তাঁরা হলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সেলিম ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে ফরিদ আহম্মদ চৌধুরী। কাশিয়াইশ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তিনজন প্রার্থী। তাঁরা হলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান আলহাজ আবুল কাসেম, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন মোহাম্মদ কাইছ এবং এস এম জায়দুল হক। কুসুমপুরা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তিনজন। তাঁরা হলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইব্রাহিম বাচ্চু, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন জাকারিয়া ডালিম ও নুর উর রশিদ চৌধুরী। হাবিলাস দ্বীপ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন চারজন। তাঁরা হলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ফৌজুল কবির কুমার, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বর্তমান চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, মোজাম্মেল হক ও সাইফুল ইসলাম।

বড়লিয়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে একমাত্র মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত ও বর্তমান চেয়ারম্যান শাহীনুল ইসলাম সানু। ফলে সানু বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান হবেন। শুধু নির্বাচন অফিস থেকে ঘোষণা দেওয়া বাকি আছে।

ছনহরা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ছয়জন প্রার্থী। তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা সামসুল আলম, ইসলামী আন্দোলনের ডা. এস  এম এফ আইয়ুব, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান আবদুর রশিদ দৌলতী, আনোয়ার উদ্দিন ও কাজী আবু জাফর। কচুয়াই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তিনজন। তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান এস এম ইনজামুল হক জসিম, স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান বাবু ও এম এন আবছার চৌধুরী। কেলিশহর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন দুজন। তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান সরোজ কান্তি সেন নান্টু ও স্বতন্ত্র প্রার্থী নিথিল দে। জঙ্গলখাইন ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তিনজন। তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান আলহাজ্ মো. গাজী ইদ্রিছ, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সাহাদাত হোসেন সবুজ ও দিদারুল আলম। ভাটিখাইন ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তিনজন। তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান মোহাম্মদ বখতিয়ার, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আমিনুল হক ও জাতীয় পার্টির ফরিদুল আলম। আশিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন পাঁচজন। তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হাশেম, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন সৈয়দ মাঈনুল হক, আবদুল মান্নান খান, মোহাম্মদ শাহ জাহান ও বেলাল উদ্দিন চৌধুরী।  

এ ছাড়া খরনা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন চারজন। তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান, জাতীয় পার্টির ফয়জুল কবির চৌধুরী, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন রিদোয়ান কবির চৌধুরী ও মফজল আহম্মদ চৌধুরী। শোভনদণ্ডী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন দুজন। তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান এহছানুল হক এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ হারুন।  হাইদগাঁও ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন পাঁচজন। তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ ফয়সল, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বর্তমান চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুস মিয়া, নাছির উদ্দীন, আ ন ম মর্তুজা ও বদরুদ্দীন মোহাম্মদ জসিম। জিরি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ছয়জন। তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আমিনুল ইসলাম খান টিপু, ইসলামী আন্দোলনের মামুনুর রশীদ, জাতীয় পার্টির মাহবুবুর রহমান, স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ ও মনির আহমদ।  কোলাগাঁও ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন পাঁচজন। তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান আহমদ নুর, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন শামসুল ইসলাম, মাহবুবুল হক, মোহাম্মদ কাসেম ও খোরশেদ আলম।    

পটিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আরাফাত আল হোসাইনী বলেন, চতুর্থ ধাপে আগামী ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য পটিয়া উপজেলার ১৭টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন উপলক্ষে মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ দিনে চেয়ারম্যান পদে ৬০ জন, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদসহ মোট ৭৫০ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। সুন্দর, সুষ্ঠু ও অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে আমরা প্রাণপণ চেষ্টা করছি এবং এ লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। পাশাপাশি প্রার্থীদেরও সহায়তা কামনা করছি। 

অন্যদিকে পটিয়ার ১৭টি ইউনিয়ন পরিষদের প্রার্থীদের মনোনয়ন ফরম বিতরণ ও জমা দেওয়ার সুবিধার্থে চট্টগ্রাম জেলা সিনিয়র নির্বাচন অফিসার মো. জাহাঙ্গীর হোসেন এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ছয়টি অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ দেন। 

তাঁদের মধ্যে উপজেলা নির্বাচন অফিসার আরাফাত আল হোসাইনী দায়িত্ব পালন করছেন কুসুমপুরা, হাবিলাসদ্বীপ ও কাশিয়াইশ ইউনিয়নের। জিরি, কোলাগাঁও ও হাইদগাঁও ইউনিয়নের দায়িত্ব পালন করছেন মিরসরাই উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. ফারুক হোসাইন। রাউজান উপজেলা নির্বাচন অফিসার অরুণ উদয় ত্রিপুরা ছনহরা, বড়লিয়া ও কচুয়াই ইউনিয়নের দায়িত্ব পালন করছেন। পটিয়া উপজেলা প্রকৌশলী বিশ্বজিৎ দত্ত পালন করছেন কেলিশহর, জঙ্গলখাইন ও ভাটিখাইন ইউনিয়নের। পটিয়া উপজেলা সমাজসেবা অফিসার পিপলু চন্দ্র নাথ আশিয়া, খরনা ও শোভনদণ্ডী ইউনিয়নের দায়িত্ব পালন করছেন। এ ছাড়া পটিয়া উপজেলা পরিসংখ্যা অফিসার মীর আন-নাজমুস সাকিব দায়িত্ব পালন করছেন ধলঘাট ও দক্ষিণ ভূর্ষি ইউনিয়নের।

উল্লেখ্য, চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাছাই ২৯ নভেম্বর। আপিল ৩০ নভেম্বর থেকে ২ ডিসেম্বর। আপিল নিষ্পত্তি ৩ ডিসেম্বর থেকে ৫ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ৬ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ ৭ ডিসেম্বর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘মোন্থা’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে, আঘাত হানবে কোথায়

হঠাৎ পদত্যাগ করলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার

দুশ্চিন্তা, হতাশা দূর হবে হাদিসে বর্ণিত এই চার দোয়ায়

গায়ে থুতু পড়া নিয়ে ড্যাফোডিল ও সিটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের রাতভর সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ

নির্বাচনে যেতে চায় জাপার একাংশ, কৌশল তুলে ধরবে জাতির সামনে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ও পাঁচ বছরের শিশু ধর্ষণের দুই মামলায় তিনজনের যাবজ্জীবন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইলে ১২ বছরের এক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীকে ধর্ষণের দায়ে দুই আসামিকে ও রামপুরায় পাঁচ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের দায়ে একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩-এর বিচারক মো. গোলাম কবীর পৃথক দুই মামলায় এ রায় দেন।

বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীকে ধর্ষণের দায়ে দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন ঘটনাস্থলের বাড়ির ব্যবস্থাপক আব্দুল গাফফার ও তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু মো. বাচ্চু। রাজধানীর রামপুরায় পাঁচ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত হলেন বাচ্চু মিয়া হাওলাদার।

উভয় মামলায় প্রত্যেক আসামিকে দণ্ডের পাশাপাশি এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা পরিশোধে ব্যর্থ হলে প্রত্যেককে অনাদায়ে আরও ছয় মাস করে কারাভোগ করতে হবে বলে রায়ে বলা হয়েছে।

ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী রাশেদুল ইসলাম দুটি মামলার রায়ের বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন।

বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীর মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০২০ সালের ১৬ অক্টোবর ওই বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীর মা-বাবা কর্মস্থলে যান। বেলা ৩টার দিকে আসামিরা যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইলের হাশেম রোডের বাসায় ১২ বছরের এক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীকে ধর্ষণ করেন। ঘটনার বিষয়ে কাউকে কিছু বললে তাঁরা তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেন।

পরে একই বছরের ৩০ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭টার দিকে আব্দুল গাফফার তাকে ডেকে নিয়ে তার সঙ্গে যেতে বলেন। তখন ভুক্তভোগী তাঁর সঙ্গে না গিয়ে বিষয়টি তার মাকে জানায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা ১ নভেম্বর যাত্রাবাড়ী থানায় দুজনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে দুজনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের পরিদর্শক তাসলিমা আক্তার। ২০২১ সালের ১৮ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। মামলার বিচার চলাকালে ১৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন ট্রাইব্যুনাল।

রায়ের সময় আসামি বাচ্চুকে কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। রায় শেষে তাঁকে সাজা পরোয়ানাসহ কারাগারে ফেরত পাঠানো হয়। অপর আসামি গাফফার পলাতক থাকায় তাঁর বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

অপর দিকে শিশু ধর্ষণ মামলার বিবরণে জানা যায়, ওই শিশুর মা রামপুরা টিভি সেন্টার রোডে একটি গ্যারেজে রান্না করতেন। ২০১৯ সালের ২১ এপ্রিল বেলা ২টার দিকে বাচ্চু মিয়া হাওলাদার শিশুকে দোকান থেকে ঠান্ডা পানি এনে দিতে বলেন। শিশুটি তাঁর কাছে গেলে বাচ্চু মিয়া হাওলাদার তাকে রুমে নিয়ে ধর্ষণ করেন। মেয়ের ফিরে আসতে দেরি হওয়ায় তার মা তাকে খুঁজতে যান। সেখানে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি দেখতে পান তিনি। পরে মেয়েটি মাকে সব খুলে বলে। এ ঘটনায় শিশুটির মা ওই দিনই রামপুরা থানায় মামলা করেন।

মামলাটি তদন্ত করে ওই বছরের ৩১ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন রামপুরা থানার উপপরিদর্শক এস এম মুকুল মিয়া। ১৬ নভেম্বর আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়। মামলার বিচার চলাকালে ট্রাইব্যুনাল ১৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্য নেন।

আসামি বাচ্চু মিয়া হাওলাদারকে রায়ের সময় কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। রায় শেষে তাঁকে সাজা পরোয়ানাসহ কারাগারে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘মোন্থা’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে, আঘাত হানবে কোথায়

হঠাৎ পদত্যাগ করলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার

দুশ্চিন্তা, হতাশা দূর হবে হাদিসে বর্ণিত এই চার দোয়ায়

গায়ে থুতু পড়া নিয়ে ড্যাফোডিল ও সিটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের রাতভর সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ

নির্বাচনে যেতে চায় জাপার একাংশ, কৌশল তুলে ধরবে জাতির সামনে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ইতালিপ্রবাসী স্ত্রীকে ভিডিও কলে রেখে যুবকের আত্মহত্যা

বালিয়াডাঙ্গী (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি 
শামীম আকতার। ছবি: সংগৃহীত
শামীম আকতার। ছবি: সংগৃহীত

ইতালিপ্রবাসী স্ত্রীকে ভিডিও কলে রেখে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন শামীম আকতার (৪০) নামের এক যুবক। আজ সোমবার উপজেলার বড়বাড়ী ইউনিয়নের কাশিডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

শামীম আকতার ওই গ্রামের পজির উদ্দীনের ছেলে। তিনি স্থানীয় নাট্যমঞ্চে অভিনয়ের কারণে এলাকায় নাট্যকর্মী হিসেবে পরিচিত।

শামীমের ভাই জাপান জানান, ইতালি থেকে ভাবি মোবাইলে জানান যে শামীম ঘরের ভেতর গলায় ফাঁস দেওয়ার চেষ্টা করছে। বাজার থেকে ছুটে আসার আগেই মারা যায় শামীম। দরজা ও জানালার গ্রিল বন্ধ ছিল। পরে দরজা ভেঙে ঘরের ভেতর ঢুকে দেখি ঝুলন্ত অবস্থায় আছে শামীম।

স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দুই মাস আগে ৩০ লাখ টাকা খরচ করে ইতালিতে যাওয়ার চেষ্টা করেন শামীম ও তাঁর স্ত্রী মুক্তা আক্তার। ভিসা জটিলতার কারণে স্ত্রী চলে গেলেও স্বামী আটকে যান। চেষ্টা করছিলেন ভিসা জটিলতা কাটিয়ে স্ত্রীর কাছে যাওয়ার।

এ ছাড়া ইতালিতে মুক্তা আক্তার কাজে যোগ দিতে পারেননি। তাঁর ভরণপোষণের জন্য প্রতি মাসে ৭০ হাজার টাকা পাঠাতে হতো। টাকার জন্য খুব চাপে ছিলেন শামীম।

বালিয়াডাঙ্গী টাইগার নাট্যগোষ্ঠীর সদস্য আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘শামীম সচেতন ব্যক্তি ছিলেন। তাঁর অভিনয় দেখে আমরা অনুপ্রাণিত হই। সেই শামীম এমন অঘটন ঘটাবেন। আমরা ভাবতে পারি না। তাঁর মৃত্যুতে সবাই শোকাহত।’

এ বিষয়ে বালিয়াডাঙ্গী থানার তদন্ত কর্মকর্তা দিবাকর অধিকারী জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদনের কাজ করছে। পরিবারের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলার পর এ বিষয়ে বলা যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘মোন্থা’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে, আঘাত হানবে কোথায়

হঠাৎ পদত্যাগ করলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার

দুশ্চিন্তা, হতাশা দূর হবে হাদিসে বর্ণিত এই চার দোয়ায়

গায়ে থুতু পড়া নিয়ে ড্যাফোডিল ও সিটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের রাতভর সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ

নির্বাচনে যেতে চায় জাপার একাংশ, কৌশল তুলে ধরবে জাতির সামনে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজধানীতে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের ৮ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
রাজধানীতে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের ৮ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার
প্রতীকী ছবি

রাজধানীতে ঝটিকা মিছিলে অংশ নেওয়ার অভিযোগে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের আট নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গত রবি সন্ধ্যা থেকে গতকাল সোমবার পর্যন্ত পৃথক অভিযানে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গতকাল এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।

গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন ফেনীর দাগনভূঞা থানার আলিপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক একরাম হোসেন (২৫), দাগনভূঞা উপজেলা ছাত্রলীগের তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক আদনান পিপুল (২৫), তেজগাঁও কলেজ ছাত্রলীগের সদস্য মো. আসিবুল হক অর্ণব (২৫), দাগনভূঞার পূর্ব চন্দ্রপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সজিব রহিম পলক (২৫), ইকবাল মেমোরিয়াল কলেজ ছাত্রলীগের সদস্য সাকের আলম (২৪), চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের সদস্য মো. জহুরুল ইসলাম (৪৩), যাত্রাবাড়ী ৬৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মোকাররম হোসেন (৪৮) এবং ওয়ারী থানা ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াসমিন রহমান (৪৮)।

ডিবি সূত্রে জানা যায়, রোববার সন্ধ্যায় ডিবি উত্তরা বিভাগের একটি দল মোহাম্মদপুরের কাদেরাবাদ হাউজিং এলাকা থেকে একরাম, আদনান, অর্ণব, সজিব ও সাকেরকে গ্রেপ্তার করে। একই দিন বিকেলে ডিবি রমনা বিভাগ গাবতলী এলাকা থেকে জহুরুল ইসলামকে এবং রাতে ডিবি মতিঝিল বিভাগ যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে মোকাররম হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। বিকেলে টিকাটুলির কে এম দাস লেন এলাকা থেকে ইয়াসমিন রহমানকে গ্রেপ্তার করে ডিবি লালবাগ বিভাগের কোতোয়ালি জোনাল টিম।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা স্বীকার করেছেন যে তাঁরা কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের ব্যানারে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মিছিলসহ সংঘটিত কার্যক্রমে অংশ নিয়েছেন।

ডিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘মোন্থা’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে, আঘাত হানবে কোথায়

হঠাৎ পদত্যাগ করলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার

দুশ্চিন্তা, হতাশা দূর হবে হাদিসে বর্ণিত এই চার দোয়ায়

গায়ে থুতু পড়া নিয়ে ড্যাফোডিল ও সিটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের রাতভর সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ

নির্বাচনে যেতে চায় জাপার একাংশ, কৌশল তুলে ধরবে জাতির সামনে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে রাজশাহীতে সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচি

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে রাজশাহীতে সচেতনতামূলক কর্মসূচি। ছবি: আজকের পত্রিকা
ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে রাজশাহীতে সচেতনতামূলক কর্মসূচি। ছবি: আজকের পত্রিকা

এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করি, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধ করি—এই প্রতিপাদ্যে রাজশাহীতে সপ্তাহব্যাপী সচেতনতামূলক কর্মসূচি শুরু করেছে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) জেলা শাখা। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ সোমবার সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের সামনে লিফলেট বিতরণ ও সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, সচেতনতার মাধ্যমেই ডেঙ্গু প্রতিরোধ সম্ভব। ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া থেকে বাঁচতে বাড়ি ও অফিসের চারপাশে ফুলের টব, পাত্র, পরিত্যক্ত টায়ার, ডাবের খোসা, চিপসের প্যাকেট, পলিথিন, ফুড কনটেইনারসহ যেখানে পানি জমে থাকতে পারে, সেসব জায়গা নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হবে। এ ছাড়া নির্মাণাধীন ভবন, লিফটের গর্ত, ওয়াটার মিটারের গর্ত ও অন্যান্য স্থাপনাতেও যেন পানি জমে না থাকে, সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

বক্তারা আরও বলেন, যেকোনো পাত্রে জমে থাকা পানি তিন দিন পরপর পরিবর্তন করতে হবে। কেউ ডেঙ্গু বা চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হলে তাকে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে এবং স্যালাইন, ডাবের পানি, স্যুপ, ফলের রস ও ভাতের মাড় বেশি করে খেতে হবে। জ্বরে প্যারাসিটামল ছাড়া অন্য কোনো ওষুধ না খাওয়ার পরামর্শ দেন তাঁরা। এ ছাড়া ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া থেকে রক্ষা পেতে দিন ও রাতে বিশ্রামের সময় মশারি ব্যবহারেরও আহ্বান জানান বক্তারা।

সমাবেশে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ খন্দকার মোহাম্মদ ফয়সাল আলম, ড্যাবের রাজশাহী শাখার সভাপতি ওয়াসিম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার তারিক সাবুসহ আরও অনেকে বক্তব্য দেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘মোন্থা’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে, আঘাত হানবে কোথায়

হঠাৎ পদত্যাগ করলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার

দুশ্চিন্তা, হতাশা দূর হবে হাদিসে বর্ণিত এই চার দোয়ায়

গায়ে থুতু পড়া নিয়ে ড্যাফোডিল ও সিটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের রাতভর সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ

নির্বাচনে যেতে চায় জাপার একাংশ, কৌশল তুলে ধরবে জাতির সামনে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত