Ajker Patrika

চবির হলে বাসি-পচা খাবার, ক্যানটিনে তালা

চবি সংবাদদাতা 
বাসি-পচা খাবার জব্দ করেছেন শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
বাসি-পচা খাবার জব্দ করেছেন শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এ এফ রহমান হলের ডাইনিং, ক্যানটিন ও দোকানে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ এবং বাসি-পচা খাবার জব্দ করেছেন শিক্ষার্থীরা। পরে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে ক্যানটিন এবং দোকান বন্ধ ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

আজ শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে দোকান ও ক্যানটিনে তালা দিয়ে প্রশাসন বরাবর ১৩ দফা দাবি তুলে ধরেন।

জানা যায়, বেশ কিছুদিন ধরেই হলটির ডাইনিং, ক্যানটিন নিয়ে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ এবং নিম্নমানের খাবার পরিবেশনের অভিযোগ ছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীরা নিজেরাই অভিযান পরিচালনা করে ফ্রিজ থেকে অনেক দিন আগের রান্না করা মাংস এবং নষ্ট খাবার পান। পরে হলে অভিযান চালালে হলের ডাইনিংয়ের ফ্রিজ থেকে কালচে রং ধারণ করা নষ্ট সিদ্ধ ডিম পাওয়া যায়। এ নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো, পরিচ্ছন্নতা ও হাইজিন নিশ্চিত করা, ফিল্টারসহ সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা, মালিকদের অব্যাহতি দেওয়া, ক্যাফেটেরিয়া সম্পূর্ণ রং করা এবং ফ্যান লাগানো, বাচ্চা ছেলেদের কাজে না রাখা, নতুন টেবিল-চেয়ার দেওয়া, নিয়মিত পরিচর্যা করা, চারপাশের পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা, কর্মচারীদের আচরণবিধি ঠিক করা, দুটি নতুন মুদিদোকান ও খাবার দোকান স্থাপন করা, পুরাতন থালাবাসন পরিবর্তন করা, পর্যাপ্ত লাইটিং রাখা এবং সবগুলো দোকানে পরিচ্ছন্ন বেসিনের ব্যবস্থা করা।

চবির রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী আব্দুল আউয়াল বলেন, ‘আমরা আজকে হলের ডাইনিং, ক্যানটিন ও আলম ভাইয়ের দোকানের ফ্রিজ থেকে কয়েক দিন আগের বাসি-পচা খাবার পেয়েছি। প্রায় সময়ই তারা আমাদের আগের দিনের বাড়তি থাকা খাবার খাওয়ায়। পরোটা বানানোর যে আটা, সেটা ২-৩ দিনেরটা একসঙ্গে করে রাখে।’

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী রবিউল ইসলাম বলেন, ‘আজ অভিযান চালিয়ে নষ্ট খাবার পেয়েছি। এসব খেয়ে আমরা অসুস্থ হয়ে যাচ্ছি। আমরা প্রশাসনের কাছে এই অবস্থা সমাধানের দ্রুত দাবি জানাই।’

এ সময় ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর নুরুল হামিদ কানন বলেন, ‘আমরা এসে খাবারের বাজে অবস্থা দেখেছি এবং শিক্ষার্থীরা যে খাবারের এত বাজে অবস্থা থাকার পরও মব সৃষ্টি করেনি, সেটির ব্যাপারে আমি সাধুবাদ জানাই। কারণ, আগের সময় দেখেছি খাবার এই বাজে অবস্থার কারণে মব হয়েছিল। আমরা হল কর্তৃপক্ষ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলব এবং এই দোকান ও ক্যানটিন বন্ধ থাকবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত