আবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম
আওয়ামী লীগ আমলে ২০১০ সালের ডিসেম্বরে টেন্ডার ছাড়াই সরাসরি ৫৩টি তেলবাহী জাহাজকে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) বহরে যুক্ত করা হয়। চিঠি দিয়ে এক আদেশের মাধ্যমে রাষ্ট্রায়ত্ত তিন জ্বালানি তেল কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনায় তেল পরিবহনের কাজে অন্তর্ভুক্ত করা হয় সেগুলোকে। এসব জাহাজ আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতার মালিকানাধীন।
২০২৪ সাল পর্যন্ত বিপিসির বহরে তেল পরিবহনে জাহাজের সংখ্যা বাড়তে থাকে। সর্বশেষ ২০২৪ সালের জুলাই পর্যন্ত বিপিসির বহরে থাকা ১৭৭ জাহাজের মধ্যে ১১৮টিই আওয়ামী লীগের মন্ত্রী, নেতা ও আমলাদের মালিকানাধীন বলে জানা গেছে। জ্বালানি তেল পরিবহনে ত্রুটিহীন জাপানি জাহাজগুলো সরিয়ে দিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের মালিকানায় দেশে তৈরি ঝুঁকিপূর্ণ জাহাজগুলো অন্তর্ভুক্ত করা হয় বলে তথ্য উঠে এসেছে বিপিসির নথিতেই। ‘বয়স হয়েছে’ উল্লেখ করে ৭০টি জাপানি জাহাজ জ্বালানি পরিবহনের বহর থেকে বাদ দেওয়া হয়, অথচ আইনে বয়সের কথা উল্লেখ নেই।
বিপিসির পক্ষ থেকে ২০২৩ সালের ৮ আগস্ট জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিবকে দেওয়া এক পত্রে বিপিসির বহরে মোট ১৬২টি অয়েল ট্যাংকার থাকার কথা জানানো হয়। এর মধ্যে ১৪৩টি ট্যাংকার দেশে তৈরি। এর বেশির ভাগই আওয়ামী নেতাদের মালিকানাধীন।
বিপিসি ও তিন কোম্পানি থেকে পাওয়া তথ্যমতে, জ্বালানি তেল পরিবহনে আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীরের নামে রয়েছে এমটি অনিম জালাল, ওটি নেয়ামত ও এমটি সুলতানা নামের জাহাজ। নারায়ণগঞ্জের সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের ছেলে ইমতিনান ওসমানের নামে রয়েছে এমটি সি ব্রিজ ও জেডএন-১ নামের দুটি জাহাজ। শামীম ওসমানের আত্মীয় আওয়ামী লীগ নেতা তোফায়েল কবির খানের নামে রয়েছে এমটি রাশেদ, এমটি রিদা-১ সহ কয়েকটি জাহাজ।
এ ছাড়া সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার (ফেনী-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য) আলাউদ্দিন মোহাম্মদ নাসিম, ঢাকা দক্ষিণের সাবেক মেয়র ফজলে নূর তাপস, তাপসের ভায়রা হাসানুল বারী, আওয়ামী লীগ নেতা ও ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি কে এম জামান রোমেল, নোয়াখালীর-১ সাবেক সংসদ সদস্য মো. ইব্রাহিম, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের নামেও একাধিক জাহাজ রয়েছে।
ময়মনসিংহ আওয়ামী লীগের নেতা ইঞ্জিনিয়ার মাহাবুব কবির, নরসিংদীর আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুল আমিন ভুইয়া, পুলিশের সাবেক আইজি বেনজীর আহমেদ, আওয়ামী লীগ নেতা শেখ হাফিজুর রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা খালেদ এইচ খান, চট্টগ্রাম নগর থেকে নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য এম এ লতিফ, আওয়ামী লীগ নেতা ও ছাগলনাইয়ার (ফেনী) সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, নরসিংদীর সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা সিরাজুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ট্যাংকার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. ওয়াহিদ মিয়ার নাম রয়েছে জাহাজমালিক হিসেবে। বেনজীর আহমেদের জাহাজটি অবশ্য আওয়ামী লীগ সরকারের শেষদিকে দলের এক নেতার কাছে বিক্রি করে দেন বলে জানা গেছে। এই নেতারা কেউ আত্মগোপন, কেউ কারাগারে থাকায় তাঁদের বক্তব্য জানা যায়নি।
বিপিসির বহরে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীরের তিনটি জাহাজ রয়েছে। এগুলো হলো এমটি অনিম জালাল, ওটি সুলতানা এবং ওটি নেয়ামত। এগুলো পরিচালনা করেন ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির নেতা মুনতাসীর মামুনের ভাতিজা ইয়ামিন। শামীম ওসমানের দুটি জাহাজ এজেডএন-১ এবং সিব্রিজ দেখাশোনা করেন সুপারভাইজার কামরুল। তবে সম্প্রতি বিএনপির এক নেতা তত্ত্বাবধান করছেন। আওয়ামী লীগ নেতা ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি কে এম জামান রোমেলের দুটি জাহাজ রয়েছে। এগুলো পিপলস-১ এবং পিপলস-২। এ জাহাজগুলো দেখাশোনা করেন রেজাউল করিম বাদল। তিনি নিজেকে কে এম জামান রোমেল সাহেবের ম্যানেজার হিসেবে জানিয়েছেন। তিনি জানান, মালিক কে এম জামান রোমেল সাহেব দেশের বাইরে রয়েছেন।
খান গ্রুপের তোফায়েল কবির খানের ৭ থেকে ৮টি জাহাজ রয়েছে। এগুলো দেখাশোনা করেন শামীম ওসমানের ছেলে ইমতিনান ওসমান (অয়ন ওসমান) এবং জেনারেল ম্যানেজার হিসেবে রয়েছেন সাইয়েদ গোলাম রূপস। জেনারেল ম্যানেজার জানিয়েছেন, জ্বালানি তেল পরিবহনে তাঁদের ৮টি জাহাজ রয়েছে।
বিপিসির পরিচালক (অপারেশন) অনুপম বড়ুয়া আজকের পত্রিকার কাছে দাবি করেন, নীতিমালা অনুযায়ী জাহাজ বিপিসির বহরে যুক্ত করা হয়। এখানে কোনো অনিয়ম হয় না। জাহাজের বয়স ৪০ বছরের পর আর চুক্তি নবায়ন করা হয় না। কারণ ৪০ বছরের বিষয়টি মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ অয়েল ট্যাংকার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি আবুল বশর আবু জানান, বিগত সরকারের ঘনিষ্ঠরা দলীয় বিবেচনায় বিনা টেন্ডারে অবৈধভাবে অসংখ্য জাহাজকে বিপিসির বহরে যুক্ত করেন। এতে তাঁরা ফায়দা লুটে নিলেও ক্ষতি হয় প্রকৃত ব্যবসায়ীদের।
আবুল বশর আবু আরও বলেন, তেল পরিবহনের ক্ষেত্রে জাহাজের ৪০ বছর বয়সের কোনো বাধ্যবাধকতা না থাকলেও সাবেক প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপে ৪০ বয়সী জাহাজগুলোকে বিপিসির বহর থেকে বাদ দেওয়া হয়। অথচ এটার কোনো আইনগত ভিত্তি নেই।
নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমোডর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম জানান, কোস্টাল ট্যাংকার বা জাহাজগুলো মার্চেন্ট শিপিং অধ্যাদেশ ১৯৮৩-এর আওতায় সারা বছর সাগর পাড়ি দিয়ে তেল পরিবহন করতে পারবে। এই মার্চেন্ট শিপগুলো বিশ্বের মানসম্মত লোর্ড লাইন, ক্লাস ও সেপটি কসন্ট্রাকশন হয়ে থাকে। ইনল্যান্ড শিপিং অধ্যাদেশ ১৯৭৬ অনুযায়ী, অভ্যন্তরীণ নৌযানের ক্ষেত্রে ৩০ বছরের বয়সসীমা থাকলেও মার্চেন্ট শিপিং অধ্যাদেশের আওতায় নিবন্ধিত সমুদ্রগামী অথবা কোস্টাল জাহাজের চলাচলের বয়সসীমা উল্লেখ নেই। ইনল্যান্ড শিপিং অধ্যাদেশ অনুযায়ী অভ্যন্তরীণ নৌযানের এসব জাহাজ তিন মাস (১৫ নভেম্বর থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত) সাগর অতিক্রম করে তেল পরিবহন করতে পারবে।
অথচ রাষ্ট্রায়ত্ত জ্বালানি তেল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান পদ্মা, মেঘনা ও যমুনার তেল পরিবহনের জন্য এসব শ্যালো ড্রাফট, বে ক্রসিং ও মিনি ট্যাংকার বা জাহাজগুলো সারা বছরই ঝুঁকি নিয়ে তেল পরিবহন করে থাকে।
কমোডর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘আমাদের বিভাগের লোকবল বা পরিদর্শক কম, তাই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া বা অভিযান পরিচালনা করা সম্ভব হয় না।’
বিপিসি সূত্র জানায়, সারা দেশে বছরে ৭০ লাখ টন জ্বালানি তেল আমদানি করা হয়। এগুলোর মধ্যে ডিজেল, জেড ফুয়েল, অকটেন, ফার্নেস অয়েল মারবার ক্রুড এবং আরব লাইট ক্রুড। ৫০ লাখ টন নদীপথে পরিবহন করা হয়। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী, নেতা ও আমলাদের জাহাজে পরিবহন করা হয় প্রায় ৭০ শতাংশ জ্বালানি তেল।
এ বিষয়ে বিপিসির মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন, বাণিজ্যিক) মনি লাল দাশ বলেন, বিপিসি বছরে ৭০ লাখ টন জ্বালানি তেল আমদানি করে থাকে। এর প্রায় ৭৫ শতাংশ নৌপথে পরিবাহিত হয়।
আওয়ামী লীগ আমলে ২০১০ সালের ডিসেম্বরে টেন্ডার ছাড়াই সরাসরি ৫৩টি তেলবাহী জাহাজকে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) বহরে যুক্ত করা হয়। চিঠি দিয়ে এক আদেশের মাধ্যমে রাষ্ট্রায়ত্ত তিন জ্বালানি তেল কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনায় তেল পরিবহনের কাজে অন্তর্ভুক্ত করা হয় সেগুলোকে। এসব জাহাজ আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতার মালিকানাধীন।
২০২৪ সাল পর্যন্ত বিপিসির বহরে তেল পরিবহনে জাহাজের সংখ্যা বাড়তে থাকে। সর্বশেষ ২০২৪ সালের জুলাই পর্যন্ত বিপিসির বহরে থাকা ১৭৭ জাহাজের মধ্যে ১১৮টিই আওয়ামী লীগের মন্ত্রী, নেতা ও আমলাদের মালিকানাধীন বলে জানা গেছে। জ্বালানি তেল পরিবহনে ত্রুটিহীন জাপানি জাহাজগুলো সরিয়ে দিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের মালিকানায় দেশে তৈরি ঝুঁকিপূর্ণ জাহাজগুলো অন্তর্ভুক্ত করা হয় বলে তথ্য উঠে এসেছে বিপিসির নথিতেই। ‘বয়স হয়েছে’ উল্লেখ করে ৭০টি জাপানি জাহাজ জ্বালানি পরিবহনের বহর থেকে বাদ দেওয়া হয়, অথচ আইনে বয়সের কথা উল্লেখ নেই।
বিপিসির পক্ষ থেকে ২০২৩ সালের ৮ আগস্ট জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিবকে দেওয়া এক পত্রে বিপিসির বহরে মোট ১৬২টি অয়েল ট্যাংকার থাকার কথা জানানো হয়। এর মধ্যে ১৪৩টি ট্যাংকার দেশে তৈরি। এর বেশির ভাগই আওয়ামী নেতাদের মালিকানাধীন।
বিপিসি ও তিন কোম্পানি থেকে পাওয়া তথ্যমতে, জ্বালানি তেল পরিবহনে আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীরের নামে রয়েছে এমটি অনিম জালাল, ওটি নেয়ামত ও এমটি সুলতানা নামের জাহাজ। নারায়ণগঞ্জের সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের ছেলে ইমতিনান ওসমানের নামে রয়েছে এমটি সি ব্রিজ ও জেডএন-১ নামের দুটি জাহাজ। শামীম ওসমানের আত্মীয় আওয়ামী লীগ নেতা তোফায়েল কবির খানের নামে রয়েছে এমটি রাশেদ, এমটি রিদা-১ সহ কয়েকটি জাহাজ।
এ ছাড়া সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার (ফেনী-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য) আলাউদ্দিন মোহাম্মদ নাসিম, ঢাকা দক্ষিণের সাবেক মেয়র ফজলে নূর তাপস, তাপসের ভায়রা হাসানুল বারী, আওয়ামী লীগ নেতা ও ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি কে এম জামান রোমেল, নোয়াখালীর-১ সাবেক সংসদ সদস্য মো. ইব্রাহিম, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের নামেও একাধিক জাহাজ রয়েছে।
ময়মনসিংহ আওয়ামী লীগের নেতা ইঞ্জিনিয়ার মাহাবুব কবির, নরসিংদীর আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুল আমিন ভুইয়া, পুলিশের সাবেক আইজি বেনজীর আহমেদ, আওয়ামী লীগ নেতা শেখ হাফিজুর রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা খালেদ এইচ খান, চট্টগ্রাম নগর থেকে নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য এম এ লতিফ, আওয়ামী লীগ নেতা ও ছাগলনাইয়ার (ফেনী) সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, নরসিংদীর সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা সিরাজুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ট্যাংকার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. ওয়াহিদ মিয়ার নাম রয়েছে জাহাজমালিক হিসেবে। বেনজীর আহমেদের জাহাজটি অবশ্য আওয়ামী লীগ সরকারের শেষদিকে দলের এক নেতার কাছে বিক্রি করে দেন বলে জানা গেছে। এই নেতারা কেউ আত্মগোপন, কেউ কারাগারে থাকায় তাঁদের বক্তব্য জানা যায়নি।
বিপিসির বহরে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীরের তিনটি জাহাজ রয়েছে। এগুলো হলো এমটি অনিম জালাল, ওটি সুলতানা এবং ওটি নেয়ামত। এগুলো পরিচালনা করেন ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির নেতা মুনতাসীর মামুনের ভাতিজা ইয়ামিন। শামীম ওসমানের দুটি জাহাজ এজেডএন-১ এবং সিব্রিজ দেখাশোনা করেন সুপারভাইজার কামরুল। তবে সম্প্রতি বিএনপির এক নেতা তত্ত্বাবধান করছেন। আওয়ামী লীগ নেতা ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি কে এম জামান রোমেলের দুটি জাহাজ রয়েছে। এগুলো পিপলস-১ এবং পিপলস-২। এ জাহাজগুলো দেখাশোনা করেন রেজাউল করিম বাদল। তিনি নিজেকে কে এম জামান রোমেল সাহেবের ম্যানেজার হিসেবে জানিয়েছেন। তিনি জানান, মালিক কে এম জামান রোমেল সাহেব দেশের বাইরে রয়েছেন।
খান গ্রুপের তোফায়েল কবির খানের ৭ থেকে ৮টি জাহাজ রয়েছে। এগুলো দেখাশোনা করেন শামীম ওসমানের ছেলে ইমতিনান ওসমান (অয়ন ওসমান) এবং জেনারেল ম্যানেজার হিসেবে রয়েছেন সাইয়েদ গোলাম রূপস। জেনারেল ম্যানেজার জানিয়েছেন, জ্বালানি তেল পরিবহনে তাঁদের ৮টি জাহাজ রয়েছে।
বিপিসির পরিচালক (অপারেশন) অনুপম বড়ুয়া আজকের পত্রিকার কাছে দাবি করেন, নীতিমালা অনুযায়ী জাহাজ বিপিসির বহরে যুক্ত করা হয়। এখানে কোনো অনিয়ম হয় না। জাহাজের বয়স ৪০ বছরের পর আর চুক্তি নবায়ন করা হয় না। কারণ ৪০ বছরের বিষয়টি মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ অয়েল ট্যাংকার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি আবুল বশর আবু জানান, বিগত সরকারের ঘনিষ্ঠরা দলীয় বিবেচনায় বিনা টেন্ডারে অবৈধভাবে অসংখ্য জাহাজকে বিপিসির বহরে যুক্ত করেন। এতে তাঁরা ফায়দা লুটে নিলেও ক্ষতি হয় প্রকৃত ব্যবসায়ীদের।
আবুল বশর আবু আরও বলেন, তেল পরিবহনের ক্ষেত্রে জাহাজের ৪০ বছর বয়সের কোনো বাধ্যবাধকতা না থাকলেও সাবেক প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপে ৪০ বয়সী জাহাজগুলোকে বিপিসির বহর থেকে বাদ দেওয়া হয়। অথচ এটার কোনো আইনগত ভিত্তি নেই।
নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমোডর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম জানান, কোস্টাল ট্যাংকার বা জাহাজগুলো মার্চেন্ট শিপিং অধ্যাদেশ ১৯৮৩-এর আওতায় সারা বছর সাগর পাড়ি দিয়ে তেল পরিবহন করতে পারবে। এই মার্চেন্ট শিপগুলো বিশ্বের মানসম্মত লোর্ড লাইন, ক্লাস ও সেপটি কসন্ট্রাকশন হয়ে থাকে। ইনল্যান্ড শিপিং অধ্যাদেশ ১৯৭৬ অনুযায়ী, অভ্যন্তরীণ নৌযানের ক্ষেত্রে ৩০ বছরের বয়সসীমা থাকলেও মার্চেন্ট শিপিং অধ্যাদেশের আওতায় নিবন্ধিত সমুদ্রগামী অথবা কোস্টাল জাহাজের চলাচলের বয়সসীমা উল্লেখ নেই। ইনল্যান্ড শিপিং অধ্যাদেশ অনুযায়ী অভ্যন্তরীণ নৌযানের এসব জাহাজ তিন মাস (১৫ নভেম্বর থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত) সাগর অতিক্রম করে তেল পরিবহন করতে পারবে।
অথচ রাষ্ট্রায়ত্ত জ্বালানি তেল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান পদ্মা, মেঘনা ও যমুনার তেল পরিবহনের জন্য এসব শ্যালো ড্রাফট, বে ক্রসিং ও মিনি ট্যাংকার বা জাহাজগুলো সারা বছরই ঝুঁকি নিয়ে তেল পরিবহন করে থাকে।
কমোডর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘আমাদের বিভাগের লোকবল বা পরিদর্শক কম, তাই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া বা অভিযান পরিচালনা করা সম্ভব হয় না।’
বিপিসি সূত্র জানায়, সারা দেশে বছরে ৭০ লাখ টন জ্বালানি তেল আমদানি করা হয়। এগুলোর মধ্যে ডিজেল, জেড ফুয়েল, অকটেন, ফার্নেস অয়েল মারবার ক্রুড এবং আরব লাইট ক্রুড। ৫০ লাখ টন নদীপথে পরিবহন করা হয়। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী, নেতা ও আমলাদের জাহাজে পরিবহন করা হয় প্রায় ৭০ শতাংশ জ্বালানি তেল।
এ বিষয়ে বিপিসির মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন, বাণিজ্যিক) মনি লাল দাশ বলেন, বিপিসি বছরে ৭০ লাখ টন জ্বালানি তেল আমদানি করে থাকে। এর প্রায় ৭৫ শতাংশ নৌপথে পরিবাহিত হয়।
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িটির সামান্য অংশই এখন দাঁড়িয়ে আছে। খননের কাজে ব্যবহৃত বিশাল এক্সকাভেটর ও হাতুড়ি-শাবলের ঘায়ে ভবনটি কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। গতকাল শুক্রবারও নিম্ন আয়ের কিছু মানুষ কংক্রিটের স্তূপ থেকে নিয়ে যাচ্ছিলেন রড, ভাঙা গ্রিলসহ লোহালক্কড়, ইট ও কাঠের অংশ...
৩ ঘণ্টা আগেগাজীপুরে সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাসায় হামলা ও ভাঙচুর চালানোর সময় স্থানীয়দের গণপিটুনিতে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। তাঁদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। গাজীপুর মহানগর পুলিশের সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরিফুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৪ ঘণ্টা আগে১০ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ফ্যাসিস্ট ইস্যু, বহিরাগতদের হুমকি, নিরাপত্তাহীনতাসহ নানা কারণে আইনজীবীদের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে। এতে নির্বাচন স্থগিত করা হয়। এর মধ্য দিয়ে সমিতির ১৩২ বছরের ইতিহাসে...
৪ ঘণ্টা আগেঝিনাইদহ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল পেরোলেই কলার হাটের পেছনে বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে করা হয়েছে তামাক চাষ। পাকা সড়ক ধরে এগোলে চোখে পড়বে দুই পাশে তামাক চাষের এ দৃশ্য। সড়কটি ধরে কিছুদূর এগোলেই বয়ে চলেছে নবগঙ্গা নদী। কিন্তু পানি শুকিয়ে যাওয়ায় মাঝনদীতে ধান চাষ করেছেন কৃষকেরা। শুধু এখানকারই নয়, জেলাজুড়েই এখন এমন...
৫ ঘণ্টা আগে