চট্টগ্রাম নগরের পাহাড়
সবুর শুভ, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম নগরীর আসকার দীঘির পাড় এলাকার রিমা কমিউনিটি সেন্টারের বিপরীতে পাহাড়। সেখানে ৯২টি পরিবারের জন্য স্বপ্নীল ফ্যামিলি ওনার্স নামের ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তিনটি আলাদা ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। আর এটা করতে গিয়ে পাহাড় কেটে সাবাড় করা হয়েছে। এর আগে বিভিন্ন সময় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক), চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) এবং পরিবেশ অধিদপ্তর এই কাজে বাধা দিলেও এখন তারা অজানা কারণে নীরব।
চট্টগ্রাম নগরীর প্রাণকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত আসকার দীঘির পাড়ের ওই পাহাড়ের ঢালের সর্বোচ্চ চূড়া ১২৭ ফুট উঁচু। কয়েকবার হাতবদল হয়ে স্বর্ণ ব্যবসায়ী সজল চৌধুরী, খোকন ধর, হিমেল দাশ, সুভাষ নাথ, রনজিত কুমার দে, রূপক সেনগুপ্তসহ ৯২ জনের হাতে এসেছে এই জমির মালিকানা। দাম ১০ কোটি টাকা। ২০২৩ সালের ১৩ এপ্রিল সিডিএর ইমারত নির্মাণ কমিটির কাছ থেকে তিনটি বেজমেন্ট ও ১৪ তলা (পাহাড়ে বেজমেন্ট হয় না; বাস্তবে তিনটি পার্কিং ফ্লোর, ১৪ তলা আবাসিকসহ মোট ১৭ তলা) ভবনের অনুমোদন নেওয়া হয়। তবে পাহাড় না কাটাসহ ৮৭টি শর্ত দিয়েছিল সিডিএ। এসব শর্তের কোনোটিরই তোয়াক্কা করা হচ্ছে না।
সিডিএর অন্যতম শর্ত ছিল, পাহাড় কাটা যাবে না। সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে, রঙিন টিনের বেশ উঁচু ও বড় বেষ্টনী দিয়ে পাহাড় কেটে ভবন তৈরি করা হচ্ছে। আট মাস আগে পাহাড়টি দৃশ্যমান ছিল। এখন পর্যন্ত পাহাড়টির অর্ধেক অংশ কাটা হয়েছে। পাহাড়ের বাকি অংশ কেটে আবাসন নির্মাণের কাজ চলছে জোরেশোরে। দিনে চুপচাপ থাকলেও রাত গভীর হলে শুরু হয় পাহাড় কাটা।
পাহাড় কাটার বিষয়ে স্বপ্লীল আবাসনের নির্মাণকাজে নিয়োজিত ইঞ্জিনিয়ার তুহিন রায় চক্রবর্তী এবং জমির মালিকানায় সম্পৃক্ত স্বর্ণ ব্যবসায়ী সজল চৌধুরীর সঙ্গে এক সপ্তাহ ধরে বেশ কয়েকবার মোবাইলে কথা বলার চেষ্টা করা হয়। তবে তাঁরা সাড়া দেননি। এরপর হোয়াটসঅ্যাপে ম্যাসেজ পাঠালেও কোনো সাড়া মেলেনি।
একসময় সরব, এখন নীরব: ২০২০ সালের ১ জুন আসকার দীঘির পাড়ের এ পাহাড় কাটার দায়ে দুজনকে জরিমানা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। ২৮ হাজার বর্গফুট পাহাড় কাটার কারণে ২৮ লাখ টাকা জরিমানা করেছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের তৎকালীন পরিচালক নুরুল্লাহ নূরী। পাহাড়ের কাটা অংশ আগের অবস্থায় ভরাট করতেও নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। তবে সেটা করা হয়নি।
এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (চট্টগ্রাম মহানগর) মোক্তাদির হাসান বলেন, ‘ওই জমি বাড়ি হিসেবে রেকর্ড হওয়ায় আমরা একটু বেকায়দায়। তারপরও পাহাড় কাটার বিষয়টি দৃশ্যমান হওয়ায় পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট ৫ জনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় নিয়মিত মামলা করা হয়েছে। বিষয়টি আদালতে গড়িয়েছে।’
গত বছরের ১৮ জানুয়ারি ভবন নির্মাণের কাজ বন্ধ করে দিয়েছিল চসিক। কিছুদিন পর আবার তা শুরু হয়। এরপর সিটি করপোরেশনকে আর মাথা ঘামাতে দেখা যায়নি।
এ বিষয়ে জানতে সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী শেখ মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘পাহাড় কাটা ও ভবন নির্মাণের বিষয়গুলো সিডিএ ও পরিবেশ অধিদপ্তরের এখতিয়ারে।
এরপরও বিষয়টি আলোচিত হওয়ায় আমরা কাজ বন্ধ করে দিয়েছিলাম। বর্তমানে কী অবস্থায় আছে, তা খতিয়ে দেখছি।’
নথিতে শুভঙ্করের ফাঁকি: ২০২০ সালের ২৩ জানুয়ারি ৯২ জনের নামে জমিটির নামজারি হয়। সিডিএতে জমা দেওয়া নথিতে দেখা যায়, জমিটি বাড়ি হিসেবে লিপিবদ্ধ। অথচ ১৯৯৫ সালের পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে এবং ২০১০ সালের সংশোধিত আইন অনুসারে এটি পাহাড়। আর এই আইন অনুসারে পাহাড় কাটা সম্পূর্ণ নিষেধ। তবে এই জায়গায় ভবন নির্মাণের কাজ চালিয়ে যেতে হাইকোর্টে রিট করে আদেশ এনেছেন জমির মালিকেরা। তবে ওই রিটে এটা উল্লেখ করা হয়নি, জায়গাটিতে পাহাড় আছে। ওই রিটে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, প্রধান প্রকৌশলীসহ ৮ জনকে বিবাদী করা হলেও বাদ রাখা হয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তরকে। সিডিএর একটি সূত্র বলছে, পরিবেশ অধিদপ্তর চাইলে এই পাহাড় সংরক্ষণের উদ্যোগ নিতে পারে।
একই বিষয়ে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) চট্টগ্রামের সমন্বয়ক মুনিরা পারভীন রুবা বলেন, ‘এ পাহাড় কাটা বন্ধ করতে আমরা স্মারকলিপি, মানববন্ধন এবং সর্বশেষ লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছি উল্লিখিত আবাসনসংশ্লিষ্টদের; কিন্তু কোনো কাজ হচ্ছে না।’
সিডিএ কার্যালয়ের আরেকটি সূত্র বলছে, কর্তৃপক্ষ চাইলে পাহাড় কাটার দায়েই ভবনের পরিকল্পনা বাতিল করতে পারে। তবে অজানা কারণে সেটা হচ্ছে না। যদিও সিডিএর চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. নুরুল করিম বলেন, ‘পাহাড় কাটার বিষয়ে আমরা অবগত। কিন্তু ওই জায়গায় সিডিএর হস্তক্ষেপ না করতে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এ কারণে আমরা আপাতত কিছু করতে পারছি না। পরিবেশ অধিদপ্তর চাইলে অনেক কিছু করতে পারে। তবে ভবন হয়ে যাওয়ার পরও সিডিএর সংশ্লিষ্ট আইনে আমরা ব্যবস্থা নিতে পারব।’

চট্টগ্রাম নগরীর আসকার দীঘির পাড় এলাকার রিমা কমিউনিটি সেন্টারের বিপরীতে পাহাড়। সেখানে ৯২টি পরিবারের জন্য স্বপ্নীল ফ্যামিলি ওনার্স নামের ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তিনটি আলাদা ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। আর এটা করতে গিয়ে পাহাড় কেটে সাবাড় করা হয়েছে। এর আগে বিভিন্ন সময় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক), চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) এবং পরিবেশ অধিদপ্তর এই কাজে বাধা দিলেও এখন তারা অজানা কারণে নীরব।
চট্টগ্রাম নগরীর প্রাণকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত আসকার দীঘির পাড়ের ওই পাহাড়ের ঢালের সর্বোচ্চ চূড়া ১২৭ ফুট উঁচু। কয়েকবার হাতবদল হয়ে স্বর্ণ ব্যবসায়ী সজল চৌধুরী, খোকন ধর, হিমেল দাশ, সুভাষ নাথ, রনজিত কুমার দে, রূপক সেনগুপ্তসহ ৯২ জনের হাতে এসেছে এই জমির মালিকানা। দাম ১০ কোটি টাকা। ২০২৩ সালের ১৩ এপ্রিল সিডিএর ইমারত নির্মাণ কমিটির কাছ থেকে তিনটি বেজমেন্ট ও ১৪ তলা (পাহাড়ে বেজমেন্ট হয় না; বাস্তবে তিনটি পার্কিং ফ্লোর, ১৪ তলা আবাসিকসহ মোট ১৭ তলা) ভবনের অনুমোদন নেওয়া হয়। তবে পাহাড় না কাটাসহ ৮৭টি শর্ত দিয়েছিল সিডিএ। এসব শর্তের কোনোটিরই তোয়াক্কা করা হচ্ছে না।
সিডিএর অন্যতম শর্ত ছিল, পাহাড় কাটা যাবে না। সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে, রঙিন টিনের বেশ উঁচু ও বড় বেষ্টনী দিয়ে পাহাড় কেটে ভবন তৈরি করা হচ্ছে। আট মাস আগে পাহাড়টি দৃশ্যমান ছিল। এখন পর্যন্ত পাহাড়টির অর্ধেক অংশ কাটা হয়েছে। পাহাড়ের বাকি অংশ কেটে আবাসন নির্মাণের কাজ চলছে জোরেশোরে। দিনে চুপচাপ থাকলেও রাত গভীর হলে শুরু হয় পাহাড় কাটা।
পাহাড় কাটার বিষয়ে স্বপ্লীল আবাসনের নির্মাণকাজে নিয়োজিত ইঞ্জিনিয়ার তুহিন রায় চক্রবর্তী এবং জমির মালিকানায় সম্পৃক্ত স্বর্ণ ব্যবসায়ী সজল চৌধুরীর সঙ্গে এক সপ্তাহ ধরে বেশ কয়েকবার মোবাইলে কথা বলার চেষ্টা করা হয়। তবে তাঁরা সাড়া দেননি। এরপর হোয়াটসঅ্যাপে ম্যাসেজ পাঠালেও কোনো সাড়া মেলেনি।
একসময় সরব, এখন নীরব: ২০২০ সালের ১ জুন আসকার দীঘির পাড়ের এ পাহাড় কাটার দায়ে দুজনকে জরিমানা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। ২৮ হাজার বর্গফুট পাহাড় কাটার কারণে ২৮ লাখ টাকা জরিমানা করেছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের তৎকালীন পরিচালক নুরুল্লাহ নূরী। পাহাড়ের কাটা অংশ আগের অবস্থায় ভরাট করতেও নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। তবে সেটা করা হয়নি।
এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (চট্টগ্রাম মহানগর) মোক্তাদির হাসান বলেন, ‘ওই জমি বাড়ি হিসেবে রেকর্ড হওয়ায় আমরা একটু বেকায়দায়। তারপরও পাহাড় কাটার বিষয়টি দৃশ্যমান হওয়ায় পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট ৫ জনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় নিয়মিত মামলা করা হয়েছে। বিষয়টি আদালতে গড়িয়েছে।’
গত বছরের ১৮ জানুয়ারি ভবন নির্মাণের কাজ বন্ধ করে দিয়েছিল চসিক। কিছুদিন পর আবার তা শুরু হয়। এরপর সিটি করপোরেশনকে আর মাথা ঘামাতে দেখা যায়নি।
এ বিষয়ে জানতে সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী শেখ মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘পাহাড় কাটা ও ভবন নির্মাণের বিষয়গুলো সিডিএ ও পরিবেশ অধিদপ্তরের এখতিয়ারে।
এরপরও বিষয়টি আলোচিত হওয়ায় আমরা কাজ বন্ধ করে দিয়েছিলাম। বর্তমানে কী অবস্থায় আছে, তা খতিয়ে দেখছি।’
নথিতে শুভঙ্করের ফাঁকি: ২০২০ সালের ২৩ জানুয়ারি ৯২ জনের নামে জমিটির নামজারি হয়। সিডিএতে জমা দেওয়া নথিতে দেখা যায়, জমিটি বাড়ি হিসেবে লিপিবদ্ধ। অথচ ১৯৯৫ সালের পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে এবং ২০১০ সালের সংশোধিত আইন অনুসারে এটি পাহাড়। আর এই আইন অনুসারে পাহাড় কাটা সম্পূর্ণ নিষেধ। তবে এই জায়গায় ভবন নির্মাণের কাজ চালিয়ে যেতে হাইকোর্টে রিট করে আদেশ এনেছেন জমির মালিকেরা। তবে ওই রিটে এটা উল্লেখ করা হয়নি, জায়গাটিতে পাহাড় আছে। ওই রিটে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, প্রধান প্রকৌশলীসহ ৮ জনকে বিবাদী করা হলেও বাদ রাখা হয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তরকে। সিডিএর একটি সূত্র বলছে, পরিবেশ অধিদপ্তর চাইলে এই পাহাড় সংরক্ষণের উদ্যোগ নিতে পারে।
একই বিষয়ে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) চট্টগ্রামের সমন্বয়ক মুনিরা পারভীন রুবা বলেন, ‘এ পাহাড় কাটা বন্ধ করতে আমরা স্মারকলিপি, মানববন্ধন এবং সর্বশেষ লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছি উল্লিখিত আবাসনসংশ্লিষ্টদের; কিন্তু কোনো কাজ হচ্ছে না।’
সিডিএ কার্যালয়ের আরেকটি সূত্র বলছে, কর্তৃপক্ষ চাইলে পাহাড় কাটার দায়েই ভবনের পরিকল্পনা বাতিল করতে পারে। তবে অজানা কারণে সেটা হচ্ছে না। যদিও সিডিএর চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. নুরুল করিম বলেন, ‘পাহাড় কাটার বিষয়ে আমরা অবগত। কিন্তু ওই জায়গায় সিডিএর হস্তক্ষেপ না করতে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এ কারণে আমরা আপাতত কিছু করতে পারছি না। পরিবেশ অধিদপ্তর চাইলে অনেক কিছু করতে পারে। তবে ভবন হয়ে যাওয়ার পরও সিডিএর সংশ্লিষ্ট আইনে আমরা ব্যবস্থা নিতে পারব।’
চট্টগ্রাম নগরের পাহাড়
সবুর শুভ, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম নগরীর আসকার দীঘির পাড় এলাকার রিমা কমিউনিটি সেন্টারের বিপরীতে পাহাড়। সেখানে ৯২টি পরিবারের জন্য স্বপ্নীল ফ্যামিলি ওনার্স নামের ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তিনটি আলাদা ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। আর এটা করতে গিয়ে পাহাড় কেটে সাবাড় করা হয়েছে। এর আগে বিভিন্ন সময় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক), চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) এবং পরিবেশ অধিদপ্তর এই কাজে বাধা দিলেও এখন তারা অজানা কারণে নীরব।
চট্টগ্রাম নগরীর প্রাণকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত আসকার দীঘির পাড়ের ওই পাহাড়ের ঢালের সর্বোচ্চ চূড়া ১২৭ ফুট উঁচু। কয়েকবার হাতবদল হয়ে স্বর্ণ ব্যবসায়ী সজল চৌধুরী, খোকন ধর, হিমেল দাশ, সুভাষ নাথ, রনজিত কুমার দে, রূপক সেনগুপ্তসহ ৯২ জনের হাতে এসেছে এই জমির মালিকানা। দাম ১০ কোটি টাকা। ২০২৩ সালের ১৩ এপ্রিল সিডিএর ইমারত নির্মাণ কমিটির কাছ থেকে তিনটি বেজমেন্ট ও ১৪ তলা (পাহাড়ে বেজমেন্ট হয় না; বাস্তবে তিনটি পার্কিং ফ্লোর, ১৪ তলা আবাসিকসহ মোট ১৭ তলা) ভবনের অনুমোদন নেওয়া হয়। তবে পাহাড় না কাটাসহ ৮৭টি শর্ত দিয়েছিল সিডিএ। এসব শর্তের কোনোটিরই তোয়াক্কা করা হচ্ছে না।
সিডিএর অন্যতম শর্ত ছিল, পাহাড় কাটা যাবে না। সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে, রঙিন টিনের বেশ উঁচু ও বড় বেষ্টনী দিয়ে পাহাড় কেটে ভবন তৈরি করা হচ্ছে। আট মাস আগে পাহাড়টি দৃশ্যমান ছিল। এখন পর্যন্ত পাহাড়টির অর্ধেক অংশ কাটা হয়েছে। পাহাড়ের বাকি অংশ কেটে আবাসন নির্মাণের কাজ চলছে জোরেশোরে। দিনে চুপচাপ থাকলেও রাত গভীর হলে শুরু হয় পাহাড় কাটা।
পাহাড় কাটার বিষয়ে স্বপ্লীল আবাসনের নির্মাণকাজে নিয়োজিত ইঞ্জিনিয়ার তুহিন রায় চক্রবর্তী এবং জমির মালিকানায় সম্পৃক্ত স্বর্ণ ব্যবসায়ী সজল চৌধুরীর সঙ্গে এক সপ্তাহ ধরে বেশ কয়েকবার মোবাইলে কথা বলার চেষ্টা করা হয়। তবে তাঁরা সাড়া দেননি। এরপর হোয়াটসঅ্যাপে ম্যাসেজ পাঠালেও কোনো সাড়া মেলেনি।
একসময় সরব, এখন নীরব: ২০২০ সালের ১ জুন আসকার দীঘির পাড়ের এ পাহাড় কাটার দায়ে দুজনকে জরিমানা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। ২৮ হাজার বর্গফুট পাহাড় কাটার কারণে ২৮ লাখ টাকা জরিমানা করেছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের তৎকালীন পরিচালক নুরুল্লাহ নূরী। পাহাড়ের কাটা অংশ আগের অবস্থায় ভরাট করতেও নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। তবে সেটা করা হয়নি।
এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (চট্টগ্রাম মহানগর) মোক্তাদির হাসান বলেন, ‘ওই জমি বাড়ি হিসেবে রেকর্ড হওয়ায় আমরা একটু বেকায়দায়। তারপরও পাহাড় কাটার বিষয়টি দৃশ্যমান হওয়ায় পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট ৫ জনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় নিয়মিত মামলা করা হয়েছে। বিষয়টি আদালতে গড়িয়েছে।’
গত বছরের ১৮ জানুয়ারি ভবন নির্মাণের কাজ বন্ধ করে দিয়েছিল চসিক। কিছুদিন পর আবার তা শুরু হয়। এরপর সিটি করপোরেশনকে আর মাথা ঘামাতে দেখা যায়নি।
এ বিষয়ে জানতে সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী শেখ মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘পাহাড় কাটা ও ভবন নির্মাণের বিষয়গুলো সিডিএ ও পরিবেশ অধিদপ্তরের এখতিয়ারে।
এরপরও বিষয়টি আলোচিত হওয়ায় আমরা কাজ বন্ধ করে দিয়েছিলাম। বর্তমানে কী অবস্থায় আছে, তা খতিয়ে দেখছি।’
নথিতে শুভঙ্করের ফাঁকি: ২০২০ সালের ২৩ জানুয়ারি ৯২ জনের নামে জমিটির নামজারি হয়। সিডিএতে জমা দেওয়া নথিতে দেখা যায়, জমিটি বাড়ি হিসেবে লিপিবদ্ধ। অথচ ১৯৯৫ সালের পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে এবং ২০১০ সালের সংশোধিত আইন অনুসারে এটি পাহাড়। আর এই আইন অনুসারে পাহাড় কাটা সম্পূর্ণ নিষেধ। তবে এই জায়গায় ভবন নির্মাণের কাজ চালিয়ে যেতে হাইকোর্টে রিট করে আদেশ এনেছেন জমির মালিকেরা। তবে ওই রিটে এটা উল্লেখ করা হয়নি, জায়গাটিতে পাহাড় আছে। ওই রিটে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, প্রধান প্রকৌশলীসহ ৮ জনকে বিবাদী করা হলেও বাদ রাখা হয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তরকে। সিডিএর একটি সূত্র বলছে, পরিবেশ অধিদপ্তর চাইলে এই পাহাড় সংরক্ষণের উদ্যোগ নিতে পারে।
একই বিষয়ে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) চট্টগ্রামের সমন্বয়ক মুনিরা পারভীন রুবা বলেন, ‘এ পাহাড় কাটা বন্ধ করতে আমরা স্মারকলিপি, মানববন্ধন এবং সর্বশেষ লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছি উল্লিখিত আবাসনসংশ্লিষ্টদের; কিন্তু কোনো কাজ হচ্ছে না।’
সিডিএ কার্যালয়ের আরেকটি সূত্র বলছে, কর্তৃপক্ষ চাইলে পাহাড় কাটার দায়েই ভবনের পরিকল্পনা বাতিল করতে পারে। তবে অজানা কারণে সেটা হচ্ছে না। যদিও সিডিএর চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. নুরুল করিম বলেন, ‘পাহাড় কাটার বিষয়ে আমরা অবগত। কিন্তু ওই জায়গায় সিডিএর হস্তক্ষেপ না করতে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এ কারণে আমরা আপাতত কিছু করতে পারছি না। পরিবেশ অধিদপ্তর চাইলে অনেক কিছু করতে পারে। তবে ভবন হয়ে যাওয়ার পরও সিডিএর সংশ্লিষ্ট আইনে আমরা ব্যবস্থা নিতে পারব।’

চট্টগ্রাম নগরীর আসকার দীঘির পাড় এলাকার রিমা কমিউনিটি সেন্টারের বিপরীতে পাহাড়। সেখানে ৯২টি পরিবারের জন্য স্বপ্নীল ফ্যামিলি ওনার্স নামের ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তিনটি আলাদা ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। আর এটা করতে গিয়ে পাহাড় কেটে সাবাড় করা হয়েছে। এর আগে বিভিন্ন সময় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক), চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) এবং পরিবেশ অধিদপ্তর এই কাজে বাধা দিলেও এখন তারা অজানা কারণে নীরব।
চট্টগ্রাম নগরীর প্রাণকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত আসকার দীঘির পাড়ের ওই পাহাড়ের ঢালের সর্বোচ্চ চূড়া ১২৭ ফুট উঁচু। কয়েকবার হাতবদল হয়ে স্বর্ণ ব্যবসায়ী সজল চৌধুরী, খোকন ধর, হিমেল দাশ, সুভাষ নাথ, রনজিত কুমার দে, রূপক সেনগুপ্তসহ ৯২ জনের হাতে এসেছে এই জমির মালিকানা। দাম ১০ কোটি টাকা। ২০২৩ সালের ১৩ এপ্রিল সিডিএর ইমারত নির্মাণ কমিটির কাছ থেকে তিনটি বেজমেন্ট ও ১৪ তলা (পাহাড়ে বেজমেন্ট হয় না; বাস্তবে তিনটি পার্কিং ফ্লোর, ১৪ তলা আবাসিকসহ মোট ১৭ তলা) ভবনের অনুমোদন নেওয়া হয়। তবে পাহাড় না কাটাসহ ৮৭টি শর্ত দিয়েছিল সিডিএ। এসব শর্তের কোনোটিরই তোয়াক্কা করা হচ্ছে না।
সিডিএর অন্যতম শর্ত ছিল, পাহাড় কাটা যাবে না। সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে, রঙিন টিনের বেশ উঁচু ও বড় বেষ্টনী দিয়ে পাহাড় কেটে ভবন তৈরি করা হচ্ছে। আট মাস আগে পাহাড়টি দৃশ্যমান ছিল। এখন পর্যন্ত পাহাড়টির অর্ধেক অংশ কাটা হয়েছে। পাহাড়ের বাকি অংশ কেটে আবাসন নির্মাণের কাজ চলছে জোরেশোরে। দিনে চুপচাপ থাকলেও রাত গভীর হলে শুরু হয় পাহাড় কাটা।
পাহাড় কাটার বিষয়ে স্বপ্লীল আবাসনের নির্মাণকাজে নিয়োজিত ইঞ্জিনিয়ার তুহিন রায় চক্রবর্তী এবং জমির মালিকানায় সম্পৃক্ত স্বর্ণ ব্যবসায়ী সজল চৌধুরীর সঙ্গে এক সপ্তাহ ধরে বেশ কয়েকবার মোবাইলে কথা বলার চেষ্টা করা হয়। তবে তাঁরা সাড়া দেননি। এরপর হোয়াটসঅ্যাপে ম্যাসেজ পাঠালেও কোনো সাড়া মেলেনি।
একসময় সরব, এখন নীরব: ২০২০ সালের ১ জুন আসকার দীঘির পাড়ের এ পাহাড় কাটার দায়ে দুজনকে জরিমানা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। ২৮ হাজার বর্গফুট পাহাড় কাটার কারণে ২৮ লাখ টাকা জরিমানা করেছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের তৎকালীন পরিচালক নুরুল্লাহ নূরী। পাহাড়ের কাটা অংশ আগের অবস্থায় ভরাট করতেও নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। তবে সেটা করা হয়নি।
এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (চট্টগ্রাম মহানগর) মোক্তাদির হাসান বলেন, ‘ওই জমি বাড়ি হিসেবে রেকর্ড হওয়ায় আমরা একটু বেকায়দায়। তারপরও পাহাড় কাটার বিষয়টি দৃশ্যমান হওয়ায় পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট ৫ জনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় নিয়মিত মামলা করা হয়েছে। বিষয়টি আদালতে গড়িয়েছে।’
গত বছরের ১৮ জানুয়ারি ভবন নির্মাণের কাজ বন্ধ করে দিয়েছিল চসিক। কিছুদিন পর আবার তা শুরু হয়। এরপর সিটি করপোরেশনকে আর মাথা ঘামাতে দেখা যায়নি।
এ বিষয়ে জানতে সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী শেখ মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘পাহাড় কাটা ও ভবন নির্মাণের বিষয়গুলো সিডিএ ও পরিবেশ অধিদপ্তরের এখতিয়ারে।
এরপরও বিষয়টি আলোচিত হওয়ায় আমরা কাজ বন্ধ করে দিয়েছিলাম। বর্তমানে কী অবস্থায় আছে, তা খতিয়ে দেখছি।’
নথিতে শুভঙ্করের ফাঁকি: ২০২০ সালের ২৩ জানুয়ারি ৯২ জনের নামে জমিটির নামজারি হয়। সিডিএতে জমা দেওয়া নথিতে দেখা যায়, জমিটি বাড়ি হিসেবে লিপিবদ্ধ। অথচ ১৯৯৫ সালের পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে এবং ২০১০ সালের সংশোধিত আইন অনুসারে এটি পাহাড়। আর এই আইন অনুসারে পাহাড় কাটা সম্পূর্ণ নিষেধ। তবে এই জায়গায় ভবন নির্মাণের কাজ চালিয়ে যেতে হাইকোর্টে রিট করে আদেশ এনেছেন জমির মালিকেরা। তবে ওই রিটে এটা উল্লেখ করা হয়নি, জায়গাটিতে পাহাড় আছে। ওই রিটে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, প্রধান প্রকৌশলীসহ ৮ জনকে বিবাদী করা হলেও বাদ রাখা হয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তরকে। সিডিএর একটি সূত্র বলছে, পরিবেশ অধিদপ্তর চাইলে এই পাহাড় সংরক্ষণের উদ্যোগ নিতে পারে।
একই বিষয়ে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) চট্টগ্রামের সমন্বয়ক মুনিরা পারভীন রুবা বলেন, ‘এ পাহাড় কাটা বন্ধ করতে আমরা স্মারকলিপি, মানববন্ধন এবং সর্বশেষ লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছি উল্লিখিত আবাসনসংশ্লিষ্টদের; কিন্তু কোনো কাজ হচ্ছে না।’
সিডিএ কার্যালয়ের আরেকটি সূত্র বলছে, কর্তৃপক্ষ চাইলে পাহাড় কাটার দায়েই ভবনের পরিকল্পনা বাতিল করতে পারে। তবে অজানা কারণে সেটা হচ্ছে না। যদিও সিডিএর চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. নুরুল করিম বলেন, ‘পাহাড় কাটার বিষয়ে আমরা অবগত। কিন্তু ওই জায়গায় সিডিএর হস্তক্ষেপ না করতে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এ কারণে আমরা আপাতত কিছু করতে পারছি না। পরিবেশ অধিদপ্তর চাইলে অনেক কিছু করতে পারে। তবে ভবন হয়ে যাওয়ার পরও সিডিএর সংশ্লিষ্ট আইনে আমরা ব্যবস্থা নিতে পারব।’

বন্দিবিনিময় চুক্তিতে ৩২ জেলেকে ফেরত পাঠিয়েছে ভারত। আর বাংলাদেশ থেকে ৪৭ জেলেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সমঝোতায় সমুদ্রপথে দুই দেশের বন্দিবিনিময় কার্যক্রমে সম্পৃক্ত রয়েছে উভয় দেশের কোস্ট গার্ড।
২২ মিনিট আগে
শিক্ষক-কর্মচারী আত্তীকরণ বিধিমালার সব কালো আইন বাতিল ও বৈষম্য নিরসনের দাবিতে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী সরকারি কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন। আজ বুধবার দুপুরে কলেজমাঠে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। সরকারি কলেজশিক্ষক সমিতির (সকশিস) কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বানে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
৩৮ মিনিট আগে
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় তিস্তার চরে ভূমিদস্যুদের কবল থেকে জমি উদ্ধারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। আজ বুধবার দুপুরে উপজেলার টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের টাপুর চরের তিস্তা নদীর পারে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে দুই শতাধিক মানুষ অংশ নেন।
৪১ মিনিট আগে
শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল থেকে সরকারি ওষুধ ময়লার গাড়িতে করে পাচারের ঘটনায় সাত সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) হাসপাতালের চিকিৎসক মিজানুর রহমানকে প্রধান করে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের সমন্বয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
১ ঘণ্টা আগেমোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি

বন্দিবিনিময় চুক্তিতে ৩২ জেলেকে ফেরত পাঠিয়েছে ভারত। আর বাংলাদেশ থেকে ৪৭ জেলেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সমঝোতায় সমুদ্রপথে দুই দেশের বন্দিবিনিময় কার্যক্রমে সম্পৃক্ত রয়েছে উভয় দেশের কোস্ট গার্ড।
আজ বুধবার দুপুরে কোস্ট গার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
সিয়াম-উল-হক বলেন, বাংলাদেশ-ভারত আন্তর্জাতিক সমুদ্র সীমারেখাসংলগ্ন বাংলাদেশ জলসীমার মধ্যে অবৈধভাবে মৎস্য আহরণরত অবস্থায় বাংলাদেশ নৌবাহিনী গত ১২ জুলাই ও ২ আগস্ট তিনটি ভারতীয় ফিশিং বোটসহ (এফবি মা মঙ্গল চন্ডি-৩৮, এফবি ঝড়, এফবি পারমিতা-৪) ৪৭ জন ভারতীয় জেলেকে আটক করে।
অপরদিকে, ১২ ও ১৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ-ভারত আন্তর্জাতিক সমুদ্র সীমারেখা অতিক্রম করে ভারতীয় জলসীমায় মৎস্য আহরণের অভিযোগে দুটি বাংলাদেশি ফিশিং বোটসহ ৩২ জন জেলেকে আটক করে দেশটির কোস্ট গার্ড।
এরপর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দ্বিপক্ষীয় সমঝোতার মাধ্যমে আটক থাকা জেলেদের বন্দিবিনিময়ের সিদ্ধান্ত হয়। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় আটক জেলেদের হস্তান্তর/গ্রহণের কার্যক্রম সম্পন্ন করার দায়িত্ব পায় বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড।
এরই ধারাবাহিকতায় ৯ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ-ভারত আন্তর্জাতিক মেরিটাইম বাউন্ডারি লাইনে বাংলাদেশে আটক ৪৭ জন ভারতীয় জেলেকে তিনটি ফিশিং বোটসহ ভারতীয় কোস্ট গার্ডের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
একই সঙ্গে ভারতে আটক ৩২ জন বাংলাদেশি জেলেসহ একটি ফিশিং বোট এফবি মায়ের দোয়া ভারতীয় কোস্ট গার্ড থেকে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড গ্রহণ করে। আর অপর একটি বোট গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
বাংলাদেশি এসব জেলেরা ভারতের কারাগারে ছিল তিন মাস। আর ভারতীয় জেলেরা বাংলাদেশের কারাগারে ছিল চার মাস। আজ বুধবার দুপুরে বাংলাদেশি জেলেদের বোটসহ কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোন সদর দপ্তরে (মোংলা) এনে তাদের নিজ নিজ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

বন্দিবিনিময় চুক্তিতে ৩২ জেলেকে ফেরত পাঠিয়েছে ভারত। আর বাংলাদেশ থেকে ৪৭ জেলেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সমঝোতায় সমুদ্রপথে দুই দেশের বন্দিবিনিময় কার্যক্রমে সম্পৃক্ত রয়েছে উভয় দেশের কোস্ট গার্ড।
আজ বুধবার দুপুরে কোস্ট গার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
সিয়াম-উল-হক বলেন, বাংলাদেশ-ভারত আন্তর্জাতিক সমুদ্র সীমারেখাসংলগ্ন বাংলাদেশ জলসীমার মধ্যে অবৈধভাবে মৎস্য আহরণরত অবস্থায় বাংলাদেশ নৌবাহিনী গত ১২ জুলাই ও ২ আগস্ট তিনটি ভারতীয় ফিশিং বোটসহ (এফবি মা মঙ্গল চন্ডি-৩৮, এফবি ঝড়, এফবি পারমিতা-৪) ৪৭ জন ভারতীয় জেলেকে আটক করে।
অপরদিকে, ১২ ও ১৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ-ভারত আন্তর্জাতিক সমুদ্র সীমারেখা অতিক্রম করে ভারতীয় জলসীমায় মৎস্য আহরণের অভিযোগে দুটি বাংলাদেশি ফিশিং বোটসহ ৩২ জন জেলেকে আটক করে দেশটির কোস্ট গার্ড।
এরপর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দ্বিপক্ষীয় সমঝোতার মাধ্যমে আটক থাকা জেলেদের বন্দিবিনিময়ের সিদ্ধান্ত হয়। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় আটক জেলেদের হস্তান্তর/গ্রহণের কার্যক্রম সম্পন্ন করার দায়িত্ব পায় বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড।
এরই ধারাবাহিকতায় ৯ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ-ভারত আন্তর্জাতিক মেরিটাইম বাউন্ডারি লাইনে বাংলাদেশে আটক ৪৭ জন ভারতীয় জেলেকে তিনটি ফিশিং বোটসহ ভারতীয় কোস্ট গার্ডের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
একই সঙ্গে ভারতে আটক ৩২ জন বাংলাদেশি জেলেসহ একটি ফিশিং বোট এফবি মায়ের দোয়া ভারতীয় কোস্ট গার্ড থেকে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড গ্রহণ করে। আর অপর একটি বোট গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
বাংলাদেশি এসব জেলেরা ভারতের কারাগারে ছিল তিন মাস। আর ভারতীয় জেলেরা বাংলাদেশের কারাগারে ছিল চার মাস। আজ বুধবার দুপুরে বাংলাদেশি জেলেদের বোটসহ কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোন সদর দপ্তরে (মোংলা) এনে তাদের নিজ নিজ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

চট্টগ্রাম নগরীর আসকার দীঘির পাড় এলাকার রিমা কমিউনিটি সেন্টারের বিপরীতে পাহাড়। সেখানে ৯২টি পরিবারের জন্য স্বপ্নীল ফ্যামিলি ওনার্স নামের ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তিনটি আলাদা ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। আর এটা করতে গিয়ে পাহাড় কেটে সাবাড় করা হয়েছে। এর আগে বিভিন্ন সময় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক), চট্
২৪ মার্চ ২০২৫
শিক্ষক-কর্মচারী আত্তীকরণ বিধিমালার সব কালো আইন বাতিল ও বৈষম্য নিরসনের দাবিতে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী সরকারি কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন। আজ বুধবার দুপুরে কলেজমাঠে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। সরকারি কলেজশিক্ষক সমিতির (সকশিস) কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বানে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
৩৮ মিনিট আগে
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় তিস্তার চরে ভূমিদস্যুদের কবল থেকে জমি উদ্ধারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। আজ বুধবার দুপুরে উপজেলার টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের টাপুর চরের তিস্তা নদীর পারে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে দুই শতাধিক মানুষ অংশ নেন।
৪১ মিনিট আগে
শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল থেকে সরকারি ওষুধ ময়লার গাড়িতে করে পাচারের ঘটনায় সাত সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) হাসপাতালের চিকিৎসক মিজানুর রহমানকে প্রধান করে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের সমন্বয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
১ ঘণ্টা আগেভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

শিক্ষক-কর্মচারী আত্তীকরণ বিধিমালার সব কালো আইন বাতিল ও বৈষম্য নিরসনের দাবিতে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী সরকারি কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন। আজ বুধবার দুপুরে কলেজমাঠে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। সরকারি কলেজশিক্ষক সমিতির (সকশিস) কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বানে এ কর্মসূচি পালিত হয়। এ সময় সব কালো আইন বাতিল ও বৈষম্য নিরসনে শিক্ষা উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়।
শিক্ষক-কর্মচারীদের পাঁচ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে দ্রুত পদ সোপান তৈরি করে পদোন্নতি দেওয়া, আত্তীকৃত শিক্ষক-কর্মচারীদের পে-প্রোটেকশন দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন, দ্রুততম সময়ে সহজে চাকরি স্থায়ীকরণ সম্পন্ন করা, চাকরি বদলিযোগ্য করা ও একাধিক কলেজে চাকরি করা সময়কালকে গণনায় অন্তর্ভুক্ত করে কার্যকর চাকরিকাল নির্ধারণ করা।
অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তারা শিক্ষক-কর্মচারী আত্তীকরণ বিধিমালা, ২০১৮-এর সব কালো আইন বাতিল ও বৈষম্য নিরসন করে বঞ্চিত শিক্ষক-কর্মচারীদের ন্যায্য দাবি দ্রুত বাস্তবায়ন করার আহ্বান জানান। দাবি আদায় না হলে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলার ঘোষণা দেন।
শিক্ষক পরিষদের সহসাধারণ সম্পাদক মোজাফফর হোসেন বলেন, ‘আমরা এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে চাইনি। একটি কালো আইন তৈরি করে আমাদের সপ্তম গ্রেড থেকে নবম গ্রেডে নামিয়ে অবহেলার আস্তাকুঁড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে।’
সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আজিজুর রহমান সরকার বলেন, মানুষকে তার ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হলে মানুষ ক্ষিপ্ত হয়। নীতি-নৈতিকতার প্রশ্নে তখন তার বিবেক আর সায় দেয় না। রাজপথে নামতে বাধ্য হয়। তিনি অন্তর্বর্তী সরকারকে অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।

শিক্ষক-কর্মচারী আত্তীকরণ বিধিমালার সব কালো আইন বাতিল ও বৈষম্য নিরসনের দাবিতে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী সরকারি কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন। আজ বুধবার দুপুরে কলেজমাঠে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। সরকারি কলেজশিক্ষক সমিতির (সকশিস) কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বানে এ কর্মসূচি পালিত হয়। এ সময় সব কালো আইন বাতিল ও বৈষম্য নিরসনে শিক্ষা উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়।
শিক্ষক-কর্মচারীদের পাঁচ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে দ্রুত পদ সোপান তৈরি করে পদোন্নতি দেওয়া, আত্তীকৃত শিক্ষক-কর্মচারীদের পে-প্রোটেকশন দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন, দ্রুততম সময়ে সহজে চাকরি স্থায়ীকরণ সম্পন্ন করা, চাকরি বদলিযোগ্য করা ও একাধিক কলেজে চাকরি করা সময়কালকে গণনায় অন্তর্ভুক্ত করে কার্যকর চাকরিকাল নির্ধারণ করা।
অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তারা শিক্ষক-কর্মচারী আত্তীকরণ বিধিমালা, ২০১৮-এর সব কালো আইন বাতিল ও বৈষম্য নিরসন করে বঞ্চিত শিক্ষক-কর্মচারীদের ন্যায্য দাবি দ্রুত বাস্তবায়ন করার আহ্বান জানান। দাবি আদায় না হলে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলার ঘোষণা দেন।
শিক্ষক পরিষদের সহসাধারণ সম্পাদক মোজাফফর হোসেন বলেন, ‘আমরা এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে চাইনি। একটি কালো আইন তৈরি করে আমাদের সপ্তম গ্রেড থেকে নবম গ্রেডে নামিয়ে অবহেলার আস্তাকুঁড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে।’
সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আজিজুর রহমান সরকার বলেন, মানুষকে তার ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হলে মানুষ ক্ষিপ্ত হয়। নীতি-নৈতিকতার প্রশ্নে তখন তার বিবেক আর সায় দেয় না। রাজপথে নামতে বাধ্য হয়। তিনি অন্তর্বর্তী সরকারকে অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।

চট্টগ্রাম নগরীর আসকার দীঘির পাড় এলাকার রিমা কমিউনিটি সেন্টারের বিপরীতে পাহাড়। সেখানে ৯২টি পরিবারের জন্য স্বপ্নীল ফ্যামিলি ওনার্স নামের ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তিনটি আলাদা ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। আর এটা করতে গিয়ে পাহাড় কেটে সাবাড় করা হয়েছে। এর আগে বিভিন্ন সময় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক), চট্
২৪ মার্চ ২০২৫
বন্দিবিনিময় চুক্তিতে ৩২ জেলেকে ফেরত পাঠিয়েছে ভারত। আর বাংলাদেশ থেকে ৪৭ জেলেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সমঝোতায় সমুদ্রপথে দুই দেশের বন্দিবিনিময় কার্যক্রমে সম্পৃক্ত রয়েছে উভয় দেশের কোস্ট গার্ড।
২২ মিনিট আগে
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় তিস্তার চরে ভূমিদস্যুদের কবল থেকে জমি উদ্ধারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। আজ বুধবার দুপুরে উপজেলার টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের টাপুর চরের তিস্তা নদীর পারে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে দুই শতাধিক মানুষ অংশ নেন।
৪১ মিনিট আগে
শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল থেকে সরকারি ওষুধ ময়লার গাড়িতে করে পাচারের ঘটনায় সাত সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) হাসপাতালের চিকিৎসক মিজানুর রহমানকে প্রধান করে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের সমন্বয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
১ ঘণ্টা আগেডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি

নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় তিস্তার চরে ভূমিদস্যুদের কবল থেকে জমি উদ্ধারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। আজ বুধবার দুপুরে উপজেলার টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের টাপুর চরের তিস্তা নদীর পাড়ে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে দুই শতাধিক মানুষ অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, এলাকার চিহ্নিত ভূমিদস্যু আব্দুল মোতালেব ওরফে পানচু, মনির মাস্টার, রহিম বাদশা, ফারুক, আলমগীরসহ একটি প্রভাবশালী চক্র জাল দলিল তৈরি করে ২৫ থেকে ৩০ একর জমি দখল করে রেখেছে। বক্তাদের দাবি, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এসব জমি ভোগদখল করে আসছে ওই চক্র।
ভুক্তভোগীরা বলেন, নিজেদের জমিতে যেতে চাইলে ভূমিদস্যুরা মারধর ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। এতে বহু পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছে এবং জীবিকার পথ হারাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তাঁরা।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া জমির মালিক মুসা ভান্ডারী, মাইনুদ্দিন, সাইজুদ্দিন, নিয়ত আলীসহ অনেকে দ্রুত এসব জমি উদ্ধার করে দখলদারদের আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ দাবি করেন। ভুক্তভোগী জমির মালিকদের কয়েকজন মানববন্ধনে বক্তব্য দেন এবং তাঁদের দীর্ঘদিনের হয়রানি ও জমি হারানোর অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।

নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় তিস্তার চরে ভূমিদস্যুদের কবল থেকে জমি উদ্ধারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। আজ বুধবার দুপুরে উপজেলার টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের টাপুর চরের তিস্তা নদীর পাড়ে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে দুই শতাধিক মানুষ অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, এলাকার চিহ্নিত ভূমিদস্যু আব্দুল মোতালেব ওরফে পানচু, মনির মাস্টার, রহিম বাদশা, ফারুক, আলমগীরসহ একটি প্রভাবশালী চক্র জাল দলিল তৈরি করে ২৫ থেকে ৩০ একর জমি দখল করে রেখেছে। বক্তাদের দাবি, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এসব জমি ভোগদখল করে আসছে ওই চক্র।
ভুক্তভোগীরা বলেন, নিজেদের জমিতে যেতে চাইলে ভূমিদস্যুরা মারধর ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। এতে বহু পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছে এবং জীবিকার পথ হারাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তাঁরা।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া জমির মালিক মুসা ভান্ডারী, মাইনুদ্দিন, সাইজুদ্দিন, নিয়ত আলীসহ অনেকে দ্রুত এসব জমি উদ্ধার করে দখলদারদের আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ দাবি করেন। ভুক্তভোগী জমির মালিকদের কয়েকজন মানববন্ধনে বক্তব্য দেন এবং তাঁদের দীর্ঘদিনের হয়রানি ও জমি হারানোর অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।

চট্টগ্রাম নগরীর আসকার দীঘির পাড় এলাকার রিমা কমিউনিটি সেন্টারের বিপরীতে পাহাড়। সেখানে ৯২টি পরিবারের জন্য স্বপ্নীল ফ্যামিলি ওনার্স নামের ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তিনটি আলাদা ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। আর এটা করতে গিয়ে পাহাড় কেটে সাবাড় করা হয়েছে। এর আগে বিভিন্ন সময় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক), চট্
২৪ মার্চ ২০২৫
বন্দিবিনিময় চুক্তিতে ৩২ জেলেকে ফেরত পাঠিয়েছে ভারত। আর বাংলাদেশ থেকে ৪৭ জেলেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সমঝোতায় সমুদ্রপথে দুই দেশের বন্দিবিনিময় কার্যক্রমে সম্পৃক্ত রয়েছে উভয় দেশের কোস্ট গার্ড।
২২ মিনিট আগে
শিক্ষক-কর্মচারী আত্তীকরণ বিধিমালার সব কালো আইন বাতিল ও বৈষম্য নিরসনের দাবিতে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী সরকারি কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন। আজ বুধবার দুপুরে কলেজমাঠে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। সরকারি কলেজশিক্ষক সমিতির (সকশিস) কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বানে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
৩৮ মিনিট আগে
শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল থেকে সরকারি ওষুধ ময়লার গাড়িতে করে পাচারের ঘটনায় সাত সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) হাসপাতালের চিকিৎসক মিজানুর রহমানকে প্রধান করে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের সমন্বয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
১ ঘণ্টা আগেশরীয়তপুর প্রতিনিধি

শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল থেকে সরকারি ওষুধ ময়লার গাড়িতে করে পাচারের ঘটনায় সাত সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) হাসপাতালের চিকিৎসক মিজানুর রহমানকে প্রধান করে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের সমন্বয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে হাসপাতালের প্রধান ফটকে তল্লাশি চালিয়ে ওষুধসহ হাসপাতালটির দুই কর্মচারীকে আটক করেন আনসার সদস্যরা। পরে তাঁদের পুলিশে দেওয়া হয়। আটক কর্মচারীরা হলেন হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতাকর্মী টুবেল হরিজন (৩৫) ও ডোম সহকারী ইবাদুল মিয়া (৫৫)।
পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বিকেলে হাসপাতালের প্রধান ফটকে দায়িত্ব পালন করছিলেন আনসার সদস্য আব্দুর রাজ্জাক। এ সময় টুবেল ও ইবাদুলকে একটি ময়লার ভ্যানগাড়িতে হাসপাতালের বিভিন্ন ব্যবহৃত সরঞ্জাম বহন করতে দেখে তাঁর সন্দেহ হয়। আনসার সদস্য আব্দুর রাজ্জাক ময়লার ভ্যানটি তল্লাশি করেন। তল্লাশিকালে ভ্যান থেকে সলবিয়ন ভিটামিন ওষুধের ১৮০টি বক্স উদ্ধার করা হয়। প্রতিটি বক্সে ৫০ পিস করে মোট ৯ হাজার পিস সরকারি ওষুধ পাওয়া যায়। উদ্ধার হওয়া ওষুধের মেয়াদ ২০২৭ সালের এপ্রিল পর্যন্ত উল্লেখ রয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক দুজন আনসার সদস্যকে জানান, তাঁরা ওষুধগুলো হাসপাতালের বাইরে নিয়ে যাচ্ছিলেন। ঘটনাটি তাৎক্ষণিকভাবে ক্যাম্প কমান্ডারকে জানান আনসার সদস্য আব্দুর রাজ্জাক। পরে পালং থানা-পুলিশে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পালং মডেল থানার মোবাইল ডিউটি টিম ঘটনাস্থলে এসে ওষুধসহ দুজনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়। পরে মুচলেকা নিয়ে পুলিশ তাঁদের ছেড়ে দেয়।
এ বিষয়ে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. হাবিবুর রহমান বলেন, মিজানুর রহমানকে সভাপতি করে সাত সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে জেলা প্রশাসন ও সিভিল সার্জন অফিসের প্রতিনিধি রয়েছেন। সাত দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত শেষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল থেকে সরকারি ওষুধ ময়লার গাড়িতে করে পাচারের ঘটনায় সাত সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) হাসপাতালের চিকিৎসক মিজানুর রহমানকে প্রধান করে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের সমন্বয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে হাসপাতালের প্রধান ফটকে তল্লাশি চালিয়ে ওষুধসহ হাসপাতালটির দুই কর্মচারীকে আটক করেন আনসার সদস্যরা। পরে তাঁদের পুলিশে দেওয়া হয়। আটক কর্মচারীরা হলেন হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতাকর্মী টুবেল হরিজন (৩৫) ও ডোম সহকারী ইবাদুল মিয়া (৫৫)।
পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বিকেলে হাসপাতালের প্রধান ফটকে দায়িত্ব পালন করছিলেন আনসার সদস্য আব্দুর রাজ্জাক। এ সময় টুবেল ও ইবাদুলকে একটি ময়লার ভ্যানগাড়িতে হাসপাতালের বিভিন্ন ব্যবহৃত সরঞ্জাম বহন করতে দেখে তাঁর সন্দেহ হয়। আনসার সদস্য আব্দুর রাজ্জাক ময়লার ভ্যানটি তল্লাশি করেন। তল্লাশিকালে ভ্যান থেকে সলবিয়ন ভিটামিন ওষুধের ১৮০টি বক্স উদ্ধার করা হয়। প্রতিটি বক্সে ৫০ পিস করে মোট ৯ হাজার পিস সরকারি ওষুধ পাওয়া যায়। উদ্ধার হওয়া ওষুধের মেয়াদ ২০২৭ সালের এপ্রিল পর্যন্ত উল্লেখ রয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক দুজন আনসার সদস্যকে জানান, তাঁরা ওষুধগুলো হাসপাতালের বাইরে নিয়ে যাচ্ছিলেন। ঘটনাটি তাৎক্ষণিকভাবে ক্যাম্প কমান্ডারকে জানান আনসার সদস্য আব্দুর রাজ্জাক। পরে পালং থানা-পুলিশে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পালং মডেল থানার মোবাইল ডিউটি টিম ঘটনাস্থলে এসে ওষুধসহ দুজনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়। পরে মুচলেকা নিয়ে পুলিশ তাঁদের ছেড়ে দেয়।
এ বিষয়ে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. হাবিবুর রহমান বলেন, মিজানুর রহমানকে সভাপতি করে সাত সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে জেলা প্রশাসন ও সিভিল সার্জন অফিসের প্রতিনিধি রয়েছেন। সাত দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত শেষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

চট্টগ্রাম নগরীর আসকার দীঘির পাড় এলাকার রিমা কমিউনিটি সেন্টারের বিপরীতে পাহাড়। সেখানে ৯২টি পরিবারের জন্য স্বপ্নীল ফ্যামিলি ওনার্স নামের ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তিনটি আলাদা ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। আর এটা করতে গিয়ে পাহাড় কেটে সাবাড় করা হয়েছে। এর আগে বিভিন্ন সময় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক), চট্
২৪ মার্চ ২০২৫
বন্দিবিনিময় চুক্তিতে ৩২ জেলেকে ফেরত পাঠিয়েছে ভারত। আর বাংলাদেশ থেকে ৪৭ জেলেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সমঝোতায় সমুদ্রপথে দুই দেশের বন্দিবিনিময় কার্যক্রমে সম্পৃক্ত রয়েছে উভয় দেশের কোস্ট গার্ড।
২২ মিনিট আগে
শিক্ষক-কর্মচারী আত্তীকরণ বিধিমালার সব কালো আইন বাতিল ও বৈষম্য নিরসনের দাবিতে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী সরকারি কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন। আজ বুধবার দুপুরে কলেজমাঠে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। সরকারি কলেজশিক্ষক সমিতির (সকশিস) কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বানে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
৩৮ মিনিট আগে
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় তিস্তার চরে ভূমিদস্যুদের কবল থেকে জমি উদ্ধারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। আজ বুধবার দুপুরে উপজেলার টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের টাপুর চরের তিস্তা নদীর পারে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে দুই শতাধিক মানুষ অংশ নেন।
৪১ মিনিট আগে