Ajker Patrika

বিএনপির আন্দোলন কর্মসূচি বসে যাওয়া গাড়ি স্টার্ট দেওয়ার মতো: তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ১৯ মে ২০২৩, ২১: ২৪
বিএনপির আন্দোলন কর্মসূচি বসে যাওয়া গাড়ি স্টার্ট দেওয়ার মতো: তথ্যমন্ত্রী

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘গাড়ি বসে গেলে ওটাকে মাঝেমধ্যে স্টার্ট দিতে হয়। বিএনপির আন্দোলন কর্মসূচিও হচ্ছে সে রকম, বসে যাওয়া গাড়ি স্টার্ট দেওয়ার মতো। কারণ, বিএনপি দলটাই তো বসে গেছে। মাঝেমধ্যে স্টার্ট দেওয়ার জন্য, যাতে জং ধরে না যায়, সে জন্য আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে থাকে। এ ছাড়া অন্য কোনো কিছু নয়।’ 

আজ শুক্রবার দুপুরে চট্টগ্রামে বেসরকারি ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমার মনে হয় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও রিজভী সাহেবসহ বিএনপির নেতারা বিশ্বময় বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে গ্রহণযোগ্যতা, তাঁর প্রতি বিশ্বনেতাদের বা বিশ্ব অঙ্গনের যে আস্থা সেটি বুঝতে তাঁরা ব্যর্থ হয়েছে।’ 

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সফর করেছেন। তিনি অত্যন্ত সফল একটা সফর করে এসেছেন। যে বিশ্বব্যাংক মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল, সেই বিশ্বব্যাংক নিজেরাই প্রস্তাব করেছে ২.২৫ বিলিয়ন ডলার বাংলাদেশকে সহায়তা করার। জাপান ৩০ বিলিয়ন ইয়েন আমাদের সাহায্য করবে বিভিন্ন প্রকল্পে। 

মন্ত্রী বলেন, ‘আজকে শেখ হাসিনা শুধু বাংলাদেশের নেতা নয়, বিশ্বনেতায় রূপান্তরিত হয়েছেন। শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন আপনি আমাদের আইডল, আমার মেয়েদেরও আইডল। যাদের বুদ্ধি, চোখ-কান, শ্রবণ ও দৃষ্টিশক্তির সঙ্গে বোধশক্তি আছে, তারা এগুলো বুঝতে পারে। এখন বিএনপি নেতারা কেন দৃষ্টিহীন এবং শ্রবণশক্তিহীন তার সঙ্গে বোধশক্তিহীনও হয়ে গেল সেটি আমার বোধগম্য নয়।’ 

সরকার দেশে-বিদেশে আস্থা অর্জনে ব্যর্থ হয়ে এখন ভোটারবিহীন নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বিএনপি নেতা রিজভী আহমেদের এমন বক্তব্যের বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বাংলাদেশের কমিউনিটি ক্লিনিক নিয়ে ১৬ মে জাতিসংঘ “দ্যা শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ” হিসেবে প্রস্তাব এনে আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছে। সেই প্রস্তাব এবং বাংলাদেশের সঙ্গে কো-স্পনসর হয়েছে ৭১টি দেশ। এরপরও কি কারও বলা উচিত জননেত্রী শেখ হাসিনা কিংবা সরকারের গ্রহণযোগ্যতা বিশ্বময় কি আছে? এটি বলার কোনো প্রয়োজন নেই।’ 

এর আগে ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন ড. হাছান মাহমুদ। ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক মুহাম্মদ সিকান্দর খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমান। স্বাগত বক্তব্য দেন রেজিস্ট্রার সজল কান্তি বড়ুয়া।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত