নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম ও মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি
বিমানবাহিনীর একটি ইয়াক-১৩০ প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় সাহসিকতার পরিচয় দিলেন দুই বৈমানিক। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, প্রশিক্ষণ বিমানটিতে আগুন ধরে যাওয়ার পর বড় ধরনের ক্ষতি এড়াতে দুই বৈমানিক অত্যন্ত সাহসিকতা ও দক্ষতার সঙ্গে বিমানটি বিমানবন্দরের কাছে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে সরিয়ে জনবিরল এলাকায় নিয়ে যান।
গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে বৈমানিক মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদ মারা যান। এই ঘটনার পর আইএসপিআর বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বিমানবাহিনীর ইয়াক-১৩০ প্রশিক্ষণ বিমান নিয়মিত প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে গতকাল সকালে চট্টগ্রামে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ঘাঁটি জহুরুল হক থেকে উড্ডয়নের পর প্রশিক্ষণ শেষে ফেরার সময় কর্ণফুলী নদীর মোহনার কাছে দুর্ঘটনায় পতিত হয়। এ বিমানে ছিলেন উইং কমান্ডার সোহান হাসান খান ও স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদ।
দুর্ঘটনার সময় তাঁরা জরুরি প্যারাসুট দিয়ে বিমান থেকে নদীতে অবতরণ করেন। এরপর বিমানবাহিনী ও নৌবাহিনীর উদ্ধারকারী দল এবং স্থানীয় জেলেদের প্রচেষ্টায় দুজনকে উদ্ধার করা হয়। দুজনের মধ্যে আসিম জাওয়াদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় দ্রুত তাঁকে বিএনএস পতেঙ্গাতে নেওয়া হয়। চিকিৎসক সর্বাত্মক প্রচেষ্টার পর তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত জাওয়াদের বাড়ি মানিকগঞ্জ শহরের পশ্চিম দাশড়া পৌর ভূমি অফিস এলাকায়। গতকাল দুর্ঘটনার পর ওই বাড়িতে গিয়ে দেখা দেখা যায় বিলাপ করছেন জাওয়াদের মা নিলুফা আক্তার খানম। বলছেন, ‘আমি আছি অথচ আমার ছেলে নাই, এটা কেমন কথা! আমারে মাটি দিব আমার ছেলে। আর এহন আমারে দিতে হইব তারে মাটি!’
আসিম জাওয়াদ ২০১০ সালে বিমানবাহিনীতে যোগ দেন। তাঁর স্ত্রীসহ এক ছেলে ও এক মেয়ে আছে। মেয়ের বয়স ছয় বছর। আর ছেলের এক বছর। স্ত্রী রিফাত অন্তরাসহ চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় থাকেন তাঁরা। জাওয়াদের মা-বাবা থাকেন মানিকগঞ্জে। মা নিলুফা আক্তার গতকাল বিলাপ করে বলছিলেন, ‘আমার ছেলে প্রতিদিন সকালে ফোন করে। কিন্তু আজ (গতকাল) এখন পর্যন্ত ফোন করেনি। কখন আসবে জাওয়াদের ফোন?’
নিহত জাওয়াদের বড় মামা সুরুজ খান জানান, ছোটবেলা থেকে জাওয়াদের স্বপ্ন ছিল পাইলট হওয়ার। সে স্বপ্নপূরণ হয়ে পাইলটও হয়েছিলেন। কিন্তু সেটি ছিল মাত্র অল্প সময়ের জন্য। পরিবারের মাথায় বাজ নেমে পড়েছে জাওয়াদকে হারিয়ে। আজ শুক্রবার জাওয়াদের মরদেহ মানিকগঞ্জে আনা হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন:
বিমানবাহিনীর একটি ইয়াক-১৩০ প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় সাহসিকতার পরিচয় দিলেন দুই বৈমানিক। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, প্রশিক্ষণ বিমানটিতে আগুন ধরে যাওয়ার পর বড় ধরনের ক্ষতি এড়াতে দুই বৈমানিক অত্যন্ত সাহসিকতা ও দক্ষতার সঙ্গে বিমানটি বিমানবন্দরের কাছে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে সরিয়ে জনবিরল এলাকায় নিয়ে যান।
গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে বৈমানিক মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদ মারা যান। এই ঘটনার পর আইএসপিআর বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বিমানবাহিনীর ইয়াক-১৩০ প্রশিক্ষণ বিমান নিয়মিত প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে গতকাল সকালে চট্টগ্রামে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ঘাঁটি জহুরুল হক থেকে উড্ডয়নের পর প্রশিক্ষণ শেষে ফেরার সময় কর্ণফুলী নদীর মোহনার কাছে দুর্ঘটনায় পতিত হয়। এ বিমানে ছিলেন উইং কমান্ডার সোহান হাসান খান ও স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদ।
দুর্ঘটনার সময় তাঁরা জরুরি প্যারাসুট দিয়ে বিমান থেকে নদীতে অবতরণ করেন। এরপর বিমানবাহিনী ও নৌবাহিনীর উদ্ধারকারী দল এবং স্থানীয় জেলেদের প্রচেষ্টায় দুজনকে উদ্ধার করা হয়। দুজনের মধ্যে আসিম জাওয়াদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় দ্রুত তাঁকে বিএনএস পতেঙ্গাতে নেওয়া হয়। চিকিৎসক সর্বাত্মক প্রচেষ্টার পর তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত জাওয়াদের বাড়ি মানিকগঞ্জ শহরের পশ্চিম দাশড়া পৌর ভূমি অফিস এলাকায়। গতকাল দুর্ঘটনার পর ওই বাড়িতে গিয়ে দেখা দেখা যায় বিলাপ করছেন জাওয়াদের মা নিলুফা আক্তার খানম। বলছেন, ‘আমি আছি অথচ আমার ছেলে নাই, এটা কেমন কথা! আমারে মাটি দিব আমার ছেলে। আর এহন আমারে দিতে হইব তারে মাটি!’
আসিম জাওয়াদ ২০১০ সালে বিমানবাহিনীতে যোগ দেন। তাঁর স্ত্রীসহ এক ছেলে ও এক মেয়ে আছে। মেয়ের বয়স ছয় বছর। আর ছেলের এক বছর। স্ত্রী রিফাত অন্তরাসহ চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় থাকেন তাঁরা। জাওয়াদের মা-বাবা থাকেন মানিকগঞ্জে। মা নিলুফা আক্তার গতকাল বিলাপ করে বলছিলেন, ‘আমার ছেলে প্রতিদিন সকালে ফোন করে। কিন্তু আজ (গতকাল) এখন পর্যন্ত ফোন করেনি। কখন আসবে জাওয়াদের ফোন?’
নিহত জাওয়াদের বড় মামা সুরুজ খান জানান, ছোটবেলা থেকে জাওয়াদের স্বপ্ন ছিল পাইলট হওয়ার। সে স্বপ্নপূরণ হয়ে পাইলটও হয়েছিলেন। কিন্তু সেটি ছিল মাত্র অল্প সময়ের জন্য। পরিবারের মাথায় বাজ নেমে পড়েছে জাওয়াদকে হারিয়ে। আজ শুক্রবার জাওয়াদের মরদেহ মানিকগঞ্জে আনা হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন:
নেত্রকোনার বারহাট্টায় প্যারোলে মুক্তি পেয়ে বড় ভাইকে শেষ দেখা দেখলেন বাউসী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আননান। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে নেত্রকোনা কারাগার থেকে পুলিশ আননানকে মৌয়াটি গ্রামে নিয়ে যায়। গত বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টায়
৫ মিনিট আগেরাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নে নোয়াখালীর হাতিয়ায় বিএনপির গণ–সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাবেশে আবুল বাসার ফুল মিয়া নামের এক বিএনপি নেতার ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়া নিয়ে আলোচনার ঝড় উঠেছে।
১১ মিনিট আগেনারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার মেঘনা নদীতে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘মেঘনা ৫ কিলোমিটার সাঁতার-মেল’ নামে একটি সাঁতার প্রতিযোগিতা। ট্রায়াথলন ড্রিমার্সের আয়োজনে এই প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের ৬৪ জেলা থেকে আসা ১০০ জন সাঁতারু অংশ নেন। শিশুদের সাঁতার শেখায় আগ্রহী করে তোলা এবং পানিতে ডুবে মৃত্যুর হার
১৬ মিনিট আগেআজ শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে ময়মনসিংহ-ঢাকা মহাসড়কের উত্তরার আব্দুল্লাহপুরের পলওয়েল মার্কেটে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়। পরবর্তী সময়ে হাউস বিল্ডিং মোড় ঘুরে উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে মিছিল শেষ হয়। সমাবেশে জামায়াতের বহু
২৩ মিনিট আগে