কুবি প্রতিনিধি
‘আমি শিক্ষার্থীদের সব কথা শুনেছি। সব দাবিই যৌক্তিক। আমাদের এসব দাবি পূরণের তীব্র ইচ্ছা থাকলেও সক্ষমতা কম রয়েছে। দুটো হলের নাম পরিবর্তন করেছে শিক্ষার্থীরা। তবে অফিশিয়ালি পরিবর্তন করতে একটু সময়ের দরকার।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত ও চিকিৎসাধীন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী। গতকাল রোববার বেলা ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে এ সভা হয়।
তিনি আরও বলেন, ‘আব্দুল কাইয়ুমের নামে আমরা যে চত্বর করব, সেটির কাজ দ্রুত হবে। একাডেমিক কাউন্সিলের সঙ্গে মিটিং করে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীদের সাহায্য করার ইচ্ছা থাকলেও হয়তো সম্ভব হবে না। কারণ এগুলো অনেক ব্যয়বহুল। তবে আমরা আহতদের একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা পেলে উপদেষ্টাদের কাছে তা পাঠিয়ে দেব। তাঁরা সাহায্য করবেন বলে আশাবাদী। নতুন ক্যাম্পাসের প্রকল্পের সঙ্গে যাঁরা আছেন, তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছি। নতুন ক্যাম্পাস ২০২৫ সালের জুনে হস্তান্তরের কথা থাকলেও তা ২০২৫-এর ডিসেম্বরে হস্তান্তর করতে পারবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রোভিসি অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. সোলায়মান এবং প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আবদুল হাকিম।
মতবিনিময়ের সময় শিক্ষার্থী ফাতেমাতুজ জোহরা মিম বলেন, ‘১১ জুলাই যখন আমার ভাইয়েরা পুলিশের বর্বরতার শিকার হয়, তখন আমরা হল থেকে কয়েকজন মেয়ে বের হয়ে সামনের সারিতে থেকে আন্দোলনে যোগ দিই। পরের দিনগুলোতে ফ্রন্টলাইনে ছিলাম, নিজেও আহত হয়েছি। এসব বলতে চাইছি না। কিন্তু ১৮ জুলাই রাতে আমাদের হল থেকে বের করে দেওয়া হয়। আমরা তখন একটা মেসে আশ্রয় নিই এবং সেখানেও হামলার চেষ্টা করা হয়। আমি চাই এসব বর্বরতার সঙ্গে জড়িত সবার শাস্তি হোক।’
আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ও কুবির সমন্বয়কদের অন্যতম মোহাম্মদ সাকিব হোসাইন বলেন, ‘১১ তারিখে আমরা কুবি শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশে প্রথম হামলার শিকার হই। তখন আমাদের দুই হলের বোনেরা আমাদের ঢাল হয়ে পাশে দাঁড়িয়েছিল। সব হলের মেসে এবং সব জায়গার শিক্ষার্থীদের অবদানে আমাদের আন্দোলন সফল হয়েছে। আমি আশা করি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সুন্দর একটি বাংলাদেশ গড়তে সাহায্য করবে। আমি আশা করি, এই বাংলাদেশে ধর্ম-বর্ণের কোনো বিভেদ আর থাকবে না।’
মতবিনিময়ে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আগের প্রক্টরিয়াল বডির বিরুদ্ধে মামলা করার দাবি জানান। এ ছাড়া আন্দোলনে বাধা প্রদানকারী ও হামলাকারী ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের ছাত্রত্ব বাতিল এবং সংশ্লিষ্ট সবার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া, আন্দোলনে নিহত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আব্দুল কাইয়ূমের নামে একটি হলের নামকরণ করা, আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার ব্যয় বহন করাসহ আরও বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন তাঁরা।
‘আমি শিক্ষার্থীদের সব কথা শুনেছি। সব দাবিই যৌক্তিক। আমাদের এসব দাবি পূরণের তীব্র ইচ্ছা থাকলেও সক্ষমতা কম রয়েছে। দুটো হলের নাম পরিবর্তন করেছে শিক্ষার্থীরা। তবে অফিশিয়ালি পরিবর্তন করতে একটু সময়ের দরকার।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত ও চিকিৎসাধীন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী। গতকাল রোববার বেলা ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে এ সভা হয়।
তিনি আরও বলেন, ‘আব্দুল কাইয়ুমের নামে আমরা যে চত্বর করব, সেটির কাজ দ্রুত হবে। একাডেমিক কাউন্সিলের সঙ্গে মিটিং করে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীদের সাহায্য করার ইচ্ছা থাকলেও হয়তো সম্ভব হবে না। কারণ এগুলো অনেক ব্যয়বহুল। তবে আমরা আহতদের একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা পেলে উপদেষ্টাদের কাছে তা পাঠিয়ে দেব। তাঁরা সাহায্য করবেন বলে আশাবাদী। নতুন ক্যাম্পাসের প্রকল্পের সঙ্গে যাঁরা আছেন, তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছি। নতুন ক্যাম্পাস ২০২৫ সালের জুনে হস্তান্তরের কথা থাকলেও তা ২০২৫-এর ডিসেম্বরে হস্তান্তর করতে পারবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রোভিসি অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. সোলায়মান এবং প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আবদুল হাকিম।
মতবিনিময়ের সময় শিক্ষার্থী ফাতেমাতুজ জোহরা মিম বলেন, ‘১১ জুলাই যখন আমার ভাইয়েরা পুলিশের বর্বরতার শিকার হয়, তখন আমরা হল থেকে কয়েকজন মেয়ে বের হয়ে সামনের সারিতে থেকে আন্দোলনে যোগ দিই। পরের দিনগুলোতে ফ্রন্টলাইনে ছিলাম, নিজেও আহত হয়েছি। এসব বলতে চাইছি না। কিন্তু ১৮ জুলাই রাতে আমাদের হল থেকে বের করে দেওয়া হয়। আমরা তখন একটা মেসে আশ্রয় নিই এবং সেখানেও হামলার চেষ্টা করা হয়। আমি চাই এসব বর্বরতার সঙ্গে জড়িত সবার শাস্তি হোক।’
আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ও কুবির সমন্বয়কদের অন্যতম মোহাম্মদ সাকিব হোসাইন বলেন, ‘১১ তারিখে আমরা কুবি শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশে প্রথম হামলার শিকার হই। তখন আমাদের দুই হলের বোনেরা আমাদের ঢাল হয়ে পাশে দাঁড়িয়েছিল। সব হলের মেসে এবং সব জায়গার শিক্ষার্থীদের অবদানে আমাদের আন্দোলন সফল হয়েছে। আমি আশা করি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সুন্দর একটি বাংলাদেশ গড়তে সাহায্য করবে। আমি আশা করি, এই বাংলাদেশে ধর্ম-বর্ণের কোনো বিভেদ আর থাকবে না।’
মতবিনিময়ে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আগের প্রক্টরিয়াল বডির বিরুদ্ধে মামলা করার দাবি জানান। এ ছাড়া আন্দোলনে বাধা প্রদানকারী ও হামলাকারী ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের ছাত্রত্ব বাতিল এবং সংশ্লিষ্ট সবার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া, আন্দোলনে নিহত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আব্দুল কাইয়ূমের নামে একটি হলের নামকরণ করা, আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার ব্যয় বহন করাসহ আরও বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন তাঁরা।
পুরোপুরি পাকেনি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের হাওরের ধান। তবে অকালবন্যার শঙ্কায় ১ বৈশাখ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ধান কাটা শুরু হয়েছে। কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, ইতিমধ্যে ৩০ ভাগের বেশি জমির বোরো ফসল ঘরে তুলেছেন কৃষক।
১৯ মিনিট আগেবরগুনার আমতলী উপজেলার খেকুয়ানী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভবনের নিচতলায় বসছে পানের বাজার। খেকুয়ানী বাজারের ইজারাদার শাহ আলম শিকদার এ বাজার বসাচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
১ ঘণ্টা আগেরাজধানীর উত্তরার রেসিডেনসিয়াল ল্যাবরেটরি কলেজে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। কলেজের চেয়ারম্যানের যাচ্ছেতাই নিয়মে চলছে প্রতিষ্ঠানটি। দুটি বিষয়ের মাত্র তিনজন শিক্ষক দিয়ে চলছে কলেজটির শিক্ষা কার্যক্রম।
২ ঘণ্টা আগেভারতীয় চেইন হসপিটাল ফর্টিস এসকর্টস হার্ট ইনস্টিটিউটের নাম ভাঙিয়ে শতকোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ উঠেছে এএফসি হেলথ লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। প্রতিষ্ঠানটি ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও কুমিল্লায় ‘ফর্টিস’ নামে চারটি শাখা
২ ঘণ্টা আগে