Ajker Patrika

অবৈধ রেলক্রসিং যেন মরণফাঁদ

জমির উদ্দিন, চট্টগ্রাম
আপডেট : ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৪: ৩৭
অবৈধ রেলক্রসিং যেন মরণফাঁদ

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে আট শতাধিক অবৈধ রেলক্রসিং মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। এসব রেলক্রসিংয়ে থাকে না কোনো গেটম্যান। ফলে যখন-তখন যানবাহন রেললাইনে উঠে যাচ্ছে, এতে ঘটছে দুর্ঘটনা। গত এক সপ্তাহে চার দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে পাঁচজনের। এমনকি রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের বর্তমান মহাব্যবস্থাপক (জিএম) জাহাঙ্গীর হোসেনও ২০১৮ সালে বিভাগীয় ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) থাকার সময় অবৈধ রেলক্রসিংয়ে দুর্ঘটনায় পড়েছিলেন। মোটর ট্রলিতে পরিদর্শনে যাওয়ার সময় সীতাকুণ্ড স্টেশনের পাশে দুর্ঘটনায় পড়েছিলেন তিনি। অবৈধ রেলক্রসিংয়ে হঠাৎ পিকআপ উঠে যাওয়ায় ট্রলির সঙ্গে ধাক্কা লেগে হাত ভাঙে তাঁর। অনেক দিন পর সুস্থ হলেও সেই ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছেন এখনো।

জাহাঙ্গীর হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, পূর্বাঞ্চলে এখনো আট শতাধিক অবৈধ লেভেলক্রসিং রয়েছে। এসব ক্রসিং পর্যায়ক্রমে বন্ধ করার কাজ চলছে।

রেলওয়ের প্রকৌশল দপ্তর জানায়, সারা দেশে অনুমোদিত ১ হাজার ৫৪০টি লেভেল ক্রসিং রয়েছে। এর মধ্যে ২০৭টিতে ২৪ ঘণ্টা মানুষ ও যানবাহন যাতায়াত করলেও বাকি ১ হাজার ৩৩৩টিতে কম যানবাহন চলাচল করে।

প্রকৌশল দপ্তরের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, রেলওয়েতে ১ হাজারের বেশি ক্রসিং রেলের অনুমোদন ছাড়াই করা হয়েছে। এর মধ্যে পূর্বাঞ্চলে ৮৫০টি ও পশ্চিমাঞ্চলে ১৮৬টি অবৈধ লেভেল ক্রসিং রয়েছে। এগুলো সরকারি বিভিন্ন সংস্থা ও বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেছে।

পূর্বাঞ্চলের ৮১১টি অবৈধ রেলক্রসিংয়ের মধ্যে ১৪০টিরও বেশি কুমিল্লা অঞ্চলে। লাকসাম-নোয়াখালী রুটে ৪০টি, লাকসাম-চাঁদপুর রুটে ৩৭টি ও লাকসাম-আখাউড়া রুটে ৫০টি এবং লাকসাম থেকে চৌদ্দগ্রাম রুটে ১৫টি অবৈধ লেভেল ক্রসিং রয়েছে।

এ ছাড়া সিলেট-আখাউড়া অংশে প্রায় ১৭৯ কিলোমিটার রেলপথেও অর্ধশতাধিক অবৈধ ক্রসিং রয়েছে। চট্টগ্রাম জেলায় দেড় শতাধিক অবৈধ ক্রসিং আছে। এর মধ্যে মিরসরাই উপজেলা এলাকার ৩০ কিলোমিটারজুড়ে ৭০টি লেভেল ক্রসিংই অবৈধ।

ঢাকা-চট্টগ্রাম রেললাইনে সীতাকুণ্ডের ৩৮ কিলোমিটারের মধ্যে লেভেল ক্রসিং আছে ৮৫টি। এর মধ্যে রেলওয়ের অনুমোদন আছে ৩০টির। এ ছাড়া বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আরও ১৫টি পরিচালনা করছে। সব মিলিয়ে ৬০টি লেভেল ক্রসিংয়ের প্রতিটি যেন এক একটি মৃত্যুফাঁদ। ফলে এসব রুটে গেটম্যান ও ব্যারিয়ার না থাকায় প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।

অবৈধ রেলক্রসিংয়ে তো নেই-ই, অনুমোদিত রেলক্রসিংয়ের ৭০ শতাংশেও কোনো গেট বা কর্মী নেই। এসব ক্রসিংয়ে মানুষকে নিজ দায়িত্বে পারাপারের নির্দেশনা দিয়েই দায় সেরেছে রেলওয়ে।

বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক (ডিআরএম-চট্টগ্রাম) তারেক মোহাম্মদ শামস তুষার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ক্রসিংগুলোর মধ্যে যেগুলো বন্ধ করার মতো সেগুলো শিগগিরই বন্ধ করা হবে।

সর্বশেষ রোববার মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় মাইক্রোবাসে ট্রেনের ধাক্কায় তিনজন প্রাণ হারান। ২৯ আগস্ট কুমিল্লার লালমাইয়ে ট্রেনের ধাক্কায় দুই মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়।

আগের দিন রাতে পদুয়ার বাজার রেলক্রসিংয়ে ট্রেন ও সবজিবাহী পিকআপ ভ্যানের সংঘর্ষে তিনজন আহত হন। ৩০ আগস্ট সীতাকুণ্ডে চট্টগ্রামমুখী সোনার বাংলা ট্রেনের সঙ্গে পিকআপের সংঘর্ষ হয়। এতে অবশ্য কেউ হতাহত হয়নি। ট্রেনচালাক আবদুল আওয়ালের দক্ষতায় রক্ষা পান কয়েক শ যাত্রী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কক্সবাজার বিমানবন্দরকে ‘আন্তর্জাতিক’ ঘোষণা স্থগিত

তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হলে নিরাপদ থাকবে যে দেশগুলো

ফোন নম্বর ‘মোটু’ নামে সেভ করায় ডিভোর্স দিলেন স্ত্রী

প্রতিবেশীদের ছাড়াই পরাশক্তি হওয়ার উচ্চাভিলাষ ভারতের, পারবে কি

পুলিশ কর্মকর্তা ৪ বার ধর্ষণ করেছে—মহারাষ্ট্রে নারী চিকিৎসকের হাতে লেখা সুইসাইড নোট

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গুলশানের বিলস বারে ৪৬৬ বোতল বিদেশি মদসহ গ্রেপ্তার ৯

উত্তরা-বিমানবন্দর (ঢাকা) প্রতিবেদক
রাজধানীর গুলশানের বিলস বার থেকে জব্দ মদ ও গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজধানীর গুলশানের বিলস বার থেকে জব্দ মদ ও গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজধানীর গুলশানের বিলস আর্ট লাউঞ্জ লিমিটেড রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড বারে পুলিশ অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

ডিএমপির গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান আজ শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

ওসি মো. হাফিজুর জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গুলশান-১-এর গুলশান দক্ষিণ অ্যাভিনিউর বিলস আর্ট লাউঞ্জ রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড বারে অভিযান চালিয়ে ৪৬৬ বোতল বিভিন্ন ব্রান্ডের বিদেশি মদসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জব্দ এসব মদের মূল্য ৬৭ লাখ ৯১ হাজার টাকা।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন সৈয়দ আসিফ (২৪), রাকিব খান (২০), তানভির আহমেদ (২৮), নয়ন চক্রবর্তী (২৮), বেল্লাল হাওলাদার (৪০), জহিরুল ইসলাম (৩৩), সাগর নকরেক (২৭), সাইফুল ইসলাম রকি (৩৪) ও মেহেদী হাসান শিকদার (৪০)।

রাজধানীর গুলশানের বিলস বার থেকে জব্দ মদ ও গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজধানীর গুলশানের বিলস বার থেকে জব্দ মদ ও গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

ওসি হাফিজুর রহমান বলেন, বিলস আর্ট বারটির দেশীয় কেরু অ্যান্ড কোং কোম্পানির অনুমোদিত পাঁচটি ব্রান্ডের মদ বিক্রির অনুমোদন রয়েছে। কিন্তু তারা অবৈধভাবে বিদেশি মদ মজুত রেখে বিক্রি করে আসছিল; যার পরিপ্রেক্ষিতে অভিযান চালিয়ে ভবনটির ষষ্ঠ তলার চিলেকোঠা থেকে এসব বিদেশি মদ জব্দ করা হয়।

এ ঘটনায় আজ (শুক্রবার) গুলশান থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে গ্রেপ্তার আসামিদের বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ওসি হাফিজ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কক্সবাজার বিমানবন্দরকে ‘আন্তর্জাতিক’ ঘোষণা স্থগিত

তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হলে নিরাপদ থাকবে যে দেশগুলো

ফোন নম্বর ‘মোটু’ নামে সেভ করায় ডিভোর্স দিলেন স্ত্রী

প্রতিবেশীদের ছাড়াই পরাশক্তি হওয়ার উচ্চাভিলাষ ভারতের, পারবে কি

পুলিশ কর্মকর্তা ৪ বার ধর্ষণ করেছে—মহারাষ্ট্রে নারী চিকিৎসকের হাতে লেখা সুইসাইড নোট

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢাকার মেট্রোরেল মুন্সিগঞ্জ পর্যন্ত সম্প্রসারণের দাবি

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ থেকে মুন্সিগঞ্জের মুক্তারপুর পর্যন্ত মেট্রোরেল প্রকল্প সম্প্রসারণের দাবিতে মতবিনিময় সভা। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ থেকে মুন্সিগঞ্জের মুক্তারপুর পর্যন্ত মেট্রোরেল প্রকল্প সম্প্রসারণের দাবিতে মতবিনিময় সভা। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ থেকে মুন্সিগঞ্জের মুক্তারপুর পর্যন্ত মেট্রোরেল প্রকল্প সম্প্রসারণের দাবিতে মতবিনিময় সভা হয়েছে। আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে মুন্সিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সফিউদ্দিন আহমেদ মিলনায়তনে ‘ঢাকা-মুন্সিগঞ্জ মেট্রোরেল দাবি পরিষদের উদ্যোগে এ সভা হয়।

সংগঠনের আহ্বায়ক মো. মঞ্জুর মোর্শেদের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন সদস্যসচিব মো. সিরাজুল ইসলাম, সাবেক পৌর চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. মজিবুর রহমান, মুন্সিগঞ্জ শহর বিএনপির সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট মাহবুব উল আলম স্বপন, মুন্সিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি বাছির উদ্দিন জুয়েল, সহসভাপতি মো. গোলজার হোসেন, অ্যাডভোকেট মুস্তাফিজুর রহমানসহ অন্যান্য সদস্য।

সভায় বক্তারা বলেন, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ থেকে মুন্সিগঞ্জ পর্যন্ত মেট্রোরেল সম্প্রসারণ বাস্তবায়িত হলে জেলার মানুষের দীর্ঘদিনের যাতায়াত সমস্যা দূর হবে। এতে ঢাকা ও মুন্সিগঞ্জের মধ্যে আধুনিক ও দ্রুত যোগাযোগব্যবস্থা গড়ে উঠবে। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে মুন্সিগঞ্জের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নয়নে বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে।

সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, মেট্রোরেল সম্প্রসারণের দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেওয়া হবে। এর মধ্যে রয়েছে স্মারকলিপি প্রদান, মানববন্ধন আয়োজন ও গণস্বাক্ষর কর্মসূচি।

আহ্বায়ক মো. মঞ্জুর মোর্শেদ বলেন, ‘আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে সরকারের কাছে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবি জানাব। মুন্সিগঞ্জবাসীর স্বচ্ছ ও দ্রুত যাতায়াতের অধিকার নিশ্চিত করতে আমরা প্রতিবাদী ও সক্রিয় থাকব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কক্সবাজার বিমানবন্দরকে ‘আন্তর্জাতিক’ ঘোষণা স্থগিত

তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হলে নিরাপদ থাকবে যে দেশগুলো

ফোন নম্বর ‘মোটু’ নামে সেভ করায় ডিভোর্স দিলেন স্ত্রী

প্রতিবেশীদের ছাড়াই পরাশক্তি হওয়ার উচ্চাভিলাষ ভারতের, পারবে কি

পুলিশ কর্মকর্তা ৪ বার ধর্ষণ করেছে—মহারাষ্ট্রে নারী চিকিৎসকের হাতে লেখা সুইসাইড নোট

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সিলেটে শাহ আরেফিন (র.) মাজার ধ্বংসের হোতা বশর আটক

সিলেট প্রতিনিধি
বশর মিয়া ওরফে বশর কোম্পানি। ছবি: সংগৃহীত
বশর মিয়া ওরফে বশর কোম্পানি। ছবি: সংগৃহীত

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার শাহ আরেফিন (র.)-এর মাজার খুঁড়ে পাথর তুলে ধ্বংসের হোতা বশর মিয়া ওরফে বশর কোম্পানিকে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় নিজ ঘর থেকে তাঁকে আটক করা হয়। তাঁকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ১ বছরের সাজা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আব্দুল মালেক নামের আরেকজনকে আটক করে তিন মাসের সাজা দেওয়া হয়।

বশর উপজেলার জালিয়ারপাড় গ্রামের মৃত শুকুর আলীর ছেলে। আব্দুল মালেক উপজেলার বৈশাখান্দী বাহাদুরপুর গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর শুরু হয় শাহ আরেফিন টিলা থেকে পাথর উত্তোলন। এ সময় প্রায় ৭’শ বছরের পুরোনো শাহ আরেফিন (র.)-এর মাজারে স্তূপ করে রাখা প্রায় ২ কোটি টাকার পাথর লুটপাট করা হয়। এরপর মাজারের শতবর্ষী গাছপালা কেটে নিয়ে সেখানে গর্ত করে পাথর উত্তোলন শুরু হয়। দীর্ঘ ১ বছর পাথর উত্তোলন করে বিলীন করা হয়েছে মাজারের কবরস্থান ও খেলার মাঠ। আর এ সবই হয়েছে বশর কোম্পানির নেতৃত্বে।

পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাত ১২টায় পুলিশ ও বিজিবিকে সঙ্গে নিয়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পাথর লুটপাটকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালান। অভিযানে শাহ আরেফিন ধ্বংসের হোতা বশর মিয়া এবং আব্দুল মালেক নামের আরও একজনকে আটক করা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বশর কোম্পানি আগে থেকেই শাহ আরেফিন টিলা ধ্বংসের বেশ কয়েকটি মামলার আসামি। তা ছাড়া অস্ত্র এবং পুলিশের ওপর হামলার মামলাও ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। তিনি এলাকায় খুব প্রভাবশালী হওয়ায় সহজে কেউ কথা বলতে চায় না। ভাইদের দিয়ে তিনি শাহ আরেফিন টিলা ও মাজার ধ্বংস করে পাথর উত্তোলন করান। তবে এ নিয়ে বেশ কয়েকবার মাজার রক্ষাকারীদের সঙ্গে তাঁদের মারামারি হয়।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রতন শেখ জানান, বশর মিয়ার বিরুদ্ধে ৪টি নিয়মিত মামলা রয়েছে। তা ছাড়া মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তাঁকে ১ বছরের সাজা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আব্দুল মালেককে তিন মাসের সাজা দেওয়া হয়। তাঁদেরকে আজ শুক্রবার বিকেলে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কক্সবাজার বিমানবন্দরকে ‘আন্তর্জাতিক’ ঘোষণা স্থগিত

তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হলে নিরাপদ থাকবে যে দেশগুলো

ফোন নম্বর ‘মোটু’ নামে সেভ করায় ডিভোর্স দিলেন স্ত্রী

প্রতিবেশীদের ছাড়াই পরাশক্তি হওয়ার উচ্চাভিলাষ ভারতের, পারবে কি

পুলিশ কর্মকর্তা ৪ বার ধর্ষণ করেছে—মহারাষ্ট্রে নারী চিকিৎসকের হাতে লেখা সুইসাইড নোট

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‘দেশে শয়তানের প্রয়োজন নেই, জামায়াতই যথেষ্ট’

­যশোর প্রতিনিধি
বাঘারপাড়া চৌরাস্তা মোড়ে বিএনপির সমাবেশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
বাঘারপাড়া চৌরাস্তা মোড়ে বিএনপির সমাবেশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

‘৫ আগস্টের পর আওয়ামী লীগের লোকজন দাড়ি-টুপি পরে জামায়াত হয়েছে। তাদের থেকে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ দেশে আর শয়তানের প্রয়োজন নেই, জামায়াতই যথেষ্ট’—এমন মন্তব্য করেছেন জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সহসভাপতি মতিয়ার রহমান ফারাজী।

আজ শুক্রবার আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে যশোর-৪ আসনে (অভয়নগর ও বাঘারপাড়া উপজেলা) শোডাউন করেছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। পরে বাঘারপাড়া চৌরাস্তা মোড়ে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে শ্রমিক দলনেতা মতিয়ার রহমান ফারাজী বলেন, ’৯৬ সালে আওয়ামী লীগের দোসর জামায়াত এখন বিএনপির অন্যতম রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী। ৫ আগস্ট পরিবর্তনের পর আওয়ামী লীগের লোকজন দাড়ি-টুপি পরে জামায়াত হয়েছে।

তারা এখন জান্নাত হাতে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাদের থেকে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ এ দেশে আর শয়তানের প্রয়োজন নেই, জামায়াতই যথেষ্ট। তাই আগামী সংসদ নির্বাচনে দেশকে রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিএনপিকে বিজয়ী করতে হবে।

পৌর বিএনপির সভাপতি আব্দুল হাই মনার সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তাহের সিদ্দিকী, মশিয়ার রহমান, অভয়নগর পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম মোল্লা, সাবেক পৌর মেয়র রবিউল ইসলাম প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কক্সবাজার বিমানবন্দরকে ‘আন্তর্জাতিক’ ঘোষণা স্থগিত

তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হলে নিরাপদ থাকবে যে দেশগুলো

ফোন নম্বর ‘মোটু’ নামে সেভ করায় ডিভোর্স দিলেন স্ত্রী

প্রতিবেশীদের ছাড়াই পরাশক্তি হওয়ার উচ্চাভিলাষ ভারতের, পারবে কি

পুলিশ কর্মকর্তা ৪ বার ধর্ষণ করেছে—মহারাষ্ট্রে নারী চিকিৎসকের হাতে লেখা সুইসাইড নোট

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত