Ajker Patrika

চবি উপাচার্যকে চার দফা দাবিতে শিক্ষক সমিতির আলটিমেটাম

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
আপডেট : ২০ মার্চ ২০২৩, ২১: ৩৩
চবি উপাচার্যকে চার দফা দাবিতে শিক্ষক সমিতির আলটিমেটাম

অডিও কেলেঙ্কারিতে যুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করে নেপথ্য নায়কদের খুঁজে বের করা, সিন্ডিকেটে তিন ক্যাটাগরির নির্বাচনের তফসিল ঘোষণাসহ চার দফা দাবিতে উপাচার্যকে চিঠি দিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শিক্ষক সমিতি। চিঠিতে দাবি আদায়ে তিন দিন সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।

আজ সোমবার চবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল হকের স্বাক্ষর করা তিন পৃষ্ঠার চিঠিটি উপাচার্যের কাছে পাঠানো হয়।

চার দফা দাবি হলো—চবি প্রশাসনের সিন্ডিকেটে অবশিষ্ট ক্যাটাগরির (ডিন, প্রভোস্ট, একাডেমিক কাউন্সিল ইত্যাদি) শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা; নিয়োগ-বাণিজ্যসংক্রান্ত অডিও কেলেঙ্কারিতে যুক্ত ব্যক্তিদের শাস্তির জন্য কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া; বিজ্ঞাপিত পদের অতিরিক্ত কিংবা বিভাগীয় পরিকল্পনা কমিটির সুপারিশবিহীন বিজ্ঞপ্তি প্রদান ও বাতিল আবেদনকারীদের নিয়োগের সুপারিশ নিয়ে সৃষ্ট বিতর্কের সুরাহা এবং দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক সমিতির দাবি উপেক্ষা করে পরিচালিত বিভিন্ন অনিয়ম-অসংগতির ব্যাপারে সন্তোষজনক ও গ্রহণযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, বর্তমান উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য দায়িত্ব গ্রহণের পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আইন ১৯৭৩ অনুযায়ী বাধ্যবাধকতা থাকা সত্ত্বেও সিন্ডিকেটে বিভিন্ন ক্যাটাগরির শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন করেননি। যথাসময়ে বেশ কিছু শিক্ষকের পদোন্নতির নির্বাচনী বোর্ড সভাও ডাকা হয়নি। পদোন্নতিতে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নকারী বিভিন্ন অনিয়ম-অসংগতি নিয়ে সংবাদমাধ্যমে নেতিবাচক সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে। তাতে শিক্ষকদের মধ্যে বর্তমান প্রশাসনের প্রতি ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে।

বিশেষ করে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ-সম্পর্কিত নিয়োগ-বাণিজ্যবিষয়ক কয়েকটি অডিও কেলেঙ্কারি প্রকাশ পায়। এসব ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষকসমাজ চরমভাবে ভাবমূর্তি সংকটে পড়ে। ওই অডিও কেলেঙ্কারি ও এ-সংক্রান্ত সংবাদের মাধ্যমে অন্যদের সঙ্গে উপাচার্যের ব্যক্তিগত সহকারীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন কর্মচারীর নিয়োগ-বাণিজ্যের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

এসব কারণে দেশের অন্যতম সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে এই বিশ্ববিদ্যালয়, এতে অধ্যয়নরত বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের মান-মর্যাদা চরমভাবে ভূলুণ্ঠিত হয়।

চিঠিতে আরও লেখা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষক সমিতির বিভিন্ন দাবি আমলে না নিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আইন ১৯৭৩-কে অবজ্ঞা করছে। বিভাগীয় পরিকল্পনা কমিটির সুপারিশ ছাড়া বিজ্ঞাপন, বিজ্ঞাপিত পদের অতিরিক্ত নিয়োগ ও তথ্য জালিয়াতির মতো অভিযোগে আবেদনপত্র বাতিল করে প্রার্থীকে নিয়োগ পরীক্ষায় আমন্ত্রণ জানানোর মতো অগ্রহণযোগ্য কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

সম্প্রতি একজন শিক্ষক নিয়োগ বোর্ডের সভায় সদস্য হিসেবে বিভাগীয় সভাপতির দ্বিমত পোষণ সত্ত্বেও উপাচার্যের উপস্থিতিতে বিভাগীয় পরিকল্পনা কমিটির সভায় তথ্য গোপনের পাশাপাশি মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রতারণা চেষ্টার অভিযোগে আবেদনপত্র বাতিল করা হয়। পরে অত্যন্ত কম মেধাসম্পন্ন একজন প্রার্থীকে (যিনি চবিতে দায়িত্বরত একজন সহকারী প্রক্টরের স্ত্রী এবং ২০ বছর আগে এমএ সম্পন্ন করেছেন) বেআইনিভাবে নিয়োগ পরীক্ষায় আমন্ত্রণ জানানো হয়। তাঁকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের জন্য সর্বোচ্চ সুপারিশের বিষয় সংবাদপত্রগুলোতে প্রকাশিত হওয়ার ঘটনা এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী সমাজকে চরম লজ্জায় ফেলেছে।

চিঠিতে বলা হয়, উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য দুজনেরই দেশের সার্বিক শিক্ষাব্যবস্থার প্রতি ন্যূনতম আগ্রহ বা দায়িত্ববোধ নেই। যা সরকারের উন্নয়ন অভিযাত্রা ও সাফল্যকে ম্লান করে দেওয়ার আশঙ্কা তৈরি করে। তাই কোনো অবস্থাতেই দেশের অন্যতম সেরা এই বিদ্যাপীঠে বিরাজমান প্রশাসনিক অব্যবস্থাপনা, অনিয়ম ও অসংগতি আর চলতে দেওয়া যায় না। এ কারণে জরুরি ভিত্তিতে সার্বিক বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য চবি শিক্ষক সমিতি প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানায়।

এ বিষয়ে উপাচার্যকে চিঠি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে চবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল হক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে যত অনিয়ম-অসংগতি হয়েছে বলে পত্রপত্রিকায় খবর এসেছে, সেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে। এগুলো এখনই বন্ধ হওয়া দরকার বলে শিক্ষক সমিতি মনে করে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গোপনে সহপাঠীদের অপ্রীতিকর ছবি তুলে সিনিয়র ভাইকে পাঠাতেন বাকৃবি ছাত্রী

আন্তদেশীয় ট্রেন চালু করতে ভারতকে ফের চিঠি দেবে বাংলাদেশ

পদ্মা চরের আতঙ্ক কাঁকন বাহিনী

আপনার রাশিফল: অতি আত্মবিশ্বাসের লাগাম টানুন, ভুল ধরলে রোমান্স বরবাদ

কৃত্রিম বৃষ্টি ঝরাতে দিল্লিতে ‘ক্লাউড সিডিং’, প্রথম চেষ্টায় ব্যর্থ ভারত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ধানখেতে ইঁদুর মারার বৈদ্যুতিক ফাঁদে প্রাণ গেল শিশুর

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

বরগুনার তালতলী উপজেলায় ধানখেতে ইঁদুর মারার বৈদ্যুতিক ফাঁদে জড়িয়ে মো. ইমরান (৮) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ বুধবার সকালে উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নের বড় ভাইজোড়া গ্রামে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

মৃত ইমরান বড় ভাইজোড়া গ্রামের মো. সোহেল ফকিরের ছেলে। সে হরিণবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ত।

স্থানীয় লোকজন জানায়, উপজেলার বড় ভাইজোড়া গ্রামের আবু সালেহ আকন ধান চাষ করেন। তিনি ধানখেতে ইঁদুর মারার জন্য পার্শ্ববর্তী মসজিদ থেকে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ-সংযোগ ব্যবহার করে বৈদ্যুতিক ফাঁদ পেতে রাখেন। আজ সকাল ৭টার দিকে ইমরান তার মা রিপা বেগমের সঙ্গে ধানখেতে ছাগলের জন্য ঘাস কাটতে যায়। ওই সময় ইমরান ধানখেতে পাতা বৈদ্যুতিক ফাঁদে জড়িয়ে বিদ্যুতায়িত হয়। স্বজনেরা তাকে উদ্ধার করে তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

তালতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মাহফুজা আক্তার বলেন, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগে শিশুটি মারা গেছে।

তালতলী পল্লী বিদ্যুৎ উপ-স্টেশনের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) মো. ইমরান শেখ বলেন, মসজিদ থেকে বিদ্যুৎ-সংযোগ ব্যবহার করে ধানখেতে নেওয়া সম্পূর্ণভাবে অবৈধ। বিষয়টি তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজালাল বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গোপনে সহপাঠীদের অপ্রীতিকর ছবি তুলে সিনিয়র ভাইকে পাঠাতেন বাকৃবি ছাত্রী

আন্তদেশীয় ট্রেন চালু করতে ভারতকে ফের চিঠি দেবে বাংলাদেশ

পদ্মা চরের আতঙ্ক কাঁকন বাহিনী

আপনার রাশিফল: অতি আত্মবিশ্বাসের লাগাম টানুন, ভুল ধরলে রোমান্স বরবাদ

কৃত্রিম বৃষ্টি ঝরাতে দিল্লিতে ‘ক্লাউড সিডিং’, প্রথম চেষ্টায় ব্যর্থ ভারত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঘুমন্ত অটোচালককে কুপিয়ে হত্যা

পটুয়াখালী প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

পটুয়াখালীর সদর উপজেলায় মোশারেফ খান (৪৫) নামের এক ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালককে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে উপজেলার সেয়াকাঠি গ্রামে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।

নিহত মোশারেফ খান সেয়াকাঠি গ্রামের হানিফ খানের ছেলে।

স্থানীয় লোকজন জানায়, গতকাল রাতে নিজ ঘরের একটি কক্ষে ঘুমিয়ে ছিলেন মোশারেফ। পাশের কক্ষে ঘুমাচ্ছিলেন তাঁর স্ত্রী ও মেয়ে। আনুমানিক রাত আড়াইটার দিকে কয়েকজন দুর্বৃত্ত সিঁধ কেটে ভেতরে ঢুকে তাঁকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়। চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা রক্তাক্ত অবস্থায় মোশারেফকে উদ্ধার করে পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। পুলিশ এখনো সেখানে রয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, এটি পরিকল্পিত হত্যা। তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গোপনে সহপাঠীদের অপ্রীতিকর ছবি তুলে সিনিয়র ভাইকে পাঠাতেন বাকৃবি ছাত্রী

আন্তদেশীয় ট্রেন চালু করতে ভারতকে ফের চিঠি দেবে বাংলাদেশ

পদ্মা চরের আতঙ্ক কাঁকন বাহিনী

আপনার রাশিফল: অতি আত্মবিশ্বাসের লাগাম টানুন, ভুল ধরলে রোমান্স বরবাদ

কৃত্রিম বৃষ্টি ঝরাতে দিল্লিতে ‘ক্লাউড সিডিং’, প্রথম চেষ্টায় ব্যর্থ ভারত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঘুমন্ত স্ত্রী-সন্তানসহ ছয়জনের গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন, দুজনের মৃত্যু

নরসিংদী প্রতিনিধি
আপডেট : ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ১২: ৫৬
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

নরসিংদীতে পারিবারিক কলহের জেরে ঘুমন্ত স্ত্রী-সন্তানসহ ছয়জনের শরীরে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় দুজন মারা গেছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল সোয়া ৯টায় ও বেলা ১টায় রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। গতকাল রাতে নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজন চন্দ্র সরকার এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

মারা যাওয়া দুজন হলো রিনা বেগম (৩৮) ও তাঁর ছেলে ফরহাদ (১৫)। এই ঘটনায় রিনা বেগমের আরেক ছেলে তাওহীদ (৭) চিকিৎসাধীন। তার শরীরের ১৬ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। এ ছাড়া প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ছেড়েছে রিনা বেগমের ছেলে জিহাদ (২৪), বোন সালমা বেগম (৩৪) ও তাঁর ছেলে আরাফাত (১৫)।

অভিযুক্ত ফরিদ মিয়া (৪৪) পেশায় একজন পিকআপচালক ও ঘোড়াদিয়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন। মামলাটি এখন হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল সোয়া ৯টায় রিনা বেগম এবং বেলা ১টায় ছেলে ফরহাদের মৃত্যু হয়। রিনার শরীরের ৫৮ শতাংশ এবং ফরহাদের ৪০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। তাদের লাশ ময়নাতদন্তের পর নরসিংদীতে নিয়ে আসা হচ্ছে।

এর আগে গত বুধবার রাত ৩টার দিকে নরসিংদী সদর উপজেলার চিনিশপুর ইউনিয়নের ঘোড়াদিয়া এলাকায় স্ত্রী রিনা বেগম, সন্তানসহ ছয়জনের শরীরে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যান স্বামী ফরিদ মিয়া। শুক্রবার রাতে ফরিদ মিয়াকে একমাত্র আসামি করে নরসিংদী মডেল থানায় মামলা করেন রিনার মা হোসনা বেগম। পরদিন শনিবার রাত ৮টার দিকে বেলাব থানার বারৈচা এলাকা থেকে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানায়, নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা ও নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার ইটাখোলায় বসবাসকারী স্বামী ফরিদ মিয়া একজন মাদকাসক্ত ও চিহ্নিত অপরাধী। দীর্ঘদিনের সংসারজীবনে ভরণপোষণসহ দায়িত্ব পালন না করায় স্বামীর সংসার ছেড়ে সদর উপজেলার ঘোড়াদিয়ায় বাবার বাড়িতে সন্তানসহ আশ্রয় নেন রিনা বেগম। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বাবুর্চির সহযোগী হিসেবে কাজ করে তিনি জীবিকা নির্বাহ করতেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গোপনে সহপাঠীদের অপ্রীতিকর ছবি তুলে সিনিয়র ভাইকে পাঠাতেন বাকৃবি ছাত্রী

আন্তদেশীয় ট্রেন চালু করতে ভারতকে ফের চিঠি দেবে বাংলাদেশ

পদ্মা চরের আতঙ্ক কাঁকন বাহিনী

আপনার রাশিফল: অতি আত্মবিশ্বাসের লাগাম টানুন, ভুল ধরলে রোমান্স বরবাদ

কৃত্রিম বৃষ্টি ঝরাতে দিল্লিতে ‘ক্লাউড সিডিং’, প্রথম চেষ্টায় ব্যর্থ ভারত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কৃষিজমির মাটি তোলা বন্ধে অভিযান, ৫ ড্রেজার মেশিন ধ্বংস

ব্রাহ্মণপাড়া (কুমিল্লা) প্রতিনিধি 
কৃষিজমির মাটি তোলা বন্ধে অভিযান, ৫ ড্রেজার মেশিন ধ্বংস

কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় কৃষিজমি থেকে অবৈধভাবে মাটি তোলা বন্ধে বিশেষ অভিযান চালিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। গতকাল মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত উপজেলার শিদলাই ইউনিয়নের শিদলাই পূর্বপাড়া ও শিদলাই বড় মাঠ এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তারেক রহমান। এ সময় ব্রাহ্মণপাড়া থানা-পুলিশের একটি দল, আনসার ও গ্রাম পুলিশ সদস্যরা অভিযানে সহযোগিতা করেন।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, কৃষিজমি রক্ষার লক্ষ্যে পরিচালিত অভিযানে অবৈধভাবে ফসলি জমি থেকে মাটি উত্তোলন ও বিক্রির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এ সময় পাঁচটি খননযন্ত্র (ড্রেজার মেশিন), পাইপ ও অন্যান্য সরঞ্জাম ধ্বংস করা হয়। পাশাপাশি বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন অনুযায়ী ড্রেজারের মালিকদের ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) তারেক রহমান বলেন, ‘শিদলাই এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাঁচটি ড্রেজার ও সংশ্লিষ্ট উপকরণ ধ্বংস করা হয়েছে। বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে দায়ী ব্যক্তিদের ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। কৃষিজমি রক্ষায় অবৈধ মাটি উত্তোলনের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গোপনে সহপাঠীদের অপ্রীতিকর ছবি তুলে সিনিয়র ভাইকে পাঠাতেন বাকৃবি ছাত্রী

আন্তদেশীয় ট্রেন চালু করতে ভারতকে ফের চিঠি দেবে বাংলাদেশ

পদ্মা চরের আতঙ্ক কাঁকন বাহিনী

আপনার রাশিফল: অতি আত্মবিশ্বাসের লাগাম টানুন, ভুল ধরলে রোমান্স বরবাদ

কৃত্রিম বৃষ্টি ঝরাতে দিল্লিতে ‘ক্লাউড সিডিং’, প্রথম চেষ্টায় ব্যর্থ ভারত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত