জমির উদ্দিন, চট্টগ্রাম
এমভি আবদুল্লাহর প্রধান কর্মকর্তা মো. আতিক উল্লাহ খানের স্ত্রী মিনা আজমিন অন্তঃসত্ত্বা। স্বামীর জিম্মির পর স্ত্রীর দুর্ভাবনা ছিল একটু বেশিই। স্বামীর কিছু হলে অনাগত সন্তান জন্মের পর বাবাকে দেখবে না, পৃথিবীতে এর চেয়ে কষ্ট আর দুঃখ কী আছে? স্বামীর মুক্তির খবরে যেন নতুন প্রাণ ফিরে পেলেন স্ত্রী। সঙ্গে অনাগত সন্তানও!
আজ কোতোয়ালির নন্দনকাননে আতিক উল্লাহ খানের বাসায় গিয়ে কথা হয় মিনা আজমিনের সঙ্গে। স্বামী ৩৩ দিন জিম্মির সময়গুলো কীভাবে কাটিয়েছেন তা বর্ণনা করেছেন আজকের পত্রিকার কাছে।
মিনা আজমিন জিম্মির প্রথম দিনে তাঁর সন্তানেরা কী করেছেন তার চিত্র তুলে ধরেন। আতিকের বড় মেয়ে ইয়াশরা ফাতেমা তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। মেজ মেয়ে উনাইজা মেহবিন পড়ে প্রথম শ্রেণিতে। দুজনই কোতোয়ালির রাইফেল ক্লাবের বিপরীতে মেমন গ্রামার স্কুলের শিক্ষার্থী। ছোট মেয়ে খাদিজা আরুবিয়ার বয়স দুই বছর।
মিনা আজমিন জানান, আতিকের জিম্মির খবর শুনে ইয়াশরা ফাতেমা তার বাবার ছবি বুকে জড়িয়ে ছিল। কয়েক দিন কোনো কথা বলেনি সে। একটু পরপর মুখ চেপে শুধু কেঁদেছে। একটু একটু বুঝলেও তার ছোট বোন উনাইজা মেহবিন স্বাভাবিক ছিল। সবার ছোট বোন খাদিজা আরুবিয়া তো একেবারে অবুঝ। একটু পরপর তার নানুর কাছে জানতে চাইত, ‘নানু, সবাই বাবর কথা জিজ্ঞেস করছে যে?’ নাতনির এমন প্রশ্নে নানু তখন নিরুত্তর ছিলেন। কারণ এর কোনো জবাব তখন তাঁর কাছে ছিল না।
মিনা আজমিন বলেন, ‘আমার বড় মেয়ে ইয়াশরা ফাতেমা যখন থেকে শুনেছে জলদস্যুরা তার বাবাকে অপহরণ করেছে, তখন থেকেই ফ্রেমে বাঁধানো বাবার ছবিটা বুকে জড়িয়ে ছিল। বাবার দেওয়া সর্বশেষ ভয়েস মেসেজ বারবার শুনেছে। আমার কাছে, নানু আর ছোট চাচার কাছে গিয়ে বাবার খোঁজ নিয়েছে। কিন্তু আমাদের হাতে সান্ত্বনা দেওয়ার ওইটুকুও শক্তি ছিল না। মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলাম। শুধু বলতাম, তাদের বাবা খুব শিগগিরই চলে আসবে।’
স্বামী মুক্ত হওয়ার বিষয়ে মিনা আজমিন বলেন, ‘১৪ এপ্রিল রাত ৩টায় যখন স্বামী কল দেয়, তখন ভয়ে আঁতকে উঠি। এত রাতে কল! কোনো কিছু হয়ে যায়নি তো। শরীর কাঁপছিল, ফোন রিসিভও করতে পারছিলাম না। পরে রিসিভ করলেই ওপাশ থেকে হাস্যোজ্জ্বল কণ্ঠে স্বামী জানালেন, তাঁরা জলদস্যু থেকে মুক্ত। এখন তাঁরা দুবাইয়ে যাবেন। সঙ্গে সঙ্গে আমি খুশিতে চিৎকার করি। পরিবারের সবাইকে জানিয়ে দিই।’
মিনা আজমিন বলেন, ‘এখন আমরা চিন্তামুক্ত। আমার অনাগত সন্তান বাবাকে দেখবে, এর চেয়ে খুশির খবর আর কী আছে। আমরা যেন এখন নতুন প্রাণ ফিরে পেলাম।’
এমভি আবদুল্লাহর প্রধান কর্মকর্তা মো. আতিক উল্লাহ খানের স্ত্রী মিনা আজমিন অন্তঃসত্ত্বা। স্বামীর জিম্মির পর স্ত্রীর দুর্ভাবনা ছিল একটু বেশিই। স্বামীর কিছু হলে অনাগত সন্তান জন্মের পর বাবাকে দেখবে না, পৃথিবীতে এর চেয়ে কষ্ট আর দুঃখ কী আছে? স্বামীর মুক্তির খবরে যেন নতুন প্রাণ ফিরে পেলেন স্ত্রী। সঙ্গে অনাগত সন্তানও!
আজ কোতোয়ালির নন্দনকাননে আতিক উল্লাহ খানের বাসায় গিয়ে কথা হয় মিনা আজমিনের সঙ্গে। স্বামী ৩৩ দিন জিম্মির সময়গুলো কীভাবে কাটিয়েছেন তা বর্ণনা করেছেন আজকের পত্রিকার কাছে।
মিনা আজমিন জিম্মির প্রথম দিনে তাঁর সন্তানেরা কী করেছেন তার চিত্র তুলে ধরেন। আতিকের বড় মেয়ে ইয়াশরা ফাতেমা তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। মেজ মেয়ে উনাইজা মেহবিন পড়ে প্রথম শ্রেণিতে। দুজনই কোতোয়ালির রাইফেল ক্লাবের বিপরীতে মেমন গ্রামার স্কুলের শিক্ষার্থী। ছোট মেয়ে খাদিজা আরুবিয়ার বয়স দুই বছর।
মিনা আজমিন জানান, আতিকের জিম্মির খবর শুনে ইয়াশরা ফাতেমা তার বাবার ছবি বুকে জড়িয়ে ছিল। কয়েক দিন কোনো কথা বলেনি সে। একটু পরপর মুখ চেপে শুধু কেঁদেছে। একটু একটু বুঝলেও তার ছোট বোন উনাইজা মেহবিন স্বাভাবিক ছিল। সবার ছোট বোন খাদিজা আরুবিয়া তো একেবারে অবুঝ। একটু পরপর তার নানুর কাছে জানতে চাইত, ‘নানু, সবাই বাবর কথা জিজ্ঞেস করছে যে?’ নাতনির এমন প্রশ্নে নানু তখন নিরুত্তর ছিলেন। কারণ এর কোনো জবাব তখন তাঁর কাছে ছিল না।
মিনা আজমিন বলেন, ‘আমার বড় মেয়ে ইয়াশরা ফাতেমা যখন থেকে শুনেছে জলদস্যুরা তার বাবাকে অপহরণ করেছে, তখন থেকেই ফ্রেমে বাঁধানো বাবার ছবিটা বুকে জড়িয়ে ছিল। বাবার দেওয়া সর্বশেষ ভয়েস মেসেজ বারবার শুনেছে। আমার কাছে, নানু আর ছোট চাচার কাছে গিয়ে বাবার খোঁজ নিয়েছে। কিন্তু আমাদের হাতে সান্ত্বনা দেওয়ার ওইটুকুও শক্তি ছিল না। মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলাম। শুধু বলতাম, তাদের বাবা খুব শিগগিরই চলে আসবে।’
স্বামী মুক্ত হওয়ার বিষয়ে মিনা আজমিন বলেন, ‘১৪ এপ্রিল রাত ৩টায় যখন স্বামী কল দেয়, তখন ভয়ে আঁতকে উঠি। এত রাতে কল! কোনো কিছু হয়ে যায়নি তো। শরীর কাঁপছিল, ফোন রিসিভও করতে পারছিলাম না। পরে রিসিভ করলেই ওপাশ থেকে হাস্যোজ্জ্বল কণ্ঠে স্বামী জানালেন, তাঁরা জলদস্যু থেকে মুক্ত। এখন তাঁরা দুবাইয়ে যাবেন। সঙ্গে সঙ্গে আমি খুশিতে চিৎকার করি। পরিবারের সবাইকে জানিয়ে দিই।’
মিনা আজমিন বলেন, ‘এখন আমরা চিন্তামুক্ত। আমার অনাগত সন্তান বাবাকে দেখবে, এর চেয়ে খুশির খবর আর কী আছে। আমরা যেন এখন নতুন প্রাণ ফিরে পেলাম।’
ঈদুল আজহায় জমে উঠেছে ঢাকা ও আশেপাশের পর্যটন কেন্দ্রগুলো। আজ মঙ্গলবার বিকেল ৪টার পর থেকে ধীরে ধীরে পর্যটন কেন্দ্রে দর্শনার্থীরা আশা শুরু করে দিয়েছে। কোরবানি ঈদের দিনেই দর্শনার্থীদের সংখ্যাটা কম থাকলেও সন্ধ্যার পরে লোকসমাগম বেশি হবে বলে প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের। বন্ধুবান্ধব, পরিবার-পরিজন
২ মিনিট আগেচট্টগ্রাম নগরীকে কোরবানির বর্জ্যমুক্ত এবং একই সঙ্গে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমের সমাপ্তির ঘোষণা করা হয়েছে। আজ শনিবার সন্ধ্যা নগরীর দামপাড়া চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) কন্ট্রোল রুমে মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন এই ঘোষণার কথা জানান।
৮ মিনিট আগেশেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলায় ডোবায় পড়ে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার বিকেলে উপজেলার কাকিলাকুড়া ইউনিয়নের মলামারি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
১০ মিনিট আগেঈদের চার দিন পর মেয়ের বিয়ে, তাই ঈদের সঙ্গে বিয়ের প্রস্তুতিও নিয়েছিলেন চট্টগ্রামের আনোয়ারার অটোচালক জানে আলম। করেছেন আত্মীয়–স্বজনদের কাছ থেকে ধারদেনাও। হঠাৎ ঈদের দিন সকালে লাগা আগুন থেকে কোনো রকম প্রাণে বাঁচলেও সংসারের সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
১৩ মিনিট আগে