চন্দনাইশ (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
চট্টগ্রামের চন্দনাইশে এবার আখের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলন ভালো হলেও আখ চাষিরা লাভবান হচ্ছে না। কারণ করোনায় বাজার পরিস্থিতি ভালো না। তাই আখ খেতে থাকা অবস্থায় পাইকারদের কাছে বিক্রি করে দিতে হচ্ছে অধিকাংশ চাষিদের।
এখন পাইকাররা খেত থেকে আখ তুলে দ্বিগুণ দামে বিক্রি করছেন। ফলে আখ চাষিদের লাভের অংশ চলে যাচ্ছে পাইকারদের পকেটে।
খোজ নিয়ে জানা যায়, শঙ্খ নদীর তীরবর্তী উপজেলার বৈলতলী, সাতবাড়িয়া, হাশিমপুর, বরমা, বরকল, কাঞ্চনাবাদ, জোয়ারা, চন্দনাইশ পৌর সদর এলাকার হারলা, ধাপাছড়ি, দোহাজারী পৌরসভার চাগাচর, জামিজুরী, জঙ্গল জামিজুরীসহ পুরা উপজেলাব্যাপী চলতি মৌসুমে ১২৫ হেক্টর জমিতে অসংখ্য কৃষক আখ চাষ করেছেন।
এখানকার চাষিরা রং বিলাস জাতীয় আখের চাষ বেশি করেন। তবে কিছুকিছু এলাকায় স্থানীয় জাতের আখের চাষও হয়। উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আখ চাষ হয় বৈলতলী ইউনিয়নের জাফরাবাদ ও সাতবাড়িয়া হাছনদন্ডী এলাকায়। এখানে চলতি মৌসুমে ৩০ হেক্টরের অধিক জমিতে আখ চাষ হয়েছে। প্রতি কানি (৪০ শতক) জমিতে আখ চাষ করে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করেছেন কৃষকেরা।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে আখের রস শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যেমন বৃদ্ধি করে তেমনি জন্ডিস রোগীদের জন্যও উপকারী। আখের রসে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, জিংক, পটাশিয়ামসহ আরও অনেক উপাদান আছে। তাই আখ শরীর সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
বর্তমানে আখ চাষে জনপ্রিয়তা বাড়ছে। নাসির চর, হাছনদন্ডী উত্তরের চর, মাস্টার দিঘির পাড়, খাগরিয়ার চরে আখ চাষ করে অনেক চাষিরা স্বাবলম্বী হয়েছেন। আখ চাষে এক একরে ২-৩ লক্ষ টাকার আখ বিক্রয় করা যায়। এতে উৎপাদন খরচ ৫০-৬০ হাজার টাকা বাদে একরে ২ লাখের বেশি টাকা লাভ হয়।
সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের মোহম্মদ খালি গ্রামের কৃষক ইলিয়াস বলেন, রং বিলাস জাতের আখের চাহিদা বেশি। তাই অনেকে এ জাতের আখের চাষ করেন। কারণ হিসেবে তাদের কাছ থেকে জানা যায়, বাণিজ্যিকভাবে চিনিকলগুলো এ জাতের আখ ক্রয় করে বেশি। তা ছাড়া এই আখ মুখে চিবিয়ে কিংবা রস করে খাওয়া হয়।
চিনিকলগুলোতে কেনা হয় বলে কৃষকেরা আখ চাষে অনেক লাভবান হন। তবে প্রান্তিক কৃষকেরা অনেক সময় ফসলের সঠিক মূল্য পান না। কারণ তারা আখ জমিতে থাকা অবস্থায় পাইকারদের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছেন।
বৈলতলী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আলী এ অঞ্চলের সফল আখ চাষি। তিনি বিগত ৪১ বছর ধরে আখ চাষের সঙ্গে জড়িত। প্রতি মৌসুমেই তিনি লাভের মুখ দেখেছেন। চলতি মৌসুমে তিনি এক প্লটেই ২ শত ৪০ শতক জমিতে রং বিলাস জাতীয় আখ চাষ করেছেন। এ জাতীয় আখ ১৫ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়। ৬ খানি জমিতে আখ চাষ করতে তার খরচ হয়েছে জমির খাজনা ৬০ হাজারসহ মোট ৩ লাখ ১০ হাজার টাকা।
আলী বলেন, আখের বীজ রোপণ থেকে সম্পূর্ণ বিক্রির উপযোগী হতে কমপক্ষে ৯ মাস সময় লাগে। তবে এখানে বাড়তি সুবিধাটা হলো আখের সঙ্গে একত্রে মুলা, ফুলকপি, বাঁধাকপি, আলুসহ বিভিন্ন সবজির চাষ করা যায়। এতে কৃষকেরা অধিক লাভবান হয়।
উপজেলার হাশিমপুর ইউনিয়নের নাছির মোহাম্মদপাড়া এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ধানের পাশাপাশি কৃষকেরা বিপুল পরিমাণ আখ চাষ করেছেন।
এখানকার কৃষকেরা বলেন, পাইকারি ব্যবসায়ীরা আখ চাষিদের খেত থেকে কিনে নেয়। আর তারাই সারা দেশে সরবরাহ করে।
সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের হাছনদন্ডী এলাকার আখ চাষি আইয়ুব আলী, মীর আহম্মদ, বাদশা মিয়া ও মদন আলী জানান, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও আখ চাষ করেছেন। আবহাওয়া ভালো থাকায় এবারে তেমন একটা রোগ দেখা দেয়নি। দামও ভালো আছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় বেশি লাভের আশা করছেন তারা। কিন্তু করোনাকালীন বাজারের অবস্থা ভালো না। তাই স্থানীয় পাইকারদের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন খেতের আখ।
এ বিষয়ে চন্দনাইশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা স্মৃতি রানি সরকার বলেন, কৃষকদের প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। এ ছাড়া কৃষি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে আখ চাষিদের নানা ধরনের পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। ফলে কৃষকেরা আখ চাষে লাভের মুখ দেখছেন। তিনি আরও বলেন, ধানের দাম ভালো থাকায় গত বছরের তুলনায় আখ উৎপাদন একটু কম। গত বছর আখ চাষ হয়েছে ১৩০ হেক্টর জমিতে, চলতি বছর ১২৫ হেক্টরে নেমে আসে।
চট্টগ্রামের চন্দনাইশে এবার আখের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলন ভালো হলেও আখ চাষিরা লাভবান হচ্ছে না। কারণ করোনায় বাজার পরিস্থিতি ভালো না। তাই আখ খেতে থাকা অবস্থায় পাইকারদের কাছে বিক্রি করে দিতে হচ্ছে অধিকাংশ চাষিদের।
এখন পাইকাররা খেত থেকে আখ তুলে দ্বিগুণ দামে বিক্রি করছেন। ফলে আখ চাষিদের লাভের অংশ চলে যাচ্ছে পাইকারদের পকেটে।
খোজ নিয়ে জানা যায়, শঙ্খ নদীর তীরবর্তী উপজেলার বৈলতলী, সাতবাড়িয়া, হাশিমপুর, বরমা, বরকল, কাঞ্চনাবাদ, জোয়ারা, চন্দনাইশ পৌর সদর এলাকার হারলা, ধাপাছড়ি, দোহাজারী পৌরসভার চাগাচর, জামিজুরী, জঙ্গল জামিজুরীসহ পুরা উপজেলাব্যাপী চলতি মৌসুমে ১২৫ হেক্টর জমিতে অসংখ্য কৃষক আখ চাষ করেছেন।
এখানকার চাষিরা রং বিলাস জাতীয় আখের চাষ বেশি করেন। তবে কিছুকিছু এলাকায় স্থানীয় জাতের আখের চাষও হয়। উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আখ চাষ হয় বৈলতলী ইউনিয়নের জাফরাবাদ ও সাতবাড়িয়া হাছনদন্ডী এলাকায়। এখানে চলতি মৌসুমে ৩০ হেক্টরের অধিক জমিতে আখ চাষ হয়েছে। প্রতি কানি (৪০ শতক) জমিতে আখ চাষ করে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করেছেন কৃষকেরা।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে আখের রস শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যেমন বৃদ্ধি করে তেমনি জন্ডিস রোগীদের জন্যও উপকারী। আখের রসে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, জিংক, পটাশিয়ামসহ আরও অনেক উপাদান আছে। তাই আখ শরীর সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
বর্তমানে আখ চাষে জনপ্রিয়তা বাড়ছে। নাসির চর, হাছনদন্ডী উত্তরের চর, মাস্টার দিঘির পাড়, খাগরিয়ার চরে আখ চাষ করে অনেক চাষিরা স্বাবলম্বী হয়েছেন। আখ চাষে এক একরে ২-৩ লক্ষ টাকার আখ বিক্রয় করা যায়। এতে উৎপাদন খরচ ৫০-৬০ হাজার টাকা বাদে একরে ২ লাখের বেশি টাকা লাভ হয়।
সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের মোহম্মদ খালি গ্রামের কৃষক ইলিয়াস বলেন, রং বিলাস জাতের আখের চাহিদা বেশি। তাই অনেকে এ জাতের আখের চাষ করেন। কারণ হিসেবে তাদের কাছ থেকে জানা যায়, বাণিজ্যিকভাবে চিনিকলগুলো এ জাতের আখ ক্রয় করে বেশি। তা ছাড়া এই আখ মুখে চিবিয়ে কিংবা রস করে খাওয়া হয়।
চিনিকলগুলোতে কেনা হয় বলে কৃষকেরা আখ চাষে অনেক লাভবান হন। তবে প্রান্তিক কৃষকেরা অনেক সময় ফসলের সঠিক মূল্য পান না। কারণ তারা আখ জমিতে থাকা অবস্থায় পাইকারদের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছেন।
বৈলতলী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আলী এ অঞ্চলের সফল আখ চাষি। তিনি বিগত ৪১ বছর ধরে আখ চাষের সঙ্গে জড়িত। প্রতি মৌসুমেই তিনি লাভের মুখ দেখেছেন। চলতি মৌসুমে তিনি এক প্লটেই ২ শত ৪০ শতক জমিতে রং বিলাস জাতীয় আখ চাষ করেছেন। এ জাতীয় আখ ১৫ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়। ৬ খানি জমিতে আখ চাষ করতে তার খরচ হয়েছে জমির খাজনা ৬০ হাজারসহ মোট ৩ লাখ ১০ হাজার টাকা।
আলী বলেন, আখের বীজ রোপণ থেকে সম্পূর্ণ বিক্রির উপযোগী হতে কমপক্ষে ৯ মাস সময় লাগে। তবে এখানে বাড়তি সুবিধাটা হলো আখের সঙ্গে একত্রে মুলা, ফুলকপি, বাঁধাকপি, আলুসহ বিভিন্ন সবজির চাষ করা যায়। এতে কৃষকেরা অধিক লাভবান হয়।
উপজেলার হাশিমপুর ইউনিয়নের নাছির মোহাম্মদপাড়া এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ধানের পাশাপাশি কৃষকেরা বিপুল পরিমাণ আখ চাষ করেছেন।
এখানকার কৃষকেরা বলেন, পাইকারি ব্যবসায়ীরা আখ চাষিদের খেত থেকে কিনে নেয়। আর তারাই সারা দেশে সরবরাহ করে।
সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের হাছনদন্ডী এলাকার আখ চাষি আইয়ুব আলী, মীর আহম্মদ, বাদশা মিয়া ও মদন আলী জানান, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও আখ চাষ করেছেন। আবহাওয়া ভালো থাকায় এবারে তেমন একটা রোগ দেখা দেয়নি। দামও ভালো আছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় বেশি লাভের আশা করছেন তারা। কিন্তু করোনাকালীন বাজারের অবস্থা ভালো না। তাই স্থানীয় পাইকারদের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন খেতের আখ।
এ বিষয়ে চন্দনাইশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা স্মৃতি রানি সরকার বলেন, কৃষকদের প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। এ ছাড়া কৃষি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে আখ চাষিদের নানা ধরনের পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। ফলে কৃষকেরা আখ চাষে লাভের মুখ দেখছেন। তিনি আরও বলেন, ধানের দাম ভালো থাকায় গত বছরের তুলনায় আখ উৎপাদন একটু কম। গত বছর আখ চাষ হয়েছে ১৩০ হেক্টর জমিতে, চলতি বছর ১২৫ হেক্টরে নেমে আসে।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে প্রধান শিক্ষক ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে চলছে ১১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা। প্রধান শিক্ষকবিহীন এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে। অভিযোগ রয়েছে, যেসব ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হচ্ছে, তাঁদের অনেকেরই প্রধান শিক্ষক হওয়ার যোগ
৩ ঘণ্টা আগেদুই দশক কিছুটা শান্ত থাকার পর কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী-রাজিবপুর নৌপথে আবার ডাকাতের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। এক মাসের ব্যবধানে দুবার ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ দুই ঘটনায় আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রতিরোধেও কার্যকর উদ্যোগ নেই স্থানীয় প্রশাসনের। আবার ডাকাতি শুরু হওয়ায় ১৪ কিলোমিটার এই নৌপথের নৌযান, যাত্রী
৪ ঘণ্টা আগেরাত ১০টার দিকে ওই দুই যুবক মোটরসাইকেলে করে আড়ংঘাটা থানার লতার বাইপাস মোড় লিংক রোড থেকে বাইপাস মহাসড়ক পার হচ্ছিলেন। এ সময়ে আফিলগেট থেকে খুলনাগামী একটি বাস তাঁদের ধাক্কা দেয়।
৫ ঘণ্টা আগেনোয়াখালীর হাতিয়ায় গভীর রাতে বসতঘরে আগুন লেগে নিমাই চন্দ্র মজুমদার ও তাঁর স্ত্রী মিলনবালার মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারী) চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে বিকেল ৫টায় নিমাই চন্দ্রের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে পৌছার পর রাত ৯টার দিকে মিলন বালাও মারা যান।
৫ ঘণ্টা আগে