কাজী রাকিব, সৌদি আরব থেকে
দলিলুর রহমানের বাড়ি চাঁদপুর সদর উপজেলার উত্তর বালিয়া এলাকায়। ৪৭ বছর ধরে তাঁর স্বপ্ন—পবিত্র কাবা শরিফের সামনে দাঁড়িয়ে ওমরাহ পালন। শারীরিক প্রতিবন্ধকতা তাঁকে থামাতে পারেনি। জীবনের হাজারো প্রতিকূলতা পেরিয়ে সেই স্বপ্ন আজ বাস্তব হয়েছে। এক পায়ে ভর দিয়ে, হুইলচেয়ার ছাড়াই, শুধু ক্রাচে ভর করে ওমরাহ পালন করেছেন চাঁদপুরের দলিলুর রহমান খান।
চাঁদপুর সদর উপজেলার উত্তর বালিয়া এলাকার প্রত্যন্ত গ্রামের সন্তান দলিলুর রহমান। ছাত্রজীবনে ১৯৭৮ সালে এসএসসি পরীক্ষার মাত্র চার মাস আগে স্কুলের স্পোর্টসে হাই জাম্প দিতে গিয়ে ঘটে যায় এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। বাঁ পায়ের হাঁটু থেকে নিচের অংশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। চিকিৎসকেরা জানিয়ে দেন—স্বাভাবিকভাবে আর কখনো হাঁটতে পারবেন না। দীর্ঘ চিকিৎসার পর ১৯৮৪ সালে বাধ্য হয়ে সেই পা কেটে ফেলতে হয়। কিন্তু জীবন থেমে থাকেনি। বরং শুরু হয় এক নতুন অধ্যায়।
আজ ৬১ বছর বয়সে এসে, দলিলুর রহমান সেই অদম্য মনোবলেরই প্রমাণ রাখলেন পবিত্র ওমরাহ পালনের মাধ্যমে। চলতি বছরের ৮ জুলাই তিনি সৌদি আরবে পৌঁছান। প্রথমে মদিনাতুল মুনাওয়ারায় গিয়ে রাসুল (সা.)-এর রওজায়ে আতহার জিয়ারত করেন এবং ১২ জুলাই শনিবার দিবাগত রাতে মক্কা মুকাররমায় এসে ওমরাহ সম্পন্ন করেন।
বিস্ময়কর বিষয় হলো—এই পুরো যাত্রায় তিনি একবারও হুইলচেয়ারের সহায়তা নেননি। মদিনার মসজিদে নববিতে রাসুল সা.-এর রওজা জিয়ারত কিংবা পবিত্র তাওয়াফ ও সাঈ—সবই সম্পন্ন করেন শুধু ক্রাচে ভর করে। প্রতিটি পদক্ষেপ ছিল কষ্টকর, কিন্তু তাঁর চোখে ছিল আনন্দাশ্রু, হৃদয়ে প্রশান্তির উচ্ছ্বাস।
এক আবেগঘন কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘যখন কাবা শরিফের সামনে দাঁড়ালাম, মনে হলো আমি আর কিছু চাই না। আমার জীবনের সবচেয়ে বড় স্বপ্ন পূরণ হয়েছে।’
সফরসঙ্গী ও সহধর্মিণী মনোয়ারা বেগম বলেন, ‘স্বামী চেয়েছিলেন, হেঁটেই ওমরাহ করবেন। আমি শুধু পাশে ছিলাম। আল্লাহ তাঁর স্বপ্ন পূরণ করেছেন, আমার জীবনও পূর্ণতা পেল।’
তাঁর ওমরাহ গ্রুপের অপর সদস্য বরগুনার পাথরঘাটার মোহাম্মদ তোহা কাজী বলেন,
‘দলিলুর রহমান কেবল একজন মানুষ নন, তিনি একটি প্রতীক—আত্মশক্তির, সাহসের ও অনুপ্রেরণার। শারীরিক প্রতিবন্ধকতা মনোবলকে থামাতে পারে না, তিনি তা প্রমাণ করেছেন।’
তিনি চাঁদপুরের মাওলানা আফসার উদ্দিন মুহিব্বির পরিচালিত ইবরার হজ ও ওমরাহ গ্রুপের সঙ্গে ওমরাহ পালনে এসেছেন। তাঁর অনেক সফরসঙ্গী বলছেন, পথের সবচেয়ে বড় বাধা দেহের সীমাবদ্ধতা নয়, মনোবলের অভাব। দলিলুর রহমান তাঁর জীবনের মাধ্যমে দেখিয়ে দিয়েছেন, ইচ্ছাশক্তি থাকলে পৃথিবীর কোনো কিছুই অসম্ভব নয়।
দলিলুর রহমানের বাড়ি চাঁদপুর সদর উপজেলার উত্তর বালিয়া এলাকায়। ৪৭ বছর ধরে তাঁর স্বপ্ন—পবিত্র কাবা শরিফের সামনে দাঁড়িয়ে ওমরাহ পালন। শারীরিক প্রতিবন্ধকতা তাঁকে থামাতে পারেনি। জীবনের হাজারো প্রতিকূলতা পেরিয়ে সেই স্বপ্ন আজ বাস্তব হয়েছে। এক পায়ে ভর দিয়ে, হুইলচেয়ার ছাড়াই, শুধু ক্রাচে ভর করে ওমরাহ পালন করেছেন চাঁদপুরের দলিলুর রহমান খান।
চাঁদপুর সদর উপজেলার উত্তর বালিয়া এলাকার প্রত্যন্ত গ্রামের সন্তান দলিলুর রহমান। ছাত্রজীবনে ১৯৭৮ সালে এসএসসি পরীক্ষার মাত্র চার মাস আগে স্কুলের স্পোর্টসে হাই জাম্প দিতে গিয়ে ঘটে যায় এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। বাঁ পায়ের হাঁটু থেকে নিচের অংশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। চিকিৎসকেরা জানিয়ে দেন—স্বাভাবিকভাবে আর কখনো হাঁটতে পারবেন না। দীর্ঘ চিকিৎসার পর ১৯৮৪ সালে বাধ্য হয়ে সেই পা কেটে ফেলতে হয়। কিন্তু জীবন থেমে থাকেনি। বরং শুরু হয় এক নতুন অধ্যায়।
আজ ৬১ বছর বয়সে এসে, দলিলুর রহমান সেই অদম্য মনোবলেরই প্রমাণ রাখলেন পবিত্র ওমরাহ পালনের মাধ্যমে। চলতি বছরের ৮ জুলাই তিনি সৌদি আরবে পৌঁছান। প্রথমে মদিনাতুল মুনাওয়ারায় গিয়ে রাসুল (সা.)-এর রওজায়ে আতহার জিয়ারত করেন এবং ১২ জুলাই শনিবার দিবাগত রাতে মক্কা মুকাররমায় এসে ওমরাহ সম্পন্ন করেন।
বিস্ময়কর বিষয় হলো—এই পুরো যাত্রায় তিনি একবারও হুইলচেয়ারের সহায়তা নেননি। মদিনার মসজিদে নববিতে রাসুল সা.-এর রওজা জিয়ারত কিংবা পবিত্র তাওয়াফ ও সাঈ—সবই সম্পন্ন করেন শুধু ক্রাচে ভর করে। প্রতিটি পদক্ষেপ ছিল কষ্টকর, কিন্তু তাঁর চোখে ছিল আনন্দাশ্রু, হৃদয়ে প্রশান্তির উচ্ছ্বাস।
এক আবেগঘন কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘যখন কাবা শরিফের সামনে দাঁড়ালাম, মনে হলো আমি আর কিছু চাই না। আমার জীবনের সবচেয়ে বড় স্বপ্ন পূরণ হয়েছে।’
সফরসঙ্গী ও সহধর্মিণী মনোয়ারা বেগম বলেন, ‘স্বামী চেয়েছিলেন, হেঁটেই ওমরাহ করবেন। আমি শুধু পাশে ছিলাম। আল্লাহ তাঁর স্বপ্ন পূরণ করেছেন, আমার জীবনও পূর্ণতা পেল।’
তাঁর ওমরাহ গ্রুপের অপর সদস্য বরগুনার পাথরঘাটার মোহাম্মদ তোহা কাজী বলেন,
‘দলিলুর রহমান কেবল একজন মানুষ নন, তিনি একটি প্রতীক—আত্মশক্তির, সাহসের ও অনুপ্রেরণার। শারীরিক প্রতিবন্ধকতা মনোবলকে থামাতে পারে না, তিনি তা প্রমাণ করেছেন।’
তিনি চাঁদপুরের মাওলানা আফসার উদ্দিন মুহিব্বির পরিচালিত ইবরার হজ ও ওমরাহ গ্রুপের সঙ্গে ওমরাহ পালনে এসেছেন। তাঁর অনেক সফরসঙ্গী বলছেন, পথের সবচেয়ে বড় বাধা দেহের সীমাবদ্ধতা নয়, মনোবলের অভাব। দলিলুর রহমান তাঁর জীবনের মাধ্যমে দেখিয়ে দিয়েছেন, ইচ্ছাশক্তি থাকলে পৃথিবীর কোনো কিছুই অসম্ভব নয়।
‘সমঝোতা, নাকি মরতে চান’—মোটাদাগে এই প্রস্তাবের আশঙ্কায় এখন দিন গোনেন রাজধানীর পল্লবীর আবাসন ব্যবসায়ীরা। ফোনে বা সরাসরি লোক পাঠিয়ে তাঁদের এই প্রস্তাব দিচ্ছে একদল সন্ত্রাসী। কেউ ভয় পেয়ে সমঝোতা করছেন, কেউ সাড়া না দিয়ে চুপ থাকছেন। তাঁদের বেশির ভাগ থানায় যাচ্ছেন না কিংবা মামলা করছেন না। গত পাঁচ মাসে বৃহত
২ ঘণ্টা আগেকুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) এলাকায় প্রতিদিন বাড়ছে জনসংখ্যা ও নগরায়ণের চাপ। বাড়ছে বর্জ্যের পরিমাণও। অথচ নগরীর বিভিন্ন এলাকায় এখনো ডাস্টবিনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি। ফলে বাধ্য হয়ে অনেক বাসিন্দা ও দোকানি ময়লা ফেলছে সড়কের পাশে, ড্রেনে বা খোলা জায়গায়। এতে পরিবেশদূষণের পাশাপাশি উৎকট দুর্গন্ধে
২ ঘণ্টা আগেখুলনা সার্কিট হাউস মাঠের টেনিস গ্রাউন্ডের পাশে চলছে ২১ দিনব্যাপী বৃক্ষমেলা। ৭ জুলাই মেলার উদ্বোধন করেন খুলনার বিভাগীয় কমিশনার ফিরোজ সরকার। মেলার আয়োজক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গতকাল রোববার পর্যন্ত ৬ হাজার ৮৯টি গাছের চারা বিক্রি হয়েছে মেলায়। এর মূল্য ৯ লাখ ২৯ হাজার ৬১৫ টাকা।
৩ ঘণ্টা আগেসার্ভার সমস্যার কারণে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে ঠাকুরগাঁওয়ের ভূমি অফিসগুলো। জেলার ৪২টি ইউনিয়ন ভূমি উন্নয়ন কর অফিসে প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে বন্ধ রয়েছে খাজনা পরিশোধ ও মিউটেশন কার্যক্রম। এতে একদিকে যেমন দুর্ভোগে পড়েছেন সেবাপ্রত্যাশীরা, অন্যদিকে সরকার হারাচ্ছে লাখ লাখ টাকার রাজস্ব।
৩ ঘণ্টা আগে